চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাণহানির সাথে জড়িত আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া এবং গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে আগামী সোমবার দোয়া মাহফিল ও ২ এপ্রিল দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি শেষে সন্ধ্যায় রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন হেফাজতের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী।
হেফাজত মহাসচিব বলেন, ‘শুক্রবারের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে সামনে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
এর আগে শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ এবং চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুলিশের গুলিতে পাঁচ কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে সারা দেশে রবিবার সকাল সন্ধ্যা হরতাল ডাকে দলটি।
হরতাল চলাকালে সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে রিকশা, সিএনজি ও ব্যক্তিগত গাড়িসহ হালকা যানবাহন চলাচল করলেও কোনো ধরনের দুরপাল্লার যাত্রীবাহী গাড়ি চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়নি।
আরও পড়ুন: হেফাজতের হরতাল: হাটহাজারীতে সড়ক কেটে অবরোধ
হাটহাজারীতে শুক্রবার দুপুরে সংঘর্ষের পর থেকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রেখেছে হাটহাজারী মাদরাসার ছাত্ররা। সেখানে শুক্রবার ইটের প্রাচীর তৈরি করে অবরোধ করলেও পরে সে দেয়াল তুলে ফেলে। রবিবার ভোর থেকে রাস্তা কেটে দিয়ে খালের মতো বিশাল লম্বা গর্ত করে অবরোধ অব্যাহত রেখেছে ছাত্ররা। এর মধ্যে শনিবার দ্বিতীয়বারের মতো বিক্ষুব্ধ মাদরাসার ছাত্ররা হাটহাজারীর ডাকবাংলোতে আগুন দিয়েছে।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব শর্মা জানান, বেশ কিছু নেতা-কর্মী বিক্ষুব্ধ হয়ে ডাকবাংলোয় আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় তারা নিচ তলার স্টোর রুমে থাকা দুটি মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দেয়।
এর আগে হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষের সময় হেফাজতের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা ডাকবাংলো ও স্থানীয় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে হামলা চালায়।