বন্দর থানা
শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: বন্দর থানায় মামলা
নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার মদনগঞ্জ কয়লাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে বেপরোয়া গতিতে পণ্যবাহী জাহাজ চালিয়ে সাবিত আল হাসান নামে মুন্সিগঞ্জগামী একটি লঞ্চ ডুবিয়ে ৩৪ জন যাত্রীকে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিøউটিএ)।
মঙ্গলবার রাতে জেলার বন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন বিআইডবিøউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপপরিচালক (নৌ নিট্রা) বাবু লাল বৈদ্য। মামলায় হত্যার উদ্দেশে বেপরোয়া গতিতে পণ্যবাহী জাহাজ চালিয়ে লঞ্চটি ডুবিয়ে ৩৫ জনের প্রাণহানি ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে মামলায় আসামি হিসেবে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: শীতলক্ষ্যায় ‘ত্রুটিপূর্ণ’ সেতুর কারণে আরও লঞ্চ দুর্ঘটনার আশঙ্কা নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী’র
মামলার বাদী বাবু লাল বৈদ্য জানান, পেনাল কোড ২৮০, ৩০৪, ৩৩৭, ৩৩৮, ৪২৭, ৪৩৭ ধারাসহ ইনল্যান্ড শিপিং অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ এর ৭০ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। হত্যার উদ্দেশে এবং বেপরোয়া গতিতে নৌযান চালিয়ে ৩৫ জনকে হত্যা সংঘটিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় আসামি হিসেবে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, বিআইডবিøউটিএ’র কর্মকর্তা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছেন। এতে হত্যার উদ্দেশে বেপরোয়া গতিতে জাহাজ চালিয়ে হত্যা সংঘটিত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই দোষীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪
উল্লেখ্য, শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সৈয়দপুর-মদনগঞ্জের নির্মাণাধীন শীতলক্ষ্যা সেতুর নিচে কয়লাঘাট এলাকায় এসকেএল-৩ নামের একটি লাইটার জাহাজের ধাক্কায় সাবিত আল হাসান নামের নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জগামী লঞ্চটি অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। গত মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৩৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ঘটনার ২ দিন পেরিয়ে গেলেও আটক হয়নি ঘাতক এসকেএল-৩ নামের জাহাজটি।
৩ বছর আগে
নারায়ণগঞ্জে অপহরণের ৩ দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নিখোঁজের তিন দিন পর পুকুর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
৩ বছর আগে