সচিবালয়
৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহাসমাবেশের ডাক
নয় দফা দাবি আদায়ে সচিবালয়ের অভ্যন্তরে সমাবেশ ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী বুধবার মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে এই মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো: বাদিউল কবীর।
এসময় দাবি বাস্তবায়নে গড়িমসি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে একজন যুগ্মসচিবের অপসারনের দাবিও জানান তিনি।
দাবি আদায়ে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, দাবি আদায়ে আমরা মাঠে আছি। গড়িমসি না করে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানাচ্ছি।
নয় দফা দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, পতিত স্বৈরাচারের আমলে চাকরি হতে অন্যায়ভাবে আরোপিত সকল আদেশ প্রত্যাহার ও ভূতাপেক্ষ জৈষ্ঠতা প্রদানসহ নিয়মিত চাকরির ন্যায় ভূতাপেক্ষভাবে আর্থিক সুবিধাদি প্রদানের নির্দেশনা প্রদান।
কর্মচারী প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় পে-কমিশন গঠন এবং বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, ন্যায় বিচার ও সমতার ভিত্তিতে বিদ্যমান ২০টি গ্রেডের পরিবর্তে ১০টি বেতন গ্রেড নির্ধারণ করা। পূর্ণাঙ্গ পে-কমিশন বাস্তবায়নের পূর্বে সকল স্তরের কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়ন এবং ২০তম গ্রেডে (অফিস সহায়ক) কর্মরতদের বেতন গ্রেড ১৭তম গ্রেডে উন্নীত করা। ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা।
পূর্বের ন্যায় ১০০ শতাংশ পেনশন গ্রাচুইটি প্রথা চালু করা, সকল স্তরের কর্মচারীদের জন্য পূর্বের ন্যায় টাইম-স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড চালু করা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক আয়সীমা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়করমুক্ত রাখা, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের ন্যায় সচিবালয় ভাতা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ন্যায় রেশনিং প্রথা চালু করা।
চাকরির বয়সসীমা ৫৯ বছরের ০৩ বছর বর্ধিত করে ৬২ বছর নির্ধারণ করা, সচিবালয় কর্মচারীরা তাদের কর্মস্থলের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ও যৌক্তিক পদনাম প্রদান এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরমভাবে বঞ্চিত বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য প্রাপ্যতানুযায়ী সংখ্যানুপাতে পদ সংরক্ষণের আদেশ জারি।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর, সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা মো. তোয়াহা, মো. শাহীন, বেলাল হোসেন, সুমন, সিনিয়র নেতা মাহে আলম তৌহিদুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন, অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি নুরুজ্জামান, জনপ্রশাসনের প্রতিনিধি আরিফ হোসেন ও নজরুল ইসলামসহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আনসারদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আবারও সচিবালয় অবরুদ্ধ
৩ সপ্তাহ আগে
৫ দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের সচিবালয় ঘেরাও
জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর, ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তি, বিশ্ববিদ্যালয় বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিসহ ৫ দফা দাবিতে সচিবলায় ঘেরাও করে অবস্থান নিয়েছেন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
সোমবার (১১ নভেম্বর) শিক্ষা ভবনের সামনের মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দাবির স্মারকলিপি নিয়ে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ে প্রবেশ করে।
কিন্তু শিক্ষা সচিব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা না করায় সচিবালয় ঘেরাও করে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছেন- আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান, সংগঠক একেএম রাকিব, রাইসুল ইসলাম নয়ন, আসাদুল ইসলাম, আবু বকর খান, নওশীন নাওয়ার জয়া, সোহান প্রামাণিক, মাসুদ রানা, নূর নবী, ওমর ফারুক, ফেরদৌস শেখ, অপু মুন্সী।
আরও পড়ুন: তিন দফা দাবিতে তাঁতীবাজার অবরোধ জবি শিক্ষার্থীদের
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-
১) স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাতদিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে এই দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে।
২) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখাসহ ঘোষণা করতে হবে যে, জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৩) অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে।
৪) সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণাকৃত পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেটে সর্বনিম্ন ৫০০ (পাঁচশত) কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষা উপদেষ্টাকে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ সম্পর্কে জবি শিক্ষার্থী নওশীন জয়া বলেন, আমরা শিক্ষা সচিবের কাছে এসেছিলাম। কিন্তু আমাদের কেচি গেটের ভেতরে দাঁড় করিয়ে ভেতর থেকে প্রতিনিধি পাঠিয়ে আমাদের দাবি-দাওয়া তাদের কাছে দিতে বলা হয়েছে।
১ মাস আগে
বিএসআরএফকে ৩টি কম্পিউটার দিল 'কম্পিউটার সলিউশন'
সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামকে (বিএসআরএফ) তিনটি কম্পিউটার দিয়েছে 'কম্পিউটার সলিউশন'।
আরও পড়ুন: দায়িত্ব নিয়েছে বিএসআরএফ’র নতুন কমিটি
বুধবার (৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বিএসআরএফ নেতাদের কাছে কম্পিউটার সলিউশনের স্বত্ত্বাধিকারী মো. সোহেল মিয়ার পক্ষ থেকে তিনটি কম্পিউটার হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএসআরএফ'র সদস্যদের ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিলো জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব, সহসভাপতি এম এ জলিল মুন্না (মুন্না রায়হান), সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহদী আজাদ মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমন, দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন (রাকিব), প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আলম, সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুর রহমান (পঞ্চায়েত হাবিব) প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএসআরএফ’র জন্য রক্তদাতার ব্যবস্থা করবে ‘ব্লাডম্যান’
১ বছর আগে
এডিস মশা থাকলে ডেঙ্গু রোগীও থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, যে পর্যন্ত এডিস মশা থাকবে সে পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীও থাকবে। তাই আমাদের মশা কমাতে হবে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চীন সরকারের ডেঙ্গু কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা চীন সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ১০ লাখ ডেঙ্গু টেস্ট কিট পাব। পাশাপাশি তারা বেশ কিছু যন্ত্রপাতিও দিবে। এর মধ্যে রয়েছে- ব্লাড সেপারেটর, ফ্রিজার, অটো হেমাটোলাইজার ও ব্লাড ব্যাগ। এসব জিনিস আমাদের ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রয়োজন হয়।
এসব জিনিস আমাদের রয়েছে এবং যেগুলো পেলাম তাতে আমাদের হাসপাতালগুলো আরও বেশি সমৃদ্ধ হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর টিকা আপাতত কোনো কাজে আসছে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, মশার ওষুধ স্প্রে করতে হবে, নিজের আঙ্গিনা ও ঘরের ভেতর নিজেদেরই পরিষ্কার রাখতে হবে। এর বাইরে ডোবা-নালা যেগুলো রয়েছে সেগুলো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা করবে।
তিনি আরও বলেন, তাদের আমরা সব সময় বলে আসছি, বছরব্যাপী একটি কর্মসূচি তাদের করা প্রয়োজন। যার মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। তা না হলে প্রতিবছরই ডেঙ্গুর সমস্যা দেখা দেবে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে দাবি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য আলাদা বেড রয়েছে, আইভি ফ্লুয়িড বা স্যালাইনের কোনো অভাব নেই।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুর চিকিৎসাও সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ডেঙ্গু এখনও আছে, প্রতিদিন প্রায় ১০ জন ডেঙ্গুতে মারা যাচ্ছে এবং দুই হাজারের বেশি লোক প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি যেটা দেখেছি, ঢাকার বাইরে সারাদেশে এখন ডেঙ্গু সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বেশি। ঢাকায় সংক্রমণের হার কমে আসছে, কিন্তু মৃত্যু হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে ক্রিটিকাল কেসগুলো ঢাকায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়। লম্বা সময় জার্নি করে আসার কারণে অনেক সময় রোগী শক সিনড্রোমে চলে যায়। ফ্লুইডের অভাবেও তারা মারা যান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নারীদের সংক্রমণ কম হলেও মৃত্যুর হার বেশি। নারীরা অনেক সময় চিকিৎসা নিতে দেরি করেন। নারীদের ব্যাপারে আরও বেশি সজাগ হওয়া প্রয়োজন। তাদের তাড়াতাড়ি পরীক্ষা ও চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। তাহলেই নারীদের মৃত্যুহার কমে যাবে।
আরও পড়ুন: জনবল সংকটকে চিকিৎসা খাতে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে ডব্লিউএইচও: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
আগামী বছরগুলোতে দেশে সারের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, অতীতের মতো আগামী বছরগুলোতে দেশে সারের দাম বাড়বে না।
সোমবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সারবিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
এসময় তিনি জানিয়েছেন, কৃষক যাতে পর্যাপ্ত সার পায়, সেজন্য আমরা চাহিদা নির্ধারণ করেছি। মার্চে ইউরিয়া সারের চাহিদা বেশি ছিল, তবুও আমরা একটু কমিয়ে চাহিদা নির্ধারণ করেছি।
এছাড়া, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইউরিয়া সারের চাহিদা ২৭ লাখ টন। ডিএপি লাগে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টন।
এটির দাম কমানোর জন্য চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ লাখ টন। টিএসপি সাড়ে সাত লাখ টন ও এমওপির চাহিদা ধরা হয়েছে ৯ লাখ টন।
আরও পড়ুন: জাপানে আম রপ্তানি শুরু হবে শিগগিরই: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সার নিয়ে কোনো সংকট সৃষ্টি হতে দেব না। সার নিয়ে যাতে কৃষকদের ভোগান্তি পোহাতে না হয় তা দেখা হবে। কারণ সার নিয়ে কৃষকদের ভোগান্তি হলে আমাদের উৎপাদন কমে যাবে।
সারের মজুতের পরিমাণের বিষয়ে নিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, চার লাখ টন ইউরিয়া সার মজুত রয়েছে। এছাড়া টিএসপি সার রয়েছে দুই লাখ টন, ডিএপি সার আড়াই লাখ টন এবং এমওপি সার সোয়া দুই লাখ টন। গত বছরের তুলনায় সব সারের পরিমাণই কিছুটা কম রয়েছে।
করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে বিশ্ববাজারে সার পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা আগে প্রতি টন পটাশিয়াম সার ২৫০ ডলারে কিনতাম। সেই সার আমরা এক হাজার ২০০ ডলারেও কিনেছি। এখনও তা ৭০০ ডলার থেকে ৮০০ ডলারে কিনতে হয়। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম কমে আসছে। কিন্তু যেভাবে কমছে, তাতে আগের অবস্থায় সারের দাম যাচ্ছে না।
গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত থাকলে খুবই কম পরিমাণ সার বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, শাহজালাল সার কারখানা হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সক্ষমতা অনেক বেড়েছে।
আপনারা জানেন, গত দু-তিন বছরে ঠিকমতো গ্যাসের সরবরাহ হচ্ছে না। যার কারণে মাঝে মাঝে সার কারখানাগুলো বন্ধ রাখতে হয়।
তিনি বলেন, একটি সার কারখানা বন্ধ করে আবার নতুন করে চালু করতে গেলে যে প্রেসার উৎপাদন করতে হয়, তাতে পাঁচ থেকে সাত কোটি টাকা খরচ হয়ে যায়। বেশিদিন বন্ধ থাকলে কারখানা অচল হয়ে যায়।
এই পরিস্থিতি মাথায় রেখে বিসিআইসি উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। যদিও প্রয়োজনীয় সার উৎপাদন সম্ভব হয়নি।
তবে যতটা সম্ভব স্থানীয়ভাবে ইউরিয়া সার উৎপাদন করতে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করার কথা জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে আমরা অনুরোধ করবো, তারা যাতে সার কারখানাগুলো সচল রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ রাখে।
এছাড়া গ্যাসের দাম বাংলাদেশে কম হওয়াতে স্থানীয়ভাবে সার উৎপাদন খরচও বেশি না। তা সত্ত্বেও যদি একেবারে আন্তর্জাতিক দামে যদি বিসিআইসি মন্ত্রণালয়কে দেয়, তাতেও দাম আমাদের অনেক কম পড়বে।
আরও পড়ুন: বিএনপির চতুর্থ বিপর্যয়ের সময় এসে গেছে: কৃষিমন্ত্রী
জেল দিয়ে কী কোনদিন কারো রাজনীতি বন্ধ করা যাবে: প্রশ্ন কৃষিমন্ত্রীর
১ বছর আগে
দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিতে ভূমিকা রাখবে ছাত্রলীগ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, অতীতের গৌরবোজ্জ্বল পথ বেয়ে ছাত্রলীগ ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে ভূমিকা রাখবে।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে হাছান মাহমুদ এ আশা প্রকাশ করেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ছাত্রলীগের মিছিলের পেছনের সারির কর্মী হিসেবে আমার রাজনীতি শুরু হয়েছিল। সুতরাং আজকে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ দিনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আমাদের বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনসহ সব ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সেই অতীতের গৌরবোজ্জ্বল পথ বেয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে ছাত্রলীগ ভূমিকা রাখবে, সেটিই আমার প্রত্যাশা।
আরও পড়ুন: আ'লীগের সতর্কতায় বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা বিফল: তথ্যমন্ত্রী
এ সময় সাংবাদিকরা বিএনপির আগামী কর্মসূচির ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন করলে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, আমরা বিএনপির সমস্ত কর্মসূচির সময় সতর্ক দৃষ্টি রাখবো, প্রয়োজনে সতর্ক পাহারায় থাকবো এবং এই দেশে আর কখনো ২০১৩, ১৪, ১৫ সালের মতো পরিস্থিতি কাউকে তৈরি করতে দেবো না।
তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রণয় ভার্মার সাক্ষাৎ
এর আগে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি, টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি ও কানেকটিভিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের ত্রিপুরা, দিল্লি ও অন্যান্য রাজ্যে আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রচারে তেমন কোনো অসুবিধা না থাকলেও পশ্চিম বাংলায় দেখাতে পারে না। সেখানকার কেবল অপারেটররা শুরুতেই কয়েক কোটি টাকা এবং বছর প্রতি কোটি টাকা দাবি করে। যা আমাদের চ্যানেলগুলোর পক্ষে দেয়া সম্ভব না। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু করা যায় কি না, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সঙ্গে এটিই আমার প্রথম সাক্ষাৎ। অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে অনন্য বন্ধন রচিত হয়েছে। গত এক দশকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
তাদের নির্দেশিত বিভিন্ন বিষয় বাস্তবায়ন এবং মানুষে মানুষে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর করার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
আরও পড়ুন: সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে বিএনপিই বেকায়দায়: তথ্যমন্ত্রী
সাপের মতো খোলস বদলায় বিএনপি জোট: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলোই দায়ী: তথ্যমন্ত্রী
বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলোই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, উন্নত দেশগুলোতে জনপ্রতি গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন অনেক বেশি। ইউরোপে পার ক্যাপিটা পার এরিয়া ১০ টনের বেশি। আমেরিকায় ১৫ টন বা আরও বেশি।
রবিবার সচিবালয়ে মিশরে অনুষ্ঠেয় ‘কপ-২৭’ সম্মেলনকে সামনে রেখে ‘বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও প্রত্যাশা’ নিয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পার ক্যাপিটা পার এরিয়া এখন চার-পাঁচ টন গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন হচ্ছে। সেই তুলনায় আমাদের কিছুই না। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সেটি আমাদের ওপর অন্য দেশের তূলনায় অনেক বেশি হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্ত বিরূপ প্রভাব দৃশ্যমান। যেমন, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি। যারা উপকূলের মানুষ, তারা জানেন, আমি চট্টগ্রাম শহরের ছেলে, সেই কারণে আমিও জানি। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, হঠাৎ একদিনের অনেক বৃষ্টি, জলবায়ু পরিবর্তনের ঘটনাগুলো অনেক বেড়ে গেছে। অর্থাৎ ঘনঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলবায়ু সম্পর্কিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
আরও পড়ুন: দুই বাংলার হৃদয়বন্ধন কাঁটাতারের বেড়া মানে না: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, গ্ল্যাসিয়েল লেক বলতে বরফ গলে যে লেকগুলো তৈরি হয়েছে, সেটাকে বোঝায়। সেখান থেকে উৎপত্তি হওয়া নদীগুলো বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বঙ্গোপসাগর দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। তাহলে সেটার যে কী বিরূপ প্রভাব, তা অনুমানেরও বাইরে। সব মিলিয়ে আমরা এই জলবায়ু পরিবর্তনের অসহায় শিকার। পুরো পৃথিবীই শিকার।
এবারের কপ২৭ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, আমাদের এবারকার বক্তব্য থাকবে, যে দয়া করে যুদ্ধটা বন্ধ করুন। একে অপরকে ধ্বংস করার পরিবর্তে সবাই মিলে পৃথিবীটাকে রক্ষা করি। এটি প্রথম বক্তব্য।
দ্বিতীয় বক্তব্যটা হচ্ছে, আমরা যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের অসহায় শিকার, আমরা বহু বছর থেকে বলে আসছি, সেটির পুনরাবৃত্তি আমরা করবো যে কোনও অজুহাত এখানে দাঁড় করানো যাবে না। আমাদের প্রতিশ্রুত সাহায্য করতে হবে।
‘প্যারিস চুক্তির আলোকে যেগুলো হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো এখনো হয়নি। যেমন, গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে যে পরিমাণ অর্থ জমার পড়ার কথা ছিল সেটি জমেনি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কমিয়ে আনতে সেই অর্থ সমবণ্টনের কথা ছিল, কিন্তু তা কার্যকর হচ্ছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি যেভাবে সমাধান করার কথা ছিল, সেভাবে হচ্ছে না।’
তিনি জানান, আমাদের মূল বক্তব্য হচ্ছে আমরা চেষ্টা করবো, আমরা যারা পৃথিবীতে শান্তি চাই, শান্তি স্থাপিত হোক। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে পৃথিবী নানা অশান্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই যে আড়াই বছর ধরে মহামারি। এরমধ্যে আমরা যুদ্ধ করছি। আমাদের বিবেক-বুদ্ধি কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে, তা নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
মহামারির মধ্যে পৃথিবীর অর্থনৈতিক অবস্থা নড়বড়ে হয়েছে। কিন্তু আমরা ব্যস্ত নিষেধাজ্ঞা পাল্টা-নিষেধাজ্ঞায়। এতে ডলার শক্তিশালী হয়েছে, পাশাপাশি রুবলও।
কিন্তু আমরা যারা যুদ্ধের বাইরে আছি, আমরা প্রচণ্ড অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের মোকাবিলা করা দরকার, তা বাদ দিয়ে আমরা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছি। শুধু মহামারি না, এ বছর দেখেন, বিভিন্ন দেশে বন্যা, খরা ও দাবানল হয়েছে। ইউরোপ, তুর্কি, গ্রিস, আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি মাঝে মাঝে সাইবেরিয়ায়।
আমরা ছোটবেলায় পড়েছি, বরফের দেশ সাইবেরিয়ায় এক্সিমোরা থাকে। সেই সাইবেরিয়ায়ও দাবানল হচ্ছে। এই যে পৃথিবীতে বদলে যাচ্ছে। পৃথিবী যে একটি প্রাকৃতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এসব ঘটনার তারই বহিঃপ্রকাশ।
এখন থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করা দরকার বলে মনে করেন মন্ত্রী। তার মতে, আমাদের জলবায়ু সচেতনতা প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বেশি আছে।
যদিও সাধারণ মানুষকে অতোটা সম্পৃক্ত করতে পারিনি। কিন্তু যা আছে, তার পেছনে সাংবাদিকদের অবদান আছে।
কপ-২৭ সম্মেলন নিয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জর্জানালিস্ট ফোরাম’ (বিসিজেএফ) এর সভাপতি কাউসার রহমান, সধারণ সম্পাদক মোতার হোসেন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রদলের ইন্ধনেই বিচারপতি মানিকের ওপরে হামলা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
রুশ রাষ্ট্রদূত আশা করছেন শিগগিরই ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
জানুয়ারি থেকে সব প্রাথমিকে এক শিফটের স্কুল
আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এক শিফটে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে প্রায় ৯০ ভাগ কাজই শেষ হয়েছে। আর শিক্ষকদের ক্লাস নেয়ার সময়ও বাড়ানো হবে।’
গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) প্রশাসনের বড় রদবদলের অংশ হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খানকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে বদলি করা হয়েছে। রবিবার (৩০ অক্টোবর) ছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তার শেষ কর্মদিবস।
সচিবালয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা রাতারাতি স্কুলভবনও নির্মাণ করতে পারছি না। যে কারণে ছাত্র ও শিক্ষক সংখ্যা সবকিছু বিবেচনা করে আমরা দেশের সব স্কুলকে এক শিফটে আনার পরিকল্পনা করেছি। সে ব্যাপারে কাজ প্রায় ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, এতে কোনো স্কুলই বন্ধ হচ্ছে না। কোনো শিক্ষকই চাকরি হারাচ্ছেন না। সবই ঠিক থাকছে। কিন্তু আমরা কাজটিকে ভাগ করছি। যেখানে দুই কক্ষ আছে, সেখানে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক থাকছে। আবার যেখানে ভবন করার সুযোগ আছে, সেখানে ভবন করবো। সবমিলিয়ে আমরা আশা করছি, দেশের সব প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এক শিফটে নিয়ে আসব।
পড়ুন: জানুয়ারির ১ তারিখেই নতুন বই পাবে শিক্ষার্থীরা: দীপু মনি
এক কক্ষের স্কুলগুলোকে দ্বিকক্ষের স্কুলের সঙ্গে সংযুক্তি করে ফেললে এক কক্ষের জায়গাগুলো কী হবে জানতে চাইলে এই সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা কোনো স্কুলের জায়গাই নষ্ট করছি না। সেখানে আমদের সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার (এটিও), মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন, এককক্ষের স্কুলগুলোকে তাদের অফিস করে দেয়া হবে।
তবে সব জায়গায় একই কৌশল ব্যবহার হবে না বলেও জানান তিনি।
সচিব বলেন, একেক জায়গার জন্য আমরা একেক ধরনের কর্মকৌশল নির্ধারণ করবো। যে কারণে বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে একটু সময় লাগছে। আমরা পর্যায়ক্রমে কাজটি করবো। কিন্তু কোথাও স্কুল সংখ্যা কম, এমনও গ্রাম আছে, যেখানে তিন কিলোমিটারের মধ্যে মাত্র একটি স্কুল, তাতে দুটি কক্ষ আছে। সেখানে কক্ষ বাড়ানো ছাড়া কিছু করার সুযোগ নেই। যে কারণে আমরা বিভাগ অনুসারে, জেলা অনুসারে, উপজেলা অনুযায়ী, যেমন চরাঞ্চলে, হয়তো সেখানে ছাত্রসংখ্যা ৫০ জন, কিন্তু স্কুলটি রাখতে হচ্ছে। কারণ চরে পড়াবার আর কোনো ব্যবস্থা নেই। যে কারণে বিষয়গুলো ঘটনা অনুসারে পর্যালোচনা করছি এবং নির্ভুলভাবে করার চেষ্টা করছি। আগামী জানুয়ারি থেকেই আমরা এটি করতে পারবো। পুরোটা করতে না পারলেও অনেকটা শেষ করবো।
সেক্ষেত্রে ক্লাসের সময়টা কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা কিংবা মহানগর এলাকার একটি সময় আছে। কিন্তু গ্রামের স্কুলগুলোতে একটু দেরি করে ক্লাস শুরু হয়। আবার স্কুলগুলো গ্রামে হলেও শিক্ষকরা শহরে থাকেন। যে কারণে যাতায়াতের ব্যাপারটিও আমরা বিবেচনায় রাখছি। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হলো, শিক্ষকরা ক্লাসে থাকছেন কি না, সেটির ওপর। কারণ আমরা চাই, শিক্ষকরা যাতে নিয়মিত পাঠদান করেন। আর টিচিং লার্নিং সময়টাও আমরা বাড়াতে চাই। যে কারণে আমরা এক শিফটে নিয়ে আসতে চাচ্ছি। তিন ঘণ্টার জায়গায় আমরা সাড়ে চার ঘণ্টা পাঁচ ঘণ্টা করতে চাই।
ঢাকার অনেক স্কুলে অনেক বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী আছে, সেখানে তাদের এক শিফটে নিয়ে আসলে বাচ্চাদের অন্য স্কুলে পাঠানো যাবে না। সেক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্ত কী জানতে চাইলে আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের কোথাও কোথাও পরিস্থিতি অনুসারে ভাবতে হবে। এই সংকটটা মহানগরীগুলোতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে রয়েছে। আবার আইডিয়াল স্কুলের পাশে সুন্দর অবকাঠামোসহ স্কুল আছে, সেখানে আমাদের শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে না, এতে সেখানে শিক্ষার মান বাড়ছে না। অথচ সেখানে দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষকরা আছেন। শিক্ষার্থীরা গেলে তো স্কুলটা কার্যকর হবে। যে কারণে আমরা চাই, আমাদের দেশের সব স্কুল সমমান সম্পন্ন হোক।
পড়ুন: শিক্ষাকে প্রতিটি নাগরিকের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে
সরকারি অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সকল সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের নতুন সূচী নির্ধারণ করেছে সরকার। নতুন সূচী অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলবে অফিসের কার্যক্রম। একই সাথে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম চলবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়েছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয়ের কনফারেন্স রুম থেকে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বুধবার থেকে অফিসের নতুন সূচী কার্যকর হবে।’
তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দু’দিন বন্ধ থাকবে। শিক্ষামন্ত্রী এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করবেন।
মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষি ক্ষেতে সেচের জন্য ১০-১৫ দিন মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে বলা হয়।
আরও পড়ুন: জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: সরকারি কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানোর উপায় বের করছে: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল নাগরিক সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যোগ দিতে পারবে
বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের একটি টেকসই ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনার লক্ষ্যে মন্ত্রীসভা ইউনিভার্সাল পেনশন অ্যাক্ট, ২০২২ নামে একটি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক এই পেনশন স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এতে অংশ নিতে পারবেন।
তিনি বলেন, অর্থ বিভাগ ইউনিভার্সাল পেনশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, ২০২২ এর খসড়া তৈরি করেছে। যার লক্ষ্য বেকারত্ব, রোগ, পক্ষাঘাতগ্রস্ত, বার্ধক্য বা অন্যান্য অনুরূপ অবস্থার কারণে প্রবীণ জনসংখ্যাকে একটি টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনা।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, লেজিসলেটিভ ডিভিশন ভেটিং করার শর্তে আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
তিনি আরও বলেন, ‘লেজিসলেটিভ ডিভিশন যদি এটা ঠিক করে তাহলে সেটা সংসদে যাবে।’
আনোয়ারুল বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী একজন ব্যক্তিকে ৬০ বছর বয়স থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পেনশন পেতে কমপক্ষে ১০ বছর প্রিমিয়াম দিতে হবে।
যদি একজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি ৭৫ বছর বয়সের আগে মারা যান, তবে তার মনোনীত ব্যক্তি অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত পেনশন পাবেন।
উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, যদি কেউ ৬২ বছর বয়সে মারা যান, তবে তার মনোনীত ব্যক্তি ১৩ বছর পর্যন্ত পেনশন পাবেন।
তিনি আরও বলেন, তবে প্রিমিয়ামের পরিমাণ প্রস্তাবিত আইনের অধীনে একটি নিয়মানুযায়ী নির্ধারিত হবে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: দেশে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইন অনুসারে একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি পাঁচ সদস্যের জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ থাকবে এবং অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ১৫ সদস্যের একটি গভর্নিং বডি থাকবে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং যারা অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন তাদের জন্য একটি সার্বজনীন পেনশন স্কিম তৈরি করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
তিনি ‘ইন্ট্রোডাকশন অব ইউনিভার্সাল পেনশন সিস্টেম’- এর একটি উপস্থাপনাও প্রত্যক্ষ করেছিলেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সম্প্রতি আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে দেশে একটি সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেন, সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নের ফলে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক উভয় ক্ষেত্রেই বিপুল সংখ্যক নাগরিককে প্রাতিষ্ঠানিক সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করবে সরকার: অর্থমন্ত্রী
সাংবাদিকরাও সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসবে: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে