সচিবালয়
প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শুরু
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শুরু হয়েছে। দ্বিতীয়বারের মতো এ বৈঠকে অংশ নিতে সচিবালয়ে গিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস। বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সাড়ে ১০টার দিকে সচিবালয়ের নবনির্মিত এক নম্বর ভবনের পঞ্চম তলায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়। তার আগে সকাল ৯ টা ২৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা সচিবালয়ের প্রবেশ করেন।
আজ সকালে সচিবালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, প্রধান উপদেষ্টার আগমনকে কেন্দ্র করে সচিবালয়ে কয়েক স্তরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। এক নম্বর গেট ছাড়া অন্য কোনো গেট দিয়ে গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এক নম্বর গেটে সোয়াত সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
এ ছাড়া সচিবালয়ের ভেতরে ও বাইরে বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে তৎপর দেখা গেছে। সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া আর কাউকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সচিবালয়ে প্রবেশের স্টিকার ছাড়া কোনো গাড়িও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি সচিবালয় বিটে কাজ করা সাংবাদিকদেরও সকাল ১১টা পর্যন্ত সচিবালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি গোষ্ঠী উন্মুখ: প্রধান উপদেষ্টা
সকাল থেকেই এক নম্বর ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্যদের এ ভবনের আশপাশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ভবনটি ঘিরে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য। নতুন নির্মিত এক নম্বর ভবনের সামনে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর গত বছরের ২০ নভেম্বর সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের ত্রয়োদশ তলায় মন্ত্রিসভা কক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের একটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মুহাম্মদ ইউনূস। তারপর দ্বিতীয়বারের মতো তিনি সচিবালয়ে গিয়েছেন। তবে নতুন ভবনে এটিই প্রথম উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক।
গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রধান উপদেষ্টার রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হতো। সরকার পতনের দিন ক্ষতিগ্রস্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সংস্কার করে সেটিকেই প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে রূপান্তর করা হয়। তারপর থেকে নিয়মিতভাবে সেখানেই উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হচ্ছে।
১২০ দিন আগে
শুক্রবার থেকে যমুনা ও সচিবালয় সংলগ্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
বাংলাদেশ সচিবালয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও আশপাশের এলাকায় যেকোনো সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সচিবালয় (সংলগ্ন এলাকাসহ) এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং ও মিন্টু রোড ক্রসিং এর মধ্যবর্তী এলাকা) যেকোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।
পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে বাধ্যতামূলক অবসরে ২৯ কর্মকর্তা, পদোন্নতি পেয়েছেন ১৫৪৯ জন
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬’র ২৯ ধারায় বর্ণিত অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী শুক্রবার (৮ আগস্ট) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এর আগেও চলতি বছরের ১০ মে ডিএমপি যমুনা ও সচিবালয় সংলগ্ন এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
১২০ দিন আগে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছরেও প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরেনি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হলেও প্রশাসনে, মন্ত্রণালয়ে শৃঙ্খলা ফেরেনি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রশাসনের বিভিন্ন পদমর্যাদার কিছু সরকারি কর্মকর্তা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট, মানববন্ধন, কলম বিরতিসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পুনর্গঠন ও বিভাজনের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনে নামা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপও নিয়েছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মুখলেস উর রহমান ইউএনবিকে বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শৃঙ্খলাবহির্ভূত আচরণের বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর হচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এসব নিয়ন্ত্রণ করে দেশ পুনর্গঠনে কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এখন থেকে কোনো সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিনা কারণে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে। সরকারের পক্ষ থেকে এখন আর আন্দোলন বা অকারণ কর্মবিরতি সহ্য করা হবে না। নির্বাচনের আগে প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরাতে এটি সরকারের সবচেয়ে কঠোরতম প্রয়াস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আন্দোলন, অনিয়মে প্রশাসনে অস্থিরতা
গত এক বছরে এনবিআর, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, মাঠ প্রশাসন ও সচিবালয়ের বেশ কিছু স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দাবি-দাওয়ার নামে ধর্মঘট, সমাবেশ, মানববন্ধন, কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে গেছেন। বিশেষ করে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন সরাসরি দেশের অর্থনীতি, রাজস্ব আদায় ও আমদানি-রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ব্যবসায়ীরা সরবরাহব্যবস্থা ও কাস্টমস প্রক্রিয়ায় জটিলতার কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: সচিবালয়ে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ৭০ শিক্ষার্থী
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানকে অপসারণ দাবির মধ্যে জারি করা সবশেষ দুটি বদলি আদেশকে ‘প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক’ দাবি করে তা ছিঁড়ে ফেলে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় মোট ১৪ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। তাদের মধ্যে প্রথমে আটজন, পরে আরও ছয়জনকে বরখাস্ত করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সতর্কতা জারি
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ ব্যাপারে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিব এবং বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে চিঠি পাঠিয়ে মন্ত্রণালয় বলেছে, সতর্ক না হলে প্রয়োজনে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চিঠিতে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড ও আচরণ বিধি লঙ্ঘনের শামিল। অনেক ক্ষেত্রে তা জাতীয় নিরাপত্তা হানিকারক এবং সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী অসদাচরণের পর্যায়ভুক্ত অপরাধ।
চিঠিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯’ এর সুষ্ঠু ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়ে এ ধরনের প্রতিটি ব্যত্যয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯, সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ এবং সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা, ২০১৮ অনুসারে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আইন সংশোধনে নমনীয়তা: তদন্ত ছাড়া শাস্তি নয়
প্রশাসনিক অস্থিরতা ও সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ‘সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়ায় কিছু নমনীয় সংশোধনী এনেছে। আগের নোটিশভিত্তিক শাস্তির বিধান বাতিল করে এখন থেকে কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হলে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন বাধ্যতামূলক। অভিযোগ গঠনের ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং জবাবের পর ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত দিতে হবে।
আরও পড়ুন: মূল সংস্কার ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছে কমিশন
আগের সংশোধনীতে অনেকটা নোটিশ দিয়েই শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুযোগ ছিল। এ ছাড়া অপরাধের ধরনেও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ২৫ মে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে সরকার। তাতে চারটি বিষয়কে অপরাধের আওতাভুক্ত করা হয়। সেগুলো হলো সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন, যা অনানুগত্যের শামিল বা যা অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে, অন্যান্য কর্মচারীর সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া নিজ কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন, অন্য যেকোনো কর্মচারীকে তার কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তার কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন এবং যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।
সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর দ্বিতীয় সংশোধিত অধ্যাদেশে যা আছে
সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর দ্বিতীয় সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। গত ২৩ জুলাই আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর স্বাক্ষরে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়।
নতুন সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মচারী আন্দোলনে গেলে, অর্থাৎ নিজে নিয়ম লঙ্ঘন করে একজন সরকারি কর্মচারী আরেকজন সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দিলে বা তাকে তার কাজ থেকে বিরত রাখলে, তাকে বাধ্যতামূলক অবসরসহ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে।
শৃঙ্খলা ফেরাতে পদোন্নতি ও পুনর্বিন্যাস
প্রশাসনের অভ্যন্তরে দীর্ঘদিনের পদোন্নতি ও পদায়নের বৈষম্য দূর করতেও কাজ শুরু করেছে সরকার। গত ১৭ বছর ধরে রাজনৈতিক কারণে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ইতোমধ্যে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে আন্তঃবৈষম্য নিরসনে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে।
সচিবালয়ের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে ক্যাডার-নন ক্যাডার মিলিয়ে নতুন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বিধিমালা জারি করেছে। ইতোমধ্যে মাঠ প্রশাসন থেকে সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উত্তরাধিকার বিরোধে জুলাই শহীদ পরিবারের সহায়তা বিতরণে বিলম্ব
তবে সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে তারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক সচিব আব্দুল আওয়াল মজুমদার ইউএনবিকে বলেন, ‘শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনে কখনোই নরম থাকা চলে না। যাদের হাতে রাষ্ট্রের ক্ষমতা ও জনগণের ভাগ্য, তাদের ওপর জবাবদিহিমূলক কঠোর নজরদারি ছাড়া দুর্নীতি ও গাফিলতি রোধ অসম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৯ সালের বিশেষ বিধানটি অনেক কঠোর, কেউ কেউ কালো আইন বললেও বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশাসন চালাতে গেলে এই আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে। সরকার চাইলে চাকরিতে অনুপস্থিত কর্মচারীকে আট দিনের নোটিশে চাকরিচ্যুত করতে পারবে। এর জন্য পিএসসির মতামত বা তদন্তের প্রয়োজন হবে না।’
সাবেক এই সচিব বলেন, ‘সরকার যেসব কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে তা প্রশংসনীয় হলেও তা যেন কাগুজে নির্দেশনা হয়েই না থাকে। আগেও এমন অনেক আইন, নির্দেশনা, কমিটি হয়েছে; কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। সুতরাং চূড়ান্ত সফলতা নির্ভর করবে আইনের প্রকৃত অনুসরণ ও স্বচ্ছতামূলক প্রয়োগের ওপর।’
১৩১ দিন আগে
আমলাতন্ত্র চাঙ্গা করতে বড় ধরনের পদোন্নতির পরিকল্পনায় অন্তর্বর্তী সরকার
উপসচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে কর্মকর্তাদের বহুল প্রতীক্ষিত পদোন্নতির তোড়জোড় শুরু করেছে সরকার, যা একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে এবং এরপর যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত আসতে পারে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর এবার এই পদোন্নতিগুলো বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে বলে আশা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) বৈঠকে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের কর্মজীবনের সার্বিক নথিপত্র, শৃঙ্খলা, দুর্নীতি সংশ্লিষ্টতা, নৈতিকতা ও পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড পর্যালোচনা করা হয়েছে। এসএসবি ইতোমধ্যে কয়েক দফা বৈঠক করেছে এবং আরও দু-একটি বৈঠকের পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।
সুত্র জানায়, পদোন্নতিযোগ্য প্রায় ৭ শতাধিক কর্মকর্তার চাকরিজীবনের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ শুরু করেছে সুপারিশকারী কর্তৃপক্ষ এসএসবি। কয়েকটি বৈঠকের পর এই তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই উপসচিব পদে পদোন্নতির ঘোষণা আসতে পারে। পরের মাসে আসতে পারে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির ঘোষণা।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারী অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি: বিক্ষোভে উত্তাল সচিবালয়
এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে স্থবির থাকা পদোন্নতির প্রক্রিয়ায় নতুন গতি এসেছে। জনপ্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের একজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, এরই মধ্যে এসএসবির কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। সর্বশেষ গত ৮ জুলাই বসেছিল বৈঠক। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই উপসচিব পদে এবং পরবর্তী মাসে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হতে পারে। এসএসবির বৈঠক প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন শুধু চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
৩০তম বিসিএস
২০১২ সালের ৩ জুন সরকারি চাকরিতে যোগদানকারী বিসিএস ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তারা ২০২২ সালের ৩ জুন থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেন। কিন্তু নানা কারণে পদোন্নতি দীর্ঘ সময় ঝুলে ছিল।
২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পদোন্নতির তথ্য আহ্বান করে। তবে এরপর আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারের পতন এবং অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কারণে প্রশাসনে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। ফলে প্রক্রিয়াটি আরও বিলম্বিত হয়।
আরও পড়ুন: পৃথক সচিবালয় গঠনের দাবিতে ঝিনাইদহে বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের স্মারকলিপি পেশ
৩০তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের ২৭৭ জনসহ মোট ৩১৯ জন কর্মকর্তা এবং অন্যান্য ক্যাডার থেকে ডিএস পুলে আবেদন করা ২২৩ জন কর্মকর্তার তথ্য যাচাই করা হয়েছে। সব তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে ২৫০ থেকে ২৮০ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে।
২০তম বিসিএস
অপরদিকে, অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির জন্য বিবেচনায় রয়েছেন ২০তম বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তারা। ২০১৯ সালে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করলেও, তারা পদোন্নতি পান ২০২১ সালে। সেই হিসাবে ২০২৩ সালে অতিরিক্ত সচিব হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন তারা। এবার সেই পদোন্নতি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।
প্রশাসন ক্যাডারের ২৪৪ জন কর্মকর্তা ছাড়াও অন্যান্য ক্যাডার মিলিয়ে মোট ৩০০ জনের বেশি কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব পদে বিবেচনায় আছেন। তবে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ডিসি হিসেবে দায়িত্বপালনকারী ২০তম ব্যাচের ৪৩ জন কর্মকর্তাকে এই তালিকায় রাখা হয়নি বলে জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিবের ২১২ পদে কর্মকর্তা আছেন ৩৭০ জন। যুগ্ম সচিবের ৫০২টি পদে রয়েছেন ১ হাজার ৩৪ জন।
সুপারনিউমারারি পদসহ উপসচিবের অনুমোদিত পদসংখ্যা ১ হাজার ৪২০। বিপরীতে কর্মরত আছেন ১ হাজার ৪০২ জন। অর্থাৎ প্রতিটি স্তরেই নির্দিষ্ট পদের চেয়ে উল্লেখযোগ্য কর্মকর্তা বেশি রয়েছেন। ফলে পদ খালি না থাকায় পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আগের পদেই কাজ করে যেতে হবে।
পদোন্নতির বিধিমালা অনুযায়ী, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পদে পাঁচ বছর চাকরিসহ অন্তত ১০ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলেই উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা। সে অনুযায়ী বিসিএস ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তারা সেই যোগ্যতা অর্জন করেছেন ২০২২ সালের ৩ জুন। এরপর প্রায় তিন বছর হতে চলছে, কিন্তু তাদের এখনো পদোন্নতি হয়নি।
১৪০ দিন আগে
২ অক্টোবর থেকে সচিবালয়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক
এবার প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সামগ্রী। আগামী ২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সচিবালয়ের অর্থ বিভাগের মাল্টিপারপাস হল রুমে এক সেমিনারে এমন তথ্য দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ।
তিনি জানান, এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রস্তুতির সময় দেওয়া হবে এবং অধীনদের প্লাস্টিক ব্যবহার কমাতে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
‘প্লাস্টিক দূষণ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। একে মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের এগোতে হবে,’ যোগ করেন শেখ আব্দুর রশীদ।
তিনি বলেন, ‘মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় আনতে হবে। শুধু নিজের স্বার্থেই নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আমরা যেন তাদের জন্য একটি নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব পৃথিবী রেখে যেতে পারি।’ ‘সাসটেইনেবল প্লাস্টিক ইউজ ইন দ্য সেক্রেটারিয়েট: আ ফিউচার ফর সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ফ্রি এনভায়রনমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। এটির আয়োজন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
পরিবেশ সচিব বলেন, সব মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সচিবালয়কে পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। সচিবালয়ে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধকরণে পরিবেশ মন্ত্রণালয় দ্রুত একটি বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন অর্থ বিভাগের সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম এবং জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. জাকি উজ জামান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম।
প্রসঙ্গত, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার এরইমধ্যে ১৭ ধরনের সামগ্রীকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের তৈজসপত্র, চকোলেটের মোড়ক, প্লাস্টিকের দাওয়াত কার্ড ও ব্যানার, স্টাইরোফোমের খাবার ধারক, পাতলা প্লাস্টিক মোড়কযুক্ত পণ্য, প্লাস্টিক বোতল ও ক্যাপসহ নানা সামগ্রী।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে জাতিসংঘ মহাসচিবের চুক্তির আহ্বান
১৪৯ দিন আগে
কাফনের কাপড় পরে কলম বিরতিতে এনবিআর কর্মকর্তারা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আবারও তিন ঘণ্টার কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা।
সোমবার (২৩ জুন) সকাল ৯টা থেকে আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে কাফনের কাপড় পরে এই কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
এর আগে শনিবার (২১ জুন) এ কর্মসূচি ঘোষণা দেয় এনবিআর কর্মকর্তাদের সংগঠন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
কাউন্সিলের সভাপতি ও অতিরিক্ত কমিশনার হাসান মোহাম্মদ তারেক রিকাবদার এবং সাধারণ সম্পাদক ও অতিরিক্ত কর কমিশনার সহেলা সিদ্দিকা পুনরায় এনবিআরে ‘যুক্তিসংগত সংস্কার’ বাস্তবায়নের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: সোমবার ২ ঘন্টা কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা
তারা বলেন, এনবিআর চেয়ারম্যানকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে, কারণ তার নেতৃত্ব সংস্কার প্রক্রিয়া শুধু বিলম্বিত হয়েছে।
এর আগেই তাকে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
গত ১৯ জুন গঠিত এনবিআর সংস্কার কমিটি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তারা।
এ প্রসঙ্গে তারা বলেন, রাজস্ব অধ্যাদেশ সংশোধনের লক্ষ্যে এনবিআরের কর, কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের ছয়জন সদস্য সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয়, এ কমিটিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের কোনো প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, এমনকি তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা পর্যন্ত করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ১২ মে জারি করা এক অধ্যাদেশে এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বাতিল করে সরকার রাজস্ব নীতি বিভাগ এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি নতুন বিভাগ গঠন করে।
এরপর থেকেই এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এনবিআর কর্মকর্তারা নানা ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
আরও পড়ুন: অধ্যাদেশ বাতিল না হলে আগামীকাল সচিবালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা
সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অধ্যাদেশ সংশোধনের ঘোষণা দেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার নতুন এই কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে, শিশুমেলা থেকে এনবিআর কার্যালয় পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। রবিবার থেকে কার্যকর হওয়া নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
১৬৫ দিন আগে
সোমবার ২ ঘন্টা কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে আগামীকাল সোমবার (২৩ জুন) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।
রবিবার (২২ জুন) সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলাম।
এর আগে, বেলা সোয়া ১১টার দিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিচ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন কর্মচারীরা। এ সময় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা সচিবালয়ের বিভিন্ন দিক প্রদক্ষিণ করেন।
মিছিল থেকে ‘অবৈধ কালো আইন, মানি না, মানবো না’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘ফ্যাসিবাদী কাল আইন, মানি না মানবো না’, ‘আপস না লড়াই, লড়াই লড়াই’, ‘সারা বাংলার কর্মচারী, এক হও লড়াই কর’-সহ নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চাকরির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে আজও বিক্ষোভ
চাকরি নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা হ্রাসের আশঙ্কায় একাধিক বিভাগের সরকারি কর্মচারীরা যে ধারাবাহিক বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন, আজকের কর্মসূচি ছিল তারই অংশ।
এর আগে, ১৯ জুনও সচিবালয়ে আন্দোলন ও বিক্ষোভ করেন সরকারি কর্মচারীরা। অধ্যাদেশটি বাতিল না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন তারা।
গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলের দাবিতে গত ২৪ মে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।
কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ২৫ মে রাতে এই অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে।
সরকারি কর্মচারীরা অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। । এটি বাতিল করার জন্য সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল, কর্মবিরতি, অবস্থান কর্মসূচি ছাড়াও কয়েকজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
১৬৫ দিন আগে
অধ্যাদেশ বাতিল না হলে আগামীকাল সচিবালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিল করা না হলে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সচিবালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। তাছাড়া, অধ্যাদেশটি বাতিল না হওয়ার পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান তিনি।
বুধবার (১৮ জুন) সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের নিচে মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে আন্দোলনকালে এসব কথা জানান তিনি।
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের আট বিভাগে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে। আলোচনার নামে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আস্থা ভঙ্গ করেছেন, বিশ্বাস নষ্ট করেছেন। আমরা চাই আমাদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হোক। এ ছাড়া যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলা রয়েছেন, তাদের তাড়াতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সরকারি কর্মচারী, আমরা নিয়ম-শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী। অধ্যাদেশ বাতিল না হলে রবিবার (২২ জুন) আরও বৃহত্তর আন্দোলন আসবে।’
এর আগে, চাকরি অধ্যাদেশ পুরোপুরি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর।
আরও পড়ুন: কর্মচারী অধ্যাদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলের দাবিতে গত ২৪ মে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।
কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ২৫ মে রাতে এই অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে।
সরকারি কর্মচারীরা অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এটি বাতিল করার জন্য সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল, কর্মবিরতি, অবস্থান কর্মসূচি ছাড়াও আজ (বুধবার) সমাজকল্যাণ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
১৭০ দিন আগে
কর্মচারী অধ্যাদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ পুরোপুরি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীর।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরা একত্রিত হয়ে আন্দোলন চলাকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে, আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় কর্মচারীরা সমবেত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। এরপর তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন ভবনের নিচে এসে সমাবেশ করেন।
এ সময় বাদিউল কবীর বলেন, ‘আজকে আমরা স্বরাষ্ট্র ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দেব। এ অধ্যাদেশ পুরোপুরি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই।’
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরি অধ্যাদেশটি পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে: আইন উপদেষ্টা
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের আট বিভাগে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে। আলোচনার নামে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আস্থা ভঙ্গ করেছেন, বিশ্বাস নষ্ট করেছেন। আমরা চাই আমাদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হোক। এছাড়া যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলা রয়েছেন, তাদের তাড়াতে হবে।’আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) যেমন আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে এসেছেন, আগামীকালও প্রতিটি মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে আসবেন। আগামীকালের আন্দোলন আরও দুর্দান্ত হবে।’
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সরকারি কর্মচারী, আমরা নিয়ম শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী। আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আলোচনা আসবে।’
গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলের দাবিতে গত ২৪ মে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।
কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ২৫ মে রাতে এই অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে।
আরও পড়ুন: চাকরির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে ফের কর্মচারীদের বিক্ষোভ
অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সর্বশেষ ঈদের ছুটির আগে ৩ জুন পর্যন্ত সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন কর্মচারীরা। চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সরকারের সাতজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা। ১৫ জুনের মধ্যে চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল না করলে ১৬ জুন থেকে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুমকিও দিয়েছিলেন কর্মচারী নেতারা।
১৭১ দিন আগে
শনিবার থেকে হাইকোর্ট এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা
আগামী শনিবার (১৪ জুন) থেকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ হাইকোর্ট এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় আগামী শনিবার (১৪ জুন) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের প্রধান গেট, মাজার গেট, জামে মসজিদ গেট, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ ও ২ এর প্রবেশ গেট, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ভবনের সম্মুখে সকল প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।
এতে, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায় ও প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে যখন-তখন সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়।
এর আগে, গত ২৬ মে সচিবালয় ও যমুনা-সংলগ্ন এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষিদ্ধ করেছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
আরও পড়ুন: সচিবালয় এলাকায় সব ধরনের সভা সমাবেশ-জমায়েতে নিষিদ্ধ করল ডিএমপি
১৭৬ দিন আগে