ইউএস ডলার
ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
রিয়েল এস্টেট, স্টক মার্কেট, স্টার্ট-আপ বা ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলো বিনিয়োগের অনুকূল দিগন্ত উন্মোচন করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। মার্কিন ডলারের হার বেড়ে যাওয়ার ধারাবাহিকতায় ইতিবাচক প্রভাব পড়ে বিনিয়োগের বিনিময় হারে। অন্যদিকে, উচ্চ মূল্যের ডলার আয়ের সঙ্গে উন্নত হয় রেমিটেন্স ক্রয় ক্ষমতা। প্রবাসীদের এই অর্থ দেশে থাকা তাদের পরিবারের জন্য যেমন সহায়ক হয়, তেমনি সম্ভাবনা তৈরি হয় দেশের বাজারে আরও বিনিয়োগের। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগের উপায় বাংলাদেশ সরকারের নন-রেসিডেন্স বাংলাদেশি (এনআরবি) বন্ডগুলো। এগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ইউ.এস. ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড বা ইউএসডিআইবি।চলুন, এই বন্ডে বিনিয়োগের পদ্ধতি সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ইউ.এস. ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড কী
সরাসরি বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই এনআরবি বন্ড ইস্যু করা হয় মার্কিন ডলারে।
এটি মূলত রেমিটেন্সের বিপরীতে ফরেন কারেন্সি (এফসি) বা বৈদেশিক মুদ্রার অ্যাকাউন্টধারীদের জন্য নিবেদিত একটি সঞ্চয় প্রকল্প। অন্যান্য অধিকাংশ বন্ডের মতো এই বন্ডেও রয়েছে মুনাফা লাভ এবং সুদাসলের উপর কর-মুক্তির সুবিধা।
ইউ.এস. ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের বৈশিষ্ট্য
- এই বিনিয়োগ সুবিধাটি অনিবাসী বাংলাদেশি বা বাংলাদেশে বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের জন্য
- বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের এই বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে তাদের এফসি অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন হয়
- বন্ডের মূল্য রেমিটেন্সের উপর মার্কিন ডলারে যে কোনো মূল্যের হয়ে থাকে
- বন্ডের মেয়াদ ৩ বছর
- বর্তমানে সাধারণত ৫০০, ১ হাজার, ৫ হাজার, ১০ হাজার, এবং ৫০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যমানের ইউএসডিআইবি ইস্যু করা হয়
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ১০ মুদ্রা
ইউ.এস. ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড কেনার উপায়
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- বৈধ পাসপোর্টের অনুলিপি (বাংলাদেশে অবস্থান করলে দেশে আগমন ও প্রস্থানের সিলসহ পৃষ্ঠা প্রদর্শন করতে হবে)
- সম্প্রতি তোলা আবেদনকারি এবং নমিনি উভয়ের এক কপি করে পাসপোর্ট আকারের ছবি
- ওয়ার্ক পারমিট অথবা ভিসার অনুলিপি
- তহবিলের উৎস সম্পর্কিত কাগজপত্র (চাকরির পরিচয়পত্র বা বেতন প্রাপ্তির স্লিপ)
- অন্য কেউ স্পন্সর করে থাকলে তার পাসপোর্টের অনুলিপি এবং আয় সংক্রান্ত নথি
- সম্পূর্ণ পূরণকৃত এবং স্ব-হস্তে স্বাক্ষরকৃত আবেদনপত্র
বন্ড ক্রয় পদ্ধতি
বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর বা আভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের ওয়েব পোর্টাল থেকে বন্ড ক্রয়ের আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করা যায়।
এছাড়া দেশে বা বিদেশে এই বন্ড ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও বিনামূল্যেই এই ফর্ম বিতরণ করে থাকে।
ফর্ম পূরনের পর ফর্ম সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি যে কোনো ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানে ইমেল করতে হবে। উপরোক্ত নথিপত্র ছাড়াও বন্ড ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য আরও কিছু দরকারি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। এ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ফিরতি ইমেলে এনআরবি গ্রাহককে অবহিত করবেন।
এরপর স্ব-হস্তে স্বাক্ষরকৃত আবেদন ফর্মসহ যাবতীয় কাগজপত্র কুরিয়ারের মাধ্যমে সেই প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায় পাঠাতে হবে। তারপর আবেদনকারির বন্ডের মূল্য পরিশোধের সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বন্ড ইস্যু করবেন। পরিশেষে ক্রয়কৃত বন্ডের পরিচিতি স্বরূপ একটি অ্যাডভাইস কপি গ্রাহককে প্রেরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: বন্ডে বিনিয়োগের আগে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি
যে প্রতিষ্ঠানগুলো এই বন্ড ইস্যু করে থাকে, সেগুলো হলো:
- বাংলাদেশ ব্যাংক
- দেশের ভেতর ও বাইরে অবস্থিত বাংলাদেশের তফসিলভুক্ত ব্যাংকগুলোর এডি (অনুমোদিত ডিলার) শাখা
- প্রতিনিধি অফিস, ফরেন করেসপন্ডেন্ট
- শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংক ছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য তফসিলি ব্যাংকগুলোর এক্সচেঞ্জ হাউস
বন্ড ক্রয়ের জন্য আবেদন পদ্ধতি
নিম্নের লিঙ্ক থেকে বন্ডে বিনিয়োগের আবেদন ফর্মটি সরাসরি ডাউনলোড করে পূরণ করা যাবে। https://ird.gov.bd/sites/default/files/files/ird.portal.gov.bd/forms/6ef7c349_b2ef_4608_bd1d_3c7b80b2f3f6/Editable_Purchase_US_Dollar_Investment_Bond_converted.pdf
ফর্ম পূরণে যে তথ্যগুলো প্রয়োজন হয়, তা হলো:
- আবেদনকারী বা বন্ড ক্রেতা এবং তার নমিনির নাম ও ঠিকানা
- নমিনির সঙ্গে আবেদনকারীর সম্পর্ক
- বন্ড ক্রেতার পাসপোর্ট নম্বর
- বন্ডের মূল্য
- এফসি অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং যেই ব্যাংকের যে শাখাতে অ্যাকাউন্টটি রয়েছে, তার নাম ও ঠিকানা
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট নম্বর, পাসপোর্ট ইস্যুর স্থান, এবং পাসপোর্ট অনুযায়ী জন্ম তারিখ
- বন্ড ক্রেতার চাকরির পদবি, কোম্পানির নাম
- বন্ড ক্রেতার বাংলাদেশ ও বিদেশের ঠিকানা
- সবশেষে আবেদনকারীর সই
আরও পড়ুন: সঞ্চয়পত্রে যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
৬ মাস আগে
বেনাপোল চেকপোস্টে ইউএস ডলার উদ্ধার, নারী আটক
বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে ৩০ হাজার আমেরিকান (ইউএস) ডলার উদ্ধার করা হয়েছে। এই সময় ৩৮ বছরের এক নারীকে আটক করে যশোর ৪৯ বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পের সদস্যরা।
মঙ্গলবার বিকালে বেনাপোল বন্দরের প্যাচেনজার টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে আটক করা।
আটক জেরিন সুলতানা আশুলিয়া সাভার এলাকার নাজিম উদ্দিনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: পরিচয়পত্র জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে ২য় দিনের মতো আমদানি বন্ধ
৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী জানান, গোপন সংবাদে জানতে পারি এক নারী বিপুল পরিমাণ আমেরিকান ডলার নিয়ে পাসপোর্ট যোগে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অধিনায়কের নির্দেশে আইসিপি ক্যাম্পের সদস্যরা একটি বিজিবি টহল দল প্যাচেনজার টার্মিনালের সামনে অভিযান চালায়। পরে বিকাল ৫টার দিকে ওই নারী প্যাচেনজার টার্মিনালের সামনে আসলে তাকে ক্যাম্পে নিয়ে তার দেহ তল্লাশি করে ৩০ হাজার আমেরিকান ডলার পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: এক মাস পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান এই বিজিবি কর্মকর্তা।
২ বছর আগে
যশোরে ৫ লাখ ইউএস ডলারসহ ২ হুন্ডি ব্যবসায়ী আটক
যশোরের শার্শা উপজেলার উলাশী থেকে পাঁচ লাখ ইউএস ডলারসহ দুই হুন্ডি ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বিজিবি।
৪ বছর আগে