অধ্যাপক
পিএসসির নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম।
বুধবার (৯ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইনসহ কমিশনের ১২ সদস্যের পদত্যাগের একদিন পরই এ নিয়োগ দেওয়া হলো।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ১৩৮(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন পিএসসির চেয়ারম্যান হিসেবে অধ্যাপক মোনেমকে নিয়োগ দেন।
সংবিধানের ১৩৯(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, অধ্যাপক মোনেম পাঁচ বছর মেয়াদে অথবা ৬৫ বছর বয়সে পদার্পণ না হওয়া পর্যন্ত, যেটি আগে আসবে তার আলোকে দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া কমিশনে নতুন চার সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নতুন সদস্যরা হলেন- নুরুল কাদির, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. নাজমুল আমিন মজুমদার ও মো. সুজায়েত উল্লাহ। তারা পাঁচ বছরের মেয়াদে বা ৬৫ বছর বয়সে পৌঁছানো পর্যন্ত, যেটি আগে আসবে তার আলোকে দায়িত্ব পালন করবেন।
অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক।
তিনি ১৯৮৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে স্নাতক এবং ১৯৯৯ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: পিএসসির চেয়ারম্যানসহ ১২ সদস্যের পদত্যাগ
১ মাস আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হলেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০তম উপাচার্য (ভিসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম তা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন চবি উপাচার্য
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ১২(২) ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাময়িকভাবে উপাচার্য পদে পাঁচ শর্তে নিয়োগ দেওয়া হলো।
শর্তগুলো হলো- উপাচার্য পদে এ নিয়োগ যোগদানের তারিখ থেকে কার্যকর হবে। উপর্যুক্ত পদে তিনি তার অবসর অব্যবহিত পূর্ব পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন এবং রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: হল ছাড়তে নারাজ চবি শিক্ষার্থীরা, সময় বাড়ালো প্রশাসন
২ মাস আগে
বুয়েটের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক এবিএম বদরুজ্জামান
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামানকে নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
চার বছরের জন্য তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি বাতিল করে ‘এডহক’ কমিটি গঠন
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ড. বদরুজ্জামান তার বর্তমান পদবী অনুযায়ী সমপরিমাণ বেতন-ভাতা পাবেন এবং ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক বসবাস করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর প্রয়োজনে নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
এছাড়া বুয়েটের উপউপাচার্য হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল হাসিব চৌধুরী।
আরও পড়ুন: দেশের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু ইউএনডিপির
২ মাস আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য হলেন অধ্যাপক সায়েমা হক বিদিশা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়েমা হক বিদিশা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. সাহাবুদ্দিন এ নিয়োগ দেন।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ সময়ের মধ্যে তিনি বর্তমান পদের সমপরিমাণ পারিশ্রমিক পাবেন।
তিনি বিধি মোতাবেক এ পদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই স্থায়ীভাবে অবস্থান করবেন।
জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
সায়েমা হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করার পর যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি এবং যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শ্রম অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
তিনি বিভিন্ন নীতি নথি এবং সরকারি ফ্ল্যাগশিপ অবজেক্ট তৈরিতেও অবদান রেখেছেন।
অধ্যাপক সায়েমা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও জাতিসংঘের সংস্থার সঙ্গেও কাজ করেছেন।
তিনি জার্নাল নিবন্ধ, বইয়ের অধ্যায় এবং বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদন সহ বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রকাশনা প্রকাশ করেছেন।
২ মাস আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: ইউএনএইচসিআরের সহায়তা চাইলেন অধ্যাপক ইউনূস
নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখেরও বেশি মিয়ানমারের রোহিঙ্গাকে তাদের স্বদেশে ‘স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ’ প্রত্যাবাসে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সহায়তা চেয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) হাইকমিশনার গ্র্যান্ডি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করায় তাকে অভিনন্দন জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, ফোনালাপে ইউএনএইচসিআর প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তিনি যে 'অবিশ্বাস্য কাজ' হাতে নিয়েছেন তাও উল্লেখ করেন তিনি।
ইউএনএইচসিআর প্রধান নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনের সাইডলাইনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন।
গ্র্যান্ডি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, তিনি চলতি বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা করছেন।
আরও পড়ুন: ইউএনজি’র ৭৯তম অধিবেশন ড. ইউনূসের সরকারের জন্য বড় সুযোগ: কুগেলম্যান
দুই নেতা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুষের বিষয়সহ রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
অধ্যাপকব ইউনূস বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরের অভ্যন্তরে বেড়ে ওঠা রোহিঙ্গা শিশুদের উন্নত ভবিষ্যত গড়ে তুলতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সহায়তাও কামনা করেন।
২৭ আগস্ট শরণার্থীদের প্রতি অধ্যাপক ইউনূসের নতুন প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানায় ইউএনএইচসিআর। তিনি ধারাবাহিক আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত সংহতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। যাতে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা শেষ পর্যন্ত নিরাপদ, মর্যাদা এবং পূর্ণ অধিকারের সঙ্গে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করতে পারে।
ইউএনএইচসিআর-এর মতে, ২০২৪ সালে মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশপাশের কমিউনিটিতে বাংলাদেশিসহ প্রায় ১৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে সহায়তার জন্য ৮৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের আবেদন করেছিল। এই আবেদনটির আলোকে পর্যাপ্তভাবে অর্থায়ন করা হয়নি।
সাত বছর আগে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
ইউএনএইচসিআর বলছে, শরণার্থীদের সবচেয়ে মৌলিক চাহিদা পূরণ ও সুরক্ষা প্রদানে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদার সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
চলতি মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেবেন ইউনূস: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ মাস আগে
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ পদত্যাগ করেছেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: আরও ১৭৭ থানার কার্যক্রম শুরু: পুলিশ সদর দপ্তর
জানা যায়, ব্যক্তিগত কারণে শাবিপ্রবি উপাচার্য পদত্যাগ করেছেন। শনিবার রাষ্ট্রপতির কাছে উপাচার্য তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
এদিকে চ্যান্সেলরের সচিব হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ) বরাবর উপাচার্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
পদত্যাগপত্রে বলা হয়- ব্যক্তিগত কারণে উপাচার্য পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করছেন। তার পদত্যাগ পত্রটি গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সব সদস্য, হলের প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট সবাই রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুন: চাঁবিপ্রবির উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি
ঢাবি ভিসির পদত্যাগ
৩ মাস আগে
ইউজিসির পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে যোগ দিলেন অধ্যাপক জাকির হোসেন
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন।
বুধবার (১৯ জুন) ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীরের কাছে তিনি যোগদানপত্র পেশ করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষতা বাড়াতে চায় ইউজিসি
এরপর তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
গত ১৩ জুন এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেনকে কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেন। কমিশনের সদস্য হিসেবে অধ্যাপক জাকির হোসেন প্রচলিত বিধি অনুযায়ী বেতন ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
অধ্যাপক জাকির হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে বিকম (অনার্স) ও এমকম ডিগ্রি সম্পন্ন করে সুইডেনের বিটিএইচ থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
তার ২০টি গবেষণা প্রবন্ধ দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা চারটি ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা আটটি। তিনি জবির জার্নাল অব বিজনেস স্টাডিজের প্রধান সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
৫ মাস আগে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার হলেন অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো প্রবর্তন করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’। আর এ পদে মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. হারুন-অর-রশিদ।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫২তম সিন্ডিকেট সভায় ড. রশিদকে বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: টিএসসিতে মেট্রো স্টেশনের জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্রলীগ
ড. রশিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে বিএ (অনার্স) ও এমএ উভয় পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে ১৯৮৩ সালে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়, সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের রিউকোকু বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা করেন।
তিনি ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন।
পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে যোগ দেন। তিনি সিলেকশন গ্রেড অধ্যাপক হিসেবে অবসর নেন।
ড. হারুন-অর-রশিদ ৪৩ বছরের দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই মেয়াদে সফলভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য ছিলেন তিনি।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের তিনবার নির্বাচিত ডিন, স্যার এ এফ রহমান হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি, সহসভাপতি, কাউন্সিল সদস্য, অধ্যাপক শামসুল হক শিক্ষা কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন।
সর্বশেষ তিনি জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশ চেয়ারে ‘বঙ্গবন্ধু প্রফেসরিয়াল ফেলো’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ড. রশিদ বঙ্গবন্ধু গবেষণায় ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২১’ অর্জন করেন। ২০১৬ সালে বেস্ট পাবলিকেশনসের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ স্বর্ণপদক লাভ করেন।
ড. রশিদ এ পর্যন্ত ১৯টি মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ রচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
দেশে-বিদেশে জার্নালে তার ১০০টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ছয়টি প্রসিদ্ধ বইয়ের সম্পাদনা করেছেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনবিষয়ক ৭টি বইয়ের সম্পাদনা করেছেন।
তার উল্লেখযোগ্য গবেষণা গ্রন্থ হচ্ছে- বাংলাদেশের ৫০ বছরের রাজনীতি অনুধাবন: সংগ্রাম, অর্জন ও চ্যালেঞ্জ নামে নতুন বই। বিশ্বখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা রাউটলেজ লন্ডন ও নিউইয়র্ক থেকে একযোগে বইটি প্রকাশ করছে।
এছাড়া তার অন্যান্য গবেষণা গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে-
দ্য ফোরস্যাডোয়িং অব বাংলাদেশ, ফর্ম ১৯৪৭ পার্টিশন টু বাংলাদেশ: বঙ্গবন্ধু এন্ড স্টেট ফর্মেশন ইন পারসপেকটিভ, ইনসাইড বেঙ্গল পলিটিক্স, বাঙালির রাষ্ট্রচিন্তা ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়, বাংলাদেশ: রাজনীতি, সরকার ও শাসনতান্ত্রিক উন্নয়ন ১৭৫৭-২০০০, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পুনর্পাঠ, ‘আমাদের বাঁচার দাবি: ৬ দফার ৫০ বছর’, মূলধারার রাজনীতি: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাউন্সিল ১৯৪৯-২০১৬, ৭ই মার্চের ভাষণ কেন বিশ্ব ঐতিহ্য সম্পদ: বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ, বঙ্গীয় মুসলিম লীগ পাকিস্তান আন্দোলন: বাঙালির রাষ্ট্রভাবনা ও বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ: গভর্ন্যান্স, পলিটিক্স, কনস্টিটিউশনাল ডেভেলপমেন্ট ১৭৫৭-২০১৮, ৭ই মার্চ থেকে স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব কী ও কেন, বঙ্গবন্ধুকোষ, সোহরাওয়ার্দী বনাম বঙ্গবন্ধু, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা প্রভৃতি।
ড. রশিদ বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিতে ২০ খণ্ডে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এনসাইক্লোপিডিয়া’ রচনা প্রকল্পের প্রধান সম্পাদক ছিলেন।
বর্তমানে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এনসাইক্লোপিডিয়া’ এর ইংরেজি বই রচনা প্রকল্পের প্রধান সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: কলারোয়া সরকারি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তীর রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন
১১ মাস আগে
ইউজিসি সদস্য হিসেবে যোগ দিলেন অধ্যাপক ড. হাসিনা খান
বিশিষ্ট গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. হাসিনা খান বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীরের সাথে সাক্ষাৎ শেষে ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের কাছে তার যোগদানের চিঠি পেশ করেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাকে কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেয়।
অধ্যাপক ড. হাসিনা খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।
স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত এ বিজ্ঞানী ইলিশের জিন রহস্য ও পাটের জিন বিন্যাস আবিষ্কারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
ইউজিসি প্রফেসর হিসেবেও বিশিষ্ট এ গবেষক দায়িত্ব পালন করেন।
ইউজিসি সদস্য হিসেবে যোগ দেওয়ায় অধ্যাপক ড. হাসিনা খানকে অভিনন্দন জানিয়েছে কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব), সদস্যবৃন্দ, সচিব, বিভাগীয় প্রধানগণ, ইউজিসি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও কর্মচারী ইউনিয়ন।
১ বছর আগে
অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই
শহীদজায়া অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকাল ৮টা তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
পারিবারিক সূত্রে গণমাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
পান্না কায়সার ছিলেন একাধারে বরেণ্য লেখক, বুদ্ধিজীবি ও সাবেক সংসদ সদস্য। এছাড়াও তার পরিচয় তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী, লেখক এবং রাজনীতিবিদ শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী এবং অভিনেত্রী শমী কায়সারের মা।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একাত্তরে শহীদুল্লাহ কায়সারকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় আলবদর বাহিনী। কিন্তু তার আর ফেরা হয়নি। সংসার ও সন্তানকে সামলেছেন নিজেই। তবে সেখানেই থেমে থাকেননি তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর করার পর করেছেন শিক্ষকতাও।
পরবর্তীতে সাহিত্যাঙ্গনে ছিল তার পদচারণা, হয়েছিলেন সংসদ সদস্যও। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধারণ করে ১৯৭৩ সালে দেশের বৃহত্তম শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’-এর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন পান্না কায়সার। ১৯৯২ সাল থেকে সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদান রাখার কারণে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন সদ্য প্রয়াত বরেণ্য ব্যক্তি পান্না কায়সার।
১ বছর আগে