শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মার্ক্সবাদী দিশানায়েকের জয়
মার্কসবাদী আইন প্রণেতা অনুড়া কুমারা দিশানায়েকে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।
রবিবার তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিকে ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ায় অভিযুক্ত পুরোনো রাজনৈতিক দলকে ভোটাররা প্রত্যাখ্যান করেছে।
শ্রমিক শ্রেণির সমর্থন এবং রাজনৈতিক অভিজাতবিরোধী প্রচার তাকে তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। বিরোধী নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা এবং বর্তমান উদারপন্থী রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহেকে পরাজিত করে জয়লাভ করেন দিশানায়েকে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দিশানায়েকে পেয়েছেন ৫৭ লাখ ৪০ হাজার ১৭৯ ভোট এবং প্রেমাদাসা পেয়েছেন ৪৫ লাখ ৩০ হাজার ৯০২ ভোট।
দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকট এবং এর ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক বিপর্যয় থেকে পুনরুদ্ধারে শনিবারের নির্বাচনটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
টুইটারে এক বার্তায় দিশানায়েকে বলেন, ‘এই অর্জন কোনো একক ব্যক্তির কাজের ফল নয়, বরং আপনাদের মতো কয়েক লাখ মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। আপনাদের প্রতিশ্রুতি আমাদের এতদূর নিয়ে এসেছে। এজন্য আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। এই জয় আমাদের সবার।’
২০২২ সালে খেলাপি হওয়ার পর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পুনরুদ্ধার কর্মসূচির আওতায় শ্রীলঙ্কার ঋণ পুনর্গঠনসহ ভঙ্গুর পুনরুদ্ধারে বিক্রমাসিংহের নেতৃত্বের ওপর ভার্চুয়াল গণভোট ছিল এই নির্বাচন।
৫৫ বছর বয়সি দিশানায়েকে বলেন, কৃচ্ছ্রসাধনের পদক্ষেপকে আরও সহনীয় করতে তিনি আইএমএফ চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা করবেন। বিক্রমাসিংহে সতর্ক করে বলেছিলেন, চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো পরিবর্তন করার যেকোনো পদক্ষেপ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের চতুর্থ কিস্তি প্রকাশ করতে বিলম্ব করতে পারে; যা স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এটি দিশানায়েকের শক্তিশালী উত্থান। এর আগে ২০১৯ সালে পূর্ববর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মাত্র ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন।
দিসানায়েকের ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার জোটের নেতৃত্বে রয়েছে জনতা বিমুক্তি পেরামুনা বা পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট। এটি মার্কসবাদী দল যা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের জন্য ১৯৭০ ও ১৯৮০ এর দশকে দুটি সশস্ত্র বিদ্রোহ করে ব্যর্থ হয়েছিল। পরাজয়ের পরে, জেভিপি ১৯৯৪ সালে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে প্রবেশ করে এবং বেশিরভাগ সময় বিরোধী দলের মূল ভূমিকা পালন করে।
এনপিপি গ্রুপিংয়ে শিক্ষাবিদ, নাগরিক সমাজের আন্দোলন, শিল্পী, আইনজীবী ও শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন।
দিশানায়েকে ২০০০ সালে প্রথম সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তৎকালীন প্রেসিডেন্ট চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গার অধীনে সংক্ষিপ্তভাবে কৃষি ও সেচমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তিনি ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং গোতাবায়া রাজাপাকসের কাছে হেরে যান। রাজপাকসে দুই বছর পরে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে প্রকাশ্য বিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত হন।
বিক্রমাসিংহের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী সাবরি দিশানায়েককে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি ‘স্বচ্ছতা, সততা ও দেশের দীর্ঘমেয়াদি মঙ্গলের প্রতিশ্রুতি নিয়ে’ নেতৃত্ব দেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সাবরি।
২ মাস আগে
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২১ সেপ্টেম্বর
আগামী ২১ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) এ বিষয়ে জারি করা গেজেট প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের মনোনয়নের তারিখ ১৫ আগস্ট।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে এক মাস বা অনধিক দুই মাস আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ২০২২ সালের জুলাইয়ে পদত্যাগ করেন গোতাবায়া রাজাপাকসে। এর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন তিনি।
রাজাপাকসের পদত্যাগের পর পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রনিল বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
৪ মাস আগে
কষ্টের জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু টাইগারদের
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ২ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। এর ফলে জয় দিয়ে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয়েছে।
শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায় যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে ‘ডি’ গ্রুপের খেলায় মাঠে নামে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৪ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে এক ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ রান করেন তৌহিদ হৃদয়। তার ২০ বলে ৪০ রানের ইনিংসটি ছিল চারটি ছক্কা ও একটি চারের মারে সাজানো। এছাড়া লিটন দাস খেলেন ৩৮ বলে ৩৬ রানের ধৈর্য্যশীল ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে এই দুই ব্যাটারের ৯৩ রানের জুটিটিই বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। শেষে মাহমুদুল্লাহর ১৩ বলে অপরাজিত ১৬ রান ছাড়া আর কোনো ব্যাটার ব্যক্তিগত সংগ্রহ দুই অঙ্কে নিয়ে যেতে পারেননি।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন নুয়ান থুশারা ও অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
আরও পড়ুন: প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিশ্বকাপে সেরাটা দেওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশের
এর আগে, প্রথম ইনিংসে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের অসামান্য প্রদর্শনী দেখান বাংলাদেশি বোলাররা। বিশ ওভারে অতিরিক্ত হিসেবে মাত্র চার রান দিয়েছেন তাসকিন-মোস্তাফিজরা। এর মধ্যে ওয়াইড ছিল মাত্র দুটি।
দলের হয়ে নির্ধারিত চার ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচ করে তিন উইকেট নেন মোস্তাফিজ। ২২ রানে তিন উইকেট নেন রিশাদ। এছাড়া চোট থেকে মাঠে ফেরা তাসকিনের ঝুলিতে গেছে দুটি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ১২৪/৯ (নিসাঙ্কা ৪৭, ধানাঞ্জয়া ২১, আসালাঙ্কা ১৯; মোস্তাফিজ ১৭/৩, রিশাদ ২২/৩, তাসকিন ২৫/২)
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১২৫/৮ (তৌহিদ ৪০, লিটন ৩৬, মাহমুদুল্লাহ ১৬*; থুশারা ১৮/৪, হাসারাঙ্গা ৩২/২)
ফলাফল: বাংলাদেশ ২ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রিশাদ হোসেন।
৬ মাস আগে
নিউ ইয়র্কের স্টেডিয়ামে পুলিশের স্নাইপার!
নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতরাতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ম্যাচ। এটি এই স্টেডিয়ামেও বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ ছিল। ৩৪ হাজর দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামে নিরাপত্তার খাতিরে স্নাইপার নিযুক্ত করেছিল নাসাউ কাউন্টি পুলিশ।
জঙ্গি হামলার আশঙ্কা থেকেই এই স্টেডিয়ামে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানিয়েছে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসি।
আরও পড়ুন: জিততে ঘাম ঝরল দক্ষিণ আফ্রিকার
বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে জঙ্গিগোষ্ঠী আইসিস এই স্টেডিয়ামে হামলার হুমকি দেয়। বন্দুক নিয়ে হুডি পরা এক ব্যক্তির ছবি-সংবলিত একটি পোস্টার প্রকাশ করে গোষ্ঠীটি। পোস্টারে লেখা ছিল, ‘আপনি ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করছেন… এবং আমরা আপনার জন্য অপেক্ষা করছি।’
মূলত আগামী ৯ জুন এই স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে পাকিস্তান। ওই ম্যাচে হামলার হুমকি দিয়ে পোস্টার প্রকাশ করে আইসিস। পোস্টারে ড্রোন ও ডিনামাইটও দেখা গেছে।
আইসিসের হুমকির পর নড়েচেড়ে বসেছে নাসাউ কাউন্টি পুলিশ বিভাগ। ৩ থেকে ৯ জুনের মধ্যে লং আইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সব ম্যাচের জন্যই ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তারা।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্টেডিয়ামগুলোতে সোয়াট (SWAT) টিম কাজ করবে। তাদের সঙ্গে থাকবে বিষেশায়িত স্নাইপাররা। এছাড়া সোদা পোশাকে পুলিশ কর্মকর্তারাও মাঠের ভেতরে অবস্থান করবেন।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারেন যারা
এ বিষয়ে আইসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘টুর্নামেন্ট চলাকালে প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এটি বাস্তবায়ন করতে আমাদের ব্যাপক ও শক্তিশালী নিরাপত্তা পরিকল্পনা রয়েছে। আয়োজক দেশের (নিরাপত্তা) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি।’
ড্রোন হামলার আশঙ্কায় মাঠটির আশপাশের পার্কের জায়গা ম্যাচের দিনগুলোতে জনসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে নাসাউ কাউন্টি পুলিশ। এছাড়া ম্যাচের দিন স্টেডিয়ামে প্রবেশের আগে দর্শকদের ব্যাগে তল্লাশি চালানো করা হবে এবং বিমানবন্দরের মতো স্ক্যানারের ভেতর দিয়ে তাদের গ্যালারিতে প্রবেশ করতে হবে।
৬ মাস আগে
জিততে ঘাম ঝরল দক্ষিণ আফ্রিকার
লক্ষ্য মাত্র ৭৮ রান। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এটি একেবারেই মামুলি লক্ষ্য। তবে তা টপকাতে দারুণ ভুগতে হলো দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
হ্যাঁ, ৬ উইকেটের জয় তারা পেয়েছে বটে! তবে ৭৮টি রান করতে গিয়ে তাদের ঘাম ছুটে গেছে। খেলতে হয়েছে ১৬.২ ওভার পর্যন্ত।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চতুর্থ ও নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। তবে প্রোটিয়া বোলিং তাণ্ডবে মাত্র ৭৭ রানেই অলআউট হয় তারা। জবাবে খেলতে নেমে ১৬.২ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২০ রান করেন কুইন্টন ডি কক। এছাড়া হাইনরিখ ক্লাসেন অপরাজিত ১৯ রান।
শ্রীলঙ্কার হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
আরও পড়ুন: প্রোটিয়া বোলিং তাণ্ডবে লন্ডভন্ড শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কা যেখানে প্রথম ইনিংস শেষ করে, সেখান থেকেই যেন দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের প্রথম চারটি বল ডট যাওয়ার পর চার মেরে ওভার শেষ করেন রিজা হেন্ড্রিকস। তবে পরের ওভারের তৃতীয় বলেই তাকে ফেরান নুয়ান তুশারা। ১০ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে আরও সাবধানী ক্রিকেট খেলতে থাকেন কুইন্টন ডি কক ও এইডেন মার্করাম।
কয়েক বল দেখেশুনে খেলে যেই হাত খোলা শুরু করেন মার্করাম, প্রায় তখনই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
পঞ্চম ওভারে পাথুম নিশাঙ্কার হাতে বল তুলে দেন হাসারাঙ্গা। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান তিনি দেন দ্বিতীয় বলেই। অন-ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে থাকা কামিন্দু মেন্ডিসের তালুবন্দি হয়ে আউট হন মার্করাম। ফেরার আগে ১৪ বলে এক ছক্কায় ১২ রান করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
ওভারের পরের বলটিতেও কট বিহাইন্ডের সম্ভাবনা জাগে। তবে শ্রীলঙ্কা রিভিউ নিলে দেখা যায় ব্যাটে নয়, ট্রিস্টান স্ট্রাবসের উরুতে সামান্য স্পর্শ করেছে বল। ফলে রিভিউ হারায় শ্রীলঙ্কা। একই ওভারের শেষ বলে সত্যি সত্যিই কট বিহাইন্ডের সুযোগ তৈরি হয়। তবে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও বল গ্লাভসে রাখতে ব্যর্থ হন কুশল মেন্ডিস। এর ফলে জীবন পান স্টাবস, আর উইকেটসহ মেইডেন ওভার নেন নিশাঙ্কা।
এরপর উইকেটের সামনে দেওয়াল তুলে দেন ডি কক ও স্টাবস। দলের জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে ৫১ ও ৫৮ রানে এ দুই ব্যাটার আউট হলে বাকি কাজটুকু সারেন ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। ১৬.২তম ওভারে চার মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান মিলার।
তবে পুরো ইনিংসজুড়ে অসাধারণ বোলিংয়ের পসরা সাজান লঙ্কান বোলাররা। একের পর এক তাক লাগানো ডেলিভারিতে দর্শকদের মনোযোগ ধরে রাখেন শেষ পর্যন্ত। তবে উইকেট তুলতে ব্যর্থ হওয়ায় টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোর করেও জয়বঞ্চিত হয়েছে তারা।
৬ মাস আগে
প্রোটিয়া বোলিং তাণ্ডবে লন্ডভন্ড শ্রীলঙ্কা
পিচ বিশ্লেষকদের দাবি ছিল স্লো উইকেট। তবে গতির বাজিতে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের মাত করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। তাদের বোলিং আক্রমণের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন হাসারাঙ্গা অ্যান্ড কোং।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চতুর্থ ও নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। তবে প্রোটিয়া বোলিং তাণ্ডবে মাত্র ৭৭ রানেই অলআউট হয়ে গেছে তারা। ফলে ৭৮ রানের লক্ষ্য পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের সামনে শ্রীলঙ্কার কোনো ব্যাটারই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি।
ইনিংসের শুরু থেকে দেখেশুনে খেলতে থাকেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের দানবীয় গতি সামলে রান বের করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল তাদের। এরই মধ্যে চতুর্থ ওভারে বিশ্বকাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া অটনিয়েল বার্টম্যানের হাতে বল তুলে দেন মার্করাম। ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই সাফ্যলের দেখা পান তিনি।
বার্টম্যানের প্রথম ডেলিভারিতে সজোরে ব্যাট চালিয়ে বল সীমানা ছাড়া করতে চেয়েছিলেন নিশাঙ্কা। তবে উপরের কানায় লেগে তা ডিপ থার্ড ম্যান অঞ্চলে চলে যায়। সেখান থেকে বলটি তালুবন্দি করেন ক্লাসেন। নিশাঙ্কা ৮ বল মোকাবিলা করে ৩ রান করে ফিরলে ১৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
এরপর শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা উইকেটে কিছুক্ষণ থিতু হলেও অষ্টম ওভারের শেষ বলে নিজের প্রথম ওভারে সাফল্যের দেখা পান নর্টকিয়াও। প্যাডের দিকে আসা ডেলিভারিটি ঘুরিয়ে স্কয়ার অঞ্চল দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানায় রিজা হেনড্রিকসের হাতে ধরা পড়েন কামিন্দু মেন্ডিস।
আরও পড়ুন: যেসব ভেন্যুতে আয়োজিত হচ্ছে ২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ
পরের ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে হাসারাঙ্গা ও সামারাবিক্রমাকে যথাক্রমে স্ট্যাম্পড ও বোল্ড করে শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার প্যাভিলিয়নে পাঠান কেশব মহারাজ। মাঝখানে এক ওভার গেলে দশম ওভারের শেষ বলে কুশল মেন্ডিসের উইকেট নেন ট্রিস্টান স্টাবস। দুই বল পরে আসালঙ্কাকে ফেরান নর্টকিয়া।
মাত্র ৪৫ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে চোখে সর্ষের ফুল দেখা শুরু করেন লঙ্কান ব্যাটাররা। তবে আক্রমণের ধার কমাননি মার্করাম।
এরপর দলীয় ৬৮ রানে দাসুন শানাকা ও ৭০ রানে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস সাজঘরে ফিরলে ইনিংসের সমাপ্তি টানা ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। পরে দুই ওভারে এক রান নেওয়ার পর আউট হন থিকশানাও। শেষ ওভারের প্রথম বলে নুয়ান তুশারা রান আউট হলে ৭৭ রানে থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
দলের হয়ে কুশল মেন্ডিসের ১৯ রানের ইনিংসটিই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। তিনি ছাড়া আর দুজন কেবল নিজেদের রান দুই অঙ্কে নিতে পেরেছেন।
অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচ করে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন নর্টকিয়া। কেশব মহারাজ ও কাগিসো রাবাদা নিয়েছেন দুই করে উইকেট।
একইসঙ্গে অভিষিক্ত বার্টম্যানের কথা না বললেই নয়। প্রোটিয়াদের হয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের প্রথম বলেই উইকেট নেয়া এই বোলার চার ওভারে একটি মেইডেনসহ মাত্র ৯ রান খরচ করেছেন।
আরও পড়ুন: টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত শ্রীলঙ্কার
৬ মাস আগে
শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু
ঢাকা থেকে সরাসরি কলম্বো ফ্লাইট চালু করেছে শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ার।
প্রাথমিকভাবে কলম্বো থেকে ঢাকায় সপ্তাহে ২ দিন মঙ্গলবার ও শনিবার আসবে এই এয়ারলাইন্সের দুটি ফ্লাইট। আবার ঢাকা থেকে বুধবার ও রবিবার ফিটসএয়ারের ফ্লাইট কলম্বো যাবে।
সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান।
আরও পড়ুন: বিমানে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাবিষয়ক প্রশিক্ষণ
এ সময় ছিলেন- ঢাকায় নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধর্মপাল ওয়েরাক্কোডি, ফিটসএয়ারের বাংলাদেশ জিএসএ বেঙ্গল এয়ারলিফট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বাহাউদ্দিন মিয়া, পরিচালক ফাইকা নাসের, চিফ অপারেটিং অফিসার সুমায়েয ইকবাল ও ঢাকায় নিযুক্ত শ্রীলঙ্কান হাই কমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার রুয়ানথি ডেলপিটিয়া।
ফিটসএয়ারের জিএসএ বেঙ্গল এয়ারলিফট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বাহাউদ্দিন মিয়া জানান, ফিটসএয়ার ঢাকা-কলম্বো রিটার্ন টিকিটে সর্বনিম্ন ভাড়া ধরা হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার টাকা। যাত্রীরা ৩০ কেজি চেক-ইন লাগেজ এবং ৭ কেজি হ্যান্ড লাগেজ সুবিধা পাবেন।
এয়ারবাসের এ-৩২০ এয়ারক্রাফট দিয়ে এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ফিটসএয়ার।
বর্তমানে শুধু শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স ঢাকা-কলম্বো রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
বর্তমানে কলম্বো থেকে ঢাকার পাশাপাশি দুবাই, মালে, চেন্নাই রুটে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করছে ফিটসএয়ার। শিগগিরই এয়ারলাইন্সটি থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, সৌদি আরবের জেদ্দা, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর এবং সিঙ্গাপুরে ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করছে।
এয়ারলাইন্সটির বহরে বর্তমানে তিনটি এয়ারবাস এ৩২০-২০০, একটি এটিআর ৭২-২০০, একটি সেসনা-২০৮বি গ্র্যান্ড ক্যারাভান, দুইটি সেসনা-১৫২ এবং একটি সেসনা-১৫০ এয়ারক্রাফট রয়েছে।
আরও পড়ুন: যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে বিমানে ৮৪ জন গ্রাউন্ড সার্ভিস অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ
৭ মাস আগে
শ্রীলঙ্কা সফরে ষষ্ঠ সামিটের প্রত্যাশা তুলে ধরলেন বিমসটেক মহাসচিব
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা সফর করেছেন বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে।
চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি মহাসচিবের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই তার প্রথম শ্রীলঙ্কা সফর।
সফরকালে মহাসচিব শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম ইউ এম আলী সাবরি এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী রমেশ পাথিরানার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিমসটেক মহাসচিব।
এছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব অরুনি বিজয়বর্ধন, প্রধানমন্ত্রীর সচিব অনুরা দিসানায়েকে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ডা. পলিথা মাহিপালা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব থিলাকা জয়সুন্দরার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ১২-১৩ মে ঢাকায় বিমসটেকের বৈঠক
প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ২০২২ সালের মার্চে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত পঞ্চম শীর্ষ সম্মেলনের পর থেকে বিমসটেকের অগ্রগতি এবং ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন থেকে প্রত্যাশা তুলে ধরেন মহাসচিব।
এ সময় প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে বিমসটেকের প্রতি শ্রীলঙ্কার অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
বিমসটেক মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী সাবরি ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ব্যাংককে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে বিমসটেকের আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের কথা স্মরণ করেন।
বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের জনগণ যাতে আঞ্চলিক সহযোগিতার সুফল পায় এজন্য বিমসটেকের গতিশীলতা বাড়াতে ও সাফল্য নিশ্চিত করতে সব স্তরে ঘন ঘন ও নিয়মিত বৈঠকের গুরুত্বের ওপর জোর দেন তিনি।
মানবসম্পদ উন্নয়নে শ্রীলঙ্কার বিমসটেকের শীর্ষস্থানীয় সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সচিব অনুরা দিসানায়েকের সঙ্গে মহাসচিবের বৈঠক হয়।
তারা বিমসটেকের মানবসম্পদ উন্নয়ন এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ে বিমসটেকের কর্ম পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করতে বিমসটেক বিশেষজ্ঞ গ্রুপের (এইচআরডি) প্রথম বৈঠকের সময়সূচি নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: সহযোগিতা জোরদারে পরিকল্পনা বাস্তবে রূপান্তরিত করার অঙ্গীকার বিমসটেক প্রধানের
বিমসটেকের স্বাস্থ্যবিষয়ক পরিকল্পনায় শীর্ষস্থানীয় সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বিমসটেক স্বাস্থ্য এজেন্ডা নিয়ে শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা করেন ইন্দ্র মণি। এ সময় বিমসটেকের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের প্রথম বৈঠক আহ্বান নিয়েও আলোচনা করেন তারা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে বৈঠকে শ্রীলঙ্কায় বিমসটেক প্রযুক্তি স্থানান্তর সুবিধা স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা করেন বিমসটেক মহাসচিব। ২০২২ সালে কলম্বোতে পঞ্চম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সময় এ নিয়ে অ্যাসোসিয়েশনের স্মারক সই হয়েছিল। এর পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা আহ্বানের বিষয়েও আলোচনা হয়।
আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছাড়াও বিমসটেক মহাসচিব লক্ষ্মণ কাদিরগামার ইনস্টিটিউট (এলকেআই) আয়োজিত 'বিমসটেকের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা' শীর্ষক একটি উন্মুক্ত আলোচনা কর্মসূচি এবং অ্যাডভোকাটা ইনস্টিটিউট ও বন্দরনায়েকে সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (বিসিআইএস) আয়োজিত দুটি গোলটেবিল অধিবেশনে অংশ নেন।
এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে বিভিন্ন কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদ, গবেষক এবং শিক্ষার্থীদের মতামত ও ধারণা জানার সুযোগ পান মহাসচিব। বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বিমসটেকের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে অনেকের কাছে নিজের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ পান তিনি।
এছাড়াও শ্রীলঙ্কার সানডে মর্নিং সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার এবং টেলিভিশন মাধ্যমে আদা ডেরানার 'অ্যাট হাইড পার্ক' অনুষ্ঠানে একটি সাক্ষাৎকার দেন বিমসটেক মহাসচিব।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে: প্রধানমন্ত্রী
৮ মাস আগে
শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায়, জনপ্রিয় স্থান ও খরচ
ভারত মহাসাগরের বুকে এক ফোটা অশ্রুবিন্দু কিংবা নাশপাতি বা আমের আকৃতির এক খণ্ড দ্বীপদেশ শ্রীলঙ্কা। ভারতীয় উপমহাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে দেশটিকে বিচ্ছিন্ন করেছে মান্নার উপসাগর ও পল্ক প্রণালী। শ্রীলঙ্কার উত্তর-পূর্বে বঙ্গোপসাগর, উত্তর-পশ্চিমে ভারতের সামুদ্রিক সীমান্ত, এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে মালদ্বীপ। প্রাকৃতিক নৈসর্গ, ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থান এবং প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে সমৃদ্ধ এই এশিয়ার দেশটিকে নিয়েই আজকের ভ্রমণ কড়চা। চলুন, শ্রীলঙ্কার জনপ্রিয় কয়েকটি পর্যটন এলাকা ও সেখানে ভ্রমণ সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশ থেকে শ্রীলঙ্কা যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশিদের জন্য শ্রীলঙ্কার পর্যটন ভিসা
শ্রীলঙ্কায় ঘুরতে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের ইটিএ (ইলেক্ট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন) ভিসা নিতে হবে। এই ডিজিটাল ছাড়পত্রের জন্য ঘরে বসেই অনলাইনে আবেদন করা যায়। এর জন্য শ্রীলঙ্কার অভিবাসনের ইটিএ সিস্টেম (https://eta.gov.lk/etaslvisa/etaNavServ?payType=1)-এ যেয়ে আবেদন সম্পন্ন করে সাবমিট করতে হয়। এই সিস্টেমেরই চেক স্ট্যাটাস (https://eta.gov.lk/etaslvisa/pages/checkStatus.jsp) থেকে জমাকৃত আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা যাচাই করা যায়।
সফলভাবে জমাকৃত আবেদন নিরীক্ষণের পর আবেদনকারীকে অনলাইনেই একটি স্বীকৃতি পত্র দেওয়া হয়। এটি ইটিএ ভিসার একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি, যেটি প্রিন্ট করে শ্রীলঙ্কায় প্রবেশের পূর্বে অভিবাসন কর্মকর্তাকে দেখাতে হয়। এ সময় শ্রীলঙ্কায় প্রবেশের চূড়ান্ত অনুমতি প্রদানের পূর্বে যাত্রীর আরও কিছু বিষয় যাচাই করা হয়। সেগুলো হলো:
- যাত্রীর পাসপোর্টের মেয়াদ সেই দিন তথা শ্রীলঙ্কায় আগমনের তারিখ থেকে আরও ৬ মাস আছে কি না
- ফিরতি টিকিট কাটা আছে কি না
- শ্রীলঙ্কায় যতদিন থাকা হবে তার জন্য যাত্রীর কাছে পর্যাপ্ত তহবিল আছে কি না
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ ১০ দর্শনীয় স্থান: শীতের ছুটিতে সাধ্যের মধ্যে ভ্রমণ
প্রাথমিকভাবে ইটিএ ভিসা ৩০ দিনের জন্য ইস্যু করা হয়। এই ভিসার ফি ২০ মার্কিন ডলার বা ২ হাজার ১৯২ দশমিক ১০ টাকা (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ৬১ বাংলাদেশি টাকা)। এই ফি’টা মূলত বাংলাদেশে অবস্থান করে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। শ্রীলঙ্কায় প্রবেশের সময় বিমানবন্দর থেকেও তাৎক্ষণিকভাবে আবেদন করে ভিসা পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে ফি ২৫ মার্কিন ডলার বা ২ হাজার ৭৪০ দশমিক ১৩ টাকা। অনূর্ধ্ব ১২ বছরের শিশুদের জন্য কোনও ফি রাখা হয় না।
শ্রীলঙ্কার বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ডলারের সমমূল্যের শ্রীলঙ্কান রুপিতে ভিসা ফি জমা দেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য শ্রীলঙ্কা যাওয়ার উপায়
তুলনামূলকভাবে কম খরচে শ্রীলঙ্কা গমনের জন্য ভারত হয়ে যাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্য প্রয়োজন হবে ভারতের ডাবল এন্ট্রি ভিসা। এই ভিসা ঢাকার শ্রীলঙ্কান দূতাবাস থেকে সংগ্রহ করতে হয়।
অন্যদিকে ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় যেতে না চাইলে সর্বোত্তম পথ ইটিএ ভিসা। এতে বেশি খরচ হলেও সরাসরি শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর প্লেন ধরা যায়, যেখানে সময় অনেক কম লাগে।
ভিসা শর্তানুযায়ী আগে থেকেই যাওয়া-আসার টিকিট আগেই করতে হবে। এই বিরতিহীন (যাওয়া/ আসা) যাত্রায় সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। ঢাকা-কলম্বো রাউন্ড ট্রিপ বিমান ভাড়া নির্ভর করবে কিছু বিষয়ের উপর যেমন এয়ারলাইন্স কোম্পানি, বুকিংয়ের সময়, বিভিন্ন অফার, ইত্যাদি।
কলম্বো থেকে শ্রীলঙ্কার আভ্যন্তরীণ প্লেন ছাড়াও বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার জন্য রেলপথের ব্যবস্থা আছে।
আরও পড়ুন: ১০ হাজার টাকা বাজেটে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
শ্রীলঙ্কার জনপ্রিয় পর্যটন স্থানসমূহ
নুওয়ারা এলিয়া
মধ্য শ্রীলঙ্কার এই শহরটি ‘চায়ের দেশ’ এবং একই সঙ্গে ‘মিনি ইংল্যান্ড’ নামেও পরিচিত। কেননা এখানে আছে ভিক্টোরিয়া পার্ক, লেক গ্রেগরি, হরতন প্লেইন্স ন্যাশনাল পার্ক, পেড্রো টি ফ্যাক্টরি, হাকগালা বোটানিক্যাল গার্ডেন, সীথা আম্মান মন্দির। চোখ ধাঁধানো দৃশ্যের অবতারণা করে লাভারস লিপ ফল্স এবং রাম্বদা ফল্স।
এখানেই শেষ নয়; হাইকিংয়ের সময় আরও দেখা যায় আবেরদিন ঝর্ণা এবং সেন্ট ক্লেইয়ারস ঝর্ণা।
৮ মাস আগে
ঈদ অবকাশ: ভিসা-মুক্ত এশিয়ায় সেরা ভ্রমণ গন্তব্য
ঈদের ছুটি মানেই বিরামহীন কর্মব্যস্ততা থেকে বড় সময়ের জন্য অব্যাহতি। কর্মচাঞ্চল্যে আষ্টেপৃষ্ঠে বাধা ভ্রমণপিপাসু মানুষগুলো মুখিয়ে থাকে এই মৌসুমের জন্য। ছুটির পরিসরটা পর্যাপ্ত হওয়ায় অনেকেই চিন্তা করেন দেশের বাইরে ঘুরতে যাওয়ার। কিন্তু যখন ভিসা জটিলতার ব্যাপার আসে, তখনই ছুটিকে ঘিরে যাবতীয় পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়। তাছাড়া ট্যুর শেষ করে অফিস শুরুর আগেই তাড়া থাকে দেশে ফেরার। এই দুটো শর্ত পূরণেই অনেকটা সহায়ক ভূমিকা পালন করে এশিয়ার ভিসামুক্ত দেশগুলো। হেনলি পাসপোর্ট ইন্ডেক্স অনুসারে ২০২৪ সালে এশিয়ার ৪টি দেশের ভিসা নিয়মনীতি শিথিল রয়েছে বাংলাদেশিদের জন্য। চলুন, সেই দেশগুলোর দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
এই ঈদে ভিসা ছাড়াই ঘুরে আসতে পারেন এশিয়ার যে দেশগুলোতে
ভুটান
পূর্ব হিমালয়ে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার স্থলবেষ্টিত এই দেশটির উত্তরে চীন এবং দক্ষিণে ভারত। একদিকে স্থাপত্যশিল্পের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ, অন্যদিকে রাফটিংয়ের জন্য এশিয়ার সেরা গন্তব্যগুলোর একটি এই ভুটান। দেশটির সর্বোচ্চ শৃঙ্গ গাংখার পুয়েনসাম বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়া, যেটি এখন পর্যন্ত আরোহণ করা সম্ভব হয়নি। ভুটানের বিশেষত্বের মাঝে আরও রয়েছে এর বৈচিত্র্যপূর্ণ বন্যপ্রাণী, যার মধ্যে রয়েছে হিমালয় টাকিন এবং সোনালি ল্যাঙ্গুর।
ভুটানের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা
পারো
বিমান বন্দর থেকে নেমেই সোজা চলে যেতে হবে ভুটানের সর্বোচ্চ রাস্তা লা পাসে’তে। কেননা এখান থেকে দেখা মিলবে জলমহরি পর্বতের মোহনীয় দর্শন। অন্যান্য দর্শনীয় জায়গাগুলোর মধ্যে রয়েছে টাইগারস নেস্ট, কিচু মনস্ট্রি, পারো চু, রিনপুং জং, পারো মনস্ট্রি এবং তাং সাং।
আরও পড়ুন: ১০ হাজার টাকা বাজেটে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
থিম্পু
সমদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭ হাজার ৩৭৫ থেকে ৮ হাজার ৬৮৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত রাজধানী শহর থিম্পুর সর্পিলাকার রাস্তা উন্মাদকতা তৈরি করে পর্যটকদের মনে। রংবেরঙ্গের বাড়িগুলো যেন রঙের ফেরিওয়ালা।
শহরেই ঘোরার মাঝেই চোখে পড়ে মেমোরিয়াল চর্টেন, সিটি ভিউ পয়েন্ট, ক্লক টাওয়ার, থিম্পু জং, থিম্পু নদী, পার্লামেন্ট হাউস ও থিম্পু ডিজং।
পুনাখা
যাওয়াটা বেশ সময় সাপেক্ষ হলেও বিস্ময়কর সুন্দর দোচুলা পাস থেকে ফেরার পথে উন্মুক্ত হয়ে পড়ে পুনাখার অন্যান্য সৌন্দর্য্যগুলোও। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পুনাখা জং, ফোক হেরিটেজ মিউজিয়াম, আর্ট স্কুল ও ন্যাশনাল লাইব্রেরি। রাফটিংয়ের জন্য ভুটানের খ্যাতিটি মূলত এই পুনাখার কারণেই।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ ১০ দর্শনীয় স্থান: শীতের ছুটিতে সাধ্যের মধ্যে ভ্রমণ
ভুটানের ভিসামুক্ত ভ্রমণ রীতি
ভুটানে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের কোনো ভিসার প্রয়োজন হয় না। তবে তাদের পাসপোর্টের মেয়াদ বাংলাদেশ প্রস্থানের তারিখ থেকে অন্তত ৬ মাস বেশি থাকতে হয়। সেই সঙ্গে কমপক্ষে দুটি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকা আবশ্যক। ভুটানে প্রবেশের আগ মুহূর্তে কাস্টমস কর্মকর্তা এগুলোর একটিতে ভিসা স্ট্যাম্প যুক্ত করে দেন।
এ সময় এসডিএফ (সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ফি) হিসেবে প্রতি দিনের জন্য ২০০ মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হয়। বাংলাদেশি টাকায় এটি ২১ হাজার ৮৫২ টাকার (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ২৬ বাংলাদেশি টাকা) সমান। ৪ দিনের এসডিএফ দিয়ে অতিরিক্ত আরও ৪ তথা মোট ৮ দিন থাকা যায়।
ভুটান ভ্রমণ খরচ
ভিসা ছাড়া ঢাকা থেকে ভুটান গমনের আকাশপথই একমাত্র উপায়। রাউন্ড ট্রিপের টিকিট কেটে রাখলে খরচ হবে ৬৭৩ থেকে ৮৪২ মার্কিন ডলার, যা ৭৩ হাজার ৫৩৫ থেকে ৯২ হাজার টাকার সমান। বিমানে মাত্র ১ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে ভুটানের পারোতে পৌঁছা যায়।
৫ দিনের ভ্রমণের জন্য এখানে খরচ হতে পারে জনপ্রতি কমপক্ষে ১৬ হাজার ৬৫০ থেকে থেকে ৩৭ হাজার ৮৮০ গুলট্রাম। বাংলাদেশি টাকায় যেটি ২১ হাজার ৮৫৪ থেকে ৪৯ হাজার ৭১৮ টাকার (১ ভুটানি গুলট্রাম = ১ দশমিক ৩২ টাকা) সমতূল্য। এর মধ্যেই থাকা-খাওয়াসহ অভ্যন্তরীণ যাতায়াত খরচ অন্তর্ভূক্ত।
আরও পড়ুন: সাধ্যের মধ্যে মালদ্বীপের বিকল্প হতে পারে এশিয়ার যেসব ট্যুরিস্ট স্পট
মালদ্বীপ
ভারত মহাসাগরে মাঝে অবস্থিত এই দ্বীপপুঞ্জের রাষ্ট্রটি এশিয়ার সবচেয়ে ছোট দেশ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর স্থলভাগের উচ্চতা ৪ ফুট ১১ ইঞ্চি এবং সর্বোচ্চ প্রাকৃতিক বিন্দু মাত্র ৭ ফুট ১০ ইঞ্চি। যে কারণে মালদ্বীপ বিশ্বের সর্বনিম্ন দেশ হিসেবে পরিচিত।
মালদ্বীপে কোথায় ঘুরবেন
মালে
মালদ্বীপের সবচেয়ে বড় এই শহরের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে দেশের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানগুলোর সঙ্গে। এখানকার আকর্ষণ প্রবাল পাথরে বানানো হুকুরু মস্ক বা ওল্ড ফ্রাইডে, ভারুনুলা রালহুগান্ধু, মালে মাছ বাজার, সুনামি স্মৃতিস্তম্ভ, মালে জাতীয় জাদুঘর এবং মুলি আজ প্যালেস। স্নোর্কেলিং ও সার্ফিংয়ের স্বর্গরাজ্য এই মালে দ্বীপ।
হুলহুমালে দ্বীপ
মালদ্বীপের বৃহত্তম এই দ্বীপটি মূলত বাজেট হোটেল বা রেস্তোঁরার জন্য বিখ্যাত। রাজধানী মালে থেকে কাছাকাছি হওয়াতে নিমেষেই চলে আসা যায় হুলহুমলে সেন্ট্রাল পার্ক, হুলহুমলে বিচ, হুকুরু মিসকি এবং এইচডিসি বিল্ডিং দেখতে।
আরও পড়ুন: দিল্লি ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ভবিনফারু দ্বীপ
এখানে ভিড়ের প্রধান কারণ হলো সৈকতের বন্যান ট্রি ভবিনফারুর ঘরগুলো। ঘুরে দেখার সময় পর্যটকগণ জেট স্কিইং, প্যারাসেইলিং এবং স্নোর্কেলিং করতে কখনই ভোলেন না।
৮ মাস আগে