জয় বাংলা
‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগানের রায় স্থগিত চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ
‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান করার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের এই আবেদনের তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।
আগামী রবিবার আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানি হবে বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, ২০১০ সালের ১০ মার্চ ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান করার ওই রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুলের নিষ্পত্তি করে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, ‘জয় বাংলা জাতীয় ঐক্যের স্লোগান। জয় বাংলা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় স্লোগান এবং জয় বাংলা ৭ মার্চের ভাষণের সঙ্গে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
আদালত আরও বলেন, ‘আবেদনকারী সংবিধানের ৩ ও ৪ নম্বর অনুচ্ছেদের ধারাবাহিকতায় জাতীয় স্লোগান হিসেবে জয় বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করেছেন, এটা এই আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত। কারণ কোনো আইন প্রণয়ন করা এবং সংবিধান সংশোধন করার একমাত্র অধিকার জাতীয় সংসদের।’
তবে রাষ্ট্রপক্ষ এ রুলের সমর্থনে হলফনামা দিয়েছেন উল্লেখ করে আদালত রায়ে বলেন, আইন সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব জয়বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করায় একমত পোষণ করেছেন। এরপর আদালত রায়ের আদেশ ঘোষণা করেন। আদেশে আদালত বলেন—
ক. আমরা ঘোষণা করছি যে, জয় বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে।
খ. সব জাতীয় দিবসগুলোতে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদাধিকারী এবং রাষ্ট্রীয় সব কর্মকর্তা সরকারি অনুষ্ঠানের বক্তব্য শেষে জয় বাংলা স্লোগান যেন উচ্চারণ করেন। সেজন্য বিবাদীরা যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।
গ. সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি সমাপ্তির পরে ছাত্র-শিক্ষকরা যেন জয় বাংলা স্লোগান উচ্চারণ করেন। তার জন্য বিবাদীরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত
আদালতের এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন ৩ মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। রুলে ‘জয় বাংলা’কে কেন জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।
পরে ৫ ডিসেম্বর থেকে এ রুলের শুনানি শুরু হয়। রুলের বিবাদীরা হলেন— মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব ও শিক্ষা সচিব।
২ সপ্তাহ আগে
জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ বিজয়ী ১২ দল
সপ্তমবারের মত দেশ গঠনে এগিয়ে আসা একদল তরুণের হাতে উঠলো জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। শনিবার (১৮ নভেম্বর) ছয়টি ক্যাটাগরিতে তরুণদের ১২টি সংগঠনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
বিজয়ীদের হাতে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয়।
এক নজর দেখে নেওয়া যাক এবারের জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ১২ সংগঠনগুলোকে।
সোস্যাল ইনক্লুশন বা সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ক্যাটাগরিতে- ২টি সংগঠন
উইমেনস ড্রিমার ক্রিকেট অ্যাকাডেমি
অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে 'উইমেনস ড্রিমার ক্রিকেট অ্যাকাডেমি'।
আরিফা জাহান বিথি জানান, গ্রামে অবহেলিত মেয়েদের নিয়ে এই নারী ক্রিকেট একাডেমির পথচলা। নারী ক্ষমতায়ন, তাদের ক্রীড়া ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত করা এবং বাল্য বিবাহ হ্রাস করা এই ক্রিকেট একাডেমির মূল লক্ষ্য।
ভালো কাজের হোটেল
২০১৯ সাল থেকে ঢাকায় ভূমিহীন ও ভাসমান মানুষদের সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছে মো. শেহানুর রহমান আসিফের 'ভালো কাজের হোটেল'। ছিন্নমূল এ সকল মানুষের সহায়তার জন্য দৈনিক প্রায় ২৫০০ স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনটির জন্য কাজ করে। দৈনিক ১২-১৩ শত ছিন্নমূল মানুষকে সংগঠনটি সহায়তা দেয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংগীত দিয়ে শুরু জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড
দক্ষতা ও কর্মসংস্থান ক্যাটাগরিতে- ২টি সংগঠন
ঋতু হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং ফাউন্ডেশন
উম্মে শারমিন কবির পরিচালিত 'ঋতু হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং ফাউন্ডেশন' নারীদের জন্য পরিচালিত একটি সংগঠন যার মূল লক্ষ্য নারী ক্ষমতায়ন। আর এ জন্য প্রতিষ্ঠানটি নারী নিরাপত্তা, নারীর কর্মক্ষেত্রে ও চাকরির সুযোগ সৃষ্টি, কিশোরদের নিজেদের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং সন্তানদের লালন-পালন বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ ও সেবা প্রদান করে। সেই সঙ্গে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও সেমিনারও করা হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
সম্ভাবনা
২০১১ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের পর টেকসই উন্নয়ন, নারী ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস সহ আরও বেশ কিছু সামাজিক বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে 'সম্ভাবনা'।
এই সংগঠনের বিষয়ে মোশফেকা জান্নাত বলেন, ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। বর্তমানে সংগঠনটির পক্ষ থেকে পথ শিশুদের জন্য স্কুল, নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণ এবং স্বনির্ভর হওয়ার জন্য আরও কিছু প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। সংগঠনটির পক্ষ থেকে ১৬০ জন নারীকে সেলাই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
উদ্ভাবন ও যোগাযোগ ক্যাটাগরিতে- ২টি সংগঠন
ক্লিয়ার কনসেপ্ট
মো. হিরোক শেখের 'ক্লিয়ার কনসেপ্ট' দেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজের ২৫০ জনের বেশি সক্রিয় সদস্যকে নিয়ে ২০১৯ সাল থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এটি একটি স্বাস্থ্য প্রযুক্তি প্লাটফর্ম।
টিম অ্যাটলাস
উদ্ভাবন ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে সানি জুবায়েরের 'টিম অ্যাটলাস' ২০১৬ সাল থেকে কাজ করছে এবং তাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্জন রোবটিক্স এবং স্পেস এক্সপ্লোরেশনে যেখানে বিশ্ব রোবটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে গোল্ড মেডেল জয় করে তারা। ৮০ জন সক্রিয় সদস্য সহ মোট ১২০ জনকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে টিম অ্যাটলাস। দেশের ২১টি প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তাদের সংগঠনের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিতরণী ১৮ নভেম্বর
সমাজের উন্নয়ন ক্যাটাগরিতে- ২টি সংগঠন
নুপম ফাউন্ডেশন
সমাজ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে মো রেজাউল করিম এর 'নুপম ফাউন্ডেশন'। সংগঠনটি রক্তদান কর্মসূচি, সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টি, পথ নাটক এবং বই মেলা আয়োজনসহ আরও বেশ কিছু সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
আলট্রাস্টিক পিউপিলস ইয়ুথ অর্গানাইজেশন (এপিওয়াইও)
রাঙামাটির পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করছেন মালাচিং মারমার 'আলট্রাস্টিক পিউপিলস ইয়ুথ অর্গানাইজেশন' (এপিওয়াইও)।
২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর স্বাস্থ্য সেবাদান এবং ম্রো জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক সচেতনতা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে এই সংগঠনটি।
এছাড়াও এই সংগঠন বর্তমানে ৪ হাজারের বেশি তরুণ এবং ১৭০ জনের বেশি স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে চট্টগ্রামেও নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করছে সংগঠনটি।
জলবায়ু ও পরিবেশ সুরক্ষা ও সচেতনতা সৃষ্টি ক্যাটাগরিতে- ২টি সংগঠন
ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশ (ডব্লিউএসআরটিবিডি)
দেশের ৪০টি উপজেলায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক সচেতনতা তৈরি ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষার জন্য কাজ করছে 'ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশ' (ডব্লিউএসআরটিবিডি)।
মো শহিদুল ইসলাম জানান, সাপ উদ্ধার থেকে শুরু করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করে সংগঠনটি।
ইকো-নেটওয়ার্ক গ্লোবাল
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কাজ করছে 'ইকো-নেটওয়ার্ক গ্লোবাল'। শামীম আহমেদ মৃধা পরিচালিত এই সংগঠনটি নেটওয়ার্কিং ও পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। প্রায় ১৫০০ জনের বেশি স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে চলা এই সংগঠনের মাধ্যমে সুবিধা লাভ করেছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ।
আরও পড়ুন: ইয়ুথ গ্লোবালের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে শিল্প-সংস্কৃতির ১৪ প্লাটফর্ম
শিল্প ও সংস্কৃতি ক্যাটাগরিতে- ২টি সংগঠন
অভিনন্দন ফাউন্ডেশন
এক সময় দেশের মঙ্গা অঞ্চল হিসেবে পরিচিত রংপুরের চিত্র অনেকটা পাল্টে গেলেও এখনও অর্থনৈতিকভাবে এই অঞ্চলটি পিছিয়ে। আর এ কারণেই ২০১৭ সালের রংপুর অঞ্চলের মানুষের কর্ম সংস্থান এবং হতদরিদ্রদের সহায়তায় কাঞ্চন চন্দ্র রায় প্রতিষ্ঠা করেন 'অভিনন্দন ফাউন্ডেশন'। বর্তমানে এই সংগঠনটির ১০০জনের বেশি সক্রিয় সদস্য রয়েছে যাদের মাধ্যমে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ সেবা পাচ্ছে।
টঙ্গের গান
দেশের শিল্প সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে উজ্জীবিত রাখতে মো. মাহমুদুল হাসান আবির মিয়া গড়ে তোলেন 'টঙ্গের গান'। মানুষকে দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে এক বন্ধনে আবদ্ধ করতে এবং শিশু শিক্ষা, নারীর অধিকার ও নিরাপত্তা, বাল্য বিবাহ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্ট সহ সামাজিক সচেতনতা মূলক আরও বেশ কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করে টঙ্গের গান। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজন 'সম্প্রীতি সন্ধ্যা'য় নিয়মিত দুই হাজারের বেশি দর্শক উপস্থিত হয়। এখন পর্যন্ত এই সংগঠনের মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতির স্বাদ অন্বেষণ করেছেন সরাসরি ১ লাখের বেশি মানুষ।
জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার পাওয়া সংগঠনগুলো ছাড়াও ৩০০টির বেশি সংগঠন নিয়ে ইয়াং বাংলা বর্তমানে তারুণ্যের সর্ববৃহৎ প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। এই সংগঠনগুলোসহ ইয়াং বাংলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক ও ৩ লাখের বেশি সদস্য। ২০২২ সালের মে মাসে ইয়াং বাংলার সদস্য হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তারুণ্যের বৃহত্তম প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা ২০১৫ সাল থেকে প্রদান করে আসছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। এর আগের ছয় আসরে ১৪৫ তরুণদের নেতৃত্বাধীন সংগঠনকে সম্মানিত করা হয়েছে এই অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে তাদের সাফল্যের গল্প।
১ বছর আগে
বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি কৃতজ্ঞ: সজীব ওয়াজেদ
বাংলাদেশের তরুণরা সমস্যা সমাধানে চিন্তা করতে পারে। তাই বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের অনেক সমস্যা আছে, তবে আপনারা শুধু সমস্যা নিয়ে চিন্তা করেন না এগুলোর সমাধানও চিন্তা করছেন। এরপর সমাধান বের করছেন এবং বাস্তবায়ন করছেন।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের সপ্তম আসরের চূড়ান্ত পর্বে পুরস্কার বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এবার ৬টি ক্যাটাগরিতে মোট ১২টি সংগঠনকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
ইয়াং বাংলার পক্ষ থেকে ২০১৫ সাল থেকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে যেই উন্নতি হয়েছে তা আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আগামী ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, আমি শুরু থেকে বাংলার তরুণদের বলছি, আমরা দেশ হিসেবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশের তরুণরাও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। নিজের উদ্যোগে আপনারা নিজের কর্মসংস্থান বের করতে পারেন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যত সমস্যা আছে আপনারা এই সমস্যাও সমাধান করতে পারেন। শুধু সরকার পারে তা না, আমরা সবাই সব সমস্যা মোকাবিলা করতে পারি।
আরও পড়ুন: সামরিক শাসক ও মৌলবাদীদের কাছ থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে আ. লীগ: জয়
এ সময় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ও শীর্ষ বাছাই হওয়া সকল সংগঠনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ৭০০’র বেশি সংগঠন আবেদন করেছে। সবাইকে আমরা পুরস্কৃত করতে পারিনি। কিন্তু সবার জয়ই বাংলার জয়। আপনাদেরও অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। এত বছর ধরে ইয়াং বাংলার অ্যাওয়ার্ড করছি; পুরস্কার দিচ্ছি, আমি নিজেও অত্যন্ত গর্বিত। সংগঠনের সংখ্যা অনেক বেড়েছে, আমরা শুরু করেছিলাম মাত্র কয়েকশো’ নিয়ে। এখন সাতশোর বেশি আবেদন এসেছে।
তিনি বলেন, আপনারা যেভাবে সব জেলায় কাজ করছেন, যেভাবে ছড়িয়ে যাচ্ছেন এবং পরিশ্রম করছেন, জাতিসংঘ-ইউনেস্কো সবখানে স্বীকৃতি পাচ্ছেন, তা দেখে খুব গর্ব হয়।
তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য যেভাবে কাজ করছেন, পরিবেশের জন্য যে চিন্তা ও পরিশ্রম করছেন তা অসাধারণ। আমাদের স্বপ্ন ছিল তরুণরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আপনারাই হচ্ছেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। আমাদের চিন্তা শুধু বাংলাদেশের বর্তমান নয়, ভবিষ্যৎ নিয়েও। গত ১৫ বছর ধরে যে গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আপনারা তা দেখিয়ে দিচ্ছেন। আমরা যখন শুরু করেছিলাম বাংলাদেশ তখন ছিল দরিদ্র দেশ, এখন মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে গেছি।
তরুণরা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের যে পাথফাইন্ডার আছে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল; স্বাধীনতার আগে থেকেই আপনারা বাংলাদেশের চেতনা ও স্বাধীনতার চেতনা দেখিয়েছেন। এই তরুণরা আপনাদেরই সন্তান। আপনাদের প্রতি আমার ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতা। আমাদের জুরিরা পরিশ্রম করেছেন। আবেদনের সংখ্যা বাড়ছে, তাদের (জুরি) পরিশ্রমও বাড়ছে। আপনাদের প্রতিও আমার ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৫ বছর আগে কেউ কল্পনা করতে পারেনি উন্নয়নের এই গতি হতে পারে। এই গতি যদি ধরে রাখা যায় আগামী ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হবে। আর আগামী ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশ বিএনপি-জামায়াত বলে কোনো দল টিকবে না। যখন বাংলাদেশ থেকে এই জঙ্গি ও মৌলবাদী শক্তির চিহ্ন মুছে যাবে, তখন বাংলাদেশে শান্তি আসবে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ নেই জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র বলেন, অনেকেই মৌলবাদী ও সন্ত্রাসীদের উস্কাচ্ছে। যেহেতু নির্বাচন সামনে, তাই আমি আপনাদের অনুরোধ করব এদের কথায় কান দেবেন না। বিশেষ করে আমাদের অনেক বিদেশি রাষ্ট্রদূত নির্বাচনের আগে অনেক বেশি কথা বলা শুরু করে। ঠিক তখনই এই সন্ত্রাস, সংঘর্ষ, জ্বালাও-পোড়াও শুরু হয়। তার মানে কি? তাদের এরাই উস্কাচ্ছে।
তবে চিন্তা করবেন না, যেদিন নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে, তারাও চুপ হয়ে যাবে। আর বেশি দিন নাই, মাত্র দেড় মাস। সামনে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চাইলে একটি উপায়। আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।
আরও পড়ুন: খোলা মাঠ থাকতেও কেন সড়কে সমাবেশ: বিএনপিকে জয়ের প্রশ্ন
খোলা মাঠ থাকতেও কেন সড়কে সমাবেশ: বিএনপিকে জয়ের প্রশ্ন
১ বছর আগে
জাতীয় সংগীত দিয়ে শুরু জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড
সমস্বরে জাতীয় সংগীত গেয়ে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের সপ্তম আসরের চূড়ান্ত পর্ব শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয়ের উপস্থিতে দেওয়া হচ্ছে এবারের জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়, যা ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলে।
সারাদেশ থেকে আসা ৭৫০টিরও বেশি সংগঠনের আবেদনের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই ও ফিল্ড ভিজিট শেষে ৬ ক্যাটাগরিতে এবার ১২টি সংগঠনকে দেওয়া হচ্ছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।
এবারের পুরস্কারের জন্য গঠিত জুরি বোর্ডে ছিলেন- অ্যাক্টিভিস্ট ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর, মুক্তিযোদ্ধা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. মখদুম নার্গিস, সাংবাদিক ও আর্টিস্ট এলিটা করিম, অভিনয় শিল্পী মোশাররফ করিম, উদ্যোক্তা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মালিহা মান্নান আহমেদ, বাংলাদেশ নারী জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক।
এই বিশেষ প্যানেলের দীর্ঘদিনের বিচার-বিশ্লেষণ শেষে বাছাই করে ২৬ সংগঠনকে এবং সেখান থেকে ১২ সংগঠনকে বেছে নেওয়া হয়, যাদের হাতে আজ (১৮ নভেম্বর) তুলে দেওয়া হয় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।
'জয় বাংলা' স্লোগানকে ধারণ করে তরুণদের দেশ গঠনে উদ্বুদ্ধ করতে নিয়মিত জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
আয়োজক ইয়াং বাংলা জানায়, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে পরিচিত করে তুলতে এবং বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ের সমস্যাগুলোর সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। তাদের কাজের স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে অনুপ্রেরণা দিতেই এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিতরণী ১৮ নভেম্বর
১ বছর আগে
জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিতরণী ১৮ নভেম্বর
জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ বিজয়ীদের হাতে আগামী শনিবার (১৮ নভেম্বর) তুলে দেওয়া হবে।
সপ্তমবারের মতো আয়োজিত এই আয়োজনে সারাদেশ থেকে আসা ৭৫০টিরও বেশি সংগঠনের আবেদন থেকে বাছাই করে ৬ ক্যাটাগরিতে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে।
ইয়াং বাংলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বছর প্রাথমিকভাবে পাওয়া আবেদনগুলো থেকে যাচাই-বাছাই শেষে ফিল্ড ভিজিটে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আরও যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে সর্বশেষ বাছাইদের নাম আমরা দ্রুতই সবাইকে জানিয়ে দেব।
মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান 'জয় বাংলা' বাংলাদেশের পরিচয়কে ধারণ করে। সেই স্লোগানকে ধারণ করে এই পুরস্কার তরুণদের মধ্যে এক স্বপ্নবীজ বপন করে। মানবিক কাজ ও সমাজে অবদানের জন্য বাংলাদেশের সেরা যুব সংগঠনগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এই পুরস্কারের মাধ্যমে।
তারুণ্যের বৃহত্তম প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা ২০১৫ সাল থেকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড দিয়ে আসছে। এর আগের ছয় আসরে ১৪৫ তরুণের নেতৃত্বাধীন সংগঠনকে সম্মানিত করা হয়েছে এই পুরস্কারের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে নিবন্ধনে বাকি আর ৯ দিন
সেই সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে তাদের সাফল্যের গল্প।
এ বছর ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের সংগঠনগুলোকে ৬টি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
ক্যাটাগরিগুলো হলো- দক্ষতা ও কর্মসংস্থান, শিল্প ও সংস্কৃতি, সম্প্রদায়ের সুস্থতা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, জলবায়ু ও পরিবেশ উদ্ভাবন এবং যোগাযোগ।
জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পাওয়া সংগঠনগুলো ছাড়াও ৩০০টির বেশি সংগঠন নিয়ে ইয়াং বাংলা বর্তমানে তারুণ্যের সর্ববৃহৎ প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে।
এই সংগঠনগুলোসহ ইয়াং বাংলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক এবং তিন লাখের বেশি সদস্য।
২০২২ সালের মে মাসে ইয়াং বাংলার সদস্য হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ইয়ুথ গ্লোবালের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে শিল্প-সংস্কৃতির ১৪ প্লাটফর্ম
বিজয়ীদের হাতে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেবেন রাদওয়ান মুজিব
১ বছর আগে
জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে নিবন্ধনে বাকি আর ৯ দিন
জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জন্য আর মাত্র ৯দিন বাকি। দেশ গঠনে কাজ করে যাওয়া তরুণদের সংগঠনগুলোকে স্বীকৃতি দিতে সপ্তমবারের মতো ইয়াং বাংলা আয়োজন করছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।
আয়োজক ইয়াং বাংলার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য সচেতনতা বাড়াতে এবং মেয়েদের হয়রানিসহ সামাজিক বাধাগুলো অতিক্রম করে তাদের অধিকারের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করা সংগঠনগুলো, বর্তমান প্রজন্মকে কার্যকর ও দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে কাজ করে যাওয়া সংগঠনগুলো, শিশু শ্রমের হুমকি রোধ ও শিশু অধিকারের পক্ষে কাজ করা সংগঠন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সামাজিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে এবং তাদের অধিকার সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে কাজ করা সংগঠন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রচারে কাজ করা সংগঠনসহ অসংখ্য সংগঠন এরই মধ্যে আবেদন করেছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জন্য।
আমরা আশা করছি দেশের প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে যাওয়া আরও অনেক সংগঠনের আবেদন আমরা পাব।
তবে জাতীয় পর্যায়ে নিজ নিজ কাজের স্বীকৃতি পেতে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদনের সময় একেবারেই শেষের দিকে আর মাত্র ৯দিন রয়েছে।
সপ্তমবারের মত জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ আয়োজন করছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলা। ইতোমধ্যে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়ে গিয়েছে যা চলবে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত।
দেশজুড়ে কাজ করে যাওয়া তরুণদের সংগঠনের পাশাপাশি সামাজিক সেবাদান, ক্যাম্পেইন ও কার্যক্রমের মাধ্যমে ভূমিকা রাখা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক ক্লাবকেও এই অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদনের আহ্বান জানিয়েছে ইয়াং বাংলা।
আরও পড়ুন: বিজয়ীদের হাতে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেবেন রাদওয়ান মুজিব
এ বছর ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের সংগঠন ৬টি ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে পারবে। সেগুলো হলো দক্ষতা ও কর্মসংস্থান, শিল্প ও সংস্কৃতি, সম্প্রদায়ের সুস্থতা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, জলবায়ু এবং পরিবেশ উদ্ভাবন ও যোগাযোগ।
এই ক্যাটাগরির আওতাভুক্ত সংগঠনগুলো নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন, পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থান ও উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা ও বিনোদন, জ্ঞান ও সক্ষমতা বিকাশ, অতিদরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক–সাংস্কৃতিক উদ্যোগ, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জরুরি সেবা দেওয়া নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে; তারা জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবে।
অন্তত ১৮ মাস ধরে এসব সেবামূলক কাজে যুক্ত সংগঠন বা সংস্থা এতে আবেদন করতে পারবে এবং পুরস্কার পেতে আবেদনকারী সংগঠন বা সংস্থার বয়স অন্তত ২ বছর হতে হবে।
ইয়াং বাংলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত বছর তরুণদের কাছ থেকে দুর্দান্ত সাড়া পেয়ে এই বছর বহুল প্রতীক্ষিত জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড আবারও প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়। সিআরআই ও ইয়াং বাংলার অফিসিয়াল প্লাটফর্মগুলো থেকে এই ঘোষণা প্রদানের পর প্রথম দুই সপ্তাহেই দারুণ সাড়া মিলেছে তরুণদের কাছ থেকে।
মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান 'জয় বাংলা' বাংলাদেশের পরিচয়কে ধারণ করে। সেই স্লোগানকে ধারণ করে এই পুরস্কারটি তরুণদের মধ্যে এক স্বপ্নবীজ বপন করে। মানবিক কাজ এবং সমাজে অবদানের জন্য বাংলাদেশের সেরা যুব সংগঠনগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এই পুরস্কারের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ হলো জাতীয় স্লোগান
সারাদেশে থেকে দেশ ও সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণ প্রতিভাদের খুঁজে বের করার জন্য সবদিক বিবেচনায় রেখে যাচাই-বাছাই করা হয় এই পুরস্কারের জন্য যা তরুণদের কাছে এরই মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই পুরস্কারপ্রাপ্ত অনেকগুলো সংগঠন পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন স্বীকৃত পুরস্কার লাভ করেছেন।
এই পুরস্কারের আবেদনের সময় শেষ হওয়ার পর মাঠ পর্যায়ে সংগঠনগুলোর কার্যক্রম যাচাই-বাছাই শেষে একটি উচ্চ পর্যায়ের বিচারক প্যানেল তৈরি করে চূড়ান্ত বাছাই করা হয় এই অ্যাওয়ার্ড প্রদানের জন্য। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের তারিখ জানানো হবে।
তারুণ্যের বৃহত্তম প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা ২০১৫ সাল থেকে প্রদান করে আসছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। এর আগের ছয় আসরে ১৫৩ তরুণদের নেতৃত্বাধীন সংগঠনকে সম্মানিত করা হয়েছে এই অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে তাদের সাফল্যের গল্প।
পুরস্কার পাওয়া সংগঠনগুলো ছাড়াও ৩০০টির বেশি সংগঠন নিয়ে ইয়াং বাংলা বর্তমানে তারুণ্যের সর্ববৃহৎ প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। এই সংগঠনগুলোসহ ইয়াং বাংলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক এবং ৩ লাখের বেশি সদস্য। ২০২২ সালের মে মাসে ইয়াং বাংলার সদস্য হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: এবারও হচ্ছে না জয় বাংলা কনসার্ট, থাকছে ভিন্ন আয়োজন
১ বছর আগে
জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র সঙ্গে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ অন্তর্ভুক্ত করতে রুল জারি
‘জয় বাংলা’ বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে জারি করা গেজেট সংশোধন করে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ অন্তর্ভুক্ত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (০৩ এপ্রিল) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, শিক্ষা সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের সেই শিশুকে ১৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
এছাড়া রিটের পক্ষে শুনানি করেছেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূইঁয়া।
গত বছরের ১২ নভেম্বর জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র গেজেট সংশোধন করে তাতে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেলসহ ১৩ আইনজীবী।
আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যখনই জয় বাংলা উচ্চারিত হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু উচ্চারিত হয়েছে। স্বাধীনতার জন্য এই স্লোগান ছিল উৎসাহমূলক।
জয় বাংলা আর জয় বঙ্গবন্ধু একটাই স্লোগান; পৃথক কোনো স্লোগান নয়।
২০১৬ সালের ৩ মে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক এবং অভিন্ন। এই দেশটি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। তাইতো মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র বাঙালির মুখে মুখে স্লোগান ছিল ‘এক নেতা একদেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান আমাদের জাতীয় স্লোগান। এজন্য জয় বাংলার সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভূক্ত করতে রিট করা হয়। রিট আবেদনটির প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হজ প্যাকেজের অতিরিক্ত খরচ কেন জনস্বার্থ পরিপন্থী নয়: হাইকোর্ট
এর আগে ২০২০ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান (প্রয়াত) ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান ঘোষণার বিষয়ে রায় দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদারত বলেন, জয় বাংলা জাতীয় ঐক্যের স্লোগান। জয় বাংলা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় স্লোগান এবং জয় বাংলা ৭ মার্চের ভাষণের সঙ্গে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আদালত আরও বলেন, আবেদনকারী সংবিধানের ৩ ও ৪ নম্বর অনুচ্ছেদের ধারাবাহিকতায় জাতীয় স্লোগান হিসেবে জয় বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করা দাবি করেছেন-এটা এই আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত।
কারণ কোনো আইন প্রণয়ন করা এবং সংবিধান সংশোধন করার একমাত্র অধিকার জাতীয় সংসদের।
তবে রাষ্ট্রপক্ষ এ রুলের সমর্থনে হলফনামা দিয়েছেন উল্লেখ করে আদালত রায়ে বলেন, আইন সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করায় একমত পোষণ করেছেন।
এরপর আদালত রায়ের আদেশ অংশ ঘোষণা করেন।
আদেশে আদালত বলেন, ক. আমরা ঘোষণা করছি যে, জয় বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে।
খ. সব জাতীয় দিবসগুলোতে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদাধিকারীগণ এবং রাষ্ট্রীয় সব কর্মকর্তা সরকারি অনুষ্ঠানের বক্তব্য শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ যেন করেন, সেজন্য বিবাদীরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
গ. সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি সমাপ্তির পরে ছাত্র শিক্ষকরা যেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ করেন, তার জন্য বিবাদীরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এরপর গত বছরের ২ মার্চ ‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
আরও পড়ুন: যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানোর একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কেন অসাংবিধানিক নয়: হাইকোর্ট
১ বছর আগে
বাঙালি জাতির মাথা উঁচু করে চলার স্লোগান ‘জয় বাংলা’: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, দেশের সকল অর্জনের মূলে থাকা ‘জয় বাংলা’কে সরকার জাতীয় স্লোগান ঘোষণার মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বকে এই বার্তাই পৌঁছে দিতে চেয়েছে যে, বাঙালি মাথা নিচু করে নয় বরং মাথা উঁচু করেই চলবে।
তিনি বলেন, ‘মাথা নত করে আমরা চলি না, চলব না। বিজয়ীর বেশে মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে প্রতিটি বাঙালি যে যেখানে থাকে, সে মাথা উঁচু করে চলবে। বাঙালি জাতির মাথা উঁচু করে চলার স্লোগান এই ‘জয় বাংলা’।’
স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মূল উদ্দীপক স্লোগান ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা উপলক্ষে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) আয়োজিত ‘জয় বাংলা উৎসব’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর বনানীস্থ হোটেল শেরাটনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
পড়ুন: এবারও হচ্ছে না জয় বাংলা কনসার্ট, থাকছে ভিন্ন আয়োজন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জয় বাংলা আমাদের মুক্তি সংগ্রামের স্লোগান। জয় বাংলা মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান। জয় বাংলা আত্মত্যাগের স্লোগান। যে স্লোগানের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করেছি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ছয় দফা দিলেন, তখনই তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন জয় বাংলাকে মাঠে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমরা তখন ছাত্রলীগের কর্মী। আমাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ নির্দেশনার অন্তর্নীহিত কারণ ছিল সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মানুষের ভেতর স্বাধীনতার চেতনাকে জাগ্রত করা। উদ্বুদ্ধ করা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ স্লোগানের মাধ্যমেই আমাদের সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং বিজয় অর্জন। প্রতিটি পদক্ষেপ তিনি নিয়েছিলেন সুপরিকল্পিতভাবে। যে কারণেই আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি, মর্যাদা পেয়েছি। ‘জয় বাংলা’র মধ্য দিয়ে এটাই আমরা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছাতে চাই, আমরা বিজয়ী জাতি, আমরা বিজয় অর্জন করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসকে দেশের প্রতিটি দুর্যোগে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার পাশাপাশি জয় বাংলা স্লোগান উদযাপনের এ উৎসবটি আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বক্তব্য দেন।
পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ হলো জাতীয় স্লোগান
২ বছর আগে
‘জয় বাংলা’ হলো জাতীয় স্লোগান
‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সব জাতীয় দিবস উদযাপন এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় ও সরকারি অনুষ্ঠান শেষ ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ১৬ ডিসেম্বর থেকে ‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান: হাইকোর্ট
এছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাত্যহিক সমাবেশ শেষে এবং সভা-সেমিনারে বক্তব্য শেষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ করবেন।
২ বছর আগে
‘জয় বাংলা’ বলে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ জানালেন বরিস জনসন
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগিয়ে আসার জন্য ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের ‘জয় বাংলা’ বলে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এছাড়া তিনি বলেছেন, ব্রিটেন ও বাংলাদেশের মধ্যে আগামী ৫০ বছরের বন্ধুত্বের জন্য অপেক্ষা করছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করার সময় এক ভিডিও বার্তায় বরিস এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আসুন ব্রিটেন ও বাংলাদেশের মধ্যে আগামী ৫০ বছরের বন্ধুত্বের অপেক্ষায় থাকি। জয় বাংলা।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সপ্তাহে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরও ৪০ লাখেরও বেশি অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। সুতরাং, এখনই নিজের, আপনার বন্ধুদের এবং আপনার পরিবারের সবাইকে টিকা নিতে উৎসাহিত করুন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য ওমিক্রন সংক্রমণের ঢেউয়ের মুখোমুখি: বরিস জনসন
বরিস জনসন বলেন, এই মুহূর্তে হাজার হাজার ‘অসাধারণ’ বাংলাদেশি চিকিৎসক ও নার্স যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমের আওতায় কাজ করছেন এবং সেবা-যত্ন দিয়ে অন্যদের জীবন রক্ষা করছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে এবং তাদের নিরাপদ রাখতে আপনারা যা করতে পারেন, তা হল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকার ‘বুস্টার ডোজ’ নিয়ে নিতে পারেন।
বরিস আরও বলেন, অনুগ্রহ করে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করুন এবং করোনার ওমিক্রন ধরণ থেকে নিজেদের রক্ষা করুন।
আরও পড়ুন: কোয়ারেন্টাইনে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে বরিস জনসনের ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’
৩ বছর আগে