দুর্যোগ মোকাবিলা
সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকার মানুষ দিন কাটাচ্ছে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার মধ্যে
সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব এখনো কাটেনি।
শুক্রবার সকাল থেকে উপকূলীয় এলাকায় মাঝে মাঝে দমকা হাওয়া ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
এই আবহাওয়ার মধ্যে স্থানীয় লোকজন তাদের জান, সম্পদ রক্ষার্থে স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ অব্যাহত রেখেছে। যে ৪৪ টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়েছিল তার অধিকাংশ সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ইয়াসের প্রভাবে ১৬ গ্রাম প্লাবিত
শ্যামনগর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের লোকসংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লাখ। আর আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে লোকসংখ্যা প্রায় দুই লাখ ৭০ হাজার। এ দুই উপজেলা খোলপেটুয়া, ইছামতি চুনকুড়ি, চুন, মালঞ্চ নদনদী দিয়ে বেষ্টিত। এসব জনপদ নদনদীর পানি থেকে রক্ষা করতে রয়েছে ২০৫ কিলোমিটার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধে ঘেরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে এ দুই উপজেলার মানুষ টিকে আছে। প্রায় প্রতিবছর কোনো না দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয় এসব জনপদের মানুষের।
আরও পড়ুন: 'ইয়াস' মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
২০২০ সালের ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে এ দুই উপজেলা লন্ডভন্ড করে দিয়ে যায়। এখন মানুষ সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠে ঘুরে দাঁড়িতে পারেনি। ঠিক এক বছর পর আবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর কবলে পরে এসব জনপদ।
সরেজমিনে শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কথা বলে দেখা গেছে, বুধবার জোয়ারে যেসব বাঁধ ভেঙ্গে ও পানি উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকেছিল, তার অধিকংশ এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। শ্যামনগরের দ্বীপ ইউনিয়ন পদ্মপুকুর ও আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ এখনও সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। ফলশ্রুতিতে ঐ দুটি ইয়নিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ধ্বসে পড়া বেড়িবাঁধ নির্মাণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ঐ এলাকায় শুকনো খাবার ও সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় ইয়াসের প্রভাবে চরাঞ্চল প্লাবিত, ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, পদ্মপুকুর ও প্রতাপনগর ইউনিয়নে ধ্বসে পড়া বেড়িবাঁধ এখনো নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। অন্য স্থানে সংস্কার কাজ সম্ভব হয়েছে। দূর্গত এলাকায় শুকনো খাবার ও সুপেয় পানি পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি না পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।
৩ বছর আগে
দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের সক্ষমতা নিয়ে আত্মতুষ্টির সময় আসেনি: টিআইবি
প্রাণহানি কমানো, দুর্যোগ মোকাবিলার কাঠামোবদ্ধ মডেল প্রস্তুত ও বিভিন্ন দেশের তা অনুসরণসহ বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবিলায় যথেষ্ট সুনাম অর্জন করলেও এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট উৎকর্ষ সাধনের সুযোগ আছে এবং এখনও আত্মতুষ্টির সুযোগ আসেনি বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
৩ বছর আগে