নানক
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার: নানক
সিলেটে বন্যায় কৃষিখাতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সরকার সেগুলোর ক্ষতিপূরণ দেবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
সোমবার (২৪ জুন) সিলেট সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরীর ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে দুপুরে বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপির দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ এখন আর নেই: নানক
এছাড়াও সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবের উদ্যোগে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলামে এবং সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২৪ নম্বর ওয়ার্ড তেররতন এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা।
ত্রাণ বিতরণকালে বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, সুরমা-কুশিয়ারা নদী খননের মাধ্যমে সিলেটবাসীকে বন্যা থেকে রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বছর সিলেটবাসীকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এবং পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে সিলেট পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
নানক বলেন, ‘আমরা শুধু ত্রাণ বিতরণ করতে চাই না। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। দেশের যেকোনো দুর্যোগে আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। শেখ হাসিনা তার লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছেন।’
বিএনপির সমালোচনা করে নানক বলেন, ক্ষমতার বসে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে দেশকে দেউলিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল বিএনপি। তাদের কর্তা-ব্যক্তিরা বিদেশে টাকা পাচার করে আলিশান অট্টালিকা নির্মাণসহ সম্পদের পাহাড় তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অভিযোগ করেছিলাম তারেক রহমান এই দেশে অর্থ লোপাট করছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। তারেক রহমান তো দূরের কথা, একটি দুনীর্তিবাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি খালেদা জিয়ার সরকার।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য আজিজুস সামাদ ডন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. মখলিছুর রহমান কামরান।
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমান কাকুতি মিনতি করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: নানক
ভারতের নির্বাচনের পর ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে ব্যবস্থা: নানক
৫ মাস আগে
জিয়াউর রহমান কাকুতি মিনতি করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: নানক
বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) যখন গঠিত হয়, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া তখন কাকুতি মিনতি করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, অথচ আজ তারা বড় বড় কথা বলে। জিয়াউর রহমানের এই দলের জন্মই হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতাকে হত্যা করার জন্য। সেজন্যই তিনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, নিজামীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছিলেন। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে খুনি ডালিম রশিদদের পুরস্কৃত করেছিলেন।
আরও পড়ুন: সোনালী ব্যাগের জন্য প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা বড় বাধা হলেও আমরা জয়ী হব: পাটমন্ত্রী নানক
বুধবার (২২ মে) দিনাজপুর সার্কিট হাউজে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ দলটিকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে। কিন্তু শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর আমরা একটি প্রত্যয় দেখতে পেলাম। আমরা তার পেছনে গিয়ে দাঁড়ালাম। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমারা ঘুরে দাঁড়ালাম।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে জেনারেল জিয়া বিরাজনীতিকরণের ধারার সূচনা করেছিলেন। স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করেছিলেন। সেই দিনে আর ফিরে যেতে দেওয়া যাবে না। এদেশে সরকারে থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, বিরোধী দলেও থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরাই দেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করবে।
দিনাজপুর সফর সম্পর্কে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, আমি ধান চালের এই অঞ্চল দিনাজপুরে এসেছি আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে। মিলারদের সঙ্গে কথা বলব, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলব। আমরা পাট উৎপাদন ও পাটের বস্তাসহ অন্যান্য পাটপণ্য ব্যবহার বৃদ্ধি করতে চাই।
তিনি বলেন, এখানে একটি টেক্সটাইল মিলের ৩৬ দশমিক ৭৪ একর জমি পড়ে আছে। এটাকে ফেলে রাখা হবে না। এটা নিয়ে আমরা শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেব।
আরও পড়ুন: ভারতের নির্বাচনের পর ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে ব্যবস্থা: নানক
বিএনপির দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ এখন আর নেই: নানক
৭ মাস আগে
ভারতের নির্বাচনের পর ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে ব্যবস্থা: নানক
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ভারতের ভিসা প্রাপ্তি সহজ করা, ভোগান্তি ও চাপ কমাতে দুই বছর মেয়াদি ভিসা চালুর বিষয়ে দেশটির নির্বাচনের পরে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে ভারতের ভিসা পেতে মানুষের যে ভোগান্তি হচ্ছে সেজন্য ভিসা ব্যবস্থা আরও সহজ করার জন্য অনুরোধ করেছি। যাতে মানুষ অল্প সময়ের মধ্যে ভিসা পেতে পারে।
আরও পড়ুন: অ্যাকটিভ অর্গানাইজেশন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের মান্যবর হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা নিয়ে ভারত কী বলেছে- এমন প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, আমরা যেসব সমস্যার কথা বলেছি সে বিষয়ে তিনি একমত হয়েছেন।
তিনি বলেছেন, যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো সহজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তাদের চাপ বেশি হয়। কখনো কখনো অতিরিক্ত চাপ হয়ে যায়। সেটা সামাল দেওয়ার জন্য যেটা প্রয়োজন সেটা করতে হবে।
বস্ত্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমি গত বছর রাজনৈতিক সফরে ভারতে গিয়েছিলাম সে সময় ভারতের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাকালে এ বিষয়টি বলেছি।
ভিসার চাপ কমাতে ভারত অন-অ্যারাইভাল ভিসার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের বলেছি সৌদি আরবও ভিসা অনেক সহজ করেছে। কাজেই আপনাদের আগের জায়গায় থাকলে চলবে না। আপনারা বলছেন ওভারলোড হচ্ছে। সেটা কমাতে আমাদের যে ভিসা দিচ্ছেন সেটা দুই বছর মেয়াদি দিলে লোড কম হতো। লোড কমাতে ভিসার মেয়াদ দীর্ঘ মেয়াদি করতে হবে। এ বিষয়ে হাইকমিশনার একমত হয়েছেন।
তিনি বলেছেন, আমরা চেষ্টা করছি। নির্বাচনের পরে এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাটের অ্যান্টি ডাম্পিং নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পাটমন্ত্রী বলেন, ভারতে এখন নির্বাচন চলছে। নির্বাচনের পরে দুই সরকারের মধ্যে আলোচনা হবে। আমরা আশা করছি, কোনো ফলপ্রসূ সমাধান আসবে।
আরও পড়ুন: পুনরাবৃত্তি-মূলধনী ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ অর্থ মন্ত্রণালয়ের
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের পাটকলগুলোতে আরও বেশি বিনিয়োগ করার জন্য বলেছি। ইতোমধ্যে ভারতের তিনটি কোম্পানি আমাদের তিনটি জুটমিলে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং কারো কারো সঙ্গে আমাদের চুক্তিও হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ পাট বীজ ভারত থেকে আমদানি করি। এজন্য আমরা বলেছি আমাদের মানসম্পন্ন পাট বীজ দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পাটবীজ দিতে হবে। কোনোক্রমেই যেন বিলম্বিত না হয়। সে বিষয়ে নজর রাখার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছি। এবিষয়ে তাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়েছি৷
তিনি বলেন, আমাদের থেকে ভারত সিল্কে অনেক বেশি এগিয়ে গেছে। সিল্ক উৎপাদনে ভারত পৃথিবীর শীর্ষে রয়েছে। এজন্য দেশে মানসম্মত সিল্ক উৎপাদনে আমাদের কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেছি। টেক্সটাইল খাতে দুই দেশ এক সঙ্গে কাজ করছি এটিকে আরও জোরদার করতে একমত হয়েছেন।
নানক বলেন, আমাদের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পে আরও বেশি বিনিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করেছি। কারণ আমাদের অনেকগুলো জুটমিল বন্ধ হয়ে আছে। সেগুলোকে আবার ফিরিয়ে আনতে চাই। এবিষয়ে সোহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা করেছি।
পাটের বীজ উৎপাদন বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, পাট অধিদপ্তরের মাধ্যমে সারা দেশে একটি প্রজেক্ট চালু রয়েছে পাট বীজ উৎপাদনে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য। যাতে কৃষক পাটবীজ আরও বেশি করে উৎপাদন করে। এর মাধ্যমে আমরা পাটবীজের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে পারব।
রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে নানক বলেন, ভারতে নির্বাচন চলছে, আমরাও নির্বাচন করেছি৷ এই মুহূর্তে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন এক্ষেত্রে রাজনৈতিকভাবে বিষয়টি কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লুর সফর নিয়ে অনেকেই আনন্দে ছিলেন। ডোনাল্ড লু এসেছিলেন যেন তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়ার জন্য। ভৌগলিক কারণে বাংলাদেশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য বাংলাদেশ সরকার, জনগণের সরকার ও শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে সার্বিকভাবে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং দৃঢ় করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: ৩৫টি জেলায় দুধ-ডিম-মাংস বিক্রি: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
৭ মাস আগে
বিএনপির দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ এখন আর নেই: নানক
বিএনপির দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ এখন আর নেই বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
ঈদ মানুষের কষ্টে কেটেছে বলে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য প্রসঙ্গে নানক বলেন, রুহুল কবির রিজভী সাহেবরা যে কথা বলেন তারা সে বাংলাদেশ দেখতে অভ্যস্ত। আজ বাংলাদেশ এমন এক জায়গায় গেছে যে পেছনে তাকানোর সময় নেই।
আরও পড়ুন: পাটপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: নানক
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি একথা বলেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আজ বিশ্ব হাতের নাগালের মধ্যে। কাজেই রুহুল কবির রিজভী সাহেবরা যে দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিলেন সে দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ আজ আর নেই।
নানক বলেন, আজকের বাংলাদেশ একটি সুন্দর বাংলাদেশ, হাস্যোজ্জ্বল বাংলাদেশ। রুহুল কবির রিজভী সাহেবরা যত স্বপ্নই দেখুক সে স্বপ্ন পূরণ হবে না।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ। আমরা যারা সরকারের লোক এবং সরকারে রয়েছি, আমরা কিন্তু রমজানের আগেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি। রমজানের আগেই বাজার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, আমার নির্বাচনি এলাকা মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরে বাংলা নগরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সুলভ মূল্যে কেনাকাটার ব্যবস্থা করেছিলাম। ঢাকার মানুষ যে বাজার পরিস্থিতির মুখোমুখি ছিল মফস্বলের মানুষ কিন্তু সে পরিস্থিতির মুখে ছিল না। ঢাকা শহরে এক পরিস্থিতি, মফস্বলে আরেক পরিস্থিতি। তৃণমূল কৃষক যে দামে বিক্রি করে ভোক্তার কাছে এসে তা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এটি আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি।
তাহলে কি সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেননি- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সিন্ডিকেট একটা পপুলার শব্দ। সিন্ডিকেট আমার কাছে মনে হয়েছে বড় ব্যাপার। তবে সিন্ডিকেট কাঁচাবাজারের ব্যাপারে প্রযোজ্য নয়। মাঝখানে যারা ভোক্তা যাদের কাছে মালামাল কেনে সেখানে নিয়ন্ত্রণ হওয়া দরকার। সে কাজ সরকার করবে, সেটি সরকারের দায়িত্ব। সুলভ মূল্যের বাজারের কারণে ঢাকা শহরে ১৫ রোজার পরে জিনিসপত্রের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে এসেছে। জিনিসপত্র, কাঁচামালের দাম নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের মানুষ দুটি বড় উৎসব পালন করল। ঈদুল ফিতরের পর বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছে। দুটি উৎসব মানুষ আনন্দের সঙ্গে পালন করেছে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: সোনালী ব্যাগের জন্য প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা বড় বাধা হলেও আমরা জয়ী হব: পাটমন্ত্রী নানক
পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিকবিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে: নানক
৮ মাস আগে
পাট-পাটজাত পণ্যের রপ্তানি ঈর্ষণীয় পর্যায়ে আনতে চাই: নানক
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয় ঈর্ষণীয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পাট শিল্পের বর্তমান সংকট নিয়ে ভাবছি, সমস্যাগুলো জানার চেষ্টা করছি। এ শিল্পকে স্বগৌরবে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দ্রুত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হবে পাটের সোনালি ঐতিহ্যকে।
মন্ত্রী বলেন, রপ্তানি পণ্য হিসেবে শুধু গার্মেন্টস পণ্যের উপর নির্ভরশীল না থেকে বহুমুখী পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড সুপরিকল্পিত: নানক
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, পাটকে আবার তার ঐতিহ্যের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে চায় সরকার। এজন্য প্রধানমন্ত্রী সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। এরই মধ্যে মন্ত্রিসভায়ও প্রধানমন্ত্রী পাট শিল্পের বিষয়টি এনেছেন।
তিনি বলেন, পাট শিল্পে অনেক সমস্যা রয়েছে, জানার ও বোঝার চেষ্টা করছি। এর সমস্যা সমাধানে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফ বলেন, পাটকলগুলোর মধ্যে ১৭টি লিজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি জুট মিল বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় উৎপাদনে আছে এবং রপ্তানি করছে। আমাদের জুট মিলের মধ্যে ২টি বিদেশি কোম্পানি সরাসরি শতভাগ বিনিয়োগ করেছে, আরও একটিতে তাইওয়ানের কোম্পানি বিনিয়োগে আসতে চায়। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে, সব কিছু এগিয়েছে।
আরও পড়ুন: বস্ত্র ও পাটখাতকে স্মার্ট করতে কাজ করব: নানক
১১ মাস আগে
বস্ত্র ও পাটখাতকে স্মার্ট করতে কাজ করব: নানক
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বস্ত্র ও পাটখাতকে স্মার্ট করতে দ্রুত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কাজ করা হবে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে মন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ’লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হলেন শাজাহান, নানক, আবদুর রহমান
সাক্ষাৎকালে নানক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প-২০৪১ সমানে রেখে পাট ও বস্ত্রখাতে নতুন নতুন উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে এ খাতকে আধুনিকায়নের কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং রপ্তানি বৃদ্ধিতে নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাব।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড সুপরিকল্পিত: নানক
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বৃহস্পতিবার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
নতুন মন্ত্রিসভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য।
তিনি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর পা ধরে হলেও আপনাদের প্রত্যাশা পূরণ করব: নানক
২০০৮ সালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর আসন (ঢাকা-১৩) থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নানক।
২০০৯ সালে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে একই আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এ রাজনীতিক।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন মানেই আওয়ামী লীগ: নানক
১১ মাস আগে
বিজেপি’র ক্ষমতা গ্রহণের দিন রসগোল্লা খেয়েছিলেন মির্জা ফখরুলরা: নানক
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বুধবার বলেছেন, ভারতে বিজেপি সরকার যেদিন ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ দলটির নেতারা সেদিন রসগোল্লা খেয়েছিলেন।
৫ বছর আগে