ডিজি
দেশের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত বিজিবির নবীন সৈনিকরা: ডিজি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, ‘দেশ মাতৃকার অখণ্ডতা রক্ষায় বিজিবির নবীন সৈনিকেরা প্রয়োজনে জীবন দেবেন, তবু দেশের এক ইঞ্চি মাটি হাতছাড়া হতে দেবেন না।’
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে বিজিবির ঐতিহ্যবাহী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের (বিজিটিসি অ্যান্ড সি) বীর উত্তম মজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে ১০৩তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
নবীন সৈনিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তারা কখনো দেশবাসীকে হতাশ বা নিরাশ করবেন না। তাদের দেওয়া নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেশের মানুষের নির্বিঘ্ন ঘুম নিশ্চিত করবে। এই নবীন সৈনিকরাই হবে সীমান্তের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক।
সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে সশস্ত্র সালামের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কুচকাওয়াজ শুরু হয়। এরপর মহাপরিচালক নবীন সৈনিকদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, নবীন সৈনিকদের সততা, নিষ্ঠা ও পেশাগত দক্ষতার ওপরই বিজিবির ভাবমূর্তি ও গৌরব নির্ভর করবে। কোনো অবস্থাতেই প্রতিপক্ষ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে পিঠ প্রদর্শন না করার আহ্বান জানান তিনি।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ খ্যাত বিজিবি দেশের ৪,৪২৭ কিলোমিটার সীমান্ত সুরক্ষা, সীমান্ত ভূমি ও সম্পদের নিরাপত্তা, মাদক ও অস্ত্রসহ অবৈধ চোরাচালান প্রতিরোধ, নারী ও শিশু পাচার রোধসহ আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতেও বিজিবি বিশ্বস্তভাবে দায়িত্ব পালন করছে।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই ‘জুলাই সনদ’ সম্ভব: আলী রীয়াজ
নবীন সৈনিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিজিবির চার মূলমন্ত্র—‘মনোবল, ভ্রাতৃত্ববোধ, শৃঙ্খলা ও দক্ষতা’—এই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রত্যেককে দায়িত্ব সুশৃঙ্খল ও দক্ষভাবে পালন করতে হবে। তিনি বলেন, “শৃঙ্খলা সৈনিক জীবনের অলংকার। আদেশ ও কর্তব্য পালনে যারা কখনো পিছপা হয় না, তারাই প্রকৃত সৈনিক। সততা, বুদ্ধিমত্তা, নির্ভরযোগ্যতা, আনুগত্য, তেজ ও উদ্দীপনা—এই গুণাবলি অর্জন করলেই তারা পূর্বসূরিদের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে দেশের সেবায় নিয়োজিত হতে পারবে।”
দেশ সেবার মহান দায়িত্ব গ্রহণের এই মাহেন্দ্রক্ষণে নবীন সৈনিকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান বিজিবি প্রধান।
নবীন নারী সৈনিকদের উদ্দেশ্যেও তিনি বিশেষ বার্তা দেন। বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান অবিস্মরণীয়। বর্তমানে নারীরা বিভিন্ন অঙ্গনে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছে। নবীন নারী সৈনিকরাও বিজিবির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে গতিশীল ভূমিকা রেখে বাহিনীর সুনাম ও সাফল্য আরও বৃদ্ধি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
১৪৮ দিন আগে
দেশের কোনো নাগরিকেরই এখন দুটি এনআইডি কার্ড নেই: ডিজি
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেছেন, ‘বর্তমানে দেশের কোনো নাগরিকেরই দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) নেই।’ জাতীয় পরিচয়পত্রের ডেটাবেজ এখন সম্পূর্ণ নিরাপদ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৯ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিবার্চন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন।ডিজি হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রধারী ৫৮৬ জনকে শনাক্ত করেছি। আমরা তাদের প্রথম এনআইডিকার্ডটি সচল রেখে দ্বিতীয়টি বাতিল করেছি।’
তাদের দুটি এনআইডি লক ছিল, তাই কোনোভাবেই নাগরিক সেবা নিতে পারছিলেন না তারা। তবে, এখন থেকে এ ব্যক্তিরা সব নাগরিক সেবা ভোগ করতে পারবেন বলে আশ্বস্থ করেন হুমায়ুন কবীর।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক বলেন, ‘কমিশন চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বৈত এনআইডি সমস্যা সমাধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। দুই সপ্তাহের মধ্যেই সমস্যাটি সমাধান করা হয়েছে।’
‘আমাদের জানামতে এ মুহূর্তে আর কারও দুটি এনআইডি নেই।’ তবে, যদি কারও দুটি শনাক্ত হয়- একই নিয়মে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ডিজি।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডেটাবেজে সাড়ে ১২ কোটিরও বেশি নাগরিকের তথ্য রয়েছে। এ তথ্যভাণ্ডার থেকে কয়েকবার তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে।
তথ্য ফাঁসের ঝুঁকি রোধে এখন সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিজি হুমায়ুন কবীর।
আরও পড়ুন: জব্দ করা চুরির অর্থ ও সম্পদ সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় করবে সরকার: গভর্নর
তিনি বলেন, ‘আমাদের ডেটা সেন্টার যেহেতু ২৪ ঘণ্টা চলে, এটি মাঝে মাঝে মেইনটেইনেন্সের জন্য আমরা একটু বন্ধ করি, আবার চালু করি। যেমন পরশুদিনও (শনিবারও) আমরা এটি করেছিলাম, যা ৪ ঘণ্টা পর চালু করা সম্ভব হয়।
‘মেইনটেনেন্সের (রক্ষণাবেক্ষণ) ধারাবাহিকতায় ডেটা সেন্টার নিজস্ব জনবল দিয়ে চেক করা হয়েছিল। কোনো সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে কি না, হালনাগাদ রয়েছে কি না— আমাদের অবস্থান থেকে যতগুলো উদ্যোগ নেওয়া দরকার, সে ব্যবস্থাগুলো নিয়েছি। এখন আমাদের এ ডেটা সেন্টার পরিপূর্ণ নিরাপদ।’
তিনি বলেন, ডেটা সেন্টারের দৈনন্দিন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, যাতে কোনও পরিস্থিতিতেই ডেটা ফাঁস বা ক্ষতি না হয়।
ভবিষ্যতেও ডেটাবেজ নিরাপদ রাখার জন্য সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ডিজি হুমায়ুন কবির।
১৯৯ দিন আগে
আন্দোলনের মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি পদে যোগ দিতে না পেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে গেছেন ডা. রোবেদ আমিন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে কর্মক্ষেত্রে আসছেন না ডা. রোবেদ আমিন।
গত ১৮ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে কর্মকর্তাদের বিক্ষোভের মুখে তিনি এই পদে বসতে পারেননি।
ড. আমিনের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেন বিক্ষোভকারীরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তিনি অনেকবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়েছেন কর্মক্ষেত্রে যোগদানের জন্য। তবে তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
গত ১২ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবির মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অধ্যাপক রোবেদ আমিনকে। তাই অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে তিনি ছুটি নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রোবেদ আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি মন্ত্রণালয়ে যাই। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যেতে পারিনি।’
তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি কি না—এই প্রশ্নের উত্তর তিনি খোলাসা না করে বলেন, ‘আমি আমার জবটাই করি। আমার সঙ্গে সরাসরি কারো সঙ্গে এমন কোনো কথা হয়নি।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপিপন্থী চিকিৎসক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ
অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে নাজমূল হাসান দায়িত্ব পালন করছেন বলে তিনি জানান।
ড. আমিন বরেন, ‘আমি অসুস্থতাজনিত কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি নিয়েছি। ওনাকে যেদিন দায়িত্ব দেওয়া হয়, আমি সেদিনই ছুটির দরখাস্ত দিই। এখনো আমাকে কোনো পদ দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি।'
বর্তমান অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাজমুল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোন একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
গত ১২ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবির মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অধ্যাপক রোবেদ আমিনকে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ওইদিন (বৃহস্পতিবার) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হলো।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তাদের অপসারণ দাবি
৪৪০ দিন আগে
ওএসডি হলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আব্দুস সামাদকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিককে গালমন্দ করে ওএসডি হলেন টেকনাফের ইউএনও
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ-১ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে সই করেছেন উপসচিব মো. আলমগীর কবির।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ৩ ডিজিকে ওএসডি
দুদকের চার্জশিটে নাম আসায় খুলনার সিভিল সার্জনকে ওএসডি
৪৪৯ দিন আগে
নির্বাচনের সময় সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন: ডিজি বিজিবি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান আসন্ন সাধারণ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে সম্পন্ন করতে বিজিবির প্রতিটি সদস্যকে সততা, নিষ্ঠা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রামে বিজিবির কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর ও দায়িত্বশীল সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনকালে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মহাপরিচালক বিজিবি এ নির্দেশনা দেন।
মতবিনিময়কালে বিজিবির মহাপরিচালক সীমান্ত নিরাপত্তা, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান প্রতিরোধ, চোরাচালানসহ সব ধরনের সীমান্ত অপরাধ দমন ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে পেশাদারিভাবে কাজ করার জন্য বিজিবি সদস্যদের নির্দেশনা দেন।
তিনি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সততা, নিষ্ঠা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
পরে বিজিবি মহাপরিচালক কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়নের আওতাধীন সোনাহাট আইসিপি ও সোনাহাট বিওপি সংলগ্ন পরিদর্শন করেন।
সোনাহাট আইসিপি পরিদর্শনকালে, ডিজি বিজিবি সীমান্ত গুয়াহাটির আইজিসহ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
মহাপরিচালক বিজিবি পরিদর্শনকালে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার, রংপুর সেক্টর কমান্ডার ও কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন কমান্ডার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ১২তম অবরোধ: সারাদেশে ১৪৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
সারা দেশে ১৪৮ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪২২ টহল দল মোতায়েন
কক্সবাজারে বিজিবি'র অভিযানে ৭০ হাজার ইয়াবা জব্দ, আটক ১
৭১১ দিন আগে
নৌযানের অগ্নি নিরাপত্তায় আরও সচেতন হোন: নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ডিজি
অভ্যন্তরীণ নৌযানের অগ্নি নিরাপত্তায় আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজধানীর সদরঘাটের সুন্দরবন-১৬ লঞ্চে অনুষ্ঠিত অভ্যন্তরীণ নৌযান ও জাহাজের অগ্নি নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও শিপ সার্ভেয়ার মো. মঞ্জরুল কবির।
মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম বলেন, নৌযানের অগ্নিসংযোগ হলে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হয়। একটি বাণিজ্যিক জাহাজের সরঞ্জামাদির বেশিরভাগ দেশের বাইরে থেকে আনার ফলে ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: নৌ-পথের নিরাপত্তায় পদ্মা-মেঘনায় বিশেষ অভিযান
তিনি আরও বলেন, জাহাজের অগ্নি নিরাপত্তার ব্যাপারে জাহাজ পরিচালনাকারীরা অবহিত থাকলে খুব সহজে ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব।
জাহাজ পরিচালনাকারীদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করার আহ্বান করে তিনি বলেন, এসব প্রাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা জাহাজের অগ্নি নিরাপত্তার ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে এবং দুর্ঘটনা কমাতে সহায়তা করবে।
কর্মশালাটিতে প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে ঢাকা বন্দরের ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল ইসলাম নৌযান ও জাহাজের অগ্নি নিরাপত্তাবিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: নৌ দুর্ঘটনা রোধে বাল্কহেড নিয়ন্ত্রণসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দাবি জাতীয় কমিটির
বিমান ও নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের: আইনমন্ত্রী
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আগামী দিনের ‘শোকেস’ মন্ত্রণালয়ে পরিণত হতে যাচ্ছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
৮৪০ দিন আগে
এনআইডি সার্ভার নিরাপদ: ডিজি
এনআইডি মহাপরিচালক (ডিজি) একেএম হুমায়ুন কবির বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভার নিরাপদ।
রবিবার (৯ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের বিষয়ে তিনি বলেন যে তারা তাদের সার্ভারের সঙ্গে জড়িত কোনো হুমকি দেখেননি।
তবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করা ১৭১টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো তথ্য ফাঁস হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এনআইডি নিবন্ধন ইসি থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরের খসড়া বিল মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
মহাপরিচালক বলেন, ১৭১টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে সেবা নেয়, আমাদের কাছ থেকে যারা সেবা নেয় তাদের কেউ হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তদন্ত করব এবং যে ওয়েবসাইটগুলো থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে তাদের চিহ্নিত করব।’
তিনি আরও বলেন, দোষী প্রমাণিত হলে দায়ীরা চুক্তি হারাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, এনআইডির সার্ভার হ্যাক হয়নি। সার্ভিস প্রোভাইডারদের সার্ভার হ্যাক হয়ে থাকতে পারে।
এনআইডি সার্ভারের বিরুদ্ধে কোনো হুমকি নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও সিইআরটি নির্দেশা না মানায় সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য ফাঁস: পলক
৮৭৯ দিন আগে
ঢাকার গাউসিয়া, রাজশাহী সুপারসহ কয়েকটি বাজার ঝুঁকিপূর্ণ মনে হচ্ছে: ডিজি
গাউসিয়া মার্কেট ও রাজধানী সুপার মার্কেটসহ ঢাকার কয়েকটি মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ মনে হওয়ায় জরিপ করা হবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
বুধবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের প্রধান ফটকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডিজি বলেন, ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) এবং অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা অনুসরণ করে এসব মার্কেটে প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্ট আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে আগামীকাল থেকে আমরা একটি জরিপ শুরু করব।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
তিনি আরও বলেন, মার্কেটের মালিকদের নিয়ে জরিপ করা হবে এবং তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করা হবে।
বঙ্গবাজার মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুন পুরোপুরি নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট এখনও কাজ করছে।
আড়ও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড: চোখের সামনে আগুনে পুড়ল শহিদুল ও মঈনুদ্দিনের স্বপ্ন
৯৭৪ দিন আগে
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজিকে হাইকোর্টে তলব
এক ছাত্রের ভর্তিসংক্রান্ত নথিপত্র আদালতে হাজির না করায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) তলব করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শিক্ষার্থী শরীফুল ইসলামের ভর্তির মূল কাগজপত্রসহ ২৪ জানুয়ারি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি টিটো মিয়াকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।
ওই ছাত্রের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। ২৪ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেছেন, চট্টগ্রামের বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেলের ছাত্র শরীফুল ইসলাম ২০২১ সালে হাইকোর্টে রিট করেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ শরীফুলের ভর্তির রোল নম্বর নিবন্ধন না দেয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হন। এ নিয়ে রিটের শুনানি শেষে শরীফুলের ভর্তিসংক্রান্ত মূল কাগজপত্র জমা দিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচারকের সঙ্গে অসদাচরণ: ভিডিও অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের
গত বছরের নভেম্বরে এই নির্দেশনা দিলেও তা আদালতে জমা দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে শরীফুলের ভর্তির মূল কাগজপত্রসহ ২৪ জানুয়ারি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি টিটো মিয়াকে নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে ১৭ জানুয়ারি কারাগারে চিকিৎসক সংযুক্তির বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তলব করেন হাইকোর্ট। ২৪ জানুয়ারি তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: অবসরের পরই সরকারি কর্মকর্তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেয়া কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
১০৫০ দিন আগে
কারাগারে শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগ না দেয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে হাইকোর্টের তলব
দেশের কারাগারগুলোতে শূন্য পদে ৪৮জন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ পালন না করায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) তলব করেছেন হাইকোর্ট।
এদিকে ২৪ জানুয়ারি সশরীরে হাজির হয়ে এর কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিচারকের বিরুদ্ধে অশ্লীল স্লোগান: ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
রিটকারী আইনজীবী জে আর খান রবিন বলেন, একাধিকবার সময় নিয়েও কারাগারের শূন্য পদে ৪৮জন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়নি।
কারাগারের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকের শূন্য পদ পূরণের দাবিতে আইনজীবী জে আর খান রবিন হাইকোর্টে রিট করেন ২০১৯ সালে। পরে ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ২৩ জুন এক আদেশে হাইকোর্ট সারা দেশের সব কারাগারে বন্দিদের ধারণক্ষমতা, বন্দি ও চিকিৎসকের সংখ্যা এবং চিকিৎসকের শূন্য পদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন।
ওই নির্দেশ অনুসারে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে আদালতে কারামহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, দেশের ৬৮টি কারাগারে ১৪১টি পদের বিপরীতে মাত্র চিকিৎসক রয়েছেন ১০ জন।
ওই প্রতিবেদন দেখে হাইকোর্ট কারাগারগুলোতে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের ৬৮টি কারাগারে ১৪১টি পদের মধ্যে ১১২ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আইনজীবী জে আর খান রবিন জানান, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৪১টি কারা চিকিৎসকের শূন্য পদে চিকিৎসক আছেন মাত্র চারজন। যে কারণে শূন্য পদগুলোতে চিকিৎসক নিয়োগে আদালতের আগের আদেশ বাস্তবায়নের অবস্থা জানানোর নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করি।
এছাড়া ১৫ নভেম্বর আদালত আগের আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন।
আর এ বিষয়ে কারা মহাপরিদর্শক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবকে প্রতিবেদন দিতে মৌখিকভাবে আদেশ দেন।
ওই আদেশ অনুসারে ১৩ ডিসেম্বর কারা মহাপরিদর্শক একটি প্রতিবেদন দাখিল করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৬৮টি কারাগার ও একটি ২০০ শয্যার কারা হাসপাতালে বিভিন্ন স্তরের মোট ১৪১ সংখ্যক চিকিৎসকের অনুমোদিত পদ রয়েছে। কারা হাসপাতালে ১৪১টি চিকিৎসক পদের বিপরীতে প্রেষণে ও সংযুক্ত মিলিয়ে মোট ৯৩ জন চিকিৎসক রয়েছেন।
পরে আদালত বাকি ৩৮টি শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগের আদেশ ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাস্তবায়নের আদেশ দেন। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন না করায় মঙ্গলবার ডিজিকে তলব করা হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়া উপনির্বাচনে হিরো আলমের মনোনয়পত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত
রিতা দেওয়ানের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
১০৫২ দিন আগে