মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
জেনারেল আজিজের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কেন আসছে, সেটা আমার কাছে এখনো আসেনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি কেবল একটি বিজ্ঞপ্তির কথা শুনেছি। এটা বিস্তারিত না জেনে প্রশ্নের জবাব দিতে পারব না।
আরও পড়ুন: রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি: প্রয়োজনে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে যোগ দেবে সেনাবাহিনী, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২১ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস আমি বুঝতে পেরেছি, মার্কিন সরকার অনেক দেশের অনেক ব্যক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, এটা তাদের জন্য নতুন কিছু না। আমাদের দেশে যাকে দেওয়া হয়েছে, আমাদের কাছে এখনো সেটা সঠিকভাবে আসেনি। এলে পরে জানতে পারব, কেন দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের ইমিগ্রেশন পার হয়ে যথাযথভাবেই তিনি ভারতে যান।
তিনি আরও বলেন, তার পরিবার থেকে আমাদের জানানো হয়েছিল যে তার কোনো খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি সব সংস্থাগুলো এটা নিয়ে কাজ করছে। আমাদের এনএসআই, এসবি ও পুলিশ কাজ করছে। ভারতীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গেও কাজ করা হচ্ছে। আশা করছি, ভারতীয় সরকারের মাধ্যমে শিগগিরই তার বিষয়ে জানতে পারব।
তার বিষয়ে কোনো হালনাগাদ তথ্য (আপডেট) পাওয়া গেছে কিনা, এমন এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো আপডেট নেই।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে: সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৭ মাস আগে
আজিজের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় খুশি হওয়ার কিছু নেই: দলীয় সহকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার খবরে খুশি না হতে দলীয় সহকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) একাংশ।
ফখরুল বলেন, অন্যের ওপর নির্ভর না করে নিজের শক্তি দিয়েই বর্তমান সরকারকে পরাজিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত ভিসা নীতির আওতায় নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যদি নিজের ঘর নিজে সামলাতে না পারি তবে অন্য কেউ আমার জন্য এটা করে দিবে না। আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞায় অনেকেই খুশি হতে পারেন। আমি মনে করি এটি বিভ্রান্তিকর এবং আমরা সবসময় বিভ্রান্ত হচ্ছি।’
আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আমেরিকা এর আগেও র্যাব, এলিট ফোর্স ও পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল কিন্তু বর্তমান সরকারের ভয়াবহ যাত্রা থামাতে পারেনি।
ফখরুল আরও বলেন, ‘আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, নিজের শক্তি দিয়ে দাঁড়াতে হবে এবং নিজেদের শক্তি দিয়ে তাদের পরাজিত করতে হবে।’
উল্লেখ্য, 'উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে' জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
আরও পড়ুন: সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ ও তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য
৭ মাস আগে
রাশিয়ার সঙ্গে লেনদেনকারী সংস্থাগুলোর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন
রাশিয়ার উপর মার্কিন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ এড়ানোর অভিযোগে অতিরিক্ত চীনা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানিয়েছে বেইজিং। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনকে বিপন্ন করায় এটিকে একটি অবৈধ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে দেশটি।
শনিবার এই প্রতিবাদ জানায় বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীন।
বুধবার মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ চীনের মূল ভূখণ্ডের এবং হংকং ভিত্তিক পাঁচটি সংস্থাকে তার ‘নিষেধাজ্ঞার তালিকায়’ রেখেছে। এর ফলে তাদের প্রায় অপ্রাপ্য বিশেষ লাইসেন্স ছাড়া কোনও মার্কিন সংস্থার সঙ্গে বাণিজ্য করতে পারবে না।
ওয়াশিংটন বিদেশি সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগকে কঠোর করছে। এটি রাশিয়াকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা প্রদানকারী বলে বিবেচনা করছে। তাদের মস্কোর সঙ্গে বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যের মধ্যে বেছে নিতে বাধ্য করছে। মাল্টা থেকে তুরস্ক থেকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত দেশগুলোর মোট ২৮টি সংস্থা এই তালিকায় যোগ করা হয়েছে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন পদক্ষেপের ‘আন্তর্জাতিক আইনে কোনো ভিত্তি নেই এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত নয়।’
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় মোংলা বন্দরে ভিড়তে পারেনি রুশ জাহাজ
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এটি একটি সাধারণ একতরফা নিষেধাজ্ঞা এবং 'দীর্ঘ-হাতের এখতিয়ার' এর একটি রূপ যা উদ্যোগের বৈধ অধিকার এবং স্বার্থকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করে। চীন দৃঢ়ভাবে এর বিরোধিতা করে।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উচিত অবিলম্বে তার অন্যায় সংশোধন করা এবং চীনা কোম্পানিগুলোর ওপর তার অযৌক্তিক দমন বন্ধ করা। চীন দৃঢ়ভাবে চীনা কোম্পানিগুলোর বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করবে।’
সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞাগুলো অলপার্টস ট্রেডিং কোম্পানি লিমিডেট- এর বিরুদ্ধে তুলে নেয়া হয়েছে; অ্যাভটেক্স সেমিকন্ডাক্টর লিমিটেড; ইটিসি ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড; ম্যাক্সট্রনিক ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিডেট এবং এসটিকে ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি লিমিটেড হংকং-এ নিবন্ধিত৷
মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ বলছে, তালিকাটি সত্তাকে চিহ্নিত করে- মূলত ব্যবসাগুলো - যেগুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সন্দেহ করে‘ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বা বৈদেশিক নীতির স্বার্থের পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত, জড়িত বা জড়িত হওয়ার একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি তৈরি করেছে।’
এতে বলা হয়, ‘রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ এড়াতে এবং রাশিয়ার সামরিক এবং/অথবা প্রতিরক্ষা শিল্প ঘাঁটির সমর্থনে মার্কিন-মূল আইটেমগুলো অর্জন বা অর্জন করার চেষ্টা করার জন্য’ নামযুক্ত সংস্থাগুলোকে ‘সামরিক শেষ ব্যবহারকারী’ হিসাবে মনোনীত করা হয়েছিল।’চীনের প্রতিবাদটি ফেব্রুয়ারিতে জারি করা একটির অনুরূপ ছিল যখন মার্কিন চীনা কোম্পানি চাংশা তিয়ানই স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি রিসার্চ ইনস্টিটিউট কোং লিমিটেডের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছিল, যা স্পেসটি চায়না নামেও পরিচিত।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা রুশ জাহাজ গ্রহণ করবে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিভাগটি বলেছে যে সংস্থাটি রাশিয়ার ওয়াগনার গ্রুপের প্রাইভেট আর্মি অ্যাফিলিয়েটদের ইউক্রেনের স্যাটেলাইট ইমেজ সরবরাহ করেছে যা সেখানে ওয়াগনারের সামরিক অভিযানকে সমর্থন করে। স্পেসটি চায়নার একটি লুক্সেমবার্গ-ভিত্তিক সহযোগী সংস্থাকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
সেই সময়ে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইউক্রেনকে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র সরবরাহ করার প্রচেষ্টা জোরদার করার সময় তার কোম্পানিগুলোকে অনুমোদন দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সরাসরি গুন্ডামি এবং দ্বিমুখী আচরণ’ বলে অভিযুক্ত করেছিল।পশ্চিমা দেশগুলো শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং তার প্রতিবেশী আক্রমণের জন্য মস্কোকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেছে এমন সময়ে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়াকে সমর্থন করার সময় চীন এই সংঘাতে নিরপেক্ষ বলে ধরে রেখেছে।
চীন রাশিয়ার পদক্ষেপের সমালোচনা করতে অস্বীকার করেছে, মস্কোর উপর পশ্চিমা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলিকে বিস্ফোরিত করেছে, বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং গত বছরের আক্রমণের কয়েক সপ্তাহ আগে দেশগুলির মধ্যে একটি "সীমাহীন" সম্পর্ক নিশ্চিত করেছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত মাসে মস্কো সফর করেছিলেন এবং চীন শুক্রবার ঘোষণা করেছে যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল লি শংফু প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য আগামী সপ্তাহে রাশিয়া সফর করবেন।
এছাড়া, শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং বলেছেন যে চীন যুদ্ধে উভয় পক্ষের কাছে অস্ত্র বিক্রি করবে না, পশ্চিমা উদ্বেগের জবাবে যে বেইজিং রাশিয়াকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দিতে পারে।
কিন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকের সঙ্গে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানির বিষয়ে চীন একটি বিচক্ষণ এবং দায়িত্বশীল মনোভাব গ্রহণ করে।’ ‘চীন সংঘাতের প্রাসঙ্গিক পক্ষগুলোকে অস্ত্র সরবরাহ করবে না এবং আইন ও প্রবিধান অনুযায়ী দ্বৈত-ব্যবহারের সরঞ্জামগুলোর রপ্তানি পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করবে।’
আরও পড়ুন: ‘একটি পক্ষ’ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, জাতিসংঘ দেয়নি: চীনা রাষ্ট্রদূত
১ বছর আগে
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পেছনে ১০০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন যে আধা সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব দেয়ার সময় তিনি সহ কিছু র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, এটা ১০০ মিলিয়নের প্রজেক্ট। এই নিষেধাজ্ঞা হলো তার ফলাফল। এর সঙ্গে সত্যের কোনো সম্পর্ক নেই।
বৃহস্পতিবার রাতে (নিউইয়র্ক সময়) যুক্তরাষ্ট্র সফর উপলক্ষে তার সম্মানে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আইজিপি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আইজিপি’র যুক্তরাষ্ট্র সফর: সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে
তিনি বলেন, ২৫ মিলিয়ন ডলারে তার নেপথ্যে তিন বছর ধরে একটি চক্রের নিয়োগ দেয়া চারটি লবিং ফার্ম কাজ করেছে। এই সংস্থাগুলো অবশেষে মার্কিন সরকারকে র্যাব এবং আমার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য রাজি করাতে সক্ষম হয়েছিল।
আরও পড়ুন: পুলিশ বাহিনীকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের নির্দেশ আইজিপির
অনুষ্ঠানে, বেনজির আবারও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে মার্কিন সরকার যে জোরপূর্বক গুম করার অভিযোগ করেছে এর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
২ বছর আগে
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা অন্যান্য ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশে যাদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে সেটি বাড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য ক্ষেত্রে এর (নিষেধাজ্ঞা) কোনো প্রভাব নেই। আমি খুব আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এটা বলতে পারি। এমনকি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোরও কোনো সম্ভাবনা নেই।’
গত এক মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের বৃহত্তর সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রী তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। এছাড়া বিভিন্ন গুজবের কথাও উড়িয়ে দেন তিনি।
জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আরও নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে- বিএনপি জামায়াতসহ কয়েকটি মহলের গুজব ছড়ানোর কথাও উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় প্রতিমন্ত্রী জাতিসংঘের মুখপাত্র ও ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের গণমাধ্যমে দেয়া বিভিন্ন জবাবের উদাহরণ দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিবিনির্মাণ কমিশনের সভাপতি নির্বাচিত
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা অনেক কিছু করেছি এবং বিভিন্ন বিষয়ের ওপর এখনও কাজ করছি। কয়েকজন ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই আমরা সম্পৃক্ত রয়েছি।’
দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল তা কাজ করেনি বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার র্যাবকে সহযোগিতা করতে চায় এবং এটিকে আরও শক্তিশালী করবে। এ সময় তিনি র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘র্যাব ও এর কর্মকর্তাদের রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। কেননা এটি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সফলতার গল্পের অংশীদার। ‘নিষেধাজ্ঞা কেন দেয়া হলো- সে বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি আমরা।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বিদ্যমান উপায় বের করতে তারা আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ‘আমরা আইনি বিষয়গুলো দেখছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র: কংগ্রেসম্যান মিকস
বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ১ কোটি টিকা উপহার দিলো যুক্তরাষ্ট্র
২ বছর আগে
এটি রাতারাতি সমাধান হবে না: মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এটি রাতারাতি সমাধান করা যাবে না। ধাপে ধাপে করা লাগবে।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি যুক্তরাষ্ট্র বুঝতে পারবে র্যাবের বিষয়ে তাদের ধারণা সঠিক নয়। তবে রাতারাতি পরিবর্তন হয়ে- তা আমি আশা করি না।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেটের কালিঘাটে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পর গণমাধ্যমে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা যেভাবে র্যাবের-যে সংস্থাটি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা ও ভরসা পেয়েছে- ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
আরও পড়ুন: র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ‘অগ্রহণযোগ্য’: তথ্যমন্ত্রী
র্যাবকে একটি ‘কার্যকরী সংস্থা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্থাটি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না।
এমনকি মার্কিন সরকার পর্যন্ত বলেছে, বাংলাদেশে সন্ত্রাস, মাদক ও মানব পাচার রোধে সহায়তা করেছে র্যাব, যোগ করেন ড. মোমেন।
তিনি বলেন, র্যাবের কয়েকজন সদস্য যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলেন তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যখন পুলিশের হাতে কেউ মারা যায় তখন তাকে বলা হয় ‘বিচার বহির্ভূতহত্যা’ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে এটি ঘটলে বলা হয় ‘দায়িত্ব পালনের সময়’ মারা গেছে। আর এ জন্য কোনো সংস্থার প্রধানকে শাস্তি দেয়া হয় না।
আরও পড়ুন: র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বলছে গত ১০ বছরে বাংলাদেশে ৬০০ মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর এক লাখ মানুষ নিখোঁজ হয়। তাই এটা বড় কোনো বিষয় না তাদের জন্য। কিন্তু একই জিনিস বাংলাদেশে ঘটলে তারা বলেন এনফোর্স ডিসএপ্যায়েরিং।’
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে র্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
আরও পড়ুন: অভিনেতা ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র্যাব
২ বছর আগে
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব আরও সুদূরপ্রসারী হতে পারে: বিএনপি
ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর (ইউএনবি)-র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান শীর্ষ সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী মোতায়েনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে একটি পরাশক্তি বাংলাদেশকে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এটি ভবিষ্যতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে (শান্তিরক্ষী) মোতায়েনকে প্রভাবিত করতে পারে। আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপরও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
শনিবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব
মির্জা ফখরুল বলেন, এটা অস্বীকার করার সুযোগ নাই যে ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা বর্তমান চলমান ‘গণবিরোধী’ ও ‘মানবতাবিরোধী’ সরকারের জন্য সমগ্র বিশ্ববাসীর পক্ষ থেকে একটি শক্তিশালী বার্তা। কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এ ধরনের বিচারহীন সংস্কৃতি চলতে পারে না।
বিএনপি নেতা বলেন, এমন মানবাধিকার শুধু অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের শাসনে হতে পারে...। বিএনপি মনে করে, র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সব দায় সরকারকে নিতে হবে। ক্ষমতাকে স্থায়ী করার লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করার সব দায়িত্ব তাদেরই।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার তার অগণতান্ত্রিক শাসনকে টিকিয়ে রাখতে র্যাবকে বিভিন্ন আইনবিরোধী সংস্কৃতির অংশ হতে বাধ্য করেছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক সরকারের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী করা যাবে না।
যারা একটি ‘অবৈধ’ সরকারের ক্ষমতা রক্ষার জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধরনের বিচারবহির্ভূত সংস্কৃতির প্রবর্তনে ভূমিকা রেখেছে তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, সরকারি কর্মচারী হিসেবে পুলিশ এবং রাষ্ট্রের অন্যান্য সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করতে হবে। এটা ভুলে গেলে চলবে না যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার জন্য সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগই দায়ী।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে শুক্রবার র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ও পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ র্যাবের সাবেক ও বর্তমান শীর্ষ সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি নিষেধাজ্ঞা কর্মসূচির অধীনে দেশটির ট্রেজারি বিভাগ র্যাব, বেনজির আহমেদ ও অন্য ছয় কর্মকর্তাকে এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে।
আরও পড়ুন: র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ‘অগ্রহণযোগ্য’: তথ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে আমাদের প্রচেষ্টা চলবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
র্যাবের বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে প্রচেষ্টা ও সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘এমন নয় যে যুক্তরাষ্ট্রের সব সিদ্ধান্তই সঠিক। এমন অনেক উদাহরণ আছে। আমরা আশা করি, তারা সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করবে। এ লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টা চলবে।’
ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের আসন্ন বাংলাদেশ সফর নিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারতের রাষ্ট্রপতি ১৫-১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফরে আসবেন।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘অত্যন্ত মধুর’ সম্পর্ক উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা বিশ্বাস করেন দু’দেশের সম্পর্কে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোটের ওপর দুর্নীতি থেকে মুক্ত র্যাব এবং তাদের ওপর জনগণের ভরসা আছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি অ্যান্ড স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ঢাকার অসন্তোষ জানাতে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারকে শনিবার তলব করেন।
আরও পড়ুন: র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য যে বিষয়গুলোর কথা বলা হয়েছে সেগুলো নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক সংলাপ চলছে, এর মধ্যেই হঠাৎ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানা গেল।
পররাষ্ট্র সচিব দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারের এমন একটি সংস্থার ক্ষমতা হ্রাস করতে চাইছে, যেটি সন্ত্রাসবাদ, মাদক পাচার ও অন্যান্য আন্তদেশীয় অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্মুখ সারিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কাজের প্রয়োজনে প্রায়ই তাদের যুক্তরাষ্ট্রে যেতে হতো।
পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, কিছু নির্দিষ্ট ঘটনার জন্য র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো করা হয়েছে। এর আগে এই বিষয়গুলোর জবাবদিহিতার জন্য শুধু মার্কিন প্রশাসনের কাছে নয়, একাধিকবার জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থার কাছেও ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ সরকারের উত্থাপিত উদ্বেগের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন রাষ্ট্রদূত মিলার এবং মার্কিন রাজধানী ওয়াশিংটনে বিষয়টি জানানোর আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ‘অগ্রহণযোগ্য’: তথ্যমন্ত্রী
উল্লেখ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ ও ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি নিষেধাজ্ঞা কর্মসূচির অধীনে দেশটির ট্রেজারি বিভাগ র্যাব, বেনজির আহমেদ ও অন্য ছয় কর্মকর্তাকে এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে।
এছাড়া নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা অন্যরা হলেন- র্যাব ইউনিট-৭ এর সাবেক কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ, র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মোহাম্মদ আনোয়ার লতিফ খান।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে, জঙ্গীবাদ উদ্বুদ্ধ করতে: ওবায়দুল কাদের
৩ বছর আগে
র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ‘অগ্রহণযোগ্য’: তথ্যমন্ত্রী
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘যেভাবে র্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে; এটা অনভিপ্রেত, দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য।’
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলবের ঘটনা দেশে আগে ঘটেছে কি না জানি না; তবে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটেনি।’
যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ক্রমাগতভাবে বছরের পর বছর মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। তাদের হেফাজতে যে মৃত্যু হয় সেগুলো নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা রয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিন্তু ইসরাইলের কোনো কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে দেখিনি। যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভালো সম্পর্ক, ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে সেসব দেশের কারও ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে দেখিনি।’
এ ঘটনায় ভোটের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবে জনগণ। কোন দেশ কার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল, সেটি জনগণের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।’
এদিকে পদত্যাগ করলেও ডা. মুরাদ হাসান এখনও সাংসদ আছেন। তার সর্বশেষ অবস্থান নিয়ে কোনো তথ্য আছে কি না জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নাই। সুতরাং আমি বলতে পারব না।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রেই মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়: তথ্যমন্ত্রী
মুরাদের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যে দল ও সরকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে: তথ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে
র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি অ্যান্ড স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ঢাকার অসন্তোষ জানাতে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারকে তলব করেছেন।
শনিবার পররাষ্ট্র সচিব মোমেন হতাশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই মার্কিন প্রশাসন একতরফাভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য যে বিষয়গুলোর কথা বলা হয়েছে সেগুলো নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক সংলাপ চলছে, এরমধ্যেই হঠাৎ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানা গেল।
পররাষ্ট্র সচিব দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারের একটি সংস্থার ক্ষমতা হ্রাস করতে চাইছে, যেটি সন্ত্রাসবাদ, মাদক পাচার এবং অন্যান্য আন্তদেশীয় অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্মুখ সারিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কাজের প্রয়োজনে প্রায়ই তাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে হতো।
পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, কিছু নির্দিষ্ট ঘটনার জন্য র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো করা হয়েছে। এর আগে এই বিষয়গুলোর জবাবদিহিতার জন্য শুধুমাত্র মার্কিন প্রশাসনের কাছে নয়, একাধিকবার জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থার কাছেও ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সব ব্যবসার প্রতি ন্যায়সঙ্গত আচরণ চায় যুক্তরাষ্ট্র
উল্লেখ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাব এর সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ ও ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি নিষেধাজ্ঞা কর্মসূচির অধীনে দেশটির ট্রেজারি বিভাগ র্যাব, বেনজির আহমেদ ও অন্য ছয় কর্মকর্তাকে এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে।
এছাড়া নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা অন্যরা হলেন- র্যাব ইউনিট-৭ এর সাবেক কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ, র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মোহাম্মদ আনোয়ার লতিফ খান।
২০১৮ সালের কক্সবাজারের টেকনাফে পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকের ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ এর ঘটনাটি উল্লেখ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
এ কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নির্বাহী আদেশ (ইও) ১৩৮১৮ জারি করা হয়েছে। এর মানে হলো দেশটিতে এ কর্মকর্তাদের কোনো সম্পত্তি থাকলে তা জব্দ করা হবে। এ প্রথম বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকে প্রাধান্য পেয়েছে সাইবার নিরাপত্তা
বাংলাদেশকে আরও ১৮ লাখ ডোজ ফাইজার টিকা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
৩ বছর আগে