অগ্নিসংযোগ
লক্ষ্মীপুরে নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগ, পুড়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ নথি
লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিসে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বত্তরা। এ সময় নিচতলার গোডাউনে থাকা বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে গেছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৩টার দিকে জেলা নির্বাচন অফিসে ঘটে এই ঘটনা। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ ও নির্বাচন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও জেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, জেলা নির্বাচন অফিসের নিচতলায় জানালার কাঁচ ভেঙে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বত্তরা। এ সময় অফিসের দারোয়ান টের পেয়ে চিৎকার দিলে তারা পালিয়ে যায়। পরে নির্বাচন অফিসের কর্মচারীরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। তবে ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই সেখানে উপস্থিত লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম মেহেদী হাসান জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুর রশিদ বলেন, আগুনে অফিসের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে গেছে। তবে বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে টের পাওয়ার কারণে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। এ ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) মো. রেজাউল হক বলেন, অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।
৪ দিন আগে
মাগুরায় দুই সরকারি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ
মাগুরা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় এবং রেজিস্ট্রি অফিসে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. আসমা আক্তার বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে দুষ্কৃতকারীরা ভবনের পেছন দিক দিয়ে জানালা ভেঙে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। এতে নিচতলার একটি কক্ষে আগুন ধরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে থাকা কম্পিউটার ও জমির প্রয়োজনীয় নথিপত্র পুড়ে গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’
তিনি আরও জানান, ভোর সাড়ে চারটার দিকে মাগুরা রেজিস্ট্রি অফিসের একাধিক স্থানে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অফিসের ভেতরে কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বাইরে দলিল লেখকদের দুটি কক্ষ আগুনে পুড়ে গেছে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পেট্রোলের বোতল শনাক্ত করে। দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
১১ দিন আগে
বনে আগুন লাগানোর অভিযোগে ইন্দোনেশিয়ায় গ্রেপ্তার ৪৪
ইন্দোনেশিয়ায় বনে আগুন লাগানোর অভিযোগে ৪৪ জনকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা থেকে দেশের নাগরিকদের বিরত রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বন ও জলাভূমিতে আগুনের ধোঁয়ায় ইন্দোনেশিয়ার ছাড়াও সিঙ্গাপুর, মালেশিয়া ও দক্ষিণ থাইল্যান্ডের কিছু অংশে আচ্ছন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছে।
এ বিষয়ে বুধবার (২৪ জুলাই) ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার প্রধান সুহারিয়ান্তো এক বিবৃতিতে জানান, ‘শুধু খরা নয়, বনে আগুন লাগার জন্য মানুষও দায়ী। আশা করছি, এই গ্রেপ্তারের ঘটনা ভবিষ্যতে আগুন লাগানো থেকে মানুষকে বিরত রাখবে।’
তিনি বলেন, ‘চাষাবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করতে অনেক ক্ষেত্রেই কৃষক বা জমির মালিকরা অবৈধভাবে বনে আগুন লাগিয়ে দেন।’
মানবসৃষ্ট অগ্নিকাণ্ড বন্ধে সরকারি অভিযানে অংশগ্রহণ এবং জমি পরিষ্কারের সময় কেউ আগুন লাগালে কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে দেশটির সাধারণ নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
পড়ুন: ‘ফিলিস্তিনপন্থি’ বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
এর আগে, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ইন্দোনেশিয়ার রিও প্রদেশের রাজধানী পিকানবারোতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আসামিদের হাতকড়া পরানো অবস্থায় উপস্থাপন করা হয়। তাদের মধ্যে একজন নারীও ছিলেন।
গ্রেপ্তাররা ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশ সুরক্ষা আইনে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
সম্প্রতি, রিও প্রদেশের রোকান হিলির ও রোকান হুলু জেলা প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে সৃষ্ট ধোঁয়ায় দৃষ্টিসীমা এক কিলোমিটারেরও নিচে নেমে যায়। এই দুই জেলার অনেক এলাকা এখনও ঘন ধোঁয়ার চাদরে ঢাকা রয়েছে।
সরকার এর মধ্যে সেখানে কৃত্রিম বৃষ্টি সৃষ্টির জন্য ক্লাউড সিডিং শুরু করেছে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম ২৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
২০১৯ সালেও বনে অগ্নিসংযোগে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ।
প্রতি বছরই শুকনো মৌসুমে সুমাত্রা ও বোর্নিও দ্বীপে এমন অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে থাকে। এর ফলে, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার কিছু অংশেও ঘন ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। ধোঁয়ার জন্য প্রায়ই প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে ক্ষমা চাইতে হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রটিকে।
১৪৬ দিন আগে
লালমনিরহাটে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয়ে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৩১ মে) দিবাগত রাত ১১টার দিকে শহরের আলোরুপা মোড়ের জেলা কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১১টার দিকে ৮ থেকে ১০টি মোটরসাইকেল যোগে ১৫ থেকে ২০ জন দুর্বৃত্ত এসে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা চালায়। তারা প্রথমে পার্টি অফিসে তালা ভাঙচুর করে ভিতরে প্রবেশ করে লুটপাট করে এবং কার্যালয়ের কিছু জিনিস বাইরে বের করে এনে অফিসের ভিতরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দ্রুত সেখান থেকে সরে যায়।
এ সময় জাতীয় পার্টির পাশের মার্কেটের দোকানগুলোয় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় স্থানীয়রা ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ততক্ষণে জাতীয় পার্টির কার্যালয় পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে কালীমন্দিরে আগুন, খতিয়ে দেখছে ফায়ার সার্ভিস
ঘটনাস্থলে ছুটে আসা লালমনিরহাট পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে এসে দেখি পুরো অফিস পুড়ে গেছে,কারা এ হামলা চালিয়েছে তা জানা যায়নি। তবে বিষয়টি দলীয় উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে।
এ ঘটনায় আশে পাশে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর নবী বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। হামলায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে।
১৯৯ দিন আগে
বরগুনায় মাজার ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, আহত ২০
বরগুনার আমতলীর ইসমাইল শাহ মাজারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে সোলায়মান, রেজাউল, বাদল মৃধা, দুলাল মৃধা, আবু বকর, আবুল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মো. মামুন, আবুল কালাম, জোবায়ের ও ফজলুল করিমকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানন, বরগুনার আমতলীর ইসমাইল শাহ মাজারে ২৮তম ওরশ গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় শুরু হয়। ওইদিন রাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক ও জনতা এসে মাজার কর্তৃপক্ষকে মাজার পুজা ও গান বাজনা বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু মাজারের প্রধান খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ওরশ বন্ধে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাবার্তা চলাকালীন এক পর্যায় তার সমর্থক ও কিছু জনতা লাঠিসোটা নিয়ে মাজারে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ওই ওরশে আসা হাজার হাজার ভক্ত ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত পৌনে তিনটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে মাজার ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন
খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে মাজারের দুইটি বৈঠকখানা ও মাজারের মধ্যে সামিয়ানা পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, ‘আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী শাখার সভাপতি ওমর ফারুক জেহাদী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে শতাধিক বিক্ষুব্ধ জনতা লাঠিসোঠা নিয়ে এসে মাজার ভাঙচুর করে। পরে মাজারে আগুন দেয়।
ইসমাইল শাহ মাজারের প্রধান খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের দাবী, মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী ও গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক লাঠিসোঠা নিয়ে এসে অতর্কিতভাবে মাজারে হামলা চালায় ও আগুন দেয়। এতে মাজারের ভেতরের গিলাব ও দুটি বৈঠকখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তারা ভক্তদের মারধর ও মাজারের বাক্সে থাকা টাকা পয়সা লুটপাট করেছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমতলী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদ বলেন, ‘মুফতী মাওলানা ওমর ফারুকসহ আমাদের বেশ কিছু সমর্থক ও বিক্ষুব্ধ জনতা গিয়ে মাজারের প্রধান খাদেমকে পবিত্র রমজান মাসে মাজার পূজা ও গান-বাজনা করতে নিষেধ করেন। কিন্তু তিনি তা মানতে নারাজ। এক পর্যায় তার ভক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদীর গায়ে হাত তুলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে মাজারটিতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২৭৫ দিন আগে
আত্মহত্যার ঘটনাটি বিভ্রান্তিমূলকভাবে ছড়ানো হয়েছে: প্যানারোমা কর্তৃপক্ষ
গাজীপুরে প্যানারোমা অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানায় এক নারী শ্রমিক পারিবারিক অশান্তির জেরে আত্মহত্যার ঘটনাটি বিভ্রান্তিমূলকভাবে ছড়িয়ে সড়ক অবরোধ ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে প্যানারোমা অ্যাপারেলস লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।
বিবৃতিতে ওই নারী শ্রমিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ঘটনার সঠিক তদন্তে তাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে ছুটি মঞ্জুর না করার কারণে ওই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে বিবৃতিতে দাবি করেছে প্যানারোমা কর্তৃপক্ষ। শুধু তা-ই নয়, ঘটনাটির তদন্ত চলমান রয়েছে উল্লেখ করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ, যানবাহনে আগুন
প্রসঙ্গত, গত রবিবার (২ মার্চ) আফছানা আক্তার (২৯) নামে প্যানারোমা অ্যাপারেলস লিমিটেডের সুইং শাখার এক জুনিয়র অপারেটর বেলা দেড়টার দিকে ওই কারখানার ছাদ থেকে পড়ে নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের মা নাজমা বাদী হয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানায় আফছানার স্বামী হৃদয় খান ওরফে মল্লিক মিয়াকে (৩০) আসামি করে মামলা করেন।
মল্লিক মিয়া বিভিন্ন সময় আফছানাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
নিহত আফছানা ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। শারীরিক দূর্বলতার কারণে তিনি চাকরি না করার কথা জানালে তার স্বামীর সঙ্গে অশান্তি শুরু হয়। এরপর তাকে মারধর করা হয় বলেও মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই কারখানার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে ওই নারী (আফছানা) আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ জানায়, বাসন থানা পুলিশকে খবর দেওয়ার পর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করার পর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, ঘটনার পরদিন গতকাল (সোমবার) সকালে আফছানার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্যানোরামা অ্যাপারেলসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন কারখানার শ্রমিকরা। তাদের অভিযোগ ছিল, আফছানা আক্তার অসুস্থ হয়ে কারখানা থেকে ছুটি না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বিক্ষোভের একপর্যায়ে কয়েকটি মোটরসাইকেল, একটি প্রাইভেটকার ও কারখানার ওয়েস্টেজ মালামালের গুদামে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
২৮৮ দিন আগে
সিরাজগঞ্জে প্রয়াত এমপি স্বপনের দুটি বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ
সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় সয়দাবাদ পুনর্বাসন এলাকায় সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের প্রয়াত এমপি আওয়ামী লীগ নেতা হাসিবুর রহমান স্বপনের দুটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভ করে এ বিষয়টি প্রচার করে।
প্রায় ১০ মিনিটের এ ভিডিওতে দেখা যায়, একটি মিছিল নিয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের পুনর্বাসন এলাকায় ওই দুটি বাড়িতে এ ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের আস্তানা, সয়দাবাদে হবে না—মর্মে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। ভাঙচুর শেষে তারা মিছিল নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে স্বপনের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, ওই এলাকায় তিনটি প্লটে প্রয়াত এমপি স্বপনের তিনটি বাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে একটি একতলা ও একটি দোতলা মিলে দুটি পাকা বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।
প্রয়াত স্বপন ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এর আগে এসব বাড়ি তিনি মেয়েদের নামে লিখে দেন। বর্তমানে এসব বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন, ‘এ ঘটনা লোকমুখে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’
৩১৩ দিন আগে
ফেনীতে সাবেক এমপিদের বাড়ি ও আ.লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ও ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মাসুদ চৌধুরীর বাড়িসহ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফেনীর পৌরসভার বারাহীপুরের বাড়ি ও শহরের স্টেশন রোড এলাকায় হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম, ফেসবুক গ্রুপ ও ব্যক্তিগত আইডি থেকে হামলার ঘোষণা দেয়। ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় তারা ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমবেত হয়ে নাসিমের বাড়ির দিকে রওনা দেন। সেখানে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর পরে ফেনী রেলস্টেশন রোডের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালায়। এ সময় তাদের সঙ্গে স্থানীয়রাও অংশ নেয়। এছাড়া মাসুদ চৌধুরীর সোনাগাজী গ্রামের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে তারা। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। তবে সব জিনিসপত্র পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে শেখ মুজিব টাওয়ারের ম্যুরাল ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
ছাত্র প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন শাকিল বলেন, ‘বুলডোজার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ধানমন্ডি-৩২ গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সন্ধ্যায় প্রোগ্রাম দেওয়া হয়েছে। তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিপ্লবী ছাত্র সমাজ ও আহত ভাইরা মিলে আজকে এখানে কর্মসূচি পালন করি।’
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, ‘পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।’
এর আগে, গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা নাসিমের ফেনীর বাসভবন ও স্টেশন রোডের জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
৩১৩ দিন আগে
ঝিনাইদহে শেখ মুজিব টাওয়ারের ম্যুরাল ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
ঝিনাইদহের ১২৩ ফুট উঁচু দেশের বৃহত্তম শেখ মুজিব টাওয়ারের ম্যুরাল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন শমশেরনগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, শমশেরনগরের শেখ মুজিব টাওয়ারের ম্যুরাল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। এরপর ভাঙচুর করা ম্যুরালগুলো বারবাজার শহরে এনে সড়কের ওপরে রেখে আগুন দিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: শেখ সেলিমের বনানীর বাসায় আগুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সমন্বয় হোসাইন আহমেদ বলেন, ‘বাংলার মাটিতে শেখ হাসিনা পরিবারের কোনো ম্যুরাল থাকবে না, থাকবে না ফ্যাসিবাদের কোনো চিহ্নও।’ এজন্য শেখ মুজিবের ওই ম্যুরালগুলো ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন শমশেরনগর এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ শমসের এই শেখ মুজিব টাওয়ার তৈরি করেছিলেন।
৩১৩ দিন আগে
শেখ সেলিমের বনানীর বাসায় আগুন
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিমের বনানীর বাসায় রাত দেড়টার সময় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ প্রটেকশনের অভাবে ২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত আগুন নেভাতে স্পটে যেতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার ইউএনবিকে এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, উশৃঙ্খল জনতা রাজধানীর বনানীতে সেলিমের বাসায় আগুন দিয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে ফায়ার সার্ভিসে গাড়ি ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি।
এরআগে বুধবার রাতে শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাসায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে ছাত্র-জনতা। বুলডোজার দিয়ে বাড়িটির বেশির ভাগই মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাদের বাসায় ও অফিসে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেছে অন্তবর্তী সরকার।আরও পড়ুন: এবার ডিবি হেফাজতে সোহানা সাবা
এতে বলা হয়, ‘অন্তবর্তী সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করছে। সরকার এ ধরনের কর্মকাণ্ড শক্তভাবে প্রতিহত করবে।’
সরকার নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রস্তুত। কোনো ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে দায়ী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং দোষীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবে বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।
৩১৩ দিন আগে