রোমানিয়া
রোমানিয়ায় উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে উন্নত ক্যারিয়ার ও জীবনধারণের সমূহ সম্ভাবনা। এ ক্ষেত্রে গন্তব্যটি এমন হতে হয় যেখানে সন্নিবেশ ঘটবে নিরাপদ পরিবেশ, মেধাভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা এবং কর্মসংস্থানের পর্যাপ্ততা। সেই সঙ্গে সামগ্রিক খরচটাও হতে হবে সাধ্যের মধ্যে। ঠিক এমনি সুযোগের প্রসঙ্গ যখন আসে, তখন অধিকাংশ ইউরোপীয়ান দেশগুলোর মতো নিমেষেই চলে আসে রোমানিয়ার কথা। বিশ্বমানের সব বিদ্যাপীঠ নিয়ে শেনজেনভুক্ত দেশটি প্রতি বছর সাদরে আমন্ত্রণ জানায় হাজার হাজার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের। চলুন, রোমানিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
রোমানিয়ায় কেন পড়তে যাবেন
বিগত দশক জুড়ে ব্যবসায়িক, শিক্ষা এবং আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানের কারণে উচ্চশিক্ষার জন্য সেরা গন্তব্য হতে পারে রোমানিয়া। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের এই সদস্য দেশটি বর্তমানে ৩২ দশমিক ৩ ক্রাইম ইনডেক্স নিয়ে শীর্ষ নিরাপদ দেশগুলোর তালিকায় ৩৫ নম্বরে অবস্থান করছে। এ ছাড়া ১ দশমিক ৭৫৫ গ্লোবাল পিস ইনডেক্স নিয়ে দেশটি বিশ্বের শীর্ষ শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে ৩৬ নম্বরে রয়েছে।
রোমানিয়ায় পড়াশোনার ও জীবনযাত্রার খরচ পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে কম। অথচ মানের দিক থেকে শিক্ষা ব্যবস্থা একদমই আপোসহীন। শুধু তাই নয়, ইউরোপের অন্যান্য সেরা বিদ্যাপীঠগুলোর সঙ্গে এক সারিতে রয়েছে দেশটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
ওয়ার্ল্ড কিউএস র্যাংকিংয়ে শীর্ষ রোমানিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় হলো বাবেস-বলিয়াই ইউনিভার্সিটি, যেটি রয়েছে ৮০১ নম্বরে। এ ছাড়া বুখারেস্ট ইউনিভার্সিটির র্যাংকিং ৮৫১।
এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের একটি সুবিধা হলো এখানে অর্জন করা ক্রেডিটগুলো সহজেই অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা যায়। এই পরিবর্তনে অধ্যয়নের গুণমানের কোনো ঘাটতি হয় না। এমনকি অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের কোনো শর্ত পূরণ করতে হয় না।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদনের পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
এই স্থানান্তরকে নিরবচ্ছিন্ন করার জন্য সারা বিশ্ব জুড়ে স্বীকৃত কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-
· ইউরোপীয় ক্রেডিট ট্রান্সফার অ্যান্ড অ্যাক্যুমুলেশন সিস্টেম
· ডিপ্লোমা সাপ্লিমেন্ট
· ইউরোপিয়ান কোয়ালিটি চার্টার ফর মোবিলিটি
· ইউরোপিয়ান কোয়ালিফিকেশন্স ফ্রেমওয়ার্ক ফর লাইফ লং লার্নিং
· ইউরোপিয়ান নেটওয়ার্ক অব ইনফরমেশন সেন্টার্স অন একাডেমিক রিকগনিশন অ্যান্ড মোবিলিটি
· ন্যাশনাল একাডেমিক রিকগনিশন ইনফরমেশন সেন্টার্স
আরও পড়ুন: চেক প্রজাতন্ত্রে উচ্চশিক্ষা: পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
রোমানিয়াতে উচ্চশিক্ষায় আবেদনের পূর্বশর্ত
আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের রোমানিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রবেশ করতে হলে ন্যূনতম ১২ বছরের শিক্ষাগত জীবন অতিবাহিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আন্ডারগ্রাজুয়েশনের জন্য হাইস্কুল ডিপ্লোমা বা তার সমতুল্য একাডেমিক ডিগ্রির প্রয়োজন হয়।
মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আবেদনকারীকে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকা জরুরি। পিএইচডির জন্য প্রধান শর্ত হলো প্রাসঙ্গিক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হওয়া।
পড়াশোনা ও চাকরিসহ প্রায় সব ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষার অগ্রাধিকার থাকায় রোমানিয়ান ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক নয়। ইংরেজি ভাষা দক্ষতার জন্য আইইএলটিএস স্কোর ৬ থেকে ৬ দশমিক ৫ এর কিংবা টিওইএফএল-এ ৮০ থেকে ৯০ থাকতে হবে।
রোমানিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাহিদা সম্পন্ন কোর্সের তালিকা
যে স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো রোমানিয়াসহ গোটা ইউরোপে বহুল সমাদৃত, সেগুলো হলো-
· বাবেস-বলিয়াই ইউনিভার্সিটি
· বুখারেস্ট ইউনিভার্সিটি
· আলেকজান্দ্রু ইওয়ান কুজা ইউনিভার্সিটি অব ইয়াসি
· টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ক্লুজ-নাপোকা
· গিওর্গে আসাকি টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ইয়াসি
· ট্রান্সিলভানিয়া ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসভ
· ইউনিভার্সিটি পলিটেকনিকা অব বুখারেস্ট
· ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি অব টিমিসোয়ারা
· বুখারেস্ট ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিক স্টাডিজ
· গ্রিগোরে টি. পোপা ইউনিভার্সিটি অব মেডিসিন অ্যান্ড ফার্মেসি, ইয়াসি
আরো পড়ুন: মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
রোমানিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রথম সারির কোর্সগুলো-
· জেনারেল মেডিসিন
· ডেন্টিস্ট্রি
· ফার্মেসি
· মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
· সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
· ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
· সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং
· আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স
· সাইবার সিকিউরিটি
· ফাইন্যান্স
· মার্কেটিং
· হিউম্যান রিসোর্স
আরও পড়ুন: অস্ট্রিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও স্কলারশিপসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
রোমানিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদনের উপায়
ফল এবং স্প্রিং; এই দুই সেমিস্টারে সাধারণত রোমানিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি নিয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফলের সময়সীমা থাকে পরের বছরের জুলাই বা আগস্ট পর্যন্ত। আর স্প্রিং শেষ হয় ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে।
ভর্তির জন্য প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে অনলাইন আবেদন সম্পন্ন করতে হয়। এ সময় সরবরাহ করা তথ্যের সাপেক্ষে আপলোডের জন্য প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রের স্ক্যান কপি প্রস্তুত রাখতে হবে।
অনলাইন আবেদনের যাবতীয় কাজ শেষে পূরণ করা ফর্মটি ডাউনলোড করে নির্দিষ্ট স্থানে স্বহস্তে সাইন করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় প্রাসঙ্গিক নথিপত্র সহকারে ডাকযোগে পাঠিয়ে দিতে হবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
· নির্ভুলভাবে পূরণ করা ভর্তির আবেদনপত্র
· উচ্চ মাধ্যমিক সনদ, স্নাতক ডিপ্লোমা বা সমমানের সনদের প্রত্যয়িত অনুলিপি (স্নাতকের জন্য)
· স্নাতক শংসাপত্রের প্রত্যয়িত অনুলিপি (স্নাতকোত্তরের জন্য)
· জন্ম শংসাপত্রের প্রত্যয়িত অনুলিপি
· মেডিকেল সার্টিফিকেট
· পাসপোর্টের প্রত্যয়িত কপি
· ভাষা দক্ষতা শংসাপত্র (আইইএলটিএস বা টিওইএফএল স্কোর)
· দুটি সাম্প্রতিক ছবি (পাসপোর্ট সাইজের)
· গবেষণার প্রস্তাবনা (পিএইচডির ক্ষেত্রে)
· প্রাসঙ্গিক বিষয়ে প্রকাশনা (পিএইচডির ক্ষেত্রে)
· সিভি বা পোর্টফোলিও (স্নাতকোত্তর বা পিএইচডির ক্ষেত্রে)
· লেটার অব রিকমেন্ডেশন
· আবেদনের ফি পরিশোধের রশিদ: ৫০ থেকে ১০০ ইউরো বা ৬ হাজার ৩৫৬ থেকে ১২ হাজার ৭১২ টাকা (১ ইউরো = ১২৭ দশমিক ১১ বাংলাদেশি টাকা)
মাস্টার্সের বিষয়ের ওপর নির্ভর করে জিআরই, জিম্যাট বা এলস্যাটের মতো অতিরিক্ত পরীক্ষার স্কোর প্রদর্শন করতে হতে পারে। তাছাড়া এর বাইরেও সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নথি চাওয়া হতে পারে। প্রতিটি নথি রোমানিয়ান, ইংরেজি ও ফরাসি যেকোনো একটি ভাষায় অনূদিত হতে হবে।
আরও পড়ুন: হাঙ্গেরিতে উচ্চশিক্ষা: আবেদনের উপায়, পড়াশোনার খরচ, স্কলারশিপ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
৪ মাস আগে
আক্রমণের পসরা সাজিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস
চমক জাগিয়ে বেলজিয়ামকে হটিয়ে গ্রুপসেরা হয়ে শেষ ষোলোয় উঠলেও নেদারল্যান্ডসের আক্রমণের তোড়ে ভেসে গেল রোমানিয়া। অন্যদিকে, তৃতীয় হয়ে কোনোমতে শেষ ষোলোয় উঠলেও নকআউট পর্বে এসে নিজেদের মেলে ধরল ডাচরা। এর ফলে বড় জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে রোনাল্ড কুমানের দল।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) মিউনিখের আলিয়ান্স আরেনায় সপ্তম ম্যাচে রোমানিয়াকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস।
ডাচদের হয়ে গোলের খাতা খোলেন লিভারপুলের স্ট্রাইকার কোডি গাকপো, পরের গোল দুটি করেন দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি নামা ডনিয়েল মালেন।
এদিন গোলের জন্য মোট ২৩টি শট নিয়ে তার ৬টি লক্ষ্যে রাখতে পারে নেদারল্যান্ডস। অন্যদিকে, রোমানিয়ার ৫টি শটের মাত্র একটি ছিল লক্ষ্যে।
খেলায় ৬৫ শতাংশ সময় বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যায় ডাচরা। খেলার সর্বোপরি চিত্র এমন হলেও শুরুটা মোটেও একপেশে ছিল না।
প্রথম থেকেই ডাচদের সঙ্গে সমানে লড়াই করতে থাকে রোমানিয়া। নেদারল্যান্ডসের হয়ে খেলার ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম শটটি নেন পিএসজির তরুণ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার জাভি সিমোন্স। তবে দুই মিনিট পরই ডাচ রক্ষণের পরীক্ষা নেয় রোমানিয়া।
এরপর ম্যাচের চতুর্দশ মিনিটে পরপর দুবার আক্রমণে ওঠে রোমানিয়া। তবে গোলের খুব কাছাকাছি গিয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি তারা।
আরও পড়ুন: বেলিংহ্যামের শেষের নাটকের পর স্লোভাকিয়াকে কাঁদিয়ে শেষ আটে ইংল্যান্ড
এসময় সাবধানী ফুটবলে মনোযোগী হয় নেদারল্যান্ডস। ছোট ছোট পাসে বলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে তারা। এতে দ্রুত সফলও হয় তারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০তম মিনিটে ফলাফলও পেয়ে যায় নেদারল্যান্ডস।
সিমোন্সের পাস ধরে বাঁ দিক দিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে পড়েন গাকপো। এরপর একজন ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে কাছের পোস্ট দিয়ে নিচু শট শানান তিনি। আর এতেই বল গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জাল খুঁজে নেয়। ফলে প্রথমবার ম্যাচে এগিয়ে যায় ডাচরা।
চলতি আসরে গাকপোর এটি ছিল তৃতীয় গোল। জর্জিয়ার জর্জেস মিকাউতাদজে, জার্মানির জামাল মুসিয়ালা ও স্লোভাকিয়ার ইভান শারাঞ্জের সঙ্গে যৌথভাবে যা টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ।
৫ মাস আগে
রোমানিয়ার ভিসা পাচ্ছেন ১৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশি
চলতি বছরের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ভিসা দেবে রোমানিয়া।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত বছর রোমানিয়ার কনস্যুলারদের একটি দল তিন মাস ঢাকায় অবস্থান করে প্রায় পাঁচ হাজার ৪০০ ভিসা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে আটকে পড়া নাবিকদের রোমানিয়ায় নেয়ার চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমওএফএ) মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ের সময় বলেন, মিশনটি সফলভাবে পরিচালিত হওয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রোমানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি দিয়ে তাকে আরেকটি কনস্যুলার মিশন পরিচালনার অনুরোধ জানিয়েছেন।।
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর রোমানিয়া বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদানের সুবিধার্থে মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের জন্য ঢাকায় একটি কনস্যুলার মিশন চালানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’
সেহেলী বলেন, ঢাকায় রোমানিয়ার কনস্যুলার মিশন পরিচালনার সব ব্যবস্থা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় করছে।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলে ২৯ দেশ পেরিয়ে রোমানিয়ার তরুণী এখন সাতক্ষীরায়
১ বছর আগে
মোটরসাইকেলে ২৯ দেশ পেরিয়ে রোমানিয়ার তরুণী এখন সাতক্ষীরায়
মোটরসাইকেলে চড়ে ২৯ দেশ পেরিয়ে সাতক্ষীরায় রোমানিয়ার এক তরুণী। দুইদিন আগে সাতক্ষীরায় এসে পৌঁছেছেন তিনি। থাকছেন সাতক্ষীরা শহরের অদূরে বিনেরপোতা এলাকার ঋশিল্পী ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি বেসরকারি সংস্থায়।
রোমানিয়ার তরুণী এলেনা একজন পর্যটক। পুরো বিশ্ব একবার ঘুরে দেখার ইচ্ছে তার। এ পর্যন্ত মোট ২৯টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন।
এক মাস আগে ইতালি থেকে মোটরসাইকেলে চড়ে বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় এসেছেন এলেনার বন্ধু আন্দ্রেয়া। তরুণ আন্দ্রেয়া ঋশিল্পী ইন্টারন্যাশনাল সংস্থাটির একজন দাতা (ডোনার)। আন্দ্রিয়ার আহ্বানে তার বন্ধু এলেনা বাংলাদেশে এসেছেন।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) এলেনা ও আন্দ্রেয়ার আহ্ববানে তাদের বন্ধু ইলেরিও ভারত থেকে ভোমরা স্থলবন্দর হয়ে সাতক্ষীরায় এসেছেন।
আরও পড়ুন: লিঙ্গ সমতা শিক্ষায় তরুণীদের সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১ বছর আগে
ইউক্রেনে আটকে পড়া নাবিকদের রোমানিয়ায় নেয়ার চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’-এর ২৮ জন নাবিককে রোমানিয়ায় নেয়ার চেষ্টা চলছে।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে পালিয়ে পোল্যান্ডে এখন প্রায় ৬০০ বাংলাদেশি রয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, হামলার শিকার হওয়া জাহাজের নাবিকদের ইতোমধ্যেই অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গত বুধবার রুশ রকেট হামলায় এ জাহাজটির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ হাদিসুর রহমান আরিফ মারা যান। জাহাজটিকে বর্তমানে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আটকা পড়া ২৮ বাংলাদেশি নাবিককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
প্রাথমিকভাবে সরকার বাংলাদেশি জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধির ২৮ জন নাবিককে পোল্যান্ডের ওয়ারশতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে।
নাবিকরা তাদের সঙ্গে ৪৭ বছর বয়সী বাংলাদেশের নাগরিক নিহত নাবিক হাদিসুর রহমানের লাশও বহন করছেন।
যদি ২৮ জন নাবিক নিরাপদে ইউক্রেন ত্যাগ করতে পারে, তবে সরকার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের এবং নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ারের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনবে।
পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের ক্যাপ্টেনের সঙ্গে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের যুদ্ধে অস্ত্র হাতে গাজীপুরের তাইয়েফ
এদিকে, বৃহস্পতিবার ঢাকায় রুশ দূতাবাস নিহত হাদিসুর রহমানের আত্মীয় ও প্রিয়জনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।
দূতাবাস জানায়, রাশিয়ান ফেডারেশনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডো এক নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণের তথ্যের ভিত্তিতে বারবার বলেছে যে, পিছু হঠার সময় ইউক্রেনীয় জাতীয়তাবাদীরা নির্বিচারে গুলি চালায় এবং সন্ত্রাসী কৌশল হিসেবে ইচ্ছাকৃতভাবে জিম্মিদের ধরে নিয়ে গিয়ে তাদের ‘মানব ঢাল’ হিসাবে ব্যবহার করে।
যখন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হাদিসুর নিহত হয়, বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটি তখন ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে নোঙর করে রাখা ছিল।
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান থেকে উদ্ভূত মানবিক সমস্যা সমাধানে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার অনুরোধসহ রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হটলাইন চালু করেছে। হটলাইন নম্বর +৭ ৪৯৫৪৯৮-৪৬, ৭ ৪৯৫৪৯৮-৪২-১১, ৭ ৪৯৫৪৯৮-৪১-০৯।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে ভোট দেয়া থেকে বিরত বাংলাদেশ
২ বছর আগে
৭২ শরণার্থীকে লিবিয়া থেকে রোমানিয়ায় স্থানান্তর
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ৭২ জন শরণার্থীকে লিবিয়া থেকে রোমানিয়ায় সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
৫ বছর আগে