দোরাইস্বামী
আপনাদের উন্নয়নের জন্যই আপনাদের গণতন্ত্র: দোরাইস্বামী
বাংলাদেশের বিদায়ী ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রায় সুখী, সমৃদ্ধ ও সফল দেখতে চায়।
তিনি বলেন, আপনাদের গণতন্ত্র আপনাদের উন্নয়নের জন্য।
শনিবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসময় তিনি বীর শহীদদের স্বরণে এক মিনিট নিরাবতা পালন করেন ও স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হৃদয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত: দোরাইস্বামী
দোরাস্বামী যুক্তরাজ্যে ভারতের হাইকমিশনার নিযুক্ত হওয়ায় তিনি আগামীকাল বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিদায়ী সংবর্ধনায় দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক একটি ট্রেনের মতো এবং ট্রেনটিকে অবশ্যই একসঙ্গে চলে আরও মহৎ কিছু করা অব্যাহত রাখতে হবে।
দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত মনে-প্রাণে সম্পর্কিত, এটি রক্তের বন্ধনের চেয়েও শক্তিশালী। আমরা সর্বদা এই সম্পর্কে বিশ্বাস করি।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভারতের ইমিগ্রেশন খুলে দেয়া হবে: দোরাইস্বামী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে: দোরাইস্বামী
২ বছর আগে
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হৃদয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত: দোরাইস্বামী
বাংলাদেশে বিদায়ী ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে ‘ট্রেন’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হৃদয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত।
গত দশকে দুই দেশ একসঙ্গে অনেক মহৎ কাজ করেছে যা উদযাপন করার মতো কিছু। কথাটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতীয় হাইকমিশনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে দোরাইস্বামী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণ আত্মা ও হৃদয়ে সম্পর্কযুক এবং তা রক্তের সম্পর্কের চেয়েও বেশি কিছু। আমরা সব সময় সে সম্পর্ক বিশ্বাস করি।’
দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং। তবে এটি এমন একটি সম্পর্ক যা সবচেয়ে মৌলিক নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত যা হৃদয়ের সংযোগ।
ভারতীয় এই কূটনীতিক বলেন, তারা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে অনেক কথাই বলেন কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ‘আমরা তোমাদের আত্মীয় এবং তোমরা আমাদের আত্মীয়।’
তিনি বলেন, একে অপরের কাছ থেকে প্রত্যাশা অনেক সময় অবাস্তব হতে পারে।
হাইকমিশনার বাংলাদেশে তার বন্ধুদের আর্জি জানান, তারা যেন সব সময় গ্লাসের দিকে তাকিয়ে তা ‘অর্ধেক পূর্ণ’ হিসেবে দেখে ইতিবাচকভাবে নেয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই কিছু জিনিস আছে যা আমাদের একসঙ্গে করতে হবে, আরও অনেক কিছু আমরা করতে চাই এবং তা একসঙ্গে করা উচিত।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে: দোরাইস্বামী
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের অবদানের কথা স্বীকার করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দুই দেশ একসঙ্গে যা করেছে তা উদযাপন করা এবং বাংলাদেশ-ভারত অংশীদারিত্বের সাফল্য উদযাপন করা আমাদের কাজ। আমরা প্রত্যেকেই আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে অবদান রেখেছি।’
দোরাইস্বামী বলেন, একজনের জীবনে অনেক ধরনের সম্মান থাকে। তবে বাংলাদেশের মতো একটি দেশে সেবা করা, যে দেশটি ভারতের কাছে তাৎপর্য ও গুরুত্বপূর্ণ দেশ, সে সম্মান দ্বিগুণ করেছে।
বাংলাদেশি বন্ধুদের বিদায় জানাতে হাইকমিশনার আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, ব্যবসায়ী নেতা, কূটনীতিক, সুশীল সমাজের সদস্য, শিল্পী ও জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
হাইকমিশনার দোরাইস্বামী বাংলাদেশে তার ‘চিত্তাকর্ষক’ মেয়াদ শেষ করে ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা ত্যাগ করতে পারেন। তিনি যুক্তরাজ্যে ভারতের পরবর্তী হাইকমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন এবং শিগগিরই তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আগামী ৫০ বছরে দু’দেশকে অনেক কিছু করতে হবে: দোরাইস্বামী
শিগগিরই ঢাকায় আসছেন প্রণয় কুমার
বর্তমানে ভিয়েতনামে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা বাংলাদেশে ভারতের পরবর্তী হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
প্রণয় কুমার ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে এবং রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র জমা দেয়ার পরই আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ।
প্রণয় ১৯৯৪ সালে ভারতীয় ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন এবং হংকং, সান ফ্রান্সিসকো, বেইজিং, কাঠমান্ডু এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ২০১৭ সালের জুন থেকে নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পূর্ব এশিয়া বিভাগের যুগ্ম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি কূটনৈতিক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে ভারতের পরমাণু শক্তি বিভাগে পরমাণু কূটনীতিক হিসেবেও কাজ করেন।
প্রণয় কুমারের মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি রয়েছে। ভারতীয় ফরেন সার্ভিসে যোগদানের আগে তিনি ভারতের ইস্পাত উৎপাদনকারী কোম্পানি টাটা স্টিলে তার পেশা জীবন শুরু করেছিলেন। এছাড়াও তার যুক্তরাষ্ট্রের মিডলবেরি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ থেকে চীনা ভাষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভারতের ইমিগ্রেশন খুলে দেয়া হবে: দোরাইস্বামী
২ বছর আগে
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে: দোরাইস্বামী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে ভারত আশা করে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে এ মন্তব্য করেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, তার দেশ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক জোরদার এবং বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে।
দ্বিপক্ষীয় বন্ধন নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে।
দোরাইস্বামী বলেন, দুই দেশের পরবর্তী প্রজন্ম বিদ্যমান সম্পর্কের সুবিধা উপভোগ করতে পারে। কারণ এটি ইতোমধ্যে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ত সময়সূচি: মোমেন
শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরকে ‘অত্যন্ত সফল’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে তার ফলপ্রসূ সফরের জন্য অভিনন্দন জানান।
বৈঠকে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপরও জোর দেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার ঢাকায় অবস্থানকালে শেখ হাসিনার সরকারের কাছ থেকে যে সমর্থন ও দিক নির্দেশনা পেয়েছেন তার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী, তার সরকার এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এ অঞ্চলের মানুষের বৃহত্তর সুবিধার স্বার্থে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার টেকসই উন্নয়ন চায়।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে উদ্বেগের কিছু সমস্যা থাকতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আলোচনার মাধ্যমে উদ্বেগের এই সমস্যাগুলো সমাধান করে আমরা এগিয়ে যেতে পারি।’
তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর ভারতে তার নির্বাসিত জীবনের স্মৃতি স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা বিদায়ী ভারতীয় হাইকমিশনারকে তার নতুন পদায়নের জন্য অভিনন্দন জানান এবং তার উজ্জ্বল ও সফল কর্মজীবন কামনা করেন।
বৈঠকে ভারতীয় হাইকমিশনার শেখ হাসিনার পোট্রেট উপহার দেন এবং প্রধানমন্ত্রী তাকে একটি বই, শাড়ি ও নৌকার রেপ্লিকা উপহার দেন।
আরও পড়ুন: বিদেশে চিকিৎসার বিকল্প হবে ‘সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল’: প্রধানমন্ত্রী
রানির প্রতি শোক জানাতে ব্রিটিশ হাইকমিশনে প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
সীমান্ত হত্যা দুঃখজনক, এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: দোরাইস্বামী
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তার দেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, এটি দুঃখজনক, এটিকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি সীমান্ত হত্যা দুঃখজনক এবং এটা বন্ধ করতে হবে। কিন্তু আমাদের এটিকে সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করতে হবে, সীমান্তে যারা আহত বা নিহত হয় তারা দু’দেশেরই।
হাইকমিশনার বলেন, কেউ চায় না যে সীমান্তে কেউ আঘাত করুক। মানুষ কেন মানব পাচারসহ অবৈধ কার্যকলাপ চালাচ্ছে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার উপায় খুঁজে বের করার জন্য উভয় পক্ষের আরও শক্তিশালী প্রচেষ্টা দরকার।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এবং রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিজের (রিস) যৌথভাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারতের ৫০ বছরের অংশীদারত্ব: আগামী ৫০ বছরের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁও সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
হাইকমিশনার সীমান্ত এলাকায় আরও বেশি বর্ডার হাট, আন্তঃসীমান্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের উপর গুরুত্ব দেন।
অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
পড়ুন: সীমান্ত হত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক আইনে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান বিএনপির
আমরা কোনো সীমান্তেই প্রাণহানি চাই না: ভারতীয় হাইকমিশনার
২ বছর আগে
গান্ধীজীর জীবন এবং বাণী আজও প্রাসঙ্গিক: দোরাইস্বামী
মহাত্মা গান্ধীজীর জীবন এবং তার বাণী আজও প্রাসঙ্গিক বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
শনিবার নোয়াখালীতে গান্ধী আশ্রম ও ভারতীয় হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে গান্ধী মেমোরিয়াল হাইস্কুল ক্যাম্পাসে আয়োজিত 'অহিংসা, সত্যাগ্রহ এবং মহাত্মা গান্ধীকে স্মরণ' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন হাইকমিশনার।
মহাত্মা গান্ধীর ১৫২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়। ২০০৭ সাল থেকে দিনটিকে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবেও পালন করা হয়।
গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে. আব্দুল মোমেন ও ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী বিক্রম দোরাইস্বামী অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সাবেক সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, মিস অ্যারোমা দত্ত, এমপি, জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন আবাসিক সমন্বয়কারী মি. টুয়োমো পুটিআইনেন এবং আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর ও ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি জনাব সুদীপ্ত মুখার্জী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশিষ্ট ভারতীয় ব্যক্তিদের সাথে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠতার কথা স্মরণ করলেন দোরাইস্বামী
আনিসুল হক, ড. আবদুল মোমেন এবং হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী সদ্য সংস্কারকৃত গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন করেন।
গান্ধী আশ্রম ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অবস্থিত অনন্য এই জাদুঘর সংস্কারে সহায়তা করেছে ভারত সরকার। অতিথিরা গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিচিহ্ন এবং জাদুঘরের প্রদর্শনীর শিল্পকর্মের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী ২০১৯ সালে মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জাতিসংঘের একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য স্মরণ করেন।
মুজিববর্ষ উদযাপনকালে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী বাংলাদেশে প্রদর্শিত হওয়ায় হাইকমিশনার আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি ঢাকায় চলমান বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী দেখার জন্য দর্শকদের আমন্ত্রণ জানান। প্রদর্শনীটি ১১ অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত ঢাকায় উন্মুক্ত থাকবে এবং পরে চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা এবং রাজশাহীতে প্রদর্শিত হবে।
তিনি বলেন, প্রদর্শনীটি আমাদের দুই দেশের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও উত্তরাধিকারের মতো একটি অনন্য বিষয়কে উপস্থাপন করছে।
অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চণ্ডালিকা অবলম্বনে একটি বিশেষ নৃত্যনাট্য উপস্থাপন করে ঢাকার স্পন্দন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
পড়ুন: মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন: বেনাপোলে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ
৩ বছর আগে
বিশিষ্ট ভারতীয় ব্যক্তিদের সাথে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠতার কথা স্মরণ করলেন দোরাইস্বামী
ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ভারতীয় হাইকমিশন, ঢাকা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গ্রন্থপাঠ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে, অংশগ্রহণকারীরা যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে কিছু নির্বাচিত অংশ পাঠ করে এবং সেগুলি নিয়ে আলোচনা করে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে অধিবেশন শুরু হয়।
তিনি কয়েক দশক ধরে বিশিষ্ট ভারতীয় ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠতার কথা স্মরণ করেন। তার বক্তব্যেন পর অসমাপ্ত আত্মজীনী থেকে ছয়টি অংশ পাঠ করা হয়।
প্রতিটি অংশ পাঠের পর সেগুলোর তাৎপর্য সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ এবং আকর্ষণীয় জীবনকাহিনী তার অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে নির্বাচিত অংশগুলোতে প্রতিফলিত হয়েছে।
ভারতীয় হাইকমিশনারসহ অংশগ্রহণকারীরা সমস্বরে বঙ্গবন্ধুর সাহিত্যিক গুণাবলীর পাশাপাশি আধুনিক ইতিহাস, রাজনীতি এবং বাংলাদেশের গল্পের সাথে তার প্রাসঙ্গিকতার প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবনই সকলের জন্য একটা বার্তা: ড. অজিৎ সিং
বঙ্গবন্ধুকে যারা অস্বীকার করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: তথ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে নিরপেক্ষ কমিশন: আইনমন্ত্রী
৩ বছর আগে
বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যাপারে আমরা সাধ্যমতো কাজ করছি: দোরাইস্বামী
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যাপারে আমরা সাধ্যমতো কাজ করছি।
তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বেই ভ্যাকসিনের সংকট রয়েছে। সরবরাহের চেয়ে অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। সবাই কাজ করছে কিভাবে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা যায়। বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যাপারে আমরা সাধ্যমতো কাজ করছি। এর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি টিকা গ্রহণ করেছে। আমরা কতটুকু সহযোগিতা করতে পারি তা দেখুন।’
আরও পড়ুন: টিকা নেয়ার পর আক্রান্ত হলেও স্বাস্থ্যঝুঁকি কম: গবেষণা
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ভারতের আগরতলা থেকে আখাউড়া আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ভ্যাকসিনের কারণে দু’দেশের সম্পর্কে ভাটা পড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার বলেন, বর্তমানে ভারতে টিকার মারাত্মক সংকট রয়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি টিকা পেয়েছে। অন্য কোন দেশ তা পায়নি। আমাদের সীমিত উৎপাদনের মধ্যে বাংলাদেশকে টিকা দেয়ার ব্যাপারে কাজ করছি।
আরও পড়ুন: ভারতে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড আড়াই লাখের বেশি করোনা শনাক্ত
তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক সব সময়ই একটি বিশেষ সম্পর্ক। এমনকি এই করোনা মহামারির মধ্যেও ভারত-বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে।
বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, বর্তমানে আমরা একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে রয়েছি। আশা করি রমজান মাসে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে একসাথে প্রার্থনা করবো আমরা। আমরা সবাই এই সংকট (কোভিড-১৯) থেকে বেরিয়ে আসতে পারব।
আরও পড়ুন: 'জনসন অ্যান্ড জনসন'-র করোনাভাইরাসের টিকা কিনবে না অস্ট্রেলিয়া
হাইকমিশনার আরও বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ খুব বড় ঢেউ। ভারতে বর্তমান অবস্থা খুব খারাপ। আমরা সবাই সংকট সমাধানে একসাথে কাজ করছি। দেখা যাক, দুই দেশের মানুষের স্বার্থে কী করতে পারি। এসময় তার স্ত্রী সঙ্গীতা দোরাইস্বামী সঙ্গে ছিলেন।
এর আগে বিক্রম দোরাইস্বামী দিল্লি থেকে বিমানযোগে আগরতলা এসেছে পৌঁছান। ৪ দিনের ছুটি কাটিয়ে সেখান থেকে সড়ক পথে আগরতলা চেকপোস্টে আসেন। চেকপোস্টে তাকে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ-আলম, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান। পরে তিনি সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
৩ বছর আগে
পাকিস্তানের ১৯৭১ সালের গণহত্যার বিচার: এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী সোমবার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী দ্বারা সংঘটিত গণহত্যার বিচার যেকোনো সময় হতে পারে কারণ এর জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা বাধা নেই।
৩ বছর আগে
বাংলাদেশ-ভারত অংশীদারিত্ব: পানিবণ্টন নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে চায় দিল্লি
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, তারা ২০২১ সালে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের বছরে ছয়টি অভিন্ন নদীর পানি ভাগাভাগির বিষয়ে ‘খুব দ্রুত’ পদক্ষেপ নিয়ে দেখাতে চায় যে দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব এবং ভাগ করে নেয়ার চেতনা খুব দৃঢ় রয়েছে।
৩ বছর আগে