মুক্তিযোদ্ধা কোটা
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯৩ শিক্ষার্থী
মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২৫ সালের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ১৯৩ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, এমবিবিএস ভর্তি কার্যক্রমে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিদ্যমান বিধি অনুসারে শুধু মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য প্রযোজ্য হবে। তাদের নাতি-নাতনি বা অন্য কারো জন্য প্রযোজ্য হবে না।
‘এই কোটার অধীনে সংরক্ষিত ২৬৯টি আসনের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জন প্রার্থী পাওয়া গেছে। অবশিষ্ট ৭৬টি আসন এরইমধ্যে মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা হয়েছে।’
এই কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯৩ জনের পিতা/মাতার মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র, নিজের জন্মনিবন্ধন সনদসহ যাবতীয় প্রমাণাদি ও একাডেমিক সনদ নিয়ে আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পুরাতন ভবনের দোতলায় মেডিকেল এডুকেশন শাখায় উপস্থিত হয়ে যাচাই-বাছাই করাতে হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনঃপ্রকাশের দাবি শিক্ষার্থীদের
‘যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় কোনো ভুল বা অসত্য তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর ভর্তি বাতিল হবে এবং মেধা তালিকা থেকে সেই শূন্য আসন পূর্ণ করা হবে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই ১৯৩ জনের ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। অবশিষ্টদের ভর্তিসহ মেডিকেল কলেজের অন্যান্য কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে।
১০১ দিন আগে
মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে ফেসবুকে কটাক্ষ, যুবক গ্রেপ্তার
দিনাজপুরে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে কটাক্ষ করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৩) নামের এক যুবক গ্রেপ্তার হয়েছেন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী ওই যুবকের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে থানায় মামলা করেন। এরপর বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে হাকিমপুর উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার ধরন্দা এলাকার সিপি রোডের মো. মোখলেছুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ: হাইকোর্ট
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুন সকাল ৯টা থেকে রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম তার নিজের ফেসবুক আইডিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা নিয়ে কটাক্ষ করে পোস্ট দেন।
তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘কোরবানির মাংসের ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হোক।’ এই পোস্টকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
এই ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা ওই যুবকের এমন পোস্টের তীব্র প্রতিবাদ জানান। তাদের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বুধবার দুপুরে হাকিমপুর থানায় মামলা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদ ঢাবি শিক্ষার্থীদের
এ বিষয়ে হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দুলাল হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে কটাক্ষ করে জাহাঙ্গীর আলম তার নিজ ফেসবুকে পোস্ট দেন। এই অভিযোগে বুধবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে দিনাজপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
৩১৫ দিন আগে
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ: হাইকোর্ট
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৫ জুন) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
এ রায়ের ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বহাল থাকল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ‘সানভীস বাই তনি’ শোরুম সিলগালা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) সাইফুজ্জামান জামান।
আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয় বিবেচনা করে যেহেতু সংবিধান প্রণয়ণের আগেই মুক্তিযোদ্ধা কোটা চালু করা হয়, এটা চলমান ছিল। এটা চলমান থাকাবস্থায় সরকার একটা পরিপত্রের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ কোটা ২০১৮ সালের ৪ঠা অক্টোবর বাতিল করে দেয়। এর আগে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সংরক্ষণের ব্যাপারে আপিল বিভাগ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত আছে, এই কোটা বাস্তবায়নযোগ্য। কিন্তু তারপরও ২০১৮ সালে নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের ক্ষেত্রে এই কোটা বাতিল করা হয়। এটা অবৈধ ঘোষণা করেছে। ফলে এখন থেকে ১৩ থেকে নবম গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ দিতে কোনো বাধা রইল না।
জানা যায়, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা দীর্ঘদিনের। ১৯৭২ সালের ৫ নভেম্বর এক নির্বাহী আদেশে সরকারি, আধাসরকারি, প্রতিরক্ষা এবং জাতীয়করণ করা প্রতিষ্ঠানে জেলা ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়। পরে বিভিন্ন সময় এ কোটা পদ্ধতির সংস্কার, পরিমার্জন ও পরিবর্তন করে সরকার।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ২০১৮ সালের ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার।
এরপর ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাতজন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। এ রিটের শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন। এ রুলের উপর চূড়ান্ত শুনানি করে হাইকোর্ট রুল মঞ্জুর করে রায় দেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে খালাস পেলেন ‘ভূমির কুতুব’
ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ মাসের জন্য স্থগিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম: হাইকোর্ট
৩৩০ দিন আগে
মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের দাবিতে শাহবাগে অবস্থান
সরকারি চাকরির সব পদের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালে সাত দফা দাবিতে রাজধানী ঢাকার শাহবাগ মোড়ে এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের নেতা-কর্মীরা।
১৫৮৫ দিন আগে