বালুখালী ক্যাম্প
উখিয়ায় গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা নিহতের ঘটনায় ৭৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী ক্যাম্পে শুক্রবার রাতে গোলাগলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহতের ঘটনায় আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) নেতাসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে সোমবার তিনটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ঘটনাটিকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছে।
উক্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এপিবিএন-৮ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ফারুক আহমেদ জানান, উখিয়া থানায় দায়ের করা মামলার আসামিরা হলেন এআরএসএ প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিসহ ৭৭ জন।
সোমবার বিকালে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১৩) সি-ব্লকের নজির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ সালাম ওরফে ডেভিড নজির (২১) ও ক্যাম্প-৮ আশ্রয়শিবিরের বি-ব্লকের বাসিন্দা নুর বশরের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের (২১)। তাদের উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝি গুলিবিদ্ধ
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, অবৈধ মাদক ব্যবসা নিয়ে এআরএসএ ও নবী হোসেনের সশস্ত্র রোহিঙ্গা দলের মধ্যে গোলাগুলিতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
মামলা সূত্র অনুসারে, শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-৮ পশ্চিম) বি-৬২ ব্লক ও বি-৪৯ ব্লকের মাঝামাঝি এলাকায় একজন রোহিঙ্গা মাঝিকে অপহরণ করতে যায় ৪০-৪৫ জনের একটি অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা দল। খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা গুলি ছুঁড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে এপিবিএন সদস্যরাও গুলি ছোঁড়েন। একপর্যায়ে রোহিঙ্গা দলটি পাশের জঙ্গলে আত্মগোপন করলে ঘটনাস্থল থেকে তাদের দুই সদস্য সলিম উল্লাহ ও রেদোয়ানের লাশ পাওয়া যায়।
তবে শুক্রবারের হত্যাকাণ্ড নিয়ে আরএসএ প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে গোলাগুলিতে ২ রোহিঙ্গা নিহত
উখিয়া ক্যাম্পে ২ রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা, আটক ২
২ বছর আগে
রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরে যাচ্ছে জাহাজ
নোয়াখালীর দ্বীপ ভাসানচরের পথে যাত্রা করেছে রোহিঙ্গাবাহী জাহাজ।
৩ বছর আগে