নরেন্দ্র মোদি
যশোরেশ্বরী মন্দিরে নরেন্দ্র মোদির উপহারের স্বর্ণের মুকুটের সন্ধান মেলেনি এখনও
চুরি হওয়া যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপহারের স্বর্ণের মুকুটটির সন্ধান শুক্রবার (১২ অক্টোবর) পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এছাড়াও চুরির ঘটনায় জড়িত যুবককেও শনাক্ত করা যায়নি।
পুলিশ মুকুট চুরির ঘটনায় মন্দিরের প্রধান পুরোহিত দিলীপ ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী রেখাসহ ৭ জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার অজ্ঞাত এক যুবক মন্দিরে গিয়ে দেবীর কালীর মাথা থেকে স্বর্ণের মুকুট খুলে নিয়ে যায়।
ঐ যুবক স্থানীয় নয়। শ্যামনগরের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সীমান্ত এলাকায় তার ছবি ছড়িয়ে দিলেও কোনোভাবে তাকে কেউ শনাক্ত করা যায়নি।
আরও পড়ুন: ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময়
স্থানীয়দের মতে, সিসি ক্যামেরায় প্যান্ট ও সাদা টিশার্ট পরা এক যুবকের ছবি ধরা পড়লেও চুরির ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। এছাড়া পরিচ্ছন্নতাকর্মী রেখা মন্দিরের মূল ফটক খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে।
সাধারণত শনিবার ও মঙ্গলবার পূজার জন্য মুকুটটি মন্দিরে আনা হয়। মুকুটটি বৃহস্পতিবার চুরি হয়। মঙ্গলবার পূজার পর কেন মুকুট বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
মহারাজা প্রতাপাদিত্য স্মৃতিরক্ষা পরিষদের সভাপতি জয়দেব বিশ্বাস বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান সম্পদ হওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে পারেনি। সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য যাচাইয়ের পর মনে হয়েছে, চুরির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের আহ্বায়ক বিষ্ণুপদ মণ্ডল বলেন, ‘আমার কাছে স্বর্ণের মুকুট চুরিটাকে সম্পূর্ণ স্যাবোটাজ মনে হয়েছে। পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চুরিটি হতে পারে।’
মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বরতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, পুলিশ কাউকে আটক করেনি। তবে যুবকের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, মন্দিরের পুরোহিত ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মন্দিরের পুরোহিত একেক সময় একেক কথা বলছেন।
মন্দির কমিটির নেতারা ঢাকায় রয়েছেন জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা থেকে শ্যামনগর ফিরে তারা চুরির ঘটনায় মামলা করবেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের মার্চে শ্রীশ্রী যশোরেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওই মুকুট দেবী কালির মাথায় পরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: এক উঠানে মসজিদ-মন্দির, ধর্মীয় সম্প্রীতির উজ্জ্বল নিদর্শন
২ মাস আগে
মোদি 'সবচেয়ে ভালো মানুষ’ : ট্রাম্প
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘বন্ধু’ পরিচয় দিয়ে 'সবচেয়ে ভালো মানুষদের একজন' হিসেবে প্রশংসা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইন্ডিয়া টুডে ম্যাগাজিন জানিয়েছে, ফ্ল্যাগ্র্যান্ট পডকাস্টে কথোপকথনের সময় ট্রাম্প ভারতে মোদির নেতৃত্ব তুলে ধরে বিশ্ব নেতাদের সম্পর্কে তার ধারণা নিয়ে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, 'মোদি আমার বন্ধু এবং আমার দেখা সবচেয়ে চমৎকার মানুষদের একজন।’
ট্রাম্প আরও বলেন, মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ভারত বেশ অস্থিতিশীল ছিল। বাইরে থেকে তাকে পিতৃসুলভ মনে হলেও তিনি একজন শক্তিশালী ও দৃঢ়চেতা নেতা।
২ মাস আগে
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক হবে না
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কোনো বৈঠক হবে না। কারণ এই দুই নেতার সময়সূচি আলাদা।
ঢাকা ও নয়াদিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন, অধ্যাপক ইউনূস নিউইয়র্কে পৌঁছানোর আগেই মোদি যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দুই নেতার বৈঠকের সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, মনে হচ্ছে কোনো সম্ভাবনা নেই, কারণ মোদি একটু আগেভাগে যাচ্ছেন এবং প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস সেখানে কিছুটা দেরিতে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন ইউনূস
শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিন দিনের সফর শুরু করেছেন মোদি। সেখানে তিনি উইলমিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত কোয়াড সামিটে অংশ নেবেন এবং নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
এক বিবৃতিতে মোদি বলেন, 'আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেন, প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ এবং প্রধানমন্ত্রী কিশিদার সঙ্গে কোয়াড সামিটে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।’
অধ্যাপক ইউনূস পরে নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন। তার বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক রয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হোসেনের মতে, প্রধান উপদেষ্টা নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট, মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এবং ইউএসএইড প্রশাসকসহ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: 'আমাদের ওপর আস্থা রাখুন, আমরা সাহায্য করতে প্রস্তুত': ইউনূসকে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই সময়ে সভার অনেক সিদ্ধান্ত শেষ মুহূর্তে নেওয়া হয়। ‘সেই বিবেচনায় নতুন সভা যুক্ত হতে পারে; আবার সময়ের অভাবে কোনো সভা বাদ পড়তেও পারে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, ইতালির প্রেসিডেন্ট ও কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা চলছে।
এমনকী, চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা হতে পারে বলেও আলোচনা রয়েছে।
তবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক পৌঁছাবেন এবং ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন।
আরও পড়ুন: জাতি পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান ইউনূস
৩ মাস আগে
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের উদ্বেগ থাকবে: মোদি
প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের উদ্বেগ থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বৃহস্পতিবার ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লায় দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী আশা প্রকাশ করেন যে পরিস্থিতি শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি সংখ্যালঘুরা, হিন্দুরা নিরাপদে থাকবে। আমরা বাংলাদেশের অগ্রগতির পথের অংশীদার হব।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ায় ড. ইউনূসকে মোদির অভিনন্দন
এর আগে গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানান মোদি।
মোদি বলেন, 'আমরা আশা করি হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।’
তিনি আরও বলেন, শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে উভয় দেশের জনগণের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা পূরণে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে সহযোগিতার বিষয়ে একমত ঢাকা-দিল্লি: মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে শেখ হাসিনা
৪ মাস আগে
খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই সফরে দুই পক্ষেরই প্রত্যাশা অনেক: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশের সঙ্গে যে ‘বিশেষ অংশীদারিত্ব’ রয়েছে তা ‘গভীর ও জোরদার’ করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুই প্রধানমন্ত্রী শনিবার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিস্তৃত সহযোগিতার সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
শুক্রবার (২১ জুন) নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, 'এই সফর আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই পক্ষেরই প্রত্যাশা অনেক, কারণ সম্পর্কটি বিশেষ ও বন্ধুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, যেসব আলোচনা, সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হতে যাচ্ছে সেগুলো নিয়ে আগামীকাল (২২ জুন) সবাই বিস্তারিত জানতে পারবে।
তবে উভয় পক্ষই এই বিশেষ অংশীদারিত্বকে আরও গভীর ও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান মুখপাত্র।
আরও পড়ুন: ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শুক্রবার ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পর এটাই প্রথম দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রীয় সফর বলে জানান মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
তিনি বলেন, বাণিজ্য, সংযোগ ও প্রতিরক্ষাসম্পর্কিত যেসব বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হবে সেসব সম্পর্কে বিস্তারিত সফরপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানতে পারবেন সাংবাদিকরা।
সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ছাড়াও দেশটির প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০২৪ সালের ৯ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হওয়া আন্তর্জাতিক নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ২৯ মিনিটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে দুপুর ২টায় ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী কীর্তিবর্ধন সিং এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান।
এরপর দেশটির ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্যের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো হয়।
সড়কের দুই পাশে বাংলাদেশ ও ভারতের পতাকা এবং শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির প্ল্যাকার্ড দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে পালাম বিমানবন্দর থেকে হোটেল তাজ প্যালেস পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন ভাষায় নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এই প্রথম কোনো সরকার প্রধানের ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফর।
সফরে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি
এ সফরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক হবে এবং ঢাকা ও নয়াদিল্লি বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করা হবে।
এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে আলোচনা হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত এক দশক ধরে অসংখ্য আন্তঃসীমান্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হওয়ার পর ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে এটি ভারতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২১-২২ জুনের রাষ্ট্রীয় সফরসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ভারতের
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সফরকালীন আবাসস্থলে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে লাল গালিচা সংবর্ধনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেওয়া হবে। এসময় বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত বাজানো হবে। এরপর সেখানে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
এরপর তিনি রাজঘাটে ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন। সেখানে পরিদর্শক বইয়েও সই করবেন তিনি।
একই দিনে হায়দরাবাদ হাউজে মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে উভয় প্রধানমন্ত্রী সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী সংবাদ বিবৃতি দেবেন।
এরপর হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে প্রধানমন্ত্রী মোদির দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন তারা।
বিকালে সচিবালয়ে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা।
এরপর সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
একই দিনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট দিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে রাত ৯টায় ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
৬ মাস আগে
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২১ জুন) প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ২৯ মিনিটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে দুপুর ২টায় ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
আরও পড়ুন: ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়া দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী কীর্তিবর্ধন সিং এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান।
এরপর দেশটির ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্যের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো হয়।
সড়কের দুই পাশে বাংলাদেশ ও ভারতের পতাকা এবং শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির প্ল্যাকার্ড দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে পালাম বিমানবন্দর থেকে হোটেল তাজ প্যালেস পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন ভাষায় নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এই প্রথম কোনো সরকার প্রধানের ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফর।
এ সফরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক হবে এবং ঢাকা ও নয়াদিল্লি বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করা হবে।
এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে আলোচনা হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত এক দশক ধরে অসংখ্য আন্তঃসীমান্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে সেনাপ্রধানের শ্রদ্ধা
গত ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হওয়ার পর ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে এটি ভারতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সফরকালীন আবাসস্থলে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে লাল গালিচা সংবর্ধনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেওয়া হবে। এসময় বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত বাজানো হবে। এরপর সেখানে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
এরপর তিনি রাজঘাটে ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন। সেখানে পরিদর্শক বইয়েও সই করবেন তিনি।
একই দিনে হায়দরাবাদ হাউজে মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে উভয় প্রধানমন্ত্রী সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী সংবাদ বিবৃতি দেবেন।
এরপর হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে প্রধানমন্ত্রী মোদির দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন তারা।
বিকালে সচিবালয়ে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা।
এরপর সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
একই দিনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট দিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে রাত ৯টায় ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স পাঠিয়ে অর্থনীতিতে অবদান রাখায় প্রবাসীদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
৬ মাস আগে
তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মোদি
ভারতের পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার পরও জোটের শরিকদের ওপর নির্ভর করে টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদি।
রবিবার (৯ জুন) নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে শপথ নেন মোদি এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
জওহরলাল নেহরুর পর দ্বিতীয় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসছেন ৭৩ বছর বয়সী এই নেতা।
২০১৪ ও ২০১৯ সালে বিপুলভোটে জয় পেলেও সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে এককভাবে সরকার পরিচালনার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয় মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। তবে মোদির ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট আসন পেয়েছে।
সংসদে এক দশক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর এবারই প্রথম আঞ্চলিক শরিকদের সমর্থন নিয়ে মোদিকে সরকার গঠন করতে হলো।
বুধবার প্রকাশিত চূড়ান্ত নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, মোদির বিজেপি ২৪০টি আসনে জয়লাভ করেছে, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২টি আসনের চেয়ে অনেক কম। এনডিএ জোটের দলগুলো মিলে ৫৪৩ সদস্যের সংসদের নিম্নকক্ষে ২৯৩টি আসন পেয়েছে।
মোদির জোট সরকার এখন ক্ষমতায় থাকার জন্য মূলত দুটি প্রধান আঞ্চলিক মিত্র- দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের তেলুগু দেশম পার্টি এবং পূর্বাঞ্চলীয় বিহার রাজ্যের জনতা দলের (ইউনাইটেড) ওপর নির্ভর করছে।
এদিকে, মোদির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী, পুনরুত্থিত কংগ্রেস পার্টির নেতৃত্বাধীন ভারত জোট প্রত্যাশার চেয়ে শক্তিশালী লড়াই করে গত নির্বাচনের চেয়ে দ্বিগুণ হয়ে ২৩২টি আসন জিতেছে।
ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়, যারা দেশটির ১৪০ কোটি জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ; তাদের কাছে এই কট্টর হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী একজন ‘চ্যাম্পিয়ন’। দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বিশ্বব্যাপী ভারতের অবস্থানের উন্নতির জন্য কৃতিত্ব দেয় তার সমর্থকরা।
কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা দেশের সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে আক্রমণ এবং ভিন্নমত ও মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য জায়গা সংকুচিত করে ভারতের গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষ জাতি হিসেবে এর অবস্থানকেও ক্ষুণ্ন করেছে।
এছাড়াও মোদির রাজনৈতিক বিরোধীরা তার সরকারের অর্থনৈতিক রেকর্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলছে, শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও উচ্চ বেকারত্ব এবং ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের কথা।
শপথ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজুসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
৬ মাস আগে
টানা তৃতীয়বার জয়ের দাবি মোদির, তবে সরকার গঠনে লাগবে জোট শরিকদের
বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএর সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত নির্বাচনের তুলনায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার কাছে বেশ কিছু আসন হারানোর পরও টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পথে মোদি।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার পেছনে গত মেয়াদে তার শাসনামলে ভারতের মিশ্র অর্থনৈতিক রেকর্ড ও রাজনৈতিক মেরুকরণের মতো বিষয়গুলো প্রভাব ফেলেছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
মঙ্গলবার ফলাফল ঘোষণার পর বিজেপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে সমর্থকদের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘আজকের এই জয় বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের জয়। নির্বাচনে ভারতের ভোটাররা বিজেপি ও এর নেতৃত্বাধীন জোটের প্রতি অগাধ আস্থার প্রকাশ ঘটিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভারতের নির্বাচনে ভোটদানের বিশ্ব রেকর্ড, বিস্ময়কর বললেন সিইসি
দেশটির নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফল অনুসারে, মোদির এনডিএ জোট ২৯৪ আসনে জয়লাভ করেছে, যেখানে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ২৭২টি আসন। তবে গতবারের তুলনায় এই সংখ্যা নিতান্তই কম। অন্যদিকে, বিজেপির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩২ আসন।
শুধু বিজেপি নেতারা জিতেছেন ২৪০টি আসনে। এর ফলে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠা অর্জনে ব্যর্থ হলো দলটি। ২০১৯ সালের নির্বাচনেও ৩০৩ সিট পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও চাইলে শুধু তারাই সরকার গঠনের যোগ্যতা অর্জন করে বিজিপি।
২৭২ আসন না পাওয়ায় এবার আর এককভাবে সরকার গঠনের দিকে যেতে পারছে না দলটি। জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করতে হবে মোদির।
ফল ঘোষণার আগে মোদি জানিয়েছিলেন, তার দলের ৩৭০ আসনে জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে এবং জোট শরিকরা আরও ৩০টি আসনে জিততে পারে। তবে ঘোষণার পর বিজেপির জন্য এটি বিপর্যয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া পত্রিকার সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ভারতীয় ভোটারদের আর সহজভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। চাকরি ও দেশের অর্থনীতি যে গুরুত্বপূর্ণ, ভোটাররা তার ইঙ্গিত দিয়েছেন। নির্বাচনের ফল থেকে এটাই স্পষ্ট হয়েছে যে, চাকরি নাগরিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনি জনসভায় 'অনুপ্রবেশকারী' বলায় মুসলিম বিদ্বেষের অভিযোগ মোদির বিরুদ্ধে
কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস-এর দক্ষিণ এশিয়া প্রোগ্রামের পরিচালক মিলান বৈষ্ণব বলেছেন, জোট শরিকদের সদিচ্ছার ওপর এখন ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হবে মোদিকে। যেকোনো নীতি নির্ধারণ, এমনকি সরকার গঠনের ক্ষেত্রেও তারা বড় সুবিধা চাইবে।
দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে প্রতাপ ভানু মেহতা নামের এক রাজনৈতিক ভাষ্যকার বলেছেন, ভোটের ফলাফল মোদির কর্তৃত্বকে দমন করেছে। তিনি নিজেই নিজের জন্য এই অবস্থান তৈরি করেছেন। আজ থেকে তিনি শুধুই একজন রাজনীতিক, জনগণ তার ক্ষমতা খর্ব করেছে।
সাত ধাপে ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা দীর্ঘ এ ভোট কর্মযজ্ঞে ভারতের ৬৪ কোটির বেশি ভোটার তাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করেন।
‘বিজেপির পতনের’ এই নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর কংগ্রেস দাবি করেছে, এটি মোদির নৈতিক ও রাজনৈতিক পতন। আর এটাই তাদের জয়।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি জনতার জয়, গণতন্ত্রের জয়।’
তৃতীয়বার সরকার গঠন করে ভারতের অর্থনীতিকে বর্তমানের পঞ্চম অবস্থান থেকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া ভারতের প্রতিরক্ষা উৎপাদন বাড়ানো, যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, রপ্তানি বৃদ্ধি ও কৃষকদের সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন ৭৩ বছর বয়সী এ বিজেপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘বড় বড় সিদ্ধান্তের একটি নতুন অধ্যায় দেখবে দেশ। এটি মোদির গ্যারান্টি।’
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর পর প্রথম কোনো নেতা হিসেবে টানা তৃতীয়বার দেশ শাসন করতে চলেছেন মোদি। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে ৩০ বছর ধরে জোট সরকারে শাসিত হয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন: সিপিএ নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী শেখ হাসিনা-মোদি
৬ মাস আগে
আগামীকাল শুরু হচ্ছে আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও রানার্সআপ নিউ জিল্যান্ডের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হতে চলেছে আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩।
এবারের বিশ্বকাপে এশিয়ার ৫টিসহ বিশ্বের ১০টি দল অংশ নেবে। ক্রিকেটপ্রেমী দেশ ভারত ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় বিশ্বকাপের আয়োজক হতে যাচ্ছে বলে আশা করা হচ্ছে।
হাজার হাজার মানুষ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মাঠ থেকে সরাসরি এ খেলা দেখবেন। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ভক্ত টেলিভিশন সম্প্রচার ও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো উপভোগ করবেন।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও শক্তিশালী নিউ জিল্যান্ডের পাশাপাশি রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতকে শিরোপার অন্যতম দাবিদার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই যাত্রায় পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়াও শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী।
টেস্ট খেলুড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করতে পারেনি।
এবারের আসরে এক নম্বর ওয়ানডে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন শক্তিশালী স্কোয়াড রয়েছে বাংলাদেশের।
অভিজ্ঞ ও সম্ভাবনাময় তরুণ প্রতিভাদের সমন্বয়ে গঠিত এবারের স্কোয়াড। সাকিবের পাশাপাশি মুশফিকুর রহিম পঞ্চম বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাচ্ছেন। লিটন দাস, মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ তাদের বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছেন।
বিশ্বকাপের আগে নিউ জিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। যা ১৫ বছরের মধ্যে ঘরের মাটিতে ব্ল্যাক ক্যাপদের কাছে প্রথম পরাজয়। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচে জয় নিশ্চিত করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ে টাইগাররা।
৭ অক্টোবর ধর্মশালায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। এরপর ১০ অক্টোবর একই ভেন্যুতে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে তারা।
রাউন্ড রবিন পর্বে বিশ্বকাপে মোট ৯টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এই ম্যাচগুলো শেষ হলে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া শীর্ষ ৪ দল সেমিফাইনালে লড়াই করবে। সেমিফাইনালের বিজয়ীরা ১৯ নভেম্বর নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে চূড়ান্ত লড়াই করবে।
কিছু বড় ম্যাচ:
যদিও বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচ অপরিসীম তাৎপর্য বহন করে, তবে কিছু ম্যাচ রয়েছে যেগুলোয় ভক্তদের একটু বাড়তি মনোযোগ থাকবে এমনটাই আশা করা হচ্ছে। সেগুলো হলো:
- ইংল্যান্ড বনাম নিউ জিল্যান্ড, ৫ অক্টোবর, আহমেদাবাদ
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া, ৮ অক্টোবর, চেন্নাই
- পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা, ১০ অক্টোবর, হায়দ্রাবাদ
- অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, ১২ অক্টোবর, লখনউ
- ভারত বনাম পাকিস্তান, ১৪ অক্টোবর, আহমেদাবাদ
- ভারত বনাম বাংলাদেশ ১৯ অক্টোবর, পুনে
- অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান, ২০ অক্টোবর, বেঙ্গালুরু
- ভারত বনাম নিউ জিল্যান্ড, ২২ অক্টোবর, ধর্মশালা
- দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম বাংলাদেশ, ২৪ অক্টোবর, মুম্বাই
- অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ড, ২৮ অক্টোবর, ধর্মশালা
- বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান, ৩১ অক্টোবর, কলকাতা
- নিউজিল্যান্ড বনাম পাকিস্তান, ৪ নভেম্বর, বেঙ্গালুরু
- ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া, ৪ নভেম্বর, আহমেদাবাদ
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা, ৬ নভেম্বর, দিল্লি
- বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া, ১১ নভেম্বর, পুনে
১ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদিকে স্যুভেনির উপহার দিলেন সায়মা ওয়াজেদ
বঙ্গবন্ধুর নাতনি সায়মা ওয়াজেদ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি স্যুভেনির উপহার দিয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর এবং অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার সংক্রান্ত জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন।
নয়াদিল্লিতে মোদির বাসভবনে তিনি স্যুভেনির হস্তান্তর করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই আনন্দদায়ক: মোদির টুইট
বিকালে ভারতীয় নেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করতে সেখানে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান মোদি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শুক্রবার নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে তিন সফরে নয়াদিল্লি যান শেখ হাসিনা।
এ সফরে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠকন্যা শেখ রেহানাও তার বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে