এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনঃপ্রকাশের দাবি শিক্ষার্থীদের
মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল করে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনরায় প্রকাশের দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই বিক্ষোভে সংহতি প্রকাশ করেন। সমাবেশ চলাকালে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
গতকাল রবিবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে ৪০ বা ৪১ নম্বর পাওয়া অনেক পরীক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। পক্ষান্তরে যারা তাদের চেয়েও দ্বিগুণ নম্বর পেয়েছেন— কিন্ত তারা ভর্তির সুযোগ পাননি।
কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের সাইকিয়াট্রি প্রফেসর ডা. মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) আব্দুল ওহাব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এটা কি বৈষম্য নয়?
আরও পড়ুন: এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার
তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'তোমরা যখন প্রতিবাদ করতে শিখেছ, তখন রাজপথে নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী দোহা বলেন, 'বৈষম্য দূর করার দাবিতে সফল আন্দোলনের পর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় এ ধরনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ হওয়া উচিত নয়। পাশ মার্ক যখন ৪০ হয়, তখন ৩৭ বা ৩৮ নম্বরের কেউ কীভাবে ভর্তি হতে পারে? আমরা আজ এই বৈষম্যের অবসান দাবি করছি।’
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আবির হোসেন বলেন, 'আগের বছরগুলোতে কাট-অফের সামান্য নিচে নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীরা কোটার মাধ্যমে ভর্তি হতে পারত। কিন্তু এ বছর কাট-অফের নিচে ৩০ থেকে ৩৫ নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা কোটা পদ্ধতিতে ভর্তি হয়েছেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সব ধরনের কোটা বাতিল করে আজ পুনরায় ফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকারও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বলেন, 'বাংলাদেশে আন্দোলনের পরও আমরা দেখছি মেডিকেল কলেজগুলোতে অযৌক্তিক কোটা বাস্তবায়ন হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ ভর্তি পরীক্ষায় ৭২ নম্বর পাওয়া কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারেননি, অথচ অনেকে ৪০ নম্বর পেয়ে ভর্তি হয়েছেন। আমরা অবিলম্বে মেডিকেল ভর্তির ফলাফল পুনঃপ্রকাশের দাবি জানাচ্ছি এবং সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
৫৬ দিন আগে
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিল চেয়ে রিট
২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ফল বাতিল করে নতুন মেধা তালিকা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
বুধবার ফেরদাওস জাহান মারিয়াসহ ৩২৪ পরীক্ষার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার এ রিট দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: রবিবারের এমবিবিএসের চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষা স্থগিত
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে এ রিটের শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী পল্লব।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে রিট খারিজ
এর আগে মঙ্গলবার পরীক্ষার্থীদের পক্ষে এই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল চেয়ে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার এ নোটিশ পাঠান। কিন্তু নোটিশের প্রেক্ষিতে কোন সাড়া না পেয়ে এই রিট করা হয়।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি মেনে এমবিবিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: মন্ত্রী
রিটে বলা হয়েছে, গত ৪ এপ্রিল প্রকাশিত ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলে অসংখ্য ভুল এবং বড় ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রচারিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী একজন পরীক্ষার্থী কোনো মেডিকেল কলেজে ভর্তি থাকা অবস্থায় তিনি যদি দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তবে তার মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৭.৫ নম্বর কর্তন করা হবে। আবার কোনো পরীক্ষার্থী যদি গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে থাকে তাহলে তার ৫ নম্বর কাটা যাবে।
কিন্তু প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, অনেক পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই এই নিয়মটি পালন করা হয়নি। যেসব পরীক্ষার্থীর ৭.৫ নম্বর কর্তন করার কথা সেখানে মাত্র ৫ নম্বর কর্তন করা হয়েছে। ফলে ওইসব ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ২.৫ নম্বর বেশি দিয়ে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। আবার প্রথমবার পরীক্ষায় যেখানে কোনো নম্বর কাটার কথা নয় সেখানে অনেক পরীক্ষার্থীর ৫ নম্বর কর্তন করে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত পাঠ্যপুস্তক অনুযায়ী অন্তত দুটি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের সঠিক উত্তর ছিল দুটি করে। সেই সঙ্গে অন্তত তিনটি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের কোনো সঠিক উত্তর ছিল না।
সংরক্ষিত জেলা ও উপজাতি কোটার আসন পূরণেও ব্যাপক অসঙ্গতি করা হয়েছে। ঢাকা জেলা কোটা আবেদনকারী পরীক্ষার্থীকে দেখানো হয়েছে মেহেরপুর জেলার পরীক্ষার্থী হিসেবে। উপজাতি কোটায় সংরক্ষিত আসনে অসংখ্য সাধারণ ছাত্রছাত্রীকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
এসব ত্রুটি ও অসঙ্গতি রেখে মেধা তালিকা প্রণয়ন করার ফলে হাজার হাজার যোগ্য ও মেধাবী পরীক্ষার্থী মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার মুখে পড়েছেন।
এসব কারণে প্রকাশিত ফল বাতিল করে এবং এসব ত্রুটি ও অসঙ্গতি সংশোধন করে নতুন মেধা তালিকা প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ করলেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। বরং ত্রুটিপূর্ণ মেধাতালিকার ভিত্তিতেই মেডিকেল কলেজগুলোতে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে আগামী ২২ মে থেকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।
রিটে বলা হয়, যে ত্রুটিপূর্ণ মেধা তালিকার ভিত্তিতে মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর অর্থই হলো প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীকে বঞ্চিত করা। তাদের আজীবন লালিত আকাঙ্ক্ষা চিকিৎসাকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত করা। সেই সাথে দেশের সামগ্রিক জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়া, যা বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭, ৩১, ৩২ ও ৪০ এর পরিপন্থী।
১৩৯৮ দিন আগে
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল চেয়ে নোটিশ
২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ‘ত্রুটিপূর্ণ ফলাফল’ বাতিল ও সংশোধনপূর্বক নতুন মেধা তালিকা প্রণয়ন করে মেডিকেল কলেজগুলোয় ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির জন্য সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ২৪৮ জন পরীক্ষার্থীর পক্ষে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার এ নোটিশ পাঠান।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে পাঠানো এ নোটিশে বলা হয়, গত ৪ এপ্রিল প্রকাশিত ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে অসংখ্য ভুল এবং বড় ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী, একজন পরীক্ষার্থী কোনও মেডিকেল কলেজে ভর্তি থাকা অবস্থায় তিনি যদি দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তবে তার মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৭.৫ নম্বর কর্তন করা হবে। আবার কোনও পরীক্ষার্থী যদি গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তাহলে তার ৫ নম্বর কাটা যাবে।
আরও পড়ুন: রবিবারের এমবিবিএসের চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষা স্থগিত
কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, অনেক পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই এ নিয়মটি মানা হয়নি। যেসব পরীক্ষার্থীদের ৭.৫ নম্বর কর্তন করার কথা সেখানে মাত্র ৫ নম্বর কর্তন করা হয়েছে। ফলে ওইসব ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ২.৫ নম্বর বেশি দিয়ে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। আবার প্রথমবার পরীক্ষায় যেখানে কোনও নম্বর কাটার কথা নয় সেখানে অনেক পরীক্ষার্থীর ৫ নম্বর কেটে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত পাঠ্যপুস্তক অনুযায়ী অন্তত দু’টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের সঠিক উত্তর ছিল দু’টি করে। সেই সঙ্গে অন্তত তিনটি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের কোনো সঠিক উত্তর ছিল না। সংরক্ষিত জেলা ও উপজাতি কোটার আসন পূরণেও ব্যাপক অসঙ্গতি রয়েছে।
ঢাকা জেলা কোটায় আবেদনকারী পরীক্ষার্থীকে দেখানো হয়েছে মেহেরপুর জেলার পরীক্ষার্থী হিসেবে।
উপজাতি কোটায় সংরক্ষিত আসনে অসংখ্য সাধারণ ছাত্র ছাত্রীকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে রিট খারিজ
এসব ত্রুটি ও অসঙ্গতি রেখে মেধা তালিকা প্রণয়ন করার ফলে হাজার হাজার যোগ্য ও মেধাবী পরীক্ষার্থী মেডিকেল কলেজগুলোয় ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার পথে। তাই প্রকাশিত ফলাফল বাতিল করে এবং এসব ত্রুটি ও অসঙ্গতি সংশোধন করে নতুন মেধা তালিকা প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ করা হলেও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি মেনে এমবিবিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: মন্ত্রী
ত্রুটিপূর্ণ মেধাতালিকার ভিত্তিতেই মেডিকেল কলেজগুলোয় ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে আগামী ২২ মে থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্ততর।
নোটিশে আগামী তিন দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ত্রুটিপূর্ণ মেধা তালিকার ভিত্তিতে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা এবং ত্রুটিপূর্ণ মেধা তালিকা বাতিল করে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ পূর্বক নতুন মেধা তালিকা প্রণয়ন করতে বলা হয়েছে।
১৪০৬ দিন আগে
বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড টিকা দেয়ার উদ্যোগ থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মহামারি করোনাভাইরাস রোধে দেশের ভালো মানের বেসরকারি হাসপাতালগুলো থেকেও টিকা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
১৫৩৯ দিন আগে