ঢাকা শিশু হাসপাতাল
স্বাস্থ্যব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে জনগণ, সরকারি হাসপাতালে অতিরিক্ত চাপ
স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ জনগণের জন্য এটি মেটানো খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। একারণে অনেকেই খরচ কমাতে সরকারি হাসপাতালের উপর নির্ভর করেন।
বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার আর্থিক সক্ষমতা যাদের নেই, তারা স্বাস্থ্যসেবার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল এবং ঢাকা শিশু হাসপাতালের মতো সরকারি হাসপাতালের দারস্থ হন।
এসব হাসপাতালে কম খরচে পরিষেবা দেওয়া হলেও, নানা কারণে এসব হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের অসন্তোষের পরিমাণই বেশি। আর্থিক চাপ সত্ত্বেও তারা বেসরকারি হাসপাতালে যেতে বাধ্য হন।
আরও পড়ুন: ঢামেকে দুর্ভোগের অপর নাম শৌচাগার, নেই নারী-প্রতিবন্ধীদের কোনো সুবিধা
সরকারি হাসপাতালে সম্পদের সীমাবদ্ধতা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান খান অকপটে বাড়তি রোগীর সংখ্যা এবং সীমিত সম্পদের কথা উল্লেখ করেন। জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার সমস্যার কথা খোলাখুলিভাবে স্বীকার করেন তিনি।
ঢামেকের মতো সরকারি হাসপাতালগুলো যথেষ্ট চাপের মধ্যে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমাদের সক্ষমতার চেয়ে চাহিদা অনেক বেশি। অতিরিক্ত ভিড়, দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করা এবং প্রয়োজনীয় সম্পদের ঘাটতি রয়েছে।’
জনগণের একটি বড় অংশ এসব হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল হওয়ায়, ওয়ার্ডে রোগীদের গাদাগাদি করে থাকতে হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন স্তরের কর্মীরাও ব্যস্ততা থাকায় সেবার জন্য দীর্ঘ লাইন ধরে অপেক্ষা করতে হয়।
এসব কারণে রোগীদের উপর গভীরভাবে প্রভাব পড়ে।
ঢামেকে ভর্তি থাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মিলন হক বলেন, অতিরিক্ত রোগীর চাপের কারণে সুষ্ঠু স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, ‘আমার বেশ কয়েক ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতা ছিল, তবে আমি সময়মতো ডাক্তারদের কাছে পাইনি।’
যেকোনো ধরনের সেবা পেতে দেরি তো হয়ই। এছাড়াও অপ্রতুল সুযোগ-সুবিধা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অপেশাদার আচরণের অভিযোগও করেন মিলন।
সঠিক যত্নের অভাব শেষ পর্যন্ত তিনি একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হন। এ কারণে তার ব্যয় অনেক বেড়ে যায়।
বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করা মিলনের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে অতিরিক্ত ব্যয় করে বেসরকারি হাসপাতালে চিৎিসা নিতে বাধ্য হন তিনি।
একই রকম পরিস্থিতি আরও অনেকের। ঢাকা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের অভিভাবকরাও একইরকম কথা জানালেন।
সম্প্রতি এক দম্পতি তাদের দুই বছরের মেয়ে মাহিকে সেখানে নিয়ে যান। কিন্তু একটি বেডের ব্যবস্থা করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
মাহির বাবা বলেন, ‘আমি জানি না কতদিন আমরা এই খরচ বহন করতে পারব, তবে আমার সন্তানের স্বাস্থ্যই আমার কাছে প্রধান বিষয়।’
অত্যাবশ্যক চিকিৎসা সেবা এবং ব্যক্তিগত আর্থিক অবস্থার ব্যবধানের মধ্যে এমন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি অনেক পরিবারকে এমন সমস্যায় পড়তে হয়।
বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবার আবেদন
বেসরকারি হাসপাতালগুলো ব্যয়বহুল হলেও, সেবার মানের কারণে আর্থিক সংকট মোকাবিলা করেও অনেকে এখানে আসতে বাধ্য হন। রোগীরা সাধারণত বেসরকারি হাসপাতালের পরিষেবা এবং সুবিধাগুলোর মানে সন্তুষ্ট হতে পারেন। যদিও এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হয়।
৫৮ বছর বয়সি এনামুল করিম সম্প্রতি একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সেখানকার পরিষেবার বিষয়ে তিনি ইতিবাচক অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। সরকারি হাসপাতালগুলোতে তিনি যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন তার থেকে এটি সম্পূর্ণ আলাদা ছিল।
এনামুল বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা অবিশ্বাস্যভাবে দক্ষ, কিন্তু রোগীর সংখ্যার কারণে আমরা প্রায়ই সরাসরি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হই। তাদের অনেকেরই ব্যক্তিগত অনুশীলন রয়েছে এবং ব্যয়বহুল হলেও বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়াই ভালো।’
স্বাস্থ্যসেবায় ব্যক্তিগত ব্যয় বাড়ছে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের রিপোর্টে উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করেছে: ২০২০ সালে বাংলাদেশে ব্যক্তিগত খরচে স্বাস্থ্যব্যয় প্রায় ৬৯ শতাংশে পৌঁছেছে।
ওষুধপত্রসহ নানা ধরনের চিকিৎসা সামগ্রীর কারণে উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যক্তিগত খরচ হচ্ছে। তারপরে ডায়াগনস্টিকস এবং অন্যান্য চিকিৎসা পরিষেবা রয়েছে।
সাধারণ অর্থনৈতিক মন্দা এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। অনেকের জন্য স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এর কারণে মানুষ আর্থিক নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার মধ্যে একটি বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। আর্থিক সমস্যার কারণে চিকিৎসা বিলম্বিত হলে স্বাস্থ্য সমস্যা আরও গুরুতর হয়ে উঠতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে চিকিৎসার খরচ বাড়িয়ে দিতে পারে।
এছাড়াও, ‘ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যব্যয়’ শুধু চিকিৎসা খরচের ওপরই প্রভাব ফেলছে না। এর বাইরেও ব্যক্তির উৎপাদনশীলতা হ্রাস, উপার্জন হারানো এবং যাতায়াত খরচ-ব্যক্তি ও পরিবার উভয়ের উপরই ভারী বোঝা হিসেবে প্রভাব ফেলে।
স্বাস্থ্য অর্থনীতি গবেষণা এই ব্যয়গুলোকে তিন ভাগে ভাগ করেছে। যেমন-সরাসরি চিকিৎসা (স্বাস্থ্যসেবা সংস্থানগুলোর ব্যয়), সরাসরি চিকিৎসা বহির্ভূত (পরিবহন এবং যত্নশীল সহায়তার মতো ব্যয়) এবং পরোক্ষ (উত্পাদনশীলতা হারিয়ে যাওয়া)।
এসব ব্যয় সম্মিলিতভাবে বিশাল অর্থনৈতিক বোঝা তৈরি করে, এর প্রভাব পড়ে পরিবার ও বৃহত্তর সমাজে। বর্তমান ব্যবস্থার সত্যিকারের আর্থিক প্রভাব বোঝার জন্য চিকিৎসা বহির্ভূত ব্যয়সহ স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়ের ব্যাপক মূল্যায়ন অপরিহার্য।
আরও পড়ুন: ওষুধ ঘাটতি-সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ঢামেক হাসপাতালে
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় কাঠামোগত বৈষম্য
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোর মধ্যে ৩,৯৭৬টি সরকারি হাসপাতাল এবং ৯৭৫টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে।
তবুও, পদ্ধতিগত অদক্ষতা এবং সম্পদের অভাবের কারণে জনসাধারণ সঠিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এপিডেমিওলজিক্যাল ট্রেনিংয়ের (সিআইইটি) গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র ১৩ শতাংশ বাংলাদেশি সরকারি হাসপাতালে সেবা নিচ্ছেন। ২৭ শতাংশ বেসরকারি বা এনজিও সেবা ব্যবহার করে।
আশঙ্কাজনকভাবে, একটি বড় বা ৬০ শতাংশ প্রবেশযোগ্যতা ও সামর্থ্যের অভাবে অযোগ্য সেবাদানকারীদের কাছে যায়।
পেনসিলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির সৈয়দ সাদ আন্দালিবের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এসব হাসপাতাল যে অর্থনৈতিক কাঠামোর মধ্যে পরিচালিত হয় তা পরিষেবার মানকে প্রভাবিত করে।
সরকারি হাসপাতালগুলো সীমাবদ্ধ সরকারি বাজেটের অধীনে পরিচালিত হয়, অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে পরিচালনা করা হয়। তারা রোগীদের আকৃষ্ট করতে এবং ধরে রাখতে উচ্চমানের সেবাদানের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করে।
এই পরিস্থিতি বড় বৈষম্য তৈরি করে, যা অনেক মানুষকে ব্যয় সত্ত্বেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করে।
আরও পড়ুন: অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত ঢামেক হাসপাতাল
স্বাস্থ্যসেবা সংস্কারের জন্য আহ্বান
ঢামেক হাসপাতালের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর পদ্ধতিগত সংস্কার অত্যন্ত জরুরি।
গুণগত সেবাদানে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে প্রয়োজন সম্পদের বণ্টনে কৌশলগত পরিবর্তন, রোগী ব্যবস্থাপনায় উন্নতি এবং সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মী প্রশিক্ষণের মানোন্নয়ন।
নীতি নির্ধারকরা এবং স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবীরা প্রতিনিয়ত সংস্কারের আহ্বান জানাচ্ছেন। যাতে সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবার মধ্যে বৈষম্য দূর করা যায়, রোগীদের উপর আর্থিক চাপ কমানো যায় এবং সাশ্রয়ী, গুণগত সেবা প্রদান করা যায়।
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যব্যয় মোকাবিলা এবং সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা প্রচারের প্রচেষ্টা "হেলথ কেয়ার ফাইন্যান্সিং স্ট্র্যাটেজি ২০১২-৩২"-এর লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এখানে এমন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে, যেখানে আর্থিক সীমাবদ্ধতা মানসম্মত চিকিৎসার প্রাপ্তির যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হয় না।
সঠিক সংস্কারের মাধ্যমে, বাংলাদেশ এই লক্ষ্য অর্জনে অগ্রগতি করতে পারলে, দেশের নাগরিকদের জন্য সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি বাস্তবায়ন হবে।
আরও পড়ুন: ঢামেক ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বহির্বিভাগ পুরোদমে চালু
১ মাস আগে
ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩ ইউনিট
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালের কার্ডিয়াক ওয়ার্ডে আগুন লেগেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় অপহৃত শিশু সিরাজগঞ্জে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি) সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জাসিম জানান, দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে হাসপাতালের চতুর্থ তলার কার্ডিয়াক ওয়ার্ডে আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
সিদ্দিকবাজার ও তেজগাঁও স্টেশন থেকে আরও দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাচ্ছে বলে জানান স্টেশন কর্মকর্তা।
তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের সূত্রপাত জানা যায়নি বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় শিশুকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগে নানা আটক
কক্সবাজারে হোটেলের সুইমিংপুলে ডুবে শিশু পর্যটকের মৃত্যু
৮ মাস আগে
চাঁদপুরে বিরল টিউমার নিয়ে শিশুর জন্ম, নবজাতককে রেখে মা চলে গেলেন!
চাঁদপুরে বিরল টিউমার নিয়ে মোহাম্মদ নামে এক শিশুর জন্ম হয়েছে। ১৫ দিন বয়সী এই নবজাতকের এমন বিরল প্রজাতির টিউমার দেখে তার মা তাসলিমা আক্তার ওই নবজাতককে রেখে বাপের বাড়ি চলে গেছেন।
এদিকে এই নিষ্পাপ অবুঝ শিশুকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন দ্বার প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তার অসহায় চাচা ও ফুফুরা।
আরও পড়ুন:সিলেটে কবরস্থানের পাশের ড্রেনে মিলল নবজাতকের লাশ
জানা যায়, চাঁদপুর সদরের ও শহরতলীর দক্ষিণ গুনরাজদী এলাকার মিলন গাজীর স্ত্রী তাসলিমা বেগমের গর্ভ থেকে এই মোহাম্মদ নামের শিশু জন্মগ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: কন্যা শিশু জন্ম দেয়ায় তাড়িয়ে দিল স্বামীর পরিবার
শিশুর বড় চাচা সুমন গাজী জানান, তার দিনমজুর ছোট ভাই মিলন গাজীর স্ত্রী তাসলিমা বেগমের গত ১৩ মে চাঁদপুর মা ও শিশু হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে শিশুটি জন্মগ্রহণ করে। জন্মের পর পরই চিকিৎসকরা ওই শিশুর পেটের সাথে সংযুক্ত এই বিকলাঙ্গ, বিরল প্রজাতির টিউমারটি দেখতে পান। সবাই অবাক ও বিস্মিত হয়ে যান! কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, শিশুটির এমন বিকলাঙ্গ বিরল প্রজাতির টিউমারটি দেখে গর্ভধারিনী মা তাসলিমা আক্তার এক ফাঁকে শিশুটিকে হাসপাতালে রেখেই তার বাপের বাড়ি চলে যায়। পরে শিশুর স্বজনরা শিশুটিকে বাঁচানোর চেষ্টায় এখান থেকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন:প্রসবের পর নবজাতককে বাঁশঝাড়ে ফেলে গেলেন মা
সুমন গাজী আরও জানান, শিশু হাসপাতালের এক শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, জানিয়েছেন, শিশুটির পেটের সাথে সংযুক্ত বিরল প্রজাতির বিকৃত আকারের যে অংশটি রয়েছে, সেটি হচ্ছে ক্যাস্ট্রোলা টিউমার। ভালো এবং উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে তার অপারেশন করালে শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হতে পারে। তবে এতে অনেক অর্থের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক তাদেরকে ওই হাসপাতলে শিশুটিকে তিন মাস রেখে চিকিৎসা করানোর পর তার অপারেশন করানো যাবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু তাদের আথির্ক সামর্থ্য না থাকায় তারা শিশুটিকে সেখান থেকে পুনরায় চাঁদপুরে নিয়ে আসেন। এখানে তারা শিশুটিকে নিয়ে কখনো চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল, কখনো বিভিন্ন চিকিৎসকের দ্বারপ্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এই বিরল প্রজাতির টিউমার নিয়ে জন্মানো শিশুটির পরিবারের আবেদন, কেউ বা কোন প্রতিষ্ঠান যদি শিশুটির চিকিৎসা সেবায় সহযোগিতার হাত দয়া করে বাড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করেন, তাহলে হয়তো সঠিক চিকিৎসা সেবা ও অপারেশনের মাধ্যমে এই নিষ্পাপ শিশুটি কে বাঁচানো সম্ভব হবে।
আর্থিক সহযোগিতার জন্য ০১৮২৫১৭৫৪১১ এই বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠানো এবং যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন অসহায় পরিবারটি।
যোগাযোগ করলে, স্থানীয় চাঁদপুর পৌর কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
৩ বছর আগে
শিশু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীর ১০ কোটি টাকা অনুদান
ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৩ বছর আগে