ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পিনাকীসহ ২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
রাজধানীর রমনা মডেল থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য ও ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগ।
এদিকে অভিযোগপত্র পিনাকী ভট্টাচার্য পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএসটিআইতে হালাল সার্টিফিকেটের মূল্যায়ন বিষয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
তবে তদন্তে সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপ-প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারীকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৭ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসির উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রাহাত হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বৃহস্পতিবার মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলি করা হয়েছে।
২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় পিনাকী ভট্টাচার্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের উপপরিদর্শক এম আব্দুল্লাহিল মারুফ বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- মফিজুর রহমান ও মুশফিকুল ফজল আনসারী। মামলার মফিজুরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিটিটিসি। তিনি এখন জামিনে আছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
দুর্নীতি-লুটপাট আড়াল করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা: বিএনপি
৭ মাস আগে
সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন মন্ত্রিসভায়
সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে চারটি ধারার অপরাধকে জামিন অযোগ্য রাখা হয়েছে।
অপরাধগুলো হলো- গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে অনুপ্রবেশ, কম্পিউটার ও কম্পিউটার সিস্টেমের ক্ষতি, সাইবার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং হ্যাকিং সম্পর্কিত অপরাধ।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বদলে হচ্ছে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’
সোমবার (২৮ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
খসড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনটি বর্তমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন- ২০১৮ এর স্থলে প্রতিস্থাপন করার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আনা সংশোধনে সাংবাদিকরা খুশি হবেন: আইনমন্ত্রী
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, খসড়া আইনে চারটি ধারার অপরাধ জামিন অযোগ্য এবং বাকি ধারার অপরাধ জামিনযোগ্য রাখা হয়েছে। চারটি ধারা হলো- ১৭, ১৯, ২৭ ও ৩৩ ।
১ বছর আগে
সাইবার নিরাপত্তা আইন ‘নতুন বোতলে পুরানো মদ’ নয়: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনকে নতুন বোতলে পুরানো মদ বলা হচ্ছে, এটা ঠিক নয়। যারা এটি বলছেন, সমালোচনার জন্যই বলছেন।
তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু মানুষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনকে নতুন বোতলে পুরানো মদ বলছে, এটা ঠিক নয়। যেমন- আগে ২৯ ধারায় মানহানিতে জেল ছিল, এটা এখন নেই। ২১ ধারায় জেল ছিল ১০ বছর, এখন এটা কমে ৭ বছর হয়েছে। তাহলে এটা কি নতুন নয়?’
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ রহিতকরণ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আনিসুল হক।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আনা সংশোধনে সাংবাদিকরা খুশি হবেন: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে এক পয়সা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। তার মানে এই নয় যে জরিমানা সব সময় ২৫ লাখ টাকা হবে। অপরাধের ধরনের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞ আদালত জরিমানা করবেন, আইনে এটা বলা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনে সব ধারায় জামিনযোগ্য করেছি। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অধিকাংশ ছিল জামিন অযোগ্য।’
আনিসুল হক বলেন, নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যেসব অপপ্রয়োগ হয়েছে সেগুলো থাকবে না। ফলে সাইবার নিরাপত্তা আইনে সংবাদ মাধ্যমের আর কেউ হয়রানির শিকার হবেন না।
আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইনে হ্যাকিং, অর্থ ও ডেটা চুরি, প্রপাগান্ডা, সাইবার বুলিংয়ের মতো ঘটনাকে ক্রিমিনাল অফেন্স হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ডেটা সুরক্ষা আইনে ডেটা ব্রিজ হলে ক্রিমিনাল অফেন্স হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা দিতে হলে ডেটা নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনে মানহানির সর্বোচ্চ শাস্তি জরিমানা: আইনমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কোনো দেশে বিনিয়োগের আগে জানতে চায় ডেটা নিরাপত্তা আইন আছে কি-না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন দেশ বহু আগেই আলাদা ডেটা সুরক্ষা আইন করেছে।
পলক বলেন, ‘মতামত চাওয়ার পর অনেকেই মতামত দিচ্ছেন, তা আমলে নিয়েই পর্যালোচনা করছি। যে কেউ এই আইনের বিষয়ে মতামত দিতে পারবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মইনুল কবির, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন।
আরও পড়ুন: আগের আইনের মামলা নতুন আইনে নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হবে: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি বিএনপির
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে (ডিএসএ) গণতন্ত্র ও জনগণের স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে জঘন্য কালো আইন আখ্যা দিয়ে আইনটি পরিবর্তন না করে সম্পূর্ণ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট দিয়ে ডিএসএ পরিবর্তন করার সরকারের পদক্ষেপ জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। কারণ আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পূর্ণ বাতিলের পক্ষে।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার দেশব্যাপী বিএনপির সমাবেশ
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই আইনটি কোনোভাবেই বহাল থাকা উচিত নয়। কারণ এটি গণতন্ত্র ও জনগণের স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে জঘন্যতম কালো আইন।
বিএনপি নেতা বলেন, ডিএসএ প্রত্যাহার তাদের অন্যতম দাবি। যার জন্য তারা সরকারবিরোধী আন্দোলন করছে।
ফখরুল বলেন, আমাদের মূল বক্তব্য হলো- আমরা আইনটির সম্পূর্ণ বাতিল চাই। কারণ, এটি গণতন্ত্র, জনগণের অধিকার এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে একটি আইন। সুতরাং, এই আইন (যেকোনো রূপে) রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
তিনি বলেন, সরকার মানুষকে প্রতারিত করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সাইবার নিরাপত্তা আইনে রূপান্তর করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচণ্ড চাপের মধ্যে থাকায় সরকার তাদের এই পদক্ষেপ নিয়ে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, উটপাখি ঝড়ের মুখোমুখি হলে বালিতে মাথা লুকানোর প্রবণতা রয়েছে। সরকারের পদক্ষেপও সেরকমই। তারা মনে করে যে তারা এভাবে মানুষকে বোকা বানিয়ে খুব স্মার্ট কাজ করছে।
আইন পরিবর্তনে সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের পর তারা সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে তাদের দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানোর কথা বলেন ফখরুল।
এর আগে সোমবার ডিএসএ-এর কিছু ধারা সংশোধন করে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সাইবার নিরাপত্তা আইনে প্রতিস্থাপন করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, তারা ডিএসএ’র ধারায় অনেক পরিবর্তন এনেছে এবং নাম পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করেছে। ডিএসএ বাতিল করা হয়নি বরং রূপান্তরিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি বাংলাদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে, তাদের প্রতিহত করুন: কাদের
সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে যাবে না: রিজভী
১ বছর আগে
সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া পর্যালোচনার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় সোমবার (৭ আগস্ট) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় আইন সংস্কারের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নকে আমরা স্বাগত জানাই।’
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্র সচিবকে মার্কিন কর্মকর্তা
তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করতে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনকে খসড়া আইনের পর্যালোচনা ও মতামত জানানোর সুযোগ দিতে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা অতীতে বলেছি; সমালোচকদের মুখ বন্ধ, আটক ও গ্রেপ্তারে আইনটি ব্যবহার করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অবস্থান নেই: রাষ্ট্রদূত হাস
বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে বিজিএইচএসডি: যুক্তরাষ্ট্র
১ বছর আগে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল টিআইবি
বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) বাতিলে মন্ত্রিসভার নেওয়া সিদ্ধান্তকে সতর্কতার সঙ্গে স্বাগত জানিয়েছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) আইনটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা আইন নীতিগতভাবে অনুমোদন করে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর পরই একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানায় টিআইবি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের জায়গায় প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন যাতে স্বাধীন মতপ্রকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে তার আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি। এ ছাড়া এ আইন যেন গণমাধ্যমকে দমন করার হাতিয়ার না হয়ে ওঠে সে ব্যাপারে সকর্তও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এটি নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার ও বিশেষজ্ঞদের নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘টিআইবি ধারাবাহিকভাবে বলে এসেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করে বা একেবারে ঢেলে সাজালেও আইনটিতে জনস্বার্থের কোনো প্রতিফলন ঘটবে না বা জনগণের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।’
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভা আইনটি বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে আমরা স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে আমরা বিশ্বাস করতে চাই যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি যেভাবে নিবর্তনমূলক এবং কণ্ঠরোধ ও ভিন্নমত দমনের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছিল, তা সরকার অনুধাবন করেই আইনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাই নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনটি যেন শুধুমাত্র সাইবার অবকাঠামোর নিরাপত্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে এবং যাতে কোনোভাবেই সাইবার অবকাঠামো তথা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে স্বাধীন ও ভিন্নমত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা না হয়- তা নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ হতাশাজনক: টিআইবি
প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন যেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রতিচ্ছবিতে পরিণত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘গণমাধ্যম সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি আইনমন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বহু ধারা সাইবার নিরাপত্তা আইনে যুক্ত হবে। আমাদের আশঙ্কার জায়গা ঠিক সেখানেই।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যেসব ধারা মূলত ভিন্নমত দমন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধে বহুল অপব্যবহৃত হয়েছে, সেগুলো নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে অন্তর্ভুক্ত না করার আহ্বান জানাই। নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনটি যেন নতুন মোড়কে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের রূপান্তর হয়ে ফিরে না আসে। তা না হলে, আইনটির নাম বদল হলেও কার্যত তা হবে একটি কালাকানুনকে প্রতিস্থাপন করে ভিন্ন নামধারণ করা আরেকটি কালাকানুন মাত্র।’
একইসঙ্গে, সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ার সব স্তরে সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।
আরও পড়ুন: আরপিও সংশোধনী বিল মড়ার ওপর খাড়ার ঘা: টিআইবির উদ্বেগ
প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন: টিআইবি
১ বছর আগে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আনা সংশোধনে সাংবাদিকরা খুশি হবেন: আইনমন্ত্রী
সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে সংশোধন আনছে, তাতে সাংবাদিকরা খুশি হবেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোরের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কী ধরনের সংশোধনী আনা হচ্ছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এটার জন্য আপনারদের একটু অপেক্ষা করতে হবে। আমি মনে করি, আপনাদের পরামর্শ সরকারের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি এটুকু বলতে পারি, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের যে সংশোধন হচ্ছে তাতে আপনারা সকলে খুশি হবেন।’
তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। তার সফরে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। নতুন আঙ্গিকে আমাদের এই অংশীদারত্ব কাজে লাগাব ও শক্ত করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলাপ হয়েছে। তাকে বলেছি- আমরা এই আইন সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী সেপ্টেম্বরে এই সংশোধনী পার্লামেন্টে তোলা হবে এবং পাস করা হবে বলে আশা রাখি।’
আরও পড়ুন: লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা গভীর মনস্তাত্ত্বিক ক্ষত সৃষ্টি করে: আইনমন্ত্রী
বৈঠকে উপাত্ত সুরক্ষা আইন নিয়েও কথা হয়েছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সেখানে বলেছি- এটি নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে একবার বৈঠক করার পরে আবার একটা খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সেটি নিয়েও অংশীজনদের সঙ্গে বসা হবে বলে আমি আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে শুনেছি। ইমন গিলমোরকেও সে কথা বলেছি।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রম আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বলেছি, বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকার জোরদার হয়েছে। এটি নিয়ে অনেক কাজ করেছি এবং করে যাচ্ছি। যে সব সমস্যা আছে, সেগুলো দূর হবে বলে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আশা ব্যক্ত করেছি। সেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা চেয়েছি।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘তাদের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে বিশেষ কোনো আলাপ হয়নি। নির্বাচন নিয়ে তাকে কেবল বলেছি, প্রধান নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন কমিশন নিয়োগে যে আইনটি আমরা করেছি, এটি এই উপমহাদেশে প্রথম। গেল অর্ধশত বছরে এমন আর কোনো আইন হয়নি। আমরা আইন করেছি অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য।’
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অনেক বিদেশি প্রতিনিধি আসছেন, এ নিয়ে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীটা এখন বিশ্বগ্রাম। এখানে বিভিন্ন দেশ পারস্পরিক সম্পর্ক ধরে রাখতে বিভিন্ন আলোচনায় যুক্ত হয়। আমি সে আলোকেই দেখছি। আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ।’
তিনি বলেন, আমাদের যেসব বন্ধুদেশ আছে, তারা আমাদের অবশ্যই অনেক কিছু জিজ্ঞেস করতে পারেন। আবার অনেক কথা তাদেরকে জিজ্ঞেস করতে পারি। কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকলে এই আলোচনার মাধ্যমে তা দূর হয়। অনেক ক্ষেত্রে সেগুলো দূর হচ্ছে বলে মনে করি।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার: আইনমন্ত্রী
সংবিধান না মানলে দেশের নাগরিক বলা ঠিক না: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৭ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ৭ হাজার মামলা হয়েছে।
সোমবার সিলেট থেকে নির্বাচিত গণফোরামের সংসদ সদস্য মুকাব্বির খানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সংসদে পাস হয়।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ পর্যন্ত কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ উদ্বিগ্ন।
তাই সচিবালয়ের নিয়মানুযায়ী প্রশ্নের এই অংশটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জামালপুর থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৩৬ লাখ ৭০ হাজার মামলা বিচারিক আদালতে বিচারাধীন রয়েছে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: কবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হবে তা প্রধানমন্ত্রীই ঠিক করবেন: আইনমন্ত্রী
এর মধ্যে দেওয়ানি মামলার সংখ্যা ১৫ লাখ ৮৪ হাজার এবং ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ২০ লাখ ৮৬ হাজার।
মন্ত্রী বলেন, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৪৪ হাজার ঢাকায় এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ লাখ ৭১ হাজার মামলা চলছে চট্টগ্রামে।
নোয়াখালীর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ন্যায়বিচার প্রত্যাশী জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে একটি আধুনিক বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়িত হলে সারাদেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে এবং মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে কার্যকর ও দৃশ্যমান উন্নতি হবে।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধনী আনা হবে: আইনমন্ত্রী
শ্রম আইন সংশোধনে জোরালোভাবে কাজ করছে সরকার: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বাবুল আক্তারের জামিন
চট্টগ্রামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে একই আইনের অধীনে ঢাকায় করা এক মামলায় জামিন আবেদনের আদেশ দুই মাসের জন্য মুলতবি (স্ট্যান্ড ওভার) রেখেছেন।
রবিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পি।
এর আগে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামের মামলায় তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছিলেন বিচারিক আদালত। পাশাপাশি ঢাকায় করা মামলায়ও জামিন না মঞ্জুর করা হয়। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। স্ত্রী হত্যা মামলায় ২০২১ সালের মে মাসে গ্রেপ্তার হয়ে বাবুল বর্তমানে কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাইবার মামলায় জামিন পেলেন বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা গত বছরের ১৯ অক্টোবর খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। মামলায় বাবুল আক্তার ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন, বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান ও বাবা ওয়াদুদ মিয়াকে আসামি করা হয়। মামলায় বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যা মামলা নিয়ে মিথ্যা-অসত্য তথ্য সরবরাহ প্রচারের অভিযোগ আনা হয়। একই অভিযোগে এ আসামিদের নামে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার মজুমদার।
মামলায় অভিযোগ, মাহমুদা হত্যা মামলা নিয়ে আসামিরা ফেসবুক-ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। এতে পিবিআই ও সংস্থাপ্রধানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। বাবুল, হাবিবুর ও ওয়াদুদের যোগসাজশে বিদেশে থাকা ইলিয়াস মিথ্যা তথ্য প্রচার করেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা। এ মামলায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ সাতজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই। এ মামলায় চলতি বছরের ১৩ মার্চ বাবুল আক্তারসহ সাতজনের নামে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই
১ বছর আগে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধনী আনা হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়নি। এটি করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হচ্ছে না।
তিনি জানান, এই আইনের অপব্যবহার রোধে তিনি বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে একটি টেকসই সমাধান দরকার। এই সমাধানের অংশ হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কিছু সংশোধনী আনা হবে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে জোরালোভাবে কাজ করছে সরকার: আইনমন্ত্রী
রবিবার (২১ মে) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল আইন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’- শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিস এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সংলাপ ও আলোচনা একটি গণতান্ত্রিক সমাজের চাবিকাঠি। তাই সরকার সমাজের বিভিন্ন অংশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করতে উৎসাহিত বোধ করে।
তিনি জানান, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার অফিসের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছে, তাদের কিছু ইনপুট পেয়েছে এবং এটি পর্যালোচনা করছে।
আনিসুল হক বলেন, অনলাইনে নারীদের প্রায়ই হয়রানি করা হচ্ছে, যার সুরাহা হওয়া দরকার। ডিজিটাল স্পেসের যথেচ্ছ অপব্যবহারের মাধ্যমে দেশ, সরকার বা কোনো ব্যক্তির মানহানি করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, সময়ের প্রয়োজনে বর্তমানে সমস্ত দেশ ডিজিটাল স্পেসে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের জাতীয় স্বার্থ এবং যারা ডিজিটাল আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ও আক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তাদের রক্ষা করা দরকার।
এজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দরকার। তাই এ আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না। তবে আইনটি সংশোধনের বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এছাড়া এটি অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: মানুষ যেন দ্রুত ন্যায়বিচার পায়: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে