শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
যুক্তরাজ্যে মামলা এবং ১৯৭১-এর ইতিহাসের ভবিষ্যৎ
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। সকাল থেকে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল আর ফেসবুকের আলোচনাগুলো লক্ষ্য করছি। গুরুত্বপূর্ণ মতামত আর আবেগ উঠে এসেছে সেসব আলোচনায়। অনেকে আবার এই সুযোগে শহীদ দিবসের উত্তপ্ত তাওয়ায় গণতন্ত্র, নির্বাচন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ইত্যাদিও ভেজে নিচ্ছেন একটু করে।
এতে সমস্যা নেই। এসব বিষয় অবশ্যই গুরুত্বের দাবিদার এবং আলোচনাগুলো সবসময়ই প্রাসঙ্গিক। কিন্তু নির্দিষ্ট যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা অন্তত আজকের এই দিনে ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’ ও সময়োপযোগী ছিল বলে মনে করছিলাম; সেটি কোথাওই আর উত্থাপিত হতে দেখলাম না। তাই এই পোস্টটি লেখার তাগিদ অনুভব করছি। ধৈর্য্য ধরে যদি পড়েন (কারণ এটি একটি দীর্ঘ পোস্ট হতে যাচ্ছে) তাহলে কৃতজ্ঞ হব।
এই যে উপরে লিখলাম ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’, কথাটা কিন্তু এতটুকু বাড়িয়ে বলিনি। এই পোস্টটি পড়লে আপনার কাছেও হয়তো সেটি স্পষ্ট হবে এবং আপনিও একমত হবেন।
আমার মতে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৯৭১ এর যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হওয়া থেকে গত ১৫ বছরে এ সংক্রান্ত সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ঘটনাকে যদি চিহ্নিত করি আমরা, তাহলে সম্ভবত এই পোস্টে যে বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করছি সেটি হতে যাচ্ছে তার একটি।
একটু ধারণা দিই, এমনকি হয়তো শাহবাগ আন্দোলনও এই তিন প্রধান ঘটনার তালিকার মধ্যে পড়বে বলে আমার মনে হয় না!
তাহলে একটু মন দিয়ে পড়ুন।
আপনারা জানেন, ১৯৭১ এর বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারীদের একজন হিসেবে চৌধুরী মুঈনউদ্দিন নামে একজনের বিচার হয়েছিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি)। আসামির অবর্তমানে তার বিচারের রায়ে তাকে সন্দেহাতীতভাবে দোষী সাব্যস্ত করে আইসিটি এবং তাকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয় ২০১৩ সালে।
আরও পড়ুন: বেদনায় ভরা দিন: শেখ হাসিনা
দণ্ডপ্রাপ্ত মুঈনউদ্দিন যুক্তরাজ্যে বসবাস করায় সেই সাজা কখনোই বাস্তবায়িত হয়নি। কেন হয়নি বা কি কি করা সম্ভব ছিল বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে, তা নিয়ে আরেকদিন আলোচনা করা যাবে; এখন সে কথা থাক। মুঈনউদ্দিনের পুরো ঘটনা যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে নতুন মোড় নিয়েছে, সেটি মনে হয় আপনাদের সবার আগে জানা থাকা দরকার।
২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর জঙ্গীবাদ ও ইসলামিজম বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে, মূলত অনলাইনে। সেখানকার একটি ‘ফুটনোটে’ চৌধুরী মুঈনউদ্দিনের নাম উল্লেখ করে বলা হয় তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আইসিটির একটি রায়ও রয়েছে।
যুক্তরাজ্যে মুঈনউদ্দিনের নিযুক্ত আইনজীবীরা দাবি করেন, রিপোর্টে তার রায়ের এই বিষয়টির এমনকি উল্লেখও নাকি তার বিরুদ্ধে মানহানির শামিল এবং এই মর্মে তারা স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে আইনি নোটিশ পাঠায়। স্বরাষ্ট্র দপ্তর এই লিগ্যাল নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে সেই ফুটনোটটি সরিয়েও নেয় অনলাইন থেকে। তারপরও মুঈনউদ্দিন যুক্তরাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের হাইকোর্টে মানহানির মামলা করেন।
আদালতে মুঈনউদ্দিনের বক্তব্য ছিল বাংলাদেশের আদালতের রায়কে সূত্র হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়টিই তার জন্য মানহানিকর, কারণ বাংলাদেশের আইসিটির নাকি কোনো ধরনেরই গ্রহণযোগ্যতা নেই।
সুতরাং, আইসিটির মাধ্যমে ১৯৭১ এর যে ধরনের ইতিহাস প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়েছে আর যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং রায় দেওয়া হয়েছে তার সবই ভিত্তিহীন। এসবের ফলে নাকি যুক্তরাজ্যের একজন সম্মানিত নাগরিক হিসেবে মুঈনউদ্দিনের মানবাধিকার ও সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে।
বিপরীত পক্ষ (অর্থাৎ, যুক্তরাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আইনজীবীরা) পাল্টা অভিযোগ আনে এই বলে, অন্য একটি দেশের আদালতে ইতোমধ্যে চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তিকৃত একটি বিষয় পুনরায় উত্থাপন করে মুঈনউদ্দিন যেটা করার চেষ্টা করছে তা হলো মূলত যুক্তরাজ্যের আইনব্যবস্থার অপব্যবহার। সুতরাং, মুঈনউদ্দিনের মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হোক।
হয়তো বুঝতে পারছেন, পরোক্ষভাবে এই মামলাটির অন্যতম বিচার্য বিষয়ই হয়ে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাজ্যের আদালতে আইসিটি আর বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা যাচাই।
যুক্তরাজ্য হাইকোর্ট মুঈনউদ্দিনের মামলাটি খারিজের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে মুঈনউদ্দিন আপিল করেন যুক্তরাজ্যের উচ্চতর আপিল আদালতে।আপিল আদালতের তিনজন বিচারকের মধ্যে দুইজন হাইকোর্টের নির্দেশের সঙ্গে একমত হন, কিন্তু একজন বিচারক মুঈনউদ্দিনের পক্ষে (অর্থাৎ মামলা খারিজের বিপক্ষে) রায় দেন। এই এক বিচারকের রায়ের ভিত্তিতে মুঈনউদ্দিন আবার আপিল করেন, এবার যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টে। এটাই যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত।
গত ১ ও ২ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টে মামলার বিষয়টির চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বিচারপতিসহ পাঁচ বিচারকের সামনে সেই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মুঈনউদ্দিন ও স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে দেশের প্রধান দু'টি ল'ফার্মের আইনজীবীরা সেখানে পাল্টাপাল্টি অংশ নেন।
গত চার বছর ধরে এবং বিশেষ করে গত ন'মাস ধরে আমি এই মামলার পুরো বিষয়টি নিবিড়ভাবে অনুসরণ করেছি। সরাসরি মামলার পক্ষ না হতে পারার সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও, নিজের সীমিত সাধ্য আর সামর্থ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব তার শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করে গেছি পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে এই মামলায় ১৯৭১ এর ভিকটিমদের ও আইসিটির মূল দিকগুলো সামনে নিয়ে আসার।
উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাজ্যের মামলার আইনজীবীদের দু’পক্ষের সাবমিশনে যে মৌলিক বিষয়গুলো একেবারেই উঠে আসেনি সেগুলোর পাশাপাশি তাদের এবং যুক্তরাজ্যের বিচারকদের করা জ্বলজ্যান্ত ভুলগুলো তুলে ধরা।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ইতিহাসে তাদের স্থান কি হবে?
চূড়ান্ত বিচারে কতটুকু সফল হয়েছি তা এখনি বলা মুশকিল, কারণ যুক্তরাজ্য সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত রায়ের জন্য অপেক্ষাধীন। তবে এটুকু উল্লেখ না করলেই না।
যুক্তরাজ্য সুপ্রিম কোর্টে দু'পক্ষের শুনানি শেষ হওয়া পর্যন্ত আমার অন্তত যা মনে হয়েছে, তা হলো পুরো মামলাটির শুনানি আইসিটির জন্য ইতিবাচক হয়েছে তা বলা যাবে না। যুক্তরাজ্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের দৃষ্টিভঙ্গী হয়তো (ধরে নিচ্ছি যদিও) অনেকাংশেই নির্ভর করেছে মুঈনউদ্দিন ও যুক্তরাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের দুই পক্ষের আইনজীবীদের কাছ থেকে তারা এ পর্যন্ত যা শুনেছেন বা যা শুনেননি শুধু তার উপরই।
যে কোনো দিনই রায় হতে পারে। জানি না যুক্তরাজ্যের বিচারকরা কি রায় দেবেন শেষ পর্যন্ত, এবং তা কিভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্ধৃত ও (অপ)ব্যবহৃত হতে পারে ১৯৭১, বিচার, আর ভিকটিমদের বিরুদ্ধে!
যুক্তরাজ্য সুপ্রিম কোর্টের এই রায়টি কেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে, সেটি জানিয়ে রাখাটা প্রয়োজন মনে করছি, যে কারণে মূলত এই লেখাটি লেখা।
চৌধুরী মুঈনউদ্দিনের এই মানহানি মামলাটিকে যুক্তরাজ্য সুপ্রিম কোর্ট যদি সর্বতোভাবে ও সর্বসম্মতিক্রমে খারিজ করে দেন তাহলে তো কিছুই বলার নেই। সেই সম্ভাবনা এখনও আছে। তেমনটি হলে এই মামলাটি হয়তো ইতিহাসের বা আইনের বইয়ের কোনো একটি ছোট ফুটনোট হয়ে থেকে যাবে।
কিন্তু রায়ে যদি এর বিপরীতটি ঘটে, অর্থাৎ, মুঈনউদ্দিনের মানহানির দাবি যদি টিকে যায়, তাহলে নিচের আশঙ্কাগুলো বাস্তব হয়ে উঠার এক ভিন্ন বাস্তবতা তৈরি হবে আমাদের সবার জন্য। অনেকগুলো সম্ভাব্য ফলাফল আর আশঙ্কার মধ্যে শুধু চারটি উল্লেখ করছি নিচে:
প্রথমত:
যুক্তরাজ্য সুপ্রিম কোর্ট মুঈনউদ্দিনের পক্ষে (অর্থাৎ আইসিটির প্রক্রিয়ার বিপক্ষে) রায় দিলে সেই রায়টি দেশে-বিদেশে যুদ্ধাপরাধী আসামিপক্ষ উদ্ধৃত করবে আইসিটির পুরো প্রক্রিয়া এবং এর প্রতিটি বিচারের রায়কে চূড়ান্তভাবে প্রশ্নবিদ্ধভাবে করার কাজে। অবশ্যই, আইনি বিচারে যুক্তরাজ্যের রায় বাংলাদেশের আইসিটির রায়ের ব্যাপারে কোনো ধরনের বাধ্যবাধকতা তৈরি করে না, তবে প্রচার/অপ-প্রচারের বিভ্রান্তিকর রাজনীতিতে এবং ১৯৭১ এর ইতিহাসকে ঘোলা করার কাজে যুক্তরাজ্যের আদালতের রায় শক্তিশালী এক হাতিয়ার হয়ে উঠবে ১৯৭১ বিরোধীপক্ষের হাতে। এই যে প্রথম সম্ভাবনার কথাটি লিখলাম, তা হলো আমার লেখা চারটি সম্ভাবনার মধ্যে সবচেয়ে কম ক্ষতিকর, কারণ বাকিগুলো আরও সুদূরপ্রসারী!
দ্বিতীয়ত:
যদি যুক্তরাজ্যের আদালতে বাংলাদেশের আইসিটির বিরুদ্ধে করা সমালোচনাগুলো ধোপে টিকে যায়, তাহলে এর প্রভাব হবে মুঈদনউদ্দিনের মামলা ছাড়িয়েও আরও বিস্তৃত। কারণ, তখন সমালোচনাগুলো পশ্চিমের এক গুরুত্বপূর্ণ আদালতের বদৌলতে এক ধরনের আইনি বৈধতার সিল পেয়ে যাবে। এই বিষয়টিকে তখন আইসিটির বিচারে দণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামিই ব্যবহার করতে পারবে এ জাতীয় কৌশলগত মানহানি মামলায়। তাদের উদ্দেশ্য হবে ১৯৭১ ইস্যুতে নিজেদের কৃতকর্মের ইতিহাস চাপা দেওয়া। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের আইনব্যবস্থা ও আদালত এমনিতেই এ জাতীয় মানহানি মামলার ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় ফোরাম হয়ে উঠেছে সারাবিশ্বের অন্য সব ব্যবস্থার তুলনায়। এই সুযোগটি ঢালাওভাবে নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে তখন যুদ্ধাপরাধী পক্ষের দিক থেকে। এভাবে ১৯৭১ এর প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস একটু একটু করে বিকৃত হতে থাকবে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি-৩
তৃতীয়ত:
আইসিটির রায়ের পরও যদি দণ্ডিত একজন অপরাধী এই রায়কে মানহানিকর বলে যুক্তরাজ্যের আদালতে উতরে যেতে পারে, তাহলে ১৯৭১ এ সংঘটিত অপরাধগুলো (যেমন: গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ) নিয়ে বর্তমান ও ভবিষ্যতের সব ধরনের গবেষণা আর লেখালিখির কাজ আর উদ্যোগগুলো এক বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবে। লেখক ও গবেষকদের তখন তাদের কাজগুলো করতে হবে প্রতি পদে মানহানি মামলার খড়গ মাথায় নিয়ে। আইন বিষয়ে যাদের কিছুমাত্র ধারণা আছে তারা জানবেন কাউকে হয়রানি করতে বা আর্থিকভাবে সর্বস্বান্ত করতে মানহানি মামলার কোনো জুড়ি নেই।
চতুর্থত:
বাংলাদেশের গণহত্যার বৈশ্বিক সার্বজনীন স্বীকৃতি অর্জনের যে প্রজন্মব্যাপী আন্দোলন মাত্র শুরু হয়েছে, তার পুরোটাই এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সম্মুখীন হবে।
আশা করি এই লেখাটি পরিস্থিতির সম্ভাব্য গুরুত্ব অনুধাবনের পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট সবাইকে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে।
(প্রকাশিত মতামতের দায় লেখকের, ইউএনবির নয়)
১০ মাস আগে
কানাডার অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত
কানাডায় অটয়োয় যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতি স্মরণ করছে সূর্যসন্তানদের
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) হাইকমিশন অডিটোরিয়ামে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়।
হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে হাইকমিশনের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে এই দিবস পালিত হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের শহীদ সদস্য, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত
১০ মাস আগে
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত
যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২৩’ পালন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: মিশরে বাংলাদেশ দূতাবাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
এরপর দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। আলোচনা পর্বে মূল বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপস্থায়ী প্রতিনিধি ও চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তৌফিক ইসলাম শাতিল।
উপস্থায়ী প্রতিনিধি তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের শাহাদাৎ বরণকারী সব সদস্য, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরে নিহত সব শহীদ বুদ্ধিজীবী, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ এবং নির্যাতনের শিকার মা-বোনদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
দিবসটিকে আমাদের ইতিহাসের এক কলঙ্কময় অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতির এই বীর সন্তানেরা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনা দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়ের পথ প্রশস্ত করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে পাকহানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা যখন বুঝে গিয়েছিল যে তাদের পরাজয় নিশ্চিত, তখনই তারা বাংলাদেশকে মেধাশূণ্য করতে বেছে বেছে পরিকল্পিতভাবে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে।’
১০ মাস আগে
মিশরে বাংলাদেশ দূতাবাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
মিশরের কায়রোতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনে বৃহস্পতিবার যথাযোগ্য মর্যাদা ও গাম্ভীর্যের সঙ্গে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে।
দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কর্মকর্তারা অংশ নেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করা হয়।
আরও পড়ুন: বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি: হাছান মাহমুদ
দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ প্রথমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এই দিনে (১৪ ডিসেম্বর) দেশের প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
তিনি বলেন, ‘এই দিনটি পালনের মাধ্যমে আমরা তাদের গভীরভাবে স্মরণ করি এবং আমাদের জাতীয় জীবনে তাদের অবদানকে তুলে ধরেছি, তাদের আত্মত্যাগ এবং স্বাধীনতার জন্য ত্যাগের ইতিহাস স্মরণ করি।’
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের শহীদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও অন্যান্য শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতি স্মরণ করছে সূর্যসন্তানদের
একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
১০ মাস আগে
বুদ্ধিজীবী দিবসে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বিতর্কিত করা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের সমন্বয়কের বাসায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে বিতর্কিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গতকাল (বুধবার) ছিল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এদিন সবাই শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান। অনেক সময় বিদেশি রাষ্ট্রদূতরাও সেখানে শ্রদ্ধা জানান। যদি মার্কিন রাষ্ট্রদূতও শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে যেতেন, তাহলে সেটি অনেক ভালো হতো এবং বাঙালি জাতির যে স্বাধীনতা এবং এই স্বাধীনতা অর্জন করতে গিয়ে যে বাঙালি জাতির যে কষ্ট-ত্যাগ, সেটার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হতো।
মন্ত্রী বলেন, আমি জানি না তাকে কে পরামর্শ দিয়েছে সেই দিনে মায়ের ডাক নামের সংগঠনের কো অর্ডিনেটরের বাসায় যেতে। যারাই এ পরামর্শ দিয়েছে তারা সঠিক পরামর্শ দেয়নি।। আমি মনে করি, যে-ই পরামর্শ দিক না কেন; সিদ্ধান্ত তো নিজের। কাজেই তারও আসলে দিবসের দিকে লক্ষ্য রাখা দরকার ছিল।
আরও পড়ুন: একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার নেপথ্যে থাকা জামায়াত বিএনপির প্রধান সহযোগী: তথ্যমন্ত্রী
‘তিনি যে সেখানে যাবেন এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও কিছু জানতো না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেটিই বলেছেন। ‘মায়ের ডাক’ সংগঠন তারাই করেছে, যারা গুম হয়েছে বলে অভিযোগ করছে। যারা গুম হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাদের অনেককেই আবার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। অনেকে খুনের মামলার আসামি, অনেকে মাদক মামলার আসামি। তাদেরকে বিএনপি গুম হয়েছে বলে বিএনপি বলে বেড়াচ্ছে ,’ যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, গতকাল যারা মান্যবর মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে গেছেন, তারা তাকে বিতর্কিত করেছেন। এখানে বিতর্কিত করা সমীচীন হয়নি। তিনি সেখানে গেছেন এটি শুনে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের ৫০ জনের মতো গিয়েছিলেন। তারা গিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে স্মারকলিপি দিতে। যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তারা সে সুযোগ দেননি। যে কারণে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠকরা পারেননি।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি মার্কিন রাষ্ট্রদূত যদি তাদের স্মারকলিপিটা নিতেন এবং তাদের সঙ্গে দুটি কথা বলতেন; তাহলে তার যাওয়া নিয়ে যে প্রচন্ড সমালোচনা হচ্ছে, সেটি হতো না।’
অবশ্য এ ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো অবনতি হবে না বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান।
তিনি বলেন, অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রায় তাদেরও বিরাট ভূমিকা আছে। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত উষ্ণ।
মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, এ ঘটনায় সম্পর্কে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না। মার্কিন দূতকে আমি অনুরোধ করবো, তাকে যদি কেউ ভুল পরামর্শ দেয়, তাকে যদি এভাবে একপেশে করে তোলার চেষ্টা করে; সেটির বিষয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ তাকে জানাবো।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কি করবেন সেটি তারা বলতেই পারেন। এটি বলা কোনো অপরাধ না। তবে বাংলাদেশের মানুষ তাদেরকে আর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে না।
হাছান মাহমুদের মতে, যারা মানুষের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে, নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য, যারা মানুষকে জিম্মি করে রাজনীতি করে, তাদের ডাকে মানুষ সাড়া দেয়নি, দেবেও না। ১০ তারিখ সরকার পতন ঘটাতে এসে নিজেদের পতন ঘটিয়ে চলে গেছে।
আরও পড়ুন: তদন্তের স্বার্থে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ: তথ্যমন্ত্রী
সরকারের পতন ঘটাতে এসে বিএনপি নিজেদের পতন ঘটিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
মার্কিন রাষ্ট্রদূত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মৃতিসৌধে যাননি, অন্য কোথাও গেছেন: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে ‘যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সরকারকে রাজি করাতে বিএনপির পরিকল্পনা’ ব্যর্থ হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় কাদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল শেষ, এখন সেমিফাইনালের সময়: কাদের
কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ওয়াশিংটন মিশন ব্যর্থ হয়েছে। তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করার পরও বাংলাদেশের কেউ যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদিত ব্যক্তি ও সংস্থার তালিকায় ছিল না। তারপরও টাকা কোথা থেকে আসে আমরা জানি না ভেবে বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করেছে। দুবাই থেকে টাকা ভর্তি বস্তার... ঘটনাটা আমরা জানি।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের, জামায়াতের আইন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যানের তীব্র সমালোচনা করেন।
কাদের বলেন, ‘টবি ক্যাডম্যান আল জাজিরাকে বলেছেন যে তিনি সেই দলের অংশ ছিলেন যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সরকারকে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছিল। র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এই তদবিরের ফল।’
বলপূর্বক গুমের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে কাদের বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে তার নিজের দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্ন করেন।
কাদের বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিসৌধে না গিয়ে হাস শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মায়ের ডাক প্রতিষ্ঠাতাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে চাই- আপনার দেশে প্রতি মাসে কত মানুষ গুম হয়? বিরক্ত করবেন না, আমাদের কাছে ইতোমধ্যেই সিএনএন থেকে পরিসংখ্যান রয়েছে।’
কাদের আরও বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করার আগে পিটার হাসকে গুম ও হত্যার প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অতীতে বিএনপি নেতারা বলেছিলেন বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার নিখোঁজ হয়েছেন। পরে আমরা তাকে খুলনাগামী একটি বাসে পাই। আমি সালাহউদ্দিনের কথাও বলতে চাই। প্রথমে সবাই বলছিলেন তিনি নিখোঁজ হয়েছেন। কিন্তু পরে আমরা জানতে পারি যে তিনি তার বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলা এড়াতে স্বেচ্ছায় ভারতে গিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ড ও জোরপূর্বক গুমের ঘটনাগুলো পিটার হাসকে অবশ্যই জানতে হবে।’
আরও পড়ুন: একাত্তরের পরাজিত শক্তি প্রতিশোধ নিতে সক্রিয় হচ্ছে: কাদের
বিএনপিকে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় বিশৃঙ্খলা না করার আহ্বান কাদেরের
১ বছর আগে
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতি স্মরণ করছে কৃতী সন্তানদের
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত বুদ্ধিজীবীদের সম্মান জানাতে বাংলাদেশ পালন করছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।
বুধবার সকালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী মিরপুরে অবস্থিত শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
মাটির কৃতী সন্তানদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিবেদনের অংশ হিসেবে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা।
১৪ ডিসেম্বরের ট্র্যাজেডি স্মরণে সরকার বিস্তৃত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন আ.লীগের
সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্য ছাড়াও সাধারণ মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের হাতে নিহত মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোও দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশের অনেক খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, শিল্পী ও শিক্ষককে সারাদেশ থেকে বাড়ি হতে টেনে-হিঁচড়ে, চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন- ডা.আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, সাংবাদিক খন্দকার আবু তাহের, অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, সিরাজ উদ্দিন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক জিসি দেব, এসএ মান্নান (লাডু ভাই), জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, ড. ফজলে রাব্বী, সৈয়দ নাজমুল হক, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন,অধ্যাপক আনোয়ার পাশা,অধ্যাপক রশীদুল হাসান, ড.আবুল খায়ের,ড.মুর্তজা, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এ এন এম গোলাম মোস্তফা, সেলিনা পারভিনসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর একাত্তরের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা
দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
১ বছর আগে
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন আ.লীগের
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে বুধবার শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মাটির কৃতি সন্তানদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর একাত্তরের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা
এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের; প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, শাজাহান খান; যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. হাসান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
১ বছর আগে
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর একাত্তরের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী মিরপুরে অবস্থিত শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
মাটির কৃতী সন্তানদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন হিসেবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় স্যালুট প্রদান করে।
আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি বাংলাদেশ দলের প্রধান হিসেবে সভাপতি শেখ হাসিনা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর
পরে প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
এরপর শেখ হাসিনা রাজধানীর ধানমন্ডিতে গিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকায় শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, লেখক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের স্থানীয় সহযোগীদের সহায়তায় ঢাকায় তুলে নিয়ে যায়।
বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগ ও শহরের বিভিন্ন স্থানে টর্চার সেলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে বিশেষ করে রায়েরবাজার ও মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়।
এরপর থেকে দিনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: জেলহত্যা দিবস: বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ঢাকা জেলা আ. লীগের নবগঠিত কমিটির শ্রদ্ধা নিবেদন
১ বছর আগে
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দেশের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
সকাল ৭টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর এই রাতে স্থানীয় সহযোগীদের সহায়তায় ঢাকার শিক্ষক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, লেখক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তুলে নিয়ে যায়।
বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগ এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে টর্চার সেলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে রায়েরবাজার ও মিরপুরের বিভিন্ন জায়গায় গণহত্যা চালানো হয়।
এরপর থেকে দিনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: আজ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করবে দেশ
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রকাশ
২ বছর আগে