সাফল্য
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ সাফল্য পেয়েছে: আইজিপি
এ সরকারের সময়ে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে পুলিশ সাফল্য পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইন্স গেটে নির্মিত বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক টেরাকোটা মৃত্যুঞ্জয়ী ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি বেনজীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি গঠন
তিনি বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাস সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ ছাড়া সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় লোকবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট পুলিশের রয়েছে বলে জানান আইজিপি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম, মিজান শাফিউর রহমান, মো. জাকির হোসেন খান, পুলিশ কমিশনার সৈয়দ হারুনুর রশিদ, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. রওশনুজ্জামান সিদ্দিকী, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: পুলিশ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম: আইজিপি
মানবাধিকার সমুন্নত রেখে নিরপেক্ষভাবে জনগণের সেবা করতে আইজিপির আহ্বান
৬ মাস আগে
জালিয়াতি রোধে বুয়েট উদ্ভাবিত ডিভাইস শনাক্তকরণ যন্ত্রের সাফল্য
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) উদ্ভাবিত ডিভাইস জালিয়াতি শনাক্তকরণ সিস্টেমের কার্যকর প্রয়োগের ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় এ চিত্র ফুটে উঠেছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস জালিয়াতি ও বদলি পরীক্ষা দেওয়ায় আটক ১৮
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, প্রথম ধাপের পরীক্ষায় কিছু ক্ষেত্রে অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা নজরে আসায় মন্ত্রণালয় এ ধরনের অপপ্রয়াস রোধককল্পে কঠোর পদক্ষেপ নেয়।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় এ ধরনের অভিযোগ খুব স্বল্প পরিমাণে এসেছে। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় এ ধরনের অভিযোগ যাতে না উঠে সেজন্য কার্যকর পন্থা খুঁজে বের করতে বুয়েটের আইআইসিটি বিভাগের অধ্যাপক এস এম লুৎফুলর কবিরকে দায়িত্ব দেয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আরও বলেন, বুয়েট ইনোভেশন টিম স্বল্পসময়ে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে অসদুপায় অবলম্বন শনাক্তকরণে সহজ ও কার্যকর সিস্টেম উদ্ভাবন করে। এতে শুক্রবারের লিখিত পরীক্ষায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৫ জেলায় এ সিস্টেমের সহজ ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা সচিব বলেন, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এ ধরনের সিস্টেম চালু করা গেলে ডিভাইসমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হবে।
তখন কেউ পরীক্ষা নিয়ে কোনো অভিযোগ তোলার সুযোগ পাবে না।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সহকারী শিক্ষক নিয়োগে পরীক্ষা ২০২৩ এর তৃতীয় ধাপে ও শেষ ধাপের লিখিত পরীক্ষা (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ- ৩টি পার্বত্য জেলা ব্যতীত) অনুষ্ঠিত হয়।
এ পর্বের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস ব্যবহার, যুবক আটক
গাইবান্ধায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ আটক ৩৫
৭ মাস আগে
শেষ মৌসুমে ‘গৌড়মতি’ আম চাষে মামা-ভাগ্নের সাফল্য
আমের মৌসুম প্রায় শেষ। তবে অসময়ে গৌড়মতি জাতের আম চাষ করে মামা-ভাগ্নে চমক সৃষ্টি করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায়। এই ব্যতিক্রমী চমকে অবাক হয়েছে এলাকাবাসী। মামা-ভাগ্নে আশা করছেন এ মৌসুমে প্রায় ৪০ লাখ টাকার আম বিক্রি করতে পারবেন তারা।
বিভিন্ন জাতের আমের জোগান যখন শেষ হয়, ঠিক তখনই নতুন এক আমের আগমন ঘটে এই মৌসুমে। আর সেটি হলো সুস্বাদু রসালো গৌড়মতি আম। সাধারণ আমসহ উন্নত জাতের বিভিন্ন আম যখন প্রায় শেষ, ঠিক তখনই পাকতে শুরু করে এই গৌড়মতি।
রসালো আর সুস্বাদু নাবি জাতের এই আম চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার দক্ষিণ বনগাঁও এলাকার মহব্বত আলী ও বুলবুল নামে দুই চাষি। শুধু স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নই দেখছেন না, এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন এই দুই মামা-ভাগ্নে।
চার বছর আগে ১৪ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে মামা মহব্বত আলী ভাগ্নে বুলবুলকে সঙ্গে নিয়ে ১ হাজার চারা রোপণ করে পরিচর্যা শুরু করেন।
আরও পড়ুন: চলতি বছর ২৭০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
সরেজমিনে দেখা গেছে, অসময়ে থোকায় থোকায় গাছে ঝুলছে শতভাগ বিষমুক্ত রসালো ও সুস্বাদু গৌড়মতি আম। শতভাগ নিরাপদ রাখতে প্রতিটি আমে করা হয়েছে ব্যাগিং। মামা-ভাগ্নের হাতের নিবিড় ছোঁয়ায় দৃষ্টি কাড়ছে এলাকাবাসীসহ বাগান দেখতে আসা অনেক দর্শনার্থীদের। বাগান ঘুরে অনুমান করে দেখা গেছে, ১ হাজার গাছে আম এসেছে প্রায় সাড়ে ৪০০ মণ আম।
নাবি জাতের এই আম উপজেলায় ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে। বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে প্রচুর। এই আমের প্রতিটির ওজন ৬৫০ থেকে ৮০০ গ্রাম। বর্তমানে এই গৌড়মতি আম ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা মণ দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গৌড়মতি আমের সাফল্য দেখে অনেকেই এ বাগান করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, বাংলার প্রাচীন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনপদের নাম থেকে ‘গৌড়’ আর মূল্য বিবেচনায় রত্নের সঙ্গে তুলনা করে ‘মতি’ শব্দের সমন্বয়ে ২০১৩ সালে নতুন জাতের এই আমের নামকরণ করা হয়েছিল ‘গৌড়মতি’। এ আম আকারে বড় হলেও এর আঁটি ছোট এবং আঁশ পাতলা।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় হলুদ তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে, বিঘাপ্রতি লাভ লাখ টাকা
কৃষক মহব্বত আলী বলেন, চার বছর আগে ১৪ বিঘা জমিতে ১ হাজার গৌড়মতি আমের গাছ লাগিয়েছি। গত বছর থেকেই গাছে আম আসতে শুরু করেছে। গত বছর গাছের পরিপক্বতার কথা ভেবে গাছে আম নেওয়া হয়নি। তবে এ বছর ব্যাপক ফলন হয়েছে। আশা করছি ৪০ লাখ টাকার বেশি আম বিক্রি করতে পারব। যত দিন যাবে গাছ আরও বড় হবে, আমের ফলনও বাড়বে।
রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, এটি নাবি জাতের আম। সারাদেশের আমের জোগান যখন শেষ হয়, তখনই পাকতে শুরু করে এই গৌড়মতি। এই আম অত্যন্ত সুস্বাদু। আর যেহেতু সব আমের শেষে পাকে এই আম তাই দামও বেশ ভালো পান চাষিরা।
কোনো কৃষক যদি গৌড়মতি আমের বাগান করতে চায় তাহলে কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার হবে বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
ঐতিহাসিক সাফল্যের কাছাকাছি ভারতের চন্দ্র অভিযান
চাঁদে অনুসন্ধান করতে দক্ষিণ মেরুতে ভারতের তৃতীয় চন্দ্র মিশনের একটি ল্যান্ডার এবং রোভার আগামী ২৩ আগস্ট অবতরণ করতে চলেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) চাঁদের কাছে নিয়ে যাওয়া প্রপালশন মডিউল থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ডারটি মিশনের চূড়ান্ত পর্যায় শুরু করে।
এটি বলেছে, একটি রাশিয়ান মহাকাশযানও চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যাত্রা করছে।
লুনা-২৫ হলো ১৯৭৬ সাল থেকে রাশিয়ার প্রথম চাঁদ মিশন। তখন দেশটি সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি অংশ ছিল।
আরও পড়ুন: ভারতের চন্দ্রযান-২ অভিযান ব্যর্থ
গত সপ্তাহে লুনা-২৫ চালু হয়েছিল। এটি আগামী ২১ বা ২২ আগস্ট একটি নিরাপদ অবতরণ করতে প্রস্তুত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি লুনা-২৫ নির্ধারিত সময়ে নিরাপদ অবতরণ করতে সফল হয়, তাহলে চন্দ্রযান-৩ -কে দ্বিতীয় স্থান নির্ধারিত হওয়ার জন্য স্থির থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় চন্দ্রযানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে নাসা
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সর্বোপরি বহুল প্রত্যাশিত চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণ ভারতকে চন্দ্রপৃষ্ঠে পৌঁছে দেওয়া দেশগুলোর তালিকায় নিয়ে আসবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চীন যারা ইতোমধ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে পৌঁছেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানটি গত ১৪ জুলাই চালু করা হয়েছিল। কিন্তু ৫ আগস্ট চন্দ্রের কক্ষপথে প্রবেশ করার আগে এটি পৃথিবীর বেশ কয়েকটি কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করেছে। তারপর থেকে মহাকাশযানটি অবতরণের প্রস্তুতির জন্য চাঁদকে প্রদক্ষিণ করছে।
আরও পড়ুন: নাসা: ইঞ্জিন ত্রুটি সাড়ার পর শনিবার নতুন চন্দ্রযান রকেট উৎক্ষেপণের লক্ষ্য নির্ধারণ
এতে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ান এবং ভারতীয় মহাকাশযান উভয়ই একসঙ্গে ইতিহাসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে একটি ‘মিনি স্পেস রেস’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন অবশ্য এটিকে রেস না করে চাঁদে একটি নতুন ‘মিটিং পয়েন্ট’ বলতে আগ্রহী।
ইসরোর একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ‘১৯৬০-এর দশকে শুরুর প্রথম দিন থেকে ইসরো কখনোই কোনো প্রতিযোগিতা করেনি।’
আরও পড়ুন: আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল চন্দ্রযান-৩: ইসরো
১ বছর আগে
হাফেজ আবু তালহার সাফল্য বাংলাদেশের জন্য গৌরবের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বলেছেন, লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হাফেজ আবু তালহা ১১৬টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের জন্য গৌরব বয়ে এনেছেন।
শুক্রবার (২১ জুলাই) সিলেটের জালালাবাদ গ্যাস ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশের জন্য গৌরব অর্জনকারী হাফেজ আবু তালহার সম্মানে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: শান্তিরক্ষী নিয়ে অ্যামনেস্টির আহ্বান উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, হাফেজ আবু তালহার অর্জন আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। হাফেজ আবু তালহাকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, অন্য হাফেজরা তার সাফল্য দেখে অনুপ্রাণিত হবেন।
অনুষ্ঠানে ড. মোমেন বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, আর আওয়ামী লীগ সরকার ইসলাম ধর্মের প্রকৃত এই মর্মবাণী ছড়িয়ে দিতে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
তিনি বলেন, সিলেটে যখন হযরত শাহজালাল (র.) আসেন তখন তার অনুসারীদের গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে পড়তে বলেছিলেন। হযরত শাহজালাল (র.) এর অনুসারীরা গ্রামেগঞ্জে গিয়ে তাদের সুন্দর আচার-ব্যবহার দিয়ে ইসলামের শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। তখন অন্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের কথা শুনেছেন এবং ইসলামের শান্তির বাণীতে মুগ্ধ হয়ে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মাদরাসার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসলাম ধর্ম জ্ঞান অর্জনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। আর জ্ঞানার্জনের জন্য সারাবিশ্ব আমাদের পাঠশালা। জ্ঞানার্জনের জন্য আল্লাহ আমাদের সবকিছু দিয়েছেন, এগুলো কাজে লাগিয়ে জ্ঞানার্জন করে দেশ ও মানবতার সেবায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় দৃষ্টিনন্দন ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে। মসজিদগুলো থেকে প্রতি বছর ১৪ হাজার হাফেজ তৈরির ব্যবস্থা থাকবে। মডেল মসজিদগুলোতে দ্বীনি কার্যক্রম ও ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, যৌতুক, নারীর প্রতি সহিংসতাসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে।
সিলেটের মাছিমপুর মাদরাসার পরিচালক হাফিজ মাওলানা শায়খ নাজমুদ্দীন ক্বাসিমী’র সভাপতিত্বে গণসংবর্ধনায় সম্মানিত ওলামা, বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশের শিল্প-সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর রহমানের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
১ বছর আগে
বাংলাদেশের ফসল উৎপাদনের সাফল্য আজ বিশ্বস্বীকৃত: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষি উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্বস্বীকৃত। বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের শীর্ষ দশ দেশের তালিকায় উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানের হোটেল আমারির বলরুমে নেদারল্যান্ডসের দূতাবাস আয়োজিত বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের কৃষি বাণিজ্য মিশনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, সম্প্রতি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার একটি প্রতিবেদনে বলেছে, চাল, আলু, আম, সবজিসহ ২২টি কৃষিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন শীর্ষ দেশের একটি। কিন্তু কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে ও কৃষিপণ্যের রপ্তানিতে আমরা অনেকটা পিছিয়ে আছি, অথচ এখানে অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, চারটি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে কৃষিখাতে বিনিয়োগ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে আমরা কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন ও সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এবং সেচ ব্যবস্থাপনাকে অগ্রাধিকার খাত হিসাবে চিহ্নিত করেছি। এসব খাতে নেদারল্যান্ডসের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও বিনিয়োগ প্রয়োজন।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের অবকাঠামো ও সরকারি সুযোগ-সুবিধার বিস্তারিত তুলে ধরে নেদারল্যান্ডসের এগ্রি ট্রেড মিশনকে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কৃষিতে বিনিয়োগের জন্য এ খাতগুলো খুবই সম্ভাবনাময় এবং তা লাভজনক হবে। দেশে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। কাজেই আপনারা বিনিয়োগে এগিয়ে আসুন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, ফরেন ইনভেস্টমেন্ট চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি নাসের এজাজ বিজয়, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স থিজ উডস্ট্রা, নেদারল্যান্ডসের এগ্রি ট্রেড মিশনের প্রধান উইস ভ্যান লিউভেন, নেদারল্যান্ডসের কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দূত ফ্রেডেরিক ভসেনার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে কৃষি ও ডেইরি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে এ মিশন কাজ করবে। ৩ দিনব্যাপী এই মিশনে নেদারল্যান্ডসের ৯টি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিশেষজ্ঞ ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এবং বিনিয়োগ ও সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো শনাক্ত করবেন।
আরও পড়ুন: কৃষি গবেষণায় জি২০'র বিনিয়োগ প্রয়োজন: কৃষিমন্ত্রী
মাশরুম চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে দারিদ্র্য থাকবে না: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে পতিত জমিতে সবজি চাষে সাফল্য
ঠাকুরগাঁওয়ে পতিত জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষে সাফল্য পেয়েছেন নন্দি কুমার বর্মন। পৌর শহরের জমিদারপাড়ায় বাড়ির সামনের ফাঁকা জমিতে তিনি বিভিন্ন সবজি চাষ করে এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তার সবজি বাগানে উৎপাদিত শাক-সবজি নিজের পরিবারের সদস্যদের চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের মানুষজনকে দিয়েছেন। এছাড়াও বাড়তি সবজি বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার খবরও জানান তিনি।
পৌর শহরের জমিদারপাড়া সার্প অফিসের সামনে ফাঁকা প্রায় ৮৫ শতক পতিত জমিতে তিনি সবজি চাষ করছেন। সবজি ক্ষেতে পানি দিতে ও বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সবজি ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করতে দেখা যায় তাকে। সেখানে তিনি লাল শাক, পালং শাক, নাপা শাক, বিভিন্ন ধরনের ঘাস, শসা চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে লাল শাক, পালং শাক বেশ কয়েকবার তুলে নিজে খেয়েছেন, আশেপাশের মানুষ আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে বিলিয়েছেন এবং বাজারে বিক্রিও করেছেন।
আরও পড়ুন: রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে দেশের সবচেয়ে বড় শিমুল বাগান
নন্দি কুমার বর্মন বলেন, জমিদারপাড়ায় প্রায় ৩ বিঘা (১৫০ শতক) জমি মরহুম তাহের জামাল চৌধুরীর। এখানে একটি বেসরকারি সংস্থাকে ( সার্প) কিছু জমিতে ঘর তুলে ভাড়া দেয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৮৫ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা পড়ে ছিল। এই ফাঁকা জমিতে নন্দি কুমার লালশাক, পালং, নাপা শাক, শসাসহ বিভিন্ন জাতের ঘাষ চাষ করেন। নিজে খেয়ে, মানুষজনকে বিলিয়ে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার নাঈম মিনহাজ কৌশিক বলেন, নন্দি কুমার বর্মনের পতিত জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষের বিষয়টি সত্যিই প্রশংসনীয়।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, নন্দি কুমার বর্মনের পতিত জমিতে সবজি চাষের বিষয়টি যুগোপযোগী। তিনি চাইলে যে কোনো ধরনের পরমর্শ ও সুবিধা কৃষি বিভাগ থেকে প্রদান করা হবে। চলতি শীতকালীন মৌসুমে ঠাকুরগাঁওয়ে ৭ হাজার ৮৯৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজির উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। বর্তমানে প্রায় সব ধরনের শাক সবজি বাজারে রয়েছে; আরও কিছু সবজি আবাদ চলমান রয়েছে। এ বছরও সবজির ভাল ফলন হয়েছে ও কৃষকও ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সার ও বীজের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
জীবন মাত্রই পরিবর্তনশীল। তাই এর সফলতাও দাবি করে পরিবর্তনের। তাই প্রত্যেকেরই চলমান পরিবর্তনগুলোর সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার দিকে ধাবিত হতে হয়। পেশাদারিত্বের এক অবশ্যাম্ভাবী রসায়ন হচ্ছে নতুন বা পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জগুলোকে গ্রহণ করার সক্ষমতা। এই পরিবর্তন যে কোন পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়ার কথা বলে, কথা বলে নিজেকে আরো গ্রহণযোগ্য করে তোলার। ফলশ্রুতিতে উদীয়মান আত্মবিঃশ্বাস, সৃজনশীলতা ও নেতৃত্ব দানের গুণাবলীর পথ ধরে আসে কর্মজীবনে সাফল্য। এই পরিবর্তনের স্পর্শ প্রয়োজন মানুষের ভেতর-বাহির দুই সত্ত্বাতেই। আর এখানেই আসে সেল্ফ-গ্রুমিং-এর পটভূমি। এই সেল্ফ-গ্রুমিং-এর তাৎপর্য নিয়েই আজকের ফিচার।
পেশাগত জীবনের জন্য সেল্ফ-গ্রুমিং
সেল্ফ-গ্রুমিং কোন একটি নিদির্ষ্ট উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বিভিন্ন কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে নিজেকে তৈরি করে নেয়া। এই ক্রিয়াকলাপের পরিধি ব্যাক্তিত্বের গ্রুমিং থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত গ্রুমিং পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি বাহ্যিক দিক থেকে সাজসজ্জা, অঙ্গভঙ্গিমা, চেহারা এবং স্বাস্থ্যের সাথে জড়িত থাকলেও আভ্যন্তরীণ দিক থেকে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার মাধ্যমে আচরণ এবং আবেগকে প্রভাবিত করে।
আক্ষরিক অর্থেই একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব নির্ভর করে এর উপর। সমাজ ও কর্মজীবনে তার উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ে। বিভিন্ন সুযোগের উদয় হওয়ার সাথে সাথে প্রতিটি ক্ষেত্রে তার সম্ভাবনাগুলো ক্রমাগত সফলতার দিকে নিয়ে যায়।
পড়ুন: যে ১০টি সফটওয়্যার জানা থাকলে চাকরি পেতে সুবিধা হবে
কর্মক্ষেত্রে পেশাদার হয়ে ওঠার জন্য সেল্ফ-গ্রুমিং-এর ১০টি টিপ্স
পেশাদার অঙ্গভঙ্গিমা ও শিষ্টাচার
একজন ব্যক্তির আচরণ হলো তার সবচেয়ে উপযুক্ত পোশাক, যা অন্য সবার কাছে তাকে পরিচিত করে। তিনি কিভাবে হাত ও মাথা নাড়াচ্ছেন, কথা বলছেন, কিভাবে দাড়িয়ে আছেন এবং হাটছেন, এ সবকিছু তার ব্যক্তিত্বকে গড়ে দেয়। এর সাথে শিষ্টাচারের মিথস্ক্রিয়ায় সার্বজনীন এক ভালো লাগা ব্যক্তিত্বের সৃষ্টি হয়।
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার প্রাসঙ্গিক অঙ্গভঙ্গির সাথে তার বিনয়ী ভাব সহজেই মানুষের মন জয় করে নিতে পারে। আর এই গ্রহণযোগ্যতা তার পেশাগত সাফল্যের প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
কর্মক্ষেত্রের সাথে মানানসই পোশাক
মানুষের ভেতরটা সুন্দর হলেও আগে দর্শনধারির ব্যাপারটা রয়েই যায়। তাই দক্ষতা যাচাইয়ের পূর্বে দেখার প্রয়োজন হয় তিনি কত সুন্দর ভাবে তার পরিচ্ছেদগুলো বহন করতে পারছেন। তাই কর্মক্ষেত্রে ব্যবহৃত শার্ট-প্যান্ট ভাবে ধুয়ে আয়রন করা হতে হবে। প্রতিষ্ঠানের যদি নিজস্ব কোন পোষাক থাকে তার ক্ষেত্রে এটি সমানভাবে প্রযোজ্য।
খেয়াল রাখা উচিত শরীরের থেকে পোষাক বড় হয়ে যাচ্ছে কিনা। পরিধেয় নির্বাচনে ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে বলেই সেই স্বাধীনতার অপব্যবহার করা উচিত নয়। মৌসুমের কথা খেয়াল রেখে সাধারণ দৃষ্টে গ্রহণযোগ্য কাপড়ের দিকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। এমনকি শীতের সময়েও হাল্কা রঙকে প্রাধান্য দেয়া উত্তম।
পড়ুন: চাকরির সিভি ও পোর্টফোলিও তৈরির প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইট
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি সাজসজ্জার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। অপরিচ্ছন্নতায় দেহের গন্ধ স্বাভাবিক ভাবেই আশেপাশের মানুষের বিরক্তির কারণ হয়। যেহেতু মানুষ নিয়েই কর্মক্ষেত্রের যত কারবার, তাই তাদের স্বস্তির ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরি।
নিয়মিত গোসলের মাধ্যমে নিজেকে পরিষ্কার করার পাশাপাশি নিজের ব্যবহৃত যাবতীয় পরিধেয় ধুয়ে ময়লা ও গন্ধমুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে সিন্থেটিক এবং টাইট ফিটিং কাপড় এড়িয়ে চলা যেতে পারে।
হাল্কা সুগন্ধি ব্যবহার
সুগন্ধি নির্বাচন ব্যক্তিত্বের একটি উপাদান। ভিন্ন রকমের মানুষের উপর নির্ভর করে সেটা ভালো-খারাপ হতে পারে। তাই একদম ব্যতিক্রম সুগন্ধি পছন্দের ক্ষেত্রে সাবধান থাকা উচিত। হাল্কা সুগন্ধি ব্যবহার করা নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে পরিবেশন করার একটা ভালো উপায়।
এটি সুগন্ধিতে অ্যালার্জি থাকা লোকদের বিরক্তি সৃষ্টি করে না। বর্তমান অতিরিক্ত গরমের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা আবশ্যক হয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যে, অবিরত ঘামতে থাকা শরীরে ঘাম আর সুগন্ধি মিলে আরো বাজে গন্ধ ছড়াতে পারে।
পড়ুন: চাকরির সিভি ও পোর্টফোলিও তৈরির প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইট
পালিশ করা জুতা পড়া
কর্মক্ষেত্রে অবশ্যই স্পঞ্জ, স্যান্ডেল ও স্নিকার্স পড়া ঠিক নয়। সবচেয়ে ভালো শূ, তবে লোফারও পড়া যেতে পারে। কেড্স-এর ক্ষেত্রে খুব বেশি জাকজমক বা ভ্রমণের কেড্সগুলো এড়াতে হবে। শূ বা লোফার যাই পড়া হোক না কেন, তা অবশ্যই পরিষ্কার চকচকে হওয়া চাই। আর এর উপায় হলো পরিষ্কার করে তা নিয়মিত পালিশ করা।
পোশাকের সাথে মানানসই জুতা পড়াটা বেশ অর্থবহ। টেইলর করা শার্ট-প্যান্টের সাথে শূ সবচেয়ে মানানসই হয়। তাছাড়া এটি আপনার একটি নিদিষ্ট সম্মানজনক পদে কাজ করার কথা জানান দেয়।
নিঃশ্বাসের গন্ধের ব্যাপারে সতর্কতা
মানুষের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা চালিয়ে যাওয়ার জন্য নিঃশ্বাসের সাথে নিঃসৃত গন্ধের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এরজন্য নিয়মিত ভোরে ঘুম থেকে উঠে ও রাতে ঘুমাতে যাবার আগে দাঁত ব্রাশ করা বাঞ্ছনীয়। ধূমপান করা যাবে না এবং যে কোন খাবার গ্রহণের পর ভালভাবে মুখ ধুরে তারপর কথা বলা আরম্ভ করতে হবে। মুখে মিন্ট ক্যান্ডি রাখা যেতে পারে, তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে কথা বলতে সমস্যার সৃষ্টি না হয়।
পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
চোখে-মুখে প্রাণবন্ত এবং স্বাস্থ্যকর ভাব বজায়
যখন চোখ-মুখ উজ্জ্বল থাকে তখন আত্মবিশ্বাসটা স্বাভাবিকভাবে আরো বেড়ে যায়। ঘুমে ঢুলু ঢুল চোখ নিয়ে কর্মক্ষেত্রে যোগ দেয়া একেবারেই উচিত নয়। রাতে ভালো ঘুম হওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ দিতে পারে।
এছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং ভিটামিন যুক্ত ফল ও শাকসবজি খেতে হবে। মুখ ঘন ঘন পানি দিয়ে ধুয়ে নেয়া ভালো। অধিক রোদে বের হওয়ার আগে সর্বদা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ভালো।
মুখমন্ডলের সৌন্দর্য্য
প্রতিটি মানুষের দেহাবয়বের সৌন্দর্য্য সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় মুখের মাধ্যমে। দর্শনধারী শব্দটিকে যুক্তিযুক্ত করতে পোষাক-আষাকের সাথে মুখটাকে ভালোভাবে পরিবেশনযোগ্য করে তুলতে হবে। তবে তা অবশ্যই হতে হবে কর্মক্ষেত্রের সাথে মানানসই। পুরুষের ক্ষেত্রে ক্লিন শেভ্ড করাটা উত্তম তবে দাড়ি রাখতে হবে একটি নির্দিষ্ট স্টাইল বজায় রাখতে হবে। জবুথবু করে অথবা কয়েক দিন পর পর হাল ফ্যাশন অনুযায়ী দাড়ি রাখা যাবে না।
নারীর ক্ষেত্রে অত্যধিক মেকআপ ব্যবহার কর্মক্ষেত্রের পরিবেশটিকে উন্নত করার পরিবর্তে নষ্ট করে দেবে। ন্যাচারাল মেকআপে মুখের কালো দাগ ঢাকার সাথে চোখকে উজ্জ্বল করতে মাসকারা এবং ঠোটে আল্ট্রা-ফাইন লিপস্টিক বা লিপ গ্লস লাগানো যেতে পারে। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করা উচিত।
পড়ুন: চাকরি প্রার্থীদের সফল সিভি তৈরির কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
পরিপাটি চুলের সুনির্দিষ্ট স্টাইল বজায়
পুরো মুখমন্ডলের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করতে সবচেয়ে কার্যকরি ভূমিকা রাখে মাথার চুল। একটি চুলের স্টাইল একজন ব্যক্তির প্রকৃতি বিচার করতে পারে। তাই মুখের আকৃতির সাথে মানানসই করে চুলের স্টাইল নেয়া উচিত। হাল-ফ্যাশনের হৈচৈ-এর থেকে নিজেকে কোন ধরনের চুলে ভালো লাগছে সেদিকে দৃষ্টি দেয়া দরকার। যে স্টাইলটি বাছাই করা হলো সেটি বজায় রেখে যেতে হবে।
বৈচিত্র্য আনতে অতিরিক্ত বড় আবার একবারে ছোট কিংবা রঙ লাগানো একদমি অপেশাদারিত্বের লক্ষণ। নারীদের ক্ষেত্রে এমনভাবে চুলের যত্ন নিতে হবে যেন কাজের সময় তা ঝামেলার কারণ হয়ে না দাড়ায়। সপ্তাহে অন্তত তিনবার শ্যাম্পু করা যেতে পারে, তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে চুল ধোয়ার পর যেন পুরোপুরি তা শুকিয়ে নেয়া হয়।
অলঙ্কার ও ঘড়ি
ঘড়ি ও অলঙ্কার কোন প্রয়োজনীয় ব্যাপার নয়, তবে যদি ব্যাবহার করা হয় সেক্ষেত্রে সতর্ক হয়ে নির্বাচন করতে হবে। অফিস ড্রেসের সাথে হাত ঘড়ি আরো আভিজাত্য বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি কর্মক্ষেত্রে পেশাদারিত্বের অনুকূল। তবে তা যেন খুব বেশি জাকজমক, কব্জির তুলনায় অনেক বড় আকারের না হয়।
পড়ুন: কর্ম জীবনে উন্নতির জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন
নারীদের ক্ষেত্রে হাতের ব্রেসলেট, কানের দুলেও সিমপ্লিসিটি নিয়ে আসতে হবে। গলার চেইন বা লকেট, কানের দুল, হাতের ঘড়ি ও ব্রেসলেটের সাথে পুরো গেট-আপের সন্নিবেশটা এমন হতে হবে যেন মনে হয় অলঙ্কারগুলো পেশাদার পোষাকটিরই একটা বর্ধিত অংশ।
এখানেও রঙ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ঘন রঙ অপেক্ষা হাল্কা রঙকে প্রাধান্য দিতে হবে। পাশাপাশি তিনি সেগুলো সঙ্গে নিয়ে কত স্বত্বঃস্ফূর্তভাবে চলাফেরা করতে পারছেন সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
শেষাংশ
এই সেল্ফ-গ্রুমিং-এর পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে পেশাদাররা কর্মজীবনে নিজেদেরকে আরো গ্রহণযোগ্য করে পরিবেশন করতে পারেন। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়িক জগতে কর্মক্ষেত্রের জন্য পেশাদার চেহারা এবং সাজসজ্জা মেনে চলা অত্যন্ত অপরিহার্য। সামাজিক এবং পেশাগত ক্ষেত্রগুলোতে সর্বদা নিজেকে সেরা দেখতে চাইলে প্রত্যেককেই সময় ও পরিবেশের সাথে নিজের যা আছে তা যাচাই করতে হবে। এই তিনটি জিনিসকে একত্রিত করতে পারলে একজন ব্যক্তি উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রের জন্য নিজেকে গড়ে তুলতে পারবেন।
পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
২ বছর আগে
বাংলাদেশের সাফল্য এখন কারও কারও চক্ষুশূল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ যেহেতু পলিটিক্যালি-স্ট্রাটিজিক্যালি খুব ভালো অবস্থানে আছে, তাই কারও কারও কাছে ‘চক্ষুশূল’ হয়ে উঠেছে। মানবাধিকারের বিষয়টি আসল উদ্দেশ্য নয়, আসল উদ্দেশ্য এসব চাপ দিয়ে কিছু ফায়দা নেয়া যায় কি না।
দেশে একটা লোকও গুম কিংবা খুনের শিকার হোক সরকার তা চায় না উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আসল উদ্দেশ্য গুম বা খুনও নয়। আসল উদ্দেশ্য হল এই চাপগুলো থেকে তারা কিছু সুবিধা পেতে পারে কিনা তা চেষ্টা করা।’
শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে জোরপূর্বক গুম বলে কোনো শব্দই তো নেই। ‘আমরা চাই না, কাউকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যাক। আমরা চাই প্রত্যেকের আইনের মাধ্যমে বিচার হবে।’
মোমেন বলেন, আমাদের আশপাশের বড় বড় দেশ এবং আমাদের সমুদ্র অ্যাকসেস এখন তাদের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
‘কিছু কিছু দুর্ঘটনার’ খবর পাওয়া যায় না উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কখনও কখনও বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এটি করে। পৃথিবীর সব দেশেই কমবেশি হয়ে থাকে। তবে অন্যান্য দেশের তূলনায় আমাদের এখানে তার পরিমাণ অনেক কম।
আরও পড়ুন: চিঠি নয় তথ্য বিবেচনায় নেবে আন্তর্জাতিক সংস্থা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, বিদেশিরা বলছেন, বাংলাদেশ চীনের লেজে পরিণত হয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো চীনের ঋণের ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ঋণের ফাঁদে বলতে আপনাকে ৪০ শতাংশ ঋণ নিতে হবে। আমাদের দেশের মোট ঋণের পরিমাণ মাত্র ১৫ শতাংশ বা প্রায় ১৬ শতাংশ।
তিনি বলেন, দেশ ও প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকালে দেখা যায়, আমরা সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছি বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং আইএমএফ থেকে। এরপর সবচেয়ে বেশি ঋণ নেয়া হয়েছে জাপান থেকে। চীন থেকে আমাদের ঋণ নেয়ার পরিমাণ মাত্র ৫ শতাংশের কাছাকাছি।
তিনি বলেন, কিছু অজ্ঞ লোক বলছে বাংলাদেশের সামরিক সরঞ্জামের ৮০ ভাগই চীনের কাছ থেকে কেনার কারণেই বাংলাদেশ চীনের লেজে পরিণত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটা একটি নির্লজ্জ মিথ্যা। আমরা যা কিনি, সব দেশ থেকে কিনি। আমরা সব জায়গা থেকে কিনি। ভারতও আমাদের দিতে চায়। তবে আমাদের সামরিক বাহিনী জানে কোথা থেকে কী কিনতে হবে।
আরও পড়ুন: লবিস্ট নয় ভুল ধারণা পরিবর্তনে পিআর ফার্ম নিয়োগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতিসংঘে চিঠি শান্তিরক্ষা মিশনে কোন প্রভাব ফেলবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
বারোমাসি থাই আম চাষে সাফল্য
মাগুরা জেলায় বারোমাসি থাই আম চাষে সাফল্য পেয়েছেন সদর ও শালিখা উপজেলার কয়েকজন যুবক। মৌসুমের পরেও আম বাজারজাত করতে পারায় দামও অনেক বেশি পাওয়া যায়। জেলায় এই আম চাষের সাফল্যের ফলে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে থাই জাতের আমের চাষ।
এই বর্ষাকালে মাগুরার কয়েকটি আম বাগানে থোকায় থোকায় ঝুঁলছে আম। এ আম পাঁকতে পাঁকতেই গাছে দেখা যাবে আমের নতুন গুটি। সদর উপজেলার কয়েকটি স্থানে থাই বারোমাসি জাতের আম বাগানে দেখা যাচ্ছে এ দৃশ্য।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ‘হাড়িভাঙ্গা’ আম উপহার শেখ হাসিনার
আম চাষি কাশেম হোসেন বলেন, ২০১৮ সালের দিকে তিনি পরীক্ষামূলকভাবে নিজের জমিতে থাই বারোমাসি আম গাছ রোপণ করেন। একসময় গাছগুলোতে আম আসতে শুরু করে। আম সুস্বাদু হওয়ায় ভোক্তাদের আগ্রহ ও চাহিদা বাড়ায় দামও বাড়তে থাকে।
মৌসুম ছাড়া সময়ে এসব আম ২০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতিকে শেখ হাসিনার আম উপহার
শালিখার কয়েকজন আম চাষি জানান, বর্তমানে এক বিঘা জমিতে আমের চাষ করতে প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। যা থেকে বছরে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব বলে জানান চাষিরা।
মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদ রোকনুজ্জামান জানান, মাগুরা জেলায় প্রায় ৯০ বিঘা জমিতে বারোমাসি থাই আমের চাষ হচ্ছে। একটি গাছ থেকে বছরে তিনবার আম সংগ্রহ করা যায়। এ আম পাকলেও প্রাকৃতিক উপায়েই দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করা যায় বলেও জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার আম উপহার
৩ বছর আগে