ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বাসের ধাক্কায় প্রাইভেটকারের চালক নিহত
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সোমবার (৮ জানুয়ারি) যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন।
নিহত মিলন (৫০) গাড়ির চালক ও মালিক। এ ঘটনায় গাড়ির এক যাত্রী আহত হয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের পূর্ব নাখালপাড়া অংশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, তেজগাঁওগামী প্রাইভেটকারের একটি টায়ার পাংচার হয়ে গেলে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ‘প্রতিবন্ধকের’ সঙ্গে ধাক্কা খায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী নিহত
তখন গাড়িটি ধীরগতিতে চলতে থাকলে বিমানবন্দরের দিক থেকে আসা ভিআইপি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে ধাক্কা দেয়।
ওসি মহসীন জানান, গাড়ির চালক ও যাত্রীকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চালক মারা যান।
তিনি আরও বলেন, এদিকে গাড়ির যাত্রী মাহফুজকে (৩৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য আগারগাঁওয়ের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) স্থানান্তর করা হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে এক্সপ্রেসওয়েটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার পর প্রাণহানির এটিই প্রথম ঘটনা।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ট্রাকচাপায় নিহত ৩
কক্সবাজারে ভোট দিতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১
১০ মাস আগে
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: এক মাসে ১০ লাখ যান চলাচল, প্রত্যাশার চেয়ে ৫০% বেশি
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচলের সংখ্যা ও টোল আদায় সব প্রত্যাশা ও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। গত ২ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৩০ হাজারেরও বেশি যানবাহন এটি ব্যবহার করছে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আখতার জানান, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৬২৭টি যানবাহন এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেছে। এ সময়ে টোল আদায় করা হয়েছে ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারী গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রাইভেটকার, ট্যাক্সি, স্পোর্টস ইউটিলিটি যানবাহন, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের কম) এবং হালকা ট্রাক (৩ টনের কম) যা ক্যাটাগরি-১ এর অন্তর্ভুক্ত। এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে এসব যানবাহনকে ৮০ টাকা টোল দিতে হয়। প্রথম মাসে, এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করা যানবাহনগুলোর মধ্যে ৮ লাখ ৯২ হাজার ২৫০টি এই ক্যাটাগরির ছিল, যা মোট যানবাহনের ৯৯ শতাংশেরও বেশি।
ক্যাটাগরি-২ এর অন্তর্ভুক্ত মাঝারি ধরনের যানবাহনের (৬ চাকা পর্যন্ত) টোল ৩২০ টাকা। এই ক্যাটাগরির ১ হাজার ৪৬৮টি যানবাহন এক্সপ্রেসওয়েটি ব্যবহার করেছে।
ছয়টির বেশি চাকার ট্রাককে ক্যাটাগরি-৩ হিসেবে শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এগুলোর টোল ৪০০ টাকা। প্রথম মাসে এক্সপ্রেসওয়েতে এই ক্যাটাগরির গাড়ি চলেছে মাত্র ৪৯টি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে ৯টি মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন, প্রথমে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
এ ছাড়া ক্যাটাগরি-৪-এ সব ধরনের বাস (১৬ সিট বা তার বেশি) রয়েছে। এই ক্যাটাগরির মোট ৬ হাজার ৮৬০টি গাড়ি ১৬০ টাকা করে টোল দিয়েছে। উদ্বোধনের পর থেকে এই সময়ের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করা মোট যানবাহনের শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ ছিল এই ক্যাটাগরির যান।
আখতার বলেন, ‘আমরা খুশি কারণ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আমাদের প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বেশি যানবাহন ব্যবহার করছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ সেপ্টেম্বর তার বহরের ২৫টি গাড়ির জন্য ২ হাজার টাকা টোল পরিশোধ করে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। পরের দিন বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের জন্য রুট খুলে দেওয়া হয়। এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট যেতে ১০ থেকে ১২ মিনিট সময় লাগে।
আখতার আরও বলেন, ‘যদিও আমরা আশা করেছিলাম যে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০ হাজার যানবাহন এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করবে। এখন সেই সংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশি হয়েছে। এটি প্রত্যাশার চেয়ে ৫০ শতাংশেরও বেশি।’
এক প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক বলেন, বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত নগরীর বাসিন্দারা রাস্তায় যানবাহন চালিয়ে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। ‘এক্সপ্রেসওয়ে সম্পূর্ণরূপে চালু হলে এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হলে আমরা উল্লেখযোগ্য সুবিধা পাব।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ৬
প্রকল্প পরিচালক আরও জানান, পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি রাজধানীর কাওলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে চলবে।
তবে যাত্রী সংকটের ভয়ে সরকারি-বেসরকারি পরিবহনগুলো এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করছে না। এমনকি মহাখালীর আন্তঃজেলা বাসগুলোও এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে না। কারণ, বাস স্টেশনগুলোর কাছাকাছি র্যাম্পগুলো এখনও চালু হয়নি। ফলে নগরীর অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ কমছে না।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, মহাখালী র্যাম্পের পাশাপাশি এক্সপ্রেসওয়ের অন্যান্য র্যাম্পের নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ হবে।
তিনি আরও বলেন, একবার সেগুলো সম্পন্ন হলে, এক্সপ্রেসওয়েতে বর্তমানের চেয়ে যান চলাচল আরও বাড়বে, এক্সপ্রেসওয়ের নিচে রাস্তায় পরিবহনের চাপ কমবে।
বুয়েটের যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে আংশিকভাবে চালু হওয়ার পরও রাস্তায় যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের সমস্যা দৃশ্যমানভাবে কমেনি। তিনি বলেন, কমার কোনো সুযোগও নেই।
আরও পড়ুন: এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: প্রথম তিন সপ্তাহে ৫ কোটি টাকার বেশি টোল আদায়
এক্সপ্রেসওয়ের ল্যান্ডিং পয়েন্টগুলোর নিকটবর্তী রাস্তাগুলো ব্যস্ততম সময়ে তীব্র যানজটের কবলে পড়ে। তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের জন্য গণপরিবহনের বিকল্পগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি না করা পর্যন্ত সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পুরোপুরি চালু হলে প্রকল্পের প্রকৃত প্রভাব অর্থাৎ ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব নির্ধারণ করা যেতে পারে।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) আবু সালেহ মো. রায়হান ইউএনবিকে বলেন, বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত যানবাহন চলাচল কিছুটা হলেও সহজ হয়েছে কারণ বেশিরভাগ ব্যক্তিগত গাড়ি এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করছে।
যুগ্ম কমিশনার আরও বলেন, যদিও ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড এবং তেজগাঁও শিল্প এলাকার লাভ রোডের মতো র্যাম্পের কিছু এক্সিট পয়েন্টে প্রতিবন্ধকতা বিদ্যমান। তবে সংশ্লিষ্ট রাস্তায় কিছু প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার পরে সেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
আরও পড়ুন: জধানীতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গার্ডারের আঘাতে শ্রমিকের মৃত্যু
১ বছর আগে
যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেটের ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অংশ রবিবার সকাল ৬টায় খুলে দেওয়া হলে বেশ কয়েকটি যানবাহনকে দেখা গেছে।
ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে কাওলা থেকে ফার্মগেট পৌঁছাতে প্রায় ১০ মিনিট সময় লাগে।
২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার গাড়িবহরের ২৫টি গাড়ির জন্য ২ হাজার টাকা টোল পরিশোধ করে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করেন।
বিদেশি বিনিয়োগে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় পরিবহন খাতে এটিই প্রথম প্রকল্প।
প্রকল্প কর্মকর্তারা বলেছেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হলে প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলে রাজধানীর কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হলো: দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করার জন্য যানবাহনগুলোকে টোল দিতে হবে। চারটি ক্যাটাগরিতে টোল আদায় করা হবে।
প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের কম) এবং মিনি-ট্রাক (৩ টনের কম) ৮০ টাকা, মাঝারি আকারের ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত) এবং ৬ চাকার বেশি বড় ট্রাক যথাক্রমে ৩২০ টাকা এবং ৪০০ টাকা দিতে হবে।
এদিকে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা-ফার্মগেট অংশে ১৬বা তার বেশি আসন বিশিষ্ট সব বাস ও মিনিবাসকে দিতে হবে ১৬০ টাকা।
এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল, সাইকেল ও থ্রি-হুইলার চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ২০১১ সালে হাতে নেওয়া হয়েছিল।
২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের বিনিয়োগকারী কোম্পানি ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সাথে একটি সংশোধিত চুক্তি সই করে।
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কত টাকা টোল দিয়ে চলবে গাড়ি
এটি থাইল্যান্ড ভিত্তিক ইতালিয় থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড (৫১ শতাংশ), চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কোঅপারেশন গ্রুপ (৩৪ শতাংশ) এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড (১৫ শতাংশ) এর অংশীদারিত্বে নির্মিত হচ্ছে।
প্রকল্পটি তিন ধাপে শেষ হচ্ছে। বনানী পর্যন্ত প্রথম অংশের ৯৮ শতাংশ এবং বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত ৫৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকার উত্তর থেকে দক্ষিণে বিকল্প সড়ক হিসেবে কাজ করবে। এটি হেমায়েতপুর-কদমতলী-নিমতলী-সিরাজদিখান-মদনগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক-মদনপুরকে সরাসরি সংযুক্ত করবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবে যে সকল যানবাহন
১ বছর আগে
শনিবার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বর্তমান সরকারের অধীনে একটি মেগা অবকাঠামো শনিবার আংশিকভাবে যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এটি উদ্বোধন হলে ৬০ কিলোমিটার গতির একটি গাড়ি মাত্র ১০ মিনিটে কাওলা থেকে ফার্মগেট পৌঁছাতে পারবে।
প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যেতে পারবে। এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকার যানজট এবং যাতায়াতের খরচ অনেকাংশে কমিয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক যোগাযোগে সূচনা করবে নতুন যুগের
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সম্পূর্ণভাবে নির্মাণ হলে রাজধানীর কাওলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে চলাচল করবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে যাত্রীরা কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের সাড়ে ১১ কিলোমিটার অংশ ব্যবহার করতে পারবেন।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলকারী যানবাহনকে টোল দিতে হবে। চারটি ক্যাটাগরিতে এই টোল আদায় করা হবে।
আরও পড়ুন: ঈদ যাত্রা: ভোগান্তি কমিয়েছে ফরিদপুরের এক্সপ্রেসওয়ে
১ বছর আগে
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন ২ সেপ্টেম্বর
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ পর্যন্ত উদ্বোধন করা হবে ২ সেপ্টেম্বর।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সেতু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করবেন।
কাদের বলেন, উদ্বোধনের একদিন পরই এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।
কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপটি চালু হলে যানজট অনেকাংশে লাঘব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
ইতোমধ্যে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সেকশনের ৯৮ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকৌশল কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে।
কর্তৃপক্ষ গতি সীমা ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরবাইক এবং সাইকেল চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে না।
প্রকল্পের বিবরণ অনুসারে, ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রথম চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল এবং ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যালোচনা করা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। প্রকল্প সমাপ্তির সময়কাল ছিল ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য হল ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার, যার মধ্যে প্রধান এলিভেটেড অংশের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত কভার করবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক যোগাযোগে সূচনা করবে নতুন যুগের
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: আধুনিক চট্টগ্রামের স্বপ্নযাত্রায় পথ চলা শুরু
১ বছর আগে
পদ্মা সেতুসহ চার মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন আগামী বছরের জুনের মধ্যে: মন্ত্রী
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রবিবার বলেছেন, পদ্মা সেতুসহ চার মেগা প্রকল্প আগামী বছরের জুনের মধ্যে উদ্বোধন করা হবে।
৩ বছর আগে