গ্রাহক
টেলিকম ও ইন্টারনেট সেবা সংস্কারের দাবি মোবাইল ফোন গ্রাহকদের
সেবার মান উন্নয়ন ও গ্রাহক উদ্বেগ নিরসনে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা খাতের সংস্কারে একটি রোডম্যাপ প্রকাশের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিসিএ)।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএমপিসিএ'র দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত গণপরামর্শ সভায় এ দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সাবেক সদস্য মুকুল-ই-ইলাহী চৌধুরী জরুরি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ভোক্তাদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা খাতের সংস্কারে বর্তমান সরকারের একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘোষণা ১৫ দিন থেকে দুই মাসের মধ্যে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: টেলিকম ও আইসিটি খাতে ১৮ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি: পলক
বিএমপিসিএর উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালিদ আবু নাসের টেলিযোগাযোগ ইকোসিস্টেমের অদক্ষতার কথা তুলে ধরে বলেন, প্রতিটি ধাপে বর্জ্য কমানো গেলে ১০ থেকে ১২ শতাংশ খরচ কমানো সম্ভব। তিনি এই খাতে প্রতিযোগিতার অভাবের সমালোচনা করে বলেন, ‘প্রতিযোগিতার কথা বলা হলেও বাস্তবে এর অস্তিত্ব নেই। নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।’
ইন্টারনেট ডাটা ও ভয়েস কলের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে জবাব চেয়েছেন বিএমপিসিএ সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। গত দেড় মাসে হঠাৎ করে ইন্টারনেট ডাটা ও ভয়েস কলের চার্জ কেন বেড়ে গেল কেন? আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মেসেজ চার্জ ৫ টাকা থেকে ১০ টাকায় লাফিয়ে উঠল কেন?
আহমেদ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার, বিটিআরসি ও মোবাইল অপারেটররা যদি সাশ্রয়ী ও আনলিমিটেড ইন্টারনেট ডাটার চাহিদা মেটাতে পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে বিএমপিসিএ ইন্টারনেট সেবা বয়কটসহ কঠোর পদক্ষেপ ঘোষণা করবে। তিনি মোবাইল কল ও ইন্টারনেট ডেটার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণের জন্য গণশুনানির আহ্বান জানান।
টেলিকম খাতের অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বিএমপিসিএ'র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘টেলিকম মন্ত্রণালয় আগের সরকারের আমলে যেভাবে কাজ করত, সেভাবেই কাজ করছে। আমরা পরিবর্তনের কোনো লক্ষণ দেখছি না।’
আরও পড়ুন: গ্রামীণ টেলিকমের টাকা আত্মসাৎ: অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসের আবেদন
জলাধার রক্ষা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ ইবনে রানা ইন্টারনেট ব্যবহারের অপরিহার্য প্রকৃতির উপর জোর দিয়ে এটিকে পানির সাথে তুলনা করেন। তিনি বলেন, পানি ছাড়া যেমন জীবন চলতে পারে না, তেমনি ইন্টারনেট ছাড়া চলতে পারে না। ইন্টারনেট ও মোবাইল কল সেবার মান নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে হবে।
সভায় কলড্রপ, নিঃশব্দ কল, ইন্টারনেটের ধীরগতি, অর্থ আটকে যাওয়া, হঠাৎ ব্যালেন্স কেটে নেওয়া, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় নেটওয়ার্ক না থাকা এবং মোবাইল ব্যাংকিং সেবার উচ্চ চার্জসহ বিভিন্ন সেবার বিষয়ে অভিযোগ তুলে ধরেন বিভিন্ন পেশার প্রায় ১৫ জন গ্রাহক। মোবাইল কোম্পানি ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের বেতন-ভাতার বিষয়ে স্বচ্ছতা আনার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান শাশ্বত মনির ও বিএমপিসিএ'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা.আমিনুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপে টেলিকম শিল্পের ওপর চাপ বাড়ছে: অ্যামটব
১ মাস আগে
বন্যায় বিদ্যুৎহীন সিলেটের ১২ হাজার গ্রাহক
উজানের ঢল ও আর টানা বৃষ্টিতে সিলেট অঞ্চলে আগাম বন্যায় এখন পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি যেকোনো পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য এই অঞ্চলের সব বিদ্যুৎ কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
শুক্রবার (২১ জুন) বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেটে চলমান বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) ও বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) সিলেট জোনের বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, লাইন, ট্রান্সফরমার ও বৈদ্যুতিক পোলের ক্ষয়ক্ষতিতে গ্রাহকদের বিশেষ করে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ দুঃখ প্রকাশ করছে।
বিতরণ জোনের আওতাধীন সব এলাকাই কম-বেশি বন্যাকবলিত হওয়ায় বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা রোধে নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক জায়গায় ট্রান্সফরমারের ফিউজ কেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়াও, অনেক বসতবাড়ি নিমজ্জিত হয়ে পানি বেড়ে মিটার পর্যন্ত চলে আসায় বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা রোধে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। এসব কারণে বিতরণ জোনের প্রায় ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে।
আরও পড়ুন: সিলেটের বন্যায় সাড়ে ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি
সূত্র বলছে, পিডিবির সিলেটের অধীনে ৩৩/১১ কেভি মোট ২১টি উপকেন্দ্রের মধ্যে সব উপকেন্দ্রই বর্তমানে চালু রয়েছে, যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রয়েছে। সিলেটে বিভিন্ন শ্রেণির মোট গ্রাহক সংখ্যা ৫ লাখ ৬১ হাজার ৬৯ জন, সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা ২২৫ মেগাওয়াট। এই এলাকার ৯টি ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। সিলেট বিভাগে চলমান বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার প্রভাবে ৩৩/১১ কেভি ২১টি উপকেন্দ্রের মধ্যে ৭টি উপকেন্দ্রের প্রাঙ্গণে পানি প্রবেশ করলেও নিরাপদ দূরত্বে থাকায় উপকেন্দ্রগুলো চালু রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে পিডিবির আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৯৪ লাখ টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিআরইবির মোট আর্থিক ক্ষতি পরিমাণ ৭৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরইবির বিতরণ ব্যবস্থার সিলেট অঞ্চলে সমিতির সংখ্যা ছয়টি (সিলেট-১, সিলেট-২, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও কিশোরগঞ্জ)। সমিতির মোট ৫৫টি খুঁটি নষ্ট হয়েছে, এরমধ্যে ঠিক করা হয়েছে ৩৭টি। ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে ৬০টি; এরমধ্যে ঠিক করা হয়েছে ৪২টি। স্প্যান (তার ছেঁড়া) ৭৫টি, এরমধ্যে ঠিক হয়েছে ৬৬টি। ইন্সুলেটর নষ্ট হয়েছে ২০টি, ঠিক করা হয়েছে ২০টি; মিটার নষ্ট হয়েছে ২৫টি, ঠিক হয়েছে ২৫টি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
৪ মাস আগে
রমজানে প্রতি শুক্রবার গ্রাহকের দেওয়া টিপ দ্বিগুণ করে রাইডারকে দেবে ফুডপ্যান্ডা
রমজান মাসজুড়ে রাইডার পার্টনারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে এক বিশেষ ক্যাম্পেইনের ঘোষণা দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা।
ক্যাম্পেইনের আওতায় রমজানে প্রতি শুক্রবার গ্রাহকদের দেওয়া টিপের সঙ্গে সমপরিমাণ অর্থ যোগ করে রাইডারদের দেবে ফুডপ্যান্ডা।
যানজট, প্রতিকূল আবহাওয়া এবং বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে দ্রুততম সময়ে দক্ষতার সঙ্গে গ্রাহকের দোরগোড়ায় খাবার পৌঁছে দেন ফুডপ্যান্ডার ডেলিভারি পার্টনাররা। তাদের কঠোর শ্রম ও উদ্যমের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ এবং তাদের নিরলস প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দেওয়ার অংশ হিসেবে বিশেষ এ উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: করপোরেট সেবার জন্য ফুডপ্যান্ডা’র সঙ্গে ব্র্যাক আইটি’র চুক্তি
এ প্রসঙ্গে ফুডপ্যান্ডা’র অপারেশনস ডিরেক্টর আন্দালিব হাসান বলেন, ‘কেবল কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই নয়, বরং রাইডারদের প্রতিদিনের অক্লান্ত প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে ফুডপ্যান্ডা’র লক্ষ্যপূরণে নিরলস সহায়তা করায় রাইডার পার্টনারদের আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
সারা দেশের ফুডপ্যান্ডা রাইডাররা এ ক্যাম্পেইনের জন্য আওতাভুক্ত হবেন। গ্রাহকের দেওয়া টিপের অর্থ দ্বিগুণ করে সাপ্তাহিক বিল পরিশোধের সময় তা যুক্ত করবে প্রতিষ্ঠানটি। শুধুমাত্র মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) এবং ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডে পরিশোধ করা অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে টিপ দ্বিগুণ করার এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় পর্যায়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২২’ পেল ফুডপ্যান্ডা
৭ মাস আগে
গ্রাহকের টাকা আত্মসাত: ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড
গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা মো. ইফতেখারুল কবিরকে দুই বছর তিন মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশপাশি এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দুই বছর তিন মাস কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় শিশু হত্যা মামলায় দুই শিশুর ১০ বছরের কারাদণ্ড
এর আগে মামলাটি দায়ের করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চট্টগ্রাম অফিস।
দণ্ডিত মো. ইফতেখারুল কবির ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের চট্টগ্রাম ও আর নিজাম রোড শাখার সাবেক ব্যাংকিং প্রায়োরিটি ম্যানেজার ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
দুদকের আইনজীবী মুজিবুর রহমান চৌধুরী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। বাদী-বিবাদী পক্ষের দীর্ঘ শুনানি শেষে তার বিরুদ্ধে আদালত সাজার রায় ঘোষণা করেছে। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ও.আর. নিজাম রোড শাখার ফজিলাতুন্নেসার নামে এক গ্রাহকের ৯০ লাখ টাকার ভুয়া এফডিএ দেখিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ ছিল একই ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মো. ইফতেখারুল কবিরের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে দুদকের দায়ের করা এক বিশেষ মামলায় আদালত এ রায় ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান, ২ জনের কারাদণ্ড
৯ মাস আগে
গ্রাহক চাহিদা-সুবিধা বিবেচনায় গ্রামীণফোন নিয়ে এলো সহজ প্ল্যান
গ্রাহককেন্দ্রিক সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশের ডিজিটাল পার্টনার গ্রামীণফোন নিয়ে এসেছে সহজ ও সুবিধাজনক সব প্ল্যান।
গ্রাহকদের পরিবর্তনশীল চাহিদা মেটাতে ও ব্যবহারবান্ধব সেবা প্রদানের লক্ষ্যে গ্রামীণফোনের নতুন এ উদ্যোগ।
নানা ধরনের কানেক্টিভিটি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের এক নম্বর নেটওয়ার্কের সঙ্গে সমৃদ্ধ সেবার অভিজ্ঞতা দিতে নতুন প্ল্যানগুলো ডিজাইন করা হয়েছে।
অবিরাম ডাটা বান্ডেলের সঙ্গে চরকি, হৈচৈ, লায়ন্সগেট, টি-স্পোর্টসসহ অন্যান্য জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সাবস্ক্রিপশন সুবিধাসহ বেশ কয়েকটি নতুন সাপ্তাহিক ও মাসিক ডাটা প্ল্যান এনেছে গ্রামীণফোন, যা বিনোদনের দিগন্তকে প্রসারিত করেছে।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ লাখ সুবিধাবঞ্চিত তরুণকে ডিজিটাল প্রশিক্ষণ দিবে গ্রামীণফোন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল
সাপ্তাহিক ডাটা প্ল্যানে ৪০ জিবি পর্যন্ত এবং মাসিক ডাটা প্ল্যানে ২০০ জিবি পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা। সম্পূর্ণ ডাটা ভলিউম ব্যবহারের পর ক্রয় করা প্ল্যানের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ৭ দিনের প্ল্যান এবং ৩০ দিনের প্ল্যান, উভয় প্ল্যানের ক্ষেত্রে ফেয়ার ইউসেজ পলিসি (২৫৬ কেবিপিএস) প্রযোজ্য হবে।
ব্যবহারবান্ধব ও ভ্যালু ফর মানি– এই প্ল্যানগুলো সহজেই কেনা যাবে। মাইজিপি, ফ্লেক্সিলোড, আইভিআর ও ইউএসএসডি– যেকোনো মাধ্যমে প্ল্যানগুলো কিনতে পারবেন গ্রাহকরা।
ডিজিটাল দুনিয়ায় নিশ্চিন্তে যুক্ত থাকার সুবিধা নিয়ে সাজানো ফিচার-প্যাকড এই প্ল্যানগুলো ঝামেলামুক্ত একটি সাইন-অন প্রক্রিয়ায় গ্রহণ করে উপভোগ করা যাবে।
এ ছাড়াও গ্রাহকরা এখন গ্রামীণফোনের কম্বো ও ডাটা প্ল্যানে অতিরিক্ত সুবিধা পেতে পারেন, যেখানে প্ল্যানের মেয়াদের মধ্যে পুনরায় ক্রয় করলে বোনাস ডাটা পাবেন তারা। তাছাড়া ডাটা প্ল্যানে অগ্রিম ক্রয়ের সুবিধাও উপভোগ করতে পারবেন।
গ্রামীণফোন তার পোর্টফোলিওকে আরও সহজ করার পাশাপাশি প্রিমিয়াম অফারগুলো আরও বিস্তৃত করেছে। অত্যধিক সংখ্যক অপশনের মধ্য থেকে বিকল্প বেছে নেওয়ার ঝামেলা দূর করা হয়েছে।
এতে গ্রাহকের ইউসেজ জার্নির অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছে আরও সহজ, সুবিধাজনক ও ব্যবহারবান্ধব। একইসঙ্গে গ্রাহকদের নিজ নিজ প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন সেবা বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনে নতুন সিএফও ও সিআরও নিয়োগ
গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেন, গ্রামীণফোনের সব কার্যক্রমেরই কেন্দ্রে থাকেন গ্রাহকরা। আর এটি বিবেচনায় নিয়ে গ্রামীণফোন ধারাবাহিকভাবে গ্রাহকদের জন্য সহজ, উদ্ভাবনী, সুবিধাজনক ও ব্যবহারবান্ধব সেবা প্রদানের চেষ্টা করে, যা তাদের পরিবর্তনশীল ও বৈচিত্র্যময় কানেক্টিভিটি চাহিদা পূরণ করছে। অবিরাম ডাটা প্ল্যানসহ সহজ নতুন প্ল্যানগুলো গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।
তিনি আরও বলেন, আজকের গতিময় বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার পাশাপাশি নতুন প্ল্যানগুলো গ্রামীণফোন গ্রাহকদের যেমন সবসময় রাখবে কানেক্টেড, তেমনি বিনোদনেরও সুযোগ করে দেবে। গ্রাহকরা মাসিক ডাটা ও কম্বো প্ল্যানগুলোর সঙ্গে ওটিটি সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে বিনোদনের জগৎ উপভোগ করতে পারবেন। গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে নতুন এসব প্ল্যান নিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন। এর লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে মানুষের ক্ষমতায়ন, যেখানে যোগাযোগ সক্ষমতা একটি বড় ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ২৬ কোটি টাকা দিলো গ্রামীণফোন
৯ মাস আগে
অল্প সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেবে ইভ্যালি: সিইও রাসেল
ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল বলেছেন, বর্তমানে ই-কমার্স প্লাটফর্মটি যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে তাতে গ্রাহকদের হারানো অর্থ ফেরত দিতে তার প্রতিষ্ঠান খুব বেশি সময় নেবে না।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ই-কমার্স ও ই-সেবা খাতে ভোক্তা অধিকার শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ মোবাইল কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএমসিএ) এ সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
তিনি বলেন, ইভ্যালি বর্তমানে যেভাবে কাজ করছে এবং মুনাফা করছে, তাতে সবাই সহযোগিতা করলে গ্রাহকদের দায় নিষ্পত্তিতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
ক্যাশ অ্যান্ড ডেলিভারি সিস্টেমের মাধ্যমে ইভ্যালির ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে জানিয়ে রাসেল বলেন, যেখানে পণ্য পাওয়ার পর গ্রাহক অর্থ পরিশোধ করবেন। এই অর্থ সরাসরি পণ্য সরবরাহকারী কোম্পানির কাছে যাবে। সেখান থেকে সরকারকে ভ্যাট ও ট্যাক্স পরিশোধ করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেলেও কারামুক্তি পাচ্ছেন না ইভ্যালির রাসেল
বিএমসিএ'র মতে, বর্তমানে দেশে ই-কমার্সের বাজার প্রায় তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের পরিচালক গাজী গোলাম তৌসিফ, ই-ক্যাবের সচিব আবদুল ওয়াহেদ তমাল, মহিউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
৯ মাস আগে
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ, সহকারী পোস্টমাস্টারসহ ৬ জনের কারাদণ্ড
পোস্ট অফিসের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় কুড়িগ্রামের সহকারী পোস্ট মাস্টারসহ ছয়জনের ৯ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে ১২ লাখ ২০ হাজার ৪৯২ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় চারজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুইজন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর-১: ভোটারদের বাধা দেওয়ায় ৪ জনের কারাদণ্ড
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর অঞ্চলের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এ মামলার রায় দেন বিশেষ আদালতের বিচারক হায়দার আলী।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আবুল কালাম আজাদ, হাবিবর রহমান, আব্দুল মালেক, মতিউল ইসলাম, মওদুদ হাসান ও শ্রী অশোক কুমার নাথ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিসের সহকারী পোস্ট মাস্টার আবুল কালাম আজাদ, লেজার অপারেটর হাবিবুর রহমান, অশোক কুমার নাথ, আব্দুল মালেক, কাউন্টার অপারেটর মতিউল ইসলাম ও মওদুদ হাসান একে অপরের যোগসাজশে গ্রাহকের জমানো সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় একজনের ১০ বছর কারাদণ্ড
এ ঘটনায় ২০০৫ সালের ৯ মে কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিস পরিদর্শক এসএম শাহাদাত সুলতান বাদী হয়ে ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১২ লাখ ২০ হাজার ৪৯২ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত।
সেই সঙ্গে জরিমানার পুরো অর্থ আগামী ৬০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেন তিনি।
পলাতক দুই আসামি মওদুদ হাসান ও অশোক কুমার নাথের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা, ২ জনের কারাদণ্ড
সরকারের কৌঁসুলি (পিপি) হারুনর রশীদ বলেন, দীর্ঘদিন হলেও সাক্ষ্য দিয়ে মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান বলেন, মক্কেলরা ন্যায়বিচার পায়নি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম-৩ আসন: জালভোট দেওয়ায় যুবকের ৫ বছর কারাদণ্ড, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অব্যাহতি
৯ মাস আগে
গ্রাহকরাই বাংলালিংকের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু
দেশের অন্যতম ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক তার গ্রাহকদের উন্নত ডিজিটাল সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) 'এন্টারপ্রাইজ কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স উইক ২০২৩'- শুরু করেছে।
সপ্তাহব্যাপী এই কর্মসূচির থিম হলো 'উইথ ইউ অলওয়েজ'।
এর মূল লক্ষ্য বাংলালিংকের সঙ্গে এর কর্পোরেট বিজনেস পার্টনারদের চলমান সম্পর্ক আরও মজবুত করা।
দেশব্যাপী উন্নতমানের সেবাদান করে বাংলালিংক চার কোটিরও বেশি গ্রাহক অর্জন করেছে। এই অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে বিভিন্ন উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবা যেমন: মাইবিএল সুপার অ্যাপ ও টফি।
বাংলালিংক গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণে প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
'এন্টারপ্রাইজ কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স উইক ২০২৩'- কর্মসূচি এই প্রচেষ্টারই একটি প্রতিফলন।
এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশব্যাপী বাংলালিংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীরা সক্রিয়ভাবে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি ডিজিটাল অভিজ্ঞতার মান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তাদের মতামত জানতে চাইবেন।
আরও পড়ুন: ন্যাশনাল রোমিং ফিল্ড ট্রায়াল শুরু করেছে বাংলালিংক ও টেলিটক
গ্রাহকের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলালিংক সব সময় অঙ্গীকারবদ্ধ।
সপ্তাহব্যাপী এই কর্মসূচিতে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ ও তাদের মতামত গ্রহণের মাধ্যমে বাংলালিংকের অগ্রযাত্রায় তাদের অংশগ্রহণকে আরও উৎসাহিত করা হবে।
এর ফলে ডিজিটাল সেবাদানের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের পছন্দ হিসেবে বাংলালিংকের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে।
বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী এরিক অস বলেন, ‘গ্রাহকবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিজনেস পার্টনারদের বিভিন্ন নতুন চাহিদা পূরণ ও আরও উন্নত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলালিংক এই উদ্যোগটি চালু করছে। প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশে এখন এগিয়ে যাচ্ছে। দেশব্যাপী বিস্তৃত ও গ্রাহকদের পছন্দের নেটওয়ার্ক হিসেবে বাংলালিংক বিশ্বাস করে যে, বিশেষ এই সময়ে গ্রাহকদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের সেবায় আরও নতুনত্ব নিয়ে আসবে।’
বাংলালিংকের কর্পোরেট অফিস টাইগার্স ডেনে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড সার্ভিস ডিরেক্টর ইফতেখার ইবনে জামান, এন্টারপ্রাইজ বিজনেস ডিরেক্টর রুবাইয়াত এ তানজিন, ট্রান্সফরমেশন ডিরেক্টর হাসনাইন তৌফিক আহমেদ, নেটওয়ার্ক সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর হাসনাত রেজা মাহবুব আলম, ইনফ্রাসট্রাকচার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর এমদাদুল হক ও বাংলালিংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি নিয়ে শক্তিশালী অবস্থানে বাংলালিংক
প্রথম অপারেটর হিসেবে ফোরজি স্পেকট্রাম চালু করল বাংলালিংক
১১ মাস আগে
এলপিজির দাম আবারও বাড়ল, চাপে গ্রাহকরা
জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের সঙ্গে লড়াই করা গ্রাহকদের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) কিনতে প্রতি কেজিতে অতিরিক্ত ১ টাকা ৪৮ পয়সা গুনতে হবে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নতুন দাম ঘোষণা করে জানিয়েছে, খুচরা ভোক্তারা এখন থেকে ভ্যাটসহ ১ হাজার ৩৮১ টাকায় ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার পাবেন। এর আগে এটির দাম ছিল ১ হাজার ৩৬৩ টাকা।
বিইআরসি আরও জানায়, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম অক্টোবরে প্রতি কেজি ১১৩ টাকা ৬১ পয়সা থেকে বেড়ে নভেম্বর মাসে হয়েছে ১১৫ টাকা ০৯ পয়সা।
আরও পড়ুন: আগস্টে ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৪১ টাকা
অর্থাৎ ১২ কেজি এলপিজির গ্রাহকদের রান্নার কাজে অতিরিক্ত ১৮ টাকা খরচ করতে হবে।
সোমবার বিইআরসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, অন্যান্য সাইজের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম সাড়ে ৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত একই হারে দাম বাড়ানো হবে।
বিইআরসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, 'অটো গ্যাস' (মোটরযানের জন্য ব্যবহৃত এলপিজি) এর দামও লিটার প্রতি ৬২ দশমিক ৫৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৩ দশমিক ৩৬ টাকা (ভ্যাট সহ) করা হয়েছে। লিটার প্রতি দাম বেড়েছে দশমিক ৮২ টাকা।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত করা এলপিজির দাম একই থাকবে কারণ এটি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। এটি ৫ শতাংশেরও কম বাজার শেয়ার নিয়ে উৎপাদন করা হয়।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৪৪ টাকা
বিইআরসির কর্মকর্তারা বলছেন, সৌদি সিপির (চুক্তিমূল্য) দাম বাড়ার কারণে স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম বাড়বে।
বাংলাদেশি এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে তাদের পণ্য আমদানি করে থাকে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারে এলপিজির সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ হাজার ৪৯৮ টাকা (প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার)।
আরও পড়ুন: ফের বাড়ল এলপিজির দাম
১১ মাস আগে
গ্রাহকদের কেনাকাটার সাশ্রয়ে শুরু হলো নতুন ক্যাম্পেইন ‘দারাজ এর চেরাগ’
প্রতি মাসের ৪ তারিখ থেকে ‘জাদুকরী সেভিংসে, সবই কিনুন দারাজে’ ট্যাগলাইন নিয়ে শুরু হলো ব্র্যান্ড নিউ ক্যাম্পেইন 'দারাজ-এর চেরাগ'।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস, দারাজ বাংলাদেশের এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গ্রাহকরা নিজের ও প্রিয়জনদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে কেনাকাটার সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
সঙ্গে থাকবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এক্সক্লুসিভ ডিসকাউন্ট এবং বিভিন্ন ডিল অফার।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন দারাজ বাংলাদেশের
৪ থেকে ৮ মে ২০২৩ পর্যন্ত, 'দারাজ এর চেরাগ'-এ গ্রাহকরা বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফার উপভোগ করতে পারবেন।
যার মধ্যে থাকছে নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য ৮০ টাকা পর্যন্ত ফ্রি শিপিং, ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত হট ডিল, প্রথম বারের অনলাইন পেমেন্টে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভাউচার এবং দারাজ ক্লাবের সদস্যদের জন্য ১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাউচার।
এছাড়াও দারাজ ক্লাবের সদস্য নয় এমন গ্রাহকদের জন্য থাকছে এক দশমিক দুই গুণ এবং সদস্যদের জন্য এক দশমিক পাঁচ গুণ কয়েন বৃদ্ধির মতো সুবিধা।
এই ক্যাম্পেইন চলাকালীন গ্রাহকরা ফায়ারওয়ার্ক ভাউচার এবং মিস্ট্রি বক্সও জিততে পারবেন।
দারাজ বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার তালাত রহিম বলেন, 'গ্রাহকদের মাসিক বাজেট বরাদ্দ করার গুরুত্ব আমরা বুঝি। সেজন্যই আমরা তাদের মাসিক কেনাকাটার খরচ কমানোর জন্য 'দারাজ-এর চেরাগ' ক্যাম্পেইনটি ডিজাইন করেছি। আশা করছি এই উদ্যোগে আমাদের গ্রাহকরা আর্থিক সীমাবদ্ধতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে তাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা বাজেটের মধ্যেই করতে পারবেন।'
এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গ্রাহকরা বিভিন্ন ক্যাটাগরির পণ্যে ছাড় উপভোগ করবেন, যেমন গ্রোসারি, পুরুষ এবং নারীদের ট্রেন্ডি ফ্যাশন আইটেম, ঘর সাজানোর জন্য হোম অ্যান্ড লিভিং আইটেম, হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস এবং বিউটি এসেনশিয়ালস আইটেম, পছন্দের মেকআপ আইটেম এবং আরও অনেক কিছু।
দারাজ-এর চেরাগ ক্যাম্পেইনটির লক্ষ্য শুধু গ্রাহকদের মাসিক সঞ্চয়েই সাহায্য করা নয়, এর পাশাপাশি তাদের একটি আনন্দময় কেনাকাটার অভিজ্ঞতা প্রদান করা।
আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে মেগা ডিল এবং অফার নিয়ে এলো দারাজ
‘রমজান বাজার’ ক্যাম্পেইন নিয়ে এলো দারাজ বাংলাদেশ
১ বছর আগে