উপহার
যশোরেশ্বরী মন্দিরে নরেন্দ্র মোদির উপহারের স্বর্ণের মুকুটের সন্ধান মেলেনি এখনও
চুরি হওয়া যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপহারের স্বর্ণের মুকুটটির সন্ধান শুক্রবার (১২ অক্টোবর) পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এছাড়াও চুরির ঘটনায় জড়িত যুবককেও শনাক্ত করা যায়নি।
পুলিশ মুকুট চুরির ঘটনায় মন্দিরের প্রধান পুরোহিত দিলীপ ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী রেখাসহ ৭ জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার অজ্ঞাত এক যুবক মন্দিরে গিয়ে দেবীর কালীর মাথা থেকে স্বর্ণের মুকুট খুলে নিয়ে যায়।
ঐ যুবক স্থানীয় নয়। শ্যামনগরের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সীমান্ত এলাকায় তার ছবি ছড়িয়ে দিলেও কোনোভাবে তাকে কেউ শনাক্ত করা যায়নি।
আরও পড়ুন: ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময়
স্থানীয়দের মতে, সিসি ক্যামেরায় প্যান্ট ও সাদা টিশার্ট পরা এক যুবকের ছবি ধরা পড়লেও চুরির ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। এছাড়া পরিচ্ছন্নতাকর্মী রেখা মন্দিরের মূল ফটক খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে।
সাধারণত শনিবার ও মঙ্গলবার পূজার জন্য মুকুটটি মন্দিরে আনা হয়। মুকুটটি বৃহস্পতিবার চুরি হয়। মঙ্গলবার পূজার পর কেন মুকুট বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
মহারাজা প্রতাপাদিত্য স্মৃতিরক্ষা পরিষদের সভাপতি জয়দেব বিশ্বাস বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান সম্পদ হওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে পারেনি। সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য যাচাইয়ের পর মনে হয়েছে, চুরির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের আহ্বায়ক বিষ্ণুপদ মণ্ডল বলেন, ‘আমার কাছে স্বর্ণের মুকুট চুরিটাকে সম্পূর্ণ স্যাবোটাজ মনে হয়েছে। পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চুরিটি হতে পারে।’
মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বরতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, পুলিশ কাউকে আটক করেনি। তবে যুবকের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, মন্দিরের পুরোহিত ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মন্দিরের পুরোহিত একেক সময় একেক কথা বলছেন।
মন্দির কমিটির নেতারা ঢাকায় রয়েছেন জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা থেকে শ্যামনগর ফিরে তারা চুরির ঘটনায় মামলা করবেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের মার্চে শ্রীশ্রী যশোরেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওই মুকুট দেবী কালির মাথায় পরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: এক উঠানে মসজিদ-মন্দির, ধর্মীয় সম্প্রীতির উজ্জ্বল নিদর্শন
১ মাস আগে
স্বল্প বাজেটে ভ্যালেন্টাইন’স ডে উপহার: অনুপম নিবেদনে প্রিয়জনের মুগ্ধতা
ভালো লাগার বিমূর্ত অভিজ্ঞতাগুলোর আকর্ষণ গুরুতর আর্থিক সংকটেও যেন উপেক্ষিত হওয়ার নয়। বিশেষ করে প্রিয়জনের হাসিমুখের কাছে আর সবকিছু যেন গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে!
নিয়ত জীবিকার পেছনে ছুটতে গিয়ে হতাশাগ্রস্ত মনে প্রায় ভর করে বিতৃষ্ণা। সেখানে একটু ভিন্নভাবে কাটানো দিনগুলো শুধু প্রিয় কতক স্মৃতির জন্ম দেয় না। বরং বারবার মনে করিয়ে দেয় জীবনের প্রতিটি দিন কতটা মূল্যবান। এর মধ্যে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে কাটানো আগামী দিনগুলো কতটা ভালবাসাপূর্ণ হতে পারে তার একটা ছোট্ট মহড়ার নাম ভ্যালেন্টাইন’স ডে।
বস্তুগত দিক থেকে উপহারটি ছোট-বড় যেমনি হোক না কেন, তার পেছনে সময় ও শ্রম দেওয়ার স্বতঃস্ফূর্ততা গড়ে দেয় সম্পর্কের মাপকাঠি। সেই সূত্রে চলুন, সাধ্যের মধ্যেই কিছু ভ্যালেন্টাইন’স ডে উপহার দেখে নেওয়া যাক।
প্রিয়জনের জন্য কম খরচে ১০টি ভ্যালেন্টাইন’স ডে উপহার
ঘর সাজানোর গাছ
শুধু শোভা বাড়াতেই নয়, একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্যও অনেকে ঘর সবুজায়নের ব্যবস্থা করেন। অনেকেই তাদের কাজের টেবিল ও তার আশেপাশে জানালাকে সাজিয়ে তুলতে পছন্দ করেন ছোট ছোট গাছের টব দিয়ে। বিশেষ করে ঘৃতকুমারি বা অ্যালোভেরা, স্নেক পাম, মাদার্স-ইন-লস টাঙ, রাবার গাছের মতো ইন্ডোর প্ল্যান্টগুলো মানসিক স্বাস্থ্যকেও উন্নত করে। শুধু চারার দিক থেকে এগুলোর দাম খুব বেশি নয়। মূল্যের তারতাম্যটা মূলত বিভিন্ন ধরনের টবের ভিত্তিতে হয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে বেশ সাশ্রয়ী হয় প্লাস্টিকের টবগুলো। গাছপ্রেমীদের জন্য অনায়াসেই এটি একটি সেরা উপহার।
আরও পড়ুন: বিয়ের শাড়ি, লেহেঙ্গা ঢাকার যেখানে পাবেন: বধূ সাজের সেরা গন্তব্য
চকলেট বা ক্যান্ডি
বিশেষ দিনগুলো উদযাপনের ক্ষেত্রে অনেক আগে থেকেই প্রিয় খাবারের প্রতিনিধিত্ব করে আসছে চকলেট। বিধায় বাজারগুলোতেও নানা উৎসবে বিভিন্ন রঙের আকর্ষণীয় মোড়কে পরিবেশন করা হয় চকলেট ও ক্যান্ডিকে। মোড়ক বা চকলেট বক্স নির্বাচন করা যায় প্রিয়জনের প্রিয় রঙের ভিত্তিতে।
৯ মাস আগে
বিশ্বের কাছে যোগ হলো ভারতের উপহার: প্রণয় ভার্মা
ভারতীয় হাইকমিশন বুধবার (২১ জুন) ঢাকার মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের যোগব্যায়ামপ্রেমীদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপন করেছে।
উক্ত আয়োজনে বিশাল জনসমাগম ঘটে, যেখানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের অংশগ্রহণকারীগণ ভারতে উদ্ভূত যোগের প্রাচীন এই বিজ্ঞান উদযাপন করতে একত্রিত হয়েছিলেন।
হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা তার বক্তব্যে বিশ্বের কাছে ভারতের উপহার হিসেবে যোগের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: করোনা: উদ্বেগ দূর আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে পারে যোগব্যায়াম
১ বছর আগে
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টকে পদ্মা সেতুর চিত্রকর্ম উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাসকে পদ্মা বহুমুখী সেতুর একটি চিত্রকর্ম উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার বিশ্বব্যাংক সদর দপ্তরের শিহাতা সম্মেলন কক্ষে ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় শেষে তিনি চিত্রকর্মটি হস্তান্তর করেন।
বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এ উপলক্ষে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীরও উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের কাছে বাংলাদেশ একটি মডেল দেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২০১২ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বাংলাদেশি কর্মকর্তা, কানাডার একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ও কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ১২০ কোটি ডলারের ঋণ বাতিল করে বিশ্বব্যাংক।
কিন্তু বিশ্বব্যাংক তাদের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি এবং কানাডার আদালত ২০১৭ সালে পদ্মা সেতুতে ঘুষের ষড়যন্ত্রের কোনো প্রমাণ পায়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার এই অভিযোগ মিথ্যা বলে এসেছেন এবং স্ব-অর্থায়নে গত বছরের ২৫ জুন সেতুটি উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক ৫ প্রকল্পে সমন্বিত ২.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই
১ বছর আগে
খাগড়াছড়ির ভূমিহীনরা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে খুশি
আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় নতুন করে খাগড়াছড়িতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছেন এক হাজার ৪৬৬ পরিবার। এরমধ্যে জেলার সবচেয়ে বেশি ঘর দেয়া হচ্ছে দীঘিনালা উপজেলায়। সেখানে ৩৫০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ির সদর উপজেলায় ১৩৬টি, দীঘিনালায় ৩৫০টি, মহালছড়িতে ৮০টি, রামগড়ে ১৩৩টি, পানছড়িতে ১২৭টি, গুইমারায় ৭৫টি, মাটিরাঙ্গায় ১৫০টি, মানিকছড়িতে ২২৫টি ও লক্ষীছড়িতে ১৯০টি হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
সারাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়ালী উদ্বোধনের পর বুধবার সকালে দীঘিনালা উপজেলা অডিটরিয়ামে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘরের চাবি ও জমির কাগজ হস্তান্তর করেন প্রধান অতিথি হিসেবে শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
এসময় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. নাইমূল হক, দীঘিনালা উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী মো. কাশেম, জেলা পরিষদ সদস্য শতরূপা চাকমা, দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা ও সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া জেলার ৯টি উপজেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রীর উপহার আধা পাকা ঘর পেয়ে খুশি সুবিধাভোগীরা।
আরও পড়ুন: দেশের ৯ জেলার ২১১টি উপজেলা সম্পূর্ণরূপে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
এদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
মাইক্রোবাস উপহার নিতে হিরো আলম যাচ্ছেন হবিগঞ্জ
সামাজিক যোগযোগের মাধ্যমে বহুল আলোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম মাইক্রোবাস উপহার নিতে মঙ্গলবার হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামে যাচ্ছেন।
বগুড়ার দু’টি উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় হার-জিত যাই হোক হিরো আলমকে ওই গ্রামের এম মুখলিছুর রহমান তার ‘নোহা’ মাইক্রোবাসটি উপহার দেয়ার ঘোষণা দেন ফেসবুক লাইভে। তার এ ঘোষণা শুনে অনেককেই খারাপ মন্তব্য করতে দেখা যায়।
মুখলিছুর রহমান স্থানীয় আব্দুল জব্বার গাউছিয়া একাডেমির অধ্যক্ষ। গত ৩০ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভে এসে তাকে বিভিন্ন পেশার লোকজনের নিকট থেকে চাঁদা তুলতে দেখা যায়। সিলেট বিভাগের পক্ষ থেকে পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তার জন্য তিনি মাঠে নামেন।
আরও পড়ুন: হিরো আলমকে তাচ্ছিল্য করে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের বক্তব্য শিষ্ঠাচার বহির্ভূত ও বৈষম্যমূলক: টিআইবি
সোমবার তিনি লাইভে জানান, মঙ্গলবার হিরো আলম তার বাড়িতে আসছেন। ওই দিন হিরো আলমকে গাড়ির চাবি ও কাগজপত্র তুলে দেবেন বলে তিনি জানান। তিনি গণমাধ্যমের কোনো কর্মী সেখানে উপস্থিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।
তিনি বলেন, হিরো আলমকে আমার বাড়িতে দাওয়াত করেছি তিনি আসবেন। এখানে আমার পরিবারের লোকজন ও একাডেমির শিক্ষার্থীরা থাকবেন। হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দেয়ার সময় নিজেই লাইভ করে বিশ্বকে জানিয়ে দেব।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মুখলিছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, হিরো আলম মঙ্গলবার তার বাড়িতে আসবেন বলে নিশ্চিত করছেন। তিনি জানান ৪/৫ বছর আগে তিনি নোহা মাইক্রেবাসটি কিনেছিলেন।
এদিকে হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী লিমনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে চুনারুঘাটে মুখলিছুর রহমানের বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হবেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বগুড়া দু’টি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান আলেচিত হিরো আলম।
আরও পড়ুন: যারা হিরোকে জিরো বানাতে চায় তারাই জিরো হয়ে গেছে: হিরো আলম
ফলাফল পাল্টে দেয়া হয়েছে: হিরো আলম
১ বছর আগে
হেলমেট পড়া মোটরসাইকেল চালকদের পুলিশের ফুল-চকোলেট উপহার
সড়কে চলাচলকারী মাথায় হেলমেট পড়া মোটরসাইকেল চালকদের রজনীগন্ধা ফুল ও চকোলেট উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে পুলিশ। ট্রাফিক আইন যথাযথ মানা এবং মাথায় হেলমেট পড়ে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য মোটরসাইকেল চালকদের আরও সচেতন করতে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে শেরপুর জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের খোয়াড়পাড় মোড়ে ট্রাফিক বক্সের সামনের সড়কে পাঁচ উপজেলায় এই সচেতনতামূলক কার্যক্রমের সূচনা করেন পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ঢাকার ফুটপাত বিক্রি ও ভাড়া উত্তোলনে জড়িতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
‘পুলিশের হাত থেকে রেহাই পেতে নয়, বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য হেলমেট পড়ুন’-এমন শ্লোগানে হেলমেট পরিহিত মোটরবাইক চালকদের রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং চকোলেট দেয়া হয়। এ সময় শহরের ব্যস্ততম চার রাস্তার মোড় খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর এলাকায় মোটরবাইক চালকদের থামিয়ে সড়কে চলাচল বিষয়ে সচেতন করাসহ বাইক ব্যবহারকারীদের হেলমেট পরার অভ্যাস গড়ে তোলার আহবান জানানো হয়। এছাড়াও যেসব চালকদের হেলমেট ছিল না, তাদেরকে চকোলেট উপহার দিয়ে সতর্ক করা হয়।
পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বিপিএম উপস্থিত মোটরসাইকেল চালকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে এবং ট্রাফিক আইন অমান্য করে যানবাহন চালানো রাষ্ট্রীয় অপরাধ। এসব দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকরা সবচেয়ে বেশি মারা যায়। এক্ষেত্রে মোটরসাইকেল চালকদের অবশ্যই হেলমেট মাথায় দিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। এতে দুর্ঘটনার কবল থেকে মোটরসাইকেল চালকরা সুরক্ষায় থাকবেন এবং তিনি বেঁচে থাকলে তার পরিবারটি নিরাপদ থাকবে।
তিনি জানান, হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো ট্রাফিক আইনে বড় অপরাধ। তাই এসব চালকদের সচেতন করতেই পুলিশ মাঠে নেমেছে। এসময় কতিপয় মোটরসাইকেল চালকের মাথায় হেলমেট না থাকায় তাদেরকে জরিমানা না করে সর্তক করা হয়েছে। এছাড়া চালক ও আরোহীদের হেলমেট পড়া এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পুলিশের ফুল ও চকোলেট উপহার পেয়ে খুশী মোটর সাইকেল চালক রুবেল মিয়া। তিনি বলেন, যখন পুলিশ থামতে বলে ভেবেছিলাম না জানি কোন বিষয়ে ধরা খাইছি। প্রথমে ভয়ে ভয়ে ছিলাম। পরে পুলিশ সুপার নিজ হাতে ফুল ও চকোলেট দিলে আমি অনেক অবাক হয়েছি। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ।
আরেক মোটরবাইক চালক রবিউল ইসলাম বলেন, যখন আমারে থামাইলো পুলিশ, বললো হেলমেট নেই কেনো। খুব ভয়ে ছিলাম, না জানি কত জরিমানা হয়, কী শাস্তি হয়। কিন্তু এসপি সাহেব মোটরবাইকের চাবি প্রথমে নিলেও ভালোভাবে আমাকে হেলমেট পড়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলেছেন, আইন মানতে বলেছেন। একপর্যায়ে চকোলেট দিয়ে হাতে বাইকের চাবিটাও ফিরিয়ে দিয়েছেন। এসময় পুলিশ আমাকে সতর্ক করে বলেছে, আজ ছাড়লাম, পরে যেন আর ভুল না হয়। হেলমেট পড়ে মোটরসাইকেল চালানো আমাদের জন্যই তো ভালো। পুলিশের এমন ব্যবহারে আমি বিস্মিত হয়েছি। এটা আমার সারাজীবন মনে থাকবে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. সোহেল মাহমুদ পিপিএম, জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুশফিকুর রহমান, ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) হিরণ মিয়া, টিআই মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে জেএমবির ৩ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পেপার স্প্রে করে জঙ্গি ছিনতাই: আদালতের ৫ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
২ বছর আগে
ব্রুনাইয়ের সুলতানের উপহার পেল কুড়িগ্রামের সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা
কুড়িগ্রামের ধরলা নদী অববাহিকার চরের হত দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য ব্রুনাই সুলতানের দেয়া উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। উপহার সামাগ্রীর মধ্যে ছিল জুতা ও তৈরি পোষাক।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের চড় হাওড়-বাওড় শহীদ ক্যাপ্টেন বাশার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকীয়ার বরাদ্দ দেয়া জুতা ও পোশাক সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে বিতরণ করে আন্তর্জাতিক বেসরকারীদাতা ও উন্নয়নসংস্থা মুসলম এইড ও ইএসডিও।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মুসলিম এইড-ইউকে বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসের কোঅর্ডিনেটর-এডুকেশন মো. শাহওয়ালিউল্লাহ, ইএসডিও সিবিএম প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সুভাষ সরকার, ইঞ্জিনিয়ার মঈদুল ইসলাম এবং ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আশরাফুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত ১৫-১৭ অক্টোবর ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকীয়া তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য ১৬০জোড়া জুতা ও পোশাক বরাদ্দ করেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গলায় সুজি আটকে শিশুর মৃত্যু!
২ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বান্দরবানের ২৩০ টি পাহাড়ি ভূমিহীন পরিবার পাচ্ছেন মাচাংঘর
বান্দরবানের ২৩০টি পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর ভূমিহীন পরিবার পাচ্ছেন স্বপ্নের মাচাংঘর। এলাকার ঐতিহ্য ও কৃষ্টির সাথে সঙ্গতি রেখে এসব মাচাংঘর নির্মিত হচ্ছে। প্রতিটি মাচাংঘর নির্মাণের প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৫ হাজার ৬৭০ টাকা।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো.আশরাফ উদ্দিন গত ৩১ অক্টোবর বান্দরবান সদর উপজেলার জামছড়ি ইউনিয়নে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য মাচাংঘর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শনকালে বিভাগীয় কমিশনার মাচাংঘরের কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জনগণের চাহিদার ভিত্তিতে সেমি পাঁকা ঘরের পরিবর্তে পার্বত্য এলাকার ঐতিহ্য ও কৃষ্টির সাথে সঙ্গতি রেখে তৈরি হচ্ছে মাচাংঘর।
আরও পড়ুন: বাঘিনী রূপনাকে বাড়ি উপহার দেয়ার ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, জনগণের চাহিদার ভিত্তিতে এবং এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে এসব মাচাংঘর নির্মাণের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়। এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি প্রতিনিধিদল বান্দরবান পরিদর্শন শেষে মাচাংঘর নির্মাণের যৌক্তিকতা বিবেচনায় এনে বিষয়টি অনুমোদন করে। ভূমিহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ের আওতায় বর্তমানে বান্দরবান সদর উপজেলায় ৯টি, আলীকদম উপজেলায় ১টি, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ১৫ টি রোয়াংছড়ি উপজেলার ৪৫টি, লামা উপজেলায় ১৫টি, রুমা উপজেলায় ১০০টি এবং থানছি উপজেলায় ৪৫টি মাচাংঘর নির্মিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বান্দরবানে ৪১৩৩টি ভূমিহীন পরিবারের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় গৃহ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫৬০টি গৃহনির্মাণের জন্য ৭০ কোটি ৩৩ লাখ ৭ হাজার ১০০ শত টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
ইতোমধ্যে ২৯৬৮টি সেমিপাকা ঘর ভূমিহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে ২৩০টি মাচাংঘরসহ সর্বমোট ৫৯২টি গৃহ নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে।
এদিকে পাহাড়িদের জন্য সেমিপাকা গৃহের পরিবর্তে মাচাংঘর নির্মাণের উদ্যোগটি সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে।
বান্দরবান সদর উপজেলার ৬ নম্বর জামছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যসিংশৈ জানান, প্রত্যন্ত এলাকার পাহাড়ি জনগণ সেমিপাকা ঘরের চেয়ে মাচাংঘরকে বেশি পছন্দ করছেন। এতে মাচাং এর নীচে গৃহ পালিত পশু পালনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী সারা বছর সংরক্ষণ করা যায়। পরিবেশবান্ধব এ মাচাংঘরে আলো বাতাস চলাচলের অবারিত সুযোগ থাকে।
তিনি বলেন, তার ইউনিয়ন পরিষদে সর্বপ্রথম মডেল হিসেবে নির্মিত হচ্ছে মাচাংঘর।
তবে এখাতে সরকারি বরাদ্দ যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, একটি টেকসই মাচাংঘর নির্মাণের জন্য কমপক্ষে চার লাখ টাকা বরাদ্দ করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল আজহার উপহার
মালয়েশিয়ার রাজা-প্রধানমন্ত্রীকে আম উপহার শেখ হাসিনার
২ বছর আগে
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল আজহার উপহার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার ত্যাগের উৎসব ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শুভেচ্ছা উপহার পাঠিয়েছেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠান প্রধানমন্ত্রী।
রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু ও সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার তাদের হাতে উপহার তুলে দেন।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা প্রতিটি জাতীয় দিবস এবং স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদ ও পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবে তাদের স্মরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তারা জাতীয় উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র কাটিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান তারা।
এছাড়াও তারা প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
মালয়েশিয়ার রাজা-প্রধানমন্ত্রীকে আম উপহার শেখ হাসিনার
২ বছর আগে