আফগানিস্তান
নভেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে খেলবে টাইগাররা
আগামী ৬ থেকে ১১ নভেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।
রবিবার আফগান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই সিরিজ আয়োজন করবে তারা।
যদিও এই সিরিজের ভেন্যু চূড়ান্ত হওয়া এখনও বাকি তবে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়াবে ৬ নভেম্বর এবং বাকি দুটি ম্যাচ ৯ ও ১১ নভেম্বর।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে মধ্যাহ্নভোজের পরপরই থামল প্রথম দিনের খেলা
আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরের অংশ এই সিরিজটি চলতি বছরের জুলাই থেকে আগস্টের মধ্যে হওয়ার কথা ছিল। তবে আবহাওয়া ও ভেন্যু সমস্যার কারণে বাংলাদেশকে সিরিজ খেলার নিমন্ত্রণ জানাতে পারেনি আফগানিস্তান।
আগামী বছর পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি হিসেবে এই সিরিজ দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ বলা যায়।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। আসন্ন ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব ফরম্যাটের সিরিজ খেলতে দেশটিতে পা রাখবে আফগানরা।
আরও পড়ুন: শেষ টেস্ট খেলে দেশ ছাড়ার ইঙ্গিত সাকিবের
১ মাস আগে
আফগানিস্তানে বন্দুকধারীদের গুলিতে ১৪ জন নিহত
আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলীয় দাইকুন্দি প্রদেশে বন্দুকধারীদের গুলিতে ১৪ জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
হতাহতরা দাইকুন্দি প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। তারা হজযাত্রীদের স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন।
রাতে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুফতি আবদুল মতিন কানি। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এদিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী দায়েশ বা ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
২ মাস আগে
আফগানিস্তানে বন্যায় ৩৫ জনের মৃত্যু, আহত ২৫০
আফগানিস্তানে বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছে ২৫০ জন।
সোমবার বিকালে পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
নানগারহারের তথ্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক প্রাদেশিক পরিচালক কুরিশি বাদলন জানান, প্রাদেশিক রাজধানী জালালাবাদ, সুখ রদ জেলা এবং পাকিস্তান সীমান্তবর্তী প্রদেশের আশপাশের এলাকাগুলোতে এই দুর্যোগ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে সোমবার সকালে নানগারহারের পার্শ্ববর্তী কুনার প্রদেশেও একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে গত মে মাস থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় চার শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
আরও পড়ুন: বন্যায় কুড়িগ্রামে কৃষিতে শত কোটি টাকার ক্ষতি
৪ মাস আগে
আফগানিস্তানে বন্যায় নিহত ৭, নিখোঁজ ১০
আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলীয় বামিয়ান প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় সাতজন নিহত হয়েছেন। এতে আরও ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
বুধবার (২৬ জুন) দেশটির প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র আবদুল সাবুর সিঘানি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় শত শত মানুষের মৃত্যু, নিখোঁজ অনেক
মঙ্গলবার রাতে ইয়াকাওলাং জেলার কিছু অংশে প্রাকৃতিক দুর্যোগটি আঘাত হেনেছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, নিহতদের লাশ ও জীবিতদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
বন্যায় বেশকিছু ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
এছাড়া মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চলীয় বাদাখশান প্রদেশের ইয়ামগান জেলায় আকস্মিক বন্যায় ৪০টি বাড়িঘর ও ৩০০ একরেরও বেশি কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে নৌকাডুবিতে ২০ জন নিহত
৪ মাস আগে
রেকর্ড বইয়ে ১৩ পরিবর্তন আনল প্রোটিয়া-আফগান ম্যাচটি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় চরম বিপর্যস্ত হয়েছে আফগানিস্তান। প্রোটিয়া বোলিংয়ের সামনে মাত্র ৫৬ রানেই আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে আফগান ব্যাটারদের।
এমন এক ইনিংসে বেশকিছু রেকর্ড হয়েছে, আবার কিছু রেকর্ড ভেঙে গড়া হয়েছে, যার বেশিরভাগ দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য গৌরবের হলেও আফগানিস্তানের জন্য লজ্জার।
দ্বিতীয় সর্বনিম্ন
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৮ রান সংগ্রহ করেছে আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ উইকেটে কোনো দলের এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম রেকর্ডটিও তাদের। ২০১০ বিশ্বকাপে মাত্র ১৪ রান সংগ্রহ করতে গিয়ে ছয় উইকেট হারায় তারা।
পাওয়ার প্লেতে পাঁচ
বৃহস্পতিবারের প্রথম সেমিফাইনালে পাওয়ার প্লেতে পাঁচ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এটি চলতি বিশ্বকাপে পঞ্চমবার ৫ উইকেট হারানোর ঘটনা।
মজার বিষয় হচ্ছে, এর আগের চারটি ইনিংসের দুটি ছিল এই আফগানদের বিপক্ষে অন্য দলের। তবে এবার আফগানিস্তানই এই লজ্জার রেকর্ডে নাম ওঠাল।
গ্রুপপর্বে উগান্ডা ও পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে প্রথম ৬ ওভারে ৫টি করে উইকেট নেন রশিদ-নবীরা।
এছাড়া গ্রুপপর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজও উগান্ডার পাঁচ উইকেট নেয়। আরেকটি ইনিংস আয়ারল্যান্ডের, পাকিস্তানের বিপক্ষে নাকানি-চুবানি খেয়েছিলেন পল স্টার্লিংরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বনিম্ন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়েছে আফগানিস্তান। এর মাধ্যমে চলতি বিশ্বকাপের শুরুতে গড়া রেকর্ডটি (৭৭) পেছনে ফেলে লঙ্কানদের স্বস্তি দিয়েছে তারা।
এর আগের রেকর্ডটিও ছিল আফগানদের (৮০)। ২০১০ সালে ব্রিজটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ৮০ রানে গুটিয়ে যায় তারা। সেবারও ২০০৯ সালে স্কটল্যান্ডের গড়া রেকর্ড (৮১) ভেঙে দেয় তারা।
নিজেদের সর্বনিম্ন
এদিন টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান সংগ্রহ করেছে রশিদ খানের দল। এর আগে ২০১৪ সালে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭২ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস।
এছাড়া এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই ২০১০ সালে এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১২ সালে ৮০ রানে ইনিংস শেষ করার রেকর্ড আছে আফগানদের।
বিশ্বকাপে দ্বিতীয়
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে পূর্ণ একাদশ নিয়ে খেলে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান সংগ্রহ করেছে আফগানিস্তান। তবে ৫৫ রান নিয়ে তালিকার তলানিতে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। দুবাইয়ে ২০২১ আসরে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এই লজ্জার রেকর্ড গড়ে ইংলিশরা।
এছাড়া ২০১৪ আসরে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড (৬০) এবং ২০১৬ আসরে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের (৭০) নামও রয়েছে এই তালিকায়।
সেমিতে সর্বনিম্ন আফগানিস্তান
৫৬ রানে অলআউট হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের ইতিহাসে প্রথম এত কম রানে গুটিয়ে গেল কোনো দল।
এর আগে প্রোটিয়াদের বিপক্ষেই ১০১ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এছাড়া ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ১৩১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ড আছে অস্ট্রেলিয়ার।
ফারুকির অর্জন
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের মতো টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠা আফগানিস্তানের সাফল্যের নেপথ্যে ছিল ফজলহক ফারুকির অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্য।
৮ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত চলতি আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী তিনিই। শুধু তাই নয়, এটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক আসরে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহের রেকর্ড।
এ তালিকার পরের তিনটি রেকর্ডই শ্রীলঙ্কার, একটি ভারতের। ২০২১ বিশ্বকাপে ১৬ উইকেট নেওয়ার পরের আসরে (২০২২) ১৫ উইকেট নিয়ে পরপর দুই আসরে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা।
এছাড়া ১৫টি উইকেট আছে ২০১৫ বিশ্বকাপে ত্রাস ছড়ানো অজন্তা মেন্ডিসের নামের পাশেও।
তবে চলতি আসরে ভারতের আর্শদীপ সিংয়ের ঝুলিতেও ১৫টি উইকেট রয়েছে। আজ রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে ভারত। এই ম্যাচেও তাকে দেখা যেতে পারে। আবার ম্যাচটি জিতলে ফাইনালেও খেলার সুযোগ থাকবে এই তরুণ পেসারের। ফলে ফারুকির রেকর্ডটি নিজের করে নেওয়ার সুযোগ থাকছে তার সামনে।
৪ মাস আগে
আফগানদের বিধ্বস্ত করে ‘চোকার’ তকমা ঘোচাল দক্ষিণ আফ্রিকা
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হারতে হারতে ‘চোকার’ তকমা পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সব মিলিয়ে সাতবার বিশ্বকাপের সেরা চারে উঠেও ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতা হয়নি দলটির। সবশেষ গত নভেম্বরে ভারত বিশ্বকাপেও সেমিফাইনালে তাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়। অবশেষে তাদের সেই দুর্দশা ঘুচল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে আফগানদের ৯ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোনো সংস্করণে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে আইডেন মার্করামের দল।
টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং করে মাত্র ৫৬ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানদের ইনিংস। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৮.৫ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ইনিংস শুরু করতে নেমে দলীয় পাঁচ রানের মাথায় কুইন্টন ডি ককের (৫) উইকেটটি হারালেও রিজা হেন্ড্রিকস (২৯) ও মার্করামের (২৩) ব্যাটিং দৃঢ়তায় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্রোটিয়ারা।
অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্সের কারণে ম্যাচসেরা হয়েছেন মার্কো ইয়ানসেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ৫৬/১০ (১১.৫)- (আজমতউল্লাহ ১০, গুলবাদিন ৯; শামসি ৩/৬, ইয়ানসেন ৩/১৬, নর্টিকিয়া ২/৭, রাবাদা ২/১৪)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৬০/১ (৮.৫)- (হেন্ড্রিকস ২৯, মার্করাম ২৩; ফারুকি ১/১১)
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মার্কো ইয়ানসেন।
আরও পড়ুন: প্রোটিয়া বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারল না আফগানিস্তান
৪ মাস আগে
প্রোটিয়া বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারল না আফগানিস্তান
বাংলাদেশকে হারিয়ে স্বপ্নের সেমিফাইনালে ওঠা আফগানিস্তানের সেমির যাত্রা শুরু হয়েছে দুঃস্বপ্নের মতো। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে আফগান ব্যাটিং লাইন-আপ।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। তবে প্রোটিয়া বোলিং তোপে মাত্র ৫৬ রানেই গুটিয়ে গেছে তাদের ইনিংস।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০ রান করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ব্যটারদের আর কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি।
দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের ঝুলিতেই গেছে আফগানদের ৭টি উইকেট। এর মধ্যে ৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে মার্কো ইয়ানসেন নিয়েছেন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট। এছাড়া কাগিসো রাবাদা ও আনরিখ নর্টকিয়ার ঝুলিতে গেছে দুটি করে উইকেট। স্পিনার তাবরাইজ শামসি নিয়েছে বাকি তিনটি উইকেট।
ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবার ফাইনালে উঠতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ৫৭ রান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিপক্ষে নাটকীয় জয়ে সেমিফাইনালে আফগানিস্তান
ম্যাচ শুরুর আগে এই মাঠের রেকর্ড বলছিল, টস জিতলে ব্যাটিং নেওয়ার মতো উইকেট এটি। ১৪০-১৫০ রান করতে পারলেই তা এই পিচের ভালো স্কোর হবে। বিশ্বকাপে এখানে ৫১ উইকেটের মধ্যে ৩৮টিই গেছে পেসারদের ঝুলিতে।
উইকেটের কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেলেও সম্ভব্য রানের বিষয়টি নতুন করে লিখল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ইনিংস শুরু করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পান মার্কো ইয়ানসেন। ওভারের শেষ বলে চলতি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করা (৭৬, ৮০, ৬০ ও ৪৩) রহমানউল্লাহ গুরবাজ ফিরে যান রানের খাতা না খুলেই। আর চার রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
পরের ওভারে কেশব মহারাজ কায়দা করতে না পারলেও তৃতীয় ওভারে ফের উইকেটের দেখা পান ইয়ানসেন। এবার তার শিকার হন তৃতীয় ব্যটার গুলবাদিন নাইব।
চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসেই মেইডেন ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নেন কাগিসো রাবাদা। প্রথম বলেই আফগানদের অপর ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান তিনি। চতুর্থ বলে নতুন নামা মোহাম্মদ নবীকেও বোল্ড করেন রাবাদা। বেচারা নবী তার তিন বল মোকাবিলা করে রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
এর ফলে চার ওভার শেষে ২০ রানে ৪ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। তবে তাদের এই ধারা বহাল থাকে পরের ওভারেও। ইয়ানসেন নিজের তৃতীয় ওভার বোলিং করতে এসে ফের উইকেটের দেখা পান। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে উইকেটের পেছনে নানগেলিয়া খারোতের ক্যাচ নেন ডি কক।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টিতে কামিন্সের বিরল কীর্তি
মাঝে ষষ্ঠ ওভারটি বিরাম দিয়ে পরের ওভারে ফের উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এবার নর্টকিয়ার প্রথম ওভারেই ক্যাচ হয়ে ফেরেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। দুটি চারের সাহায্যে ১২ বলে ১০ রান করেন তিনি। এর ফলে ৭ ওভার শেষে ২৯ রানে ৬ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
এরপর উইকেটে রক্তক্ষরণ বন্ধের চেষ্টা করেন করিম জানাত ও রশিদ খান। দুটি ওভার ধরে খেলে সে ইঙ্গিতও দেন তারা।
তবে দশম ওভারে শামসির হাতে বল তুলে দেন আইডেন মার্করাম, আর অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানও দেন তিনি। ওভারের তৃতীয় বলে জানাতকে এবং পঞ্চম বলে নতুন নামা নুর আহমাদকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে জোড়া উইকেট নেন তিনি।
পরের ওভারে নর্টকিয়া রশিদ খানকে বোল্ড করেন। আর দ্বাদশ ওভারে শামসি ফেরান নাভিন-উল-হককে। ফলে ১১.৫ ওভারে মাত্র ৫৬ রানে গুটিয়ে যায় প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলা আফগানিস্তান।
৪ মাস আগে
প্রোটিয়া বোলিং তোপে কাঁপছে আফগানিস্তান
বাংলাদেশকে হারিয়ে স্বপ্নের সেমিফাইনালে ওঠা আফগানিস্তানের সেমির যাত্রা শুরু হয়েছে দুঃস্বপ্নের মতো। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের বোলিং আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে আফগান ব্যাটারদের টপ অর্ডার।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। তবে ইনিংসের শুরুতেই প্রোটিয়া বোলিং তোপের মুখে পড়ে আফগান ব্যাটাররা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৯.৩তম ওভারে ৫০ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান।
অধিনায়ক রশিদ খান ৬ বলে ৮ এবং নুর আহমাদ শূন্য রানে অপরাজিত রয়েছেন।
৪ মাস আগে
বাংলাদেশের বিপক্ষে নাটকীয় জয়ে সেমিফাইনালে আফগানিস্তান
বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ রানের নাটকীয় জয়ে (ডিএল পদ্ধতিতে) চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে আফগানিস্তান। এতে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া দুই দলই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ল।
নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথম বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠল আফগানিস্তান।
বাংলাদেশি বোলারদের দক্ষতায় আফগানিস্তান প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১১৫ রান সংগ্রহ করে। বাংলাদেশের পক্ষে ৩ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল বোলার রিশাদ হোসেন।
জবাবে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ১২.১ ওভারে জয় তুলে নিয়ে আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ভালো রান রেট বজায় রেখে সেমিফাইনালে ওঠা। কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। বৃষ্টিও দু'বারের বেশি তাদের চেষ্টায় বাধা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সেমির দৌড়ে ১১৬ রানের লক্ষ্যে সমীকরণ মেলাতে হচ্ছে টাইগারদের
নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান ও তৌহিদ হৃদয় সবাই প্রভাব ফেলতে পারেননি। সাকিব ও তানজিদ হাসান তামিম শূন্য রানে আউট হয়েছেন। মাত্র ৫ রান করে ফেরেন শান্ত।
এবারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো একাদশে যুক্ত হওয়া সৌম্য সরকারও প্রভাব রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। এবারের বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শূন্য রান করেন তিনি।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৯ বল খেলে মাত্র ৬ রান দেন। সেমিফাইনালে ওঠার দারুণ সুযোগ যখন বাংলাদেশের সামনে ছিল, এরকম গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সব ব্যাটসম্যান তাদের যোগ্যতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন।
নাভিন-উল-হক ও রশিদ খান ৪টি করে উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের জয়ের মূল কারিগর ছিলেন। আফগান বোলাররা এতটাই সুশৃঙ্খল ছিলেন যে এই ম্যাচে তিনবার হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেন তারা।
২৭ জুন সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান। অপর সেমিফাইনালে ভারত খেলবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: অজিদের অনিশ্চয়তায় ফেলে সেমিতে ভারত
৪ মাস আগে
সেমির দৌড়ে ১১৬ রানের লক্ষ্যে সমীকরণ মেলাতে হচ্ছে টাইগারদের
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্বে মঙ্গলবার নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ১১৫ রানে রুখে দিয়েছে বাংলাদেশি বোলাররা।
সেমিফাইনালে যেতে বাংলাদেশকে এখন ১২ দশমিক ১ ওভারে ১১৬ রান করতে হবে।
তাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে তারা কেবল তখনই যোগ্যতা অর্জন করতে পারে যদি তারা ১২ দশমিক ১ ওভারে লক্ষ্য তাড়া করে বা ১২ দশমিক ৫ ওভারে এই রান টপকালেও চলবে বাংলাদেশকে। সে ক্ষেত্রে স্কোর সমান হওয়ার পর একটি ৬ মারতে হবে। অর্থাৎ ১২ দশমিক ৫ ওভারে বাংলাদেশকে করতে হবে ১২১ রান।
১২ দশমিক ৩ ওভারে আফগানিস্তানকে টপকাতে পারলেও সেমিফাইনালে যাবে বাংলাদেশ। করতে হবে ১২ দশমিক ৩ ওভারে ১১৯ রান।
আরও পড়ুন: অজিদের অনিশ্চয়তায় ফেলে সেমিতে ভারত
তবে এতদিন বোলারদের পক্ষে থাকা পিচে শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ।
এই শর্তগুলোর কোনো একটি পূরণ করতে পারলেই বাংলাদেশ সেমিফাইনালের জন্য যোগ্য হবে। আর তারা যদি তা না করতে পারে এবং আফগানিস্তান জিতে যায়, তাহলে প্রথমবারের মতো আফগানরা সেমিফাইনাল খেলবে।
বাংলাদেশ যদি শর্ত পূরণ না করে জয়লাভ করে, তাহলে অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালে উঠবে।
টাইগারদের জন্য আরেকটি চিন্তার কারণ বৃষ্টি। আফগানিস্তানদের ইনিংসের পর ভেন্যু এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অবিরাম বৃষ্টি হয়েছে। ওভার কমে গেলে কম ওভারেই নতুন টার্গেটের মুখে পড়বে বাংলাদেশ।
কিংসটাউনের আর্নোস ভেল গ্রাউন্ডের উইকেটে রান তোলা কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে মাত্র ২৭ রান তোলে আফগানিস্তান।
আরও পড়ুন: রোহিতের তাণ্ডবে দুর্জয় লক্ষ্যের সামনে অস্ট্রেলিয়া
বাংলাদেশের বোলাররা ম্যাচের শুরুটা দুর্দান্ত করেছে। সেখান থেকে দ্রুত রান তুলতে হিমশিম খেতে হয় আফগানিস্তানকে।
ম্যাচে রিশাদ হোসেন বাংলাদেশের সফলতম বোলার, ৪ ওভারে ৩ উইকেট নেন তিনি। তিনি তৃতীয় ওভার পর্যন্ত কোনো বাউন্ডারি দেননি। তবে এরপর রহমানউল্লাহ গুরবাজ বল বাউন্ডারিতে দিয়ে ৪ রান সংগ্রহ করেন।
তার সবচেয়ে সফল ওভারটি ছিল চতুর্থ ওভার, তিনি মাত্র ৮ রান খরচ করে ২ উইকেট নিয়েছেন।
একটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে তাসকিন দিয়েছেন মাত্র ১২ রান, আর মুস্তাফিজ দিয়েছেন ১৭ রান।
শেষ ওভারে তানজিম হাসান সাকিবের বলে রশিদ খানের দুটি ছক্কা আফগানিস্তানকে ১১০ রানের গণ্ডি পার করতে সাহায্য করে।
এই ভেন্যুতে যে ৪টি ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে আফগানিস্তানের জয় তাদেরকে আজকের ম্যাচের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী করতে পারে।
অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টি বা ৫০ ওভারের ফরম্যাটে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারেনি। এই উৎসাহ কাজে লাগিয়ে তারা সামনে এগিয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার ‘মহা গুরুত্বপূর্ণ’ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভারত
৪ মাস আগে