নির্মূল
দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে শিশুশ্রম নির্মূল করতে হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
শিশুশ্রম বন্ধে সরকার আরও কার্যকরী উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে দেশে শিশুশ্রম হ্রাস পেয়েছে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে শিশুশ্রম নির্মূল করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রাতিষ্ঠানিক কলকারখানায় কোনো শিশুশ্রম নেই: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
রবিবার সিলেটে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে শিশুশ্রম নিরসনবিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালের ২২ জুন শিশু আইন জারি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আইনটি এখন শিশু অধিকারের রক্ষাকবচ হয়ে কাজ করছে। শিশুশ্রম বন্ধের বিষয়ে আইএলও কনভেনশন দেশে শতভাগ বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া শিশুশ্রম বন্ধে সরকার আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করবে।
প্রাতিষ্ঠানিক কলকারখানায় কোনো শিশু শ্রমিক নেই উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিশুশ্রমকে অনুৎসাহিত করে তার পরিবারের কর্মক্ষম ব্যক্তির শ্রমের শর্তে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে কাজ করব: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দিতে হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
৬ মাস আগে
কারেন্ট জালের উৎস নির্মূল করতে হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
কারেন্ট জাল উৎপাদনের কারখানাগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর শহরে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৪’ উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য ঠিক রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি বলেন, কারেন্ট জালের বিষয়টি প্রশাসনকেই দেখতে হবে। এটি বন্ধ করতে পারলে কোনো জেলের এই জাল নিয়ে নদীতে নামার সুযোগ থাকবে না। সুতরাং এই বিষয়টি আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকষর্ণ করছি।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, আজকে আমদের ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম, ইলিশকে নিরাপদ রাখার জন্য, বিশেষ করে মা ইলিশকে বাঁচাবার জন্য এবং জাটকা নিধন বন্ধের জন্যই চাঁদপুরে আসা। আমরা যদি মা ইলিশ রক্ষা না করি, তাহলে আমরাই (জেলেরা) বিপদে পড়ব।
মন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র নৌপুলিশ, ডিসি ও এসপিকে দিয়ে জাটকা রক্ষা হবে না। আমাদের নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকেও এগিয়ে আসতে হবে। এই জাটকা মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী মূল্যে রাজধানীর ৩০ পয়েন্টে বিক্রি হবে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
রমজান মাসে আমরা কঠোরভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করব: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৯ মাস আগে
ধ্বংসাত্মক রাজনীতি নির্মূল করে মানবিক রাষ্ট্র গঠনই বিজয় দিবসের প্রত্যয়: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশকে একটি মানবিক ও সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা এবং দেশ থেকে নেতিবাচক, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি চিরতরে নির্মূল করাই বিজয় দিবসের প্রত্যয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) আয়োজিত ‘বিজয়ের ৫২ বছর’শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
জাতিগত উন্নয়নের জন্য শুধু বস্তুগত নয় মানুষের আত্মিক উন্নয়নও অত্যন্ত প্রয়োজন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা অর্থনৈতিকভাবে এখন আর দরিদ্র নই তবু অনেকের চেয়ে পিছিয়ে। কিন্তু সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন, মূল্যবোধে আমরা অনেকের চেয়ে এগিয়ে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের বিবৃতি বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা একটি সামাজিক রাষ্ট্র গঠন করার লক্ষ্যেই বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, তালাকপ্রাপ্তা ভাতা, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ নানা ধরনের ভাতা চালু করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, এভাবে দেশকে আমরা একটি মানবিক, সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চাই, যেখানে সমস্ত আর্ত-পীড়িত, দরিদ্রদের দায়িত্ব রাষ্ট্র গ্রহণ করবে।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ সমস্ত প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে। এখন জিডিপিতে আমরা বিশ্বের ৩৫তম আর পিপিপিতে ৩১তম অর্থনীতির দেশ। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ ২৫ কিংবা ২৭তম অর্থনীতির দেশে রূপান্তরিত হবে।
তিনি বলেন, এই উন্নয়ন অগ্রগতি আমরা আরও বহুদূর এগিয়ে নিতে পারতাম যদি দেশে ধ্বংসাত্মক, নেতিবাচক, গুজব ছড়ানোর রাজনীতি না থাকত, কারণ এগুলো দেশের অগ্রগতিকে শ্লথ করেছে। আজকে রাজনীতির নামে মানুষ, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো হচ্ছে, ট্রেন লাইন কেটে ফেলা হচ্ছে, ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে।
এগুলো কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
হাছান মাহমুদ বলেন, রাজনীতির নামে এই সন্ত্রাস আমাদের উন্নয়ন অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করেছে এবং করছে। সুতরাং দেশকে যদি স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে হয় তাহলে রাজনীতির নামে এই সন্ত্রাস চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে হবে। আমরা সেটি বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর। সুতরাং আজকে বিজয় দিবসে আমাদের প্রত্যেকের শপথ হওয়া প্রয়োজন এই নেতিবাচক, ধ্বংসাত্মক রাজনীতিকে চিরতরে দেশ থেকে নির্মূল করতে হবে।
আরও পড়ুন: রেললাইন কাটা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো- এ কোন রাজনীতি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
শেষ সন্ত্রাসী নির্মূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে: তথ্যমন্ত্রী
শেষ সন্ত্রাসী নির্মূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, অবরোধ-হরতাল-কর্মসূচির নামে যারা গাড়ি পোড়ায়, মানুষের উপর আক্রমণ করে তারা দেশ, জাতি ও সমাজের শত্রু। আমরা এদেরকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। তাই শেষ সন্ত্রাসী নির্মূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ব্রিগেড ৭১’ আয়োজিত ‘ধর্মান্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলোর রাজনীতি এবং আমাদের করণীয়’-শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু যেভাবে পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ কমিটি করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, এখন আবার এই আগুন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময় এসেছে।
ড. হাছান বলেন, গর্তের মধ্যে যারা ঢুকেছে, তাদেরকে গর্ত থেকে বের করে এনে শায়েস্তা করা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের পর মায়াকান্না করে, তাদের কাছে প্রশ্ন হলো গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো কি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি কি হতে পারে!
তিনি আরও বলেন, গাড়ির মধ্যে হেলপার শুয়ে আছে গাড়ি চলছে না, সেই গাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে তারা। ২৮ অক্টোবর তারা পুলিশ হত্যা করল; পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালাল; ১৯টি অ্যাম্বুলেন্স জ্বালিয়ে দিলো; শতাধিক পুলিশ আহত হরো; সাংবাদিকদের উপর হামলা করল এবং ৩২ জন সাংবাদিক আহত হলো। এগুলো যারা করে তারা তো জঘন্য সন্ত্রাসী। হিংস্র হায়ানার চেয়েও হিংস্র এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জনগণের দায়িত্ব এবং সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ব্রিগেড ৭১’কে অনুরোধ জানাবো আপনারা জনগণকে আরও সচেতন করে তুলুন।’
তিনি বলেন, আমাদের সরকার বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সবসময় সহযোগিতা করে এসেছে। সারাদেশে তারা সমাবেশ করেছে, সরকার নিরাপত্তা দিয়েছে। মাঝেমধ্যে নিজেরা মারামারি করেছে, এর বাইরে গত ১৫ বছরে তাদের মিটিংয়ে একটা পটকাও ফোটে নাই। অথচ আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল, তখন শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুঁড়ে আওয়ামী লীগের ২২ জনকে হত্যা, পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আহত করা হয়েছিল।
তিনি জানান, আমার শরীরে এখনও ৪০-৪২টি স্প্রিন্টার। অনেকের শরীরে শত শত স্প্রিন্টার, কেউ কেউ পঙ্গু হয়েছে। বিএনপির নেতারা প্রকাশ্য জনসভায় হামলা চালিয়ে শাহ এস এম কিবরিয়াকে হত্যা, আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা, শেখ হেলাল এমপি, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপির জনসভায় হামলা করে অনেক মানুষকে হতাহত করেছিল, কোটালিপাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল। এখনও তারা সন্ত্রাস অব্যাহত রেখেছে, সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা নেতা-কর্মীদের পয়সা দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
আইএস-তালেবানের কায়দায় বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে ডব্লিউএইচও: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্বে বাংলাদেশকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ভারতের দিল্লিতে ৩ দিন ব্যাপী চলা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সম্মেলনে এ স্বীকৃতির সনদপত্র দেওয়া হয়।
স্বীকৃতির সনদপত্রটি তুলে দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পুনম খেত্রপাল এবং এটি গ্রহণ করেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আরও পড়ুন: সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস।
জাহিদ মালেক বলেন, এর আগে বাংলাদেশ ফাইলেরিয়া ও পোলিও নির্মূল করে সনদ পেয়েছিল।
তিনি বলেন, এবার বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্বে প্রথম হওয়ায় এটি একটি জাতিগত প্রশংসিত অর্জন হয়েছে। এ অর্জনে দেশের স্বাস্থ্যখাতসহ আমরা সকলেই গর্বিত।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই অর্জনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ পরামর্শ ও নির্দেশনার কথা উল্লেখ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক এর প্রতিও বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক এখন ভরসার জায়গা হতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের মানুষের জন্য শেখ হাসিনার বিশেষ অবদান দেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিটি থেকে ওই এলাকার প্রায় ছয় হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছে। ধীরে ধীরে দেশের দুর্গম এলাকাতেও প্রস্তুত করা হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক। ক্লিনিকগুলো থেকে ৩০ রকমের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে।
মন্ত্রী বলেন, এর পাশাপাশি গ্রামের মায়েদের নিরাপদ সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রেও কমিউনিটি ক্লিনিক কাজে লাগছে। এর সুফল হিসেবে গত কয়েক বছরের জড়িপে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ৩২০ জন থেকে হ্রাস পেয়ে এখন ১৬৩ জন হয়েছে। একইভাবে প্রতি হাজার জীবিত শিশুর মৃত্যুহার ৬৫ জন থেকে হ্রাস পেয়ে ২৮ জনে নেমে এসেছে।
সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে ‘শেখ হাসিনা উদ্যোগ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মন্ত্রী বাংলাদেশের মাতৃমৃত্যুহার হ্রাস, শিশুমৃত্যুহার হ্রাস করা, গড় আয়ু বৃদ্ধি, টিকাদানে বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ সফলতা, করোনাকালীণ দুর্যোগে ১৫ হাজার চিকিৎসক, ২৫ হাজার নার্সসহ প্রায় দেড় লাখ মানুষের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর টিকা আপাতত কোনো কাজে আসছে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিরোধী দলকে নির্মূলে রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাস চালাচ্ছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলকে মাঠ থেকে সরাতে সরকার রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট হয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি দিন দিন আরও জটিল হচ্ছে। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তারা (সরকার) সর্বশক্তি প্রয়োগ করে এবং রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে যে কোনো উপায়ে (নির্বাচনের) মাঠ থেকে বিরোধী দলগুলোকে অবৈধভাবে সরিয়ে দিয়ে আবার ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করবে।’
রবিবার (২০ আগস্ট) বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সরকারের এখন প্রধান লক্ষ্য বিরোধী দলগুলোকে দমন করে ও তাড়িয়ে দিয়ে নির্বাচনের মাঠ পরিষ্কার করা।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প জনগণের টাকা চুরির আরেকটি কৌশল: ফখরুল
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে এবং বর্তমান ‘অবৈধ’ সরকারের নির্দেশে পুলিশ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। এখন যা চলছে এটাকে আমরা রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাস বলতে পারি। এছাড়া বিচার বিভাগ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং অন্যান্য সমস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান একইভাবে কাজ করছে।
ফখরুল বলেন, আমাদের কাছে কিছু কিছু ডকুমেন্ট আছে যেগুলো আমরা প্রয়োজন হলে দেখাবো। যাতে বিচারকদের বলা হচ্ছে, তাড়াতাড়ি মামলা শেষ করো, এত তারিখের মধ্যে মামলা শেষ করতে হবে… সাক্ষী না আসলে তাকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে এসে সাক্ষী দাও। একদিকে পুলিশি নির্যাতন, অন্যদিকে বিচারে দ্রুত সাজা দেওয়ার ভয়াবহ কর্মসূচি তারা নিয়েছে। লক্ষ্য একটাই..তারা পুরো মাঠ খালি করে দিতে চায়।
তিনি অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের কথা বলছে। যাতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যায় এবং দায় বিরোধীদের ওপর চাপানো যায়।
তিনি বলেন, এটা নতুন কিছু নয় কারণ তারা অতীতে একইভাবে একই কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। আমরা কোথায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলাম। যা কিছু সন্ত্রাস তাতো আপনার করছেন। বন্দুক আপনাদের হাতে, পিস্তল আপনাদের হাতে, আইনও আপনাদের হাতে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ছয় নেতাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের বিষয়ে ডিবি পুলিশের বক্তব্যের বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, এটা একটা নির্লজ্জ মিথ্যাচার এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনী হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ এখন ক্ষমতাসীন দলের হয়ে কাজ করছে। ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। ডিবি তাদের প্রেস ব্রিফিংয়ে যে অস্ত্রগুলো দেখিয়েছিল তা প্রাগৈতিহাসিক যুগে (তৈরি) ছিল।
তিনি বলেন, ডিবি বলছে নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপি এসব অস্ত্র সংগ্রহ করেছে। আমরা বিস্মিত যে তারা এখন পুরোপুরি রাজনৈতিক দলের পক্ষে কথা বলছে। বোঝা যায় যে তাদের বক্তব্য রাজনৈতিক।
তিনি ছাত্রদল নেতাদের মুক্তি দাবি করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জানিয়েছে, তারা শনিবার ঢাকার লালবাগ এলাকা থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ছয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে তিনটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৬ রাউন্ড গুলি জব্দ করেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপির হাইকমান্ড এবং এর ছাত্র সংগঠনের ইউনিটগুলো দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিল।
ফখরুল শনিবার নারায়ণগঞ্জ ও হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে বিদেশের কোনো দেশ এগিয়ে আসবে না: ফখরুল
বিএনপি আশা করে বাংলাদেশিদের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকে মূল্য দেবে ভারত: ফখরুল
১ বছর আগে
লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল করেছে বাংলাদেশ
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে অবহেলিত গ্রীষ্মমন্ডলীয় রোগের অবসানের প্রচেষ্টাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উৎসাহিত করায় লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস (গোদ রোগ) নির্মূল করেছে বাংলাদেশ।
শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।
এটি এমন একটি রোগ যা পঙ্গু করে দেয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের উপর উল্লেখযোগ্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচালক ডা. পুনম ক্ষেত্রপাল সিং বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্জন প্রশংসনীয় এবং শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ, অংশীদার এবং সম্প্রদায়ের অক্লান্ত প্রচেষ্টা অনুসরণ করে। এটি উদ্ভাবনী পন্থা এবং নির্মূল কৌশলগুলোর সূক্ষ্মভাবে বাস্তবায়নের ফলাফলও।’
ডা. পুনম এই অঞ্চলে অবহেলিত গ্রীষ্মমন্ডলীয় রোগ (এনটিডি)-এর অবসানকে অন্যতম প্রধান কর্মসূচি হিসেবে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছেন।
আরও পড়ুন: দেশে ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট তৈরির প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস (গোদ রোগ), এলিফ্যান্টিয়াসিস নামেও পরিচিত, যখন ফাইলেরিয়াল প্যারাসাইট মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়।
সংক্রমণ সাধারণত শৈশবে অর্জিত হয় বেদনাদায়ক এবং বিকৃত দৃশ্যমান প্রকাশের সঙ্গে জীবনের অনেক পরে প্রদর্শিত হয়। প্রায়শই শরীরের অংশগুলো বৃদ্ধির আকারে ব্যথা, গুরুতর অক্ষমতা এবং সংশ্লিষ্ট কলঙ্ক সৃষ্টি করে।
লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস বাংলাদেশের একটি প্রধান জনস্বাস্থ্য সমস্যা ছিল।
২০০১ সালে দেশটি লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল করার জন্য তার জাতীয় কর্মসূচি প্রতিষ্ঠা করে যা ৬৪টি জেলার মধ্যে ১৯টিতে। ২০০১ এবং ২০১৫ এর মধ্যে, সমস্ত স্থানীয় জেলাগুলোতে উচ্চ কভারেজ ব্যাপক ওষুধ প্রশাসন প্রচারণা চালানো হয়েছিল।
পাশাপাশি, ২০১১ এবং ২০২১ সালের মধ্যে সুপ্রশিক্ষিত কর্মসূচির কর্মীদের দ্বারা পদ্ধতিগত এবং উচ্চ-মানের সংক্রমণ মূল্যায়ন জরিপ করা হয়েছিল।
আঞ্চলিক পরিচালক বাংলাদেশকে তার অসুস্থতা ব্যবস্থাপনা এবং প্রতিবন্ধী প্রতিরোধ কর্মসূচির জন্য প্রশংসা করেন। যা নিয়মিতভাবে স্থানীয় জেলাগুলোর তথ্য হালনাগাদ করে চলেছে। এই তথ্যভান্ডার ব্যবহার করে, ৩১ হাজারের বেশি রোগীকে স্ব-যত্ন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং তাদের রোগের অবস্থা পরিচালনা করতে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য কিট সরবরাহ করা হয়েছে।
লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস নির্মূলের জন্য, ডব্লিউএইচও’র কৌশল দু’টি মূল উপাদানের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে– প্রথমত, সংক্রমণের উপস্থিতি রয়েছে এমন একটি অঞ্চল বা অঞ্চলে ঝুঁকিপূর্ণ সমগ্র জনসংখ্যার বড় আকারের বার্ষিক চিকিৎসার মাধ্যমে সংক্রমণের বিস্তার বন্ধ করা; এবং দ্বিতীয়ত, বর্ধিত রোগ ব্যবস্থাপনা এবং অক্ষমতা প্রতিরোধ ব্যবস্থার মাধ্যমে লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিসের (গোদ রোগ) কারণে সৃষ্ট দুর্ভোগ কমানো।
বৈধতা প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, বাংলাদেশ ডব্লিউএইচওর কাছে একটি ডসিয়ার জমা দিয়েছে যা একটি আঞ্চলিক ডসিয়ার পর্যালোচনা গ্রুপ দ্বারা পর্যালোচনা করা হয়েছে।
ডসিয়ারটি পরীক্ষা করার পর, আঞ্চলিক ডসিয়ার রিভিউ গ্রুপ জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস নির্মূলের বৈধতার জন্য বাংলাদেশকে সুপারিশ করেছে।
ডা. ক্ষেত্রপাল সিং বলেছেন, ‘দৃঢ় অংশীদারিত্ব, নজরদারি পদ্ধতিতে বেশ কয়েকটি উদ্ভাবনী চলমান গবেষণা প্রকল্প এবং সু-প্রশিক্ষিত কর্মীরা দেশের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি এবং লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস নির্মূলের অবস্থা বজায় রাখার জন্য দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে।’
বাংলাদেশের জাতীয় কৌশলগত পরিকল্পনা ২০১৮ থেকে ২০২৫ সালে সংক্রমণের পুনরুত্থান রোধ এবং সংক্রমণ নির্মূলের দিকে অগ্রগতির জন্য যাচাই-পরবর্তী নজরদারি কৌশল এবং প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ডের পর বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের চতুর্থ দেশ, যা জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ: টিকাদান নিশ্চিত করতে দেশগুলোকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
২০১৪ সালে ডা. ক্ষেত্রপাল সিং তার প্রধান অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে একটি হিসাবে অবহেলিত গ্রীষ্মমন্ডলীয় রোগের অবসানকে চিহ্নিত করেছিলেন।
লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস ছাড়াও, অন্যান্য অবহেলিত গ্রীষ্মমন্ডলীয় রোগের বিরুদ্ধে সাফল্য রয়েছে। ইয়াও নির্মূল করার জন্য ভারতকে প্রত্যায়িত করা হয়েছে এবং নেপাল ও মিয়ানমার জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে ট্র্যাকোমা (চোখের সংক্রামক ব্যাধি) দূর করেছে।
‘অবহেলিত গ্রীষ্মমন্ডলীয় রোগগুলো প্রান্তিক এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীকে প্রভাবিত করে দুর্ভোগকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। কম খরচে এবং অত্যন্ত কার্যকর ওষুধ এবং চিকিৎসার মাধ্যমে আমাদের অবশ্যই এনটিডিগুলো নির্মূল করতে হবে।
আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, ডব্লিউএইচও সকলের জন্য স্বাস্থ্যকর, আরও ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই ভবিষ্যত অর্জনের জন্য এই রোগগুলো নির্মূল করার প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন কৌশলগত পরিকল্পনা
১ বছর আগে
শুধু সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ বন্ধ করলেই মাদক নির্মূল সম্ভব নয়: বিজিবি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মামুনূর রশীদ বলেন, সীমান্তে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে মাদকের বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিজিবি।
তিনি বলেন, তবে শুধুমাত্র আমাদের সীমান্ত দিয়ে মাদক প্রবেশ বন্ধ করলেই মাদক নির্মূল সম্ভব নয়। এর সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরীণ মাদকের চাহিদাও বন্ধ করতে হবে। একটি দেশের সমাজকে ধ্বংস করতে মাদকই যথেষ্ট। সেকারণে মাদকের কুফল সমাজে তুলে ধরতে হবে।
আরও পড়ুন: বিজিবিতে চাকরির সুযোগ: আবেদন করা যাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি দপ্তরে মাদক ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সীমান্তের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ২০২১ সালের ১ জুন থেকে ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব মাদক জব্দ করে বিজিবি।
ধ্বংসকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে- পাঁচ হাজার ৭৮১ বোতল বিভিন্ন প্রকার মদ, ২৪৩ কেজি গাঁজা, ১১ হাজার ৭৮৯ বোতল ফেন্সিডিল, ১৭ হাজার ৭৮৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩৫ হাজার ৪৬৫ পিস ভারতীয় অনাগ্রা ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক।
মাদক ধ্বংস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিজিবির খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মামুনূর রশীদ।
এ সময় সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশরাফুল হক, অতিরিক্ত পরিচালক অপারেশন মেজর রেজা আহমেদ, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজীব তালুকদার, সাতক্ষীরা র্যাব ক্যাম্প কমান্ডার মেজর গালিব হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক তাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যশোরে প্রাইভেটকার থেকে ৯ কোটি টাকার স্বর্ণের বার উদ্ধার: বিজিবি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ৬টি ভারতীয় এয়ারগান উদ্ধার করেছে বিজিবি
১ বছর আগে
মশা নির্মূলে ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান, জরিমানা ৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা নির্মূলে সাত দিনের বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। রবিবার থেকে সপ্তাহ ব্যাপী এই বিশেষ অভিযান শুরু করা হয়েছে।
অভিযানের প্রথম দিনে ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলেই অভিযান পরিচালনা করেছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটেরা।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির নতুন ১৮ ওয়ার্ড: নাগরিক সেবায় নেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড
অভিযানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় চৌদ্দটি (১৪) মামলায় মোট ৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর উত্তরায় আজমপুর এলাকায় এডিস ও ডেঙ্গু বিরোধী নাগরিক সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানে অংশ নিয়ে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ডিএনসিসি এলাকায় ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা নির্মূলে সাত (০৭) দিনের বিশেষ অভিযানের ঘোষণা দেন।
অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন গুলশান-২ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান পরিচালনাকালে ৩টি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় তিনটি মামলায় মোট ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন ৫১ নং ওয়ার্ডের উত্তরা সেক্টর-১২ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান পরিচালনা করেন।
উত্তরা এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে ৩টি ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। লার্ভা প্রাপ্তি স্থানসমূহের লাভা ধ্বংস করে লার্ভা প্রাপ্ত তিনজন ভবন মালিককে ৩টি মামলায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: প্রায় ৮ লাখ টাকা জরিমানা
এছাড়াও অঞ্চল-১ এর আওতাধীন ১নং ওয়ার্ডের উত্তরা সেক্টর নং ১, ৩ ও ৫ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনার করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসা বাড়ী ও নির্মাণাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লট, ড্রেন ঝোপঝাঁড়ে কিউলেক্স মশক বিরোধী অভিযান ও সমন্বিততভাবে এডিশ বিরোধী অভিযানে ৩টি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলায় মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন ৩৯নং ওয়ার্ডের খিলবাড়িরটেক এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। এডিসে লার্ভা পাওয়ায় ৫টি মামলায় ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এডিস মশা নির্মূলে সতর্ক করে দেয়া হয়। সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে সচেতন করেন।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রিগে. জেনা. মো. জোবায়দুর রহমান এবং উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা লে. কর্ণেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: মশক নিধনে ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান শুরু
ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান: সপ্তম দিনে ৩.৪৫ লাখ টাকা জরিমানা
২ বছর আগে
স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশ থেকে নির্মূল হয়নি: তথ্যমন্ত্রী
স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও বাংলাদেশ থেকে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে নির্মূল করতে না পারাকে সরকারের ব্যর্থতা বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
৩ বছর আগে