বাণিজ্যিক
বাণিজ্যিকভাবে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি হচ্ছে মুড়ির মোয়া
শীতের সকালে নাস্তার টেবিলে অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি মুড়ির মোয়া সব শ্রেণির মানুষের কাছে একটি অন্যতম আকর্ষণ।
শীত এলেই নতুন ধান থেকে মুড়ি তৈরি করে। আরও সেই মুড়ি থেকে গুড় দিয়ে মোয়াসহ বিভিন্ন নাস্তা তৈরিতে শুরু হয়ে যায় পরিবারের নারী সদস্যদের তোড়জোড়।
আরও পড়ুন: ‘মুড়ির টিন’ দিয়ে শুরু হলো কোক স্টুডিও বাংলা’র দ্বিতীয় সিজন
তবে এটি এখন আর শুধু ঘরে তৈরিতে সীমাবদ্ধ নেই। বাণিজ্যিকভাবে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি হচ্ছে। এই মোয়া বিক্রি করে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হয়েছে অনেকের।
কুড়িগ্রামে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতকালীন নানা ধরনের খাবার।
আখ ও খেজুর গুড় ঘন জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করে সেখানে সাদা ধবধবে মুড়ি মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে সুস্বাদু মুড়ির মোয়া।
এটি গ্রাম-শহরের নানা বয়সী মানুষের শীতের দিনের মুখরোচক খাবার।
আরও এই মুখরোচক খাবারটি বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করছেন জেলার উলিপুর উপজলোর থেতরাই ইউনিয়নের তিস্তা নদীর পাড়ের গোড়াই পিয়ার গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম-শাপলা বেগম দম্পতি।
তারা বাড়িতেই বাণিজ্যিকভাবে হাতে তৈরি করছেন মোয়া। তাদের তৈরি সুস্বাদু এই মোয়া স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলার বিভিন্ন উপজলোর হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি ১০০ মোয়া বিক্রি হয় ৩০০ টাকায়। মেকানিক পেশায় থাকাকালীন সাইফুল অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তেমন ভারী কাজ করতে না পারায় ২০২০ সালে এনজিও ঋণ নিয়ে শুরু করেন মোয়া ব্যবসা।
এরপর দিন যতই যাচ্ছে তার মোয়ার পরিচিত ততই বাড়ছে।
সাইফুল ইসলাম বলেন, আগে মেকানিক ছিলাম। কোমরের ব্যথার অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন বসে ছিলাম। পরে চিকিৎসার জন্য সেই কাজ ছেড়ে দিয়েছি। বেকার হয়ে পড়ি। প্রায় চার বছর আগে ২০২০ সালে নিজেই মোয়া তৈরি করে বাজারজাত করি।
তিনি আরও বলেন, এভাবে শুরু আমার এই ব্যবসা। মূলধন না থাকায় এনজিও ঋণের উপর নির্ভরশীল হই। চলতি বছর দুটো এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছি। আমার এখানে বর্তমানে মোয়া তৈরিতে বিভিন্ন বয়সী ২৮-৩০ জন নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এসব শ্রমিকরা নিজেদের সংসারের কাজ করে এসে দিন ২০০ টাকা মজুরিতে এখানে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে লক্ষাধিক মেট্রিক টন মুড়িকাটা পেঁয়াজ উৎপাদনের প্রত্যাশা
১ বছর আগে
কুড়িগ্রামে ১৪০ একর জমিতে হচ্ছে কৃষিবান্ধব বাণিজ্যিক সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র
কুড়িগ্রামে বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ উদ্যোগে ১৪০ একর জমিতে তৈরি হচ্ছে দেশের প্রথম কৃষিবান্ধব বাণিজ্যিক সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
এই সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে উৎপাদন হবে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। যা কৃষিখাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকৌশলী তারেক রহমান।
ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ভূমি লিজ নেওয়ার কাজ শেষের পথে। আর এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে এমএগ্রিন এনার্জি লিমিটেড।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ধরলা নদীর তীরবর্তী সোনাইকাজী ও যতীন্দ্র নারায়নের চরে এক ফসলি জমিতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটি। ২০২২ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০৪৭ সাল পর্যন্ত। আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে প্রকল্পের মূল কাজ শেষ হলে দেশের জাতীয় গ্রীডে যোগ হবে উৎপাদিত ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
ইতোমধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ২৫ বছরের জন্য লিজ নেওয়া হয়েছে প্রকল্পের প্রায় ৮০ ভাগ জমি। বিনিময়ে প্রথম দুই বছর জমির ভাড়া হিসেবে একর প্রতি কৃষকদের দেওয়া হবে ৭ হাজার করে টাকা। পরবর্তী তৃতীয় বছর থেকে কৃষকরা একর প্রতি পাবেন ৩০ হাজার টাকা, সঙ্গে জমিতে ফসল ফলানোর সুযোগ পাচ্ছেন কৃষকরা। তবে অধিকাংশ কৃষক খুশি হয়ে তাদের জমি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য হস্তান্তর করলেও এখনও কিছু কৃষক রয়েছেন দ্বিধাদ্বন্দ্বে।
আরও পড়ুন: দেশের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন
১ বছর আগে
শুল্ক সমস্যা অমীমাংসিত রেখেই বাংলাদেশে আদানির বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
বাংলাদেশ প্রায় ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য আদানি পাওয়ারের গোড্ডা ঝাড়খণ্ড প্ল্যান্টের বাণিজ্যিক কার্যক্রম৭ এপ্রিল শুরু হয়েছে। তবে শুল্ক সমস্যার বিরোধ নিষ্পতি করা হয়নি এখনও।
প্রাথমিকভাবে, আদানি গত ৯ মার্চ পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে বাংলাদেশে তার বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করে।
সরকারি সূত্র অনুসারে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (এনার্জি অডিট) এর নেতৃত্বে 3 সদস্যের একটি কারিগরি দল পরিদর্শনের পরে একটি বাণিজ্যিক অপারেশন তারিখ (সিওডি) অনুমোদন করেছে।
নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে সূত্রটির একজন ইউএনবিকে জানিয়েছেন,‘প্রযুক্তিগত দলটি মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে ভারতে গিয়েছিল এবং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে আদানির গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্টে প্রায় ১০ দিন কাটিয়ে দেশে ফিরে আসে।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু ট্যারিফের বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়নি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আপত্তির পরে, আদানি পাওয়ার কয়লার দাম কমানোর প্রস্তাব দেয়, তবুও এটি বাংলাদেশের অবস্থান মেনে চলছে না।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে আদানি আইসিআই-৫০০ কয়লার জ্বিএআর ব্যবহার করে, যা নিম্নমানের কয়লা, কিন্তু আইসিআই-৬৫০০ -এর জিএআর মূল্য উদ্ধৃত করতে চায়।
তিনি বলেছেন, ‘উদাহরণস্বরূপ একটি আইসিআই-৬৫০০ -এর দাম হলো ১৭৯ দশমিক ৮৪, যেখানে আইআইসিআই-৯৫ দশমিক ৫০। এই ক্ষেত্রে, আদানি কয়লার দাম ১৭৯ দশমিক ৮৪ ডলার উদ্ধৃত করতে চাইছে যা বাংলাদেশের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে বাংলাদেশে আদানি এবং বিপিডিবির মধ্যে সাম্প্রতিক আলোচনার পরে, আদানি দাম কমাতে সম্মত হয়েছে এবং এটি পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শুল্কের মধ্যে রাখতে চায়।
বিপিডিবির সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘তারা কয়লার মূল্য নির্ধারণের একটি নির্দিষ্ট সূত্রে আটকে থাকে না যা বাংলাদেশের জন্য সমস্যাযুক্ত কারণ প্রতি মাসে বিপিডিবিকে শুল্ক ইস্যুতে আদানির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে যা বাংলাদেশের জন্য কাম্য নয়।’
এর আগে, আদানি গ্রুপের একটি উচ্চপর্যায়ের দল ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আসে এবং ‘বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) কয়লা মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি’ সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করে।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
উভয় পক্ষ একে অপরের কথা শুনেন এবং তারা ইস্যুতে নিজ নিজ পক্ষের পক্ষে তাদের পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। আদানির প্রতিনিধি তাদের জানিয়েছিলেন যে তারা পিপিএ-এর কয়লা মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতিতে বিপিডিবি’র অবস্থান তাদের শীর্ষ ব্যবস্থাপনার কাছে জানাবে এবং তারা আরও ফলো-আপ মিটিংয়ে বসবে।
বাংলাদেশ সরকার আদানি পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে ভারতের ঝাড়খন্ডের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ২৫ বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য সই করা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) সংশোধন চেয়েছিল। মনে হচ্ছে প্রকল্পের জ্বালানি হিসেবে কেনা কয়লার দাম বিতর্কের প্রধান হাড় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
বিপিডিবি’র একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেছেন। বিপিডিবি ঝাড়খন্ডের এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট প্ল্যান্টের জন্য জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত কয়লা আমদানির জন্য এলসি (ভারতে) খোলার বিষয়ে প্রাপ্ত একটি অনুরোধের পরে আদানি গ্রুপকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল।’
যেহেতু কার্যত ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডা জেলায় অবস্থিত প্ল্যান্টের উৎপাদিত সমস্ত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করা হবে। আদানি পাওয়ারের জন্য বিপিডিবি থেকে একটি ডিমান্ড নোট প্রয়োজন যা কয়লা আমদানির বিপরীতে এলসি খোলার আগে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করতে পারে।
বন্দর থেকে প্ল্যান্ট পর্যন্ত পরিবহন সহ কয়লা আমদানির খরচ শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ বহন করবে, যার মূল্য পিপিএ- এর শুল্ক কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত।
সেই সময়ে যখন বিশ্ববাজারে জ্বালানি মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে একটি বিশাল অস্থিরতা বিরাজ করছিল, তখন আদানি পাওয়ার সম্প্রতি বিপিডিবিকে চাহিদা নোট ইস্যু করার জন্য একটি অনুরোধ পাঠিয়েছে, যেখানে কয়লার দাম প্রতি মেট্রিক টন (এমটি)৪০০ মার্কিন ডলার উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই মূল্যকে বিপিডিবি কর্মকর্তারা অনেক বেশি মনে করেন, আন্তর্জাতিক বাজারের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় এটি দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: আদানির সঙ্গে বিদ্যুতের চুক্তি বাতিলের দাবি বিএনপির
কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘আমাদের দৃষ্টিতে, তারা যে কয়লার মূল্য উদ্ধৃত করেছে প্রতি মেট্রিকটন ৪০০ মার্কিন ডলার তা অত্যধিক। বরং এটি প্রতি মেট্রিকটন ২৫০ মার্কিন ডলারের কম হওয়া উচিত, যা আমরা আমাদের অন্যান্য তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আমদানি করা কয়লার জন্য পরিশোধ করছি।’
বিপিডিবি কর্মকর্তা রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্টের কয়লা সংগ্রহের কথা উল্লেখ করেছেন যেখানে সরবরাহকারী বসুন্ধরা গ্রুপ জেটিতে পণ্য পৌঁছানোর জন্য প্রতি টন ২৩২ দশমিক ৩৩ ডলারে কয়লা সরবরাহের চুক্তি জিতেছিল। যদিও পরে কয়লার দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়।
একই সূত্রে আরও বলা হয়েছে যে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাইট পরিদর্শনের সময় আদানি পাওয়ারের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আদানি প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুত সঞ্চালন শুরু
১ বছর আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক অংশীদার বাংলাদেশ
বেলারুশ প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই আলেইনিক বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বুধবার এক অভিনন্দন বার্তায় আলেইনিক উল্লেখ করেন, বেলারুশ বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার বলে মনে করে।
আরও পড়ুন: ড. মোমেনকে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে দুই দেশ রাজনৈতিক পরামর্শ, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য যৌথ বেলারুশ-বাংলাদেশ কমিশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক যোগাযোগের কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।
আলেইনিক বার্তায় আশা প্রকাশ করেন যে, উভয় দেশ তাদের ফরেন অফিসের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দু’দেশের জনগণের কল্যাণে গঠনমূলক সংলাপ এবং দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বের প্রসার অব্যাহত রাখবে।
সের্গেই আলেইনিক বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য কামনা করেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
ইউএনআরসি'র সঙ্গে বৈঠকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিয়ানীবাজারে গ্যাসের সন্ধান: বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন নিয়ে অপেক্ষা
সিলেটের বিয়ানীবাজারে পরিত্যক্ত একটি কূপে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে এটি বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য কিনা তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে সপ্তাহখানেক।
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান।
নাজমুল আহসান বলেন, বিয়ানীবাজারের একটি পরিত্যক্ত কূপে আমরা ওয়ার্কওভারের কাজ করছিলাম। সেখানেই কিছু গ্যাসের অস্তিত্ব পেয়েছি। তবে সেই গ্যাস বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য কিনা বা সেটি কি পরিমাণ উত্তোলন করা যাবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নতুন কূপেও গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে বাপেক্স
তিনি আরও বলেন, এখনও কূপটিতে কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে। এরপর আমরা এসব বিষয় নিশ্চিত করতে পারবো।
জানা যায়, কূপের তিন হাজার ৪৫৪ মিটার গভীর থেকে পরীক্ষা করে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এতে এখন গ্যাসের চাপ রয়েছে তিন হাজার ১০০ পিএসআই।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) সূত্রে জানায়, বিয়ানীবাজার-১ কূপটির তিন হাজার ৪৫০ মিটার গভীর থেকে ৩৫ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হ। এরপর ২০১৬ সাল থেকে কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে কূপটিতে নতুন করে ওয়ার্কওভার (পুনঃখনন) শুরু করে বাপেক্স।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান
২ বছর আগে
রপ্তানিতে সুদিন ফেরাতে পারে ভেনামি চিংড়ি, বাণিজ্যিক চাষ দাবি
বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানিমুখী পণ্য চিংড়ি। কিন্তু কয়েক বছর ধরে চিংড়ি রপ্তানিতে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। কিছুদিন আগেও রপ্তানি পণ্য হিসেবে চিংড়ি পোশাক খাতের পরে অর্থাৎ দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। এখন এটি প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সপ্তম স্থানে নেমে এসেছে। তাই হিমায়িত চিংড়ি উৎপাদন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা বাগদা ও গলদার পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছেন। তাদের মতে, ভেনামি চিংড়ি বাণিজ্যিকভাবে ইউরোপ ও আমেরিকা তথা বিশ্ববাজারে রপ্তানি করতে পারলে চিংড়ি রপ্তানিতে সুদিন ফিরে আসবে।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম হুমায়ুন কবির ইউএনবিকে জানান, এশিয়ায় যে ১৫ টি দেশ চিংড়ি চাষ করে ও ইউরোপ, আমেরিকাসহ অন্যান্য বাজারে রপ্তানি করে তার মধ্যে ১৪ টি দেশ ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে ভেনামি চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানি করছে। কিন্তু আমরা এই চিংড়ি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন ও রপ্তানি করতে না পারায় অন্য দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে আছি।
২০১৩-২০১৪ অর্থবছর থেকে ২০২০-২০২১ পর্যন্ত চিংড়ি রপ্তানির চিত্রে দেখা যায় ক্রমান্বয়ে বিশ্ববাজারে চিংড়ি রপ্তানি কমেছে। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ৫১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ৪৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ৪৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ৪০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৩৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৩২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার চিংড়ি খাতে রপ্তানি আয় হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো।
আরও পড়ুন: ভেনামি চিংড়ির পাইলট প্রকল্প বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদনের সম্ভাবনা
২ বছর আগে
বিদেশের বাজার ধরার স্বপ্ন দেখছে বাগেরহাটের ফল চাষিরা
বাণিজ্যিকভাবে বিদেশি নানা জাতের ফল চাষ করে সাড়া ফেলেছে বাগেরহাটের কচুয়ার শিয়ালকাঠি গ্রামের কামরুল হাসান (৪০) নামের এক ব্যক্তি। তার ২১ বিঘার বাগানে দেশি-বিদেশি নানা ফল চাষ করে, মাত্র একবছরে তিনি ২৭ লাখ টাকা আয় করেছেন। বর্তমানে তিনি তার বাগানের ফল বিদেশে রপ্তানির স্বপ্ন দেখছেন।
কামরুল হাসান জানান, মাত্র ৪ বছর আগে শখের বসে বাড়িতে ১০টি ড্রাগনের চারা রোপণ করেন। প্রথম বছর ভাল ফলন না পেলেও হাল ছাড়েননি তিনি।
পরের বছর ড্রাগনের ভাল ফলন মেলে। এর পর একে একে ড্রাগন চাষ বাড়াতে থাকেন। সেইসঙ্গে আমেরিকা, জাপান,ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও চায়নাসহ বিভিন্ন দেশের নানা জাতের ফলগাছ লাগাতে থাকেন। কয়েকটি প্লটে বিভক্ত করে ২১ বিঘা জমিতে দেশি-বিদেশি নানা ফল লাগিয়ে গড়ে তোলেন এই ফলবাগান।
পরবর্তীতে কামরুলের দেখাদেখি ওই এলাকার অনেক যুবক বিদেশি ফল চাষে ঝুঁকেছে।
কামরুলের বাগানে গিয়ে দেখা গেছে বিদেশি নানা জাতের ফলের সমারোহ। গাছে গাছে বিভিন্ন দেশের নানা জাতের ফল ঝুলছে, আর বাতাসে দোল খাচ্ছে। বাগানে ড্রাগন, মাল্টা, আম, পেয়ারা, বাতাবিলেবু (জাম্বুরা), কমলা, আনারস,বেল,আতা,শরিফাসহ বিভিন্ন জাতের বিদেশি ফল দেখা গেছে। আবার কোন গাছে ফুল ধরেছে।
আরও পড়ুন: ফল উৎপাদনে বিশ্বে সফলতার উদাহরণ বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী
২ বছর আগে
খুলনায় ভেনামি চিংড়ির ‘বাণিজ্যিক’ উৎপাদনের অনুমতি চান রপ্তানিকারকরা
চিংড়ির বিশ্ব বাজারের ৮০ শতাংশ স্থান দখলে থাকা ‘ভেনামি’ প্রজাতির চিংড়ির ‘বাণিজ্যিক’ চাষের অনুমতি না থাকায় বিশাল এই বাজার ধরতে পারছে না বাংলাদেশ। শুধুমাত্র পাইলট উৎপাদনের অনুমতির কারণে চাষি-উৎপাদনকারী-রপ্তানিকারকরা ব্যাংকের ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন না। ফলে তারা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী এ খাতে বিনিয়োগও করতে পারছেন না। এ অবস্থায় ‘পাইলট’র স্থলে ভেনামি চিংড়ির ‘বাণিজ্যিক’ উৎপাদনের অনুমতি চেয়েছেন চিংড়ি রপ্তানিকারকরা।
রবিবার নগরীর শ্রিম্প টাওয়ারে অনুষ্ঠিত ‘চিংড়ির উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে বাগদা চিংড়ির পাশাপাশি ভেনামি চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষের আবশ্যকতা’ শীর্ষক সেমিনারে এ দাবি তোলা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফিশারী প্রডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল ও বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে সঞ্চালনা ও সভাপতিত্ব করেন বিএফএফইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট এস. হুমায়ুন কবির। প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাদিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল, বিএফএফইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এম. খলিলুল্ল্যাহ, প্রেস ক্লাব সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খুলনার সাবেক উপ-পরিচালক প্রফুল্ল কুমার সরকার।
সেমিনারে বলা হয়, চিংড়ি চাষি ও রপ্তানিকারকরা বলছেন, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম খাত চিংড়ি শিল্পকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে ‘ভেনামি’ চাষের কোনো বিকল্প নেই।
একমাত্র ‘ভেনামি’ই পারে দেশের চিংড়ি শিল্পের সম্প্রসারণ করে বিশ্ব বাজার ধরে রাখতে। দ্রুত একটি সহজ নীতির মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে ‘ভেনামি’ চিংড়ি চাষকে উন্মুক্ত করে রপ্তানির পদক্ষেপ নিতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
সেমিনারে আরও বলা হয়, বাগদা ও গলদা চিংড়ির উৎপাদন দিন দিন কমে যাচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশ হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানির প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। এ কারণে ইতোমধ্যে সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি শিল্পে অশনি সংকেত দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বিশ্ব বাজারে ভেনামি চিংড়ির দাম কমের পাশাপাশি পর্যাপ্ত চাহিদা থাকায় দেশের রপ্তানিকারকরা বাজার ধরে রাখতে পারছে না।
সে কারণে আন্তর্জাতিক বাজার ধরে রাখার পাশাপাশি চিংড়ি শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বিগত প্রায় ২০ বছর ধরে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতির জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছে।
যার ফলে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে এই জাতের চিংড়ি চাষের অনুমতি দেয় সরকার। অনুমোদনপ্রাপ্ত যশোর বিসিক শিল্প নগরের ‘এম ইউ সী ফুডস’ ও সাতক্ষীরার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘সুশীলন’ যৌথ উদ্যোগে মৎস্য অধিদপ্তর ও মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীনে খুলনার পাইকগাছা লোনা পানি কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। যার গড় উৎপাদন হেক্টর প্রতি ৯ টনের বেশি।
এদিকে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এক পরিসংখ্যানে উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশে বাগদা চিংড়ির গড় উৎপাদন হেক্টর প্রতি ৩৪১ কেজি। সেখানে প্রতিবেশি দেশ ভারতে ‘ভেনামি’ চিংড়ির হেক্টর প্রতি গড় উৎপাদন সাত হাজার ১০২ কেজি। অর্থ্যাৎ বাগদার তুলনায় ‘ভেনামি’র উৎপাদন হেক্টর প্রতি ছয় হাজার ৭৬১ কেজি বেশি। যার প্রমাণ মিলেছে খুলনায় পরীক্ষামূলকভাবে চাষকৃত ‘ভেনামি’র উৎপাদনে।
সেমিনারে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস. হুমায়ুন কবীর বলেন, কাঁচামালের (চিংড়ি) অভাবে ইতোমধ্যেই দেশের ১০৫টি হিমায়িত মৎস্য প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোনোরকমে চালু আছে মাত্র ২৮টি। বাকি ৭৭টিই বন্ধ হয়ে গেছে। যে কয়টি চালু আছে, তাতে দেশে উৎপাদিত চিংড়িতে সক্ষমতা ও ধারণ ক্ষমতার মাত্র ১০ থেকে ১৫ ভাগ চাহিদা মিটছে। ফলে প্রক্রিয়াজাত খরচও বেশি হচ্ছে।
এ অবস্থায় রপ্তানির এ খাতটি ‘খাদের কিনারে’ এসে দাঁড়িয়েছে। এ শিল্পকে মাথা উঁচু করে ঘুরে দাঁড়াতে হলে ভেনামি চাষ করে চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, এশিয়া মহাদেশের একমাত্র ‘বাংলাদেশ’ বাদে বাকি ১৪টি দেশেই বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন হচ্ছে ভেনামি। এই মুহূর্তে আমাদের দেশে এ প্রজাতির চিংড়ি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন সময়ের দাবি। একই সঙ্গে ‘পাইলট’র স্থলে ভেনামি চিংড়ির ‘বাণিজ্যিক’ উৎপাদনের অনুমতি দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানি সমস্যা সমাধানে সরকার বদ্ধপরিকর: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বাগেরহাটে চিংড়িঘের থেকে কুমির উদ্ধার
২ বছর আগে
পাহাড়ি ‘ঝাড়ু ফুল’ যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে
জাতীয়ভাবে বলা হয় ‘উলুফুল’, তবে স্থানীয় ভাষায় এটি ‘ঝাড়ু ফুল’ বা ‘ফুল ঝাড়ু’ নামে অধিক পরিচিত। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত এই ‘ফুল ঝাড়ু’ ঘরবাড়ি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে ঘরে ঘরে প্রতিদিনই ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতিবছর ঝাড়ু ফুল দেশের গন্ডি পেরিয়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
প্রাকৃতিক এ ‘ঝাড়ু ফুল’ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে দেশের বহু পরিবার। এটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা গেলে পাহাড়ের অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
জানা যায়, পাহাড়ে থেকে ‘ফুল ঝাড়ু’ কেটে বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে আসে লোকজন। এরপর বাজার থেকে স্থানীয় গ্রামবাসী ব্যবহারের জন্য সেগুলো কিনে নেয়। অনেক পাইকারি ব্যবসায়ীরাও স্থানীয় বাজারগুলো থেকে ফুল ঝাড়ু কিনে নেন।
শীত মৌসুমে ‘ফুল ঝাড়ু’ উৎপাদিত হয়। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়। চাষাবাদ করতে শুধুমাত্র ঝোপঝাড় পরিস্কার ও ফাঁকা স্থানগুলোতে এর চারা লাগিয়ে দিলেই হয়। বাড়তি কোন যত্ন, সার, কীটনাশক কোন কিছুরই প্রয়োজন হয় না।
ইতোমধ্যে পাহাড় থেকে ঝাড়ু তৈরির জন্য ‘ঝাড়ুফুল’ কাটা শুরু হয়েছে। গহীন পাহাড় থেকে এ ফুল সংগ্রহ করার আনন্দে মেতে উঠেছে ‘ঝাড়ু ফুল’ সংগ্রহকারীরা। এ ফুল ঝাড়ু দেশের বড় বড় শহরে বিক্রির জন্য মজুদ করা হচ্ছে।
ফুল ঝাড়ুর ৮-১০টি কাঠি নিয়ে একটি বান্ডিল তৈরি করা হয়। বন বিভাগের ভাষায় এটির নাম ‘ভ্রুম’।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মান বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: বেবিচক
২ বছর আগে
ব্যাংকিং চ্যানেলের জটিলতা দূর হলে রাশিয়ায় রপ্তানি বাড়বে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, রাশিয়া বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। উভয় দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। রাশিয়া বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী। রাশিয়ার সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে, উভয় দেশ উদ্যোগী হলে ব্যবসা বৃদ্ধি করা সম্ভব। ডাবল ট্যাক্সেশন ও ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন জটিলতা দূর হলে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক বৃদ্ধি পাবে। রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে,বাংলাদেশ রাশিয়ায় পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করতে চায়।
সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজেন্ডার ভিকেনটিভিচ মানটিটস্কাই এর সঙ্গে মত বিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।
এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে একশ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ শেষ পর্যায়ে। পৃথিবীর অনেক দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এগুলোতে বিনিয়োগ করেছেন, অনেক প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। বাংলাদেশ সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: তিন মাসের মধ্যে ই-কমার্সের নিবন্ধন না করলে আউট: বাণিজ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, বিনিয়োগ সংক্রান্ত সকল কাজ ও আনুষ্ঠানিকতা সহজে এবং দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ ও আকর্ষনীয় স্থান। রাশিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।উল্লেখ্য, চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও গত ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে বাংলাদেশ রাশিয়ার বাজারে রপ্তানি করেছে ৬৬৫ দশমিক ৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। একই সময়ে আমদানি করেছে ৪৬৬ দশমিক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাণিজ্য ক্ষেত্রে চলমান জটিলতা দূর হলে বাংলাদেশের তৈরী পণ্য রাশিয়ায় রপ্তানি অনেক বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: ই-কমার্সে প্রতারিত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেয়া সম্ভব: বাণিজ্যমন্ত্রী
ই-কমার্স বন্ধ নয়, শৃঙ্খলা আনতে রেগুলেটরি অথরিটি হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে