মার্কিন কংগ্রেস
ইমরান খানের মুক্তির দাবি মার্কিন কংগ্রেসের ৪৬ সদস্যের
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এবং অন্যান্য রাজনৈতিক বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তির জন্য চাপ দিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬ জন আইনপ্রণেতার একটি দল। তারা জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বরাবর লেখা একটি চিঠিতে, কংগ্রেসের সদস্যরা জো বাইডেনকে আহ্বান জানিয়েছেন “হাউস রেজু্ল্যুশন ৯০১” এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে। জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে গৃহীত এই প্রস্তাবে পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমাণ মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নাগরিক স্বাধীনতা হাসের বিষয়ে উদ্বেগ তুলে ধরা হয়েছে।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) তাদের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে চিঠিটি শেয়ার করে জানিয়েছে, ‘রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট উভয় দলের যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের ৪৬ জন সদস্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি লিখে ইমরান খানের মুক্তির জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বিয়ের মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন ইমরান খান ও তার স্ত্রী
কংগ্রেস সদস্য সুসান ওয়াইল্ড এবং জন জেমসের নেতৃত্বে লেখা চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড ব্লোমের সমালোচনা করা হয়েছে। চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, তিনি পাকিস্তানি-আমেরিকান সম্প্রদায়ের উদ্বেগের বিষয়গুলো সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং গণতান্ত্রিক নীতি, মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে উপযুক্ত ভূমিকা পালন করেননি।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের নির্বাচনে অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরে একে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছেন কংগ্রেস সদস্যরা। তারা বলেন, এই নির্বাচনে জালিয়াতি, পিটিআই দমন এবং পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিপক্ষে ফলাফল উল্টে দেওয়া হয়েছে।
তারা নির্বাচনের পর পরিস্থিতির আরও অবনতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে গণগ্রেপ্তার, অযৌক্তিক আটক, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতা।
কুরেশির আহ্বান: কারাবন্দি নেতাদের মতামত নেওয়ার জন্য পিটিআই নেতৃত্বকে তাগিদ
এদিকে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশি তার দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, চার দশকের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও তাকে পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে আলোচনার বাইরে রাখা হয়েছে।
শনিবার আদালতে হাজিরার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কুরেশি পিটিআই নেতাদের প্রতি লাহোরের কোট লাখপত কারাগারে বন্দি সিনিয়র সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি পিটিআই নেতৃত্বকে অনুরোধ করছি, যখনই সম্ভব আমাদের কাছে আসুন এবং বর্তমান অচলাবস্থা কাটানোর উপায় নিয়ে আমাদের মতামত নিন।’
সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনশৃঙ্খলা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে পিটিআইকে আহ্বান জানান শাহ মেহমুদ কুরেশি।
তিনি ইমরান খানের প্রতি তার আনুগত্য পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং ২৪ নভেম্বরের প্রতিবাদে সমর্থন জানান। কুরেশি পিটিআই নেতাকর্মী ও সমর্থকদের প্রতিবাদে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে জোটের শরিক পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সমালোচনা না করে গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে জোট গঠনে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান তিনি।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে কুরেশি এ মন্তব্য করেছেন। সেখানে চলমান সংকটের মধ্যে বিভিন্ন দল একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
সূত্র: এজেন্সিি
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
৩ দিন আগে
মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে গিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে তারা কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান এবং সেখান থেকে সরাসরি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান।
আরও পড়ুন: মিনায় ও আরাফাতে বাংলাদেশি হাজীদের তাবু পরিদর্শন করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
কংগ্রেসম্যানদের মধ্যে একজন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির কংগ্রেস সদস্য এড কেস এবং অপরজন রিপাবলিকান পার্টির রিচার্ড ম্যাককরমিক।
তারা মোট ১১ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার সামছু-দৌজা নয়ন জানিয়েছেন, সকাল ৯টায় কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সমন্বয় সংস্থা ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের অফিসে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএমসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
পরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কংগ্রেস প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে পরিদর্শনে যান। সেখানে তারা ১২ নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম, ১১ নম্বর ক্যাম্পে শরণার্থীদের লার্নিং সেন্টার, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি পরিচালিত ই-ভাউচার সেন্টার পরিদর্শন করেন।
বিকালে কংগ্রেস প্রতিনিধি দলের কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করার কথা রয়েছে।
এ ছাড়া বিকালে কক্সবাজার শহরে অবস্থিত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন অফিসে সরকারি কর্মকর্তাদের বৈঠক করবেন।
কংগ্রেস প্রতিনিধিদল কক্সবাজার সফরকালে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প সফর করে রোহিঙ্গাদের আর্থিক অবস্থাসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।
আরও পড়ুন: যশোরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিশোধন কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন এডিবি’র নির্বাহী পরিচালক
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন মার্কিন প্রতিনিধিদল
১ বছর আগে
সফররত দুই মার্কিন কংগ্রেস সদস্যের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
সফররত মার্কিন কংগ্রেসম্যান এড কেস ও রিচার্ড ম্যাককরমিক রবিবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন।
এসময় তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
কর্মকর্তারা তাদের ব্রিফ করেন এবং তারা জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
কংগ্রেস সদস্যদের বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি প্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে মার্কিন সরকার পদত্যাগ করবে কি না সফররত কংগ্রেসম্যানদের মোমেনের প্রশ্ন
১ বছর আগে
বাংলাদেশ ও এর আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রশংসা করে মার্কিন কংগ্রেসের প্রস্তাব উত্থাপন
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে মার্কিন কংগ্রেস গত ২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও এর উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির স্বীকৃতি ও প্রশংসা করে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে।
কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসের পক্ষ থেকে দক্ষিণ ক্যারোলাইনার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান জো উইলসন কংগ্রেসে এই প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন।
প্রস্তাবটি উত্থাপনকালে কংগ্রেসম্যান উইলসন ৫১ বছর আগে ১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা স্মরণ করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাসব্যাপী বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী এবং এর দোসরদের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কথা প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয় এবং বলা হয় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার সংগ্রাম।
আরও পড়ুন: জামায়াত সম্পর্কে মার্কিন প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণের নিন্দা মানবাধিকার কর্মীদের
এতে বলা হয় বিগত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধন করেছে। বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি, যার মাথাপিছু জিডিপি বেড়ে ২০২১ সালে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৪৫৭ মার্কিন ডলারে যা এখন তার আঞ্চলিক প্রতিবেশির চেয়ে অনেক বেশি।
প্রস্তাবে আরও উল্লেখ করা হয় যে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৯ বিলিয়ন থেকে ৪৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে, গড় আয়ু ৪৭ বছর থেকে বেড়ে ৭৩ বছর হয়েছে এবং বয়স্ক সাক্ষরতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদন, দারিদ্র্য হ্রাস, উন্নত স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ প্রশমনসহ আর্থ-সামাজিকখাতে যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করেছে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়।
প্রস্তাবে বলা হয়, বাংলাদেশ সফলভাবে মডারেট মুসলিম সমাজ ব্যবস্থা বজায় রেখেছে, উগ্রবাদ দমন করেছে এবং দেশটির জনগণ বন্দুকের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পরিবর্তে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি সমর্থন বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।
এতে বলা হয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যাপক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য বৃহত্তম রপ্তানি বাজার এবং বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের একটি বৃহত্তম উৎস। বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহযোগিতার মাধ্যমে মার্কিন অর্থনীতিতেও অবদান রেখে চলছে।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক ও উন্নত দেশে পরিণত হতে প্রয়োজনীয় সবকিছু আছে বাংলাদেশের: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
রেজুলেশনে বলা হয়, প্রতিবেশি বার্মা (মিয়ানমার) কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা রোধে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে যে উদারতার পরিচয় দিয়েছে, আমেরিকার জনগণ তার প্রশংসা করে। মিয়ানমার সৃষ্ট এই সংকট মোকাবিলায় মানবিক সহায়তা বাবদ সবচেয়ে বেশি অর্থ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
এতে আরও বলা হয়, বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে বৃহৎ সৈন্য প্রেরণকারী দেশ যা আমেরিকার জনগণের কাছে সর্বদা প্রশংসা অর্জন করেছে। উভয় দেশই অর্জিত সমৃদ্ধি বিনিময়ের জন্য তাদের জনগণের সঙ্গে জনগণ এবং সরকারের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক আরও উন্নত করতে চায়।
প্রস্তাবে বলা হয় বাংলাদেশের জনগণকে ১০ কোটি ডোজেরও বেশি কোডিভ ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের জনগণ যখন স্বাধীনতার ৫২ বছর উদযাপন করছে তখন আমেরিকার জনগণ বাঙালি জাতির ভূয়সী প্রশংসা ও স্বীকৃতি প্রদান করে। বর্তমান ও ভবিষ্যতে পারস্পরিক অর্থনৈতিক, সামাজিক ও জাতীয় নিরাপত্তার লক্ষ্য অর্জনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গঠনমূলক অংশীদার থাকার আন্তরিক দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বলেও রেজুলেশনে মন্তব্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদী: মার্কিন কাউন্সেলর চোলেট
১ বছর আগে
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে 'গণহত্যা' ঘোষণা করুন: মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের রেজ্যুলেশন পেশ
মার্কিন কংগ্রেস সদস্য স্টিভ চ্যাবট ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত কংগ্রেস সদস্য রো খান্না মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালি ও হিন্দুদের ওপর চালানো পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ ও ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য একটি রেজ্যুলেশন বা প্রস্তাব পেশ করেছেন।
চ্যাবট বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা হয়েছিল সেটি ভুললে চলবে না। ওহাইও’র ফার্স্ট ডিস্ট্রিক্টে আমার হিন্দু ভোটারদের সহায়তায় রো খান্না ও আমি হিন্দুসহ বাঙালিদের ওপর চালানো ব্যাপক নৃশংসতা, নির্দিষ্ট করে বললে গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য রেজ্যুলেশন পেশ করেছি।’
চ্যাবোট জানান, তারা অবশ্যই বছরের পর বছর ধরে গণহত্যার লাখ লাখ মানুষের স্মৃতি মুছে ফেলতে দেবে না।
তিনি টুইটারে লিখেন, ‘গণহত্যার স্বীকৃতি ঐতিহাসিক রেকর্ডকে শক্তিশালী করে, আমাদের সহকর্মী আমেরিকানদের জানায় এবং এই ধরনের অপরাধ সহ্য করা বা ভুলে যে যাওয়া হবে না তা অপরাধীদের জানতে দেয়।’
আরও পড়ুন: কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাস ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক জোরদার করবে
রো খান্না বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাঙালি গণহত্যার স্বীকৃতি চেয়ে প্রথম রেজ্যুলেশন পেশে রিপাবলিকান স্টিভ চ্যাবোটের সঙ্গে যোগ দিতে পেরে আমি গর্বিত, যেখানে আমাদের সময়ের সবচেয়ে ভুলে যাওয়া গণহত্যায় লাখ লাখ বাঙালি, হিন্দু নিহত ও বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।’
‘১৯৭১ সালের বাংলাদেশ গণহত্যার স্বীকৃতি’ শিরোনামের ৮ পৃষ্ঠার রেজ্যুলেশনে পাকিস্তান সরকারের এই গণহত্যার বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণের প্রেক্ষিতে স্বীকৃতিটি দেয়ার কথা বলা হয়। সেখানে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের কাছে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা করার এবং যেসব অপরাধী এখনও জীবিত আছে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাদের বিচার করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এটি ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর সংঘটিত নৃশংসতার নিন্দা করে। যেখানে স্বীকার করা হয় যে বাঙালি ও হিন্দুদের বিরুদ্ধে এ ধরনের নৃশংসতা মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা। যা এই ধরনের নৃশংসতার শিকারদের মৃত্যু ও যন্ত্রণার কথা স্মরণ করে এবং তাদের কষ্টের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে কংগ্রেসে প্রস্তাব উত্থাপন
রেজ্যুলেশনটি স্বীকার করে যে সমগ্র জাতিগত গোষ্ঠী বা ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলো তাদের সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের জন্য দায়ী নয়। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর জাতিগত বাঙালি ও হিন্দুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এটি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও আন্তঃসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রচারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি ও জাতীয়, জাতিগত বা ধর্মীয় পটভূমি নির্বিশেষে এই অঞ্চলে বসবাসকারী সকল মানুষের অধিকারের সুবিধা ভোগ করার বিষয়টি পুনরায় নিশ্চিত করবে। যার ফলে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, আইনের শাসন, ধর্মের স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক সুযোগ উপভোগ করা যাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ওপর গণহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে বিশ্বাস করি না: মার্কিন কংগ্রেসম্যান
২ বছর আগে
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে কংগ্রেসে প্রস্তাব উত্থাপন
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মার্কিন কংগ্রেসে একটি দ্বিদলীয় প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে।
নিউইয়র্কের ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসম্যান ব্রায়ান হিগিন্স কংগ্রেসে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন যা আমেরিকান সামোয়ার রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান আমাটা কোলম্যান রাদেওয়াগেন কো-স্পন্সর করেছেন।
শুক্রবার ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, প্রস্তাবটি পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ একটি অবাধ, উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের যৌথ লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা, শাসন ও উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে একটি সমৃদ্ধ ও বহুমুখী সম্পর্ক বজায় রাখছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ফাইজারের আরও ৩০ লাখ টিকা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
প্রস্তাবে ১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি এবং পরবর্তীকালে একই বছরের ৯ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট নিক্সনের কাছে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ ব্যাপারে পাঠানো চিঠির কথা উল্লেখ করা হয়।
এটি কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রচেষ্টার পাশাপাশি মিয়ানমারে গণহত্যা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য দুই দেশের অবদানকেও স্বীকৃতি দিয়েছে।
কংগ্রেসের প্রস্তাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থনে ১৯৭১ সালে সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির ভূমিকা এবং ২০০০ সালে প্রথম মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে কোনো পক্ষ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রদূত হাস
বাংলাদেশে জলবায়ু সহায়তায় অবদান রাখার জন্য ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতিশ্রুতিও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে মার্কিন কংগ্রেসের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাস।
২ বছর আগে
কয়েক লাখ অভিবাসীকে নাগরিকত্বের মর্যাদা দিতে যাচ্ছেন বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাৎক্ষণিকভাবে কংগ্রেসকে দেশটির আনুমানিক ১১ মিলিয়ন মানুষকে আইনী মর্যাদা বা নাগরিকত্ব দেয়ার অনুরোধ করেছেন, যে ইস্যুতে দীর্ঘকাল বিভক্ত রয়েছে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানরা।
৩ বছর আগে
বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুমোদন দিল মার্কিন কংগ্রেস
জো বাইডেনকে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস। তবে এ দিন নজিরবিহীন এক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পুরো বিশ্ব।
৩ বছর আগে