ওয়াশিংটন
ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে, বিবৃতি নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে যা প্রকাশিত হয়েছে- তা কোনো বিবৃতি নয় বরং একটি বিজ্ঞাপন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট এটিকে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করেছে। এটি কেবল একটি বিজ্ঞাপন, খবর নয়।’‘স্পষ্টতই, এটি একটি লবিস্ট ফার্ম দ্বারা করা হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: তারেকের বিরুদ্ধে রায় বাস্তবায়নে যা কিছু করা সম্ভব্ সবই করবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
লবিস্ট প্রতিষ্ঠানটি অতীতেও একই কাজ করেছে বলেও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বচ্ছ এবং ইউনূসের মামলায় সরকার কোনো পক্ষ নয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইউনূসের সংগঠনের সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা মামলাটি দায়ের করেছেন এবং অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে বিচার চলছে।
এদিকে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস রবিবার(২৮ জানুয়ারি) দাবি করেছেন, তার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা নয়, সরকারই তার বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা দায়ের করেছে।
এ দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সোমবার(২৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তিনি যা বলেছেন তা সঠিক নয়।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতে মহাসচিবের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
মন্ত্রী বলেন, ইউনূসের কোম্পানিতে সংক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এ মামলা করেন।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘অব্যাহতভাবে বিচারিক হয়রানি এবং সম্ভাব্য কারাগারে আটকের’ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ১২৫ জনেরও বেশি নোবেল বিজয়ীসহ ২৪১ জন বিশ্ব নেতা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তৃতীয় খোলা চিঠি লিখেছেন।
২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি প্রফেসর ইউনূস এবং গ্রামীণ টেলিকমের তিন সহকর্মীকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং আপিল বিবেচনা চলাকালীন তাদের জামিন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলন: ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার ডাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৯ মাস আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অব লেবার জুলি সু'র সঙ্গে রাষ্ট্রদূত ইমরানের সাক্ষাৎ
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অব লেবার জুলি সু'র সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন।
১৪ ডিসেম্বর (যুক্তরাষ্ট্র সময়) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম দপ্তর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ও ভারপ্রাপ্ত মার্কিন সেক্রেটারি অব লেবার বাংলাদেশের বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি এবং শ্রমিকদের অধিকার উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচন সংক্রান্ত কুতথ্যে 'ডিপ ফেক' বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
তারা বাংলাদেশের শ্রমমান নিয়ে দুই সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে সম্পৃক্ত থাকতে এবং পক্ষগুলোর উদ্বেগ আরও বুঝতে সম্মত হন।
রাষ্ট্রদূত ইমরান একই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম দপ্তরের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি'র সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (বাণিজ্য) সেলিম রেজা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র
ঢাকা বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে প্রযুক্তি সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
১১ মাস আগে
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঢাকার জিরো টলারেন্স নীতিকে স্বাগত জানিয়েছে ওয়াশিংটন
শুক্রবার মার্কিন সরকার প্রকাশিত নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তারা প্রায়শই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশটির জিরো টলারেন্স নীতির ওপর জোর দেন এবং আল-কায়েদা ও আইএসআইএসের মতো বিশ্বব্যাপী সংগঠিত জিহাদি জঙ্গি গোষ্ঠীর উপস্থিতি অস্বীকার করে চলেন।
'কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেরোরিজম ২০২২' এর বাংলাদেশ অংশে বলা হয়, বিশেষত আল-কায়েদা অনুমোদিত গোষ্ঠী, জামাত-উল-মুজাহিদীন (জেএমবি) এবং আইএসআইএস অনুমোদিত জেএমবি শাখা, নব্য জেএমবি’র মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোতে কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে আমলে নেওয়ায় ২০২২ সালে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী সহিংসতার অল্প কিছু ঘটনা ঘটেছে।
অক্টোবরে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ আল-কায়েদা অনুপ্রাণিত একটি গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াকে নির্মূল করার জন্য অভিযানের ঘোষণা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষিত বাংলাদেশ পুলিশ কয়েক ডজন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি ও রাষ্ট্রদূত হাসের বৈঠক সম্পর্কে মস্কোর 'ইচ্ছাকৃত ভুল ব্যাখ্যা' সম্পর্কে অবগত যুক্তরাষ্ট্র: ওয়াশিংটন
বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ অনুসারে, গত অক্টোবরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থানকালে আল-কায়েদা অনুপ্রাণিত একটি গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াকে ব্যাহত করতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অভিযান পরিচালনা করে।
কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, জঙ্গি গোষ্ঠীটি জাতিগত বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে সহযোগিতা করেছিল।
কর্তৃপক্ষ বছরের বাকি সময়জুড়ে কয়েক ডজন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া সদস্যকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিয়েছে।
২০১৫ সালে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবনে হামলার ঘটনায় প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেলকে গত ২০ নভেম্বর ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কর্তৃপক্ষ নিষিদ্ধ ঘোষিত আল-কায়েদা অনুমোদিত আনসার আল-ইসলামের ২০ জন সন্দেহভাজন সদস্যকে পালানোর পরিকল্পনা এবং/অথবা কার্যকর করতে সহায়তা করার জন্য অভিযুক্ত করে।
ছিনিয়ে নেওয়া আসামিরা ২০২২ সালের শেষে পর্যন্ত পলাতক ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কারাগার ব্যবস্থায় মৌলবাদ থেকে সহিংসতা এবং সন্ত্রাসী নিয়োগ গুরুতর উদ্বেগ হিসেবেই রয়ে গেছে।
সিটিটিসিইউ (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৩ সালে বাংলাদেশের নির্বাচিত কারাগারগুলোতে বাস্তবায়নের জন্য সহিংসতা থেকে একটি সমন্বিত ‘ডেরাডিকালাইজেশন’ প্রোগ্রাম তৈরি শুরু করে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ৩ যুবককে গুলি
১১ মাস আগে
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ওয়াশিংটনের
বাংলাদেশের সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন, সহিংসতা পরিহার এবং শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
১৬ নভেম্বর (স্থানীয় সময়) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আমরা আমাদের বার্তায় অবিচল রয়েছি এবং ভোটের তারিখ ঘোষণার পরও সেই বার্তা একই রয়েছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, তারাও তাই চায়: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
মিলার বলেন, 'আমরা বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। মিলার বলেন, 'আমরা একটি রাজনৈতিক দলকে অন্য রাজনৈতিক দলের চেয়ে বেশি পছন্দ করি না।’
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মার্কিন দুই কংগ্রেসম্যানের সাক্ষাৎ
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশে অবস্থানরত তাদের কূটনীতিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অবশ্যই তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
মিলার বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে যে কোনো হুমকিকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিই। আমাদের কূটনৈতিক কর্মীদের প্রতি সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি গ্রহণযোগ্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে লক্ষ্য করে 'হুমকিমূলক বক্তব্য' -এর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা।’
মিলার স্মরণ করিয়ে দেন, যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশন ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারের একটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি তারা এই বাধ্যবাধকতাগুলো পালন করবে।’
আরও পড়ুন: বৃহত্তর সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতায় আসিয়ানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ: মোমেন
১ বছর আগে
‘হাসিনা সরকারকে অস্থিতিশীল করতে’ মার্কিন পদক্ষেপ দ. এশিয়ার জন্য ইতিবাচক নয়: ওয়াশিংটনকে দিল্লি
শেখ হাসিনা সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে তা প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের এবং দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক নয় বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছে ভারত।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অজ্ঞাত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানিয়েছে, বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমেরিকার বর্তমান ভূমিকায় ভারত খুশি নয় এবং এই বার্তা ওয়াশিংটনকেও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের মতো ভারতও ঢাকায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।
আর তিন সপ্তাহ পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন।
তার আগে ভারতের এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে বলে আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সাউথ ব্লক (ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান) মনে করে, জামায়াতে ইসলামীকে 'রাজনৈতিক ছাড়' দেওয়া হলে অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা মৌলবাদের দখলে চলে যাবে। উদার পরিবেশ যেটুকু রয়েছে, তা-ও আর থাকবে না।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার নিয়ে অত্যন্ত সোচ্চার যুক্তরাষ্ট্রের উচিত বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিকে হস্তান্তর করা: শাহরিয়ার
নয়াদিল্লি মনে করে বাংলাদেশে হাসিনার সরকার দুর্বল হলে তা ভারত বা আমেরিকার জন্য ভালো হবে না।
কূটনৈতিক সূত্রের মতে, নয়াদিল্লি একাধিক স্তরের বৈঠকে বাইডেন প্রশাসনকে এ তথ্য জানিয়েছে।
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পর পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত অঞ্চল একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। তালেবান এখন আফগানিস্তানের ক্ষমতার শীর্ষে।
মনে করা হচ্ছে, আফগানিস্তানের নারী, শিশু ও সংখ্যালঘুদের কথা বিবেচনা না করেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে চুক্তি করেছিল এবং এখন যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে কাবুলের পাশাপাশি ভারতের অন্যান্য প্রতিবেশী সম্পর্কে আমেরিকার নীতিও নয়াদিল্লির জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘতম স্থল সীমান্ত রয়েছে। ফলে সে দেশের যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি ভারতেও প্রভাব ফেলে।
সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লি বাইডেন প্রশাসনকে জানিয়েছে, জামায়াতকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হলে ভারতের আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস বাড়তে পারে এবং বাংলাদেশে চীনের প্রভাব অনেক বেড়ে যাবে; যা ওয়াশিংটনের কাম্য নয়।
মনে করা হচ্ছে, আমেরিকা জামায়াতকে বরাবর একটি রাজনৈতিক ইসলামিক সংগঠন হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামায়াতকে মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে তুলনা করে আমেরিকা। কিন্তু বাস্তবে, জামায়াত যে উগ্র মৌলবাদী সংগঠন এবং পাকিস্তানের হাতে তামাক খায়, এ বিষয়ে নয়াদিল্লি নিঃসন্দেহ।
বাইডেন প্রশাসন শুধু বাংলাদেশের জন্য পৃথক ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। ওই সূত্রের উল্লেখ করে আনন্দবাজার জানায়, নয়াদিল্লি এটাকে মোটেও ন্যায়সঙ্গত মনে করে না।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে গ্রহণ করতে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের পরামর্শকে না বলেছে বাংলাদেশ: মোমেন
নতুন এই ভিসা নীতির ফলে যারা বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ব্যাহত করার চেষ্টা করবে, তারা আমেরিকায় প্রবেশের অধিকার পাবে না।
কূটনৈতিক শিবির মনে করে, আমেরিকার প্রশাসন সরাসরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলাতেই নিজের দেশের আইন প্রয়োগ করে সে দেশের জন্য পৃথক ভিসা নীতি গ্রহণ প্রণয়ন করেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নয়াদিল্লি সফর করে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ও কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
সেখানে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার ক্ষেত্রে বিএনপি-জামায়াত জোট বিপজ্জনক বলেও বার্তা দিয়েছেন তারা।
প্রতিনিধিদলের নেতা কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে একটি ইতিবাচক বৈঠক করেছেন।
ওই বৈঠকের পরপরই তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতকে বলেছি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা উভয় রাষ্ট্রের জন্যই জরুরি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে বাংলাদেশের মাটিকে ভারতবিরোধী কার্যকলাপে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: ভারতের ভবিষ্যৎ ও নিরাপত্তা বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত: জ্যেষ্ঠ এমইএ কর্মকর্তা
১ বছর আগে
ঢাকা-ওয়াশিংটন বিস্তৃত সম্পর্ক মতভেদ নিয়ে অবাধে বিতর্ক করার সুযোগ দিয়েছে: শাহরিয়ার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম মঙ্গলবার বলেছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্ব গভীর ও বিস্তৃত হয়েছে, যা তাদেরকে মতভেদ নিয়ে খোলামেলা বিতর্ক করার সুযোগ দিয়েছে।
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যকার এই ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততা তাদেরকে পরিপূরক ও প্রান্তিককরণভাবে পারস্পরিক লাভবান হওয়ার জন্য ঘনিষ্ঠভাবে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ দেয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আমরা দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বন্ধুদের কাছে অংশীদারিত্বের অনুসন্ধান করেছি এবং (ভবিষ্যতেও) চালিয়ে যাব।’
প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের এ ধরনের আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততাকে সংকীর্ণ প্রিজম থেকে না দেখে, বরং উন্নয়নের জন্য তাদের বাস্তবসম্মত অনুসন্ধান হিসেবে দেখা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও দু’দেশের মানুষের মেলবন্ধনের স্মারক হিসেবে 'রুটস অব ফ্রেন্ডশিপ: ৫০ ইয়ারস অব ইউএস-বাংলাদেশ রিলেশনস'- শীর্ষক এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে তিনি এ কথা বলেন।
এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস অ্যান্ড দ্য আর্টস (ইএমকে) এ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থনকারীদের যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই: রাষ্ট্রদূত হাস
শাহরিয়ার বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বে আমরা একসঙ্গে কী করতে পারি তার একটি প্রকৃত উদাহরণ কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই। আমরা বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রতি মার্কিন সরকারের অব্যাহত সমর্থনের প্রশংসা করি।’
তবে তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও দণ্ডিত খুনি রাশেদ চৌধুরীর দীর্ঘদিনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশে প্রত্যাবাসন গভীর অনুশোচনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও স্মার্ট দেশ হওয়ার আশা ও আকাঙ্খা নিয়ে মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৪ কোটির বেশি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফরের ঐতিহাসিক ছবি দেখে আপনারা মুগ্ধ হবেন। এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি রাষ্ট্রপ্রধান কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।’
তিনি বলেন, প্রদর্শনীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্বকারী সব বাংলাদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের ঐতিহাসিক ছবি প্রদর্শিত হয়, যখন তারা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, এই ছবিগুলো সুশাসনের প্রতি মার্কিন প্রতিশ্রুতি, বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা এবং একটি কার্যকরী গণতন্ত্রের স্তম্ভ হিসেবে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বোঝায়।
৫০ বছরের বেশি বন্ধুত্বের প্রতিনিধিত্বকারী ঐতিহাসিক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘আমি সুশাসন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা অর্জনে বাংলাদেশকে সমর্থন করার প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।’
আরও পড়ুন: উন্নয়ন অংশীদারিত্বে বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে ঢাকা ও দিল্লির সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা: প্রণয় ভার্মা
১ বছর আগে
ওয়াশিংটনের উদ্দেশে টোকিও ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের দ্বিতীয় ধাপে শুক্রবার ওয়াশিংটনের উদ্দেশে টোকিও ত্যাগ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার জাপানে তার চার দিনের সরকারি সফর শেষ করেছেন। তিনি জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে ২৫ এপ্রিল টোকিও এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ একাই গণতন্ত্র চর্চা করে ও বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট শুক্রবার জাপান সময় বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ১২টা ৫৫ মিনিট) হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে।
ফ্লাইটটি ওয়াশিংটনের সময় বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে ওয়াশিংটনের ডুলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
শেখ হাসিনা ১ মে ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড আর ম্যালপাস তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
২৯ এপ্রিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তুলে ধরে আগামী ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে 'রিফ্লেকশন অন ৫০ ইয়ারস অব বাংলাদেশ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংক পার্টনারশিপ' শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
সেমিনারে প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বক্তৃতা করবেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা এবং বিগত পাঁচ দশকে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রম তুলে ধরা হবে।
এছাড়া 'বাংলাদেশ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ৫০ ইয়ারস অব পার্টনারশিপ' শীর্ষক মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।
একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ৯ মে দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে মধ্যস্থতা করতে পারে জাপান: প্রধানমন্ত্রী
৪ দিনের জাপান সফর শেষে শুক্রবার ওয়াশিংটন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
৪ দিনের জাপান সফর শেষে শুক্রবার ওয়াশিংটন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের দ্বিতীয় ধাপে শুক্রবার ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে টোকিও ত্যাগ করবেন।
তিনি শুক্রবার জাপানে তার চার দিনের সরকারি সফর শেষ করছেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে তিনি গত ২৫ এপ্রিল টোকিও যান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনুসারে, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট জাপান সময় শুক্রবার বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে এবং ওয়াশিংটন সময় বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে ওয়াশিংটনের ডুলস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
শেখ হাসিনা ১ মে ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড আর ম্যালপাস তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
২৯ এপ্রিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু জাপান: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তুলে ধরে আগামী ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে 'রিফ্লেকশন অন ৫০ ইয়ারস অব বাংলাদেশ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংক পার্টনারশিপ' শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
সেমিনারে প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বক্তৃতা করবেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা এবং বিগত পাঁচ দশকে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রম তুলে ধরা হবে।
এছাড়া 'বাংলাদেশ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ৫০ ইয়ারস অব পার্টনারশিপ' শীর্ষক মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।
একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: জাপানের ‘মিরাইকান’ জাদুঘর পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২’ উদযাপন
ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২’ উদযাপন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার দূতাবাস তার বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আইসিটি ডিভিশন প্রযোজিত দিবসের থিম সং প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
পরে বাংলাদেশে ডিজিটালাইজেশনের অগ্রগতির ওপর একটি সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান ২০০৯ সালে সরকার যুগোপযোগী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ক্যাম্পেইন শুরু করার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশে ডিজিটালাইজেশনের অসাধারণ অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় দূতাবাস খুলবেন বলে জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
ঢাকা-ওয়াশিংটন শ্রম অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে আলোচনা
বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করেছে যে উত্তর আমেরিকার দেশ কীভাবে বাংলাদেশিদের শ্রম অধিকার সুরক্ষা ও দুই দেশের মধ্যে আরও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উন্নত করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সহায়তা করতে পারে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি ও পরিবেশ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জোসে ডব্লিউ ফার্নান্দেজ ইউএস-বাংলাদেশ লেবার ওয়ার্কিং গ্রুপের উদ্বোধনী বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের কার্যালয় অনুসারে, বৈঠকে উভয়পক্ষ বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা ও সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেছে। কারণ এটি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার রোডম্যাপের জন্য বাংলাদেশের তৈরি প্রয়োজনীয়তাগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আরও পদক্ষেপ নেয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার মেনে চলে।
২ বছর আগে