সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিদেশি মিডিয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: আইএসপিআর
সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বার্থান্বেষী মহল যে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচার চালাচ্ছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
রবিবার আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দেশে-বিদেশে সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন করাই এর মূল লক্ষ্য।’
আরও পড়ুন: বান্দরবানে অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৯ সদস্য গ্রেপ্তার: আইএসপিআর
আইএসপিআর জানায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণ ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিদ্যমান আইন মেনে চলছে। একই সঙ্গে দেশের সংবিধান সমুন্নত রাখার জন্য বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় কাজ করছে।
এসব স্বার্থান্বেষী মহল প্রচারিত এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ও সংবাদে বিভ্রান্তি রোধে জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, দেশের স্বার্থ রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
দেশজুড়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি অবনতির মধ্যে, জনসাধারণকে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান এবং মূল স্থাপনাগুলো সুরক্ষিত করার জন্য ২০ জুলাই সকাল থেকে সেনাবাহিনীকে সুনির্দিষ্ট এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর উপস্থিতি দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নৈরাজ্য মোকাবিলায় সহায়ক হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
আরও পড়ুন: সেন্ট মার্টিনের নিরাপত্তা নিয়ে গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান আইএসপিআরের
বান্দরবানে সেনা অভিযানে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত: আইএসপিআর
৩ মাস আগে
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, যা শিক্ষাক্রমের অংশ নয়, আমাদের প্রশিক্ষণেরও অংশ নয়, এমন ভিডিওসহ বিভিন্ন বিষয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ব্যাপক মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অতীতের কোনো প্রশিক্ষণে (যা মাধ্যমিকের নয়) প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে নিজেরা নিজেরা বিনোদনের অংশ হিসেবে নিজেরা যে প্রাকটিস করেছে সেই রকম কিছু ভিডিও সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে এইগুলো প্রশিক্ষণ। এমনকি নতুন ভিডিও তৈরি করেও ছড়িয়ে দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট সিটিজেনরাই স্মার্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রে থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠাভ্যাস উন্নয়নে দেশের ১৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩১ লাখ নির্বাচিত বই (পাঠ্যপুস্তক ছাড়া) বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ানক রকম অপপ্রচার চলছে। সেটি করা হচ্ছে— ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থ হানি হওয়ার ভয়ে। কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছেন। তার সঙ্গে এখন তো নির্বাচনের মৌসুম।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের ক্ষেত্রে যারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থাকেন, তাদের উসকানি যুক্ত হয়ে গেছে। অতি ডান ও অতি বামের উসকানিও যুক্ত হয়ে গেছে।
শিক্ষাক্রম নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে অভিভাবকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের বাচ্চারা কত নম্বর পেল; জিপিএ-৫ পেল কি না; প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হলো কি না; অন্যের বাচ্চার চেয়ে আমার বাচ্চা বেশি নম্বর পেল কিনা- এই বিষয়গুলো নিয়ে অতিমাত্রায় ব্যস্ত ছিলেন বাবা-মায়েরা।
তিনি বলেন, সে জায়গা থেকে বেরিয়ে প্রত্যেকটি কাজে সহযোগিতার জায়গায় তারা কাজ করছেন। এই বিষয়গুলোর জন্য বাবা-মায়ের কিছু সংশয় তো কাজ করছেই। সেগুলোকে এই গোষ্ঠী (মিথ্যাচারকারী) কাজে লাগাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি অভিভাবকদের বলব— একটু দেখুন, আপনার সন্তানদের দিকে তাকিয়ে দেখুন। আপনার বাচ্চা যদি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে, তাহলে তার আচার-আচরণ পরিবর্তন হয়েছে। সে কত নম্বর পেয়েছে সেদিকে নজর না দিয়ে সে শিখল কি না, সেদিকে নজর দিন। একটু ধৈর্য ধরুন।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে দেশের ৮ শতাধিক বিশেষজ্ঞ নতুন কারিকুলাম প্রনয়ণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সবাইকে কোনো না কোনোভাবে এর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ওয়েবসাইটে রেখে জনগণের মতামত, পরামর্শ নেওয়া হয়েছে, সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, সবশেষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে, কিছু পরামর্শসহ তিনি অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা পাইলটিং করেছি। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, সব বইকে আমরা বলছি পরীক্ষামূলক সংস্করণ, আমরা মনে করিনি— আর পরিশীলন, পরিমার্জন দরকার নেই, একবারে চূড়ান্ত। আমরা মনে করি— এই বইগুলো আরও পরিশীলন, পরিমার্জনের সুযোগ রয়েছে। সেজন্য সবার পরামর্শ গ্রহণ করছি।
আরও পড়ুন: সময়মতো বই দিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে: শিক্ষামন্ত্রী
১১ মাস আগে
কিছু ফিলিস্তিনি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর বায়োতে 'সন্ত্রাসী' উল্লেখ করায় ক্ষমা চেয়েছে মেটা
নিজেদের ফিলিস্তিনি হিসেবে পরিচয় দেওয়া কিছু ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর ‘বায়ো’তে 'সন্ত্রাসী' উল্লেখ করার জন্য ক্ষমা চেয়েছে টেক জায়ান্ট ফেসবুকের প্রধান কোম্পানি মেটা।
মেটা বলেছে, মাধ্যমটির কিছু ক্ষেত্রে ‘অনুপযুক্ত আরবি অনুবাদের কারণে’ সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।
তারা ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছে, ‘আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত যে এটি ঘটেছে।’
ইসরায়েল-গাজা সংঘাতের সময় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানানো কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে প্ল্যাটফর্মটির বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: গাজায় 'মানবিক বিরতির' আহ্বান জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের ব্যর্থতায় ফ্রান্সের দুঃখ প্রকাশ
কিছু ব্যবহারকারী বলছেন, ফিলিস্তিনপন্থী পোস্টের জন্য ইনস্টাগ্রামে তাদের 'শ্যাডো ব্যান' (ব্যবহারকারীকে না জানিয়েই তার কনটেন্ট নিউজফিডে দেখানো থেকে বিরত রাখা) করা হয়েছে।
ব্যবহারকারীরা দাবি করেছেন, সংঘাতের কথা উল্লেখ করে স্টোরিজের ২৪ ঘণ্টার পোস্টে অন্যদের তুলনায় কম ভিউ পেয়েছেন তারা এবং অনুসন্ধানে তাদের অ্যাকাউন্টগুলো সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না।
প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা স্বীকার করেছে, একটি বাগ (ত্রুটি) স্টোরিজকে প্রভাবিত করেছে। তবে বিষয়বস্তুর সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ দোয়া বাংলাদেশে
ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তারেকের বক্তব্য মুছে ফেলতে বিটিআরসিকে হাইকোর্টের নির্দেশ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সব বক্তব্য ও ভিডিও কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে মুছে ফেলার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এসময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা উচ্চস্বরে আদেশের প্রতিবাদ করায় আদালত কক্ষে বিশৃঙ্খল দেখা যায়। একপর্যায়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম হট্টগোলের মধ্যে আদালত কক্ষ ত্যাগ করেন।
বিচারপতিরা যখন আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন তখন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ‘লজ্জা, লজ্জা’ বলে চিৎকার করছিলেন। দুপুর ২টা পর্যন্ত বিচারপতিরা আদালতে ফিরে আসেননি।
বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বেঞ্চের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে অনাস্থা আপিল জমা দেওয়া হয়েছে।
তারেক রহমানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষিদ্ধ করার জন্য ২০১৫ সালে একটি রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাসরীন সিদ্দিকী লিনা।
২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি রিট আবেদনের শুনানি চলাকালে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। আদেশে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিটিভির মহাপরিচালক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, একুশে টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক, কালের কণ্ঠের সম্পাদক এবং তারেক রহমান নিজেসহ একাধিক সরকারি কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
সাড়ে আট বছর পর চলতি বছরের ২ আগস্ট রিট আবেদনের পক্ষে আইনজীবী কামরুল ইসলাম শুনানির আবেদন করেন।
৮ আগস্ট মামলার শুনানি চলাকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।
১ বছর আগে
ইউটায় অপ্রাপ্তবয়স্কদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে লাগবে অভিভাবকের সম্মতি
ইউটা যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাজ্য যেখানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে মা-বাবার সম্মতি নিতে হবে এবং ব্যবহারকারীদের কমপক্ষে ১৮ বছর বয়স যাচাই করতে হবে।
গভর্নর বলেন, তিনি রাজ্যের তরুণদের সুরক্ষার জন্য দুটি ব্যাপক পদক্ষেপে স্বাক্ষর করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নতুন এই পদক্ষেপের অধীনে মা-বাবাকে পোস্ট ও ব্যক্তিগত বার্তাসহ তাদের সন্তানদের অনলাইন অ্যাকাউন্টগুলোয় সম্পূর্ণ প্রবেশাধিকার দেবে।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যেই এই পদক্ষেপ নেয়া হল।
আরও পড়ুন: টুইটারের নিয়ন্ত্রণে ইলন মাস্ক, শীর্ষ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত
বৃহস্পতিবার প্রণীত আইন অনুযায়ী, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ও টিকটকের মতো মাধ্যমগুলোতে শিশু-কিশোরদের অ্যাকাউন্ট তৈরি করার আগে তাদের মা-বাবা বা অভিভাবকের স্পষ্ট সম্মতি প্রয়োজন হবে।
উক্ত আইনে রাত সাড়ে ১০টা থেকে সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত অপ্রাপ্তবয়স্কদের এই মাধ্যম বা অ্যাপলিকেশনগুলো ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে মা-বাবার পর্যবেক্ষণে ব্যতিক্রম হতে পারে।
এই আইন অনুযায়ী, সংস্থাগুলো আর কোনো শিশুর তথ্য সংগ্রহ করতে বা বিজ্ঞাপনের জন্য টার্গেট করতে পারবে না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া আরও সহজ করার জন্য তৈরি করা দুটি বিল ২০২৪ সালের ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: টুইটারের ৭৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা ইলন মাস্কের
১ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচারকের সঙ্গে অসদাচরণ: ভিডিও অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে গালাগালের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণ করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইয়াবা জব্দ, দম্পতিসহ গ্রেপ্তার ৩
এর আগে আদালতের তলবের প্রেক্ষিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর আহমেদ ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) মো. আক্কাস আলী এবং জুবায়ের ইসলাম হাইকোর্টে হাজির হন।
তাদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল, শাহ মঞ্জুরুল হক, সাঈদ সাঈদ আহমেদ রাজাসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী।
ওই ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে দুই মাস সময় চান আইনজীবীরা। পরে আদালত ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেন। ওই দিন তিন আইনজীবীকে আবারও আসতে বলা হয়েছে।
শুনানিতে আদালত বলেন, এর আগে খুলনা-পিরোজপুরে এমন ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের ঘটনা রোধ করতে না পারলে বিচার বিভাগ থাকবে? রাষ্ট্র থাকবে? আমরা থাকবো? যে ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে এটা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। এর আগে আমরা নমনীয় ভাব দেখিয়েছি। এছাড়া এবার নমনীয় ভাব দেখানো হবে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুককে গালিগালাজ করার ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ তিনজনকে ৫ জানুয়ারি তলব করেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা নিহত
ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ মোতায়েন
১ বছর আগে
টুইটারের নিয়ন্ত্রণে ইলন মাস্ক, শীর্ষ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত
ইলন মাস্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। এরপরেই মাধ্যমটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ও এর শীর্ষ আইনজীবীকে বরখাস্ত করেন। মাস্কের টুইটার কিনে নেয়ার চুক্তির সঙ্গে পরিচিত দুই ব্যক্তি বিষয়টি বৃহস্পতিবার রাতে জানান।
তবে তারা চার হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের এই চুক্তির সমস্ত কাগজপত্র স্বাক্ষরিত বা চুক্তিটি বন্ধ হয়েছে কি না তা বলেননি। কিন্তু তারা বলেছেন যে ইলন মাস্ক মাধ্যমটির দায়িত্বে আছেন এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পরাগ আগরওয়াল, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা নেড সেগাল ও প্রধান আইনি পরামর্শদাতা বিজয়া গাড্ডেকে বরখাস্ত করেছেন। চুক্তিটির সংবেদনশীলতার জন্য কেউই পরিচয় জানায়নি।
কয়েক ঘন্টা পরে মাস্ক টুইট করেন, ‘পাখিটিকে মুক্ত করা হয়েছে।’
২ বছর আগে
বার্তা আদানপ্রদান করতে না পারার অভিযোগ করেছেন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা
বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের ব্যবহারকারীরা হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা আদানপ্রদানের সমস্যার কথা জানিয়ে অভিযোগ করছেন। অভিযোগে তারা অ্যাপটিতে বাগ (সফটওয়্যার ত্রুটি) থাকতে পারে বলে উল্লেখ করছেন।
বিশ্বজুড়ে অনলাইনে এই ধরনের সমস্যা পর্যবেক্ষণ করে এমন একটি ওয়েবসাইট ডাউনডিটেক্টর জানিয়েছে, বার্তা আদানপ্রদানে সমস্যার অভিযোগ বেড়েই চলেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের ব্যবহারকারীরা মেসেজিং পরিষেবা ব্যবহার করতে পারছেন না। ইতালি ও তুরস্কের ব্যবহারকারীরাও অ্যাপটি ব্যবহার করতে না পারার কথা জানিয়েছেন।
ডাউনডিটেক্টর অনুসারে, বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের হিসাব অনুযায়ী ভারতে ১১ হাজারের বেশি ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপের এই বিভ্রাটের কথা জানিয়েছেন। যেখানে যুক্তরাজ্য ও সিঙ্গাপুরে এই সংখ্যা যথাক্রমে ৬৮ হাজার ও ১৯ হাজার।
হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেভা পুনরায় চালু করার লক্ষ্যে কাজ করছেন বলে দাবি করেছে।
অ্যাপটির প্রধান কোম্পানি মেটার একজন মুখপাত্র জানান, কিছু ব্যবহারকারী বার্তা আদানপ্রদানে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা আমরা অবগত। হোয়াটসঅ্যাপ সবার জন্য পুনরায় চালু করতে আমরা কাজ করছি।
২ বছর আগে
রক্ষণশীল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘পার্লার’ কিনবেন র্যাপার কানি ওয়েস্ট
কানি ওয়েস্ট বা ইয়ে, মার্কিন এই র্যাপ তারকা রক্ষণশীল বন্ধুত্বপূর্ণ সামাজিক যোগাযোগের নেটওয়ার্ক পার্লার কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। কিছুদিন আগেই তিনি সেমেটিকবিরোধী (জাতিগোষ্ঠী সম্পর্কিত) পোস্ট দেয়ার কারণে টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারের অধিকার হারান। ঠিক এরপরেই রক্ষণশীল সামাজিক নেটওয়ার্ক কেনার বিষয়টি বিনোদন পাড়ায় বেশ কৌতূহল জাগিয়েছে।
পূর্বে তিনি কানি ওয়েস্ট নামে পরিচিত থাকলেও আইনগত ইয়ে নামে পরিচিত তারকার একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিজের দখলে আনলে কি সুবিধা পেতে পারেন এমন প্রশ্ন অনেকেই করছেন। প্রচলিত সামাজিক মাধ্যম থেকে ভিন্ন এখানে তিনি কোনো ধরনের বিচার-বিবেচনা ছাড়াই যা মন চাইবে তাই প্রকাশ করতে পারবেন। কিন্তু এ প্রশ্নও উঠছে যে নতুন এই মাধ্যমে তার কথা শুনবে কে!
নতুন ধরনের ডানপন্থী, অতি-ডানপন্থী ও স্বাধীনতাবাদী যেসব সামাজিক মাধ্যম রয়েছে যেখানে মূলত নিয়ম ও পরিবর্তনের বালাই কম, যাতে বাকস্বাধীনতার সুযোগ রয়েছে যথেষ্ট, সে হিসেবে পার্লারের ব্যবহার খুবই কম। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে প্রতিযোগিতাও কম। এর ব্যবহারকারী মূলত বয়স্ক ব্যক্তিরা, যারা মূলত অনলাইনে রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন। তাই মূলধারার মাধ্যমগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই পার্লারের।
আরও পড়ুন: ‘গ্যাংস্টা'স প্যারাডাইস’ র্যাপার কুলিও মারা গেছেন
টুইটার কিনে নেয়ার প্রক্রিয়া যদি ইলন মাস্ক সম্পন্ন করেন তাহলে সামগ্রিক বিষয় পার্লারের জন্য আরও জটিল হতে পারে। কারণ মাস্ক টুইটারের নিয়ম, নীতি ও কন্টেন্ট পরিবর্তনের ক্ষেত্রে শিথিলতা আনবেন এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আবারও টুইটারে ফিরিয়ে আনবেন। নিজেদের মতাদর্শগত কারণে স্বাধীনতাবাদী বা অতি-ডানপন্থী যারা টুইটার ছেড়েছেন, তারা যদি আবারও মাধ্যমটিতে ফিরে আসে তাহলে পার্লার, গ্যাব, ট্রাম্পের ট্রুথ সোশালের মতো মাধ্যমগুলোর করুণ দশা হবে। যা ব্যবহারকারী রয়েছে তাও হারাতে বসবে।
পার্লারের মালিক পার্লেমেন্ট টেকনোলজিস ও ওয়েস্ট সোমবার জানিয়েছে, অধিগ্রহণের কাজটি বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে সম্পন্ন করা হবে। তবে এর পেছনে কত খরচ করা হবে ও অন্যান্য বিবরণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ‘মার্ডার শি রোট’ তারকা অ্যাঞ্জেলা ল্যান্সবেরি মারা গেছেন
ঐশীর গানে বলিউড তারকা ওয়ারিনা হুসাইন
২ বছর আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: প্রেস সচিব
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম শনিবার ইউএনবিকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।
তিনি বলেন, ‘ফেসবুক,টুইটার বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে মিথ্যা ও ভুয়া পোস্টে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য প্রেস সচিব সবাইকে অনুরোধ করেন।
২ বছর আগে