ত্রিমুখী সংঘর্ষ
নবাবগঞ্জে ত্রিমুখী সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা নিহত
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে পিকআপ, ট্রাক ও মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে যুবলীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা খন্দকার মনসুর আলী নিহত হয়েছে।
শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরের দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পিকআপ চালকসহ আহত হয়েছে আরও দুইজন।
আরও পড়ুন: সিলেটে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নিহত ১
নিহত খন্দকার মনসুর আলী (৪৫) কালিয়া গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে। তিনি যুবলীগের পুটিমা ইউনিয়ন কমিটির সহসভাপতি ছিলেন।
নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা বলেন, ‘বাজেতপুর বাজার এলাকায় বিপরীতমুখী একটি পিকআপ ও বালু বহনকারী ট্রাকের দুর্ঘটনার মাঝে পড়েন যুবলীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা মোটরসাইকেল চালক মনসুর আলী। ঘটনাস্থলে নিহত হন তিনি। পিকআপ চালকসহ আহত হয়েছে আরও দুইজন।’
আরও পড়ুন: খুলনায় সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত, আহত ২৫
শরীয়তপুরে মেঘনায় ট্রলারডুবিতে নিহত ২, নিখোঁজ ৩
৩ মাস আগে
কোটা আন্দোলনকারী-পুলিশ-ছাত্রলীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বগুড়া
কোটা সংস্কারের দাবিতে বগুড়ায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে এ ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশের টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে সাতমাথা এলাকা দখলে নেয় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরকারি আজিজুল হক কলেজের নিকটবর্তী কামারগাড়ী রেল গেইট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি অধ্যক্ষের বাসভবনের সামনে দিয়ে কলেজের মূল ক্যাম্পাস অতিক্রম করে রেল গেইটের সামনে পৌঁছে সাতমাথা-তিনমাথা সড়ক অবরোধ করে। সেখানে আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ মিনিট সড়ক অবরোধ করে রাখার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের
এরপর বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ ক্যাম্পাসে বিকট শব্দে ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রাস্তা থেকে সরে যান। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসের দখল নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে।
এদিকে, বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলার প্রতিবাদে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী শহরের বনানী-সাতমাথা রোড কয়েক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন।
মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা ইউনিফর্ম পরে মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামে। মিছিলটি বনানীর দিকে যাওয়ার সময় শাহসুলতান কলেজ থেকে কোটার সমর্থকরা মিছিলে হামলা চালায়। এসময় তাদের লাঠির আঘাতে একজন শিক্ষার্থী আহত হন। তাকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পলিটেকনিকের সামনে ফিরে এসে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এসময় দুই পক্ষই ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে।
এরপর পলিটেকনেকের শিক্ষার্থীরা লাঠি হাতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। একপর্যায়ে সাংবাদিকের একটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। এসময় বনানী-সাতমাথা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
অন্যদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বগুড়া জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা দুপুরে মিছিল বের করলে তাদের মিছিলে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ককটেলের আঘাতে জিলা স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্কুলের শত শত সাবেক ও বর্তমান ছাত্র সাতমাথায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এসময় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে থেকে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে তিন থেকে চারটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়।
পুলিশের সামনেই একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটলেও পুলিশ নীরব ছিল বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কারের দাবিতে ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
একপর্যায়ে বিকাল ৩টার দিকে সাত থেকে আট হাজার শিক্ষার্থী শহরের জিরো পয়েন্ট-সাতমাথা দখলে নেয়। এসময় আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে থেকে ফের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করলেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা দমে যায়নি। বরং চারদিক থেকে ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে ফেলে। কিছু সময় উভয় পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপের পর শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাতমাথায় অবস্থিত মুজিব মঞ্চ দখল করে বিজয়োল্লাস করতে থাকেন। এসময় আওয়ামী লীগ অফিসের আশপাশে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে অবস্থিত পুলিশের অস্থায়ী বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধরা। দীর্ঘ সময় আগুন দাউ দাউ করে জ্বললেও নেভানোর জন্য সেসময় কেউ এগিয়ে যায়নি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা শহরের জিরো পয়েন্ট অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতারের নেতৃত্বে বিকাল ৫টার পর ডিবির একটি টিম আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এসময় জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা পুলিশকে পিছু হটতে বাধ্য করে।
পরবর্তীতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে সাতমাথা দখলে নেয়। প্রতিবাদে ছাত্ররাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ ঘটনায় কোনো পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে কি না জানা যায়নি। তবে বেশকিছু শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, সন্ধ্যার পর শহরের গালাপটি্টস্থ শহর বিএনপি অফিসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। একইসঙ্গে জেলা শ্রমিকদলের অফিসেও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি এ ঘটনার জন্য যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম মঙ্গলবার সন্ধা সোয়া ৬টার দিকে বলেন, ‘বগুড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকার সায়েন্সল্যাব এলাকায় আহত যুবকের মৃত্যু
৪ মাস আগে
সিলেটে ত্রিমুখী সংঘর্ষে বাবা-ছেলের মৃত্যু
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার হুমায়ুন রশীদ চত্বর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- সিলেটের নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজের অনকোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তৌহিদুর রশিদ চৌধুরী (৪৫) ও তার ছেলে তালহা বিন তৌহিদ চৌধুরী (১৬)। এছাড়া, এ ঘটনায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান।
আরও পড়ুন: সিলেটে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
তিনি জানান, তাদের বহনকারী অটোরিকশাটি শহরের দিকে আসছিল এবং ট্রাকটি আসছিল এর বিপরীত দিক থেকে। অটোরিকশাটি হুমায়ূন রশীদ চত্ত্বর পার হয়ে শাহজালাল ব্রিজের দক্ষিণ পাশে আসলে ট্রাক, অটোরিকশা ও কাভার্ডভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।
ওসি বলেন, দ্রুত তাদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তবে, হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে তারা জানান। নিহতদের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান আটক করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: সিলেটের কদমতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় বাসে আগুন
সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রবাসের পাশ থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
১০ মাস আগে
মিরসরাইয়ে দাড়িয়ে থাকা দুই গাড়িকে কার্ভাডভ্যানের ধাক্কা, নিহত ২
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কার্ভাডভ্যান, মিনি ট্রাক ও অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষে দুইজন নিহত এবং কমপক্ষে চারজন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সুফিয়া রোড এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-ট্রাক চালক ইকবাল হোসেন (৪৫) ও অটোরিকশার মোহাম্মদ ফরিদ (৪২)। নিহত ইকবাল হোসেন মিরসরাইয়ে সেচ্ছাসেবক দলের নেতা ছিল বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সুফিয়া রোড এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছবোঝাই একটি মিনি ট্রাক ও বেকারির পণ্যবহী একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয় চট্টগ্রামমুখী একটি কাভার্ডভ্যান। এ সময় অটোরিকশা ও মিনিট্রাক দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে দু’জন মারা গেছেন। পরে আহত চারজনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ সোহেল সরকার বলেন, সকালে সুফিয়া রোড এলাকায় দ্রুতগামী একটি কাভার্ডভ্যান সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুইটি গাড়িকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে দু’জন মারা যায়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ঘাতক কাভার্ডভ্যান চালককে আটক করা হয়েছে।
নিহতদের লাশ বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে সিএনজিতে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ৩
১ বছর আগে
আড়াইহাজারে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, ৩ পুলিশসহ আহত ২০
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের প্রথমদিনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে আড়াইহাজারের পাঁচরুখী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় অবরোধকারীরা দুটি বাস ভাঙচুর করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককের পাঁচরুখীতে বিএনপি নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। বিএনপি নেতা-কর্মীরা সড়কের উপর গাছের গুঁড়ি, সিমেন্টের পিলার ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় লাঠিসোটা হাতে তারা সরকার বিরোধী শ্লোগান দিতে থাকে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে আহত ১০, আটক ৫
একই সময়ে বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করলে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে ত্রিমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় একটি বিআরটিসি বাসসহ দুটি বাস ভাঙচুর করে অবরোধকারীরা।
আড়াইহাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ জানান, মঙ্গলবার বিএনপি নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা হাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ব্যারিকেড দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা অবরোধ করছেন। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশের উপর হামলা চালায় তারা।
তিনি জানান, এ সময় তারা তিন পুলিশ সদস্য কুপিয়ে আহত করে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, আড়াইহাজারের পাঁচরুখী এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিএনপি নেতা-কর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে তারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল। আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
তিনি বলেন, বিএনপিকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার সময়ে তাদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ও ককটেল বিস্ফোরণে আমাদের তিন পুলিশ সদস্য গুরুতরসহ ছয়জন আহত হয়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে পর্যন্ত পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাতুয়াইলে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে ৪ পুলিশ আহত, আটক ৩০
কিশোরগঞ্জে বিএনপি-আ. লীগ-পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ২
১ বছর আগে
পাবনায় সড়কে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২
পাবনার ঈশ্বরদীতে ট্রাক-সিএনজি ও শ্যালো ইঞ্জিন চালিত পাওয়ার টিলারের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ২ জন।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ঈশ্বরদী বানেশ্বর আঞ্চলিক সড়কের ঈশ্বরদী সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারী স্কুল এ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নাটোরের লালপুর পুরাতন ঈশ্বরদীর জেহের মোল্লার ছেলে আসান মোল্লা (৬৫) ও দক্ষিণ লালপুরের আব্দুল জলিলের ছেলে জিন্নাত আলী (৫৪)।
আহতরা হলেন- সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আলাইপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মাহাবুল (৩২) ও ঈশ্বরদীর আওতাপাড়া গ্রামের আলা মন্ডলের ছেলে আব্দুল মালেক (৩০)।
আরও পড়ুন: পাবনায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারী স্কুল এ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন একটি খড়ি বহনকারী শ্যালো ইন্জিন চালিত পাওয়ার টিলার, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ট্রাকের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজি চালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী মারা যান।
গুরুতর আহত অবস্থায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ও যাত্রীকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছেন।
তিনি আরও জানান, এছাড়া দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজি চালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: পাবনায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে ২৪ জেলে আটক
১ বছর আগে
রাজশাহীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৩
রাজশাহীর মোহনপুরে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বাকশৈল এলাকায় রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে এ দর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা হতাহতদের উদ্ধার করেন।
নিহতরা হলেন- জেলার মোহনপুর উপজেলার মোহনপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (২৮), সাঁকোয়া গ্রামের আবুল হোসেন (৭৫) ও বাগমারা উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের জিয়াপাড়া গ্রামের গরু ব্যবসায়ী আজিবর রহমান (৪০)।
আহতরা হলেন- মোহনপুর উপজেলার আমরাইল গ্রামের মজিবর রহমান (৬০), তৈয়বুর রহমান (৪৫), গাঙ্গোপাড়া গ্রামের আনসারুজ্জামান(৮০), বাগমারা উপজেলার জিয়াপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন (৩২) ও ভটভটি চালক মামুন (৩৫)।
আরও পড়ুন: বিজিবির সঙ্গে সংঘর্ষে রোহিঙ্গা নিহত
মোহনপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের বাকশৈল গ্রামের গরুবাহী ইঞ্জিনচালিত ভটভটি, অটোরিকশা ও বাইসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত ও আহত হয়েছে পাঁচজন হয়েছে।
আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিদাস মণ্ডল বলেন, এই ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে।
আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে বাসের সঙ্গে সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
১ বছর আগে
ফেনীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে সংবাদকর্মীসহ আহত ৫০
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফেনীতে বিএনপির পদযাত্রার সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।
আহতদের অধিকাংশই নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে ফেনী শহরের ইসলামপুর রোড এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপির মিছিলে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগকারীদের শাস্তি হবে: ডিবি প্রধান
পরে সংঘর্ষে যোগ দেয় আওয়ামী লীগও। এতে শহরের খেঁজুর চত্তর থেকে শহীদ শহিদুল্লহ কায়সার সড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ সময় সংবাদ সংগ্রহে মোহনা টিভি ও স্থানীয় দৈনিক ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক তোফায়েল আহমেদ নিলয়, মুস্তাফিজ মুরাদ, ফেনীর তালাস প্রতিনিধি আকাশ, মানবজমিন ফেনী প্রতিনিধি নাজমুর হক শামীম আহত হন।
আহত সংবাদকর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ২টার দিকে শহরের প্রবেশ পথের দাউদপুর এলাকা থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ভিপি জয়নালের নেতৃত্বে পদযাত্রা শুরু করে জেলা বিএনপি। পদযাত্রাটি শান্তিপূর্ণভাবে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে খেঁজুর চত্তর হয়ে ইসলামপুর রেডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে পৌঁছায়।
সেখানে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে হঠাৎ সংঘর্ষ বাধে। ঘণ্টাব্যাপী চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ।
একই সময় খেঁজুর চত্তর এলাকার ফেনী শহিদ মিনারের সামনে উন্নয়ন ও শান্তি শোভাযাত্রা করছিল আওয়ামী লীগ। বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষে এক পর্যায়ে জড়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও।
ত্রিমুখী এই সংঘর্ষে শহরে তৈরি হয় রণক্ষেত্র। প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে টিআর শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এ ঘটনায় ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ উদ্দিন বাহার অভিযোগ করে বলেন, শান্তিপূর্ণ পদযাত্রাটি ইসলামপুর রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে যাওয়ার সময় পুলিশ অতর্কিত টিআরশেল নিক্ষেপ করে।
পরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে অন্তত ২৫ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আহত করে।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা: ২ আসামির রিমান্ড, কারাগারে ৫
ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, পদযাত্রা নিয়ে ইসলামপুর এলাকায় যাওয়ার পর হঠাৎ আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নেতাকর্মীরাও ক্ষেপে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
১ বছর আগে
ফরিদপুরে পিকআপ-সিএনজি-মোটরসাইকেল ত্রিমুখী সংঘর্ষ, নিহত ২
ফরিদপুরে পিকআপ, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের কোমরপুরের মুসলিম মিশনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই যুবক মোটরসাইকেলের আরোহী ছিলেন। তারা হলেন- ফরিদপুর পৌরসভার বর্ধিত ৬নং ওয়ার্ডের আব্দুর রহমান মিয়ার ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (২৮) এবং একই এলাকার ইলিয়াস মোল্যার ছেলে রায়হান মোল্যা (২৯)। তারা পরস্পর আত্মীয়। অন্যদিকে, আহত দুই ব্যক্তির নাম জানা সম্ভব হয়নি।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিল তারা। এ সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে নজরুল ঘটনাস্থলেই এবং রায়হানকে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: তারাগঞ্জে ট্রাক, ইজিবাইক ও অ্যাম্বুলেন্সের ত্রিমুখী সংঘর্ষ, নিহত ৪
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রথমে স্থানীয়রা এবং পরে হাইওয়ে পুলিশ পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম চালায়।
করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শহিদুর রহমান দুর্ঘটনায় হতাহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনায় কবলিত পিকআপ, অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেল উদ্ধার করে হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে রেখেছে।
পিকআপের চালক পলাতক রয়েছে। মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও যান চলাচল স্বাভাবিক আছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রায়পুরায় দুই যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ১০
১ বছর আগে
চবিতে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের মধ্যে মধ্যরাতে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে চবির শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক ছাত্রলীগের বিজয়, সিএফসি ও সিক্সটি নাইন নামের তিনটি গ্রুপের (উপ-দল) মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তিন থেকে পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে, আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বিজয় ও সিএফসি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং সিক্সটি নাইন নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
আরও পড়ুন: চবির চারুকলা সংস্কারকাজে এক মাস বন্ধ ঘোষণা
ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ায় উভয়পক্ষের মধ্যে চলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ। এসময় দেশীয় অস্ত্র হাতে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীকে দেখা যায়।
জানা যায়, রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন তলায় সিক্সটি নাইনের এক কর্মীর সঙ্গে সিএফসির এক কর্মীর কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সিএফসিকে সমর্থন দেয় বিজয় গ্রুপ। এতে সংঘর্ষ ত্রিমুখী হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করে তিন গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ চলতে থাকে।
আরও জানা যায় যে ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। এছাড়া দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা যায় তিন পক্ষের নেতাকর্মীদের।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আহসানুল কবীর পলাশ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমরা পুলিশের সহযোগিতায় ছাত্রলীগের তিন পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: চবির চারুকলায় পুলিশের অভিযান, ছাত্র হোস্টেল থেকে ছাত্রী আটকের দাবি
রাজধানীতে ট্রেনে কাটা পড়ে চবি’র সাবেক শিক্ষকের মৃত্যু
১ বছর আগে