সাইবার হামলা
রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার হামলা বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার অভিযান কিংবা অভিযানের পরিকল্পনা স্থগিত করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন চেষ্টার মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (৩ মার্চ) এক মার্কিন কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।
ওই কর্মকর্তা জানান, সিআইএ এবং সাইবার নিরাপত্তা ও অবকাঠামো সুরক্ষা সংস্থাসহ (সিআইএসএ) অন্যান্য সংস্থার সাইবার কার্যক্রম হেগসেথের এই সিদ্ধান্তের আওতায় থাকবে না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে সিআইএসএ তাদের কার্যক্রমে কোনো পরিবর্তন আসবে না বলে নিশ্চিত করেছে। তবে এফবিআই ও অন্যান্য সংস্থাগুলোর ডিজিটাল ও সাইবার হুমকি মোকাবিলার সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য পদক্ষেপও সীমিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।-খবর এপি ও সিএনএনের।
পেন্টাগনের এই সিদ্ধান্ত এমন সময়ে এসেছে, যখন সাইবার প্রতিরক্ষা ও আক্রমণাত্মক কার্যক্রমে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে আসছেন অনেক জাতীয় নিরাপত্তা ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। বিশেষত চীন ও রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি, নির্বাচন ও নিরাপত্তাকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তা স্থগিত করেছেন ট্রাম্প
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা এই স্থগিতাদেশকে মার্কিন প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ‘এক বড় আঘাত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি জানান, এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এবং এখানে বিস্তর গবেষণার প্রয়োজন হয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত দেশটিতে মস্কোর সম্ভাব্য সাইবার হামলার ঝুঁকি বাড়াতে পারে বলে মত দেন এই কর্মকর্তা।
মার্কিন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো বিকল করতে এবং স্পর্শকাতর গোয়েন্দা তথ্য হাতিয়ে নিতে সক্ষম রুশ হ্যাকাররা। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধ ও মস্কোর সাথে সম্পর্কোন্নয়নে ব্যাপক চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, প্রায় এক দশক আগে রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশগুলোর সাইবার হামলা প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে সাইবার কমান্ড গঠন করে যুক্তরাষ্ট্র। ম্যারিল্যান্ডের ফোর্ট মিড ঘাঁটিতে অবস্থিত সাইবার কমান্ড ধীরে ধীরে মার্কিন শক্তির একটি হাতিয়ার হয়ে ওঠে। এই সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোতে বিশেষজ্ঞ পাঠিয়ে সাইবার অপরাধী এবং গোয়েন্দাদের হুমকি মোকাবিলায় সহায়তা করার চেষ্টা করে থাকে।
সূত্র: এপি ও সিএনএন
২০ দিন আগে
সাইবার হামলা ঠেকাতে সতর্ক অবস্থায় ব্যাংকগুলো
সাইবার হামলা মোকাবিলায় সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ১১টি নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকে সব বাণিজ্যিক ব্যাংক উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
সাইবার হামলা ঠেকাতে কী করা উচিত, তা জানিয়ে বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওই চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, ব্যাংকের সব কার্যক্রম সুরক্ষিত রাখতে কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা পাওয়ার পর এমটিবি হুমকি রোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সমস্ত আমানত এবং অন্যান্য লেনদেন নিরাপদ ও সুরক্ষিত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ১৫ অগাস্টকে লক্ষ্যবস্তু করে সাইবার হামলার আশঙ্কা
ব্র্যাক ব্যাংকের সিইও সেলিম আরএফ হুসাইনও সাইবার হামলা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে একই ধরনের মতামত দেন। যে কোনো বিপর্যয় এড়াতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়, হ্যাকারদের একটি গ্রুপ বাংলাদেশে সাইবার হামলার হুমকি দিয়েছে এবং সম্ভাব্য হামলার তারিখ ১৫ আগস্ট।
এই হুমকির জবাবে সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সিআইআরটি) সাইবার নিরাপত্তায় সতর্কতা জারি করে।
গত ৭ আগস্ট সিআইআরটি'র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাইবার হামলায় স্টেট ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার (সিআইআই), ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে। ক্ষুদ্র বা মাঝারি সাইবার হামলা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে পূর্ব প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
সাইবার হামলা প্রতিরোধে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১১টি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ২৪ ঘণ্টাই নেটওয়ার্ক অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে, যাতে কেউ ডেটা অপসারণ করতে না পারে। সাইবার হামলা কমাতে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার সতর্কতা জারি
এ ছাড়া নেটওয়ার্কে অনিরাপদ কার্যকলাপ শনাক্ত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে ওপেন ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি প্রজেক্টের (ওডব্লিউএএসপি) সর্বশেষ গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।
সাইবার হামলা এড়াতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু পরামর্শ দিয়েছে সিআইআরটি।
তারা এইচটিটিপি/এইচটিটিপিএস ইনকামিং ট্র্যাফিক বিশ্লেষণ করতে এবং ক্ষতিকর অনুরোধ ও ট্র্যাফিক প্যাটার্ন ফিল্টার করতে ফায়ারওয়্যাল স্থাপন করছে। ডিএনএস, এনটিপি ও নেটওয়ার্ক মিডলবক্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলো সুরক্ষিত এবং ব্যবহারকারীর ইনপুট যাচাই করা হচ্ছে।
এতে ওয়েবসাইটের ব্যাকআপ রাখার জন্যও বলা হয়। পাশাপাশি এসএসএল ও টিএলএস এনক্রিপশনযুক্ত ওয়েবসাইটগুলোতে এইচটিটিপিএস বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে: আইজিপির প্রতি রাষ্ট্রপতি
৫৯০ দিন আগে
সাইবার হামলা মোকাবিলায় সবচেয়ে বেশি সক্ষম বাংলাদেশ ব্যাংক
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইবার ইনসিডেন্ট মোকাবিলার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আয়োজিত ‘সাইবার ড্রিল ২০২১’ এ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সক্ষমতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক, দ্বিতীয় হয়েছে বিকাশ।
সম্প্রতি বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবস ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (বিজিডি ই-গভ সার্ট) আয়োজিত এই সাইবার ড্রিল অনুষ্ঠানে ৩৮টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান দলগতভাবে অংশগ্রহণ করে। এতে সর্বোচ্চ ৫৫ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ৫২ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে বিকাশ।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সাইবার হামলা মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত, অবকাঠামোগত, বিশ্লেষণাত্মক ও সতর্কতামূলক কত ধরনের এবং কেমন প্রস্তুতি নিয়েছে এসব সূচকের ওপর নির্ভর করে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী নির্বাচন করা হয়েছে। সাইবার হামলা মোকাবিলায় সতর্কতা ও সচেতনতা তৈরিতে দিনব্যাপী আয়োজনে এই ড্রিলের পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং এই বিষয়ে আরও প্রশিক্ষণ আয়োজনের প্রয়োজনীয়তার কথাও উঠে আসে।
পড়ুন: ‘সাইবার সেফটি’ ক্যাম্পেইন চালু করল লাইকি
বিকাশের চিফ প্রোডাক্ট অ্যান্ড টেকনোলজি অফিসার মোহাম্মদ আজমল হুদা বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি নিশ্চিত করতে এ খাতে আমরা নিয়মিত বিনিয়োগ করে থাকি এবং প্রযুক্তি জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার ওপর জোর দিয়ে থাকি। এ ধরনের সাইবার ড্রিল আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতাকে মূল্যায়ন করা এবং উৎকর্ষতার নতুন ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করার সুযোগ করে দেয়।’
দেশের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর বিধান অনুযায়ী গঠিত বিজিডি ই-গভ সার্ট-এর উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এ সাইবার ড্রিলের সার্বিক সহায়তা ও তত্ত্বাবধানে ছিল ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল।
পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা সূচকে সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে
১২৪৬ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘ডেটা সিস্টেমে’ সাইবার হামলা
নিউজিল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রবিবার জানিয়েছে যে অজ্ঞাত এক হ্যাকার তাদের একটি ‘ডেটা সিস্টেমে’ সাইবার হামলা চালিয়েছে যিনি বাণিজ্যিক এবং ব্যক্তিগতভাবে সংবেদনশীল অনেক তথ্যে অ্যাক্সেস পেয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৫৩৪ দিন আগে