মোংলা
মোংলায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত
বাগেরহাটের মোংলায় সড়ক দুর্ঘটনায় হিমাদ্রি হিমু নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে ঢালিরখন্ড এলাকায় মোটরসাইকেল ও টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় হাতকড়াসহ ২ আসামির পলায়ন, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
নিহত হিমাদ্রি হিমু মোংলা পৌর শহরের মাকোরঢোন এলাকার গৌতম মল্লিকের ছেলে এবং গোপালগঞ্জ পলিটেকনিকের সপ্তম সেমিষ্টারের শিক্ষার্থী।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার মোটরসাইকেল ও টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে নিহত হন মোটরসাইকেল চালক হিমাদ্রি হিমু। এ সময় গুরুতর আহত হন মোটরসাইকেল থাকা আরও একজন।
আরও পড়ুন: বরখাস্ত ডিআইজি মিজানের ১৪ বছরের সাজা বহাল
হোয়াটসঅ্যাপে আরও সহজে অডিও বার্তা যেভাবে পাঠাবেন
কাজ বাকি থাকায় আজ চালু হচ্ছে না খুলনা-যশোর-মোংলা রুটে ট্রেন চলাচল
খুলনা-যশোর-মোংলা রুটে আজ সোমবার (১ জানুয়ারি) থেকে চালু হচ্ছে না যাত্রীবাহী কমিউটার ট্রেন চলাচল। রেললাইন পুরোপুরি ট্রেন চলাচলের উপযোগী না হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ের পশ্চিম জোনের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘১ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চালু হচ্ছে না। রেললাইনে এখনও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। সেজন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখনও রেললাইনটি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘হস্তান্তর করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। ট্রেন চলাচলের নতুন তারিখ এখনও নির্ধারণ হয়নি।’
খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, ‘রেললাইনের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তা সম্পন্ন হওয়ার পর ট্রেন চলাচলের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হবে।’
এর আগে গত বছরের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: ১ জানুয়ারি থেকে খুলনা-যশোর-মোংলা রুটে চলাচল করবে ৩ জোড়া নতুন ট্রেন
উদ্বোধনের এক মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে শুরু হয়নি ট্রেন চলাচল
মেট্রোরেলের যন্ত্রপাতি নিয়ে মোংলায় ভিড়েছে জাহাজ
মেট্রোরেলের যন্ত্রপাতি নিয়ে একটি বিদেশি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় পানামার পতাকাবাহী এমভি ফিনিক্স কোরাল নামে জাহাজটি বন্দরের ৮নং জেটিতে নোঙ্গর করে।
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলায় বিদেশি জাহাজ
জাহাজটিতে ১৯৪ দশমিক ৫১০ মেট্রিক টন ওজনের যন্ত্রপাতি এবং বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রয়েছে বলে জানা গেছে। রাত থেকেই জাহাজ থেকে পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন এম শাহিন মজিদ জানান, এমভি ফিনিক্স কোরাল নামের জাহাজটি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাপানের কোবে বন্দর থেকে মেট্রোরেলের যন্ত্রপাতি নিয়ে মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।
জাহাজটিতে ১৯৪ দশমিক ৫১০ মেট্রিক টন ওজনের যন্ত্রপাতি এবং বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রয়েছে। গত বছরের ২৮ মার্চ মেট্রোরেলের প্রথম চালান মোংলা বন্দরে আসে।
মেট্রোরেলের সব মালামাল মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি কর হয়। এরপর জেটিতে খালাস করে মালামাল পরিবহন করা হয়।
এমভি ফিনিক্স কোরাল জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনশিয়েন্ট স্টিম শিপ কোম্পানি সূত্র জানায়, রাতেই জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের কাজ শুরু হবে। এরপর এসব যন্ত্রপাতি ঢাকায় পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ
পিরোজপুরে ১৪০০ টন ডাল নিয়ে টিসিবির জাহাজ অর্ধনিমজ্জিত
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে: বিএমডি
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে এটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা বন্দর থেকে ১৪৫৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা বন্দর থেকে ১৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে কেন্দ্রীভূত ছিল।
এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে পরিণত হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল থাকবে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বিদ্যুৎহীন ঝালকাঠি, গাছপালা-ফসলের ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: পটুয়াখালীতে ঘরবাড়ি ও আমনের ক্ষতি
মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি'
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি' উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (২১ দশমিক ২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯ দশমিক ২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) অধিদপ্তর আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ আজ দুপুরে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে এবং আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা নাগাদ অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের উপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটার বা এর বেশি) বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে ৬০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এদিকে, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: সন্ধ্যা নাগাদ মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার বা এর বেশি) বর্ষণ হতে পারে।
অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমি ধ্বস হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অন্যদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পূর্ব বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর নৌ বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে মাটির দেয়াল ধসে একই পরিবারের ৪ জন নিহত
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: সন্ধ্যা নাগাদ মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি' উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (২০ দশমিক ৩ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) অধিদপ্তর আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এতে আরও বলা হয়, যা আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা নাগাদ পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রপ্রাপ্ত আজ দুপুর নাগাদ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের উপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অভিভারি (৮৯ মিলিমিটার বা এর বেশি) বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে: প্রতিমন্ত্রী
এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এদিকে, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত, সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার বা এর বেশি) বর্ষণ হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অন্যদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পূর্ব বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর নৌ বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: সমুদ্রবন্দরগুলোকে সংকেত নামানোর নির্দেশ
পশুর নদীতে সিমেন্টের ক্লিংকারবোঝাই লাইটার জাহাজডুবি
বাগেরহাটের মোংলার কাইনমারী এলাকায় পশুর নদীতে ৮০০ মেট্রিক টন সিমেন্টের ক্লিংকারবোঝাই (কাঁচামাল) একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় খুলনার রূপসা নদীর পাড়ে সেভেন রিংস সিমেন্ট কারখানার উদ্দেশে যাওয়ার সময় পশুর নদীর কাইনমারী পয়েন্টে ১০ জন নাবিকসহ ‘এমভি আনমোনা-২’ নামের জাহাজটি ডুবে যায়।
এ সময় জাহাজের সব নাবিক সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে ট্রাকচাপায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত
লাইটারেজ জাহাজ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মাইনুল ইসলাম মিন্টু জানান, নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে নোঙর ছিঁড়ে জাহাজটি ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়া জাহাজটি উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে একটি উদ্ধারকারী জাহাজ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সমুদ্রে ডুবে দুই বন্ধুর মৃত্যু
খুলনা-মোংলা রেলপথের উদ্বোধন ৯ নভেম্বর: রেলপথমন্ত্রী
খুলনা-মোংলা রেলপথের উদ্বোধন আগামী ৯ নভেম্বর হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, খুলনা-মোংলা রেলপথের উদ্বোধন আগামী ৯ নভেম্বর। এ ছাড়া রেলপথ বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। যোগাযোগের অন্যতম সহজ ও নিরাপদ মাধ্যম হলো রেলপথ।
তিনি বলেন, সারাদেশকে রেলের আওতায় নিয়ে আসার জন্য রেলপথ সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে সরকার। এই রেলপথ চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামবাসী না চাইলে সিআরবিতে হাসপাতাল হবে না: রেলপথমন্ত্রী
শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে খুলনার ফুলতলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে খুলনা-মোংলা রেলওয়ে প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্ট (সেতু নম্বর-১০) পর্যন্ত এবং মোহাম্মদ নগর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, ফুলতলা-মোংলা পর্যন্ত রেলপথ চালু হলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, নেপাল ও ভুটানের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করে কম খরচে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করার সুযোগ হবে।
তিনি বলেন, এতে করে সরকারের রাজস্ব বাড়বে, নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বিকাশ ঘটবে পর্যটন শিল্পের। রূপসা নদীর ওপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘে্যর রেলসেতুর কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। ফুলতলা-মোংলা রেলপথ এর ৯৮ দশমিক ০৫ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে এবং আগামী ৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন।
এসময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান, খুলনার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মুকুল কুমার মৈত্র, উপপ্রকল্প পরিচালক (চিফ ইঞ্জিনিয়ার) আহমেদ হোসেন মাসুম, খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প) মো. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা: রেলপথমন্ত্রী
আধুনিক রেলওয়ে ব্যবস্থা করতে চান প্রধানমন্ত্রী: কুড়িগ্রামে রেলপথমন্ত্রী
খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের ৯৯% কাজ শেষ
খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের কাজের ৯৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ দ্রুত শেষ করতে চলছে তোড়জোড়। আর এ কাজ শেষে চলতি অক্টোবরেই এই রেললাইনে ট্রেন ট্রায়াল দেওয়া হবে।
আর এ লাইনের উদ্বোধন হবে আগামী ৯ নভেম্বর। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে এই রেলপথ উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী খুলনার সার্কিট হাউজ ময়দানে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণও দেবেন।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা বলেন, ৯ নভেম্বর খুলনা-মোংলা রেললাইন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আগামী নির্বাচন উপলক্ষে খুলনার সার্কিট হাউজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণও দেবেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামসহ অন্যান্য শহরগুলোর জন্যও মেট্রো-রেল প্রকল্প বিবেচনা করবে সরকার
খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসেন মাসুম বলেন, ৯ নভেম্বর এই রেললাইন উদ্বোধন করার ঘোষণা দিয়েছেন মন্ত্রী। প্রকল্পের কাজ এখন শেষের দিকে। ৯৯ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মোট ৯১ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ৮৮ কিলোমিটার রেলপথ বসানো শেষ। আগামী ১০ দিনের মধ্যেই এ প্রকল্পের শতভাগ কাজ সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, দ্রুততার সঙ্গে শতভাগ কাজ সম্পন্ন করে অক্টোবরেই ট্রেন ট্রায়াল দেবে। একাধিক ট্রায়াল হতে পারে।
এর আগে ২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত সফরে খুলনা সফরে এসেছিলেন। ওই সময় তিনি দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় তার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে কেনা পাট গোডাউন পরিদর্শন করেন। এরও আগে প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনায় এসেছেন। সে সময় খুলনার সার্কিট হাউজে জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্প অনুমোদনের পর বিভিন্ন জটিলতায় নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর রূপসা রেলসেতুর পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন ২৫ জুন সপ্তম ও শেষ স্প্যানটি বসে রূপসা রেলসেতুতে। সেতুর ভায়াডাক্টের ৮৫৬টি পাইল বসানো হয়েছে। মূল সেতুর পাইল ৭২টি, পাইল ক্যাপ ৮টি, বিয়ারিং ৩২টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেতুটির উপরিভাগ তৈরি করা হয়েছে স্টিলের গার্ডার এবং আরসিসি ডেকের সমন্বয়ে। রেলসেতুটি নির্মাণ করে লার্সেন এন্ড টার্বো এবং রেল লাইন নির্মাণের কাজ করে ইরকন ইন্টারন্যাশনাল।
নানান জটিলতায় পাঁচ দফায় মেয়াদ বাড়ে প্রকল্পটির। এখন কাজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে। রূপসা নদীর ওপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার রেলসেতুর পুরোটাই দৃশ্যমান। ৯১ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে বসানো হয়েছে ৮৬ কিলোমিটার। ১১টি প্ল্যাটফর্মের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এ ছাড়া শেষ হয়েছে ১০৭টি ছোট ব্রিজ ও ৯টি আন্ডারপাস। শেষ পর্যায়ে বিভিন্ন স্থানে রেলপথের ফিনিশিং, সিগনালিং ও টেলিকমিউনিকেশনের কাজ চলছে।
এদিকে প্রকল্পের খুলনার ফুলতলা থেকে লতার মোড় পর্যন্ত এবং অপর প্রান্তে মোংলা থেকে মোস্তফার মোড় পর্যন্ত ৮৬ কিলোমিটার রেলপথ বসানো সম্পন্ন হয়েছে। ৯১ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে লতার মোড় থেকে মোস্তফার মোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রেলপথ বসানো বাকি আছে।
ভারতের ঋণ সহায়তা চুক্তির আওতায় খুলনা-মোংলা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে দেশটির প্রতিষ্ঠান লার্সেন এন্ড টার্বো এবং ইরকন ইন্টারন্যাশনাল।
প্রকল্পে খরচ হচ্ছে চার হাজার ২৬০ কোটি টাকা। এ প্রকল্পে ভারতীয় লোন ২৯৪৮ কোটি টাকা। আর বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন রয়েছে ১ হাজার ৩১২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: পদ্মাসেতুর রেল প্রকল্প: আড়াই ঘণ্টায় যাতায়াত ঢাকা থেকে যশোর
মঙ্গলবার ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর অংশে রেল প্রকল্প উদ্বোধন করবেন হাসিনা-মোদি
মোংলা-খুলনা রেলপথের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ, অক্টোবরে চলবে ট্রেন
আগামী অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে চালু হতে যাচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌবন্দর মোংলার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ। ইতোমধ্যে এই রেলপথের কাজ ৯৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে খুঁটিনাটি কাজ; যা চলতি মাসেই শেষ হওয়ার আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তারা জানিয়েছেন- মোংলা-খুলনা রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হলে মোংলা বন্দরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। কারণ শুধু সারাদেশের সঙ্গে নয়, রেলপথটি আন্তর্জাতিক রেল রুট হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এর মধ্য দিয়ে বন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল হবে।
আরও পড়ুন: দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে ঢাকা-ভাঙা রেলপথের কাজ
মোংলা-খুলনা রেলপথের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে প্রকল্পের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, ‘চলতি মাসে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। সেইসঙ্গে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে এই পথ দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে আশা করছি। সেভাবে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি আমরা।’
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ট্রানজিট সুবিধার আওতায় ভারত, নেপাল ও ভুটানে পণ্য পরিবহন সহজ করতে খুলনার ফুলতলা রেলস্টেশন থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রথম দফায় প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।
প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে রয়েছে রূপসা নদীর ওপর রেলসেতু নির্মাণ, মূল রেললাইন স্থাপন এবং টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং স্থাপন।
২০১১ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ করতে পারেননি ঠিকাদার। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৮০১ কোটি টাকা।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, তা সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় দফায় সংশোধনের পর ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।
সেইসঙ্গে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রো রূপসা নদীর উপর রেলসেতুর নির্মাণকাজ করেছে। বাকি কাজ করেছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল।
এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক আরিফুজ্জামান বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি ও নানা কারণে কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে। দুই দফায় প্রকল্প সংশোধনের কারণে ব্যয় বেড়েছে ২ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা। তবে তৃতীয় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি। আশা করছি, এবার নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে।’
মোংলা-খুলনা রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হলে ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল হবে জানিয়ে মোংলা বন্দরের ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমেদ মিঠু বলেন, ‘বর্তমান সরকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগের জন্য যেমন পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে, তেমনি নিরবচ্ছিন্ন রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন করেছে। এতে গার্মেন্টস পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য কম খরচে মোংলা বন্দর থেকে পরিবহন করা যাবে, তেমনি রপ্তানিও করা যাবে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি বেড়ে যাবে।’
একই কথা বলেছেন বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।
তিনি বলেন, ‘রেললাইনটি ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে পণ্য পরিবহনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে চিংড়ি ও গার্মেন্টস পণ্য পরিবহন সহজ হবে।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথে চলল পরীক্ষামূলক পণ্যবাহী ট্রেন
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল