স্বাধীনতা সংগ্রাম
আ.লীগের নেতৃত্বে সিনিয়র-জুনিয়র সমন্বয়ের আশা দীপু মনির
আওয়ামী লীগ অতীতে বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে, ভবিষ্যতেও তাই করবে বলে বিশ্বাস করেন শিক্ষামন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি।
শুক্রবার চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন ও প্রাক্তন ছাত্রীদের পুনর্মিলনীতে যোগদানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
শনিবার অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কারণ আওয়ামী লীগ সেই দল যা ১৯৫২ সালে মাতৃভাষা বাংলার জন্য লড়াই করেছিল, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিজয়ী করেছিল। তারপরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বা পুনরুদ্ধারের সমস্ত আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের কাউন্সিলের আগে নিরাপত্তা জোরদার, ঝুঁকি নেই: ডিএমপি
চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আরও বলেন, আগামী ২৪ ডিসেম্বর যে কমিটি ঘোষণা করা হবে, তাতে নতুন ও সিনিয়রদের সমন্বয় হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক দল নেই যেখানে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের এত বেশি অংশগ্রহণ রয়েছে।
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে আগামীকাল (শনিবার) আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন:আ.লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপি নেতাদের আমন্ত্রণ
১ বছর আগে
‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আমার বাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ৫০তম বার্ষিকীকে সম্মান জানাব’
এডওয়ার্ড এম. কেনেডি জুনিয়র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ৫০ বছর স্মরণে বক্তৃতা রাখবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
কেনেডি জুনিয়র বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাবার অগ্রণী ভূমিকার ৫০তম বার্ষিকীকে সম্মান জানাব।’
প্রয়াত মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম. কেনেডির ছেলে ও প্রয়াত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজা কেনেডি জুনিয়র এবং তার পরিবার রবিবার (৩০ অক্টোবর) ধানমন্ডিতে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনে যাবেন।
কেনেডি জুনিয়রের সঙ্গে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে যারা থাকবেন- ডা. ক্যাথরিন কেনেডি (স্ত্রী), ড. কিলি কেনেডি (মেয়ে), টেডি কেনেডি (ছেলে), গ্রেস কেনেডি অ্যালেন (ভাতিজি) ও ম্যাক্স অ্যালেন (ভাতিজা)।
কেনেডি পরিবার লাইভ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পরিবেশনা, ভ্রমণবিষয়ক গ্রন্থাগার প্রদর্শনী ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশন গ্যালারিতে চলমান শিল্প প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ নেবেন।
পাঠকদের উৎসাহিত করতে পরিবারটি আয়োজকের বইয়ের দোকানেও যাবেন।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র এটিকে ‘ঐতিহাসিক সফর’ হিসেবে অভিহিত করেন।
কেনেডি পরিবার বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বছরব্যাপী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ সফরে আসছেন।
তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করবেন।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট স্পিকারস প্রোগ্রামের পৃষ্ঠপোষকতায় কেনেডি জুনিয়র বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ের একজন জোর সমর্থক হিসেবে তার বাবার উত্তরাধিকারকে স্মরণ করবেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে তার বাবার লাগানো বটগাছটি পরিদর্শন করবেন।
আরও পড়ুন: জনপ্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের সঙ্গে বাংলাদেশের এমওইউ সই
একজন আইনজীবী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নাগরিক অধিকারের প্রবক্তা হিসেবে তিনি এডওয়ার্ড এম. কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস অ্যান্ড দ্য আর্টসে প্রতিবন্ধী অধিকারের ওপর একটি বক্তৃতাও দেবেন।
বাংলাদেশে এক সপ্তাহের সফরে কেনেডি পরিবার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আকর্ষণ পরিদর্শন করবেন এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ইউএস গভর্নমেন্ট-স্পন্সর এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম অ্যালামনাই ও বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন।
১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিনেটর টেড কেনেডি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। সেসময় তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে যখন কিছু সরকার আপনাদেরকে এখনও চিনতে পারেনি, তবে বিশ্বের মানুষ আপনাদেরকে চিনেছে এবং অত্যাচার ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য আপনারা এখানে যা করেছেন তা বিশ্ববাসী স্বীকার করে। স্বাধীনতায় আমরা ভাই এবং কোনো মানুষ, কোনো নীতি বা কোনো সরকার এই সত্য পরিবর্তন করতে পারে না।’
সিনেটর কেনেডি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বন্ধুত্ব, স্থিতিস্থাপকতা ও আশার প্রতি জীবন্ত শ্রদ্ধা হিসেবে একটি বটগাছ রোপণ করেছিলেন, যা আজও দাঁড়িয়ে আছে।
সিনেটর টেড কেনেডি ১৯৭২ সালে ঢাকা সফরের সময় বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রাম আমাদের অতীতের সবচেয়ে বড় স্মৃতি জাগায়।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র চায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ও মানবাধিকার সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্মরণীয় দিন হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় সোমবার দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ।
১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রের সামনে যে যুগান্তকারী ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল। সে দিনটি থেকে নতুন করে অনুপ্রেরণা পাওয়ার জন্য প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়।
লক্ষাধিক স্বাধীনতাকামী জনতার সামনে বঙ্গবন্ধু তার ১৯ মিনিটের অসামান্য ভাষণে শোষক পাকিস্তানি শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বিশাল জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন,‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা’।
তার এই ভাষণকে প্রায়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ঐতিহাসিক গেটিসবার্গের ভাষণের সঙ্গে তুলনা করা হয়। বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন. যেহেতু আমরা রক্ত দিতে শিখেছি, আমরা আরও রক্ত দেব। ইনশাআল্লাহ, এদেশের মানুষকে মুক্ত করতেই হবে...প্রতিটি ঘরকে দুর্গে পরিণত করব। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে (শত্রু) মোকাবিলা কর।
সেদিন বঙ্গবন্ধুর দেয়া সেই ভাষণ জাদুমন্ত্রের মতো কাজ করেছিল, যা সমগ্র জাতিকে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার স্বৈরাচারী ও দমনমূলক শাসন থেকে স্বাধীনতার সংগ্রামে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ২০২২’ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন।
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল,রেডিও স্টেশন ও জাতীয় দৈনিকগুলোতে দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।
পড়ুন: ৭ মার্চের ভাষণ পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ হাইকোর্টের
এদিকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে জাতির স্বাধীনতার যাত্রাকে বাস্তবায়িত করার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু আমাদের জন্য নয়, সারা বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।
রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনের স্বপ্ন ছিল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করা। ‘আমাদের মহান নেতার সেই স্বপ্ন পূরণে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’
তিনি বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে অবদান রাখার জন্য রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি, আজ বাঙালি জাতির জন্য এক বিরল সম্মান ও গর্বের।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত বছর আমরা ৭ই মার্চের এই মহান ভাষণের সুবর্ণজয়ন্তী ও স্বাধীনতা উদযাপন করেছি। এ বছর আমরা ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর ও মুজিববর্ষ উদযাপন করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারের গৃহীত উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।’
তিনি জাতির পিতার মহান আদর্শ অনুসরণ করে তার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ার অঙ্গীকার করারও আহ্বান জানান।
২০১৭ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
২০২০ সালের ৭ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’-এর পরিবর্তে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে, তাই দিবসটি এখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয়।
পড়ুন: সোমবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
২ বছর আগে
‘মুক্তিযুদ্ধ পদক' প্রবর্তন
মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং চেতনা বিকাশে ব্যক্তি ও সংগঠন/সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সম্মানিত ও উৎসাহিত করার জন্য ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ প্রবর্তন করেছে সরকার। এজন্য মুক্তিযুদ্ধ পদক নীতিমালা-২০২১ এর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোমবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৭ ক্যাটাগরিতে মুক্তিযুদ্ধ পদক প্রদান করা হবে। সেগুলো হচ্ছে-
(ক) স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে ভূমিকা (খ) সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন (গ) স্বাধীনতা পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন (ঘ) মুক্তিযুদ্ধ/ স্বাধীনতা বিষয়ক সাহিত্য রচনা (ঙ) মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র/তথ্যচিত্র/নাটক নির্মাণ/সংস্কৃতিক কর্মকান্ড (চ) মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক গবেষণা (ছ) মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ। এছাড়া সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন ক্ষেত্রে এ পদক দেয়া হবে।
প্রতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হবে।
পদকপ্রাপ্তদের ১৮ (আঠার) ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম স্বর্ণ দিয়ে নির্মিত একটি পদক, পদক এর একটি রেপ্লিকা এবং দুই লাখ টাকা দেয়া হবে।
পদক প্রাপ্তির যোগ্যতা :
ব্যক্তি পর্যায়ে এ পদকের জন্য মনোনীত ব্যক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। তবে, মহান মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা বিদেশি নাগরিককেও এ পদক প্রদান করা যাবে।পদক প্রদানের জন্য ব্যক্তির সামগ্রিক জীবনের কৃতিত্ব ও অবদানকে গুরুত্ব প্রদান করা হবে।
বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃত কোন প্রতিষ্ঠান অথবা যুদ্ধকালীন বা যুদ্ধ পরবর্তী সর্বজনবিদিত সংগঠন হতে হবে।মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনে অনন্য হতে হবে।
সরকারি দপ্তর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে সরাসরি অবদান রাখা মন্ত্রণালয়/ বিভাগ, মন্ত্রণালয় বিভাগের অধীন দপ্তর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বিবেচিত হবে।
পদক প্রাপ্তির অযোগ্যতা:
ক) রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে/ফৌজদারি আইনে শাস্তিপ্রাপ্ত বা ফৌজদারি অপরাধে দন্ডিত বা দেউলিয়া কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ পদক প্রাপ্তির জন্য বিবেচিত হবেন না।
খ) একবার পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পরবর্তী ১০ (দশ) বছরে একই বিষয়ে পুনরায় পদকের জন্য বিবেচিত হবেন না।
গ) মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এ পদক প্রদান করা হবে না।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বছরের নির্দিষ্ট সময়ে মুক্তিযুদ্ধ পদক প্রদানের লক্ষ্যে মনোনয়ন আহবান করবে। মনোনয়ন আহ্বান করা হলে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে জানানো হবে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ভাতা: আগামী অর্থ বছরে প্রায় ৬৭ শতাংশ হারে বাড়ছে
যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফল-মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর জীবনের মূল চেতনা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ হঠাৎ করেই আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়নি, তার পিছনে সুদীর্ঘ ইতিহাস ও সংগ্রাম রয়েছে।
৩ বছর আগে