লুটপাট
আশুলিয়ায় অস্থিরতা: ৩ কারখানাতে লুটপাট, ৫০ কারখানা ছুটি ঘোষণা
আশুলিয়ায় আবারও বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। অন্যদিকে আলিফ ভিলেজ লিমিটেড গ্রুপের তিনটি তৈরি পোশাক কারখানায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে অন্তত ৫০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় শিল্পাঞ্চলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগে ১১ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
হামলা ও ভাঙচুর হওয়া তৈরি পোশাক কারখানাগুলো হলো- আশুলিয়া ইউনিয়নের টঙ্গাবাড়ি এলাকার আলিফ ভিলেজ লিমিটেডের আলিফ এমব্রয়ডারি ভিলেজ লিমিটেড, লাম মিম অ্যাপারেলন্স লিমিটেড, লাম মিম অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় স্বামী ও স্ত্রীসহ ৪ জনের লাশ উদ্ধার
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহল দিচ্ছেন সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।
আলিফ ভিলেজ লিমিটেড গ্রুপের আশুলিয়া জোনের ম্যানেজার মো. রেফাই সিদ্দিক বলেন, সকাল থেকেই কারখানায় প্রায় ১ হাজার ৫০০ শ্রমিক কাজ করছিলেন। এর কিছু সময় পর ২০০ থেকে ৩০০ মাস্ক পড়া লোকজন হঠাৎ করে তিনটি কারখানায় একসঙ্গে হামলা করে। কারখানাগুলোর মূল গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা।
তিনি আরও বলেন, দুর্বৃত্তরা কারখানার ডিজিটাল মেশিন, কম্পিউটার, ফায়ার কন্ট্রোল প্যানেল, বিদ্যুতের সাব স্টেশন, মেডিকেল সরঞ্জামাদি, সিসি টিভি, এয়ার কন্ডিশনার, গাছের গার্ডেনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর করে। এছাড়াও কারখানা থেকে মুল্যবান পোশাক, ল্যাপটপ, মোটরসাইকেল, মেশিন লুটপাট করে বলে জানান রেফাই সিদ্দিক।
কারখানার ডিজিটাল মেশিনগুলো ভেঙে ফেলায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় কারখানার নিরাপত্তাকর্মীসহ ২০ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।
অন্যদিকে হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল বাড়ানো, বকেয়া বেতনসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন তৈরি পোশাক কারখানা ইউফোরিয়া অ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী-পুলিশের যৌথ অভিযানে আশুলিয়ায় শতাধিক কারখানার কার্যক্রম শুরু
বেতন সমস্যা সমাধান চেষ্টার মধ্যেই শনিবার আশুলিয়ায় ৪৫টি কারখানা বন্ধ
৩ মাস আগে
লুটপাটের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এই বাজেট: ফখরুল
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে দেশবিরোধী আখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করতে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত লুটেরাদের নতুন পরিকল্পনা এটি।
তিনি বলেন, ‘সরকার লুটেরা হয়ে গেছে। লুণ্ঠনকে আরও প্রশ্রয় দেওয়ার লক্ষ্যে লুটেরাদের এই বাজেট। আমি বিশ্বাস করি, বাজেটে (জনগণের অর্থ) আত্মসাতের জন্য নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবসম্মত ও গণমুখী: কাদের
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে বাজেট নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিকে কোনো দিকনির্দেশনা না থাকা।
তিনি বলেন, ‘পুরো বাজেটটিই মনে হয় মেগা প্রকল্প, মেগা চুরি, দুর্নীতির জন্য তৈরি করা হয়েছে। তাই এই বাজেটকে আমি শুধু তথাকথিত গণবিরোধীই বলছি না, বাংলাদেশবিরোধীও বলছি।’
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা ৪ মিনিটে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বাজেট নিয়ে দলের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফখরুল বলেন, প্রস্তাবিত ব্যয় রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি।
তিনি সতর্ক করে বলেন, এই ভারসাম্যহীনতা কেবল জনদুর্ভোগকেই তীব্রতর করবে এবং তাদের বোঝা বাড়িয়ে তুলবে।
সরকার ব্যয় মেটাতে জনগণের পকেট কাটবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ব্যয় ও রাজস্ব আয়ের মধ্যে ব্যবধান দূর করতে বিদেশের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যাংক থেকেও ঋণ বা অনুদান নেবে সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত এর ফল ভোগ করতে হবে জনগণকেই। তারা এরই মধ্যে বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্য, জ্বালানি ও সেবাখাতের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধির বোঝা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষকে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে ফেলে অদূর ভবিষ্যতে সেবাখাতের দাম আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। জীবিকা নির্বাহের জন্য লড়াই করতে গিয়ে অনেক মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামাঞ্চলে ফিরে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়ানোর বিকল্প নেই: অর্থমন্ত্রী
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বরাদ্দ
৬ মাস আগে
লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংক ধ্বংস করছেন আ. লীগ নেতারা: বিএনপি নেতা নজরুল
ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ব্যাপক লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলো লুট করা হচ্ছে। ব্যাংকগুলোকে লাল, সবুজ ও হলুদ (আর্থিক অবস্থার ভিত্তিতে) শ্রেণিকরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। লাল মানে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। মালিকরা এসব ব্যাংক লুট করেছে। তারা যাকে খুশি তাকে ঋণ দিয়ে ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া হওয়ার দিকে ঠেলে দিয়েছে।’
সোমবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসব লুটেরা মালিকদের রক্ষায় ধ্বংসের দ্বাপ্রান্তে থাকা ব্যাংকগুলোকে সরকারি বা লাভজনক ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
অর্থনৈতিক অবস্থা অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অর্থের মূল্য প্রতিনিয়ত কমছে। ‘কিছুদিন আগে এক ডলারের বিপরীতে বিনিময় দর কমেছে সাত টাকা। বাংলাদেশের ইতিহাসে আমাদের টাকা এত বড় অবমূল্যায়ন কখনো ঘটেনি। বর্তমানে এক ডলার কিনতে লাগে প্রায় ১২৫ টাকা।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, দেশের ঋণের পরিমাণ একশ’ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় সরকার জাতির বোঝা ভারী করে তুলছে। ‘এটা আমাদের সবার ঋণ। কিন্তু আমরা তা উপভোগ করছি না। হাতে গোনা কয়েকজন মানুষ এটি ব্যবহার করে মিলিয়নিয়ার এমনকি বিলিয়নিয়ারাও হয়েছেন।’
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকসহ গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের উপকূলীয় অঞ্চল যখন ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষার দিকে মনোনিবেশ না করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে আনার কথা বলছেন।
আরও পড়ুন: আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার জন্য দায়ী সরকার, সেনাবাহিনীর সুনাম কলঙ্কিত: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, দ্রব্যমূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিরূপ প্রভাব থেকে জনগণকে রক্ষা করা তাদের(সরকারের) প্রধান কাজ নয়। কারণ সরকার সমর্থিত সিন্ডিকেট ও দুর্নীতিবাজরা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে, মানুষের পকেট কাটছে। এটা তাদের জন্য কোনো সমস্যা নয়।’
তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোটের প্রয়োজন নেই বলে সরকার জনদুর্ভোগ এবং জনঅসন্তোষ নিয়ে ন্যূনতমও উদ্বিগ্ন নয়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানের ওপর ক্ষুব্ধ, কারণ তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১০ শতাংশ মানুষও ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে যাননি।
তিনি আরও বলেন, 'কেন ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাস, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মুদ্রার অবমূল্যায়ন, ব্যাংক লুটপাট, ক্রমবর্ধমান জাতীয় ঋণ, দুর্নীতি, অরাজকতা এবং সাবেক সেনাপ্রধান ও সাবেক পুলিশ প্রধানের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তার সরকারের প্রধান উদ্বেগের বিষয় নয়। তাদের একমাত্র কাজ হলো তারেক রহমানকে ফিরিয়ে এনে শাস্তি দেওয়া।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে জনগণ বিরক্ত: ফখরুল
৬ মাস আগে
লুটপাটের টাকা ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত করছে আ.লীগ: বিএনপি
সারাদেশে সামাজিক নৈরাজ্য এখন চরম আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, ক্ষমতাসীনরা এখন লুটপাটের অর্থ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি নিয়ে দলের অভ্যন্তরেই রক্তপাত করছে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সারা বাংলাদেশে সামন্ততন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভুল রাজনীতির চোরাবালিতে আটকে গেছে: কাদের
রিজভী বলেন, দেশ গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে চলছে ভয়াবহ নৈরাজ্য। সামাজিক ক্ষেত্রে এখন কী ঘটছে? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যৌন হয়রানির আস্তানায় পরিণত হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, ‘কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগের ক্যাডাররা এক যুবককে কুপিয়ে ১০ টুকরো করে হত্যা করেছে। ছাত্রলীগের সজীব নিজেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তি... দিয়েছে। তারা এখন শুধু বিএনপির (অনুসারীদের) ওপর হামলা চালাচ্ছে না, বরং লুণ্ঠিত অর্থের ভাগ আদায়ে দলের মধ্যে একে অপরকে হত্যা করছে।’
ক্রমবর্ধমান সামাজিক নৈরাজ্যের ফলে দেশ এখন এক বিপজ্জনক ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল ও নতুন করে নির্বাচনের দাবিতে তাদের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর গুলশান এলাকায় পথচারী, দোকান মালিক, পরিবহন শ্রমিক ও রিকশাচালকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন রিজভী।
'সেভ দ্য কান্ট্রি, সেভ দ্য পিপল' শীর্ষক লিফলেটে ৭ জানুয়ারির একতরফা ডামি নির্বাচন বাতিল, শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা ও সব মহানগরীতে লিফলেট বিতরণ করেছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: বিএনপি হতাশা কাটিয়ে কোমর সোজা করে দাঁড়াক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
'একতরফা' দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতাসীনদের নেতারা ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘দখলদার সরকার মনে করছে, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর তারা বাংলাদেশের মালিক হয়ে গেছে। এই সামন্ততন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই থেমে থাকবে না। জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।’
তিনি দাবি করেন, বিএনপি ও সমমনা দলগুলো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এবং দেশের মালিক হিসেবে জনগণের ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের জন্য রাজপথে আন্দোলন করছে। তিনি বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য এটা (আন্দোলন) নয়। এটা জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াই।
সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ও আজ্ঞাবহ নীতির কারণে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশিদের পাখির মতো গুলি করে মারা হচ্ছে। টেকনাফ-উখিয়া সীমান্তে নিয়মিত গোলাগুলি হচ্ছে। বাংলাদেশের কৃষকরা কাজ করতে পারছেন না, আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন, কিন্তু আমাদের সরকার নীরব। এ অবস্থা চলতে পারে না।’
আরও পড়ুন: নেতৃত্বের পরিবর্তন ছাড়া বিএনপির রাজনীতি আর কখনো সচল হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১০ মাস আগে
ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে লুটপাটে মরিয়া হয়ে উঠেছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে লুটপাটে আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দাম সামাল দিতে দেশের মানুষ চরম অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করেছে ভারত: রিজভী
রিজভী আরও বলেন, ‘জনগণের অর্থ লুটপাটে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেটগুলো। চাল, ডাল, তেল, চিনি, শাকসবজি, মাছ ও মাংসের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, শীতকালীন সবজির জন্য এই পিক মৌসুমে এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না।
মাছ-মাংস সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে বলেও আক্ষেপ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দরিদ্র মানুষ এখন মাংস ও অন্যান্য মাছকে মেন্যুর বাইরে রেখে বাজার থেকে কাটা পাঙ্গাস মাছের টুকরো কিনছেন। ‘নিম্ন আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্তরা আজ কী ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তার একটি উদাহরণ দিয়েছি। মানুষ খাওয়ার জন্য মুরগির চামড়া ও পা কিনছে।’
রিজভী আরও বলেন, সরকার জনস্বার্থ বিবেচনা না করে অবৈধভাবে কয়েকবার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির উপর শুল্ক বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষকে বেকায়দায় ফেলে বাড়িওয়ালারা জ্যামিতিক হারে বাড়ি ভাড়া বাড়াচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভঙ্গুর গণতন্ত্র দেখতে চায় ভারত: রিজভী
বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: রিজভী
১০ মাস আগে
রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লুটপাট করে নতুন দল তৈরি করছে সরকার: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লুটপাট করা টাকা দিয়ে সরকার বিভিন্ন দলের ত্যাগী লোকদের নিয়োগ দিয়ে নতুন দল তৈরি করছে।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, বিশ্বাসযোগ্য ভোটে জয়ী হওয়ার সুযোগ না থাকায় জনগণকে একতরফা নির্বাচন করার জন্য ফাউল গেম অবলম্বন করার অভিযোগ করেন তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল কখনই অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নিয়োগ দেয় না। গ্রামাঞ্চলের টাউট এবং খারাপ মানুষেরা বিরোধীদের সমস্যায় ফেলতে এটা করে...শেখ হাসিনাও একই কাজ করছেন।’
তিনি বলেন, সুবিধাবাদীরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন দলে অনুপ্রবেশ করে এবং এই লোকেরা নিজেদের লাভের সুযোগ পেলেই তাদের আসল রঙ পরিবর্তন করে। ‘এরশাদের শাসনামলে আমরা তাকে এই ধরনের লোক নিয়ে দল ও সরকার গঠন করতে দেখেছি। শেখ হাসিনা এখন সেই অশুভ পন্থা অনুসরণ করছেন।’
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অপপ্রচার একতরফা নির্বাচনের কৌশল: রিজভী
রিজভী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপি ও সমমনা দলের লোকদের বিভিন্নভাবে লোভ দেখিয়ে নিয়োগ দিতে।
তিনি আরও বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখন লোকদেরকে টাকা দিয়ে লোভ দেখিয়ে দলে নিয়ে যাচ্ছে এবং নিশ্চিত মনোনয়ন ও বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, একদিকে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে জনগণকে দমন করতে সব ধরনের নিষ্ঠুর পদক্ষেপ নিচ্ছেন, অন্যদিকে অর্থ ব্যবহার করে বিভিন্ন পক্ষের ফেলে দেওয়া লোকদের নিয়ে দল গঠনের চালাকি চালাচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লুট করা হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, অন্য স্বৈরাচারীদের মতো শেখ হাসিনাও ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরার জন্য নির্লজ্জ ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। ‘কারণ জনগণের কাছে গিয়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে জয়ী হওয়ার কোনো উপায় তার নেই। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি সব গণবিরোধী, অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও নানা অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বেপরোয়াভাবে গ্রেপ্তার এবং তাদের বাড়িতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এজন্য সারাদেশে র্যাবের ৪২৮টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রতিবেশী দেশের ক্রিকেট দলের পরাজয়ে বাংলাদেশিদের উদযাপন নিয়ে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের ক্ষোভের বিষয়ে তিনি ভারতীয় মিডিয়া ও নীতিনির্ধারকদের প্রতি বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাব বৃদ্ধির কারণ খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ এখন গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকারের অভাবে… শেখ হাসিনা কেন সুষ্ঠু নির্বাচন দিচ্ছেন না? কারণ অনেক দেশ (ভারত সহ) তাকে ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি দিচ্ছে, যাতে সে তাদের উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারে। এ কারণে অনেক দেশ তাকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে কারচুপি করতে সরকার এজেন্সিগুলো ব্যবহার করে কিংস পার্টি গঠন করছে: রিজভী
অগ্নিসংযোগ-নাশকতার পেছনে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা: রিজভী
১ বছর আগে
সরকার জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য পাতাল রেল প্রকল্প শুরু করেছে: বিএনপি
বিএনপি সিনিয়র নেতা বরকতউল্লাহ বুলু অভিযোগ করেছেন, সরকার শুধু জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও পাতাল রেল প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘সারাদেশে সংকট চলছে। ডলার সংকটের কারণে আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। এই সংকটের মধ্যে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) ২০ কিলোমিটার পাতাল রেলের জন্য ৫২ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছেন। লুটপাটের জন্য এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন।’
শুক্রবার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্যে বিএনপির এই নেতা দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ যখন বেকার তখন এ ধরনের মেগা প্রকল্প নেয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
আরও পড়ুন: গাবতলী থেকে মিরপুর পর্যন্ত বিএনপির তৃতীয় পদযাত্রা শুরু
তিনি বলেন, ’৫২ হাজার কোটি টাকার পাতাল রেল থেকে দেশ কী সুবিধা পাবে?’
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বুলু বলেন, সরকার অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে কৃষি খাতে অথবা কল-কারখানা স্থাপন করে বেকারদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। ‘আমরা জানি আপনি এটি করবেন না। কারণ এটি আপনার জন্য জনগণের অর্থ লুট করার সুযোগ তৈরি করবে না।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপিপন্থী প্ল্যাটফর্ম নাগরিক অধিকার আন্দোলন (নাগরিক অধিকার আন্দোলন)।
প্রথম মেট্রো রেল চালু হওয়ার এক মাস পর বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রথম পাতাল রেল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
বুলু অভিযোগ করেন, সরকার বাংলাদেশ থেকে ১৪ লাখ কোটি টাকা কানাডা, দুবাই, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করেছে।
তিনি আরও বলেন, একজন এমপি, যিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীও, তিনি চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ১৭টি বাড়ির মালিক হয়েছেন। ‘মনে হচ্ছে আলাদিনের জাদুর প্রদীপ তাদের হাতে।’
বুলু বলেন, এভাবে কুইক রেন্টাল ও রেন্টাল পাওয়ার প্রজেক্টের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ লুটপাট করে আওয়ামী লীগের লোকজন বিদেশে বিশ্বের ধনীদের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিদ্যুৎ খাত লুটপাট করা হয়েছে। পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যেখানে কোনো প্রকল্পের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ মামলা করতে পারে না। কিন্তু সরকার সংসদে ক্ষতিপূরণ বিল পাস করেছে যাতে কুইক রেন্টাল পাওয়ার নামে লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে মামলা করতে না পারে।’
বিএনপি নেতা বলেন, দেশকে দুঃশাসন ও লুণ্ঠন থেকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান শাসনের পতন নিশ্চিত করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হতে হবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য জনগণ আর বহন করতে পারবে না: বিএনপি
কুমিল্লা জেলা বিএনপির সদস্য সচিবকে অবাঞ্চিত ঘোষণা
১ বছর আগে
বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন সোমবার অভিযোগ করে বলেছেন, ৭ ডিসেম্বর অভিযানে পুলিশ নয়াপল্টনে তাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে টাকা লুটপাটের পাশাপাশি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ধ্বংসযজ্ঞ ও ভাঙচুর করেছে।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বিএনপি কার্যালয়ের পাঁচ তলা ভবনের প্রতিটি কক্ষ পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর ও লুটপাট করেছে পুলিশ। তারা নগ্নভাবে সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। অপ্রত্যাশিত বর্বরতা।’
আরও পড়ুন: বর্তমান ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপে যাবে না: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপি নেতা বলেন, পুলিশ তাদের দলীয় চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের প্রথম তলায় দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ঘরের ভেতরের সবকিছু ভাংচুর করে এবং সব ছবি নষ্ট করে দেয়।
তিনি বলেন, পুলিশ তাদের অফিস থেকে সব সিপিইউ, হার্ডডিস্ক, প্রিন্টারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে গেছে।
‘আমাদের অ্যাকাউন্ট বিভাগ থেকে সবকিছু লুট করা হয়েছে। নিচতলায় জিয়াউর রহমানের ম্যুরালও ভাঙচুর করা হয়। বিজয়ের মাসে এমন বর্বর ঘটনা কেউ দেখবো বলে আশা করেনি,’ বলেন মোশাররফ।
তিনি অভিযোগ করেন, ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সরকারের আগ্রাসী মনোভাব প্রমাণ করেছে যে এটি একটি ফ্যাসিবাদী, সন্ত্রাসী ও দখলদার সরকার।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘ঘটনার নিন্দা করার মতো উপযুক্ত শব্দ আমাদের কাছে নেই। আমি মনে করি এটি বাংলাদেশে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। বিশ্বে এমন নজির নেই…এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময়ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ ধরনের হামলা চালায়নি।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের পিঠ এখন দেয়ালে ঠেকেছে, তাই জনগণ আমাদের বার্তা দিয়েছে যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বলপ্রয়োগ করে দেশকে ধ্বংস করছে এবং তাদের পক্ষে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, অর্থনীতি মেরামত, নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। বিচার ব্যবস্থায় এবং আইনশৃঙ্খলা বিভাগে স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, তাদের পক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানো অসম্ভব। তাই বাংলাদেশের জনগণ, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলায় জনগণ এই সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর আবদুল মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ কয়েকজন বিএনপি নেতাকে নিয়ে মোশাররফ দলীয় কার্যালয়ে যান।
এদিকে গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মকবুলের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
মকবুলের স্ত্রী হালিমা আক্তার বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে এক লাখ টাকা পেয়েছেন। আর মেয়ে মিথিলার পড়াশোনার দায়িত্ব নেন ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে: খন্দকার মোশাররফ
২ বছর আগে
লুটপাট, মানি লন্ডারিংয়ের কারণে ব্যবসায় বিপর্যয়: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মূলত ব্যাপক লুটপাট ও বিদেশে অর্থ পাচারের কারণে অর্থনৈতিক সংকটে ব্যবসায়ীরা খুব কঠিন সময় পার করছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বড় ব্যবসায়ী এখন একটি কথা বলছে যে তারা খুব খারাপ সময়ের মুখোমুখি হচ্ছে। তাদের ব্যবসা এবং কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তারাও এখন এমন পরিস্থিতিতে যে তাদের শ্রমিকদের মজুরি দেয়ার মতো টাকাও নেই।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা আরও বলেন, সরকার অর্থনৈতিক সংকটের জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করছে। ‘হয়তো এর পেছনে কিছু কারণ আছে। কিন্তু গত ১০ বছরে ৮৬ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এরমধ্যে গত এক বছরে ৭৮ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা ব্যাপক লুণ্ঠন ও অর্থপাচারে লিপ্ত হয় এমন দেশের অর্থনীতিতে কি থাকতে পারে?’
আরও পড়ুন: বিরোধী নেতাকর্মীদের গুলি করা বন্ধ করুন: পুলিশকে ফখরুল
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে উত্তরবঙ্গ ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে এখন ব্যবসায়ীদের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রণোদনা ও সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলো ডলারের ঘাটতির কারণে নতুন এলসি খুলতে পারছে না এবং এর আগে রিজার্ভ থেকে বিপুল অর্থ লুট করা হয়েছে। রিকশাচালক, হকারসহ সাধারণ মানুষ এখন বলছে এই সরকার চোর।’
বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে মুক্তি ও সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জনগণ জেগে উঠেছে। ‘মানুষ রাস্তায় নেমে আসায় ইতোমধ্যে একটি সংগ্রাম শুরু হয়েছে। এই বৃদ্ধ বয়সে বর্তমান শাসনকে পরাজিত করার জন্য আমাদের প্রতিটি সমাবেশ থেকে আমি আরও একটি মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রাণিত হচ্ছি।’
৭ জনকে হত্যা করার মূল্য দিতে হবে সরকারকে:
ফখরুলের অভিযোগ করে বলেন, শনিবার বাঞ্ছারামপুরের সোনারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ শাখার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়াকে বিনা উসকানি ও কারণ ছাড়াই পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। এটা কেমন একটা দেশ। তাদেরকে জনগণের আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকারের জন্য চলমান আন্দোলনে নয়ন মিয়াসহ দলের সাত নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। ‘আমরা আমাদের সাত যোদ্ধাকে হারিয়েছি এবং সরকারকে এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।’
ফখরুল সরকারকে সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই নিরাপদে ক্ষমতা ছাড়তে বলেন। ‘অন্যথায়, ইতোমধ্যে তৈরি হওয়া উত্তাল গণতরঙ্গ আপনাকে সুনামির মতো ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।’
সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় জড়াচ্ছেন এমন অভিযোগ তুলে তিনি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিরোধিতাকারীরা ‘জনশত্রু’: ফখরুল
ঢাকার জনসভা থেকেই বৃহত্তর আন্দোলন শুরু, বললেন ফখরুল
২ বছর আগে
সরকার জ্বালানি খাতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে জনগণের টাকা লুটপাট করছে: বিএনপি
আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের টাকা লুটপাটের অস্ত্র হিসেবে জ্বালানি খাতকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান জ্বালানি সংকটের মূল কারণ দুর্নীতি। এটা (জ্বালানি) তাদের (সরকার) জন্য একটি বড় অস্ত্র। তারা দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাটের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে জ্বালানি খাতকে ব্যবহার করছে।’
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘দুর্নীতি জ্বালানি সংকট এর উৎস’- শীর্ষক সেমিনারে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকার জ্বালানি খাত ছাড়াও বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টর থেকে জনগণের অর্থ লুটপাট করছে এবং জনগণের জীবন ও জীবিকা ঝুঁকিতে ফেলেছে।
আরও পড়ুন:আ.লীগ সরকার সংবিধানকে আওয়ামী সংবিধানে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন কীভাবে তারা স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছে, কোভিডের সময় মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যকে বিপন্ন করেছে। আপনারা আরও দেখেছেন কিভাবে উত্তরায় একটি গার্ডার পড়ে পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া সারাদেশে সেতু ও সড়কে দুর্ঘটনায় শত শত মানুষ মারা যাচ্ছেন।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা আওয়ামী লীগ সরকারকে বর্গিদের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, তারা (আ.লীগ) এখন বর্গীর ভূমিকা পালন করছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। যিনি ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানিমন্ত্রী ছিলেন।
মূল প্রবন্ধে মোশাররফ হোসেন অর্থনীতিতে তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিরূপ প্রভাব, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ক্ষমতাসীন দলের ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটের কথা তুলে ধরেন।
ফখরুল বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম, উদার ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করলেও গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার হরণকারী বর্তমান সরকার দেশকে পুরোপুরি ‘ফ্যাসিবাদী’ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
আরও পড়ুন:প্রস্তাবিত বাজেট লুটেরা বান্ধব: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল ফের করোনায় আক্রান্ত
২ বছর আগে