লুটপাট
সরকার জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য পাতাল রেল প্রকল্প শুরু করেছে: বিএনপি
বিএনপি সিনিয়র নেতা বরকতউল্লাহ বুলু অভিযোগ করেছেন, সরকার শুধু জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও পাতাল রেল প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘সারাদেশে সংকট চলছে। ডলার সংকটের কারণে আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। এই সংকটের মধ্যে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) ২০ কিলোমিটার পাতাল রেলের জন্য ৫২ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছেন। লুটপাটের জন্য এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন।’
শুক্রবার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্যে বিএনপির এই নেতা দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ যখন বেকার তখন এ ধরনের মেগা প্রকল্প নেয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
আরও পড়ুন: গাবতলী থেকে মিরপুর পর্যন্ত বিএনপির তৃতীয় পদযাত্রা শুরু
তিনি বলেন, ’৫২ হাজার কোটি টাকার পাতাল রেল থেকে দেশ কী সুবিধা পাবে?’
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বুলু বলেন, সরকার অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে কৃষি খাতে অথবা কল-কারখানা স্থাপন করে বেকারদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। ‘আমরা জানি আপনি এটি করবেন না। কারণ এটি আপনার জন্য জনগণের অর্থ লুট করার সুযোগ তৈরি করবে না।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপিপন্থী প্ল্যাটফর্ম নাগরিক অধিকার আন্দোলন (নাগরিক অধিকার আন্দোলন)।
প্রথম মেট্রো রেল চালু হওয়ার এক মাস পর বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রথম পাতাল রেল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
বুলু অভিযোগ করেন, সরকার বাংলাদেশ থেকে ১৪ লাখ কোটি টাকা কানাডা, দুবাই, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করেছে।
তিনি আরও বলেন, একজন এমপি, যিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীও, তিনি চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ১৭টি বাড়ির মালিক হয়েছেন। ‘মনে হচ্ছে আলাদিনের জাদুর প্রদীপ তাদের হাতে।’
বুলু বলেন, এভাবে কুইক রেন্টাল ও রেন্টাল পাওয়ার প্রজেক্টের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ লুটপাট করে আওয়ামী লীগের লোকজন বিদেশে বিশ্বের ধনীদের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিদ্যুৎ খাত লুটপাট করা হয়েছে। পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যেখানে কোনো প্রকল্পের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ মামলা করতে পারে না। কিন্তু সরকার সংসদে ক্ষতিপূরণ বিল পাস করেছে যাতে কুইক রেন্টাল পাওয়ার নামে লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে মামলা করতে না পারে।’
বিএনপি নেতা বলেন, দেশকে দুঃশাসন ও লুণ্ঠন থেকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান শাসনের পতন নিশ্চিত করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হতে হবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য জনগণ আর বহন করতে পারবে না: বিএনপি
কুমিল্লা জেলা বিএনপির সদস্য সচিবকে অবাঞ্চিত ঘোষণা
বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন সোমবার অভিযোগ করে বলেছেন, ৭ ডিসেম্বর অভিযানে পুলিশ নয়াপল্টনে তাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে টাকা লুটপাটের পাশাপাশি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ধ্বংসযজ্ঞ ও ভাঙচুর করেছে।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বিএনপি কার্যালয়ের পাঁচ তলা ভবনের প্রতিটি কক্ষ পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর ও লুটপাট করেছে পুলিশ। তারা নগ্নভাবে সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। অপ্রত্যাশিত বর্বরতা।’
আরও পড়ুন: বর্তমান ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপে যাবে না: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপি নেতা বলেন, পুলিশ তাদের দলীয় চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের প্রথম তলায় দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ঘরের ভেতরের সবকিছু ভাংচুর করে এবং সব ছবি নষ্ট করে দেয়।
তিনি বলেন, পুলিশ তাদের অফিস থেকে সব সিপিইউ, হার্ডডিস্ক, প্রিন্টারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে গেছে।
‘আমাদের অ্যাকাউন্ট বিভাগ থেকে সবকিছু লুট করা হয়েছে। নিচতলায় জিয়াউর রহমানের ম্যুরালও ভাঙচুর করা হয়। বিজয়ের মাসে এমন বর্বর ঘটনা কেউ দেখবো বলে আশা করেনি,’ বলেন মোশাররফ।
তিনি অভিযোগ করেন, ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সরকারের আগ্রাসী মনোভাব প্রমাণ করেছে যে এটি একটি ফ্যাসিবাদী, সন্ত্রাসী ও দখলদার সরকার।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘ঘটনার নিন্দা করার মতো উপযুক্ত শব্দ আমাদের কাছে নেই। আমি মনে করি এটি বাংলাদেশে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। বিশ্বে এমন নজির নেই…এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময়ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ ধরনের হামলা চালায়নি।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের পিঠ এখন দেয়ালে ঠেকেছে, তাই জনগণ আমাদের বার্তা দিয়েছে যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বলপ্রয়োগ করে দেশকে ধ্বংস করছে এবং তাদের পক্ষে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, অর্থনীতি মেরামত, নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। বিচার ব্যবস্থায় এবং আইনশৃঙ্খলা বিভাগে স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, তাদের পক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানো অসম্ভব। তাই বাংলাদেশের জনগণ, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলায় জনগণ এই সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর আবদুল মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ কয়েকজন বিএনপি নেতাকে নিয়ে মোশাররফ দলীয় কার্যালয়ে যান।
এদিকে গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মকবুলের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
মকবুলের স্ত্রী হালিমা আক্তার বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে এক লাখ টাকা পেয়েছেন। আর মেয়ে মিথিলার পড়াশোনার দায়িত্ব নেন ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে: খন্দকার মোশাররফ
লুটপাট, মানি লন্ডারিংয়ের কারণে ব্যবসায় বিপর্যয়: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মূলত ব্যাপক লুটপাট ও বিদেশে অর্থ পাচারের কারণে অর্থনৈতিক সংকটে ব্যবসায়ীরা খুব কঠিন সময় পার করছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বড় ব্যবসায়ী এখন একটি কথা বলছে যে তারা খুব খারাপ সময়ের মুখোমুখি হচ্ছে। তাদের ব্যবসা এবং কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তারাও এখন এমন পরিস্থিতিতে যে তাদের শ্রমিকদের মজুরি দেয়ার মতো টাকাও নেই।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা আরও বলেন, সরকার অর্থনৈতিক সংকটের জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করছে। ‘হয়তো এর পেছনে কিছু কারণ আছে। কিন্তু গত ১০ বছরে ৮৬ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এরমধ্যে গত এক বছরে ৭৮ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা ব্যাপক লুণ্ঠন ও অর্থপাচারে লিপ্ত হয় এমন দেশের অর্থনীতিতে কি থাকতে পারে?’
আরও পড়ুন: বিরোধী নেতাকর্মীদের গুলি করা বন্ধ করুন: পুলিশকে ফখরুল
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে উত্তরবঙ্গ ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে এখন ব্যবসায়ীদের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রণোদনা ও সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলো ডলারের ঘাটতির কারণে নতুন এলসি খুলতে পারছে না এবং এর আগে রিজার্ভ থেকে বিপুল অর্থ লুট করা হয়েছে। রিকশাচালক, হকারসহ সাধারণ মানুষ এখন বলছে এই সরকার চোর।’
বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে মুক্তি ও সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জনগণ জেগে উঠেছে। ‘মানুষ রাস্তায় নেমে আসায় ইতোমধ্যে একটি সংগ্রাম শুরু হয়েছে। এই বৃদ্ধ বয়সে বর্তমান শাসনকে পরাজিত করার জন্য আমাদের প্রতিটি সমাবেশ থেকে আমি আরও একটি মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রাণিত হচ্ছি।’
৭ জনকে হত্যা করার মূল্য দিতে হবে সরকারকে:
ফখরুলের অভিযোগ করে বলেন, শনিবার বাঞ্ছারামপুরের সোনারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ শাখার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়াকে বিনা উসকানি ও কারণ ছাড়াই পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। এটা কেমন একটা দেশ। তাদেরকে জনগণের আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকারের জন্য চলমান আন্দোলনে নয়ন মিয়াসহ দলের সাত নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। ‘আমরা আমাদের সাত যোদ্ধাকে হারিয়েছি এবং সরকারকে এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।’
ফখরুল সরকারকে সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই নিরাপদে ক্ষমতা ছাড়তে বলেন। ‘অন্যথায়, ইতোমধ্যে তৈরি হওয়া উত্তাল গণতরঙ্গ আপনাকে সুনামির মতো ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।’
সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় জড়াচ্ছেন এমন অভিযোগ তুলে তিনি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিরোধিতাকারীরা ‘জনশত্রু’: ফখরুল
ঢাকার জনসভা থেকেই বৃহত্তর আন্দোলন শুরু, বললেন ফখরুল
সরকার জ্বালানি খাতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে জনগণের টাকা লুটপাট করছে: বিএনপি
আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের টাকা লুটপাটের অস্ত্র হিসেবে জ্বালানি খাতকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান জ্বালানি সংকটের মূল কারণ দুর্নীতি। এটা (জ্বালানি) তাদের (সরকার) জন্য একটি বড় অস্ত্র। তারা দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাটের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে জ্বালানি খাতকে ব্যবহার করছে।’
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘দুর্নীতি জ্বালানি সংকট এর উৎস’- শীর্ষক সেমিনারে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকার জ্বালানি খাত ছাড়াও বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টর থেকে জনগণের অর্থ লুটপাট করছে এবং জনগণের জীবন ও জীবিকা ঝুঁকিতে ফেলেছে।
আরও পড়ুন:আ.লীগ সরকার সংবিধানকে আওয়ামী সংবিধানে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন কীভাবে তারা স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছে, কোভিডের সময় মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যকে বিপন্ন করেছে। আপনারা আরও দেখেছেন কিভাবে উত্তরায় একটি গার্ডার পড়ে পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া সারাদেশে সেতু ও সড়কে দুর্ঘটনায় শত শত মানুষ মারা যাচ্ছেন।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা আওয়ামী লীগ সরকারকে বর্গিদের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, তারা (আ.লীগ) এখন বর্গীর ভূমিকা পালন করছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। যিনি ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানিমন্ত্রী ছিলেন।
মূল প্রবন্ধে মোশাররফ হোসেন অর্থনীতিতে তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিরূপ প্রভাব, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ক্ষমতাসীন দলের ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটের কথা তুলে ধরেন।
ফখরুল বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম, উদার ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করলেও গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার হরণকারী বর্তমান সরকার দেশকে পুরোপুরি ‘ফ্যাসিবাদী’ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
আরও পড়ুন:প্রস্তাবিত বাজেট লুটেরা বান্ধব: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল ফের করোনায় আক্রান্ত
লোডশেডিংয়ের পেছনে সরকারের ‘মেগা’ দুর্নীতি, লুটপাট: বিএনপি
সরকারের ‘মেগা’ দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে দেশবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বাংলাদেশের এখন প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু এখন কেন লোডশেডিং হচ্ছে? এর পেছনের কারণ হলো মেগা দুর্নীতি ও চুরি।’
এক জনসভায় বক্তৃতাকালে তিনি অভিযোগ করেন যে সরকার কুইক-রেন্টাল এবং অন্যান্য পাওয়ার প্ল্যান্টের সঙ্গে এই জাতীয় চুক্তি স্বাক্ষর করার পর থেকে ১০টি কোম্পানিকে ক্যাপাসিটি চার্জ হিসাবে হাজার হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে যদিও তারা কোনও বিদ্যুৎ উৎপাদন করেনি।
চলমান লোডশেডিং, জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনা এবং জ্বালানি-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপি।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য পদত্যাগ করলে আপনাদের সঙ্গে চা খাব: প্রধানমন্ত্রীকে ফখরুল
ফখরুল বলেন, অফশোর গ্যাস অনুসন্ধানে জনগণের কাছ থেকে সারচার্জ নিয়ে একটি তহবিল তৈরি করা হয়েছে। এটা উদ্বেগজনক যে সরকার এই তহবিল থেকে গ্যাস কিনতে (বিদেশ থেকে) প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। ‘এটি আরেকটি প্রতারণা ও ডাকাতি।’
তিনি অভিযোগ করেন, একদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, অন্যদিকে জ্বালানি হিসেবে এলএনজি ও এলপিজি গ্যাস আমদানি করে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যবসায়ীরা। এভাবে তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
চলমান লোডশেডিং, জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনা এবং জ্বালানি-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপি।
ফখরুল বলেন, ‘অফশোর গ্যাস অনুসন্ধানে জনগণের কাছ থেকে সারচার্জ নিয়ে একটি তহবিল তৈরি করা হয়েছে। এটা উদ্বেগজনক যে সরকার এই তহবিল থেকে গ্যাস কিনতে (বিদেশ থেকে) প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। এটি আরেকটি প্রতারণা এবং ডাকাতি।’
তিনি অভিযোগ করেন, একদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, অন্যদিকে জ্বালানি হিসেবে এলএনজি ও এলপিজি গ্যাস আমদানি করে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যবসায়ীরা। এভাবে তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: সড়কে নৈরাজ্যের জন্য সরকারের সমালোচনা বিএনপির
মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য সরকার কম জনসংখ্যা দেখাচ্ছে: ফখরুল
কুড়িগ্রামের সেই ৫ দিনমজুরের হাইকোর্টে জামিন
করোনায় প্রণোদনা দেয়া হবে এমন ফাঁদে ফেলে অর্থ লোপাটের অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তার কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটার পাঁচ দিনমজুরকে এক বছরের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পাঁচ দিনমজুর হলেন- বিধবা ফুলমনি রানি, রণজিৎ কুমার, প্রভাস চন্দ্র, কমল চন্দ্র রায় ও নিখিল চন্দ্র বর্মন।
বুধবার (৬ অক্টোবর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর অবকাশকালীন ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে আগাম জামিন মেলেনি বসুন্ধরার এমডির
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করে এই জামিন আবেদন করা হয়। আইনজীবী শিশির এই দিনমজুরদের পক্ষে বিনা ফিতে মামলাটি পরিচালনা করেছেন।
পরে শিশির মনির জানান, আদালত বলেছেন, যারা লুটপাট করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলো না। দিনমজুর সাধারণ মানুষকে কেন ফাঁসানো হলো? এ প্রশ্ন রেখে আদালত তাদের এক বছরের জামিন দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৫ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বাড়লো এক বছর
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের নওদাবস গ্রামের বাসিন্দা রণজিৎ কুমার, প্রভাস চন্দ্র, কমল চন্দ্র রায়, সুবল চন্দ্র মোহন্ত। সহজ-সরল দিনমজুর ও খেটে খাওয়া এসব কৃষকের জীবন চলে দারিদ্র্যের চরম কশাঘাতে। তাদের কাছে হঠাৎ একদিন এসে হাজির হন স্বপন নামে এক ব্যক্তি। অভাব ঘোচাতে তাদের সরকারি সহায়তা পাইয়ে দেয়ার কথা বলেন স্বপন। তিনি বলেন, সহায়তা আসবে ব্যাংকে, তাই সোনালী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
স্বপনের কথায় রাজি হয়ে যান রনজিৎ কুমার আর প্রভাস চন্দ্ররা। নিজের নামটুকুও লিখতে না পারা এসব কৃষকের নামে সোনালী ব্যাংক নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) শাখায় খোলা হয় সঞ্চয়ী হিসাব। এরপর কাগজপত্র স্বাক্ষর করতে হবে বলে তাদের পাঁচজনকে ঢাকায় নিয়ে যান স্বপন। সেখানে অনেক কাগজে সই নিয়ে বাড়িতে ফেরত পাঠান।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে জামিন পেলেন ঝুমন দাস
কিছুদিনের মধ্যে রণজিৎ কুমারের সঞ্চয়ী হিসাবে ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৭২০ টাকা, প্রবাস চন্দ্র রায়ের হিসাব নম্বরে ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ১২০ টাকা, সুবল চন্দ্রের হিসাব নম্বরে ৪০ লাখ ৭১ হাজার ৭২০ টাকা, কমল চন্দ্রের হিসাব নম্বরে ৪২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৮০ টাকা এবং ফুলমণি রানির হিসাব নম্বরে ৪৮ লাখ ৭০ হাজার ৫২০ টাকা জমা হয়।
তবে এত টাকা জমা হওয়ার খবর ওই কৃষকরা পাননি। গাড়ি ভাড়ার টাকা ছাড়া তেমন কোনো অর্থ সহায়তাও স্বপন মিয়া তাদের দেননি। সরকারি সহায়তা পাওয়ার আশায় তারা দিন গুনছেন।
গত ১ জুলাই গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের একটি ভুয়া অ্যাডভাইস দাখিলের মাধ্যমে জালিয়াতি করে সোনালী ব্যাংক থেকে ২ কোটি ৪৬ লাখ ৯ হাজার ৯৬০ টাকা তুলে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগে নয় জনের নামে মামলা হয়েছে। গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানায় মামলাটি করেন সোনালী ব্যাংক শ্রীপুর থানা হেডকোয়ার্টার শাখার ব্যবস্থাপক রেজাউল হক। সেই মামলায় নয় জনের মধ্যে পাঁচজন হলেন- রণজিৎ কুমার, প্রবাস চন্দ্র, কমল চন্দ্র, ফুলমণি রানী ও সুবল চন্দ্র।
মামলায় অভিযুক্ত অন্য ব্যক্তিরা হলেন- গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বজলুর রশিদ, অফিসের অডিটর আরিফুর রহমান, মাস্টাররোলে কর্মরত তানভীর ও ঢাকার উত্তরখান জামতলা এলাকার শাহেনা আক্তার।
গত ২ জুলাই দুপুরের দিকে সবার বাড়িতে হাজির পুলিশ! কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই রণজিৎ কুমার, প্রভাস চন্দ্র রায়, কমল চন্দ্র রায়, ফুলমণি রানিকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
আইনজীবী শিশির মনির জানান, পরে সুবল চন্দ্রও গ্রেপ্তার হন। নিম্ন আদালতে তাদের জামিন নামঞ্জুরের পর উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়।
বোয়ালমারীতে আ’লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত এক
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বর্দী এলাকায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল আলম মিনার গ্রুপ ও গত নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থী মান্নান মাতুব্বর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন। এদের মধ্যে গতরাতেই ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চেয়ারম্যান গ্রুপের কৃষক শহীদ ফকির (৪৭)।
শহীদ ফকিরের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছতেই রাত থেকে দফা দফায় কাটা খাল ও ফকির পাড়ার অর্ধশত বসবাড়ি ও দোকানপাটে হামলা ও লুটপাট চালায় নিহত পক্ষের সমর্থকরা।
পড়ুন: ফরিদপুরে করোনা ও উপসর্গে আরও ১০ মৃত্যু
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতিপক্ষের মামলার ভয়ে পুরো এলাকা পুরুষ শূন্য, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। নিহত শহীদ ফকিরের বাড়ি ছাড়া অন্য কোনো কোনো বাড়িতে পুরুষ সদস্যদের দেখা মেলেনি।
ক্ষতিগ্রস্ত পরমেশ্বর্দীএলাকার বাসিন্দা লতিফা বেগম(৩৫) বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাতে পার্শ্ববর্তী খারদিয়া গ্রামের লোকেরা তাদের বাড়ির গোলা থেকে ধান ও পাট লুট করে নিয়ে যায়। দেশীয় অস্ত্রের মুখে আমরা নিজেরাই ঘরের তালা খুলে দিতে বাধ্য হই।
পড়ুন: ফরিদপুর মেডিকেলে করোনায় আরও ১৯ প্রাণহানি
ফরিদপুরে আশ্রয়ণের সুবিধা ভোগীদের অন্যরকম ঈদ
তিনি জানান, তাদের আকন গোষ্ঠীর পুরুষ সদস্যরা শুক্রবারের দিনের কাইজায় (মারামারিতে) অংশ না নেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের নিজ গ্রামের লোকেরাও তাদের এখন হত্যা মামলায় ফাসিয়ে দেয়ার ভয় দেখাচ্ছে।
ওই গ্রামের আরেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার রুবেল আকনের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার (২৫) বলেন, ‘হামলাকারীরা আমাদের বাড়ির গরু, পাট, পেঁয়াজ এমনকি ফ্রিজটাও লুটে নিয়ে গেছে। বাধা দিতে গেলে গলায় রামদা ধরে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গেছে।’
পাশের বাড়ির প্রবাসীর স্ত্রী খাদিজা আক্তার বলেন, ‘আমাদের বাড়ির তিনটি গোয়ালের ১০টি গরুই নিয়ে গেছে ওরা, বাড়ির মজুত যা ছিল সবই বস্তায় ভরে মাথায় করে লুট করে নিয়ে গেছে। এখন আমাদের ঘরে খাবার কিছুই নেই।’
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরল আলম বলেন, ‘এলাকায় নতুন করে অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা তৎপর রয়েছি, মারামারির ঘটনায় কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ না দিলেও প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’
ঘটনাস্থল পরিদশনে আসা পুলিশের মধুখালী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কর বলেন, পুরো বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাবনায় হাট নিয়ে আ’ লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
পাবনায় হাটের ইজারাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এছাড়া ব্যাপারীদের গরু ও টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে পাবনা জেলার সদর উপজেলার তাড়াবাড়িয়া হাটে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পাবনায় সাইকেলআরোহী কিশোর নিহত
বৃহস্পতিবারও (২৮ এপ্রিল) বিবদমান উভয় পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করে। পুলিশ মিমাংসার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত বছর সদর উপজেলার তাড়াবাড়িয়া হাটের ইজারা নেন সুজানগরের জনৈক ইউনুস এবং সিদ্দিক সর্দার গং। এবারের ডাকে হাটের ইজারা পেয়েছেন পার্শ্ববর্তী দুবলিয়া এলাকার জিয়াউর রহমান এবং নাসিম গং। এরা দুই গ্রুপই আওয়ামী লীগ সমর্থিত।
এ বছর হাট ইজারাদার পরিবর্তন হওয়ায় সেখানে উত্তেজনা চলছিল। এরই জের ধরে বুধবার ওই হাটে সংঘর্ষ এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পাবনা থানার পুলিশ এবং সদর ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় কিশোর গ্যাংয়ের ২ সদস্য আটক
হাটের ইজারাদার নাসিম অভিযোগ করেন, 'গত বছর ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা দিয়ে হাটের ইজারা নেন সিদ্দিক সর্দাররা। এবছর আমরা ৩ গুণ টাকা দিয়ে অর্থাৎ ৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকায় হাটের ইজারা নিয়েছি। কিন্তু বছরের শুরুতেই হাটের খাজনা তুলতে গেলে সিদ্দিক সর্দাররা বাধা দেয়া শুরু করেন।'
তিনি বলেন, 'বুধবার হাটবারে সিদ্দিক সর্দাররা বিপুল সংখ্যক সন্ত্রাসী নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ হাটে হামলা চালায়। তারা আমাদের লোকজনকে এবং হাটের ব্যাপারীদের এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ সময় তারা কয়েকটি গরু এবং ব্যাপারীদের কাছ থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।'
এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গরুর ব্যাপারী আলী সর্দারকে (৫৫) গুরুতর অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইজারাদার নাসিম দাবি করেন, কোনো সংঘর্ষ নয়, পরিকল্পিতভাবে হাটে হামলা চালিয়েছেন সিদ্দিক সর্দার গং।
আরও পড়ুন: পাবনায় আ’লীগের কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সন্ধ্যায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আখতার রিনা বলেন, 'এখন পরিস্থিতি শান্ত। উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি দু’পক্ষকে নিয়ে বসে মিমাংসা করে দেবেন।'
পাবনা থানার ওসি নাসিম আহম্মদ বলেন, সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শুক্রবার পুলিশের উপস্থিতে আওয়ামী লীগের উভয় পক্ষ মিমাংসার জন্য বসবে বলে ওসি জানান।
বোয়ালমারীতে প্রতিপক্ষের হামলায় বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে প্রতিপক্ষের অর্ধশতাধিক বাড়ি-ঘর ভাঙচুর এবং কয়েক লাখ টাকার সম্পদ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
টিকা নিয়ে লুটপাটের আয়োজন চলছে, অভিযোগ বিএনপির
সরকারি মদদপুষ্ট ব্যবসায়ীরা করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে একটা লুটপাটের আয়োজন করছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।