লুটপাট
ফরিদপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০, বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট
ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ২০টি গ্রামের হাজারো মানুষ অংশগ্রহণে এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৬টার দিকে শুরু হয়ে বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া বাজার এলাকার তিনটি স্থানে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ২০টি বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে; লুটপাট করা হয়েছে গবাদি পশুসহ অন্যান্য মালামাল।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে গট্টি ইউনিয়নের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জাহিদ মাতুব্বর ও নুরু মাতুব্বরের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। সম্প্রতি এই বিরোধের জেরে উভয় নেতার সমর্থকদের কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।
স্থানীয়দের দাবি, জাহিদ ও নুরু মাতুব্বর বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী সরকারের পতনের পর তারা বিএনপিতে যোগ দিয়ে গট্টি ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
৬ দিন আগে
সাদাপাথরে লুটপাট, পরিদর্শনে দুদক টিম
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ থেকে লুট হওয়া পাথর লুটের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৩ আগস্ট) ভোলাগঞ্জের সাদাপাথরে পরিদর্শনে যায় সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয় দুদকের উপপরিচালক নাজমুস সাদাত রাফির নেতৃত্বাধীন টিম। দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের কিছু অসাধুদের যোগসাজশে সাদাপাথর এলাকার পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। ওই পর্যটন এলাকায় দুদকের সিলেট জেলা সমন্বিত কার্যালয় অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযান শেষে এ নিয়ে বিস্তারিত জানানোর আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: খুলে দেওয়া হয়েছে সিলেটের সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্র
প্রাকৃতিকভাবে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ধলাই নদের উৎসমুখে ভেসে আসা পাথরের বিশাল স্তুপের কারণে প্রায় পাঁচ একর জায়গা জুড়ে সিলেটের ভোলাগঞ্জ পর্যটনের স্থান হিসেবে গত কয়েক বছরে বেশ সাড়া ফেলেছিল। তবে গত এক বছরে সে জায়গাটি থেকে অবাধে পাথর লুটের ঘটনায় মনোরম সৌন্দর্যের এই স্থানটি বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরের ৭৫ শতাংশই গায়েব। আছে মাত্র ২৫ শতাংশ। একসময় প্রচুর পরিমাণে সাদা পাথর দেখা যেত বলে জায়গাটার নামই হয়ে যায় ‘সাদাপাথর’। কিন্তু বর্তমানে পর্যটনকেন্দ্রটি অস্তিত্ব সংকটে।
এর আগে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাদাপাথর নামক ওই স্থান থেকে পাথর লুট হওয়ার সংবাদ প্রকাশ হলে তা সারা দেশে আলোচিত হয়। দেশের বিভিন্ন মহল থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধংস করার প্রতিবাদ জানানো হয়।
১১৩ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় অস্ত্রের মুখে প্রবাসীর বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে চাঁদার দাবিতে অস্ত্রের মুখে বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে হংকং প্রবাসী মো. শরিফুল ইসলামের (৪২) বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কসবা গ্রামের আতিয়ার রহমান বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রবাসী শরিফুল ওই এলাকার মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কুমারখালী থানা পুলিশ।
শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি প্রায় ১১ বছর হংকংয়ে ছিলেন। বছরখানেক হলো দেশে ফিরেছেন। বিদ্যালয়ের সামনের নিজস্ব তিনতলা ভবনে তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে চাঁদাবাজির সময় দুই ভুয়া মেজর আটক
তার দাবি, দেশে ফেরার পর থেকে এলাকার কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী তার কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। তা না দেওয়ায় গতকাল (বুধবার) রাত ৯টার দিকে ১৫ থেকে ২০ জন দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ তার পাকা বাড়ির তিনতলায় ঢুকে পড়েন। বাড়িতে ঢুকেই তারা প্রথমে শরিফুলকে মারধর করেন। এরপর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে নগদ প্রায় ১৫ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।
শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদার টাকা না পেয়ে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটেই ভাঙচুর করে সবকিছু নিয়ে চলে যায় চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীরা। অনেকেরই মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা থাকলেও কয়েকজনকে আমি চিনতে পেরেছি। তবে এখনই নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে চাই না। মামলার পরে সবাই জানতে পারবেন।’
খবর পেয়ে বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক বিল্লাল হোসেন খান। তিনি বলেন, ‘ঘরের ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুরের আলামত রয়েছে। শরিফুল ইসলাম ভাঙচুর ও নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার লুটপাটের অভিযোগ মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।’
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদা না পেয়ে এক প্রবাসীর বাড়িতে রাতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১৩৪ দিন আগে
গতদিনের ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় দুই বিভাগে আটক ৪৫
ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলার প্রতিবাদে হঠাৎ বিক্ষোভ মিছিল থেকে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ৪৫ জনকে আটকের কথা জানিয়েছে সিলেট ও খুলনা বিভাগের পুলিশ।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সিলেট ও খুলনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
সিলেট
সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল থেকে বাটা, কেএফসিসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সকাল ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, লুট করা জুতা বিক্রির জন্য ফেসবুকে দেয়া হচ্ছে বিজ্ঞাপন। বিষয়টি নজরে আসলে ক্রেতা সেজে ওই পোস্টদাতাকে আটক করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। আটক মামুনুল হক নগরীর সাদিপুর এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের টহল ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
২৪০ দিন আগে
ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ: ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯
সারা দেশে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার দেশের বেশ কয়েকটি শহরে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে এসব ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার ভ্যারিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার তদন্ত চলছে এবং এই নিন্দনীয় কাজের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আরও মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
এতে আরও বলা হয়, দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে পুলিশ গত রাতে অপরাধীদের ধরতে অভিযান চালিয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে বিক্ষোভের সময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করছে। এই সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য দায়ী সবাইকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ গ্রেপ্তার
তদন্তে সহায়তা করতে পারে—এমন তথ্য যাদের কাছে আছে তাদের সহযোগিতাও কামনা করা হয় বিবৃতিতে।
এতে বলা হয়, এই ধরনের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা জননিরাপত্তা এবং আইনের শাসনের প্রতি অবমাননাকর। যারা সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায় তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বানও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে শয়তান সংঘের সভায় হাতাহাতি, গ্রেপ্তার ৩
২৪১ দিন আগে
ধানমণ্ডি ৩২: চতুর্থ দিন রাতেও উৎসুক জনতার ভিড়
ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙার চতুর্থ দিন রাতেও উৎসুক জনতার ভিড় কমেনি। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার পর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভাঙন এখনও চলছে। তবে এবার বহিরাগতরা এসে ভাঙা ভবন থেকে ব্যবহার্য ইট, লোহা খুলে নিয়ে যাওয়ায় ব্যস্ত।
দেখা যায়, ফুটপাতে বিশাল আকৃতির কন্টেইনার ভাঙছেন কয়েকজন। ঝালাই করে বড় বড় লোহার পাত খুলে নেওয়া হচ্ছে বিক্রির জন্য।
গত বুধবার ভাঙন শুরুর পর থেকেই চলছে ইট, পাথর, লোহাসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী লুটপাট। প্রথম দিকে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা থাকলেও এখন জায়গাটি একেবারে উন্মুক্ত। ফলে অবশিষ্ট যা কিছু আছে, অনায়াসে তা নিয়ে যাচ্ছে লোকজন।
৩২ নম্বরে আসা অনেকেই জানান, এখানে কী হয়েছে, এখনও কী চলছে—তা দেখতে এসেছি। কেউ কেউ আবার স্মৃতি হিসেবে রাখতে ছবি তুলতে এসেছেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ নিয়ে সরকারের বিবৃতি
২৯৯ দিন আগে
শেখ হাসিনার পৈতৃক সম্পত্তিতে ভাঙচুর ও লুটপাট
খুলনার দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় শেখ হাসিনার পৈতৃক সম্পত্তিতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে৷
এ সময় তারা ‘আমার সোনার বাংলায় মুজিববাদের ঠাঁই নাই, জ্বালো-জ্বালো আগুন জ্বালো, আওয়ামী লীগের আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, মুজিববাদের আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগানও দেয় উত্তেজিত জনতা।
জানা যায়, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমান তার স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে খুলনার দিঘলিয়ার ভৈরব নদের পাশে নগরঘাট এলাকায় ১ একর ৪৪ শতক (৪ বিঘা) জমিতে পাট গুদাম ও এক কক্ষের ঘরসহ জমি কেনেন। ওই জমিতে নির্মাণ করা হয় পাট গোডাউন, যা বর্তমানে ‘শেখ হাসিনার গোডাউন’ নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন: ফেনীতে সাবেক এমপিদের বাড়ি ও আ.লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
এই জমির কথা শেখ হাসিনা নিজেও জানতেন না। ২০০৭ সালে তার ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে ওই জমির কথা জানতে পারেন তিনি।
এই পাট গুদাম দেখাশোনা করতেন শেখ মুজিবের ছোটভাই শেখ আবু নাসের। এছাড়া শেখ মুজিব তার জীবদ্দশায় পাটের গুদাম ও এক কক্ষের আধাপাকা ঘর ছিল সেই জমিতে।
৩০১ দিন আগে
ধানমণ্ডি ৩২: সরঞ্জাম লুটতে ব্যস্ত অনেকে, কেউ করছে চুরি
শেখ মুজিবুর রহমানে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে গতকাল (বুধবার) রাতে শুরু হওয়া ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ কর্মকাণ্ড এখনও চলছে। তবে বৃহস্পতিবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লুটপাট।
আজ (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৫টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ভিড় একটুও কমেনি বরং বেড়েছে। এর মধ্যেই কেউ কেউ ইট, লোহার জিনিসপত্র খুলে নিয়ে যাচ্ছেন।
এমনই একজনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো খুলছি ভাঙারির দোকানে বিক্রি করব বলে।’
এ সময় ইট হাতে চলে যেতে দেখা যায় অনেককে। ইট সংগ্রহ করতে ভাঙনের কাজে যোগ দিয়েছেন অনেকেই। আরও দেখা যায়, একটি পোড়া গাড়ি ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছে কিছু মানুষ।
আগুনে দেওয়াল পুড়ছে, তবু তারা লোহা ও বিক্রয়যোগ্য যা কিছু আছে, লুট করতে ব্যস্ত।
মাইকিং করে ভবনটি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করে সবাইকে সরে আসতে বললেও অনেকেই পরোয়া করছেন না।
এর মধ্যে সেখানে আবার খাবারের দোকান বসিয়েছেন কেউ কেউ।
আরও পড়ুন: ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ নিয়ে সরকারের বিবৃতি
হায়দার আলী নামে এক দই বিক্রেতা বলেন, ‘আজকেই এখানে প্রথম আসছি। আগে টাউনহলে বিক্রি করতাম। এখানে ভাঙচুরের জন্য মানুষ বেশি, তাই বিক্রিও বেশি হচ্ছে।’
শুধু দই নয়, এই ঘটনা ঘিরে গড়ে ওঠা অন্য খাবারের দোকানগুলোতে ভীড় লক্ষ করা গেছে।
৩০ টাকা দরে স্যান্ডউইচ বিক্রি করছেন শফিকুর রহমান। আজই প্রথম এসেছেন কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্যদিন আসব কী করতে? এত মানুষ এখানে আছে বলেই আজ এসেছি।’
অনেকে শুধু দেখতে এসেছেন। কেউ বলছেন, ছবি তুলতে এসেছেন।
লুটপাটের মাঝে কেউ কেউ চুরি, পকেটমারিও করছে। সব মিলিয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছিল ধানমণ্ডি ৩২ এ শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটিতে।
৩০১ দিন আগে
আশুলিয়ায় অস্থিরতা: ৩ কারখানাতে লুটপাট, ৫০ কারখানা ছুটি ঘোষণা
আশুলিয়ায় আবারও বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। অন্যদিকে আলিফ ভিলেজ লিমিটেড গ্রুপের তিনটি তৈরি পোশাক কারখানায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে অন্তত ৫০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় শিল্পাঞ্চলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগে ১১ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
হামলা ও ভাঙচুর হওয়া তৈরি পোশাক কারখানাগুলো হলো- আশুলিয়া ইউনিয়নের টঙ্গাবাড়ি এলাকার আলিফ ভিলেজ লিমিটেডের আলিফ এমব্রয়ডারি ভিলেজ লিমিটেড, লাম মিম অ্যাপারেলন্স লিমিটেড, লাম মিম অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় স্বামী ও স্ত্রীসহ ৪ জনের লাশ উদ্ধার
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহল দিচ্ছেন সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।
আলিফ ভিলেজ লিমিটেড গ্রুপের আশুলিয়া জোনের ম্যানেজার মো. রেফাই সিদ্দিক বলেন, সকাল থেকেই কারখানায় প্রায় ১ হাজার ৫০০ শ্রমিক কাজ করছিলেন। এর কিছু সময় পর ২০০ থেকে ৩০০ মাস্ক পড়া লোকজন হঠাৎ করে তিনটি কারখানায় একসঙ্গে হামলা করে। কারখানাগুলোর মূল গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা।
তিনি আরও বলেন, দুর্বৃত্তরা কারখানার ডিজিটাল মেশিন, কম্পিউটার, ফায়ার কন্ট্রোল প্যানেল, বিদ্যুতের সাব স্টেশন, মেডিকেল সরঞ্জামাদি, সিসি টিভি, এয়ার কন্ডিশনার, গাছের গার্ডেনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর করে। এছাড়াও কারখানা থেকে মুল্যবান পোশাক, ল্যাপটপ, মোটরসাইকেল, মেশিন লুটপাট করে বলে জানান রেফাই সিদ্দিক।
কারখানার ডিজিটাল মেশিনগুলো ভেঙে ফেলায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় কারখানার নিরাপত্তাকর্মীসহ ২০ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।
অন্যদিকে হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল বাড়ানো, বকেয়া বেতনসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন তৈরি পোশাক কারখানা ইউফোরিয়া অ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী-পুলিশের যৌথ অভিযানে আশুলিয়ায় শতাধিক কারখানার কার্যক্রম শুরু
বেতন সমস্যা সমাধান চেষ্টার মধ্যেই শনিবার আশুলিয়ায় ৪৫টি কারখানা বন্ধ
৪৫১ দিন আগে
লুটপাটের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এই বাজেট: ফখরুল
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে দেশবিরোধী আখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করতে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত লুটেরাদের নতুন পরিকল্পনা এটি।
তিনি বলেন, ‘সরকার লুটেরা হয়ে গেছে। লুণ্ঠনকে আরও প্রশ্রয় দেওয়ার লক্ষ্যে লুটেরাদের এই বাজেট। আমি বিশ্বাস করি, বাজেটে (জনগণের অর্থ) আত্মসাতের জন্য নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবসম্মত ও গণমুখী: কাদের
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে বাজেট নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিকে কোনো দিকনির্দেশনা না থাকা।
তিনি বলেন, ‘পুরো বাজেটটিই মনে হয় মেগা প্রকল্প, মেগা চুরি, দুর্নীতির জন্য তৈরি করা হয়েছে। তাই এই বাজেটকে আমি শুধু তথাকথিত গণবিরোধীই বলছি না, বাংলাদেশবিরোধীও বলছি।’
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা ৪ মিনিটে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বাজেট নিয়ে দলের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফখরুল বলেন, প্রস্তাবিত ব্যয় রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি।
তিনি সতর্ক করে বলেন, এই ভারসাম্যহীনতা কেবল জনদুর্ভোগকেই তীব্রতর করবে এবং তাদের বোঝা বাড়িয়ে তুলবে।
সরকার ব্যয় মেটাতে জনগণের পকেট কাটবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ব্যয় ও রাজস্ব আয়ের মধ্যে ব্যবধান দূর করতে বিদেশের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যাংক থেকেও ঋণ বা অনুদান নেবে সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত এর ফল ভোগ করতে হবে জনগণকেই। তারা এরই মধ্যে বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্য, জ্বালানি ও সেবাখাতের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধির বোঝা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষকে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে ফেলে অদূর ভবিষ্যতে সেবাখাতের দাম আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। জীবিকা নির্বাহের জন্য লড়াই করতে গিয়ে অনেক মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামাঞ্চলে ফিরে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়ানোর বিকল্প নেই: অর্থমন্ত্রী
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বরাদ্দ
৫৪৬ দিন আগে