ওয়াশিংটন ডিসি
ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সন্ধ্যায় (স্থানীয় সময়) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছেছেন।
শনিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে লোটে নিউ ইয়র্ক প্লেস অব রেসিডেন্স ত্যাগ করে সন্ধ্যা ৬টায় সড়কপথে ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যে আলোচনা চলছে
প্রধানমন্ত্রী ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন।
৩ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি লন্ডনে অবস্থান করবেন।
সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করবেন এবং ৪ অক্টোবর ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেছেন আজরা জেয়া: মার্কিন দূতাবাস
আপনার অর্জন খুবই আকর্ষনীয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বাইডেন
১ বছর আগে
ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন দেশ জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের দ্বিতীয় ধাপে শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটি ওয়াশিংটন সময় বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় অনুসারে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৩৫ মিনিট) ওয়াশিংটনের ডুলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ কায়কাউস বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা এর আগে শুক্রবার বিকালে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ২৫ এপ্রিল থেকে জাপানে তার চার দিনের সরকারি সফর শেষ করে টোকিও ত্যাগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ১ মে ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড আর ম্যালপাস তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
২৯ এপ্রিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তুলে ধরে আগামী ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে 'রিফ্লেকশন অন ৫০ ইয়ারস অব বাংলাদেশ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংক পার্টনারশিপ' শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সেমিনারে প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বক্তৃতা করবেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য আরও সমর্থন বাড়ান: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা এবং বিগত পাঁচ দশকে দেশটিতে বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রম তুলে ধরা হবে।
এছাড়া 'বাংলাদেশ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ৫০ ইয়ারস অব পার্টনারশিপ' শীর্ষক মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী কর্মকর্তারা আগামী ২ মে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন।
এরপর ইউএস চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুজান পি ক্লার্ক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
একই দিন তিনি ইউএস বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট নিশা বিসওয়ালের আমন্ত্রণে মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের নির্বাহী গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন এবং মূল বক্তব্য পেশ করবেন।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী দ্য ইকোনমিস্টকে সাক্ষাৎকার দেবেন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনের উদ্দেশে টোকিও ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
পরে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।
তিনি বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
৪ মে প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী ৬ মে বাকিংহাম প্যালেসে আয়োজিত রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
এর আগে ৫ মে সকালে তিনি বাকিংহাম প্যালেসে রাজা ও রানি কনসোর্টের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
একই দিনে কমনওয়েলথ মহাসচিবের আয়োজনে মার্লবরো হাউসে রাজার উপস্থিতিতে কমনওয়েলথ লিডারস ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে। এসব অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।
প্রায় ১৩০টি দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানরা (বেশিরভাগ কমনওয়েলথ দেশের সরকার প্রধানসহ) ৭০ বছর পর যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠেয় রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী লন্ডনের একটি হোটেলে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন এবং প্রবাসী বাংলাদেশি ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ৯ মে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে মধ্যস্থতা করতে পারে জাপান: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: প্রধানমন্ত্রী
যারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে এবং বিদেশে থেকে রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার চালায় তাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসির এক হোটেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার নেতা-কর্মীদের ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি তার এই আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এ ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে এবং বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে হবে।’
তিনি বলেন, কিছু সংগঠন যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে, তারা দুই পলাতক ভারতীয় ও এখন বিএনপির মিছিলে দেখা যায় এমন কিছু ব্যক্তির নামের তালিকা (জোরপূর্বক গুমের শিকার অভিযোগে) দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিএনপি শাসনামলের অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরুন: প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, কিছু বাংলাদেশি বিভিন্ন অপকর্ম করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে এবং তারা এখন বিদেশে বড় ভাঁড়ে পরিণত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নির্মিত ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধার জন্য কিছু লোক প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যা খুশি বলছে… তাদের যথাযথ উত্তর দেয়ার জন্য আপনাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, মিথ্যা অভিযোগ এনে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করাই তাদের কাজ।
প্রধানমন্ত্রী জানান, যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধুর খুনি ও তাদের সন্তানরা রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের পেছনে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলেন যে যুক্তরাষ্ট্র মানবতা ও মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলে, তারা কীভাবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিতে পারে যারা নারী ও শিশুকে; এমনকি চার বছরের শিশুকেও রেহাই দেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি দণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বারবার অনুরোধ করে।
আরও পড়ুন: আর সম্ভব নয়, রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু তার সরকার সবধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে তা সম্পন্ন করে বিশ্ব অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
তিনি প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বলেন।
তিনি বলেন, এখন যে কেউ জাতীয় পরিচয়পত্রের পরিবর্তে তার পাসপোর্ট ব্যবহার করে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ প্রবাসীদের বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসংযোগসহ নানা অপকর্মের কথা তুলে ধরতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদিও বিএনপির দেয়া অবরোধ (২০১৪ সালের নির্বাচনের পর) এখনও প্রত্যাহার হয়নি, তবুও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে সরকারের সমালোচনা করতে পারে: ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
জ্বালানি সংকট কাটিয়ে উঠার আশা তৌফিক-ই-ইলাহীর
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে চলমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট উত্তরণে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসিতে হাডসন ইনস্টিটিউট নামে একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আয়োজিত ‘এনার্জি সিকিউরিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট চ্যালেঞ্জ ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিস: বাংলাদেশ কেস’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে জ্বালানি উপদেষ্টা এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলামসহ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
হাডসন ইন্সটিটিউটের ইনিশিয়েটিভ অন দ্য ফিউচার অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড সাউথ এশিয়ার ডিরেক্টর ড. অপর্ণা পান্ডে গোলটেবিলটি পরিচালনা করেন।
ড. চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সমস্যা বাংলাদেশের একার নয়, এটি এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা।
আরও পড়ুন: পশ্চিমারা আমাদের বিপদে ফেলেছে: প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা
তিনি বলেন, গণমাধ্যমসহ দল-মত নির্বিশেষে আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে সমস্যার সমাধান হতে পারে।
ড. চৌধুরী বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি এবং সরবরাহের ঘাটতির কারণে বিশ্বে যে আঘাত এসেছে তা বাংলাদেশেও পড়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে তিনি এই বৈশ্বিক সংকটের সমাধান খুঁজতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আরও জোরালো উদ্বেগ প্রকাশ করা উচিত।
জ্বালানি উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে গত ১৩ বছরে বাংলাদেশে জ্বালানি খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে এবং কৃষি ও শিল্প খাতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যাপক অবদান রাখায় দেশের অর্থনীতি দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।
ড. চৌধুরী উল্লেখ করেন যে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে সরকার সৌরবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদন বাড়াতে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যেখানে বাংলাদেশ জলবিদ্যুৎ ব্যবহারে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতার জন্য কাজ করছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল, ন্যাশনাল ব্যুরো অব এশিয়ান রিসোর্সেস, ইউএস ইনস্টিটিউট অব পিস এবং আটলান্টিক কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা ঘণ্টাব্যাপী গোলটেবিলে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি সংকট: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ২দিন ছুটি ঘোষণা নিয়ে ভাবছে সরকার
২ বছর আগে
ওয়াশিংটন ডিসিতে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপিত
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনায় দীর্ঘদিনের লালিত পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন উদযাপন করেছে।
এ উপলক্ষে দূতাবাস শনিবার রাতে বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের গর্ব এবং এটি আমাদের গৌরব ও আত্মমর্যাদার প্রতীক।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিপুল আস্থার প্রতিফলন: নেপাল
রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্ব-অর্থায়নে সেতুর কাজ শেষ করে দেশের ১৮ কোটি মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করেছেন।
শহীদুল ইসলাম বলেন, দেশ-বিদেশের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত ও নেতৃত্বের পাশাপাশি দৃঢ় সংকল্প ও মনোবলের কারণে দেশের বৃহত্তম অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য উপযুক্ত জবাব: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
বিশ্বব্যাংকের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পলকের বৈঠক
বিশ্বব্যাংকের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বৈঠক করেছেন। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জানান, বৈঠককালে তারা বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আইসিটি বিভাগের বাস্তবায়নাধীন এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভার্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি ক্লাউডকে উন্নত করা, সমস্ত সরকারি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের জন্য ক্লাউড পরিষেবা প্রদান করা, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্পের সঙ্গে অংশীদারিত্বে মাধ্যমে গবেষণা এবং উদ্ভাবন কেন্দ্র স্থাপন করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
এছাড়া ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি তৈরি করা যার মাধ্যমে প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যে ১০ হাজার জন সরকারি কর্মকর্তা এবং পাঁচ হাজার ব্যবস্থাপককে প্রশিক্ষণ দেয়া, সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া, ২০২৫ সালের মধ্যে আইটি ও আইটিই এস খাত থেকে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জনে সহায়তা করার জন্য আমাদের স্থানীয় আইসিটি শিল্পকে উন্নত করার বিষয়ে কথা হয়েছে।
তিনি জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশন আলাপন, বৈঠক, ই-মার্কেটপ্লেস, জাতীয় জব পোর্টাল তৈরি করা ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), সাইবারসিকিউরিটি, সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন এবং রোবোটিক্স এসকল প্রযুক্তিগুলোতে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় স্টার্টআপগুলোকে ইনসেনটিভ দেয়ার মাধ্যমে উৎসাহিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ভার্চুয়াল বিজনেস প্রেজেন্স প্ল্যাটফর্ম প্রবর্তন করা হচ্ছে: পলক
বৈঠকে ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস ম্যানেজার বৈজয়ন্তী দেশাই, সিনিয়র ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট জেরোম বেজিনারসহ এ শাখার সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে সশস্ত্র বিক্ষোভ সম্পর্কে সতর্ক করল এফবিআই
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটালে গত সপ্তাহের ভয়াবহ অবরোধের পরে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানের আগ মুহূর্তে দেশটির ওয়াশিংটন ডিসিসহ ৫০টি শহরে সশস্ত্র বিক্ষোভ পরিকল্পনার বিষয়ে সতর্ক করেছে এফবিআই।
৩ বছর আগে