ইউটিউব
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় ফেসবুক-ইউটিউব ব্যবহার করছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
দ্রুত বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির যুগে ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলো শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি 'টিচার্স ওয়ার্ল্ড: জার্নাল অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ' শিরোনামে একটি গবেষণার প্রতিবদেন প্রকাশ করেছেন সাইফুল ইসলাম ও এ বি এম নাজমুস সাকিব। তাদের গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে এই প্ল্যাটফর্মগুলোকে শিক্ষার জন্য ব্যবহার করেছে।
গবেষণার ফলাফলে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ধরন সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে।
দীর্ঘ সময় ধরে পরিচালিত এই গবেষণায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের বিবর্তনের ধরন সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।
গবেষণার মূল ফলাফল
এই গবেষণায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এর জন্য কাঠামোগত জরিপ এবং আধা-কাঠামোগত সাক্ষাৎকারসহ একটি মিশ্র-পদ্ধতি পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়েছিল।
সামাজিক শিক্ষা তত্ত্বের (এসএলটি) মাধ্যমে পরিচালনা করা হয় এ গবেষণা। এতে ফেসবুক ও ইউটিউবের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়; যা আনুষ্ঠানিক একাডেমিক অধ্যয়ন এবং অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
তত্ত্বটি পর্যবেক্ষণ, অনুকরণ ও মডেলিংয়ের মাধ্যমে শেখার উপর জোর দেয়।
ডেমোগ্রাফিক অন্তর্দৃষ্টি
উত্তরদাতাদের প্রায় অর্ধেক ছেলে-মেয়ের বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
২০ বছরের নিচে ছাত্রছাত্রীদের ১৩.১% এবং ২২ বছরের উপরে ছাত্রছাত্রীদের প্রায় ৪০% গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। স্নাতকে অধ্যয়নরত, স্নাতক ও স্নাতকোত্তরসহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার সব একাডেমিক স্তরেই বিস্তৃত।
শিক্ষায় ফেসবুক
গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে, ফেসবুক একাডেমিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ৯২.৩% উত্তরদাতারা তাদের পড়াশোনার উন্নতির জন্য এটি ব্যবহার করে। সাধারণত যেসব কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে:
· অনলাইন ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন।
· মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে একাডেমিক উপকরণ বিনিময় করে নেওয়া।
· লাইভ সেশনের সময় প্রতিক্রিয়া প্রদান।
· গ্রুপ আলোচনায় অংশ নেওয়া।
ফেসবুক সহযোগিতামূলক শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে, শিক্ষার্থীরা কোর্সের সামগ্রী এবং ক্লাসের বক্তৃতা লিংকগুলো আপলোড এবং বিনিময় করে নেন।
ইউটিউবের ভূমিকা বাড়ছে
একাডেমিক প্রেক্ষাপটে ফেসবুক আধিপত্য বিস্তার করলেও ইউটিউব অনানুষ্ঠানিক শিক্ষায় বহুল ব্যবহৃত। প্রায় ৭৫.৪% শিক্ষার্থী অনানুষ্ঠানিক পড়াশোনার জন্য ফেসবুকের উপর নির্ভর করেন, যেখানে ৭৯.২% শিক্ষার্থী ইউটিউবের দিকে ঝুঁকছেন।
জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল টেন মিনিট স্কুল, ফারজানা ড্রয়িং একাডেমি এবং ফাইভ মিনিট ক্রাফটস গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ভিডিওগ্রাফি থেকে শুরু করে স্পোকেন ইংলিশ এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত টিউটোরিয়াল পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ের কন্টেন্টের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
অনেক উত্তরদাতা ইউটিউবকে "সব শিক্ষকের শিক্ষক" হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিনামূল্যে, অ্যাক্সেসযোগ্য শিক্ষামূলক উপকরণগুলোর বিশাল ভাণ্ডারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা।
মহামারির প্রভাব
কোভিড-১৯ মহামারি শিক্ষায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে। সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, লকডাউনের সময় সামাজিক নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্মগুলো ঐতিহ্যবাহী শ্রেণিকক্ষের জায়গা নিয়েছে।
অনলাইন শিক্ষা আদর্শ হয়ে ওঠে, শিক্ষার্থীরা কোর্সওয়ার্ক, টিউটোরিয়াল ও ভার্চুয়াল গ্রুপ আলোচনার জন্য ক্রমবর্ধমান ফেসবুক ও ইউটিউবের উপর নির্ভর করেন।
এই পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যতের বাধাগুলো মোকাবিলায় সামাজিক মাধ্যমকে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায়েএকীভূত করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
আরও গবেষণার আহ্বান জানান
গবেষকরা শিক্ষামূলক কার্যক্রমে লিংকডইন, হোয়াটসঅ্যাপ ও টুইটারের মতো অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের ভূমিকা বিশ্লেষণের জন্য আরও সমাজতাত্ত্বিক গবেষণার সুপারিশ করেছেন।
তারা একাডেমিক ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার উপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবগুলোর গভীরতর অনুসন্ধানের ওপর জোর দেন।
এই গবেষণায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার হাতিয়ার হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দ্বৈত ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে।
ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর ব্যবহারের ধরনগুলো বিকশিত হতে থাকায়, বাংলাদেশের শিক্ষায় তাদের গভীর প্রভাব থেকে যাচ্ছে।
৩ সপ্তাহ আগে
ইউটিউবে যাত্রা শুরু রোনালদোর
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ফুটবল মাঠে রাজত্ব করে চলা পর্তুগিজ মহাতরকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আগে থেকেই সক্রিয়। এবার ইউটিউবে নতুন যাত্রা শুরু করেছেন তিনি।
ফেসবুক, এক্স ও ইনস্টাগ্রামে আগে থেকেই সক্রিয় ছিলেন রোনালদো। এর মধ্যে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে তো অনুসারীর সংখ্যায় তার ধারেকাছেও কেউ নেই। ইউটিউবে যোগ দেওয়ার পরও দেখা গেল একই ধারা।
বুধবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘ইউআর ক্রিস্তিয়ানো’ খোলার ঘোষণা দেন রোনালদো। এরপর থেকেই চ্যানেলটিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে তার ভক্ত-সমর্থকরা।
চ্যানেলটি খোলার প্রথম ঘণ্টাতেই ৩৯ বছর বয়সী এই মহাতারকার অনুসারীর সংখ্যা ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, ইউটিউবে দ্রুততম এক মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার অর্জনের রেকর্ড এটি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চ্যানেলটির মোট সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ২ কোটি ১৪ লাখ ছাড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, ফুটবল অঙ্গনে তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসিকে তিনি অতিক্রম করেছেন মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই।
আরও পড়ুন: রোনালদোর অর্জনের মুকুটে আরও একটি পালক
ইউটিউব চ্যানেল খুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোনালদো লেখেন, ‘অপেক্ষার প্রহর শেষ। অবশেষে আমার ইউটিউব চ্যানেল এসেছে।’
নিজের ট্রেডমার্ক উদযাপন সিউ…-এর ভঙ্গিতে অনুসারীদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘সাবস্ক্রাইব করে নতুন এই যাত্রায় আমার সঙ্গে থাকুন।’
উল্লেখ্য, এক্সে ১১ কোটি ২৫ লাখ, ফেসবুকে ১৭ কোটি এবং ইনস্টাগ্রামে ৬৩ কোটি ৬০ লাখ অনুসারী পাঁচবার ব্যালন দ’র জয়ী এই ফুটবলারের।
ইউরোপীয় ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে কয়েক বছর আগে সৌদি আরবে ফুটবল খেলছেন রোনালদো। সৌদি প্রো লিগের নতুন মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ রাতে আল-রাইদের বিপক্ষে মাঠে নামবে রোনালদোর আল নাসর।
আরও পড়ুন: শেষ লগ্নেও মায়া ছড়িয়ে চলেছেন মেসি রোনালদো
৩ মাস আগে
ভালোবাসা দিবস ২০২৪: মুক্তির অপেক্ষায় যেসব নাটক
ফাল্গুন ও প্রেমের সওগাত নিয়ে আসছে ভালোবাসার মহৌৎসব। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে সাদরে বরণ করে নিতে সাজ সাজ রবে মুখরিত বিনোদন পাড়া। ছোট পর্দার পরতে পরতে বসন্তের শুভাগমন বর্ণীল আভা ছড়ালেও সব মিলে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে প্রণয়ের রঙে। ইউটিউব ও টিভি চ্যানেলগুলোকে কেন্দ্র করে ১৪ ফেব্রুয়ারিতে মুক্তির মিছিলে শামিল হওয়া মৌলিক নাটকগুলো যেন তারই পরিবেশনা। এই উন্মাদনা টিজার, ট্রেলার ও পোস্টারের বাহনে চেপে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমজুড়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে নেটিজেনদের প্রতীক্ষা ও আলোচনায়। চলুন, সেগুলোর মধ্যে সর্বাধিক প্রত্যাশিত কয়েকটি ভ্যালেন্টাইন’স ডে’র নাটকের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ভালোবাসা দিবস ২০২৪-এর যে ১০টি নাটক দর্শকনন্দিত হওয়ার অপেক্ষায়
ভ্লগার মিতু
মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ-এর প্রযোজনায় ক্লোজআপ এবার নিয়ে আসছে তিনটি ভ্যালেন্টাইন স্পেশাল। সিনেমাওয়ালার ব্যানারে এই নাটকগুলো নির্মিত হয়েছে তিনজন তরুণ নির্মাতার নির্দেশনায়। তন্মধ্যে হাসিব হোসেন রাখি পরিচালিত ‘মন দুয়ারে’ সিনেমাওয়ালার ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে ভ্যালেন্টাইন্স ডে-এর আগের দিন, আর পরের দিন প্রকাশিত হবে সাজ্জাদ হোসাইন বাপ্পীর ‘তুমিহীনা’। ভ্যালেন্টাইন্স ডে-এর জন্য রাখা হয়েছে রাফাত মজুমদার রিংকুর ‘ব্লগার মিতু’, যার নাম ভূমিকায় রয়েছেন কেয়া পায়েল।
দেশ সেরা ভ্লগার মিতুকে নিয়ে ভ্লগ বানাতে সরাসরি একদম বাসায় এসে উপস্থিত এক ভ্রমণ ভ্লগার। এই ভ্রমণ ভ্লগারের ভূমিকায় উপস্থিত হবেন ইয়াশ রোহান।
আরও পড়ুন: আহমেদ রুবেল: একজন প্রথিতযশা অভিনয়শিল্পী
শুরুটা তিক্ততা দিয়ে শুরু হলেও ক্রমশ এই দুই ভ্লগারের সম্পর্ক প্রণয়ে রূপ নেয়। কিন্তু বাধ সেধে বসে গ্রামবাসী। প্রতিকূলতা আরও বেড়ে যায় যখন তাতে অনুপ্রবেশ ঘটে তৃতীয় পক্ষের।
এমনি গল্প নিয়ে এগিয়েছে নাটকের কাহিনী। এখানে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, মিলি বাশার, রিফাত জাহান, আনোয়ার হোসেন, ডিকন নূর, রিয়াজ রাজ প্রমুখ।
নাটকের চিত্রগ্রহণে ছিলেন কামরুল ইসলাম শুভ, আবহ সঙ্গীতে সজিব দাস এবং রঙ বিন্যাস ও সম্পাদনায় রাশেদ রাব্বি।
পাষাণ
চেহারা ঝলসানো অবস্থায় বেশ কিছু দিন ধরেই নেটিজেনদের বিস্ময়ের খোরাক যোগাচ্ছিলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা। সেটি আর কিছুই নয়, মেহেদি হাসান হৃদয় রচিত ও পরিচালিত পাষাণ নাটকের শ্যূটিং।
বস্তিতে থাকা এক দম্পতি তাদের অভাবের সংসার চালাতে দুজনেই কাজ করে। স্বামী সেলুনে আর স্ত্রী বাড়ীতে থেকেই সেলাইয়ের কাজ করেন। টানাটানির সংসারে ভালোবাসার দিনকে সামনে রেখে দুজনেই মনস্থির করেন- একে অন্যকে উপহার দিয়ে চমকে দিবেন। কিন্তু তার আগে ভাগ্যই তাদেরকে সবচেয়ে বড় চমকের সম্মুখীন করে। হঠাৎ বস্তিতে আগুন লেগে ঝলসে যায় স্ত্রীর চেহারা। এর পরবর্তীতে ঘটনাকে উপজীব্য করেই এক অসামান্য প্রেম ও আবেগের গল্প বলেছে পাষাণ নাটক।
আরও পড়ুন: ভ্যালেন্টাইন’স ডে উদযাপনের সেরা গন্তব্য: ঢাকার কাছেই ১০ রিসোর্ট
স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এ সময়ের ব্যস্ততম অভিনেতা মুশফিক আর ফারহান। অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন আবুল হায়াত ও আজিজুল হাকিম। সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেছেন বিকাশ সাহা। নাটকটি দর্শক দেখতে পারবেন ভালোবাসা দিবসে রাত ৮টায় আরটিভির পর্দায়।
বুক পকেটের গল্প
‘অচেনা অতিথি’, ‘কতিপয় সুখের খোঁজে’ এবং ‘তোমায় ফিরে পাবো?’ এই তিন গল্পের এক অ্যান্থলজি বুক পকেটের গল্প। কেএস এন্টারটেইনমেন্ট প্রোডাকশনের প্রযোজনায় নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন জাহিদ প্রীতম। গল্প ভিন্ন হলেও চিত্রপটে রয়েছে ভালো লাগা, প্রেম ও বিরহ।
নাটকের অভিনয় শিল্পীরা হলেন মীর রাব্বী, শাশ্বত দত্ত, তাহিয়া তাজিন খান আইশা, প্রিয়ন্তী উর্বী, আবু হুরায়রা তানভীর, এবং মারিয়া হোসেন শান্ত।
শাশ্বতর চরিত্রের নাম মাহিন, আইশার চরিত্র মালিহা, মাহফুজ নামে থাকবেন রাব্বী, মারিয়ার চরিত্র মেঘলা, নবনী হিসেবে উর্বী এবং তানভীর থাকবেন সায়মন চরিত্রে।
আরও পড়ুন: বলিউড স্টাইল আইকন হৃত্বিক রোশনের যে সিনেমাগুলো ২০২৪ সালে মুক্তির অপেক্ষায়
নাটকটির সিনেমাটোগ্রাফিতে আছেন ভাস্কর জনি, আবহ সঙ্গীতে সৈয়দ নাফিস এবং রঙ, সম্পাদনা এবং ভিজুয়াল ইফেক্টে অর্ণব হাসনাত। ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় নাটকটি মুক্তি পাবে কেএস এন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলে।
শিউলি ফুল
বৃষ্টি, কবিতা, প্রেয়সী, প্রেমিকের মুগ্ধ চাহনী; সব মিলিয়ে নিরঙ্কুশ প্রেমের নাটক হলেও চমকপ্রদ ক্লাইমেক্সের হাতছানি দিচ্ছে শিউলি ফুল নাটকের ট্রেইলার। মাসুম শাহরিয়ারের গল্পে নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন এল আর সোহেল।
রোমান্টিক দৃশ্যে তানজিন তিশা পরিচিত মুখ হলেও অনেক দিন বাদে গম্ভীর রোমান্টিক চরিত্রে দেখা যাবে মোশাররফ করিমকে। অন্যান্য ভূমিকায় আছেন নরেশ ভূঁইয়া, আমিনুর রহমান বাচ্চু, এম কে এইচ পামির, এবং মেহেদী হাসান পিয়াল।
চিত্রগ্রহণে রয়েছেন সুমন হোসাইন, এবং গান ও আবহ সঙ্গীতে শাহরিয়ার আলম মার্সেল। নাটকটি ১৪ ফেব্রুয়ারী রাত ১০ টায় একযোগে সম্প্রচারিত হবে দীপ্ত টিভি, দ্বীপ্তপ্লে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, এবং দ্বীপ্ত নাটক ইউটিউব চ্যানেল।
আরও পড়ুন: টুয়েলভথ ফেইলের মতো অনুপ্রেরণা সৃষ্টিকারী ১০ সিনেমা
রঙ রাধিয়া
নিজের অবচেতনে রাধিয়া নামের এক কাল্পনিক মেয়ের ছবি আঁকে এক চিত্রকর। প্রদর্শনীর পর থেকে ছবিটি বেশ খ্যাতিও পেয়ে যায়। তবে সেই খ্যাতির রেশ বিস্ময়ে পরিণত হয় যখন ছবিটি সত্যি সত্যি মিলে যায় বাস্তবে রক্ত-মাংসে গড়া এক মেয়ের সঙ্গে।
এমনই চিত্তাকর্ষক গল্প নিয়ে চিত্রনাট্য লিখেছেন আসাদুজ্জামান সোহাগ আর তা দিয়ে নাটক বানিয়েছেন হাসান রেজাউল। চিত্রকরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারহান আহমেদ জোভান। আর রাধিয়ার বাস্তব সংস্করণ হিসেবে থাকছেন বর্তমান সময়ের উদীয়মান তারকা তানজিম সাইয়ারা তটিনীকে।
সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন সাবেরী আলম, আনোয়ার শাহী, এজাজ বারী, রুবাইয়া এশা, ইহতেশাম আহমেদ এবং তমাল।
আবহ সঙ্গীতে ছিলেন আপেল মাহমুদ এমিল, চিত্রগ্রহণে বিদ্রোহী দীপন, এবং রঙ ও সম্পাদনায় অমিতাভ মজুমদার। নাটকটি দেখানো হবে এনটিভিতে ভালোবাসা দিবস রাত ৯টা ৩০ মিনিটে।
আরও পড়ুন: শিশুদের জন্য বিনোদনমূলক যত বাংলা ইউটিউব কার্টুন চ্যানেল
১০ মাস আগে
শিশুদের জন্য বিনোদনমূলক যত বাংলা ইউটিউব কার্টুন চ্যানেল
শুধু বিনোদনের জন্য নয়, শিশুদের ভাষা বিকাশ এবং জ্ঞানভিত্তিক দক্ষতা অর্জনের জন্যও বিশ্বজুড়ে বহুল প্রচলিত একটি অনুষ্ঠান হচ্ছে কার্টুন। দ্বিমাত্রিক এই চলচ্চিত্রকলার ধারা বাংলা ভাষাতেও খুব একটা নতুন নয়। কিন্তু ইউটিউবে বাংলা কার্টুনের পদচারণা সর্বোচ্চ এক দশক আগে। সেই থেকে বাংলা ভাষার পাশাপাশি শিশুদের স্বাভাবিক ক্রমবিকাশের জন্য বিরাট অবদান রেখে চলেছে এই কন্টেন্টগুলো। আজকের নিবন্ধটি তেমনি কিছু শিশুতোষ ইউটিউব কার্টুন চ্যানেল নিয়ে। চলুন দেখে নেওয়া যাক-শীর্ষস্থানীয় ইউটিউব কিডস বাংলা চ্যানেলগুলো।
বাংলা ভাষায় শিশুদের জন্য মজার কিছু ইউটিউব কার্টুন চ্যানেল
ইনফোবেলস বাংলা
সব বয়সের শিশুদের সাংস্কৃতিক ও নৈতিক মূল্যবোধকে উন্নত করার লক্ষ্যে রীতিমতো এক সৃজনশীল দল গঠন করেছেন কুবের নটরাজন এবং তার স্ত্রী জয়লক্ষ্মী কুবের। ইনফোবেলস বাংলা তাদেরই ব্রেইনচাইল্ড।
বাংলার মানুষের মুখে মুখে খ্যাতি পাওয়া ছড়া ও গানগুলোকে আকর্ষণীয়ভাবে প্রকাশের উদ্দেশ্য নিয়ে ভারতের কর্ণাটকভিত্তিক চ্যানেলটি শুরু হয় ২০১৬ সালের ১৩ জুন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত পুরো কুবের টিম ভিডিও প্রকাশ করেছে মোট ৪০৬টি। ৭ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের সুফল স্বরূপ তারা পেয়েছেন ১৭ কোটি ৪০ লাখ গ্রাহকের এক বিশাল পরিবার। সর্বমোট ৮ দশমকি ৮৫ বিলিয়ন ভিউ পাওয়া ভিডিওগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাড়া মিলেছে লালাজি চরিত্রের গল্পগুলোতে।
বেঙ্গলি ফেয়ারি টেল্স
অনলাইনে কার্টুন গল্পের চিত্তাকর্ষক বিষয়টিকে সবচেয়ে সফলভাবে উপজীব্য করতে পেরেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেলটি। ২০১৬ সালের ৬ জুন থেকে বাংলা ভাষাভাষি নেটিজেনদের কাছে স্বনামধন্য একটি নাম বেঙ্গলি ফেয়ারি টেল্স।
আরো পড়ুন: কড়ক সিং: জয়ার প্রথম হিন্দি সিনেমা আসছে ওটিটির পর্দায়
তারা নামকরা সব বিদেশি রূপকথাগুলোর বাংলা ভার্সন নিয়ে তৈরি করেছে ৬৬৬টি ভিডিওর বিশাল এক সংগ্রহশালা। এখানে আছে স্লিপিং বিউটি থেকে শুরু করে আগলি ডাকলিং বা কুৎসিত হাঁসের বাচ্চা, জেলে ও তার স্ত্রী, থাম্বেলিনা, ও সিনডারেলার মতো কল্পকাহিনী।
তাদের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৮ কোটি ৬০ লাখ এবং শুরু থেকে এ পর্যন্ত সব ভিডিওতে পাওয়া ভিউ সংখ্যা ৪ দশমিক ২৬ বিলিয়ন।
কিডস টিভি বাংলা-নার্সারি রাইমস
ভারতের কিডস টিভি ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই থেকে তাদের বিনোদন প্রচার সেবা প্রসারিত করেছে বাংলা ভাষাভাষিদের জন্যও। বিশ্ব জোড়া প্রতিটি বাবা-মার মুখে নার্সারি রাইমস মানেই এখন কিডস টিভি বাংলা।
তবে শুধু ছড়া আর গান নয়; মজার মজার কিছু বুদ্ধিবৃত্তিক খেলা নিয়ে ৭৭১টি ভিডিওর সমৃদ্ধ এক রিসোর্চ এই চ্যানেল। দীর্ঘ ৮ বছরের স্ট্রীমিং কার্যক্রমে তাদের অর্জন ১৭ লক্ষাধিক গ্রাহক এবং ৭২২ মিলিয়নের বেশি ভিউ।
ইনরেকো চিলড্রেন
চমকপ্রদ কন্টেন্টের মাধ্যমে বাংলার লোক সাহিত্যের গল্প, ধাঁধা, প্রবাদ-প্রবচন ও গানকে অনবদ্যভাবে তুলে এনেছে এই ভারতীয় ইউটিউব চ্যানেলটি। ১৩ লাখ ৬০ হাজার সাবস্ক্রাইবারের বিশাল পরিবারের শুরুটা ছিলো ২০১৪ সালের ২১ মে। তারপর থেকে সুদীর্ঘ ৯ বছরে মোট কন্টেন্ট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০৪টি। এগুলোর সবকটিতেই গানের কথা লিখেছেন সলিল চৌধুরী এবং কন্ঠ দিয়েছেন অন্তরা চৌধুরী।
আরো পড়ুন: ফের আরটিভিতে সিসিমপুর
এ পর্যন্ত ভিডিওগুলো ভিউ পেয়েছে ৬৫৪ মিলিয়নেরও অধিক এবং এখনও মুগ্ধতা ছড়িয়ে চলেছে প্রতিটি শিশুর মাঝে।
কিডিজ টিভি বাংলা
বাংলাতে বাচ্চাদেরকে বর্ণমালা ও রঙ চেনানোসহ বিভিন্ন ধরনের মজার এনিমেশনের অভিজ্ঞতার জন্য দেখতে হবে কিডিজের কন্টেন্টগুলো। ভারতীয় ইউটিউব চ্যানেলটি ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে প্রকাশ করে আসছে এমন বিস্ময়কর চিত্রনাট্যগুলো। ১৪৬টি ভিডিওর প্রতিটিতেই বাচ্চাদের জন্য রয়েছে আনন্দ ও চমকের মাধ্যমে যে কোনও কিছু শিখে নেয়ার রসদ।
২ দশমিক ০৩ বিলিয়নের অধিক ভিউ পাওয়া ভিডিওগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে হাম্পটি রেইলগাড়ি চরিত্রটি। চ্যানেলের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৫০ লাখ ৭ হাজার।
চুচুটিভি বাংলা
২০১৯ সালের ১ আগস্ট ভারত থেকে চ্যানেলটি তার কার্যক্রম শুরু করার পর থেকেই এর হাস্যরস ও নির্মল আনন্দ নিয়ে বেশ সাড়া পড়ে যায়। সব বয়সের এমনকি বাড়ন্ত বয়সের শিশুদেরও নজর কেড়ে ফেলে খুব কম সময়ের মধ্যেই। ৭০ লাখ ৯৬ হাজার গ্রাহক এবং ৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ভিউ সে কথাই সমস্বরে জানান দিচ্ছে। ৪ বছরে তাদের মোট ভিডিও ৩১৮টি। যেগুলো এখনও সুনামের সঙ্গে চ্যানেলের নাম ধরে রেখেছে।
আরো পড়ুন: সিনেমা ২০২৩: আলাচনায় শুধু ঈদের সিনেমা
১১ মাস আগে
ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট রাইটিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা
শুধুমাত্র বিনোদন প্রদানের ভনিতায় আবির্ভূত ইউটিউব নামটি এখন দিনযাপনের অর্থ। তাই একে ঘিরে মৌলিক চাহিদার কথা চিন্তা করাটা যুগের সহজাত ধারণা। মুঠো ভরা তথ্যের ওপর সামাজিক মাপকাঠির নির্ভরশীলতা তথ্যকে পরিণত করেছে পণ্যে। আর এরই নিরীখেই শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছে প্রজন্মের সেরা ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব কেন্দ্রিক পেশাগুলো। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় কন্টেন্ট ভিডিও, আর তার প্রধান কাঁচামালের যোগান দেয় স্ক্রিপ্ট রাইটাররা। তাই ইউটিউব ভিডিওর স্ক্রিপ্ট রাইটিং এবং এর প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের নিবন্ধ। চলুন, এই সৃজনশীল পেশার নানা দিক সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
স্ক্রিপ্ট রাইটিং কী
স্ক্রিপ্ট রাইটিং বা পান্ডুলিপি লিখন হলো ভিডিওর মাধ্যমে দেখানোর জন্য নির্ধারিত তথ্যগুলো নির্দিষ্ট নিয়মে লেখা। প্রতিটি দৃশ্যে ক্রমান্বয়ে যা যা দেখানো, শোনানো এবং বোঝানো হবে, তার সামগ্রিক লিখিত রূপ হচ্ছে স্ক্রিপ্ট।
পাঠ্য, স্থির চিত্র, ও চলচ্চিত্রসহ যাবতীয় কন্টেন্টের সংমিশ্রণ স্পষ্টভাবে লেখা হয় এতে। মুলত ছকে বাঁধা লেখাগুলো অনুসরণ করেই চূড়ান্ত ভাবে নির্মাণ করা হয় কন্টেন্ট।
এর আরেক নাম চিত্রনাট্য বা স্ক্রিনরাইটিং, যেটা সাধারণত মুভি বা মঞ্চ নাটকের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এর পরিধি টিভি নাটক, গেমস, তথ্যচিত্র পর্যন্ত বিস্তৃত। এমনকি রেডিওর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্যও লেখা হয়ে থাকে পান্ডুলিপি।
আরও পড়ুন: হ্যাকারদের থেকে সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেলের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার
ভিডিও স্ক্রিপ্টের প্রয়োজনীয়তা
প্রতিটি তথ্যের উপস্থিতি
একটি পূর্ণাঙ্গ স্ক্রিপ্ট আপনার চিন্তাভাবনা এবং ধারণাগুলোকে সুসংগঠিত করতে পারে। এতে করে পূর্ব পরিকল্পিত ও প্রাসঙ্গিক কোনও তথ্য বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
গুছিয়ে কথা বলা
আগে থেকে একটি স্ক্রিপ্ট ভালভাবে সম্পন্ন হয়ে গেলে সেটার ওপর সময় নিয়ে কথা বলার চর্চা করা যায়। এভাবে চূড়ান্ত ভিডিওর সময় নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কথা বলার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ফলে কন্টেন্টের গুণগত মানোন্নয়নের পাশাপাশি কথা বলা রেকর্ডিং-এও সময় কম প্রয়োজন হয়।
সময়ের হিসাব
একটি নিক্ষুত স্ক্রিপ্টে প্রতিটি দৃশ্যে নির্ধারিত কথাগুলো বলার জন্য সময় নির্দিষ্ট করা থাকে। প্রতিটি দৃশ্য আলাদা করে রেকর্ড করার সময় পুনঃ পুনঃ অনুশীলনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়টি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এতে করে পুরো কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণের বেলায়ও সময়ের হেরফের হয় না।
ধারাবাহিকতা বজায়
যে কোন কন্টেন্টের ক্ষেত্রেই একটি সুস্পষ্ট কাঠামো তার গুণগত মান বৃদ্ধির পরিচায়ক। ভিডিওর ক্ষেত্রেও এর স্ক্রিপ্ট বিভিন্ন ফুটেজ, শব্দ, স্থিরচিত্র, ও স্পেশাল ইফেক্ট সহ প্রতিটি বিষয়ের মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণতা নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
ইউটিউব ভিডিওর জন্য স্ক্রিপ্ট রাইটিং
বর্তমান সময়ে সম্প্রচার মাধ্যমগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অনেকটা এগিয়ে ইউটিউব। নাটক-সিনেমার মানের জন্যও এখন গুরুত্ব দেয়া হয় লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারকে, যেগুলো মুলত এই প্ল্যাটফর্মের প্যারামিটার।
নেটিজেনদের উদ্দেশ্য করে এখন মুক্তি দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের কন্টেন্ট। তাই সঙ্গত কারণেই এগুলোর জন্য স্ক্রিপ্ট রাইটারদের চাহিদা বাড়ছে। শুধুমাত্র ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম নির্ভর লেখালেখিই পরিণত হয়েছে স্বতন্ত্র এক পেশায়।
নিউজ ও পাবলিশিং কোম্পানি, তথ্যচিত্র নির্মাতা, ব্লগার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ব্র্যান্ড প্রোমোশনের জন্য তৈরি করছে ইউটিউব চ্যানেল। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যাচ্ছে পান্ডুলিপি লেখকদের চাহিদা।
ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট রাইটিংয়ে প্রয়োজনীয় দক্ষতা
সৃজনশীলতা
সৃজনশীলতা হলো সম্পূর্ণ অভিনব ধারণার অবতারণা করা। অন্যান্য চ্যানেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় প্রত্যেক চ্যানেল মালিকের নতুন নতুন কন্টেন্ট বানানোর প্রবণতা থাকে। আর তখনি তাদের সরণাপন্ন হতে হয় পান্ডুলিপি লেখকদের। নতুন ধারণা প্রবর্তনের ক্ষেত্রে স্ক্রিপ্ট রাইটারদের খেয়াল রাখতে হবে যে, বিষয়বস্তু দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারছে কিনা। প্রকৃতপক্ষে, এই চিত্তাকর্ষণের জায়গাতেও তাদেরকে সৃজনশীল হতে হবে।
আরও পড়ুন: গুগলে কীভাবে চাকরি পেতে পারেন
গবেষণা ও বিশ্লেষণ
তথ্য হচ্ছে স্ক্রিপ্টের মুল জীবনী শক্তি। তাই লেখকদের সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিশ্লেষণী ক্ষমতা কাজে লাগাতে হবে। তথ্যের নির্ভরযোগ্য উৎস খুঁজে বের করা, অতঃপর সেই তথ্যের পুঙ্ক্ষানুপুঙ্ক্ষ যাচাইও এই দক্ষতার অন্তর্ভূক্ত।
গল্প বলা
এটি এমন এক দক্ষতা যা প্রতিটি লেখকেরই থাকা আবশ্যক। লেখা পড়েই যদি কোন পাঠকের গল্প শোনার অনুভূতি সৃষ্টি হয়, তাহলেই কন্টেন্ট সফল হওয়ার অর্ধেক কাজ হয়ে যায়। বাকিটুকু থাকে কারিগরির জায়গাতে। জটিল রকেট সায়েন্স থেকে শুরু করে বিপণন বিজ্ঞাপন সবকিছুই চিত্তাকর্ষক করে তোলা যায় সুনিপুণ গল্প বলার মাধ্যমে।
সংলাপ তৈরি
পান্ডুলিপি মানেই সংলাপ আকারে পুরো ধারা বর্ণনা করা। ইউটিউবের শর্ট ফিল্ম থেকে শুরু করে মনোলগ পর্যন্ত সবকিছু হবে কথোপোকথন আকারে। এটি স্ক্রিপ্ট রাইটারদের মূল হাতিয়ার, কারণ এর মাধ্যমে একটি দৃশ্য কতটুকু প্রাণবন্ত তা ফুটে উঠে।
প্রুফরিডিং ও রিরাইটিং
যে কোন লেখা শেষ হওয়ার পর প্রতিটি লেখকের উচিত তা কয়েকবার পড়ে দেখা। এ সময় ব্যাকরণজনিত নানা ছোট খাটো ভুল ধরা পড়ে। অনেক কষ্ট করে একটি পান্ডুলিপি শেষ করার পরেও ক্লায়েন্টের কাছে তা নির্ভুলভাবে পরিবেশন না করা গেলে সব কষ্টই বৃথা। অনেক ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট নতুন শর্ত জুড়ে দিলে সামগ্রিক লেখায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিবর্তন আনতে হয়। তাই লেখককে রিরাইটিং-এ দক্ষ হওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন: ইউটিউব দেখে মাশরুম চাষে সফল সবজি বিক্রেতা
ধৈর্যশক্তি
যে মাধ্যমের জন্যই হোক না কেন; পুরো একটি পান্ডুলিপি শেষ করা বেশ ধৈর্য্যের কাজ। প্রথমত সৃজনশীল এই কাজে জোর-জবরদস্তির কোনও সুযোগ নেই। এরপর শেষ করার পর পুনরায় তার মান যাচাই করাতেও যথেষ্ট অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। তাই লেখার কাজে ধৈর্য্যশীলতার কোনও বিকল্প নেই।
১ বছর আগে
মমতাজের কণ্ঠে মাতৃত্বের গল্প, ইউটিউবে প্রকাশিত ‘মা’ চলচ্চিত্রের গান
চলচ্চিত্রে মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পরীমণি। আবার একই সময়ে বাস্তবেও তিনি মাতৃত্বের অনুভবের সাক্ষী হয়েছেন। ফলে ছবিটি তার মনে বিশেষ জায়গা দখল করে নিয়েছে। সেই চলচ্চিত্রের নাম ‘মা’।
যেটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১৯ মে। গত ৮ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
মুক্তির বার্তা দিয়ে নির্মাতা অরণ্য আনোয়ার শুরু করেছেন প্রচারণার কাজ। ইতোপূর্বে প্রকাশ করেছেন শুটিংয়ের বিহাইন্ড দ্য সিন এবং ট্রেলার।
আরও পড়ুন: রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম: পরীমণি
এবার প্রকাশ্যে এলো ছবিটির বিশেষ গান ‘সোনার কাঠি রূপার কাঠি জাদুর কাঠি রে’।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের দিনে গানটি উন্মুক্ত করা হয়েছে ইউটিউবে। এতে ‘মা’ পরীর মাতৃত্বের গল্পের বিভিন্ন অংশ উঠে এসেছে। গ্রামীণ পরিবেশে বিভিন্ন আচার পালনেও দেখা গেছে অভিনেত্রীকে।
গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন ফোকসম্রাজ্ঞী মমতাজ। মাহী ফ্লোরার লেখা এ গানের সুর করেছেন মাহাদী ও মুনতাসির, কম্পোজিশনে মুনতাসির।
উল্লেখ্য, ‘মা’ চলচ্চিত্রের গল্পটা মুক্তিযুদ্ধের সময়ের। মৃত ঘোষিত সাত মাস বয়সী এক সন্তানকে নিয়ে তার অসহায় মায়ের আবেগের গল্প। যেখানে যুদ্ধের নির্মমতার পাশাপাশি মা-সন্তানের অকৃত্রিম আবেগের চিত্র ফুটে উঠেছে।
গত বছরের জানুয়ারিতে শুরু হয়েছিল ছবিটির শুটিং।
আরও পড়ুন: এই সিনেমার জার্নিটা আমার সারা জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে: পরীমণি
পরীমণির বিছানা ও বালিশে রক্তের দাগ
১ বছর আগে
ইউটিউবের সিইও পদে দেখা যাবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীল মোহনকে
ইউটিউবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুসান ওজস্কি বৃহস্পতিবার প্ল্যাটফর্মটির বর্তমান দায়িত্বভার থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি এই পদে ৯ বছর ছিলেন। তার স্থলাভিষিক্ত হবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নীল মোহন।
৫৪ বছর বয়সী সুসান ওজস্কি অ্যালফাবেটের মালিকানাধীন ভিডিও দেখার জনপ্রিয় মাধ্যমটি ছাড়ার ঘোষণা এক ব্লগ পোস্টে দেন। কারণ হিসেবে তিনি মূলত পরিবার ও নিজেকে সময় দেয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ৪৯ বছর বয়সী নীল মোহন ২০১৫ সাল থেকে ইউটিউবের প্রধান পণ্য কর্মকর্তা (সিপিও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: টুইটারের বহিষ্কৃত সিইও পরাগ আগরওয়াল পেতে পারেন ৪২ মিলিয়ন ডলার
নীল মোহন ১৯৯৬ সালে অ্যাকসেঞ্চার-এ তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং তারপরে নেটগ্রাভিটি নামে একটি স্টার্টআপে যোগ দেন। যা পরবর্তীকালে অনলাইন বিজ্ঞাপন সংস্থা ডাবলক্লিক অধিগ্রহণ করে নেয়।
২০০৭ সালে ডাবলক্লিক কিনে নেয় গুগল। নীল মোহন অ্যাডওয়ার্ডস, অ্যাডসেন্স এবং ডাবলক্লিকসহ গুগলের বিজ্ঞাপন পণ্যগুলোর অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
মোহনের মাইক্রোসফটের সঙ্গেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, যেখানে তিনি কর্পোরেট কৌশল ব্যবস্থাপক ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোমাঞ্চকর রহস্য ও ভৌতিক গল্প শোনার কিছু বাংলা ইউটিউব চ্যানেল
১ বছর আগে
ইউটিউব দেখে মাশরুম চাষে সফল সবজি বিক্রেতা
খাদ্য হিসেবে মাশরুম অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ও সহজে হজম হয়। হয়তো সেজন্যই নওগাঁর সবজি বিক্রেতা সাগর আলীর মাশরুম চাষে আগ্রহ জাগে। আগ্রহ থেকেই কাজে নেমে পড়েন। বর্তমানে ইউটিউবে ভিডিও দেখে মাশরুম চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন তিনি।
ভালো ফলন হওয়ায় অল্প দিনে তিনি লাভের মুখ দেখেছেন। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে পরিসর বাড়িয়ে মাশরুম চাষ করার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
সবজি বিক্রেতা সাগর আলী নওগাঁ সদর উপজেলার কির্ত্তিপুর ইউনিয়নের বেনী-ফতেপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বল্প পুঁজিতে প্রথমে ছোট পরিসরে শুরু করেন মাশরুম চাষ। এই চাষ লাভজনক হওয়ায় আস্তে আস্তে তিনি বড় পরিসরে মাশরুমের খামার গড়ে তোলেন। এতে তিনি বেশ সফলও হয়েছেন। খুব কম সময়ের মধ্যে লাভের মুখ দেখছেন সাগর আলী। মাশরুম বিক্রি করে সংসারেও ফিরিয়েছেন আর্থিক স্বচ্ছলতা।
সাগর আলীর মাশরুম খামারে গিয়ে দেখা যায়, দুই কাঠা জমির ওপরে টিন দিয়ে ঘর তৈরি করেছেন। ওই ঘরে সুতা দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো ৩০০টি মাশরুম বীজ প্যাকেট (স্পন প্যাকেট)।
সেই পলিথিনের গায়ের ছিদ্র দিয়ে সাদা আস্তরণে দেখা যাচ্ছে মাশরুম। সেখান থেকেই কেটে বাজারজাত বা বিক্রি করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাশরুমের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
গুগল-মাইক্রোসফটের মুনাফায় মন্থর গতি
প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যালফাবেট ও মাইক্রোসফটের বিক্রয় মুনাফায় তীব্র মন্থর গতি দেখা দিয়েছে। যার ফলে অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গুগল ও ইউটিউবের প্রধান কোম্পানি অ্যালফাবেট জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরসহ গত তিন মাসে মাত্র ছয় শতাংশ বিক্রয় মুনাফা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ছয় হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার। কারণ, কোম্পানিগুলো তাদের বিজ্ঞাপন বাজেট কমিয়েছে।
মহামারির সময়টি যদি বাদ দেয়া হয় তাহলে গত এক দশকে মার্কিন এই টেক জায়ান্ট সবচেয়ে দুর্বল ত্রৈমাসিক বৃদ্ধি দেখেছে।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে যে কোম্পানিটির কম্পিউটার ও অন্যান্য প্রযুক্তির চাহিদা দুর্বল হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুগল স্ট্রিমিং গেম পরিষেবা বন্ধ করবে আগামী জানুয়ারিতে
কোম্পাটির বিক্রয় ১১ শতাংশ বেড়ে আয় হয়েছে পাঁচ হাজার ১০ কোটি মার্কিন ডলার। যা গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে ধীর গতির আয় বৃদ্ধি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি উল্লেখ করেছে, মূল্য ও সুদের হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী ভোক্তা ও ব্যবসাগুলো হ্রাস পাচ্ছে। যা বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা জাগিয়েছে বাজার বিশ্লেষকদের মধ্যে।
মার্কিন ডলারের শক্ত অবস্থার কারণে আমেরিকান বহুজাতিকদের ক্ষতি হচ্ছে। যা বিদেশে পণ্য বিক্রি করা আরও ব্যয়বহুল করে তুলেছে
গত ত্রৈমাসিকে অ্যালফাবেটের মুনাফা ৩০ শতাংশ কমে হয়েছে এক হাজার ৩৯০ কোটি মার্কিন ডলার। কারণ ইউটিউবের বিজ্ঞাপন হতে আয় প্রথমবারের মতো কমেছে।
টানা পাঁচ ত্রৈমাসিকে কোম্পানিটির বিক্রয় বৃদ্ধি মন্থর হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাইক্রোসফটকে বাদ দিয়ে ক্রেতা হিসেবে ওরাকলকে বেছে নিল টিকটক
চীনে বন্ধ হয়েছে গুগল ট্রান্সলেট
২ বছর আগে
১৩ ফেসবুক ও ইউটিউব অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে শাকিবের আইনি ব্যবস্থা
নানা মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন, আগেই জানিয়েছিলেন চিত্রনায়ক শকিব খান। অবশেষে সেটিই করলেন ঢাকাই সিনেমার এই চিত্রনায়ক।
এবার ১৩টি ফেসবুক ও ইউটিউব আইডির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিলেন শাকিব খানের এসকে ফিল্মসের ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান।
গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম ফরমান আলি জানান, এই লিঙ্কগুলো সাইবারে পাঠিয়ে তদন্তে পাঠানোর পর অভিযোগের সত্যতা মিললে আইনানুগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কেন এত মিথ্যে বিষয় ছড়ানো হচ্ছে?: শাকিব খান
শাকিব খান সম্প্রতি তার ফেসবুকে একটি পোস্টে লেখেন, ‘এসব মিথ্যা নোংরামি যারা ছড়াচ্ছে তাদের তালিকা করা হচ্ছে। কঠোরভাবে জানাচ্ছি, এ ব্যাপারে আমার আইনজীবী দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। অনেক হয়েছে ভিউ বাণিজ্য। ভিউ আর হিটের আশায় যারা অন্যের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে এত বাজে ও মিথ্যা তথ্য ছড়াতে পারে, তাদের উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য দেশের আইনই যথেষ্ট।
পূজা চেরির কথা উল্লেখ করে শাকিব খান আরও লেখেন, ‘পূজা চেরি প্রসঙ্গে ওই পোস্টে বলেন, পূজা চেরির নাম আনা হয়েছে। সে তার পেশাগত জায়গা থেকে আমার সঙ্গে কাজ করছে, এটাই কি তার অপরাধ?’
কাজের বাইরে তো তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্কই নেই। তাহলে কেন এত মিথ্যা বিষয় ছড়ানো হচ্ছে?’
আরও পড়ুন: আরিয়ানকে সিনেমার প্রস্তাব দেন শাকিব খান
অবশেষে শাকিব খানকে পেলেন নির্মাতা রায়হান রাফি
২ বছর আগে