পিটিআই
ইমরান খানের মুক্তির দাবি মার্কিন কংগ্রেসের ৪৬ সদস্যের
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এবং অন্যান্য রাজনৈতিক বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তির জন্য চাপ দিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬ জন আইনপ্রণেতার একটি দল। তারা জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বরাবর লেখা একটি চিঠিতে, কংগ্রেসের সদস্যরা জো বাইডেনকে আহ্বান জানিয়েছেন “হাউস রেজু্ল্যুশন ৯০১” এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে। জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে গৃহীত এই প্রস্তাবে পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমাণ মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নাগরিক স্বাধীনতা হাসের বিষয়ে উদ্বেগ তুলে ধরা হয়েছে।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) তাদের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে চিঠিটি শেয়ার করে জানিয়েছে, ‘রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট উভয় দলের যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের ৪৬ জন সদস্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি লিখে ইমরান খানের মুক্তির জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বিয়ের মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন ইমরান খান ও তার স্ত্রী
কংগ্রেস সদস্য সুসান ওয়াইল্ড এবং জন জেমসের নেতৃত্বে লেখা চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড ব্লোমের সমালোচনা করা হয়েছে। চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, তিনি পাকিস্তানি-আমেরিকান সম্প্রদায়ের উদ্বেগের বিষয়গুলো সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং গণতান্ত্রিক নীতি, মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে উপযুক্ত ভূমিকা পালন করেননি।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের নির্বাচনে অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরে একে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছেন কংগ্রেস সদস্যরা। তারা বলেন, এই নির্বাচনে জালিয়াতি, পিটিআই দমন এবং পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিপক্ষে ফলাফল উল্টে দেওয়া হয়েছে।
তারা নির্বাচনের পর পরিস্থিতির আরও অবনতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে গণগ্রেপ্তার, অযৌক্তিক আটক, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতা।
কুরেশির আহ্বান: কারাবন্দি নেতাদের মতামত নেওয়ার জন্য পিটিআই নেতৃত্বকে তাগিদ
এদিকে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশি তার দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, চার দশকের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও তাকে পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে আলোচনার বাইরে রাখা হয়েছে।
শনিবার আদালতে হাজিরার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কুরেশি পিটিআই নেতাদের প্রতি লাহোরের কোট লাখপত কারাগারে বন্দি সিনিয়র সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি পিটিআই নেতৃত্বকে অনুরোধ করছি, যখনই সম্ভব আমাদের কাছে আসুন এবং বর্তমান অচলাবস্থা কাটানোর উপায় নিয়ে আমাদের মতামত নিন।’
সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনশৃঙ্খলা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে পিটিআইকে আহ্বান জানান শাহ মেহমুদ কুরেশি।
তিনি ইমরান খানের প্রতি তার আনুগত্য পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং ২৪ নভেম্বরের প্রতিবাদে সমর্থন জানান। কুরেশি পিটিআই নেতাকর্মী ও সমর্থকদের প্রতিবাদে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে জোটের শরিক পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সমালোচনা না করে গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে জোট গঠনে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান তিনি।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে কুরেশি এ মন্তব্য করেছেন। সেখানে চলমান সংকটের মধ্যে বিভিন্ন দল একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
সূত্র: এজেন্সিি
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
৪ দিন আগে
ইমরান খানের পরিবর্তে পিটিআইয়ের নতুন প্রধান নির্বাচিত
কারাবন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো নতুন প্রধান নির্বাচিত করা হয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) ইমরান খানের সুপারিশের ভিত্তিতে দলীয় প্রধান নির্বাচন করা হয়েছে।
১৯৯৬ সালে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ইমরান খান।
বর্তমানে তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত বুধবার তার আইনজীবী গহর খানকে দলের শীর্ষ পদে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছেন।
দলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়াজুল্লাহ নিয়াজি নিশ্চিত করেছেন যে, গহর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন এবং দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে ইমরান খানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইমরান খানকে উচ্চ-নিরাপত্তা সম্পন্ন কারাগারে স্থানান্তর
পিটিআইয়ের নব নির্বাচিত দলীয় প্রধান উত্তরাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারে সমর্থকদের বলেন, তিনি ইমরান খানের অনুগত প্রতিনিধি হিসেবে থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘ইমরান খানের সাজা বাতিল হলে আমি পদত্যাগ করব।’
গহর খান পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। তার ওয়েবসাইট দেওয়া তথ্যানুসারে তিনি যুক্তরাজ্যের উলভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেন এবং বর্তমানে ইমরান খানের আইনি প্রতিরক্ষা দলের অংশ।
পিটিআইয়ের এক জ্যেষ্ঠ নেতা ওমর আইয়ুব খান বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী আত্মীয়ের পরিবর্তে দলের একজন সদস্যকে তার উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যা পাকিস্তানের রাজনীতিতে প্রচলিত রীতি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ইমরান খানের বিরুদ্ধে যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়া মানার আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
তিনি এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘তিনি অত্যন্ত উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করেছেন।’
গত বছর ইমরান খানকে দলীয় প্রধান হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত করার পর গত মাসে দলীয় নির্বাচন বাতিল করে পিটিআইকে নেতা নির্বাচনের জন্য ২০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিল পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।
দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির দায়ে গত আগস্টে দোষী সাব্যস্ত হন এবং তার দলের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। তিনি ২০২২ সালে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন। সেই তখন থেকেই দুর্নীতির অভিযোগ ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা প্রকাশসহ অন্যান্য বিষয়ে আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন।
ইমরান খান সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেছিলেন, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার সঙ্গে জড়িত পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের দুর্নীতির মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত
১১ মাস আগে
নির্বাচন আয়োজন নিয়ে পিটিআইয়ের আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট
৯০ দিনের মধ্যে দেশব্যাপী নির্বাচন চেয়ে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) করা আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানভিত্তিক জিও নিউজের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম এএনআই।
সাবেক ক্ষমতাসীন জোট সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার আগে প্রাসঙ্গিক ফোরামের কাছে না যাওয়ায় আবেদনটি ফেরত দেওয়া হয়েছে।
আবেদনে পিটিআই পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিকে বিবাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তবে রেজিস্ট্রার বলেছেন, ২৪৮ ধারা অনুযায়ী প্রেসিডেন্টকে পিটিশনের অংশ করা যাবে না।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার আরও বলেছেন যে আবেদনকারীর কোন মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে তা ‘পিটিশনে উল্লেখ করা হয়নি। পিটিশনটি ১৮৪/৩ ধারার অধীনে আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে না।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর শপথ
পিটিআই গত আগস্টে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছিল।
আবেদনকারী পিটিআই-এর মহাসচিব ওমর আইয়ুব, সুপ্রিম কোর্টকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আলভিকে নির্বাচনের তারিখ দেওয়ার জন্য এবং পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনকে (ইসিপি) সেই অনুযায়ী নির্বাচনের সময়সূচি জারি করার নির্দেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
জিও নিউজ জানিয়েছে, আইয়ুব সংবিধানের ১৮৪(৩) অনুচ্ছেদের অধীনে পিটিশনটি দাখিল করেন এবং আদমশুমারিকে অবৈধ ও বাতিল হিসেবে অনুমোদন দিয়ে ২০২৩ সালের ৫ আগস্টের সাধারণ স্বার্থ কাউন্সিলের (সিসিআই) সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেছিলেন। এটি ছিল সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা দ্বিতীয় পিটিশন।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের (এসসিবিএ) সভাপতি আবিদ এস জুবায়েরি সুপ্রিম কোর্টে একই আবেদন করেছিলেন।
জুবায়েরি ব্যারিস্টার আলী জাফরের মাধ্যমে পিটিশনটি দাখিল করেন।
তাতে তিনি ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট তারিখ পরিসংখ্যান ব্যুরোর বিজ্ঞপ্তিটিকে বেআইনি, বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করার অনুরোধ করেন।
২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ইসিপি’র প্রস্তাবিত বিজ্ঞপ্তিটিকে বেআইনি ও অকার্যকর ঘোষণা করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি।
পিটিআই আদালতকে অনুরোধ করেছেন, সিন্ধু রাজ্যপালকে সিন্ধু জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে এবং নির্বাচনী সংস্থাকে সেই অনুযায়ী নির্বাচনের তফসিল জারি করতে বলা হবে এবং বেলুচিস্তান প্রদেশের জন্যও একই নিয়ম মানা হবে।
আরও পড়ুন: আনোয়ার-উল-হক কাকার পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত
জিও নিউজ জানিয়েছে, ইসিপি আরও বলেছে যে পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়া বিধানসভার নির্বাচন আদালতের রায় অনুসারে এবং আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
পিটিআই পিটিশনে বলেছে, জাতীয় পরিষদের নির্বাচন বিলম্বিত করার অজুহাত হিসেবে ইসিপি’র করা আদমশুমারি ব্যবহার করা হচ্ছে।
পাকিস্তানভিত্তিক ডন জানিয়েছে, ১৩ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজাকে একটি চিঠিতে ৬ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনের তারিখ হিসেবে প্রস্তাব করেছিলেন।
চিঠিতে প্রেসিডেন্ট আলভি বলেছেন, তিনি ৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে অংশীজনদের মধ্যে মতামত বিভক্তের কারণে সিইসিকে প্রেসিডেন্ট এই পরামর্শ দেন।
তিনি সংবিধানের ৪৮ (৫) অনুচ্ছেদও উদ্ধৃত করেছেন।
ডনের রিপোর্ট অনুযায়ী, আলভী বলেন যে সভাপতিকে বিধানসভা 'বিলুপ্তির তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করার জন্য ক্ষমতা ও আদেশ দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ইমরান খানের বিরুদ্ধে যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়া মানার আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘তাই অনুচ্ছেদ ৪৮ (৫) অনুসারে জাতীয় পরিষদের সাধারণ নির্বাচন সাধারণ পরিষদ ভেঙে দেওয়ার তারিখের ৮৯তম দিনের মধ্যে, অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।’
ডন জানিয়েছে, চিঠিতে আলভি আরও বলেছেন যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা পূরণের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সিইসিকে সাংবিধানিক অভিপ্রায় এবং আদেশ বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণ করার জন্য একটি বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেছেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন ও পরিচালনার জন্য 'অনুচ্ছেদ ৫১, ২১৮, ২১৯, ২২০ এবং নির্বাচন আইন, ২০১৭'-এর অধীনে নির্ধারিত সমস্ত সাংবিধানিক ও আইনি পদক্ষেপগুলো মেনে চলা পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) দায়িত্ব।
১ বছর আগে
কারাগারে থেকেও কলকাঠি নাড়তে পারেন ইমরান
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বর্তমানে পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় নেতা। সম্প্রতি দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন বছরের কারাদণ্ডের পর এখন উচ্চ নিরাপত্তাবিশিষ্ট কারাগারে বন্দী আছেন তিনি।
২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদে অনাস্থা ভোটে তিনি পদচ্যুত হন। এরপর থেকে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ইরমানের রাজনৈতিক ও আইনি লড়াইয়ের মধ্যে এখনও পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে নাটকীয় মোড়।
ইমরানের দল সরকারের সমালোচনা করে এই মামলাকে সাজানো বলে মন্তব্য করেছে। এর বিরুদ্ধে তারা আপিল করবে বলেও জানিয়েছে। তারা আরও বলেছে, এই মামলার লক্ষ্য হলো আসন্ন শরৎকালে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া। সরকার ইমরানের প্রতি রাজনৈতিক নীপিড়নকে অস্বীকার করে তার দোষী সাব্যস্ত হওয়াকে বৈধ বলছে।
দোষী সাব্যস্ত হলে ৭০ বছর বয়সী ইমরান সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। পাশাপাশি ১৯৯০ সালে তার প্রতিষ্ঠা করা তেহরিক-ই- ইনসাফের (পিটিআই) নেতৃত্ব থেকেও আইনানুযায়ী সরে যেতে হবে তাকে। এদিকে জরিপগুলো পিটিআই-এর জন্য একটি শক্তিশালী নির্বাচনের ইঙ্গিত দেয় এবং খানের কারাদণ্ড তার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারে।
তার বিরুদ্ধে কী মামলা ছিল
ইমরান ক্ষমতায় থাকাকালীন বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার থেকে আয়ের প্রতিবেদন জমা দেননি বলে ইসলামাবাদের একটি আদালত শনিবার রায় দিয়েছে। পাকিস্তানে সরকারি পদ ছাড়ার পর নেতাদের এই ধরনের উপহার রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে সেসব উপহারের মূল্যের একটি অংশ প্রদান করা হয়।
আদালত বলেছে, ইমরান সেই উপহারগুলোর মধ্যে কিছু বিক্রি করেছেন এবং গত বছর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি প্রতিবেদনে সেই উপার্জনগুলো উল্লেখ করেননি। এজন্য আদালত খানকে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে, তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় এবং তাকে ১ লাখ রুপি বা সাড়ে ৩০০ মার্কিন ডলার জরিমানা করে।
রায়ের পরপরই, খানকে পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয় এবং রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে প্রায় এক ঘণ্টার দূরত্বে অ্যাটক শহরে একটি উচ্চ নিরাপত্তাসম্পন্ন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইমরানের বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলাগুলো
ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর আদালত অবমাননা থেকে শুরু করে সন্ত্রাস ও সহিংসতাকে উসকে দেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা তার বিরুদ্ধে ১৫০টিরও বেশি মামলা দায়ের করেছে।
সমালোচকরা বলছেন, আইনি লড়াইয়ের এই ঝাঁকুনি খানকে সরিয়ে দিতে শাসক জোটের একটি প্রচেষ্টার অংশ। কারণ তিনি বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে বিপুল সংখ্যক সমর্থক জড়ো করতে সক্ষম হয়েছেন।
খানকে একজন দুর্নীতিবাজ প্রতারক হিসেবে চিত্রিত করতে তাকে কারাগারের বাইরে রাখার পরিববর্তে ভেতরে রাখতে আইনি কৌশল প্রয়োগ করেছে সরকার। পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীতে সরকারের সমর্থক রয়েছে, যারা তার ৭৫ বছরের ইতিহাসের বেশিরভাগ সময় ধরে দেশটিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।
এই গ্রেপ্তার ভিন্ন কীভাবে?
ইমরান খানকে অ্যাটক কারাগারে রাখা হয়েছে। এটি এমনটি একটি কারাগার, দণ্ডিত জঙ্গি ও সহিংস অপরাধীদের জন্য এর কুখ্যাতি রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেছেন, সেখানকার অবস্থার সঙ্গে পরিচিত কর্মকর্তারা বলেছেন, তার জন্য একটি ফ্যান এবং আলাদা গোসলের সুবিধাসহ তার নিজস্ব সেল রয়েছে। যা কারাগারের সাধারণ কয়েদিদের মতো কঠিন অবস্থার থেকে এক ধাপ উন্নত।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করায় পিটিআই’র বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন চলছে: ইমরান খান
মে মাসে ইমরানকে আটক করার ঘটনার চেয়ে এবারের পার্থক্য চোখে পড়ার মতো। এবার দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাদের বিভিন্ন অভিযোগে আদালতের শুনানি পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেবার সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত হস্তক্ষেপ করে সেই আটককে বেআইনি ঘোষণা করেছিল। ইমরানকে পুলিশ কম্পাউন্ডে একটি গেস্ট হাউসে থাকার অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল। সেসময় তার আটকের বিষয়ে আইনি যুক্তি শেষ হওয়ার সময় দর্শকরা সাক্ষাৎ করতে পেরেছিল। খান অবশেষে লাহোরে ফিরেও এসেছিলেন। সমর্থকরা গাড়িতে গোলাপের পাঁপড়ি ছিটিয়ে তাকে বরণ করেছিলেন।
এরপর কী হবে
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ গুল বিশ্বাস করেন, সুপ্রিম কোর্ট খানের দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং আপিলের সাজা বাতিল করতে পারে।
ইসলামাবাদ-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রধান গুল বলেছেন, ‘ইমরান খানের বিরুদ্ধে একেবারেই কোনো শক্ত মামলা ছিল না। তবে তাকে একটি প্রযুক্তিগত ভুলের কারণে এই দোষী সাব্যস্ত হতে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ইমরান খানের নাম নো-ফ্লাই লিস্টে যোগ করা হয়েছে: পাকিস্তানের গণমাধ্যম
তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, খানের প্রতি সমর্থন কমে যাচ্ছে।
‘তিনি কিছু নিষ্পাপ, নির্বোধ সমর্থকদের প্রতারণা করতে পারেন, কিন্তু সাধারণ জনগণ এখন তার আসল চরিত্র চিনতে পেরেছে।’
তিনি লিখেছেন, ‘মুখোশ খুলে তার আসল চেহারা তুলে ধরা হয়েছে। তুচ্ছ লাভের জন্য রাষ্ট্রীয় উপহার কুক্ষিগত করেছেন।’
যদি ইমরান দোষী সাব্যস্ত হন তবে তিনি নির্বাচনে দলের নেতৃত্বও দিতে পারবেন না। কারণ অপরাধী দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে কারাগারে থেকেও তিনি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।
আরও পড়ুন: ইমরান খান আদালতে দোষী সাব্যস্ত, নিষিদ্ধ হতে পারেন রাজনীতিতে
মে মাসে তাকে আটক করার পর তার সমর্থকরা বিক্ষোভ করে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করেছিল। খানের অনুগত কয়েক হাজার মানুষ শহরে তাণ্ডব চালায়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সামরিক ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে। সরকার ক্র্যাক ডাউন করেছে, ৭ হাজারেরও বেশি আটক করেছে। কিছু মামলার বিচার এখনও চলছে।
সরকারের আরও কঠোর পদক্ষেপের আশঙ্কায় আগেরবারের তুলনায় এবার ইমরানের গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি নীরব ছিল। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের জন্য এবার তার আহ্বান বিপুল সংখ্যক সমর্থক জড়ো করতে ব্যর্থ হয়েছে।
রাজনৈতিক পতন কী?
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ আগামী সপ্তাহে সংসদ ভেঙে দিতে পারেন। সম্ভবত নভেম্বরের মাঝামাঝি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেবেন। সাম্প্রতিক আদমশুমারির ফলাফলের ভিত্তিতে নির্বাচনী এলাকা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিলে সরকার কয়েক মাস ভোট পিছিয়ে দিতে পারে।
খানের কারাবরণ তাকে এবং তার দলের বৃহত্তর নির্বাচনী সমর্থন আদায় করতে পারে। ক্ষমতা হারানোর পর তিনি যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তৈরি করেছিলেন। এটি আরও যোগ করবে যে পাকিস্তানের সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য নির্ভীক কর্মী তিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আজিম চৌধুরী বলেছেন, ‘ইমরান খানের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়াই পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে জেল থেকেও তার প্রার্থীদের জন্য কার্যকরভাবে প্রচারণা চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
জিন্নাহ হাউস হামলা মামলা: ইমরানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ৯ মে লাহোর কর্পস কমান্ডার হাউসে (জিন্নাহ হাউস) হামলার বিষয়ে একটি জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন টিম (জেআইটি) তলব করেছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, পাঞ্জাব সরকারের গঠিত জেআইটি খানকে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় কিল্লা গুজ্জার পুলিশ সদর দপ্তরে তাদের সামনে হাজির হওয়ার জন্য ডেকেছে।
সারোয়ার রোড থানায় ওই হামলার বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলার জেরে এই সমন জারি করা হয়েছে।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে কারাগারে থাকাকালীন জিন্নাহ হাউসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকারী হামলাকারীদের সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
লাহোর ডিআইজি (তদন্ত) কামরান আদিলের জারি করা সমন নোটিশটিতে বলা হয়েছে, ‘জেটিআই’র কাছে হস্তান্তর করা তদন্তে অংশ নেওয়ার জন্য ইমরান খানকে ডিআইজি তদন্তের অফিসে উপস্থিত হতে হবে।’
লাহোরের পুলিশ প্রধান বিলাল সিদ্দিক কামিয়ানা ইমরান খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হামলায় তার সম্পৃক্ততা সম্পর্কে জানতে ইমরান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া এফআইআর-এ আরও বেশ কয়েকজন পিটিআই নেতাকর্মীর নামও রয়েছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করায় পিটিআই’র বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন চলছে: ইমরান খান
লাহোরের এসএসপি (তদন্ত) ড. আনুশ মাসুদ চৌধুরী কোট লাখপত কারাগার পরিদর্শন করার পরে ইমরান খানকে তলব করা হয়েছে। যেখানে (কোট লাখপত কারাগারে) পিটিআই নেতা ড. ইয়াসমিন রশিদ এবং হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ফ্যাশন ডিজাইনার খাদিজা শাহ রয়েছেন।
ইমরান খানের তত্ত্বাবধায়ক পাঞ্জাব সরকারের বিরুদ্ধে পিটিআই-এর কারাবন্দী নারী সমর্থকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগের পর এই সফর করা হয়।
পিটিআই নারী রাজনৈতিক বন্দীদের ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন ইমরান খান।
তিনি বলেন, ‘আমি পিটিআই নারী রাজনৈতিক বন্দীদের ধর্ষণের কথা শুনেছি।’
আরও পড়ুন: ইমরান খানের নাম নো-ফ্লাই লিস্টে যোগ করা হয়েছে: পাকিস্তানের গণমাধ্যম
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ইমরান খান
১ বছর আগে
ইমরান খানের নাম নো-ফ্লাই লিস্টে যোগ করা হয়েছে: পাকিস্তানের গণমাধ্যম
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানেন নাম নো-ফ্লাই লিস্টে যোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের একটি গণমাধ্যমের বরাতে ভারতের গণমাধ্যম এএনআই এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তান ডেইলি টুইট জানিয়েছে, ‘আইকে (ইমরান খান) নো ফ্লাই লিস্টে যোগ করা হয়েছে।’
পাকিস্তান ডেইলি দেশটির একটি ডিজিটাল নিউজ পোর্টাল, যা প্রধানত পাকিস্তানের রাজনৈতিক আপডেট সম্পর্কে রিপোর্ট করে।
আরও পড়ুন: ইমরান খানকে মুক্তির নির্দেশ পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের
তবে ইমরান খানকে নো-ফ্লাই তালিকায় যুক্ত করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা পাওয়া যায়নি।
ডন জানিয়েছে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন যে সরকার ৯মে সংঘটিত ঘটনার জন্য পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে।
ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় খাজা আসিফ বলেন, ‘এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তবে অবশ্যই পর্যালোচনা চলছে।’
ডন জানায়, তিনি (খাজা আসিফ) ৯মে পাকিস্তানজুড়ে সামরিক স্থাপনায় ভাঙচুরকে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের করা পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘সমন্বিত হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন।
এর আগে, ডন জানিয়েছে যে পুলিশ বিভাগ প্রাদেশিক অ্যাসেম্বলির তিনজন প্রাক্তন সদস্যসহ ২৪৫ জন পিটিআই কর্মীর নাম ফেডারেল সরকারের কাছে প্রভিশনাল ন্যাশনাল আইডেন্টিফিকেশন লিস্টে (পিএনআইএল) অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পাঠিয়েছে, যাতে তারা দেশ ছেড়ে যেতে না পারে।
ডন বৃহস্পতিবার লিখেছে, রাওয়ালপিন্ডি জেলা পুলিশ তাদের ওয়ান্টেড তালিকায় প্রায় ৩১৯ জনের নাম দিয়েছে এবং ফেডারেল তদন্ত সংস্থার (এফআইএ) হেফাজতে থাকা ২৪৫ জন পিটিআই কর্মীর নাম পাঠিয়েছে। বাকি ৭৪ জনকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি।
ডন পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান মিডিয়া হাউস, যা পাকিস্তান সম্পর্কিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলো রিপোর্ট করে।
ডন জানিয়েছে, মঙ্গলবার লাহোর পুলিশ ৭৪৬ পিটিআই নেতার বিদেশ ভ্রমণে এক মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপের লক্ষ্যে নো-ফ্লাই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিল। রাওয়ালপিন্ডি পুলিশের অনুরোধের পরে, তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে এমন পিটিআই কর্মীদের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৯১।
আরও পড়ুন: ইমরান খানকে ২ সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট
ডন একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে লিখেছে, পিএনআইএল-এর অধীনে পুলিশের ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের ৩০ দিনের জন্য দেশের বাইরে যেতে বাধা দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মামলা পর্যালোচনা করে পুলিশ ৯ মে সহিংসতার সময় ও পরে আটক ২৪৫ জনের নাম চূড়ান্ত করেছে। বিমান, স্থল বা সমুদ্রপথে তাদের ভ্রমণ সীমিত করার জন্য এই নামগুলো এফআইএ-তে পাঠানো হয়েছিল।
ডনের প্রতিবেদন অনুসারে, যাদেরকে পুলিশ এখনও খুঁজছে, কিন্তু এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি তাদের মধ্যে রয়েছেন- পিটিআই-এর সাবেক এমপি রশিদ হাফিজ, শেখ রশিদের ভাগ্নে; ফাইয়াজুল হাসান চোহান, যিনি আগে গ্রেপ্তার হয়ে পরে মুক্তি পেয়েছিলেন এবং উমর তানভীর বাট।
ডন জানিয়েছে, ফেডারেল সরকারকে দেওয়া তথ্যানুসারে জানানো হয়েছে যে জিএইচকিউতে হামলার সঙ্গে জড়িত ৩১ জন সন্দেহভাজনকে আরএ বাজার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, পুলিশের তালিকায় ২৭ জন ওয়ান্টেড রয়েছে।
ভিডিও ক্লিপ, সিসিটিভি ফুটেজ, গোয়েন্দা তথ্য এবং জিও-ফেন্সিংয়ের মাধ্যমে সহিংস বিক্ষোভে জড়িত পিটিআই সমর্থকদের চিহ্নিত করার পরে পুলিশ অস্থায়ী ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করেছিল।
নগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সিপিও) সৈয়দ খালিদ হামদানীর তত্ত্বাবধানে পুলিশের তদন্ত দল জিএইচকিউ হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ২৩ জনের শনাক্তকরণ প্যারেড সম্পন্ন হয়েছে।
ডন জানিয়েছে, ৯ মে সহিংসতার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে, পুলিশ সন্ত্রাসবিরোধী আইনের (এটিএ) ধারা ৭ এর অধীনে নথিভুক্ত সন্ত্রাস-সম্পর্কিত মামলাগুলোর তদন্ত করার জন্য একটি যৌথ তদন্ত দল (জেআইটি) গঠন করার জন্য পাঞ্জাব স্বরাষ্ট্র বিভাগকেও অনুরোধ করেছে।
এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
এদিকে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে পুলিশের দুটি পৃথক দল, প্রতিটি পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে, পাঞ্জাব এবং কেপি থেকে পিটিআই নেতা ও কর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য গঠন করা হয়েছে।
ক্যাপিটাল পুলিশ পিটিআই নেতাদের নাম পিএনআইএল এবং এক্সিট কন্ট্রোল লিস্টে (ইসিএল) রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছেও অনুরোধ করেছে, যারা ২০২২ ও ২০২৩ সালের মে মাসে সহিংসতার জন্য তাদের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত করা মামলার সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ইমরান খান
১ বছর আগে
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ইমরান খান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খানকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হিাজির করা হয়েছে।
শুক্রবার পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই-এর বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই এ তথ্য জানায়।
এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার ‘অবৈধ ও বেআইনি’ ঘোষণার একদিন পর হাজিরা দিতে এলেন খান। আদালত তার গ্রেপ্তারকে দেশজুড়ে মারাত্মক সংঘর্ষের জন্য দায়ী বলে মনে করছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর অস্থিরতা থামাতে সেনা মোতায়েন
এদিকে, ইমরান খানের আবেদনটি বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব এবং সামান ইমতিয়াজের সমন্বয়ে গঠিত দুই ব্যক্তির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ শুনবেন।
ইমরান খানের হাইকোর্টে হাজিরা দিতে আসায় রাজধানীতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ইমরান খান আদালতে পৌঁছান। আদালত চত্বরের বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স মোতায়েন করা হয়েছে।
এআরওয়াই নিউজের মতে, শ্রীনগর হাইওয়েতে পুলিশ লাইনের কাছে কনটেইনার স্থাপন করা হয়েছে এবং পাকিস্তানের ফৈজাবাদ সেতু, শ্রীনগর হাইওয়ে ও পুলিশ লাইনের নিচে পুলিশ ও রেঞ্জার্স কর্মকর্তাদের একটি ভারি দল মোতায়েন করা হয়েছে। কারণ খানের সমর্থকরা সেখানে জড়ো হয়েছে।
এদিকে, খানের সমর্থকদের ইসলামাবাদ হাইকোর্টের কাছে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পিটিআই।
পিটিআই জানিয়েছে, ইমরান আদালতে উপস্থিত হওয়ার পরে সমর্থকদের উদ্দেশে একটি ভাষণ দেবেন।
তবে পিটিআই নেতাদের ওপর পুলিশের ধরপাকড় কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
কারণ শুক্রবার লাহোরে গ্রেপ্তার করা হয় আরেক সিনিয়র নারী পিটিআই নেতা এবং পাকিস্তানের পাঞ্জাবের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়াসমিন রশিদকে।
এর আগে পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. শিরীন মাজারিকে তার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে ইসলামাবাদ পুলিশ।
কর্মকর্তাদের মতে, ইসলামাবাদ পুলিশ শিরিন মাজারির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে।
ইমরান খান, সেনেটর এজাজ চৌধুরী, আসাদ উমর, ফাওয়াদ চৌধুরী, শাহ মেহমুদ কুরেশি এবং আলী মোহাম্মদ খান সহ সিনিয়র পিটিআই নেতাদের গ্রেপ্তারের পর তাকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের গ্রেপ্তারকে ১১ মে সুপ্রিম কোর্ট ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করেছিল এবং কর্তৃপক্ষকে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
সিদ্ধান্তের পরে, সুপ্রিম কোর্ট পিটিআই প্রধানকে পুলিশ লাইন গেস্ট হাউসে পাঠিয়েছেন এবং তাকে তার পরিবারের সঙ্গে রাত কাটানোর অনুমতি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ইমরান খান যখন দুইটি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে উপস্থিত হন তখন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রাঙ্গণ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই পাকিস্তানে নিরাপপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।
পিটিআই তার সমর্থকদের ইমরান খানের সমর্থনে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানানোয় দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ইমরান খান গ্রেপ্তার: বিক্ষোভকারী-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১০
ইমরান খানের গ্রেপ্তার: পাকিস্তানজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা
১ বছর আগে
জাতীয় পরিষদ থেকে গণপদত্যাগের ঘোষণা পিটিআইয়ের
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দেশটির জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাকিস্তানে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের কয়েক মিনিট আগে এমন সিদ্ধান্ত নিলো দলটি।
ডনের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার বিকালে সংসদ ভবনে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের সভাপতিত্বে দলের সংসদীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পিটিআই এর কেন্দ্রীয় তথ্য সচিব ফারুখ হাবিব এক টুইটবার্তায় বলেছেন, ‘আমদানি করা সরকারের বিরুদ্ধে সংসদীয় দল পরিষদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন আজ
এ ঘোষণার পরপরই মুরাদ সাঈদ দলটির প্রথম সদস্য হিসেবে জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন।
এরপর একে একে সমুদ্র বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী আলী হায়দার জাইদি, কাশ্মীর ও গিলগিট-বালতিস্তান বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী আলী আমিন গন্ডাপুর, পিটিআই নেতা শিরিন মাজারি, হাম্মাদ আজহার ও শাফাকত মাহমুদ তাদের পদত্যাগপত্র টুইটারে শেয়ার করেন।
গতকাল পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী জানান, পদত্যাগের সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য পিএমএল-এন সভাপতি শেহবাজ শরিফের মনোনয়নপত্র গ্রহণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পিটিআই শেহবাজ শরিফের মনোনয়ন নিয়ে আপত্তি তুলেছিল।
আরও পড়ুন: অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারালেন ইমরান খান
২ বছর আগে
প্রাথমিক শিক্ষকদের পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী
শিক্ষকরাই আলোকিত মানুষ এবং শিক্ষিত সমাজ বিনির্মাণের কারিগর উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষকদের আর সারা জীবন একই পদে চাকরি করতে হবে না, তাদের পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
৩ বছর আগে