জামিন স্থগিত
সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুলের জামিন স্থগিত
জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি কারাবন্দি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বুধবার এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আগামী ২০ নভেম্বর শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতা বড় মনিরের জামিন স্থগিত, নবজাতকের ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ
এর আগে ওই মামলায় নিম্ন আদালতে বিফল হয়ে চলতি মাসে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন মাহমুদুল আলম। শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দিয়ে মাহমুদুলকে ছয় মাসের জামিন দেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ মঙ্গলবার আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম। আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ১৪ জুন রাতে বকশীগঞ্জে বাসায় ফেরার পথে উপজেলার পাটহাটি এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন সাংবাদিক নাদিম। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ জুন বিকাল ৩টায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ১৮ জুন সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় প্রধান আসামি বাবুর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালেরবার্তি গ্রামের ফাহিম ফয়সাল রিফাত, নামাপাড়া গ্রামের ননির ছেলে এমডি রাকিবিল্লাহ রাকিব, আরচাকান্দির গাজী আমর আলী মেম্বার, কাগমারীপাড়া গ্রামের সাফিজল হকের ছেলে শরীফ মিয়া, মালিরচর তকিরপাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে লিপন মিয়া, পূর্ব কামালেরবার্তী গ্রামের মফিজল হকের ছেলে মনিরুজ্জামান মনির, নামাপাড়ার শেখ ফরিদ, টাঙ্গারীপাড়ার কামালের ছেলে ওমর ফারুক, বটতলী সাধুরপাড়ার আবুল কালামের ছেলে রুবেল মিয়া, খেতারচর দক্ষিণপাড়ার জহুরুল হকের ছেলে সুরুজ মিয়া আইড়মারি শান্তি নগরের জলিলের ছেলে বাদশা মিয়া, মদনেরচরের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আবু সাঈদ, আরচাকান্দির মজিবুর রহমানের ছেলে ইমান আলী, কুতুবের চরের সাবেক মেম্বার রফিকুল ইসলাম ও সুর্য্যনগর গ্রামের কারিমুল মাস্টারের ছেলে আমান উল্লাহ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর
আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রী’র জামিন মঞ্জুর ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত
১ বছর আগে
নর্থ সাউথের ট্রাস্টি কাশেমের জামিন স্থগিত, রেহেনার জামিন বহাল
অর্থ আত্মসাতের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এম এ কাশেমকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।
তবে ট্রাস্টি বোর্ডের অপর সদস্য রেহেনা রহমানের জামিন বহাল রেখেছেন আদালত।
দুদকের আবেদনের শুনানি করে রবিবার (১৩ নভেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে দুই আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুরাদ রেজা, শাহ মঞ্জুরুল হক ও ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা।
বৃহস্পতিবার ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের দুই সদস্য এম এ কাশেম ও রেহেনা রহমানকে জামিন দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: নর্থ সাউথের জমি ক্রয়ে দুর্নীতি: চার ট্রাস্টির জামিন আবেদন খারিজ
জামিনের শর্তে বলা হয়, তারা আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে যেতে পারবে না ও অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রবিবার সকালে ওই জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১২ মে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
উপপরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ঢাকায় এ মামলা করেন কমিশনের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান জানান।
ওই চারজন ছাড়া মামলার অপর দুই আসামি হলো-নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।
এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন বা সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯ হাজার ৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা দেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে দেন।
পরে নিজেরা ওই এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
‘অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য ওই অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন।’
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০/১৬১/১৬৫ ক ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
২২ মে অর্থ আত্মসাতের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্যের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। তাদের শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির করতে বলা হয়। ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্য হলো-এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান ও মোহাম্মদ শাহজাহান।
আদালত আদেশে বলেন, আবেদনকারী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় আবেদনকারী অভিযুক্তরা আগাম জামিন পেতে পারেন না। তাছাড়া আগাম জামিন পাওয়ার মতো যৌক্তিক, গ্রহণযোগ্য কারণ তারা আদালতকে দেখাতে পারেননি। যে কারণে আগাম জামিনের আবেদন সরাসরি খারিজ করে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হলো।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেয়া হলো, হেফাজতে পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেন আসামিদের সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির করা হয়।
২৩ মে তাদের নিম্ন আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
সেই থেকে কারাগারে আছেন তারা।
এরপর নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তারা। এর মধ্যে ২ আগস্ট অর্থ আত্মসাতের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের দুই সদস্য এম এ কাশেম ও রেহেনা রহমানকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
পরে এই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে নর্থ সাউথের সাবেক ২ ট্রাস্টির হাইকোর্টে জামিন
হোটেল থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
সেলিম চেয়ারম্যানের জামিন স্থগিত, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় চাঁদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম খানকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আদালতে সেলিম খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তাকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। একইসঙ্গে চার সপ্তাহ পর তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
পড়ুন: দুর্নীতির মামলায় সেলিম চেয়ারম্যানের ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন
ওই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন। আজ দুদকের আবেদনের ওপর শুনানি হয় চেম্বার আদালতে।
গত ১ আগস্ট সেলিম খানের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ এই মামলা করে দুদক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সেলিম খান অবৈধ উপায়ে ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জন করে নিজ ভোগদখলে রেখেছেন। এছাড়া তিনি ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
পড়ুন: জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টে রিট
ডেসটিনি পরিচালনায় বোর্ড গঠন করে দিলেন হাইকোর্ট
২ বছর আগে
সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা: চেম্বার আদালতে ৩ আসামির জামিন স্থগিত
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাটে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যা মামলার তিন আসামিকে জামিন দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। রবিবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাদের জামিন ৬ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যা মামলার তিন আসামি ইউসুফ নবী ওরফে বাহাদুর, আব্দুল আমিন ও আজিজুল হক মানিককে তিন মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (বাদল)। ওই সময় কাদের মির্জা ও বাদল গ্রুপের সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের সময় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার একদিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির।
এ ঘটনায় নিহত সাংবাদিকের বাবা নুরুল হুদা মাস্টার বাদী হয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। আসামি ইউসুফ নবী ওরফে বাহাদুর, আব্দুল আমিন ও আজিজুল হক মানিক গত ১১ মার্চ থেকে কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা: হাইকোর্টে তিন আসামির জামিন
কোম্পানীগঞ্জে আ’লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিকের ঢাকায় মৃত্যু
৩ বছর আগে
বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর জামিন স্থগিত
নাশকতা ও গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালি ও শাহবাগ থানার দুই মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একই সাথে রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল দায়ের করতে বলেছেন। সেই সাথে এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২০ জুন পরবর্তী দিন রেখেছেন আদালত।
রবিবার ওই দুই মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে ৩০ মে হাইকোর্ট ওই দুই মামলায় আসলাম চৌধুরীকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আবেদন করে, যা চেম্বার আদালত হয়ে আজ আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। আসলাম চৌধুরীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস ও মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর জামিন, কারামুক্তিতে বাধা নেই
২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ফৌজদারি কার্যবিধির (সন্দেহজনক) ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর একই বছরের ২৬ মে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। মামলায় আসলামের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘বাংলাদেশের সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ’ আনা হয়। এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে তিনি জামিন পেয়েছেন। আসলাম চৌধুরীর আইনজীবীর তথ্য মতে, নাশকতার অভিযোগে ২০১৩ সালে করা ওই দুই মামলায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
৩ বছর আগে
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: দণ্ডিত ৭ আসামির জামিন স্থগিতই থাকছে
সাতক্ষীরায় প্রায় দেড় যুগ আগে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত সাত আসামিকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের ওপর স্থগিতাদেশের মেয়াদ তিন সপ্তাহ বাড়িয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সাথে এ সময়ের মধ্যে তাদের জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রবিবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। একই সাথে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল শুনানির জন্য ২০ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে। ফলে এ সময় পর্যন্ত তাদের জামিন স্থগিতই থাকছে।
যে সাত দণ্ডিত ব্যক্তির জামিন স্থগিতই থাকছে তারা হলেন-আবদুস সাত্তার, গোলাম রসুল, আবদুস সামাদ, জহিরুল ইসলাম, রাকিব, শাহাবুদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম। এ মামলায় ২৫ মে হাইকোর্ট সাত দণ্ডিত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা ২৭ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি ৩০ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি ও আদেশ হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন।
জানা যায়, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালিন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হিজলদি গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সদর হাসপাতালে যান। তিনি মাগুরায় ফেরার পথে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ পাওয়া যায় সাতক্ষীরা-১ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
হামলায় শেখ হাসিনাসহ তার গাড়ি বহরে থাকা লোকজন, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংবাদিকসহ অন্তত এক ডজন লোক আহত হন। ওই ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদল সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৭০-৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিভিন্ন আদালত ঘুরে হাইকোর্টের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উলেখ করে ৩০ জনকে সাক্ষী করে পেনাল কোর্ট, অস্ত্র আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক তিনটি অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ সফিকুর ইসলাম।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ৭ আসামির জামিন স্থগিত
সাতক্ষীরা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে বিচারাধীন পেনাল কোর্টের মামলাটি ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর এবং সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ-২য় আদালতে বিচারাধীন অস্ত্র আইনে ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দুটির কার্যক্রম যথাক্রমে ২০১৭ সালের ৯ ও ২৩ আগস্ট আসামীপক্ষ হাইকোর্টে স্থগিত করেন। গতবছর ৮ অক্টোবর ওই রুল খারিজ করে রায় দেন আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন রাকিবুর। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ তিন মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে বিচার সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। এরপর বিচার শেষে সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় বিএনপির সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনের সর্বোচ্চ ১০ বছর করে এবং বাকি ৪৭ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন। এরপর আসামিরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন চেয়ে আবেদন জানান।
৩ বছর আগে
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ৭ আসামির জামিন স্থগিত
প্রায় দেড় যুগ আগে সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তারসহ সাত আসামির জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। একইসাথে জামিন স্থগিতের আবেদন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য রবিবার (৩০ মে) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত ৩০মে পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। আসামিপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
আদালাতের আদেশের বিষয়টি এস এম মুনীর নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: সাজাপ্রাপ্ত ৭ আসামির জামিন
এর আগে মঙ্গলবার সাজাপ্রাপ্ত সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তারসহ সাত জনকে চার মাসের জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট। একই সাথে এই সময়ের মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামিদের করা আপিল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছিল।
৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলা: আলমগীরের জামিন স্থগিত
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার আসামি আলমগীর হোসেনকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ।
৩ বছর আগে