রিজভী
পরাজিত ফ্যাসিস্টরা ভূত-পেত্নির মতো আওয়াজ দিচ্ছে: রিজভী
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সঙ্গী-সাথী ফেলে স্বার্থপরের মতো পালিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পরাজিত ফ্যাসিস্টরা নানাভাবেই মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে এবং মাঝে মাঝেই আওয়াজ দেবে। তারা ভূত-পেত্নির মতো আওয়াজ দিচ্ছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীতে এক চক্ষুসেবা ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’- এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের নির্দেশনায় জুলাই গণআন্দোলনে চক্ষু হারানো, চক্ষু ক্ষতিগ্রস্ত এবং নিম্নবিত্ত মানুষের চক্ষু সেবার উদ্দেশ্যে চক্ষু বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিনামূল্যে এই চক্ষুসেবা ক্যাম্পের আয়োজন করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’।
আরও পড়ুন: মুজিবের ছবি অপসারণ নিয়ে বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন রিজভী
রিজভী বলেন, ‘কয়েকদিন আগে তারা নূর হোসেন দিবসে ঢাকা শহর নাকি উথাল-পাতাল করে দেবে। ওইদিন আমাদের দলের নেতাকর্মীরা কয়েকটি মিছিল করেছে; ওদের মতো তো মোড়ে মোড়ে বন্দুক নিয়ে পাহারা দেয়নি। তারপরও তো ওদের কোথাও দেখা যায়নি। কই যুবলীগ? কই ছাত্রলীগ? কারণ শেখ হাসিনা তাদের লুটপাটের জন্য তৈরি করেছিলেন।’
‘ফরিদপুরের ছাত্রলীগের নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছিলেন। শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের বলেছিলেন- তোরা যত পারিস লুটপাট কর, কিন্তু বিএনপিকে বের হতে দিবি না; বের হলেই হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়বি। এটাই ছিল শেখ হাসিনার নীতি। এর পরিণাম হয় ভয়াবহ, তা-ই হয়েছে; সঙ্গী-সাথী ফেলে দিয়ে স্বার্থপরের মতো পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার মতো একজন রক্তপিপাসুর এই দেশে ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের আর কোনো সুযোগ নেই। আপনি শিশুদের রক্ত পান করা একজন রক্তপিপাসু নারী। আপনি যে পাপ করেছেন, যে হত্যালীলা চালিয়েছেন, এর জন্য হয় আল্লাহর কাছে মাফ চান, না হলে চিরদিনের জন্য অভিশপ্ত হয়ে থাকবেন।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘শুধু নিজের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব পার্শ্ববর্তী দেশের কাছে জিম্মি করে দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এখন জনগণের একটাই দাবি, শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যত চুক্তি করেছে, সেই চুক্তিগুলো অন্তর্বর্তী সরকার প্রকাশ করুক। তিনি (শেখ হাসিনা) দেশের কত বড় ক্ষতি করে গেছেন, তার প্রমাণ তো আমরা দেখতে পাই।’
ভারতের আদানির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি ছিল অত্যন্ত অসম চুক্তি, অত্যন্ত অন্যায় চুক্তি। আদানির কাছ থেকে যে বিদ্যুৎ কেনা হয়, সেটা এক ইউনিটের দাম ১২ টাকা। পৃথিবীর কোথাও এত দাম দিয়ে বিদ্যুৎ কেনা হয় না। তিনি (শেখ হাসিনা) আদানির সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন একটা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে- তাকে যদি কখনো পালাতে হয়, তাহলে আদানি তাকে অর্থায়ন করবে। জনগণের কল্যাণের জন্য শেখ হাসিনা আদানির সঙ্গে কোনো চুক্তি করেননি। না হলে আদানি কেন হুমকি দেবে?’
রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার কোনো দেশপ্রেম ছিল না। তার ছিল ভারতপ্রেম। ওই একটাই প্রেম ছিল শেখ হাসিনার। কারণ তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। সুতরাং তার প্রেম কার সঙ্গে ছিল এইটা জনগণ জানত এবং বুঝত।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যে মার্কেটগুলো এখনো আওয়ামী সিন্ডিকেটের কাছে, বাজারগুলো এখনও তাদের সিন্ডিকেটের কাছে- আপনারা কী তাদের একজন লোককেও ধরেছেন? একটা লোককেও গ্রেপ্তার করেছেন? আপনারা শুল্ক কমিয়েছেন, তারপরও তো পেঁয়াজের দাম কমে না, তারপরও তো আলুর দাম কমে না, চিনির দাম কমে না, আটার দাম কমে না, সয়াবিন তেলের দাম কমে না। কারণ এগুলো ইমপোর্ট করতে হয়। এই বিষয়গুলি আপনারা যদি না দেখেন, পরাজিত ফ্যাসিস্টরা নানাভাবেই মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে এবং মাঝে মাঝেই আওয়াজ দেবে। ভূত-পেত্নির মতো আওয়াজ দিচ্ছে তারা।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’- এর আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি: রিজভী
হাসিনার মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারে সরকারের বিরুদ্ধে'লুকোচুরি'র অভিযোগ রিজভীর
৪ দিন আগে
শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি: রিজভী
বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানোর ঘটনাকে অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর খন্দকার মোশতাক আহমেদ বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি সরিয়ে ফেললেও জিয়াউর রহমান পরে তা আবার টাঙিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার(১২ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রিজভী এসব কথা বলেন।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান উপলক্ষে দলটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলার ঘোষণা দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের একটি বক্তব্যের কথা উল্লেখ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আপারা এটি করতে পারেন, কিন্তু সময় সবসময় একইভাবে চলে না। সবার অবদানকে যথাযথভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। তাই আমি মনে করি, তার (মুজিবের) ছবি সরিয়ে ফেলা উচিত হয়নি।’
রিজভী আরও বলেন, জাতীয় জীবনে ব্যক্তির অবদান ইতিহাস শেষ পর্যন্ত বিচার করবে এবং যে কারও অবদান ও অপকর্মের মূল্যায়ন ও পরিমাপ করা জনগণের দায়িত্ব হওয়া উচিত।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যেহেতু আমরা আওয়ামী লীগের মতো সংকীর্ণমনা নই, তাই আমরা মনে করি, বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সোমবার (১১ নভেম্বর) নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘দরবার হল থেকে ৭১-পরবর্তী শেখ মুজিবুর রহমানের ফ্যাসিবাদী ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে, ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে আমরা তার ছবি সরাতে পারিনি। ক্ষমাপ্রার্থী। তবে যতদিন মানুষের জুলাই মাসের চেতনা বেঁচে থাকবে ততদিন তাকে কোথাও দেখা যাবে না।’
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়েছে: মাহফুজ আলম
৫ দিন আগে
নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হবে না: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব(পিআর) ব্যবস্থা চালু হবে তা জনগণ কখনো প্রত্যাশা করে না।
তিনি বলেন, ‘এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশেও হতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশের জন্য তা প্রযোজ্য হবে না। এই ব্যবস্থা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট এলাকার জন্য বিশেষ সুবিধা তৈরি করবে।’
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) আজ নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মহাজাল এলাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাম্প্রতিক আন্দোলনের সমন্বয়ক ও নিহত ছাত্রদলের কর্মী জুনায়েদ আল হাবিবের পরিবারকে সান্ত্বনা ও অনুদান দিতে বিএনপিপন্থী প্লাটফর্ম 'আমরা বিএনপি পরিবার' এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ৪৩তম বিসিএসের নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ কসাইখানায় পরিণত হবে।’
আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন বকুল, নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহী, নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ প্রমুখ।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রায়পুরা উপজেলার বাটিয়ারা মোড়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা স্বাধীন ও পিয়ালের নেতৃত্বে ছাত্রনেতা জুনায়েদকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে গত ৭ অক্টোবর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় জুনায়েদের চাচা শফিক বাদী হয়ে স্বাধীন ও পিয়ালসহ ১৪ জনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলা করেন।
অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কোন ধরনের সরকার ও নির্বাচন পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি উপযোগী?
১ মাস আগে
পতিত স্বৈরশাসকের পুনর্বাসন দেশকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলবে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পতিত স্বৈরশাসককে পুনর্বাসন করা হলে জনগণ দেশে থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘যারা গুম-খুনের সংস্কৃতি তৈরি করেছে, আয়না ঘরকে (গোপন কারাগার) পুনর্বাসন করা হয়, তাহলে এদেশে মানুষ থাকতে পারবে না।’
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে জনগণের মাঝে লিফলেট বিতরণকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শহীদদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশে স্বৈরাচারের দোসরদের স্থান হবে না: রিজভী
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরশাসককে পুনর্বাসিত করা হলে এ দেশ হবে ঘাতকদের অভয়ারণ্য। স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'এখানে চিরকাল গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার কবরস্থান হবে।’
নতুন পররাষ্ট্র সচিব নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ওই ব্যক্তি যখন কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন তখন তিনি বিএনপি সমর্থকদের হয়রানি করতেন এবং রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করে তাদের ভিসা নবায়ন করতেন না।
তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্টদের সমর্থন দিয়ে যারা বিরোধী দল দমনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন, তাদের যদি আজ গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়, তাদের যদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে এই সরকার প্রশ্নের মুখে পড়বে।’
তিনি বলেন, তারা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মান করেন, তবে তাকে এ বিষয়ে দেখতে হবে এবং তার প্রতি জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে। রিজভী বলেন, 'কাতারের রাষ্ট্রদূতকে কে পররাষ্ট্র সচিব করছেন?’
এ সময় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাকশিল্পে অসন্তোষ পতিত স্বৈরশাসকের সুবিধাভোগীদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: রিজভী
১ মাস আগে
শহীদদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশে স্বৈরাচারের দোসরদের স্থান হবে না: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার নিশ্চিতে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। এছাড়া শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার লড়াইয়ে অনেক প্রাণ গেছে। এই শহীদদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারের দোসরদের স্থান হবে না।
রবিবার (৬ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে বিয়ানীবাজার উপজেলা সদর ও বারইগ্রাম বাজারে পৃথক দুটি পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-রিজভীসহ ৮ জন খালাস
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা করা হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার, গুম ও খুন করা হয়েছে। তবুও বিএনপির একজন নেতাকর্মীকেও লক্ষ্য থেকে তারা সরাতে পারেনি। এছাড়া বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে লড়াইয়ে কাজ করে গেছেন।
গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের ১১ জন শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, শহীদদের রক্ত কোনোভাবেই বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। খুনি ও তাদের দোসরদের বিচার দেশের মাটিতেই হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন ও কাতার বিএনপির সভাপতি শরীফুল হক সাজু।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাকশিল্পে অসন্তোষ পতিত স্বৈরশাসকের সুবিধাভোগীদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: রিজভী
১ মাস আগে
গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-রিজভীসহ ৮ জন খালাস
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৮ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
ডিএসসিসির ময়লার গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুরের মামলায় বুধবার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: মামলা চালাবেন শিশির মনিরসহ ৯ আইনজীবী
খালাস পাওয়া অন্য ৬ জন হলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মাসুদ, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন বাবু, কাজী রেজাউল হক বাবু ও খন্দকার এনামুল হক এনাম।
মির্জা ফখরুল ইসলামের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, মামলাটি দীর্ঘদিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলায় দীর্ঘদিন ধরে সাক্ষী না আসায় বিচারক আসামিদের খালাস দেন।
শুনানির সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর পল্টন মডেল থানা এলাকায় মির্জা ফখরুল ও রিজভীর নেতৃত্বে ২০০ থেকে ২৫০ নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। এ সময় তারা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি ভাঙচুর করেন ও বিস্ফোরণ ঘটান। ঘটনায় ডিএসসিসির গাড়িচালক মো. আয়নাল বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন খান অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর গত ৩ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক সচিব জাহাংগীর আলম
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
১ মাস আগে
তৈরি পোশাকশিল্পে অসন্তোষ পতিত স্বৈরশাসকের সুবিধাভোগীদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: রিজভী
বিএনপির জেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বৈরশাসকের কাছ থেকে সুবিধাভোগী মালিকদের 'পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের' অংশ হিসেবেই তৈরি পোশাকশিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
আশুলিয়ায় চলমান পোশাক শ্রমিকদের অসন্তোষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাদের (স্বৈরশাসকের সুবিধাভোগীদের) পোশাকশিল্প থেকে লোকেরা বেরিয়ে এসে একটি পরিকল্পিত অস্থিরতা তৈরি করছে। যাতে ছাত্র ও জনগণের এই বিপ্লব ব্যর্থ হয় এবং এটি (বিপ্লবের সাফল্য) দীর্ঘস্থায়ী না হয়। তারা এ ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।’
মঙ্গলবার(১ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: অপরাধীদের ক্ষমা নয়, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত: রিজভী
পোশাকশিল্পে অসন্তোষ ইস্যুতে তিনি কিছু পোশাক কারখানার মালিকের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “নজরুল ইসলাম কে? কে এই সালাম মুর্শেদী? তারা কি আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা সুবিধাভোগী ছিলেন না?”
আশুলিয়ায় সোমবারের(৩০ সেপ্টেম্বর) সহিংসতা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, প্রকৃত সত্য হলো শেখ হাসিনার সুবিধাভোগী পোশাক কারখানার মালিকদের লোকজন বেরিয়ে এসে নিরপেক্ষ ব্যক্তি বা বিএনপির লোকজনের মালিকানাধীন অন্যান্য পোশাক কারখানায় হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের ঘটনা ঘটেছে। স্বৈরশাসকের দুষ্টচক্র প্রশাসন থেকে শুরু করে সর্বত্র ষড়যন্ত্র করছে এবং তারা এখানে একের পর এক ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙা হয় না কেন?
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদ্যমান জনপ্রতিনিধিরাই আওয়ামী লীগের গুন্ডা-পান্ডা-সন্ত্রাসী। যারা এত জঘন্য ও বর্বরোচিত ঘটনা ঘটিয়েছে। এরপরও ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দিচ্ছে না কেন?
উপদেষ্টা পরিষদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, 'আপনারা কিসের ভয় পাচ্ছেন? কে আপনাদেরকে বলছেন যে এটি করা যাবে না? এটা (ইউপি) রেখে হাসিনা যারা নির্যাতিত ও শহীদ হয়েছেন তাদের রক্তকে অপমান করা হচ্ছে।
রিজভী বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে শেখ হাসিনার অনুসারী রয়েছে এবং তারা গোপনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজকর্ম, এর প্রশাসন এবং গণতান্ত্রিক শক্তির কার্যক্রম বিভিন্নভাবে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র করছে।
বিএনপিপন্থী প্লাটফর্ম 'আমরা বিএনপি পরিবার' ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের শিকার ব্যক্তিদেরকে নতুন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা প্রদানের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের গণঅভ্যুত্থানে আহত রিকশাচালক সাইদুল ইসলামের কাছে অটোরিকশার চাবি ও কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারত বন্ধুত্ব চায় শুধু স্বৈরশাসক হাসিনার সঙ্গে, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়: রিজভী
হাসিনার সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: রিজভী
১ মাস আগে
হাসিনার সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: রিজভী
পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগী হিসেবে সচিবসহ বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা সারা দেশে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ও সহযোগীদের এখনো সরানো হয়নি। তারা এখনো প্রশাসনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রয়েছেন।’
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দায়িত্ব পালন করা কিছু সচিব ও কর্মকর্তা এখনো তাদের প্রভাবসহ প্রশাসনে রয়েছেন। ‘তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে এবং নানাভাবে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শেখ হাসিনার সহযোগীদের দেশকে অস্থিতিশীল করার যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে এবং সতর্ক থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সংসদ ভেঙে দেয় এবং ইউনিয়ন পরিষদ ব্যতীত স্থানীয় সরকার সংস্থায় নির্বাচিতদের অপসারণ করেছে।আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে নতুন সমস্যা তৈরি করা: ফখরুল
তিনি বলেন,‘ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা এখনো বহাল আছেন কেন? এই চেয়ারম্যানরা আওয়ামী লীগের সহযোগী, যারা গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত। তাদের কেউই শেখ হাসিনা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কেউ নির্বাচিত হননি। তাহলে এই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা কীভাবে এখনও পদে রয়েছেন?’
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনে ঢাকার পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও বহু মানুষ নিহত হয়েছেন এবং এসব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। পুলিশি নিরাপত্তায় তারা আমাদের দলের সদস্যদের ওপর গুলি চালায়। তারা কীভাবে তাদের পদে রয়েছেন?'
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ আহমেদ আলী মুকিবকে সঙ্গে নিয়ে জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রিজভী।
দেশের টাকাশেখ হাসিনার নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং তা বিদেশে পাচার করেছেন।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে নতুন সমস্যা তৈরি করা: ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, তার (শেখ হাসিনা) শাসনামলে নিজের আত্মীয়-স্বজন, এমপি, মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দল যাতে জনগণের ওপর জুলুম ও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে না পারে সেজন্য শেখ হাসিনার দুর্নীতি ও গুম ও হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা এস আলমের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের সুবিধা দিয়েছিলেন এটা জেনেই যে তাকে যদি কখনো পালাতে হয় তাহলে সেই অর্থ তার কাছে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সহায়তায় নগদ ২০ কোটি টাকা ও ত্রাণ সংগ্রহ বিএনপির
১ মাস আগে
গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য ইসি দায়ী: রিজভী
বাংলাদেশে গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য যারা দায়ী তাদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনও রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবিধানিক ব্যবস্থা লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
রিজভী বলেন, 'আপনি, সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল একতরফাভাবে কারচুপি-ডাকাতির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছেন। কেন পদত্যাগ করলেন না? দেশ ও জাতির চেয়ে চাকরির গুরুত্ব কি আপনার কাছে বেশি ছিল? আমাদের দেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য যারা দায়ী তাদের মধ্যে নির্বাচন কমিশন অন্যতম।’
গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কৃষিবিদ সমিতি (এ্যাব)।
রিজভী বলেন, তরুণ ও কিশোরদের নেতৃত্বে পৃথিবী কাঁপানো আন্দোলনের মাধ্যমে এক ভয়ংকর দানবকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি, ২০ দলীয় জোটসহ সমমনা দলগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পথ সুগম করতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তার ওপর ভিত্তি করেই ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে।’
স্বৈরাচারের দোসরদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন শহীদদের আত্মত্যাগের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিশ্বাসঘাতকতা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, বিএনপি স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতি গভীরভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ একটি রাজনৈতিক দল। 'আমরা সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।'
তিনি বলেন, ‘অতীতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল এমন একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা ক্ষমার কথা বলছেন। যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের আমরা কীভাবে ক্ষমা করতে পারি?’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গুমের ঘটনা জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্তের আহ্বান ফখরুলের
সব অফিস-আদালত-আদালতে শেখ হাসিনার ভূত এখনো বিদ্যমান উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন একটি বিশেষ মহলের লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ একদলীয় বাকশাল শাসন প্রতিষ্ঠা করলে চারটি ছাড়া বাকি সব পত্রিকা বন্ধ করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরের ক্ষমতায় থাকাকালে কিছু সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করে দিয়ে এবং মিডিয়ার মালিকানা দলের অনুগতদের কাছে হস্তান্তর করে ভিন্নভাবে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। ‘তাই এসব গণমাধ্যমগুলো ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে।’
রিজভী বলেন, গণমাধ্যমের প্রাথমিক কাজ হচ্ছে সত্য উদঘাটন ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা। ‘গণতন্ত্রের জন্য এটা অপরিহার্য। গণমাধ্যম যখন এই ভূমিকায় ব্যর্থ হয়, তখন তা গণতন্ত্রের স্তম্ভের পরিবর্তে স্বৈরশাসকদের হাতিয়ার হয়ে ওঠে। সত্যিকারের গণতান্ত্রিক দেশে স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য গণমাধ্যমের গুরুত্ব অপরিসীম।’
দেশে গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য স্বাধীন গণমাধ্যম অত্যাবশ্যক উল্লেখ করে তিনি সাংবাদিকদের সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: অপরাধীদের ক্ষমা নয়, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত: রিজভী
২ মাস আগে
ভারতের সঙ্গে সব 'অন্যায়' চুক্তি বাতিল করুন: রিজভী
শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে ভারতের সঙ্গে গত ১৫ বছরে সম্পাদিত 'গোপন' ও 'অসম' চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস করে ভারতের সঙ্গে শেখ হাসিনার করা সব গোপন ও অন্যায় চুক্তি বাতিল করার জন্য আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
শনিবার রাজধানীর কাফরুল এলাকায় এক অনুষ্ঠানে রিজভী এ দাবি জানান।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান ‘জাতীয় তামাশা’: রিজভী
তিনি প্রশ্ন তোলেন, গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের ওপর যে নিপীড়ন চালিয়েছেন, ভারত কেন তা উপেক্ষা করেছে।
তিনি বলেন, 'তারা (ভারত) কি জানে না ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার পরিকল্পিত প্রহসনের নির্বাচন কথা? তা সত্ত্বেও ভারত কেন তার প্রতি এত ভালোবাসা দেখাচ্ছে?’
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের ইচ্ছাকে অবহেলা করার জন্য ভারতের সমালোচনা করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘একজন ভারতীয় অভিনেত্রী কিছুদিন আগে বলেছিলেন, ভারতের জন্য একটি দেশ রয়েছে, তবে সেটিও এখন হারিয়ে গেছে। কোনো দেশ নয়, ভারতের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন একজন ব্যক্তি। কারণ ওই ব্যক্তি তার দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে এবং ভোট ছাড়াই একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি নিজের লোককে এমপি বানিয়েছিলেন।’
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আর ভারত তাকে সমর্থন দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘ভারত শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে, বাংলাদেশ ও এর জনগণকে নয়।’
রিজভী দাবি করেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে শেখ হাসিনা অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। কিন্তু তিনি শিশু-কিশোরসহ অনেককে হত্যা করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের দমন-পীড়ন, প্রতিহিংসা, লুটপাট, দখলের সংস্কৃতি অনুসরণ করতে চায় না বিএনপি।
‘যারা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন তাদের সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: দ্রুত দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি রিজভীর
২ মাস আগে