রিজভী
আ.লীগ কীভাবে রাজনীতি করবে, সেটা নির্ধারণের দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের: রিজভী
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগ কীভাবে রাজনীতি করবে, সেই দায়িত্ব বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চারু শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের অগ্নিদগ্ধ বাড়ি পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘সমস্ত গণতন্ত্রকামী মানুষ আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু কনস্টিটিউশনালি বা আইনগতভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো ভিত্তি নেই।’
‘যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, তারা প্রত্যেকেই আপনাদের সমর্থন করেছে। সে অনুযায়ী আপনারা দেশ চালাচ্ছেন। এখন আওয়ামী লীগ কীভাবে রাজনীতি করবে, সে দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের,’ যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিভ্রান্তি তৈরি করলে পুনরায় ফ্যাসিবাদের উত্থান হতে পারে: সরকারকে রিজভী
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘প্রশাসন আপনাদের হাতে, অন্য সব স্টেট মেশিনারি আপনাদের হাতে। আওয়ামী লীগকে নিয়ে আপনারা কী করবেন, সেটা আপনাদেরই ঠিক করতে হবে।’
‘আওয়ামী লীগের দোসরদের অনুসারীরা ঘাপটি মেরে আছে নানা জায়গায়। ওদের কাছে পেট্রোল কিনে বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার যে অর্থ, মানুষকে হত্যা করার জন্য যে অস্ত্র লাগে, সেসব তাদের কাছে আছে।’
তিনি বলেন, ‘সেটাকে দমন করতে আপনাদের কী আইন প্রণয়ন করতে হ,বে সেটা আপনারা জনগণের কাছে খোলাসা করুন। যেহেতু প্রশাসন আপনাদের হাতে। দোসরদের অনেকেই পালিয়ে গেছে পার্শ্ববর্তী দেশসহ অনেক জায়গায়। কিন্তু যারা নৈরাজ্য ছড়াচ্ছে তারা প্রশ্রয় পাচ্ছে কার দ্বারা?’
‘যারা ১৫ বছর যাবত শেখ হাসিনাকে পাহারা দিয়েছে, ব্যাংক লুট করেছে, অন্যের সম্পদ লুট করেছে, টাকা পাচার করেছে, তারা আজ এই জনসমুদ্রের ভিতর কোথায় লুকিয়ে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার যদি খুঁজে বের করতে না পারে, তাহলে তো এই সরকারকে মানুষ ব্যর্থ সরকার বলবে,’ ভাষ্য রিজভীর।
আরও পড়ুন: সরকার কি কোনো গোপন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, প্রশ্ন রিজভীর
এ সময় মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক সভাপতি আফরোজা খানম রিতা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আজাদ খান, গোলাম আবেদীন কায়সার, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া হাবু, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক তুহিনুর রহমান তুহিন, মাসুদ পারভেজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিন্নাহ খান, ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল খালেক শুভ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম খান সজীব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১০ দিন আগে
বিভ্রান্তি তৈরি করলে পুনরায় ফ্যাসিবাদের উত্থান হতে পারে: সরকারকে রিজভী
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বিভ্রান্তি তৈরি করলে দেশে পুনরায় ফ্যাসিবাদের উত্থান হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বৈপরীত্য থাকলে আপনাদের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হবে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা, একটি অবাধ সৃষ্ট নির্বাচন করা। কারণ গত ১৫ বছরে দেশে নির্বাচন হয়নি।’
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে নাটোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জিয়া পরিষদ আয়োজিত গণতন্ত্র ও জিয়াউর রহমান শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকারের কিছু কিছু উপদেষ্টা আছেন, তারা কার পারপাস সার্ভ করছেন আমরা জানি না। তারাও মাঝে মাঝে বিভিন্ন কথা বলার চেষ্টা করছেন। নানা কৌশলে নানা বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য নানা কথা বলা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: সরকার কি কোনো গোপন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, প্রশ্ন রিজভীর
৮ মাস হয়ে গেছে, সংস্কারে আর কত সময় লাগবে—প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘সংস্কার রাজনৈতিক এজেন্ডা, এটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচিত সরকার সংসদে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে নেবে।’
নাটোর জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি আহমেদুল হক চৌধুরির সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি কাজী গোলাম মোর্শেদসহ জেলা বিএনপি নেতারা।
সেমিনারের আগে রিজভীর নেতৃত্বে নাটোর শহরে একটি র্যালি বের করা হয়।
১৪ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করছে সরকার: রিজভী
ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার মতো পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধোঁয়াশা তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘ডিসেম্বর না জুন না মার্চ, একেক সময় এককটা কথা। এটা তো শেখ হাসিনার কিছু কথা-বার্তার সঙ্গে মিল পাওয়া যায়।’
শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রিকশা-ভ্যান ও অটোরিকশাচালকদের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে সবার ত্যাগ শিকার না করলে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে।’ জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর না জুনে—এমন দোদুল্যমান বক্তব্য না দিয়ে স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করে জাতিকে আশ্বস্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলেন যে, আন্দোলন কী করা হয়েছে শুধু নির্বাচন করার জন্য? নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলেই তো আন্দোলন হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করেননি শেখ হাসিনা। ক্ষমতা রক্ষার জন্য দেশকে একটি কারবালায় পরিণত করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: সৎ ব্যক্তি নেতৃত্বে এলে আ.লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না, প্রশ্ন রিজভীর
অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে ব্যাপক আন্দোলনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হলেও জনগণের সমর্থন রয়েছে। সব আন্দোলনকারী দল তাদের সমর্থন দিয়েছে।’
জনগণের আস্থা ধরে রাখতে নির্বাচন ঘিরে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূর করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
দুঃখ প্রকাশ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এখনো ১২২টি গার্মেন্টেসের শ্রমিকরা কেন বেতন পায় না- এটা একটা বড় প্রশ্ন। প্রায় অর্ধশতাধিক গার্মেন্টস তারা বোনাস পায়নি কেন?’
‘সরকার হচ্ছে মালিক এবং শ্রমিক পক্ষের মধ্যে একটি লিয়াজোঁ অফিসারের ভূমিকা পালন করেন। এই জিনিসগুলোর দায়িত্ব সরকারের ওপর বর্তাবে। একজন শ্রমিক যদি না খেয়ে থাকে, ঈদের আগে সে যদি বেতন না পায় তাহলে শ্রমিকদের পরিবার ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারবে না। এইজনহিতকর পদক্ষেপ সরকারের দিক থেকে হওয়া উচিত। এটা সরকারের দেখা উচিত ছিল।’
আরও পড়ুন: উপদেষ্টারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন: রিজভী
রিজভী উল্লেখ করেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ১৭ জন রিকশাচালক প্রাণ হারিয়েছেন এবং তাদের পরিবার চরম দুর্ভোগ সহ্য করছে।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের রক্তের উপর গঠিত সরকার, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অকাতরে জীবনদানকারী শিশু-কিশোর-তরুণ-নারী-রিকশা-ভ্যান শ্রমিকদের চালকদের রক্তের ওপর গঠিত সরকার।’
৩৬ দিন আগে
সৎ ব্যক্তি নেতৃত্বে এলে আ.লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না, প্রশ্ন রিজভীর
গণহত্যা-লুটপাটে জড়িত নয়, এমন নিরপরাধ কারও নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আপত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সেইসঙ্গে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘সৎ ব্যক্তি নেতৃত্বে এলে আওয়ামী লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না?’
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানে ফায়দাবাদ মধ্যপাড়া হাজী শুকুর আলী মাদরাসা সংলগ্ন মাঠে দুস্থদের মধ্যে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে কথা হচ্ছে, কিন্তু বিচার নিয়ে কথা হচ্ছে না। দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচারের পর আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আর জনগণ ক্ষমা করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
‘আওয়ামী লীগ পুরোনো দল। অপরাধীদের বিচার হওয়ার পর যারা হত্যা-লুটপাটে জড়িত নয়, তাদের যদি জনগণ রাজনীতি করার সুযোগ দেয় আমাদের কিছু বলার নেই।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে মিছিল
তিনি বলেন, ‘যে লোক আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসবেন, তিনি যদি কোনো অপরাধ না করেন, ছাত্র হত্যা না করেন, অর্থ লোপাট বা পাচার না করেন- তাহলে সেই আওয়ামী লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না? এটি হচ্ছে আমার বক্তব্য।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই রাজনীতিক বলেন, ‘যারা টাকা পাচার করেছে, যারা শিশু-কিশোর, আহনাফ, আবু সাঈদ, মুগ্ধদের হত্যা করেছে, এসব ঘটনায় জড়িতদের বিচার হতে হবে। শ্রমিক, রিকশাচালক, ছাত্র-ছাত্রী যাদের হত্যা করেছে, তাদের বিচার আমরা করি না কেন?’
তিনি বলেন, ‘অনেক কথা উঠেছে- আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কিনা। কিন্তু এই কথা উঠছে না, যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার হবে কিনা।’
‘কারা (গণহত্যা) চালিয়েছে—এটা কি মানুষ দেখেনি? কোন পুলিশের ওসি, ডিসি, এসি এখানে ভূমিকা রেখেছে? কার নির্দেশে এসব ঘটেছে? রক্তপাত ঘটানোর জন্য আওয়ামী লীগের কোন নেতারা নির্দেশ দিয়েছেন?’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘শেখ হাসিনা আল্লাহকে বিশ্বাস করতেন কিনা সন্দেহ আছে। তার ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা ছিল টাকা। যার ঈশ্বর টাকা হয়, তিনি তো কোনোদিন ভালো কাজ করবেন না। তাদের প্রত্যেকেরই ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘরবাড়ি আছে। তারা সরকারি অর্থ লোপাট করেছে, ব্যাংক খালি করে দিয়েছে। লাখো কোটি টাকা পাচার করেছে। এ পাচারে অধিকাংশই শেখ হাসিনার আত্মীয়স্বজন পছন্দের লোকজন জড়িত। তাদের তো বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ
তিনি বলেন, ‘মিথ্যা অঙ্গীকার দিয়ে তারা দুবার ক্ষমতায় এসে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। একবার তার বাবা সব দল বন্ধ করে দিয়ে বাকশাল করলেন, আর তার মেয়ে নতুন কায়দায় নতুনভাবে আরও ভয়াবহ বাকশাল তৈরি করে বিরোধী দলের কথা বলা, মানুষের কথা বলা, যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ন্যূনতম কেউ আওয়াজ করলে তার স্থায়ী ঠিকানা হয় কারাগার, আর অস্থায়ী ঠিকানা হয় তার বাড়ি। এই ছিল শেখ হাসিনার আমল। সুতরাং সেই রাজত্ব যাতে ফিরে না আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ফ্যাসিবাদের হালুয়া-রুটি যে খেয়েছে, তার বিচার করতে হবে। যে মাংস খেয়েছে এবং ওই মাংসের ঝোল খেয়েছে, তারও বিচার হতে হবে। তাহলে ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটানোর চেষ্টা আর কেউ করবে না।’
৪৩ দিন আগে
উপদেষ্টারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন এবং সাম্প্রতিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো ১৫ বছর ধরে যে আন্দোলন চালিয়েছে, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান তারই চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ।’
শনিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান হলে একুশের চেতনাই তা রুখবে: রিজভী
মাগুরায় আট বছরের শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দায়ীদের বিচারের দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে কথা বলায় এবং বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে গিয়ে গত ১৫ বছরে ইলিয়াস আলীসহ বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী গুমের শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘চূড়ান্তভাবে জুলাই-আগস্টে শিশু-তরুণ ও কিশোররা জীবন উৎসর্গ করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। তাই আমি উপদেষ্টাদের কাছে জানতে চাই, আপনারা কেন এই ১৫ থেকে ১৬ বছরের আন্দোলন এবং জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মধ্যে বিভাজনের রেখা টানছেন?’
বলেন, জনগণের কল্যাণে কাজ করা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিশেষ করে চালের দাম কমানোর দিকে মনোনিবেশ করার জন্য উপদেষ্টাদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, 'একজন উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের বলেছেন, আপনারা যেভাবে দেশ চালাচ্ছেন, এভাবে পাঁচ বছর চললে দেশ আরও উন্নত হবে। তার মানে এখানে নির্বাচনের কোনো প্রয়োজন নেই।’
রিজভী বলেন, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, 'আপনারা তাদের (ছাত্রদের) কী শেখাচ্ছেন? আপনি তাদেরকে ফ্যাসিবাদ বা একনায়কতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। এটা অন্যায়।’
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকার: রিজভী
তিনি বলেন, তার দল চায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করুন, যেখানে তার প্রতি জনগণের আস্থা বজায় থাকবে।
বিএনপি নেতা সতর্ক করে বলেন, ‘জনগণের এমন গভীর আস্থা রয়েছে যে, আপনারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। তবে বিলম্ব হলে তা ভিন্ন দিকে মোড় নেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ মহাসচিব রিজভী।
রিজভী বলেন, দেশে বর্তমান অসন্তোষ শেখ হাসিনার দুঃশাসনের ফল। ‘আমাদের অবশ্যই এই দুঃশাসনের বিকৃত ফলকে উৎপাটন করে শুদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
৪৭ দিন আগে
আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান হলে একুশের চেতনাই তা রুখবে: রিজভী
একুশের চেতনা কোনোদিন ম্লান হবে না জানিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘যদি আবারও কোনো ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটে, কোনো ধরনের ডিক্টেটরের উত্থান ঘটে, তাহলে একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের দামাল ছেলেদের, এদেশের জনগণকে আবারও রাজপথে লড়াইয়ে নামতে উদ্বুদ্ধ করবে।’
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘আমরা মনে করি যে- ৫২’র একুশে ফেব্রুয়ারি যুগ যুগ ধরে আমাদের কাছে এমন একটি চেতনা, এমন একটি বৈপ্লবিক আদর্শ যা আমাদেরকে উদ্ধুদ্ধ করে, যেটাকে কখনোই ধ্বংস করা যায় না, কখনও ম্লান করা যায় না। যুগ যুগ ধরে পৃথিবী মানুষ এবং আমাদের সমাজ-সংসার যতদিন থাকবে, ততদিন একুশ আমাদের সাহস যোগাবে এবং লড়াই করতে উদ্ধুব্ধ করবে।’
তিনি বলেন, ‘একুশ মানে অধিকারের সংগ্রাম, একুশ মানে সাংস্কৃতিক সংগ্রামও। এটি ছিল জাতীয় স্বাধীনতার প্রথম সোপান, এই ভাষা আন্দোলনের সোপান পেরিয়ে আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে গেছি স্বাধীনতার যুদ্ধের দিকে। আমাদের মহা অর্জন—স্বাধীনতা লাভ করেছি।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘যখনই আমরা স্বৈরাচারের কবলের মধ্যে পড়েছি, যখন দেশে গণতন্ত্রহারা মানুষ বন্দিশালার মধ্যে বাস করেছে, তখন ৫২ আমাদের উদ্ধুব্ধ করেছে, আমাদের প্রেরণা জাগরিত করেছে— কীভাবে আমরা এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, অত্যাচারির বিরুদ্ধে লড়াই করব।’
‘একুশের প্রেরণাতে আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর সংগ্রাম করেছি, অনেক নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে, ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। তাদের রক্তাক্ত পথ পেরিয়ে চূড়ান্ত যে আন্দোলন, ছাত্র-জনতার যে বিপ্লব, তার মধ্য দিয়ে সেই ভয়ংকর নিপীড়ক এবং রক্তপিপাসু স্বৈরাচার, ভয়ংকর দুর্নীতিবাজ সরকার তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা
এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে রিজভী বলেন, ‘এখন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার (রয়েছে)। এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে একটি অবাধ নির্বাচন করা। তার সঙ্গে আরও কিছু আনুষঙ্গিক কাজ আছে; বিভিন্ন সংস্কার আছে। যেটা প্রয়োজনীয় সংস্কার, সেটা যে সময় আছে সেই সময়ে করা সম্ভব। কিন্তু জনগণকে আশ্বস্ত করতে হবে, যে দেশের জনগণ ও তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে আজকে যাদের ১৮ বছর, একুশ বছর বয়স—তারা কেউ ভোট দিতে পারেনি, ভোট কী তারা জানে না। কারণ (গত) ১৭ বছর ভোট হয়েছে আপনার চতুষ্পদ জন্তু দিয়ে; ভোটকেন্দ্রে দিনের ভোট রাতে করেছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য নির্বাচন কমিশন ধ্বংস করেছে, ভোট ধ্বংস করেছে। এগুলো থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি করার জন্যই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। এটা সরকারের দায়িত্ব।’
জাতীয় নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে স্থানীয় সরকার না পরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন— এই বিতর্কে আমার মনে হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অংশগ্রহণ করা উচিত নয়। বরং এই সরকারকে প্রথমেই জনগণের ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দিতে হবে। জনগণ তাদের নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে যে সরকার গঠন করবে তারাই নির্ধারণ করবে যে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন বা অন্যান্য নির্বাচন কখন হবে।’
‘আপনারা দেখেছেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মহিউদ্দিন চৌধুরী জিতেছে, সিলেট সিটি নির্বাচনে বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান জিতেছে, ঢাকা সিটি করপোরেশনে মোহাম্মদ হানিফ জিতেছে। বিএনপির সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করায় বিরোধীরা জিতেছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সেটা হয়নি।’
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে ফেসবুকে ছড়ানো তথ্য সঠিক নয় জানিয়ে রিজভী আরও বলেন, ‘আমাদের কিছু কিছু নেতা বা কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখছেন যে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি হবেন— এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। কিন্তু এটা আমাদের দল বিএনপির অবস্থান নয়— এই কথাটা আপনাদের সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলাম।’
এর আগে ভোর সাড়ে ৬টায় রাজধানীর নিউ মার্কেটের কাছে বলাকা সিনেমা হলের সামনে থেকে রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিশাল প্রভাতফেরি আজিমপুর কবরস্থানে যায়। সেখানে ভাষা শহিদের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ করে বিএনপির প্রভাতফেরিটি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আসে। এ সময় দলটির নেতা-কর্মীদের কালো ব্যাজ ধারণ করতে দেখা যায়। এরপর রিজভীর নেতৃত্বে শহিদ মিনারের বেদিতে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরাফত আলী সপু, আমিনুল হক, ইশরাক হোসেন, মোনায়েম মুন্না, নুরুল ইসলাম নয়নসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
৭১ দিন আগে
সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: রিজভী
সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ঢাকতে এই অগ্নিসংযোগ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ফাইল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রংপুরের মিঠাপুকুরে নিহত ফায়ার ফাইটার সোহানুর জামান নয়নের কবর জিয়ারত শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, আগুনে চার-পাঁচটা মন্ত্রণালয়ের ফাইল ও আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এটা গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অংশ।
তিনি বলেন, বিগত সরকার মানুষের টাকা যেভাবে আত্মসাৎ করেছে তা ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও তাদের নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫০ মিলিয়ন ডলার পাচারের ঘটনায় সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। এটাতো কেবল মাত্র একটি ঘটনা।
এমন অনেক ঘটনা আছে সেগুলো চাপা দেওয়ার জন্য নয়তলা ভবনে মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান রিজভী।
আরও পড়ুন: দেশে কিংস পার্টি গঠনের চেষ্টা চলছে: রিজভী
রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের একজন মুখ্যসচিব অনেক টাকা পাচার করেছে। যে ফাইলগুলো পুড়ে গেছে সেখানে তার ফাইলগুলো ছিল। সচিবালয়ের এই আগুনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, পরাজিত স্বৈরাচারের দোসররা এখনও অনেক জায়গায় আছে। আমলাতন্ত্র, পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন জায়গায় তারা আছে। সবাইতো এখনও পরিবর্তন হয়নি। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তারা ঘাপটি মেরে আছে। কোথায় কী ধরনের নাশকতা ও চক্রান্ত হচ্ছে তার কোনো ঠিক নেই।
হাসিনার পক্ষে ভারত ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, গোটা পৃথিবীর সমস্ত দেশ ও রাষ্ট্রনায়করা স্বৈরাচারের পতন ও নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রত্যেকের প্রতি তারা সংহতি জানিয়েছেন। কিন্তু একটি দেশ সংহতি জানাতে দ্বিধা করছে। সে দেশটি হলো পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। তারা শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। তারা সংখ্যালঘু নির্যাতনের নতুন বয়ান তৈরি করছে, যাতে শেখ হাসিনার অপকর্মগুলোকে ঢাকা যায়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে আবু সাঈদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। পরে জীবন দিয়েছে নয়ন। সেও রংপুরের ছেলে। সেদিনের আগুন নেভানোর জন্য যুদ্ধ করে জীবন দিয়েছেন তিনি। দেশের চলমান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনের অন্যতম শহীদ নয়ন। স্বৈরাচারের দোসরদের বিভিন্ন ধরনের চক্রান্ত ঠেকাতে গিয়ে জীবন দিচ্ছেন তার মতো ছেলেরা। শুধু একটি শোক জানিয়ে দায়িত্ব শেষ করা যাবে না।
এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুসহ স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বিলম্বিত করলে জনগণ বিভ্রান্ত হতে পারে: রিজভী
১২৬ দিন আগে
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোম কম: রিজভী
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে বলে সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবের মধ্যে গঠিত হয়েছে। এই সরকারকে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। সেই প্রত্যাশা পূরণে ঘাটতি থাকলে, রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের চিন্তা অনুযায়ী কথা বলবে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল মহানগর উত্তরের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘সরকার এখনো দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। রাস্তায় রাস্তায় এখনও গাড়িতে চাঁদাবাজি চলছে। বিএনপি এসব বন্ধের চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু বন্ধ করতে পারবে না। এর দায়িত্ব সরকারের।’
আরও পড়ুন: সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলকে জড়িয়ে উপদেষ্টা রিজওয়ানার বক্তব্য 'ভুল ও বিভ্রান্তিকর': রিজভী
তিনি বলেন, ‘রাস্তার মোড়ে মোড়ে চাঁদাবাজদের ধরুন। এগুলো বন্ধ করলেই দাম কমে আসবে। আমরা বলছি না যে সরকারের কোনো লোক এটা করছে। কিন্তু শক্তিশালী প্রশাসনিক নির্দেশনা থাকলে রাস্তায় রাস্তায় চাঁদাবাজি হতো না।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকার এসব প্রতিহত করার চেষ্টা করলেও উদ্যম কম। মানুষকে এই পরিস্থিতি যদি আগের আমলের চেয়ে স্বস্তি দিতে না পারে তাহলে মানুষ হতাশ হবে।’
‘অগ্রগতি যে একেবারে হয়নি আমরা তা বলছি না। আমরা এখন বক্তৃতা করে বাসায় যেতে পারছি আমাদের এখন পুলিশ ধরছে না, গোয়েন্দা পুলিশ খুঁজছে না, হ্যাঁ এটা হয়েছে।’
‘রাজনৈতিক দলগুলো ৫০ বছরেও কিছু করতে পারেনি, বর্তমান সরকার সেগুলো করছে’– একজন উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে এ সময় তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টার এমন বক্তব্য ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিনের কাজের মতো। রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয় দ্রুত নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে না দিলে এ সরকারের প্রতি মানুষের সমর্থন কমতে থাকবে।’
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী দেশে গণতন্ত্র চায় না ভারত: রিজভী
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, দপ্তর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শামসুর রহমান শামসহ মহানগর উত্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
১৩৯ দিন আগে
প্রতিবেশী দেশে গণতন্ত্র চায় না ভারত: রিজভী
আধিপত্যবাদী মনোভাবের কারণে ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলোতে গণতন্ত্র দেখতে চায় না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ, কিন্তু তারা চায় না ভুটান, নেপাল, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা তাদের জনগণের ইচ্ছায় পরিচালিত হোক।’
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নয়াপল্টন থেকে আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের পদযাত্রার উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, 'তারা কেন দিল্লির কথা মানবে?'
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণের জন্য নয়, রক্ত দিয়ে পাকিস্তান থেকে দেশ স্বাধীন করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভারত যদি চট্টগ্রামকে তাদের অংশ হিসেবে দাবি করে, তাহলে বাংলাদেশ বাংলা, বিহার ও ওড়িশাকে নিজের অংশ হিসেবে দাবি করবে।’
রিজভী অভিযোগ করেন, ভারত গত ১৬ বছর ধরে 'রক্তপিপাসু লেডি ফারাও শেখ হাসিনা'কে সমর্থন করেছে।
তিনি বলেন, ভারতের ক্ষমতাসীন দল তাদের সাম্প্রদায়িক মনোভাবের কারণে সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছে সমালোচিত।
ভারতের ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশের মানুষের চেতনা, আত্মশক্তি ও সাহসিকতা বোঝেনি।
পরে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সকাল ৯টায় ঢাকা থেকে কয়েকশ গাড়ি, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে করে আগরতলা অভিমুখে তাদের ঘোষিত লংমার্চ শুরু করে।
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: আগরতলা অভিমুখে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের লংমার্চ শুরু
তিন সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিশাল গাড়িবহর নিয়ে আনুষ্ঠানিক লংমার্চ শুরু করেন।
লংমার্চ শুরুর আগে তিনটি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। তারা ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যমের আধিপত্যবাদী মনোভাব এবং মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণার মাধ্যমে বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টার নিন্দা জানান।
নেতারা বলেন, তারা আখাউড়া ভারতীয় সীমান্তে তাদের শান্তিপূর্ণ লংমার্চ শেষ করবেন।
১৪৩ দিন আগে
বাবার বাকশাল কায়েম করতে গিয়েই গর্তে পড়েছেন হাসিনা: রিজভী
বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, বাবার (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) গড়া বাকশাল কায়েম করতে গিয়ে শেখ হাসিনা নিজেই গর্তে পড়েছেন। অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়লে নিজেকেই পড়তে হয়, তার প্রমাণ শেখ হাসিনা।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকাল দিকে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সংগঠন আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বিনা অপরাধে খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দী রেখেছিলেন তিনি। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে ২ হাজার ছাত্র জনতার হত্যার দায় নিয়ে তিনি পালিয়ে গেছেন। ভেবেছিলেন তার প্রভু ভারত সরকার তাকে টিকিয়ে রাখবেন। কিন্তু পারেননি।
রুহুল কবীর রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনা ভিডিও বার্তা দেওয়ার জন্য তারেক রহমানের সমালোচনা করতেন। আজ শেখ হাসিনা নিজেই ফেসবুক, ইউটিউবে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্বের কাছে মিথ্যাচার করছে ভারত: রিজভী
তিনি বলেন, ‘কোথায় গেলো শেখ হাসিনার বাহাদুরি।’
রিজভী বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ এবং আহতদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ থাকব। তাদের অবদানের কথা স্মরণীয় করে রাখতে তাদের নামে বিভিন্ন স্থাপনা ও সড়কের নামকরণ করতে হবে। এছাড়া বিএনপি জনগণের দল। আগামীতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবে হতাহতদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর সভাপতি আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর উপদেষ্টা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ও প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুলসহ হতাহত পরিবারের সদস্যরা। এ সময় এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: ভারত আধিপত্য বিস্তারে সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করছে: রিজভী
১৪৫ দিন আগে