রিজভী
আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান হলে একুশের চেতনাই তা রুখবে: রিজভী
একুশের চেতনা কোনোদিন ম্লান হবে না জানিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘যদি আবারও কোনো ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটে, কোনো ধরনের ডিক্টেটরের উত্থান ঘটে, তাহলে একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের দামাল ছেলেদের, এদেশের জনগণকে আবারও রাজপথে লড়াইয়ে নামতে উদ্বুদ্ধ করবে।’
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘আমরা মনে করি যে- ৫২’র একুশে ফেব্রুয়ারি যুগ যুগ ধরে আমাদের কাছে এমন একটি চেতনা, এমন একটি বৈপ্লবিক আদর্শ যা আমাদেরকে উদ্ধুদ্ধ করে, যেটাকে কখনোই ধ্বংস করা যায় না, কখনও ম্লান করা যায় না। যুগ যুগ ধরে পৃথিবী মানুষ এবং আমাদের সমাজ-সংসার যতদিন থাকবে, ততদিন একুশ আমাদের সাহস যোগাবে এবং লড়াই করতে উদ্ধুব্ধ করবে।’
তিনি বলেন, ‘একুশ মানে অধিকারের সংগ্রাম, একুশ মানে সাংস্কৃতিক সংগ্রামও। এটি ছিল জাতীয় স্বাধীনতার প্রথম সোপান, এই ভাষা আন্দোলনের সোপান পেরিয়ে আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে গেছি স্বাধীনতার যুদ্ধের দিকে। আমাদের মহা অর্জন—স্বাধীনতা লাভ করেছি।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘যখনই আমরা স্বৈরাচারের কবলের মধ্যে পড়েছি, যখন দেশে গণতন্ত্রহারা মানুষ বন্দিশালার মধ্যে বাস করেছে, তখন ৫২ আমাদের উদ্ধুব্ধ করেছে, আমাদের প্রেরণা জাগরিত করেছে— কীভাবে আমরা এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, অত্যাচারির বিরুদ্ধে লড়াই করব।’
‘একুশের প্রেরণাতে আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর সংগ্রাম করেছি, অনেক নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে, ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। তাদের রক্তাক্ত পথ পেরিয়ে চূড়ান্ত যে আন্দোলন, ছাত্র-জনতার যে বিপ্লব, তার মধ্য দিয়ে সেই ভয়ংকর নিপীড়ক এবং রক্তপিপাসু স্বৈরাচার, ভয়ংকর দুর্নীতিবাজ সরকার তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা
এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে রিজভী বলেন, ‘এখন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার (রয়েছে)। এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে একটি অবাধ নির্বাচন করা। তার সঙ্গে আরও কিছু আনুষঙ্গিক কাজ আছে; বিভিন্ন সংস্কার আছে। যেটা প্রয়োজনীয় সংস্কার, সেটা যে সময় আছে সেই সময়ে করা সম্ভব। কিন্তু জনগণকে আশ্বস্ত করতে হবে, যে দেশের জনগণ ও তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে আজকে যাদের ১৮ বছর, একুশ বছর বয়স—তারা কেউ ভোট দিতে পারেনি, ভোট কী তারা জানে না। কারণ (গত) ১৭ বছর ভোট হয়েছে আপনার চতুষ্পদ জন্তু দিয়ে; ভোটকেন্দ্রে দিনের ভোট রাতে করেছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য নির্বাচন কমিশন ধ্বংস করেছে, ভোট ধ্বংস করেছে। এগুলো থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি করার জন্যই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। এটা সরকারের দায়িত্ব।’
জাতীয় নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে স্থানীয় সরকার না পরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন— এই বিতর্কে আমার মনে হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অংশগ্রহণ করা উচিত নয়। বরং এই সরকারকে প্রথমেই জনগণের ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দিতে হবে। জনগণ তাদের নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে যে সরকার গঠন করবে তারাই নির্ধারণ করবে যে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন বা অন্যান্য নির্বাচন কখন হবে।’
‘আপনারা দেখেছেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মহিউদ্দিন চৌধুরী জিতেছে, সিলেট সিটি নির্বাচনে বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান জিতেছে, ঢাকা সিটি করপোরেশনে মোহাম্মদ হানিফ জিতেছে। বিএনপির সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করায় বিরোধীরা জিতেছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সেটা হয়নি।’
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে ফেসবুকে ছড়ানো তথ্য সঠিক নয় জানিয়ে রিজভী আরও বলেন, ‘আমাদের কিছু কিছু নেতা বা কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখছেন যে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি হবেন— এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। কিন্তু এটা আমাদের দল বিএনপির অবস্থান নয়— এই কথাটা আপনাদের সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলাম।’
এর আগে ভোর সাড়ে ৬টায় রাজধানীর নিউ মার্কেটের কাছে বলাকা সিনেমা হলের সামনে থেকে রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিশাল প্রভাতফেরি আজিমপুর কবরস্থানে যায়। সেখানে ভাষা শহিদের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ করে বিএনপির প্রভাতফেরিটি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আসে। এ সময় দলটির নেতা-কর্মীদের কালো ব্যাজ ধারণ করতে দেখা যায়। এরপর রিজভীর নেতৃত্বে শহিদ মিনারের বেদিতে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরাফত আলী সপু, আমিনুল হক, ইশরাক হোসেন, মোনায়েম মুন্না, নুরুল ইসলাম নয়নসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২৩ দিন আগে
সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: রিজভী
সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ঢাকতে এই অগ্নিসংযোগ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ফাইল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রংপুরের মিঠাপুকুরে নিহত ফায়ার ফাইটার সোহানুর জামান নয়নের কবর জিয়ারত শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, আগুনে চার-পাঁচটা মন্ত্রণালয়ের ফাইল ও আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এটা গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অংশ।
তিনি বলেন, বিগত সরকার মানুষের টাকা যেভাবে আত্মসাৎ করেছে তা ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও তাদের নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫০ মিলিয়ন ডলার পাচারের ঘটনায় সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। এটাতো কেবল মাত্র একটি ঘটনা।
এমন অনেক ঘটনা আছে সেগুলো চাপা দেওয়ার জন্য নয়তলা ভবনে মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান রিজভী।
আরও পড়ুন: দেশে কিংস পার্টি গঠনের চেষ্টা চলছে: রিজভী
রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের একজন মুখ্যসচিব অনেক টাকা পাচার করেছে। যে ফাইলগুলো পুড়ে গেছে সেখানে তার ফাইলগুলো ছিল। সচিবালয়ের এই আগুনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, পরাজিত স্বৈরাচারের দোসররা এখনও অনেক জায়গায় আছে। আমলাতন্ত্র, পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন জায়গায় তারা আছে। সবাইতো এখনও পরিবর্তন হয়নি। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তারা ঘাপটি মেরে আছে। কোথায় কী ধরনের নাশকতা ও চক্রান্ত হচ্ছে তার কোনো ঠিক নেই।
হাসিনার পক্ষে ভারত ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, গোটা পৃথিবীর সমস্ত দেশ ও রাষ্ট্রনায়করা স্বৈরাচারের পতন ও নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রত্যেকের প্রতি তারা সংহতি জানিয়েছেন। কিন্তু একটি দেশ সংহতি জানাতে দ্বিধা করছে। সে দেশটি হলো পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। তারা শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। তারা সংখ্যালঘু নির্যাতনের নতুন বয়ান তৈরি করছে, যাতে শেখ হাসিনার অপকর্মগুলোকে ঢাকা যায়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে আবু সাঈদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। পরে জীবন দিয়েছে নয়ন। সেও রংপুরের ছেলে। সেদিনের আগুন নেভানোর জন্য যুদ্ধ করে জীবন দিয়েছেন তিনি। দেশের চলমান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনের অন্যতম শহীদ নয়ন। স্বৈরাচারের দোসরদের বিভিন্ন ধরনের চক্রান্ত ঠেকাতে গিয়ে জীবন দিচ্ছেন তার মতো ছেলেরা। শুধু একটি শোক জানিয়ে দায়িত্ব শেষ করা যাবে না।
এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুসহ স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বিলম্বিত করলে জনগণ বিভ্রান্ত হতে পারে: রিজভী
৭৮ দিন আগে
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোম কম: রিজভী
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে বলে সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবের মধ্যে গঠিত হয়েছে। এই সরকারকে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। সেই প্রত্যাশা পূরণে ঘাটতি থাকলে, রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের চিন্তা অনুযায়ী কথা বলবে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল মহানগর উত্তরের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘সরকার এখনো দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। রাস্তায় রাস্তায় এখনও গাড়িতে চাঁদাবাজি চলছে। বিএনপি এসব বন্ধের চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু বন্ধ করতে পারবে না। এর দায়িত্ব সরকারের।’
আরও পড়ুন: সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলকে জড়িয়ে উপদেষ্টা রিজওয়ানার বক্তব্য 'ভুল ও বিভ্রান্তিকর': রিজভী
তিনি বলেন, ‘রাস্তার মোড়ে মোড়ে চাঁদাবাজদের ধরুন। এগুলো বন্ধ করলেই দাম কমে আসবে। আমরা বলছি না যে সরকারের কোনো লোক এটা করছে। কিন্তু শক্তিশালী প্রশাসনিক নির্দেশনা থাকলে রাস্তায় রাস্তায় চাঁদাবাজি হতো না।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকার এসব প্রতিহত করার চেষ্টা করলেও উদ্যম কম। মানুষকে এই পরিস্থিতি যদি আগের আমলের চেয়ে স্বস্তি দিতে না পারে তাহলে মানুষ হতাশ হবে।’
‘অগ্রগতি যে একেবারে হয়নি আমরা তা বলছি না। আমরা এখন বক্তৃতা করে বাসায় যেতে পারছি আমাদের এখন পুলিশ ধরছে না, গোয়েন্দা পুলিশ খুঁজছে না, হ্যাঁ এটা হয়েছে।’
‘রাজনৈতিক দলগুলো ৫০ বছরেও কিছু করতে পারেনি, বর্তমান সরকার সেগুলো করছে’– একজন উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে এ সময় তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টার এমন বক্তব্য ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিনের কাজের মতো। রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয় দ্রুত নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে না দিলে এ সরকারের প্রতি মানুষের সমর্থন কমতে থাকবে।’
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী দেশে গণতন্ত্র চায় না ভারত: রিজভী
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, দপ্তর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শামসুর রহমান শামসহ মহানগর উত্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
৯১ দিন আগে
প্রতিবেশী দেশে গণতন্ত্র চায় না ভারত: রিজভী
আধিপত্যবাদী মনোভাবের কারণে ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলোতে গণতন্ত্র দেখতে চায় না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ, কিন্তু তারা চায় না ভুটান, নেপাল, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা তাদের জনগণের ইচ্ছায় পরিচালিত হোক।’
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নয়াপল্টন থেকে আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের পদযাত্রার উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, 'তারা কেন দিল্লির কথা মানবে?'
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণের জন্য নয়, রক্ত দিয়ে পাকিস্তান থেকে দেশ স্বাধীন করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভারত যদি চট্টগ্রামকে তাদের অংশ হিসেবে দাবি করে, তাহলে বাংলাদেশ বাংলা, বিহার ও ওড়িশাকে নিজের অংশ হিসেবে দাবি করবে।’
রিজভী অভিযোগ করেন, ভারত গত ১৬ বছর ধরে 'রক্তপিপাসু লেডি ফারাও শেখ হাসিনা'কে সমর্থন করেছে।
তিনি বলেন, ভারতের ক্ষমতাসীন দল তাদের সাম্প্রদায়িক মনোভাবের কারণে সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছে সমালোচিত।
ভারতের ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশের মানুষের চেতনা, আত্মশক্তি ও সাহসিকতা বোঝেনি।
পরে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সকাল ৯টায় ঢাকা থেকে কয়েকশ গাড়ি, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে করে আগরতলা অভিমুখে তাদের ঘোষিত লংমার্চ শুরু করে।
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: আগরতলা অভিমুখে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের লংমার্চ শুরু
তিন সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিশাল গাড়িবহর নিয়ে আনুষ্ঠানিক লংমার্চ শুরু করেন।
লংমার্চ শুরুর আগে তিনটি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। তারা ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যমের আধিপত্যবাদী মনোভাব এবং মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণার মাধ্যমে বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টার নিন্দা জানান।
নেতারা বলেন, তারা আখাউড়া ভারতীয় সীমান্তে তাদের শান্তিপূর্ণ লংমার্চ শেষ করবেন।
৯৫ দিন আগে
বাবার বাকশাল কায়েম করতে গিয়েই গর্তে পড়েছেন হাসিনা: রিজভী
বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, বাবার (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) গড়া বাকশাল কায়েম করতে গিয়ে শেখ হাসিনা নিজেই গর্তে পড়েছেন। অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়লে নিজেকেই পড়তে হয়, তার প্রমাণ শেখ হাসিনা।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকাল দিকে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সংগঠন আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বিনা অপরাধে খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দী রেখেছিলেন তিনি। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে ২ হাজার ছাত্র জনতার হত্যার দায় নিয়ে তিনি পালিয়ে গেছেন। ভেবেছিলেন তার প্রভু ভারত সরকার তাকে টিকিয়ে রাখবেন। কিন্তু পারেননি।
রুহুল কবীর রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনা ভিডিও বার্তা দেওয়ার জন্য তারেক রহমানের সমালোচনা করতেন। আজ শেখ হাসিনা নিজেই ফেসবুক, ইউটিউবে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্বের কাছে মিথ্যাচার করছে ভারত: রিজভী
তিনি বলেন, ‘কোথায় গেলো শেখ হাসিনার বাহাদুরি।’
রিজভী বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ এবং আহতদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ থাকব। তাদের অবদানের কথা স্মরণীয় করে রাখতে তাদের নামে বিভিন্ন স্থাপনা ও সড়কের নামকরণ করতে হবে। এছাড়া বিএনপি জনগণের দল। আগামীতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবে হতাহতদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর সভাপতি আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর উপদেষ্টা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ও প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুলসহ হতাহত পরিবারের সদস্যরা। এ সময় এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: ভারত আধিপত্য বিস্তারে সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করছে: রিজভী
৯৭ দিন আগে
ভারত আধিপত্য বিস্তারে সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করছে: রিজভী
ভারত উপমহাদেশে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার অজুহাত হিসেবে সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করতে কট্টরপন্থী হিন্দু গোষ্ঠীগুলোকে উসকানি দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, 'আপনারা সাম্প্রদায়িকতাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে ভারতকে বিভক্ত করেছেন। আর এখন আপনারা ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে বিদ্যমান গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকেও ধ্বংস করছেন।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে আপনারা উগ্র হিন্দুদের উসকে দিয়ে উপমহাদেশে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ঘৃণ্য ও বিদ্বেষপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ভারতের সঙ্গে আর সম্পর্ক নেই নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও পাকিস্তানের। ‘বাংলাদেশও আপনাদের সঙ্গে নেই। এটি হয়েছে আপনাদের ঔদ্ধত্য ও শোষণমূলক মনোভাবের কারণে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ, ৩০ লাখ মানুষের আত্মত্যাগ ও ২ লাখ নারীর সম্ভ্রম হারানোর মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন,‘ আপনারা ১৮-১৯ কোটি মানুষের এই দেশকে কি শুধু চোখ রাঙ্গিয়ে মিথ্যা প্রচার করে, আমাদের ভয় দেখিয়ে দমন করতে পারবেন? আপনাদের কী এমন হয়েছে যে, আপনারা হঠাৎ করে মরিয়া হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছেন?'
বিএনপি নেতা বলেন, ৫ আগস্টের আগে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি ঘৃণ্য সরকার ক্ষমতায় ছিল। যে সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য শিশুদের হত্যা করতে দ্বিধা করেনি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান রিজভীর
রিজভী আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষদের চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দিতে দ্বিধা করেনি তারা। তারা ক্রসফায়ারের মাধ্যমে নদী ও খালের পাড়ে মানুষ হত্যা করত। সেই হাসিনা সরকার আপনাদের এত প্রিয় ছিল কেন? কারণ, আপনাদের উসকানিতে শেখ হাসিনা এদেশে যা খুশি তাই করেছেন।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ, ৩০ লাখ মানুষের আত্মত্যাগ ও ২ লাখ নারীর সম্ভ্রম হারানোর মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
১৮-১৯ কোটি মানুষের এই দেশকে কি শুধু চোখ কুঁচকে মিথ্যা প্রচার করে আমাদের ভয় দেখিয়ে দমন করতে পারবেন? আপনার কী এমন হয়েছে যে আপনি হঠাৎ করে মরিয়া হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছেন?'
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের আগে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি ঘৃণ্য সরকার ক্ষমতায় ছিল, যে সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য শিশুদের হত্যা করতে দ্বিধা করেনি।
গণতন্ত্রকে ভালোবাসে এমন মানুষদের চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দিতে দ্বিধা করেনি তারা। তারা ক্রসফায়ারের মাধ্যমে নদী ও খালের পাড়ে মানুষ হত্যা করত। সেই হাসিনা সরকার আপনার এত প্রিয় ছিল কেন? কারণ, আপনাদের উস্কানিতে শেখ হাসিনা এদেশে যা খুশি তাই করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ভারত হয়তো ভাবতে পারে পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও সয়াবিন তেল রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের জনগণ বড় ধরনের সমস্যায় পড়বে।
তিনি বলেন, ‘ভুলে গেলে চলবে না, বাংলাদেশের মানুষ কঠোর পরিশ্রমী এবং তারা নিজেরাই পেঁয়াজ, রসুন ও আদা উৎপাদন করতে জানে। আপনি মনে করেন আপনারাই পৃথিবীর একমাত্র দেশ। এমন কি আর কোনো দেশ নেই যেখান থেকে আমরা পেঁয়াজ, রসুন, তেল আমদানি করতে পারি?’
তিনি ভারতকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, ভারত ৫ থেকে ৬ বছর গবাদি পশু রপ্তানি বন্ধ রাখার পর বাংলাদেশের জনগণ এক ঈদে প্রতিটি গ্রামে গরু ও ছাগলের খামার গড়ে তুলেছে এবং ১ কোটি ২০ লাখ গরু জবাই করেছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় কলকাতার নিউমার্কেটসহ সেখানকার হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য এলাকার দোকানদাররা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অস্থির হয়ে উঠবে ভেবে আপনারা ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ খুশি। প্রয়োজনে তারা থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া বা অন্য কোনো দেশে যাবেন। মানুষ ভারতের মতো দেশে যেতে চায় না, যারা আমাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে।’
চট্টগ্রাম ভারতের অংশ ছিল বলে দাবি করায় ইন্ডিয়ান রিপাবলিক বাংলা টিভির সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, একসময় মুসলিম নবাবদের শাসিত বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার মতো এলাকারও মালিকানা দাবি করবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ভারতে কূটনৈতিক মিশনে শান্তিরক্ষা বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার আহ্বান রিজভীর
১০০ দিন আগে
পরাজিত ফ্যাসিস্টরা ভূত-পেত্নির মতো আওয়াজ দিচ্ছে: রিজভী
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সঙ্গী-সাথী ফেলে স্বার্থপরের মতো পালিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পরাজিত ফ্যাসিস্টরা নানাভাবেই মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে এবং মাঝে মাঝেই আওয়াজ দেবে। তারা ভূত-পেত্নির মতো আওয়াজ দিচ্ছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীতে এক চক্ষুসেবা ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’- এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের নির্দেশনায় জুলাই গণআন্দোলনে চক্ষু হারানো, চক্ষু ক্ষতিগ্রস্ত এবং নিম্নবিত্ত মানুষের চক্ষু সেবার উদ্দেশ্যে চক্ষু বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিনামূল্যে এই চক্ষুসেবা ক্যাম্পের আয়োজন করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’।
আরও পড়ুন: মুজিবের ছবি অপসারণ নিয়ে বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন রিজভী
রিজভী বলেন, ‘কয়েকদিন আগে তারা নূর হোসেন দিবসে ঢাকা শহর নাকি উথাল-পাতাল করে দেবে। ওইদিন আমাদের দলের নেতাকর্মীরা কয়েকটি মিছিল করেছে; ওদের মতো তো মোড়ে মোড়ে বন্দুক নিয়ে পাহারা দেয়নি। তারপরও তো ওদের কোথাও দেখা যায়নি। কই যুবলীগ? কই ছাত্রলীগ? কারণ শেখ হাসিনা তাদের লুটপাটের জন্য তৈরি করেছিলেন।’
‘ফরিদপুরের ছাত্রলীগের নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছিলেন। শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের বলেছিলেন- তোরা যত পারিস লুটপাট কর, কিন্তু বিএনপিকে বের হতে দিবি না; বের হলেই হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়বি। এটাই ছিল শেখ হাসিনার নীতি। এর পরিণাম হয় ভয়াবহ, তা-ই হয়েছে; সঙ্গী-সাথী ফেলে দিয়ে স্বার্থপরের মতো পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার মতো একজন রক্তপিপাসুর এই দেশে ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের আর কোনো সুযোগ নেই। আপনি শিশুদের রক্ত পান করা একজন রক্তপিপাসু নারী। আপনি যে পাপ করেছেন, যে হত্যালীলা চালিয়েছেন, এর জন্য হয় আল্লাহর কাছে মাফ চান, না হলে চিরদিনের জন্য অভিশপ্ত হয়ে থাকবেন।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘শুধু নিজের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব পার্শ্ববর্তী দেশের কাছে জিম্মি করে দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এখন জনগণের একটাই দাবি, শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যত চুক্তি করেছে, সেই চুক্তিগুলো অন্তর্বর্তী সরকার প্রকাশ করুক। তিনি (শেখ হাসিনা) দেশের কত বড় ক্ষতি করে গেছেন, তার প্রমাণ তো আমরা দেখতে পাই।’
ভারতের আদানির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি ছিল অত্যন্ত অসম চুক্তি, অত্যন্ত অন্যায় চুক্তি। আদানির কাছ থেকে যে বিদ্যুৎ কেনা হয়, সেটা এক ইউনিটের দাম ১২ টাকা। পৃথিবীর কোথাও এত দাম দিয়ে বিদ্যুৎ কেনা হয় না। তিনি (শেখ হাসিনা) আদানির সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন একটা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে- তাকে যদি কখনো পালাতে হয়, তাহলে আদানি তাকে অর্থায়ন করবে। জনগণের কল্যাণের জন্য শেখ হাসিনা আদানির সঙ্গে কোনো চুক্তি করেননি। না হলে আদানি কেন হুমকি দেবে?’
রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার কোনো দেশপ্রেম ছিল না। তার ছিল ভারতপ্রেম। ওই একটাই প্রেম ছিল শেখ হাসিনার। কারণ তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। সুতরাং তার প্রেম কার সঙ্গে ছিল এইটা জনগণ জানত এবং বুঝত।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যে মার্কেটগুলো এখনো আওয়ামী সিন্ডিকেটের কাছে, বাজারগুলো এখনও তাদের সিন্ডিকেটের কাছে- আপনারা কী তাদের একজন লোককেও ধরেছেন? একটা লোককেও গ্রেপ্তার করেছেন? আপনারা শুল্ক কমিয়েছেন, তারপরও তো পেঁয়াজের দাম কমে না, তারপরও তো আলুর দাম কমে না, চিনির দাম কমে না, আটার দাম কমে না, সয়াবিন তেলের দাম কমে না। কারণ এগুলো ইমপোর্ট করতে হয়। এই বিষয়গুলি আপনারা যদি না দেখেন, পরাজিত ফ্যাসিস্টরা নানাভাবেই মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে এবং মাঝে মাঝেই আওয়াজ দেবে। ভূত-পেত্নির মতো আওয়াজ দিচ্ছে তারা।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’- এর আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি: রিজভী
হাসিনার মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারে সরকারের বিরুদ্ধে'লুকোচুরি'র অভিযোগ রিজভীর
১২৩ দিন আগে
শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি: রিজভী
বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানোর ঘটনাকে অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর খন্দকার মোশতাক আহমেদ বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি সরিয়ে ফেললেও জিয়াউর রহমান পরে তা আবার টাঙিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার(১২ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রিজভী এসব কথা বলেন।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান উপলক্ষে দলটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলার ঘোষণা দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের একটি বক্তব্যের কথা উল্লেখ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আপারা এটি করতে পারেন, কিন্তু সময় সবসময় একইভাবে চলে না। সবার অবদানকে যথাযথভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। তাই আমি মনে করি, তার (মুজিবের) ছবি সরিয়ে ফেলা উচিত হয়নি।’
রিজভী আরও বলেন, জাতীয় জীবনে ব্যক্তির অবদান ইতিহাস শেষ পর্যন্ত বিচার করবে এবং যে কারও অবদান ও অপকর্মের মূল্যায়ন ও পরিমাপ করা জনগণের দায়িত্ব হওয়া উচিত।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যেহেতু আমরা আওয়ামী লীগের মতো সংকীর্ণমনা নই, তাই আমরা মনে করি, বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সোমবার (১১ নভেম্বর) নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘দরবার হল থেকে ৭১-পরবর্তী শেখ মুজিবুর রহমানের ফ্যাসিবাদী ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে, ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে আমরা তার ছবি সরাতে পারিনি। ক্ষমাপ্রার্থী। তবে যতদিন মানুষের জুলাই মাসের চেতনা বেঁচে থাকবে ততদিন তাকে কোথাও দেখা যাবে না।’
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়েছে: মাহফুজ আলম
১২৪ দিন আগে
নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হবে না: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব(পিআর) ব্যবস্থা চালু হবে তা জনগণ কখনো প্রত্যাশা করে না।
তিনি বলেন, ‘এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশেও হতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশের জন্য তা প্রযোজ্য হবে না। এই ব্যবস্থা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট এলাকার জন্য বিশেষ সুবিধা তৈরি করবে।’
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) আজ নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মহাজাল এলাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাম্প্রতিক আন্দোলনের সমন্বয়ক ও নিহত ছাত্রদলের কর্মী জুনায়েদ আল হাবিবের পরিবারকে সান্ত্বনা ও অনুদান দিতে বিএনপিপন্থী প্লাটফর্ম 'আমরা বিএনপি পরিবার' এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ৪৩তম বিসিএসের নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ কসাইখানায় পরিণত হবে।’
আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন বকুল, নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহী, নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ প্রমুখ।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রায়পুরা উপজেলার বাটিয়ারা মোড়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা স্বাধীন ও পিয়ালের নেতৃত্বে ছাত্রনেতা জুনায়েদকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে গত ৭ অক্টোবর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় জুনায়েদের চাচা শফিক বাদী হয়ে স্বাধীন ও পিয়ালসহ ১৪ জনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলা করেন।
অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কোন ধরনের সরকার ও নির্বাচন পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি উপযোগী?
১৫০ দিন আগে
পতিত স্বৈরশাসকের পুনর্বাসন দেশকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলবে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পতিত স্বৈরশাসককে পুনর্বাসন করা হলে জনগণ দেশে থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘যারা গুম-খুনের সংস্কৃতি তৈরি করেছে, আয়না ঘরকে (গোপন কারাগার) পুনর্বাসন করা হয়, তাহলে এদেশে মানুষ থাকতে পারবে না।’
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে জনগণের মাঝে লিফলেট বিতরণকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শহীদদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশে স্বৈরাচারের দোসরদের স্থান হবে না: রিজভী
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরশাসককে পুনর্বাসিত করা হলে এ দেশ হবে ঘাতকদের অভয়ারণ্য। স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'এখানে চিরকাল গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার কবরস্থান হবে।’
নতুন পররাষ্ট্র সচিব নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ওই ব্যক্তি যখন কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন তখন তিনি বিএনপি সমর্থকদের হয়রানি করতেন এবং রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করে তাদের ভিসা নবায়ন করতেন না।
তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্টদের সমর্থন দিয়ে যারা বিরোধী দল দমনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন, তাদের যদি আজ গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়, তাদের যদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে এই সরকার প্রশ্নের মুখে পড়বে।’
তিনি বলেন, তারা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মান করেন, তবে তাকে এ বিষয়ে দেখতে হবে এবং তার প্রতি জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে। রিজভী বলেন, 'কাতারের রাষ্ট্রদূতকে কে পররাষ্ট্র সচিব করছেন?’
এ সময় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাকশিল্পে অসন্তোষ পতিত স্বৈরশাসকের সুবিধাভোগীদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: রিজভী
১৬০ দিন আগে