রিজভী
বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিলেন স্বৈরাচার হাসিনা: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, বিচারপতি খায়রুল হক দেশের বিচারব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ইঙ্গিতে মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেল খাটিয়েছেন। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করায় ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান রিজভী।
তিনি বলেন, বিএনপির কোটি কোটি সমর্থক রয়েছেন। এ বছর আমরা এক কোটি সদস্য সংগ্রহ এবং নবায়ন করব।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে মৌলভীবাজার এম সাইফুর রহমান অডিটোরিয়াম জেলা বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পড়ুন: উত্তরায় যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় নিহত ৫ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ, সমবেদনা জানালেন ফখরুল
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, বিগত দিনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের দিনের পর দিন, মাসের পর মাস জুলুম, নির্যাতন ও অত্যাচার করেছেন। সেই মামলায় আমি ও আমাদের নেতা কর্মীরা জেল খেটেছি।
মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূনের সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ সাবেক এমপি রশিদুজ্জান মিল্লাত। এছাড়াও বক্তব্য দেন বিএনপি সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ, সিলেট বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম টিম লিডার সৈয়দ আশরাফুল মজিদ খোকন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম নাসের রহমান প্রমুখ।
পড়ুন: খায়রুলের গ্রেপ্তারে মির্জা ফখরুলের শুকরিয়া, চান দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, আব্দুল ওয়ালী সিদ্দিকী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, বকশী মিছবাহ উর রহমান, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুজিবুর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমেদ রাজনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূরুল ইসলাম সেলুনসহ জেলার ৭ উপজেলা এবং ৫টি পৌরসভার সিনিয়র নেতারা।
১৩৩ দিন আগে
‘জুলাই সনদকে’ সংবিধানের মূল নীতির স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপের নিন্দা রিজভীর
সংবিধানের মূল নীতি হিসেবে জুলাই সনদ অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বানকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ইতোমধ্যে জুলাই সনদের অনেক বিষয় মেনে নিয়েছে। কিন্তু কেন এটিকে সংবিধানের মৌলিক নীতির অংশ করা হবে?’
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও আব্দুল কুদ্দুসের সুস্থতা কামনা করে জিয়া পরিষদ আয়োজিত নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নামাজের জায়নামাজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এই মন্তব্য করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সংস্কার সারা দেশে এবং সব সময় অব্যাহত থাকবে। ‘সংস্কার কোনো পর্বতমালার মতো স্থির কিছু নয়। এটি একটি গতিশীল প্রক্রিয়া।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, রাষ্ট্র বা জনগণের স্বার্থে যখন প্রয়োজন হয়, তখন সংস্কার করা উচিত এবং উপযুক্ত আইন প্রণয়ন করা উচিত।
রিজভী বলেন, ‘এটাই একটি গণতান্ত্রিক সংবিধানের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু সংস্কার আগে করতে হবে এবং এটি (জুলাই সনদ) সংবিধানের মৌলিক নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, এই দাবি বিভ্রান্তিকর। এটি মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। কেন আপনারা এভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন?’
বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার পরিবর্তে জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।
পড়ুন: শিল্পী ফরিদা পারভীনের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান খালেদার
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রের দরজা বন্ধ করে জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছেন। ‘আমাদের এখন সেই বন্ধ দরজাটি আবার খুলতে হবে এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার গঠন করে জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল কখনও সংস্কারের বিরুদ্ধে কথা বলেনি এবং বাস্তবে সর্বদা এটিকে সমর্থন করেছে। ‘আপনি সংস্কারের নামে যে বিষয়গুলোর কথা বলছেন, তার অনেকগুলো ইতোমধ্যেই বিএনপির ৩১-দফা সংস্কার রূপরেখায় প্রতিফলিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে একটি বৃহত্তর আদর্শের জন্য লড়াই করে আসছে - ন্যায়বিচার, সাম্য, আইনের শাসন এবং প্রকৃত গণতন্ত্র। ‘এই লড়াই রাষ্ট্রের উপর জনগণের মালিকানা পুনরুদ্ধারের জন্য। যখন সেই মালিকানা অস্বীকার করা হয়, তখন এটি ফ্যাসিবাদের পথ খুলে দেয়।’
রিজভী উল্লেখ করেন, জনগণের সরকারকে প্রতিটি পদক্ষেপে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। ‘সেই জবাবদিহিতা এখন নেই। আমরা বিশ্বাস করি যে অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সমর্থন এবং সকল রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে গঠিত হয়েছে— আওয়ামী লীগ ও তার কয়েকটি মিত্র ছাড়া।’
রিজভী বলেন, ‘আমরা সকলেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করে চলেছি। কিন্তু এটাও সত্য যে আমরা যদি দুর্ভিক্ষের লক্ষণ দেখতে এবং শুনতে শুরু করি—তাহলে জনগণ আমাদেরও ছাড় দেবে না।’
অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে মানুষ বেকার হয়ে পড়ছেন। ‘মানুষ যদি খাবার কিনে খেতে না পারে, তাহলে এটি দুর্ভিক্ষের স্পষ্ট লক্ষণ। যদি এই ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়—তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না— তখন পতিত ফ্যাসিস্টরা আনন্দে হাততালি দেবে।
পড়ুন: জামায়াতের সঙ্গে জোটের সুযোগ নেই, তবে এনসিপির জন্য আলোচনার দরজা খোলা: সালাহউদ্দিন
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার চাইলে, আওয়ামী লীগের যেসব সহযোগী দেশ ছেড়ে বিপুল অর্থ পাচার করে পালিয়ে গেছেন, তাদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগ করতে পারে এবং কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া বন্ধ করতে পারে।
‘অর্থনীতির ভয়াবহ অবস্থার কারণে কারখানা বন্ধ করা উচিত নয়। এটি কেবল একটি বক্তব্যই নয় - মানুষ এখন গুরুত্ব সহকারে ভাবছে যে, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে দেশ দুর্ভিক্ষে পতিত হয় কিনা,’ সতর্ক করেন রিজভী।
১৪৬ দিন আগে
আ.লীগের পুনর্বাসনে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী দল পলাতক আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার পতনকে তারা সহ্য করতে পারছে না। লন্ডনে ড. ইউনুস-তারেক রহমানের বৈঠকের পর টার্গেট করে পার্শ্ববর্তী দেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।’
শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ উদ্যোগে পাবনার চাটমোহরের প্রবীণ বিএনপি নেতা আবু তাহের ওরফে তাহের ঠাকুরকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার চিকিৎসার জন্য তাহের ঠাকুরের হাতে আর্থিক অনুদান ও তারেক রহমানের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের ১৬ বছরে তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে অনেকে এখনো গুম আছে। নেতা-কর্মীরা মামলা ও গ্রেপ্তার থেকে রক্ষা পায়নি। ফ্যাসিবাদের দিনগুলো ছিল ভয়ঙ্কর। তবে এখন আমরা গণতন্ত্রের পথে হাঁটছি। আজকে নির্ভয়ে কথা বলতে পারছি। যখন ড. ইউনুস ও তারেক রহমানের বৈঠক হয়েছে তখন থেকেই পার্শ্ববর্তী দেশ ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘১৬ বছর ধরে নিপীড়ন করেছে; লুট করে দুবাই, কানাডা ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বেহেশতের মতো সুখে আছে। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে অপপ্রচার চালিয়ে গেছে শেখ হাসিনা।… নির্যাতনের শিকার হয়েছি, তবুও শেখ হাসিনার কাছে আত্মসমর্পণ করিনি।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে; যৌক্তিক সময়েই হবে। আরও অনেক দল যে দাবি করেছে, সেই আলোকেই নির্বাচন হবে। আমরা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছি। এবারের নির্বাচনে জনগণের দাবির প্রতিফলন হবে।’
আরও পড়ুন: সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে আপত্তি বিএনপির
তাহের ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘লোহা পুড়িয়ে সংসার চালিয়েও তিনি দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। জেলা বিএনপিকে সর্বক্ষণ তার খোঁজখবর রাখতে বলেছি।’
‘আপনার পাশে সবাই দাঁড়াবে। আজ আমরা তারেক রহমানের উপহার নিয়ে এসেছি।’
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার, যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুল হক বাবু, তাহের ঠাকুরের ছেলে চাটমোহর ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বরিউল করিম গোলাম, এডওয়ার্ড কলেজ ছাত্রদল নেতা আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
তিন যুগেরও বেশি বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার রয়েছে আবু তাহের প্রামাণিক ওরফে তাহের ঠাকুরের। তিনি চাটমোহর উপজেলা শ্রমিদলের সাবেক সভাপতি। ত্যাগী এই বিএনপি নেতার অসুস্থতা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন সম্পর্কে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে আসে বিষয়টি। এরপর তিনি আর্থিক সহযোগিতা ও খোঁজখবর নিতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেন।
১৬৭ দিন আগে
অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে, আশা রিজভীর
অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে দেওয়া তাদের প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন করবে বলে নিজের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি সরকার শিগগিরই (ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি) নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে।’
বুধবার (১৮ জুন) নরসিংদী জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন।
রিজভী বলেন, স্বৈরাচারের কুৎসিত উত্থান বন্ধে গণতন্ত্রকে একটি শক্ত ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি দেওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, নির্বাচিত হয়ে তাদের দল ক্ষমতায় গেলে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে তাদের সঙ্গে অংশ নিয়েছে—এমন সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরামর্শ করে দেশ পরিচালনা করবে।
পড়ুন: মঙ্গলবারের ঐকমত্য বৈঠকে না আসায় জামায়াতের তীব্র সমালোচনা ফখরুলের
বিএনপি নেতা বলেন, বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল অনেক আশা ও প্রত্যাশা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন জানিয়েছে।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার যেসব সদস্যদের বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় ফাঁসিয়ে নির্যাতন করেছিল—তাদের কেন এখনও বিচারের আওতায় আনা হয়নি?
বিএনপির এই নেতা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং বেআইনি কার্যকলাপ ও দমন-পীড়ন চালিয়েছে—এমন র্যাব, পুলিশ ও ডিবির সদস্যদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করেন সরকার তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে— তাহলে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা উচিত।
পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একমাত্র উপায় জাতীয় নির্বাচন: আমীর খসরু
রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আপোষহীন নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। ‘বিএনপিকে বিভক্ত করার জন্য শেখ হাসিনার সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে... সংকট এখনও শেষ হয়নি। গণতন্ত্র পুরোপুরি পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে,’ বলেন তিনি।
তিনি ডেঙ্গু এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জীবন বাঁচাতে ও স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারকে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
ডেঙ্গু ও কোভিড-১৯ এর হুমকি মোকাবিলায় একটি জাতীয় টাস্কফোর্স গঠনের জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।
১৬৯ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেকের বৈঠক অনেক রাজনৈতিক দলের মনে জ্বালা ধরিয়েছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক অনেক রাজনৈতিক দলের মনে জ্বালা ধরিয়েছে। তিনি বলেন, অনেকেই এটা মেনে নিতে পারছে না। কেউ কেউ উস্মা প্রকাশ করেছেন।
শনিবার (১৪ জুন) বিকালে গাজীপুরের ভবানীপুর এলাকায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কলেজ মাঠে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতকে ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আমাদের কিছু রাজনৈতিক দল উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তারা ৭১ সালের জনগণের বিরোধিতা করেছেন। ৯১ সালে হাসিনার সঙ্গে নির্বাচন করেছেন। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগকে মাফ করে দেবে এবং ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করবে বলে মন্তব্য করেন। তাহলে রাজনীতি মানে কি। তাদের রাজনীতি ভুলে ভরা আর বিএনপির রাজনীতি ইতিবাচক রাজনীতি।
আরও পড়ুন: ইউনূস-তারেকের বৈঠক নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করেছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে যদি নির্বাচন হয়, তবে এর চাইতে উপযুক্ত সময় আর নেই। এসময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঐতিহ্য রয়েছে। আর এপ্রিল মাস! তখন প্রচন্ড গরম, ঝড়, হজ্ব, কোরবানির মওসুম। রমজান মাসে কি প্রচারণা করা যায়!
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন হবে, আবহাওয়া ভালো থাকে, রমজান নেই, পরীক্ষা নেই।
শেখ হাসিনার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে কত অপপ্রচার চালানো হয়েছে, কিন্তু তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। শেখ হাসিনার অন্যায়ের কাছে তিনি মাথানত করেননি। হাসিনা নির্বাচন কমিশন ধ্বংস করেছে, গণতান্ত্রিক অধিকার নষ্ট করেছে।
ভারতের পুশ-ইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুশ-ইনের মাধ্যমে ভারত পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চাইছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অগ্রাহ্য করে তারা এটি করতে থাকলে—এর দায় তাদের নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচন দিতে রাজি প্রধান উপদেষ্টা: ফখরুল
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক একেএম ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন কবির খান, কেন্দ্রীয় সহ স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার, কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র মজিবুর রহমান ও ওমর ফারুক শাফিন প্রমুখ।
১৭৩ দিন আগে
নির্বাচনী রোডম্যাপ দাবিকে ‘মহাপাপ’ মনে করছেন কিছু উপদেষ্টা: রিজভী
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বিএনপি যে নির্বাচনী রোডম্যাপ দাবি করেছে, সেটিকে কিছু উপদেষ্টা ‘মহাপাপ’ হিসেবে দেখছেন বলে মন্তব্য করছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
নির্বাচনের জন্য অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের আহ্বান জানানো কি মহাপাপ? কিছু উপদেষ্টার মন্তব্য থেকে মনে হচ্ছে যে, তারা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন মানুষের মধ্যে এই ধারণা উসকে দিচ্ছেন।’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার (২৫ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি নেতা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে বলেছে। শেখ হাসিনা জনগণের এই ভোট দেওয়ার অধিকার বিলম্বিত করেছিলেন, বঞ্চিত করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে আশ্বাস পায়নি বিএনপি
‘আমাদের সব বিক্ষোভ ও আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল এই পরিস্থিতির উত্তরণ। প্রকৃত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা এবং একটি মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা। কিন্তু এখন, নির্বাচনকে ঘিরে অনেক চক্রান্ত চলছে,’ যোগ করেন রিজভী।
নিজেদের এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে কিছু উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব। এ কারণেই রাজনৈতিক সংকট বাড়ছে বলে তিনি মনে করেন।
রিজভী বলেন, ‘যদি উপদেষ্টারা তাদের দায়িত্বের বাইরে কোনো গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেন—তাহলে জনগণ তা মেনে নেবে না। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের ভূমিকা পরিবেশ রক্ষা এবং উন্নত করা, কিন্তু তিনি বরং নির্বাচনের কথা বলেন ‘
‘বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদী রক্ষার জন্য রিজওয়ানা কী করেছেন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছি কেন? দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে, পরিবেশ দূষণমুক্ত করতে তার কোনো উদ্যোগ বা কর্মসূচি আমরা দেখিনি।’
দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগের জন্য তার দলের আহ্বানকে সমর্থন করে রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা হলো নিরপেক্ষ থাকা। কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল গঠনে সহায়তা করা বা এর বিকাশে সহায়তা করা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নয় ‘
রিজভী বলেন, ‘অবশ্যই নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে, যদি একজন উপদেষ্টা (কুমিল্লার) এসপিকে ফোন করে বিএনপির লোকজনকে গ্রেপ্তার করার এবং দলটিকে সেখানে কোনো কার্যকলাপ পরিচালনা করতে বাধা দেওয়ার নির্দেশ দেন—তাহলে কেন তার পদত্যাগের দাবি উঠবে না?’
১৯৩ দিন আগে
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জুলাই-আগস্টে শহীদ-আহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র: রিজভী
জুলাই-আগস্টে শহীদদের রক্তের উপর থাকা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে শহীদদের তালিকা না থাকায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, আজকে যারা জুলাই আন্দোলনের সুফল পাচ্ছেন, যারা উপদেষ্টাসহ বড় বড় পদ পাচ্ছেন, এমনকি রাজনৈতিক দল গড়ে তুলছেন—তাদের শহীদদের পরিবারের আরও বেশি খোঁজ-খবর নেওয়া উচিত।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘যারা এতো এতো কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরছেন! শহীদদের রক্তের উপর থাকা এই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে শহীদদের তালিকা নেই কেন? যাদের রক্তের উপর আজকের সরকার এবং আমরা রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছি।’
বিএনপি ক্ষমতায় এলে জুলাই-আগস্টে শহীদ এবং আহতদের সকলের পরিবারের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার মেহেরপারা ইউনিয়নের চৌয়া এলাকার চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরমানের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আজকে আমরা যতটুকু স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছি, এর জন্য যারা নিজের জীবন দিয়েছেন—তাদের মধ্যে অন্যতম শহীদ বীর আরমান মোল্লা। যে লোকটি জীবন দান করেছেন, দেশের মুক্ত বাতাস কেনার জন্য, সে পরিবারের সন্তানরা বাড়িতে না থেকে এতিমখানায় থাকতে হবে, এটা অত্যন্ত মর্মান্তিক।
তিনি বলেন, আমরা আরমানের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এখানে এসেছি। এই ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের পর গণমানুষের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি এই পরিবারের দায়িত্ব নেন এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ ও আমাদেরকে তিনি তার বাড়িতে পাঠিয়েছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আমরা বিএনপি পরিবারের সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা আবুল কাশেম, সদস্য মাসুদ রানা লিটন, মেহের পাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে সম্মেলন নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
গত বছরের ২১ জুলাই নরসিংদীর শিলমান্দী ইউনিয়নের সামনে আন্দোলনরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আরমান।
বর্তমানে আরমান মোল্লার স্ত্রী সালমা বেগম তিনটি নাবালক সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন। তিনি বড় মেয়ে মাহি (১০) ও ছেলে রাফিকে (৭) দিয়েছেন একটি এতিমখানায় আর ছোট মেয়ে আফরামনিকে (৩) নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
ইউএনবি/জেএ
১৯৫ দিন আগে
তারেককে নিয়ে খলিলুরের মন্তব্যের নিন্দা বিএনপির, পদত্যাগ দাবি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খালিলুর রহমানের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। সেই সঙ্গে তার বক্তব্য প্রত্যাহার ও পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানকে নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে দেশের মানুষ হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ফ্যাসিবাদের প্রতিভূ হাসিনা যেভাবে গণতন্ত্রের কফিন পেরিয়ে কথিত উন্নয়নের ইন্দ্রজাল সৃষ্টির জন্য জিয়া পরিবারকে নিয়ে কুৎসা রটাতেন, উপদেষ্টার এই মন্তব্য যেন তারই পুনরাবৃত্তি।’
‘আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, রাষ্ট্র নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ নেই। ড. খলিলুরকে অবিলম্বে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে দেশে-বিদেশে তার অবস্থান সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দেশের জনগণের সামনে হাজির করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ড. খলিলুর তার নিজের পক্ষে ওঠা প্রশ্নের জবাব না দিয়ে পলাতক স্বৈরাচারের মতো তারেক রহমানের বিপক্ষে প্রোপাগান্ডার পথ বেছে নিয়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করেছেন। জনগণ এসব মেনে নেবেন না।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিবের প্রশ্ন, ‘ফ্যাসিবাদের দেড় দশক ড. খলিলুর কোথায় ছিলেন? কীভাবে ছিলেন? কোন দেশে ছিলেন? বিদেশে তার স্ট্যাটাস কী ছিল? ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে তার ভূমিকা কী ছিল? অবশ্যই এ সব প্রশ্নের জবাব জনগণকে জানাতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিদেশি নাগরিকত্ব থাকার দাবি প্রত্যাখ্যান খলিলুরের
তারেক রহমানকে নিয়ে ড. খালিলুর রহমানের বক্তব্য গণতন্ত্রের স্থায়ী সুরক্ষার জন্য ক্ষতিকর বলেও মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা। বলেন, ‘এখনও যেন লোকসমাজে উজ্জ্বলতর তারেক রহমানের ভাবমর্যাদাকে বিনষ্ট করার জন্য প্রতিশোধের চোরা স্রোতে আঘাত হানার চেষ্টা চলছে—নানা মহল থেকে, নানা দিক থেকে।’
এর আগে, গতকাল বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘কেবল আমি আমেরিকায় থেকেছি বলে আমাকে যদি বলা হয়— আপনি বিদেশি নাগরিক; তাহলে কালকে তারেক রহমান সাহেবকেও সে কথা বলতে হবে। আমাকে ঢিল নিক্ষেপ করলে সেই ঢিল কিন্তু অন্যের ওপর গিয়েও পড়তে পারে!’
তবে এ বিষয়ে রিজভীর বক্তব্য, “ড. খলিলুর রহমান (তারেক রহমানের) যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবন প্রসঙ্গটি যেভাবে উপস্থাপন করেছেন, তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিমূলক। ‘ধান ভানতে শিবের গীত’ গাওয়ার মতো।”
১৯৬ দিন আগে
যে ভোটের জন্য লড়াই-সংগ্রাম, কোথায় সেই ভোট: প্রশ্ন রিজভীর
ভোটের জন্য দেশের মানুষ রক্ত দিয়েছে, লড়াই সংগ্রাম করেছে। সেই ভোটের তফসিল কবে ঘোষণা করা হবে তা—এখনো জানা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘কবে সংস্কার শেষ করবেন, আর কবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন জনগণ তা জানতে চায়।’
তিনি বলেন, যে ভোটের জন্য এতো রক্তদান হয়েছে, এতো লড়াই সংগ্রাম হয়েছে আজও সেই ভোট আমরা পেলাম না। এই যে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু সেই ক্ষমতা এখনো ফিরে আসছে না কেন? সেটা নিয়ে এতো গড়িমসি কেন?
আরও পড়ুন: অন্তবর্তী সরকারে এনসিপি-বিদেশি ও ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমেদ
শনিবার (১৭ মে) বিকালে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার হাতিরদিয়া ছাদতআলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, রক্ত পিপাসু, হিংস্র এক দানবের হাত থেকে স্কুল—কলেজের শিশুদের নেতৃত্বে দেশের জনগণ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে। হাজার হাজার নয় ১০ লক্ষ মানুষ খুন করে হলেও রক্ত পিপাসু হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইতেন। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেননি তিনি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সহসম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েলের সভাপতিত্বে ফুটবল খেলার উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন।
এসময় নরসিংদী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপি নেতা ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২০১ দিন আগে
সীমান্তে ভারতের পুশ-ইন: সরকারের নীরবতায় ক্ষোভ ঝাড়লেন রিজভী
বাংলাদেশের সীমান্তপথে ভারতীয় নাগরিকদের পুশ-ইন চলছে, অথচ সরকার এ বিষয়ে একটি কথাও বলছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ বিষয়ে সরকারের নীরবতার তীব্র সমালোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শেখ হাসিনার নীতিকেই অনুসরণ করছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে রবিবার (১১ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ফোরামের আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘সাতক্ষীরা, কুড়িগ্রাম, খাগড়াছড়ি, মৌলভীবাজার—এসব সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে লোক ঢোকানো হচ্ছে, সরকার কিছু বলছে না। কোথায় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়?’
আরও পড়ুন: সরকার কি কোনো গোপন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, প্রশ্ন রিজভীর
তিনি বলেন, ‘শুনেছি একজন খুব শক্তিশালী উপদেষ্টা রয়েছেন—খোদা বখস। তিনি নাকি স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সব কিছু দেখেন এবং খুবই ক্ষমতাবান। আবার শোনা যায়, তিনি বিএনপিকে পছন্দ করেন না। নিজের মতো করে সব গুছিয়ে রাখেন। তাহলে এত ক্ষমতাবান উপদেষ্টা থাকার পরও আজ সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকদের পুশ-ইনের মতো ঘটনা ঘটছে কেন?’
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই সরকারকে সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল সমর্থন করেছে। তারপরও পার্শ্ববর্তী দেশ কী সাহসে সীমান্ত দিয়ে জোর করে লোক ঢোকাচ্ছে? সরকার কেন এ নিয়ে নিশ্চুপ? শেখ হাসিনা যেমন সীমান্তে হত্যার সময় প্রতিবাদ করতেন না, বর্তমান সরকারও আজ নিরুত্তর।’
সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি রাষ্ট্রীয় অপরাধ। বাংলাদেশের জনগণকে কি এত দুর্বল জাতি ভাবছেন? মুক্তিযুদ্ধের দেশ, যে জাতি ৩০ লাখ শহিদ আর দেড় হাজার শিশু-কিশোরের রক্ত দিয়েছে, সে জাতিকে উপেক্ষা করে সীমান্ত দিয়ে লোক ঢোকানো হবে আর সরকার কিছুই বলবে না?’
আরও পড়ুন: আ.লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আমাদের নয়, সরকার-নির্বাচন কমিশনের: মঈন খান
রিজভীর অভিযোগ, ‘শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও জনগণের প্রত্যাশা পূরণে তারা ব্যর্থ।’
‘সরকার সংস্কারের কথা বলেছিল, জনগণ তা মেনে নিয়েছিল। বলা হয়েছিল, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, কিন্তু এখনও সে বিষয়ে সরকার নীরব। কেন এই নিশ্চুপতা?’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য রমেশ দত্ত এবং বৌদ্ধ ফোরামের নেতা সুশীল বড়ুয়া, প্রার্থ প্রতিম বড়ুয়া অপু প্রমুখ।
২০৭ দিন আগে