ডিম আমদানি
ভারত থেকে আরও ২৩২০০০ ডিম আমদানি
যশোরের বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের ৫ শতাংশ শুল্কায়ন মূল্যের ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিমের আরও একটি চালান এসে পৌঁছেছে।
এখন থেকে ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশে শুল্কায়ন হবে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শুল্ক সুবিধা পাবেন আমদানিকারকরা।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে ডিমের এ চালান খালাসের জন্য কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দাখিল করেছে বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।
এর আগে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডিমের এ চালান বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম
কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৫ চালানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১১ লাখ ৫৯ হাজার ২০০টি ডিম আমদানি হয়েছে। এর আগে গত বছরের ৫ নভেম্বরে আমদানিকারক ঢাকার রামপুরার বিডিএস কর্পোরেশন ৬১ হাজার ৯৫০ টিম ডিম আমদানি করে। পরে আমদানিকারক হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন প্রতিষ্ঠান এসব ডিম আমদানি করেছে। এর বাইরে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সরকারের পক্ষ থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও এসব প্রতিষ্ঠান এখনও ডিম আমদানি করেনি।
ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজার দর কমাতে গত ১৭ অক্টোবর শুল্ক কমানো সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আদেশটি বেনাপোল কাস্টমসে আসে গত ২০ অক্টোবর। আদেশ পাওয়ার পর ২১ অক্টোবর একটি চালানের ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিম কম শুল্কে মাত্র ৭৬ পয়সায় শুল্কায়ন করা হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ অক্টোবর ডিমের ৫টি চালান আসে বেনাপোল বন্দরে। আর এ সমস্ত চালানগুলো কাস্টমস থেকে ছাড় করতে কাজ করছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশনের ম্যানেজার ইকরামুল হাসান সজিব বলেন, ‘নতুন নির্ধারণ করা শুল্কে ডিম খালাস নিচ্ছি। গত ২১ অক্টোবর ৫ শতাংশ শুল্কের ডিম খালাস শুরু হয়। প্রতিটি ডিম আগে ১ টাকা ৯৬ পয়সা শুল্কায়ন করা হতো। শুল্ক কমানোয় এখন থেকে প্রতিটি ডিমে মাত্র ৭৭ পয়সা শুল্ককর পরিশোধ করতে হবে। এতে আমদানি করা নতুন চালানের এসব ডিম বাজারে ৯ টাকা দরে বিক্রি করতে পারবে। এই ডিমের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নাম হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের শ্রী লক্ষী এন্টারপ্রাইজ।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, কম শুল্কে গত ২১ অক্টোবর ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিম খালাস দেওয়া হয়েছিল এবং আজ ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি খালাস দেওয়া হচ্ছে। আমদানিকারকের ডিমের চালান খালাসে সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে না পারার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের
৩ সপ্তাহ আগে
হিলি বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে না পারার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের
অনুমতি থাকার পরও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে পারছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগই সফল হচ্ছে না। এজন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বৈষম্য ও অসহযোগিতাকে দায়ী করছেন আমদানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা জানান, শুধুমাত্র বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ডিম আমদানি করা হচ্ছে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। ফলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকারকরা ডিম আমদানি করতে চেষ্টা চালিয়ে গেলেও বন্দরের স্থানীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে আমদানি করা যাচ্ছে না।
তারা অভিযোগ করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ডিম আমদানিতে ২৫ শতাংশ থেকে শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ করে। কিন্তু হিলি বন্দরের আমদানিকারকরা কোনো সুফল পাচ্ছেন না। এখানকার আমদানিকারকরা ডিম আমদানি করতে চান। এই সহযোগিতা কাস্টমসের কাছে চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। আমদানিকারকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: এমপক্স প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেই হিলি স্থলবন্দরে
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক নুরল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমরা ডিম আমদানি করার জন্য অনুমতি পেয়েছি। সেখানে কোথাও উল্লেখ নেই যে নিদিষ্ট কোনো বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে হবে। আমদানিকারকরা যেই বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করলে খরচ কম হবে সেই বন্দর দিয়ে আমদানি করবে এটাই ব্যবসায়িক নিয়ম। আমাদের জন্য হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি করতে পরিবহনসহ বিভিন্ন খরচ কম হওয়ার জন্য আমরা আমদানি করার জন্য হিলি কাস্টমসে যোগাযোগ করি। কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলে এই বিষয়ে এই মুহূর্তে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারব না। এই বলে সময় ক্ষেপণ করছে। আমরা বাধ্য হয়ে বেনাপোল দিয়ে আমদানি করছি। তাতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
বন্দরের আরেক আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘যত সব বৈষম্য হিলি কাস্টমসে। আমাদের মনে হয় তারা কাজ সম্পর্কে কম জানেন। সরকার যেখানে আমদানিকারকদের অনুমতি দিয়ে দ্রুত ডিম আমদানি করে বাজার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্ট করছে, সেখানে কাস্টমসের অনভিজ্ঞ জনবলের কারণে সরকারের উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে। আমদানিতে কোনো পণ্যের ওজন নিদিষ্ট করার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ থাকারও প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন তিনি।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ডিম আমদানি করা গেলে অনেকটাই খরচ কম হবে। ফলে উত্তরাঞ্চলে ডিমের সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি কমে আসবে দামও। হিলি কাস্টমসের প্রতিবন্ধকতার কারণে আমদানিকারকরা ডিম আমদানি করতে পারছেন না। কাস্টমসের এই বাধা অতিদ্রুত নিরসন হওয়া দরকার। আমরা এ ব্যাপারে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এদিকে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার নার্গিস আক্তার জানান, আমাকে এ বিষয়ে বুঝতে হবে। এটা নতুন পণ্য। নতুন কোনো কিছু হলেই আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো দরকার হয়। আবার পণ্যটি আসার পর শুল্কায়ণ ও পরীক্ষায়নের ক্ষেত্রে কি কি বিষয় থাকবে সব মিলে আমাদের একটা প্রস্তুতির ব্যাপার রয়েছে। ব্যবসায়ীদের এটাই বলা হয়েছে। আমরা বলিনি যে আমদানি করতে পারবেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি ডজন ডিম ভারত থেকে দশমিক ৫৮ মার্কিন ডলারে আমদানি করা যাবে। সরকারের সদ্য ঘোষণা অনুযায়ী ডিম আমদানিতে ২৫ শতাংশ থেকে শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ করায় প্রতিটি ডিমে শুল্ক হবে ৫৩ পয়সার মতো। তাতে একেকটি ডিম আমদানি করতে সবমিলে খরচ হবে ১০ টাকার মতো।
শনিবার বন্দরের হিলি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি ডিম সাইজ ভেদে খুচরা পর্যায়ে ১৩ থেকে ১৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত শুক্রবার প্রতিটি ডিম ১ টাকা বেশিতে বিক্রি হয়েছে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ডিম আমদানি শুরু হলে দাম ১১ টাকা হবে বলে জানান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
১ মাস আগে
বাজার স্থিতিশীল করতে সাড়ে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার
ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও দাম স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সাময়িকভাবে সীমিত সময়ের জন্য সাড়ে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য-১ শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিদিন দেশে ডিমের চাহিদা ৫ কোটি পিস। বাজারের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে আনতে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ৫০ লাখ পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজকে ১ কোটি পিস, মেসার্স তাওসিন ট্রেডার্সকে ১ কোটি পিস, মেসার্স সুমন ট্রেডার্সকে ২০ লাখ পিস, আলিফ ট্রেডার্সকে ৩০ লাখ পিস, হিমালয়কে ১ কোটি পিস, মেসার্স প্রাইম কেয়ার বাংলাদেশকে ৫০ লাখ পিস ও মেসার্স জামান ট্রেডার্সকে ৫০ লাখ পিস ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২৩১৮৪০ ডিম আমদানি
আমদানির জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে-
(ক) দ্য ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর অ্যানিম্যাল হেলথের গাইডলাইন অনুযায়ী বার্ড ফ্লু মুক্ত জোনিং/কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের স্বপক্ষে রপ্তানিকারক দেশের কমপোনেন্ট অথরিটির জোনিং/কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের সার্টিফিকেট/ঘোষণা দাখিল করতে হবে।
(খ) আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকারের নির্ধারিত/ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া প্রদত্ত এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত মর্মে সনদ দাখিল করতে হবে।
(গ) সরকারের নির্ধারিত শুল্ক-কর পরিশোধ ও অন্যান্য বিধি-বিধান প্রতিপালন করতে হবে।
(ঘ) ডিম আমদানির প্রতি চালানের অন্যূন ১৫ (পনেরো) দিন পূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানাতে হবে।
(ঙ) আমদানির অনুমতি পাওয়ার পরবর্তী ৭ দিন পরপর অগ্রগতি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে।
(চ) আমদানির অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: বাজারের চেয়ে বেশি দামে ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেওয়া এবং ত্রুটিপূর্ণ নির্ধারণ প্রক্রিয়া শুভংকরের ফাঁকি
১ মাস আগে
বার্ড ফ্লু: মুরগির বাচ্চাসহ ডিম আমদানি বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ
দেশে বার্ড ফ্লু রোগের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিবেশী দেশ থেকে মুরগির বাচ্চা, প্যারেন্টস্টক, হাঁস-মুরগি, পাখি ও ডিম আমদানি বন্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
৩ বছর আগে