সিনোভ্যাক
টিকা পেতে ভোগান্তি, বিশৃঙ্খলা
দেশব্যাপী গণ টিকাদান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শনিবার নগরীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে টিকা প্রত্যাশীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। হাসপাতালের চিকিৎসাকর্মীরা হাজারো টিকা প্রত্যাশীকে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষকে। একপর্যায়ে সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
নারী ও পুরুষসহ প্রায় চার হাজার টিকা প্রত্যাশীকে হাসপাতালের প্রথম এবং দ্বিতীয় তলার বারান্দায় লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। টিকাদান ধীর গতিতে চলছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন। ‘অব্যবস্থাপনা’ দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে টিকা প্রত্যাশীরা বলেন, নারীদের আলাদা লাইনে দাঁড়ানোর কোনও ব্যবস্থা নেই বলে পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়েছে।
লাইনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ ক্ষিপ্ত হয়ে আনসার এবং হাসপাতালের কর্মীদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় অনেককেই টিকাদান কক্ষে জোর করে প্রবেশের জন্য ধাক্কাধাক্কি করতে দেখা গেছে।
টিকাদান কক্ষের ভেতরে দেখা গেছে, মাত্র দুই থেকে তিনজন নার্স টিকা দিচ্ছেন, অন্য দুই বা তিনজন চিকিৎসাকর্মী টিকা নিবন্ধনের কাগজপত্র পরীক্ষা করছেন। জনবলের অভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের হিমশিম খেতে হয়।।
আরও পড়ুন: টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে কাজ করছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি
এই পরিস্থিতি সম্পর্কে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভাইস প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, টিকা কেন্দ্রটি মূলত গণটিকা দেয়ার জন্য নির্বাচিত হওয়ার আগে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য নির্ধারিত ছিল। এই কারণেই হাসপাতালকে অতিরিক্ত চাপের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই কেন্দ্রে টিকা নেয়ার জন্য এক হাজার মানুষকে বার্তা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু প্রায় চার হাজার মানুষ চলে এসেছে। এই হাসপাতাল টিকাদান ছাড়াও ৫০০ করোনা রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছে। এটি একটি বড় চাপ।
তিনি উল্লেখ করেন, এই কেন্দ্রে বিভিন্ন ধরনের টিকা দেয়া হচ্ছে। যেমন: অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোভ্যাক, মডার্না ও ফাইজার। সুতরাং আমাদের সঠিক ব্র্যান্ড বেছে নেয়ার জন্য টিকাগুলো খুব সাবধানে সরবরাহ করতে হচ্ছে। কারণ কিছু লোক প্রথম ডোজের জন্য এসেছেন এবং কিছু লোক দ্বিতীয় ডোজের জন্য।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় গণ টিকাদান শুরু
গোয়ালন্দে ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রে টিকাদানে মানুষের ভিড়
৩ বছর আগে
চীনের ‘করোনাভ্যাক’ ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
চীনের সিনোভ্যাক লাইফ সাইন্স কোম্পানির তৈরি ‘করোনভ্যাক’ ভ্যাকসিন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
এম/এস ইনসেপ্টা ভ্যাক্সিনের আবেদনের ভিত্তিতে রবিবার এই অনুমোদনের সিদ্ধান্ত জানায় সংস্থাটি। এর আগে গত ৩ জুন ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন এটি অনুমোদনের জন্য আবেদন করে।
আরও পড়ুন: চীনা টিকার মূল্য প্রকাশ: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার
‘করোনভ্যাকের’ বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে এম/এস ইনসেপ্টা ভ্যাক্সিন লিমিটেড।
প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ব্যবহৃত এই করোনা ভ্যাকসিন ইতোমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে।
ঔষধ প্রশাসনের প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চীনা কর্তৃপক্ষ গত ৯ ফেব্রুয়ারি এই ভ্যাক্সিনটির অনুমোদন দেয়। বর্তমানে বিশ্বের ২২টি দেশে এই কোভিড-১৯ টিকার ব্যবহার হচ্ছে।
করোনভ্যাক বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদনপ্রাপ্ত করোনার পঞ্চম ভ্যাকসিন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে করোনার টিকা উৎপাদনে আগ্রহী চীন
এই ভ্যাকসিনটির দু’টি ডোজ দেয়া হবে। উল্লেখ্য যে, এই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যেই দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে।
এর আগে চীন সরকারের উপহার হিসেবে পাঁচ লাখ ডোজ সিনোফার্মের করোনা টিকা গত ১২ মে বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়।
৩ বছর আগে
চীনের সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন দিয়ে তুরস্কে শুরু গণ টিকাদান
চীনের সিনোভ্যাক সংস্থার উৎপাদিত ভ্যাকসিনের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার থেকে কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে গণ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছে তুরস্ক।
৩ বছর আগে