সওজ
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ থাকবে ১০ দিন
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের চলমান সংস্কার কাজ ১০ দিন বন্ধ থাকবে।
আগামী ৩ জুলাই পর্যন্ত সড়কে সব ধরনের সংস্কার কাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)।
এতে, ঈদে মানুষের বাড়ি ফেরার ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, ‘মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে সওজের সংস্কার কাজ চলমান থাকার কারণে একমুখী সড়কে যানবাহন চলাচল করত। যার ফলে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হয়। দূরপাল্লার শত শত যানবাহন আটকা পড়ে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটারের অধিক যানজটের সৃষ্টির পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়ত যাত্রী ও চালকেরা।’
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মহাসড়কের সংস্কার কাজ ঈদের আগে শেষ না হলে তীব্র যানজটের আশঙ্কা
তিনি আরও বলেন, ‘এদিকে কোরবানির আগমুহূর্তে প্রচুর পশুবাহী গাড়ি মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করছে। এ ছাড়া ঘরে ফেরা মানুষেরা যাতে দুর্ভোগে পড়তে না হয়, সে জন্য সংস্কারকাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছিলাম। ১০ দিনের জন্য সংস্কারকাজ বন্ধ থাকায় মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা অনেক কমে যাবে। এর ফলে স্বস্তিতে ঘরে ফিরতে পারবে মানুষ।’
এ ব্যাপারে সংস্কার কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাহের ব্রাদার্স লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক রাসেল আহমেদ বলেন, বর্ষায় মহাসড়কের অনেক স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হতে পারে। সে জন্য বর্ষা পুরোপুরি শুরুর আগে যতটুকু পারা যায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সংস্কার কাজ শেষ করার তাগাদা ছিল। কিন্তু জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ৩ জুলাই পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই আপাতত সংস্কার কাজ করা হচ্ছে না।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ‘হাইওয়ে পুলিশের অনুরোধে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে তারা আগামী দশ দিনের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সড়ক সংস্কার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে তারপর থেকে পুনরায় অসম্পূর্ণ অংশের সংস্কার কাজ শুরু হবে।’
আরও পড়ুন: বন্যা পরবর্তী সংস্কার কাজে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদ
বিশ্বনাথে অসমাপ্ত সংস্কার কাজে ‘জনদুর্ভোগ’
১ বছর আগে
সুনামগঞ্জে ২ হাজার কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত, ১৫০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি
সাম্প্রতিক বন্যায় সুনামগঞ্জ জেলার ১২টি উপজেলার অন্তত দুই হাজার কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন অধিকাংশ সড়কই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব রাস্তায় পায়ে হাঁটাও কষ্টকর। মোটরসাইকেল বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা চললেও এটি যেন মরণ ফাঁদ।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক জয়নাল মিয়া জানান, সুনামগঞ্জ-দোয়ারা-ছাতক সড়কের মান্নারগাঁও এলাকার পুটিপুসি সড়কের বান্দেরবাজার যাওয়ার আগে গভীর খাল হয়ে গেছে, ওখানে এখন নৌকা চলে।
এছাড়া ডাউকাখালি-ব্রাহ্মণগাঁও-আমবাড়ী সড়কে ব্যবহৃত বিটুমিন ও পাথর বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এই এলাকায় আগে রাস্তা ছিল তা এখন দেখে বোঝাই যায় না।
পড়ুন: দৃশ্যমান হলো রূপসা রেল সেতু
২ বছর আগে
পদ্মা সেতু: যানবাহনের চাপ সামলাতে প্রস্তুত খুলনার সড়কগুলো
পদ্মা সেতু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার কয়েক কোটি মানুষের দীর্ঘদিনের একটি লালিত স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে আগামী ২৫ জুন। সেতু চালু হলেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যানবাহনের চাপ ব্যাপক বেড়ে যাবে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে বাগেরহাটের কাটাখালি, খুলনা-মোংলা, খুলনা-যশোর ও খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ওপর চাপ পড়বে বেশি।
যানবাহনের এই অতিরিক্ত চাপ সামলাতে খুলনাঞ্চলে সড়ক-মহাসড়কগুলো কতটুকু প্রস্তুত এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ বলেন, সঙ্গত কারণেই পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণবঙ্গে পরিবহনের অতিরিক্ত চাপ বেড়ে যাবে। বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা খুলনাঞ্চলে যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নে গত ২ বছর ধরে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করছি এবং সেই আলোকে প্রকল্প তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে সেগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ময়লাপোতা তেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। খুলনার ফেরিঘাট থেকে আফিল গেট পর্যন্ত সড়ক ৪ অথবা ৬ লেনে উন্নীতকরণ করা হবে। প্রকল্পটির ফিজিবিলিটি এবং ডিজাইনের কাজ চলমান রয়েছে। একইভাবে খুলনা-যশোর রোডের রাজঘাট থেকে আফিলগেট হয়ে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ৪ লেন বিশিষ্ট সড়ক তৈরি করা হবে।
সওজ এর এই কর্মকর্তা জানান, খুলনা জেলখানা খেয়াঘাটে ব্রিজ বা ট্যানেল নির্মাণের ফিজিবিলিটি স্টাডি চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে এই প্রকল্পের আওতায় খুলনা রেলস্টেশন পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা হাইওয়ের গোপালগঞ্জের চন্দ্রদিঘলিয়া পয়েন্ট পর্যন্ত ৪ লেন সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রস্তাবিত ৪ লেন বিশিষ্ট এ সড়কটি নির্মিত হলে ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব আনুমানিক আরও ৩৫ কিলোমিটার কমে যাবে। ঢাকা থেকে খুলনায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টায় যাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন: ফরিদপুরে ২ দিনব্যাপী কর্মসূচি
এছাড়া তেরখাদা উপজেলা খুলনা জেলা শহরের সাথে যুক্ত হবে। তেরখাদা এলাকার পরিত্যক্ত জলাবদ্ধ বিলে শিল্পায়নের ফলে ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে। খুলনা থেকে গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম ও বরিশালের দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার কমে যাবে। এতে সুন্দরবন কেন্দ্রিক পর্যটন শিল্প বিকশিত হবে। ঢাকা থেকে খুলনার আকাশপথের চেয়ে সড়কপথে যোগাযোগ সহজ ও দ্রুততর হবে।
তিনি আরও জানান, দৌলতদিয়া-ফরিদপুর (গোয়ালচামট)-মাগুরা-ঝিনাইদহ-যশোর-খুলনা-মংলা-(দ্বিগরাজ) সড়কের আফিলগেট থেকে পাওয়ার হাউজ পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার সড়ক ৬ লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। খুলনা শহর বাইপাস এবং গল্লামারি-বটিয়াঘাটা-দাকোপ নলিয়ান ফরেস্ট সড়কের সাচিবুনিয়া নামক স্থানে ইন্টারসেকশন নির্মাণ করা হবে। গল্লামারি-বটিয়াঘাটা-দাকোপ-নলিয়ান ফরেস্ট সড়কের ফেরিঘাটে চুনকুড়ি সেতু এবং একইভাবে গল্লামারি-বটিয়াঘাটা-দাকোপ-নলিয়ান ফরেস্ট সড়কের পানখালী ফেরিঘাটে ঝমঝপিয়া সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেতু দুটি নির্মিত হলে এ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ পদ্মা সেতুর সুফল ভোগ করতে পারবে।
পদ্মা সেতু চালু হলে এ অঞ্চলে পরিবহনের বাড়তি চাপের কথা মাথায় রেখে ইতোমধ্যে খুলনা জোনের আওতাধীন মহাসড়কে পাঁচটি কংক্রিট সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান সওজ’র এই প্রকৌশলী।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু মর্যাদার প্রতীক, এর ওপর অনেকটাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে: জয়
২ বছর আগে
রমিজ উদ্দিন কলেজ সংলগ্ন আন্ডারপাসসহ ৪ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা বিমানবন্দর মহাসড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন নবনির্মিত একটি পথচারী আন্ডারপাসসহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) আওতায় চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করেন।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বাসচাপায় কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীব নিহত হওয়ার চার দিন পর ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রী আন্ডারপাস নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
একই বছরের ১২ আগস্ট শেখ হাসিনা এ আন্ডারপাসের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ওই বছরের ২ আগস্ট দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্য এবং কলেজের অধ্যক্ষ তার সাথে দেখা করার পর ৪ আগস্ট তিনি কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি বাস সরবরাহ করেন।
অন্য তিনটি প্রকল্প হলো-সিলেট সিটি বাইপাস-গ্যারিসন লিংক ৪-লেন হাইওয়ে, বালুখালী (কক্সবাজার)-ঘুনধুম (বান্দরবান) বর্ডার লিঙ্ক-রোড এবং রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচরে চেঙ্গী নদীর উপর ৫০০ মিটার দীর্ঘ সেতু।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শে বাংলাদেশ পরিচালিত হবে: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, নানিয়ারচর ও সিলেট সেনানিবাস এলাকা থেকে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সেনা কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।
সেনাপ্রধান এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং চিফ মেজর জেনারেল ইবনে ফজল শায়েকুজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। এই চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
৩৩টি বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানান্তরে ব্যয় এক কোটি টাকা!
ভৈরব সেতুর পিলার স্থাপনের জন্য ৩৩টি বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানান্তরের প্রয়োজন হবে। এজন্য ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) কাছে এক কোটি টাকা চেয়েছে। তথ্যটি জানাজানি হওয়ার পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে ব্যয়ের হিসেব নিয়ে।
ভৈরব নদীর পূর্ব পাশ দিঘলিয়া উপজেলার নগরঘাট খেয়াঘাট থেকে উপজেলা সদর পর্যন্ত সেতুর ১৬ থেকে ২৮ নং মোট পিলার বসবে ১৩টি। এই ১৩টি পিলার স্থাপনের জন্য ওই এলাকার ৩৩টি বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানান্তর করতে হবে। এজন্য ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) থেকে ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি টাকা।
সওজের একটি সূত্র জানায়, সেতু বাস্তবায়নকারী সংস্থা খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) থেকে গত অর্থবছরে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানান্তরের জন্য ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডকে ৫০ লাখ টাকা চেকের মাধ্যমে দেয়া হয়। কিন্তু ৩৩টি বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানান্তের জন্য ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড ব্যয় নির্ধারণ করেছে এক কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতিটা বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানান্তরের জন্য খরচ হবে ৩ লাখ টাকার উপরে। মোট ব্যয়ের সম্পূর্ণ অর্থ এক কোটি টাকা বুঝে না পাওয়ায় সওজ থেকে একাধিকবার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের নির্বাহী প্রকৌশলী বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানান্তরের টেন্ডার আহ্বানে গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগে জানা গেছে। যেকারণে খুলনাবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এ সেতুর পিলার স্থাপনের কাজে বিলম্ব হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ ঘোষ বলেন, আমরা কোন অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ধরিনি। সিডিউলের রেট অনুযায়ী ৩৩টি বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানান্তরের জন্য এক কোটি টাকা ব্যয় ধরেছি। গত অর্থ বছরে সওজের বাজেট কম থাকার কারণে তারা ৫০ লাখ টাকা পার্টলি বরাদ্দ দিয়েছে। আমরা আমাদের অফিশিয়াল নিয়মানুযায়ী এগোচ্ছি।
আরও পড়ুন: রাস্তার কারণে বিয়ে হচ্ছে না অনেক তরুণ-তরুণীর!
বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে ভৈরব সেতু বাস্তবায়নকারী সংস্থা খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ বলেন, ভৈরব সেতুর দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষে আমরা নিরলসভাবে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, গত ২১ আগস্ট সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও আমি দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাহাবুবুল আলমের সরকারি বাসভবনে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের ব্যক্তিগত দুই কর্মকর্তাকে নিয়ে ১৬ থেকে ২৮ নং পিলারগুলো যে সব স্থানে স্থাপন করা হবে সে সব স্থানের কবরস্থান এবং বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো দ্রুত স্থানান্তরের ব্যাপারে আলোচনা করেছি।
আনিসুজ্জামান বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহযোগিতা চেয়েছি। উনি আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ভৈরব নদীর পূর্ব পাশে নগরঘাট খেয়াঘাট থেকে উপজেলা সদর পর্যন্ত ৩৩ টি বৈদ্যুতিক খুঁটি দ্রুত স্থানান্তর করা জরুরি প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে আমাদের অফিস থেকে গত জুন মাসে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড এর নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর চিঠি দিয়েছি। প্রথমাবস্থায় নির্বাহী প্রকৌশলী ৩৩টি খুঁটি স্থানান্তরের জন্য ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হবে বলে আমাদের জানিয়েছিলেন। আমরা সেই অনুযায়ী গত ২৮ জুন চেকের মাধ্যমে উনার (নির্বাহী প্রকৌশলী) বরাবর ৫০ লাখ টাকার চেক প্রদান করি। টাকা দেয়ার দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও খুঁটিগুলো স্থানান্তরের জন্য উনি এখনও পর্যন্ত টেন্ডার আহ্বান করেননি।
আরও পড়ুন: সেতু এখন মানুষের গলার কাঁটা!
কুয়েট শিক্ষার্থীরা তৈরি করলেন ‘কিলোফ্লাইট আলফা’ গাড়ি
তিনি বলেন, খুঁটিগুলো দ্রুত স্থানান্তর করা না হলে আমাদের পাইলিংয়ের কাজ পিছিয়ে পড়বে। এখন উনি বলছেন খুঁটিগুলো স্থানান্তরে ব্যয় হবে এক কোটি টাকা। খুঁটিগুলো স্থানান্তরের মোট ব্যয়ের এক কোটি টাকা না পেলে টেন্ডার আহ্বান করা সম্ভব হবে না। পরবর্তী বাজেটে অর্থ বরাদ্দ পেলে আমরা বাকি টাকা দিতে রাজি হয়েছি। তারপরও উনি টেন্ডার আহ্বানে সময়ক্ষেপণ করছেন।
তিনি জানান, ভৈরব নদীর পশ্চিম পাশ অর্থাৎ নগরীর মহসিন মোড় থেকে রেলগেট পর্যন্ত যে সকল স্থানে সেতুর পিলার স্থাপন করা হবে ওই সকল স্থানের বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো স্থানান্তরের টেন্ডারের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
৩ বছর আগে
সেতুতে ফাটল: টানা পঞ্চম দিনেও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তীব্র যানজট
ঢাকা আরিচা মহাসড়কে সাভার আমিনবাজারের সালেহপুর সেতুতে ফাটল দেখা দেয়ায় টানা পঞ্চম দিনের মতো মহাসড়কের এক পাশে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ব্যস্ততম সড়কটিতে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে।
৩ বছর আগে
সাভারের আমিনবাজারে ব্রিজে ফাটল: ৩য় দিনের মতো এক পাশে যান চলাচল বন্ধ
সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজারে সালেহপুর ব্রিজে ফাটল দেখা দেয়ায় তৃতীয়দিনের মতো সেতুটির এক পাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যা এ মহাসড়কটিতে তীব্র যানজট তৈরি করেছে।
৩ বছর আগে