গরু
সীতাকুণ্ডে গরুর বাজারে নজর কেড়েছে ‘কালা বাবু’
এবারের কোরবানির গরুর বাজারে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আলোচিত নাম ‘কালা বাবু’। যার ওজনে ২৩ মণ ছাড়াবে। অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ১২ লাখ টাকা।
উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের দক্ষিণ মাহমুদাবাদ গ্রামের খামারি মো. রাসেল গরুটি পালন করেছেন। বিশাল আকৃতির এই ষাঁড়টি উপজেলাবাসীর নজর কেড়েছে। শখ করে গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘কালা বাবু’। প্রায় ৩ বছর ধরে নিজের সন্তানের মতো আদর যত্ন করে লালন-পালন করেছেন কালা বাবুকে একটি ঘরের মধ্যে। সম্পূর্ণ দেশি ঘাস আর বিভিন্ন ধরণের ভূসি খাইয়ে বড় করছেন।
আরও পড়ুন: এবার সাতক্ষীরার কোরবানির হাট কাঁপাবে ‘হিরো সম্রাট’ ও ‘শুভরাজ’
গরুর মালিক রাসেল জানান, এবারের কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্যে প্রায় ৩ বছর ধরে তিনি নিজের সন্তানের মতো আদর যত্ন করে লালন–পালন করেছেন গরুটি। শখ করে নাম রেখেছেন কালা বাবু। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস, ভূসি, খইল খাইয়ে লালন-পালন করা হয়েছে গরুটিকে। পরম যত্নে গরুটি পালন করতে পরিবারের সদস্যরাও কষ্ট করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটি তিন বছর আগে আরেকটি গরুর সঙ্গে বাছুর হিসেবে ক্রয় করা হয় বলে জানান রাসেল।
সীতাকুণ্ডে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, কোরবানি উপলক্ষে সীতাকুণ্ডে গরু রয়েছে ৩০ হাজার ৮৬৮টি, ছাগল রয়েছে ৭ হাজার ৬৯০, মহিষ রয়েছে ৩৪১ ও ভেড়া রয়েছে ৪ হাজার ৮৮৫টি। কিন্তু এর বিপরীতে চাহিদা রয়েছে গরু ২৫ হাজার ২৫৪টি, ছাগল ৭ হাজার ৫২০, মহিষ ৯৯৪ ও ভেড়া ৩৫৮টি। কোরবানি উপলক্ষে চাহিদার তুলনায় ১২ হাজার ৩৫৮টি পশু বেশি রয়েছে সীতাকুণ্ডে।
আরও পড়ুন: এবার কোরবানি ঈদে ঝড় তুলবে ‘টাইটানিক’
চাঁদপুরের কোরবানির হাট কাঁপাবে যুবরাজ, রাজাবাবু ও কালোমানিক
কুড়িগ্রামে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২০ জুন) সকাল ১০টার দিকে রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের নতুন শৌলমারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কৃষক আমির হামজা (৫২) ওই গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসার ছাদে বজ্রপাতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. সোনা মিয়া জানান, কৃষক আমির হামজা বাড়ির পার্শ্ববর্তী জমিতে গরুর খাবারের জন্য ঘাস কাটতে যান। এসময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
পরে স্থানীয়রা ওই কৃষকের লাশ উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন।
রৌমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপ কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে মৃত কৃষকের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বজ্রপাতে ৩ জন নিহত, আহত ৪
কিশোরগঞ্জে হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে যুবক নিহত
সাতক্ষীরায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত লক্ষাধিক পশু
সাতক্ষীরায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার পশু। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এসব পশু প্রস্তুত করেছেন সাতক্ষীরার খামারিরা।
জেলার কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার কোরবানির গরু পাঠানো যাবে অন্য জেলায়।
এছাড়া এ বছর ভারত থেকে গরু না আসায় খামারিরা বেশ খুশি। তবে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে আশানুরুপ লাভ করতে না পারার আশঙ্কা খামারিদের।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কোরবানিতে ৮,৬০৬ পশু উদ্বৃত্ত থাকবে: প্রাণিসম্পদ বিভাগ
সাতক্ষীরা প্রাণীসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, এবছর ৯ হাজার ৯২৬ জন খামারি কোরবানির জন্য গরু প্রস্তুত করেছেন। জেলায় মোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯৮ টি গরু বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত।
আর কোরবানির চাহিদা রয়েছে ৮০ হাজার ৪৩৮টি। অর্থাৎ ৩৪ হাজার ৫৬০টি গরু অতিরিক্ত থেকে যাবে।
যা পাশ্ববর্তী জেলায় কোরবানির জন্য পাঠানো যাবে।
এদিকে, অন্যবারের তুলনায় এবার লাভ কম হবার আশঙ্কা করছেন খামারিরা।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মথুরাপুর এলাকার খামারি মজনুর রহমান বলেন, গোখাদ্যের দাম বেড়েছে। আমরা যারা শহরাঞ্চলে গরু পালন করি তারা পুরোটাই বাজার থেকে কেনা খাবারের ওপর নির্ভরশীল।
তিনি আরও বলেন, যার ফলে একটি গরু পালন করতে যে খরচ হয় তা বাদ দিয়ে সামান্য লভ্যাংশ থাকছে।
সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী কুশখারী গ্রামের খামারি অজিয়র রহমান বলেন, এ বছর ভারতীয় গরু সীমান্ত দিয়ে না আসায় আশার আলো দেখছেন গরুর খামারিরা।
তিনি বলেন, অন্যান্যবছর সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসার কারণে দেশি খামারীর মালিকরা গরুর ভালো দাম পেত না।
এবার ভালো দাম পাওয়া যাবে বলে তার আশা।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম আব্দুর রউফ বলেন, সাতক্ষীরায় কোরবানির গরুর চাহিদা ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯৮ টি। আর কোরবানির চাহিদা রয়েছে ৮০ হাজার ৪৩৮টি। প্রায় ৩৫ হাজার গরু অতিরিক্ত থেকে যাবে। যা পার্শ্ববর্তী জেলায় কোরবানির জন্য পাঠানো যাবে।
তিনি আরও বলেন, গো-খাদ্যের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। অন্যান্য জেলার মতো সাতক্ষীরাতেও ‘নেপিয়ার ঘাস’ নামে একপ্রকার ঘাস বিভিন্ন জায়গায় লাগিয়েছেন তারা। এতে কিছুটা হলেও খামারিরা উপকৃত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের কোরবানির হাট কাঁপাবে যুবরাজ, রাজাবাবু ও কালোমানিক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে দেড় লক্ষাধিক কোরবানির পশু প্রস্তুত
কোরবানির ঈদে কিশোরগঞ্জের দম্পতির উপহার হিসেবে গরু গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা গ্রামের কৃষক বুলবুল আহমেদ ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহান কোরবানির ঈদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়ার জন্য একটি গরু লালন-পালন করেছেন।
তাদের ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই গরুটিকে উপহার হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মশিউর রহমান হুমায়ুন বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী গরুটিকে উপহার হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি হন।
বুলবুল আহমেদ কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়েছেন এবং বুলবুল আহমেদ ও তার স্ত্রীকে তাদের বিরল ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্থানীয় খেলাধুলার আরও ব্যাপক প্রসার করুন: প্রধানমন্ত্রী
ঠাকুরগাঁওয়ে গরু ও মহিষের ১০ গাড়িতে করে বরযাত্রা!
মোটরগাড়ি কিংবা হেলিকপ্টারে নয়, এবার বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া গরু ও মহিষের ১০ টি গাড়িতে করে বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে গেলেন নিরব নামে এক যুবক। আর এ বিয়ে দেখতে ভিড় জমান শত শত নারী-পুরুষ।
শুক্রবার (২৭ মে) বিকালে এমনই এক ব্যতিক্রম বিয়ের আয়োজন করা হয় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে।
স্থানীয়রা জানান, ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার খামার নারায়ণপুর গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে নিরব হোসেন সাব্বিরের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় পাশের দুর্গাপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামে মেয়ে ইসরাত জাহান এশা আকতারের।
নিরবের বাবার ইচ্ছা ছিল ছেলে বরবেশে গরুর গাড়িতে করে বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে বিয়ে করতে যাবে। ছেলের বউও আসবে গরু গাড়িতেই।
বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করতে গরু ও মহিষের ১০ গাড়ি সংগ্রহ করে নিরবের বাবা। আর এই গরু-মহিষের গাড়িতে করে বরযাত্রী নিয়ে বরবেশে কনের বাড়িতে বিয়ে করতে যান নিরব।
গ্রাম বাংলার হরিয়ে যাওয়া টাপুর যুক্ত গরু-মহিষের গাড়ি দেখতে শত শত নারী-পুরুষ ভিড় জমান বর ও কনের বাড়িতে। রাস্তায় অসংখ্য মানুষ দাঁড়িয়ে গরু-মহিষের গাড়িতে বরযাত্রার দৃশ্য অবলোকন করেন। ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন অনেকেই।
এমন আয়োজনে খুশি বর-কনের পরিবারসহ এলাকাবাসী। গ্রাম বাংলার এ পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করেন অনেকে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ৯ লাখ টাকা মোহরানায় ব্যাঙের বিয়ে!
উল্লাপাড়ায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৫ গরুর
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বজ্রপাতে মাজেদ আলী নামে এক কৃষকের পাঁচটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৯ মার্চ) ভোর রাতে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের এলংজানি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার ভোরে প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির সঙ্গে দফায় দফায় বজ্রপাতে মাজেদ আলীর গোয়ালে থাকা তার পাঁচটি গরুর মৃত্যু হয়। এতে মাজেদ আলীর প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
মোহনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ (মক্কা) বলেন, বৃষ্টি ও বজ্রপাতে মাজেদ আলীর গোয়ালে থাকা পাঁচটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। তবে এ সময় কোনও মানুষ হতাহত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এক সঙ্গে পাঁচটি গরু মারা যাওয়ায় মাজেদ আলী একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. উজ্জ্বল হোসেন জানান, বজ্রপাতে পাঁচটি গরুর মৃত্যুর বিষয়টি তিনি জেনেছেন।
বিষয়টি তদন্ত করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মতলব উত্তরে বজ্রপাতে কৃষক নিহত
ঝিকরগাছায় নানাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু
সুন্দরবন থেকে গরু আনতে গিয়ে বাঘের মুখে কৃষক
বাগেরহাটের সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়া গৃহপালিত গরু আনতে গিয়ে বাঘের আক্রমণের শিকার হয়েছেন এক কৃষক। পরে আহতাবস্থায় ৬২ বছর বয়সী মো. ফজলু গাজীকে শুক্রবার সকালে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বাঘের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন তিনি।
হাসাপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার তার ডান পায়ের ক্ষতস্থানে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে বর্শিতে ধরা পড়লো ৬২ কেজির বাঘাইর মাছ!
ফজলু গাজীর বাড়ি সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের শরণখোলার উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামে।
তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, বনে প্রবেশের অনুমতি ছিলো না। তাই ‘ভয়ে’ দুদিন কাউকে কিছু জানায়নি তারা।
ফজলুর স্ত্রী ফিরোজা বেগম বলেন, তাদের বাড়ি সুন্দরবনের একদম কাছেই। একটা বেড়িবাঁধ, তারপর ছোট নদীর অপর পাশে বন।
মঙ্গলবার সকালে তাদের একটি গরু ছাড়া পেয়ে শুকিয়ে যাওয়া ভোলা নদী পেরিয়ে সুন্দরবনে ঢুকে পড়ে।
বেলা ১১টার দিকে গরু আনতে নদীর ওপারে সুন্দরবনের ভেতরে গিয়ে বাঘের আক্রমণের শিকার হন তার স্বামী।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে বাঘের আক্রমণে কৃষক আহত হওয়ার বিষয়টি শনিবার সে জানতে পারেন। ওই কৃষক অবৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে। একারণে বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করেছিল। অবৈধভাবে যেন কেউ সুন্দরবনে প্রবেশ না করে এজন্য বনসংলগ্ন এলাকায় প্রায়ই মাকিং করা হচ্ছে। এর পরেও মানুষ অবৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করছে।
এসিএফ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার আরও জানান, ওই কৃষক কি উদ্দেশ্যে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছিল তা তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাঘের চামড়াসহ ২ চোরা শিকারী আটক
সুন্দরবনের ফরেস্ট অফিসের কাছে ৩ বাঘ, আতঙ্কিত বনরক্ষীরা
চট্টগ্রামে এবার গরু ফ্যাশন শো!
এতোদিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে মানুষের ফ্যাশন শো, কিন্তু বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যতিক্রমী আয়োজন গরুর ফ্যাশন শো। সেখানে একের পর এক বিশাল বিশাল গরুকে হাটিঁয়ে ক্যাটওয়ার্ক করানো হয়।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে প্রধান আকর্ষণ ছিল বিভিন্ন প্রজাতির বিশালাকৃতির গরু প্রদর্শন।
৫০ টাকার টিকেট কেটে হাজার হাজার মানুষ উপভোগ করেছে শতাধিক গৃহ পালিত গরুর এই ফ্যাশন শো।
ক্যাটেল এক্সপো-২০২৩ নামে গরুর এই প্রদর্শনী বা ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হয়েছে নগরীর কাজীর দেউড়ি আউটার স্টেডিয়াম মাঠে।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে জার্মান তরুণী সিলেটের বিশ্বনাথে, বর্ণিল আয়োজনে বিয়ে
বগুড়ায় বজ্রপাতে গরুসহ কৃষক নিহত
বগুড়ার ধুনটে ফাঁকা মাঠে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে তোফাজ্জল হোসেন (৬০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার একটি গরুও মারা যায়। বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি গোদাগাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তোফাজ্জল হোসেন ওই গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বজ্রপাতে ২ কৃষক নিহত
নিমগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোনিতা নাছরিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বুধবার দুপুরের দিকে কৃষক বাড়ির পাশে ফাঁকা মাঠে গরু চরাতে যান। তখন মাঠের ভেতর অবিরাম বৃষ্টি ঝরছিল।
একপর্যায়ে হঠাৎ বজ্রপাতে তোফাজ্জল হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যান। একই সঙ্গে তার গরুটিও মারা গেছে।
ধুনট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজ্জাকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বজ্রপাতে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কৃষক নিহত
বাঘাইছড়িতে বজ্রপাতে কৃষক নিহত
বাগেরহাটে জমে উঠেছে পশুর হাট
বাগেরহাটে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। হাটে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে পশু বেচা-কেনা। হাটে দেশি-বিদেশি জাতের বিভিন্ন সাইজের গরুর সরবারহের ঘাটতি নেই। তেমনি ক্রেতারও কমতি নেই। তবে হাটে দেশি জাতের গরুর চাহিদা বেশি।
ক্রেতারা বলছেন, গেল বছরের চেয়ে এ বছর গরুর দাম অনেক চড়া।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জেলায় এ বছর ৫০ হাজার গরু এবং ৭০ হাজার ছাগল ও বেড়া প্রস্তুত রয়েছে।
বাগেরহাটের ফকিরহাটের বেতাগা পশুর হাট শুক্রবার সকাল থেকে জমে উঠেছে। দেশি-বিদেশি জাতের বিভিন্ন সাইজের কয়েক হাজার গরু আনা হয়েছে হাটে। দুর-দুরান্ত থেকে ক্রেতা আসছে হাটে। গভীর রাত পর্যন্ত এই হাটে গরু কেনা-বেচা চলবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার ফয়লাহাট কামাল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে দেখা গেছে বিশাল গরুর হাট। ট্রাক এবং পিকআপ থেকে গরু নামানো হচ্ছে হাটে। মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হওয়ায় আশে পাশে ফাঁকা জায়গায় খুটি গেড়ে গরু রাখা হয়েছে। ক্রেতারা এসে নানাভাবে গরু দেখার পর বিক্রেতাদের সাথে দরকষাকষি করছেন। চাহিদা মতো মূল্য না পাওয়ায় অনেকই গরু বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন।
ফয়লাহাটের এক প্রাশে গিয়ে দেখা গেলো, অস্টেলিয়ান হলেস্টিয়ান জাতের সাদা রঙের একটি গরু দেখতে ভিড় জমিয়েছে ক্রেতা এবং উৎসুক জনতা। ওই গরুটি হাটের সব চেয়ে বড় সাইজের বলে দাবি খামারীর। ওই গরুটির দাম হাকানো হয়েছে পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটে ২২টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম
হলেস্টিয়ান জাতের ওই গরুর খামারি খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের নিয়ামুল ইসলাম জানান, গত তিন বছর ধরে সে ব্যবসার জন্য বাড়িতে গরুর খামার গড়ে তুলেছে। তার খামারে ছোট-বড় মিলে মোট আটটি গরু রয়েছে। খামারের সব চেয়ে বড় দু’টি গরু বিক্রির জন্য হাটে তুলেছে। এর মধ্যে সাদা রঙের উপর হালকা কালোছোপ দেয়া গরুটি তার খামারের সব চেয়ে বড়। আর কালো রঙে গরুটির তার চেয়ে একটু ছোট। বড় গরুটির ওজন হবে ১৪ মণ। বিক্রির জন্য পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা দাম হাকিয়েছে। ক্রেতারা সর্বোচ্চ চার লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। আর কালো রঙের গরুটির ওজন হবে ১২ মণ। দাম হাকিয়েছে চার লাখ ৫০ হাজার টাকা।
খামারি নিয়ামুল ইসলামের তথ্যমতে, তার খামারে হলেস্টিয়ান জাতের সাদা রঙের ওই গরুটি তিন বছর ২ মাস আগে জন্ম নিয়েছে। সে গরুটিকে লালন পালন করে বড় করে তুলেছে। প্রতিদিন ওই গরুটির খাবারের জন্য তার ব্যয় হচ্ছে এক হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ওই খামারী তার গরু দু’টি বিক্রি করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন।
দেলোয়ার হোসেন, কালাম শেখ, আরিফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন খামারী ও গরু ব্যবসায়ী জানান, বছরজুড়ে তারা গরুর খাবার হিসেবে খড়, ভুট্টারগুড়া, ভুসি,সরিষার খৈল,তুলার খৈল, সয়াবিনের খৈল দিয়ে থাকে। গো খাদ্যোর মূলো বেড়ে যাওয়ায় গরুর মূল্যে বেড়ে গেছে। যে মূল্যে গরু বিক্রির টার্গেট নিয়েছে তার কমে বিক্রি করলে তাদের লোকসান গুনতে হবে।
ক্রেতা রামপাল উপজেলার সোলাকুড়া গ্রামের রাসেল গাজী জানান, দুপুর থেকে সে হাটে ঘুরে ঘুরে গরু দেখছে। হাটে গরুর আমদানি থাকলেও দাম অনেক। গত বছরের চেয়ে এ বছর গরুর দাম অনেক চড়া। বিগত বছর সে যে সাইজের গরু এক লাখ টাকায় ক্রয় করেছে এ বছর ওই সাইজের গরুর দাম এক লাখ ৩০ হাজার টাকার উপরে। দাম বেশি হওয়ায় রাসেল গাজীর মতো অনেক ক্রেতা বাজেট করে গরুর হাটে এসে হিমশিম খাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশু কেনাবেচায় ডিজিটাল হাট চালু
ফয়লাহাটের ইজারাদার গাজী আক্তারুজ্জামান জানান, হাটে ছয় থেকে সাত হাজার গরু উঠেছে। ছাগলও আছে কয়েক হাজার। বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোরসহ বিভিন্ন জেলার খামারি এবং ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে এসেছে হাটে। গভীর রাত পর্যন্ত চলবে হাট। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের সুবিধার্থে হাটে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। সরকারি নিয়ম মেনে খাজনা নেয়া হচ্ছে।
বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান জানান, জেলায় এ বছর ঈদুল আজহা সামনে রেখে ৫০ হাজার গরু এবং ৭০ হাজার ছাগল ও বেড়া প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে জেলায় ৩৮ থেকে ৪০ হাজার গরু এবং ১৫ থেকে ২০ হাজার ছাগল ও বেড়ার চাহিদা রয়েছে। লাভবান হতে খামার এবং পারিবারিক পর্যায়ে মানুষ গরু লালন পালন করছে। হাটগুলোতে ভ্যাটেনারী মেডিকেল টিম কাজ করছে। হাটের পাশাপাশি অনলাইনেও গরু বিক্রি হচ্ছে।
গরুর দাম যাতে কম হয় এজন্য দানাদার খাবারের পরিবর্তে ঘাস খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, জেলায় স্থায়ী ১৩টি এবং অস্থায়ী পাঁচটি মিলে মোট ১৮টি গরুর হাট বসেছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হাটে প্রবেশ এবং বাইর হওয়ার জন্য আলদা পথ রাখতে বলা হয়েছে।
এছাড়া জাল টাকা রোধে আইনশৃ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। সরকার নির্ধারিত হারে ইজারা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাস্তায় পশুর হাট নয়