যবিপ্রবি
৩২৫ মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিল যবিপ্রবি
বিভিন্ন বিভাগের ৩২৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৮৯ জনকে ‘অভ্যন্তরীণ বৃত্তি’ তহবিল থেকে বৃত্তি দিয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। একই সঙ্গে বাকি ৩৬ শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় ধাপে বৃত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকাল ৩টায় যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের অভ্যন্তরীণ বৃত্তির খাত থেকে প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন বিভাগের ২৮৯ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আরও ৩৬ জন শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীপ্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে বছরে সর্বমোট ১২ হাজার টাকা দেওয়া হবে। বৃত্তির অর্থ সরাসরি শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
বৃত্তির জন্য মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অন্য কোনো স্থান থেকে বৃত্তি পায় না, এমন শিক্ষার্থী বাছাই করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘বৃত্তি দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় উৎসাহীত করাই যবিপ্রবির মূল লক্ষ্য। লক্ষ্য ঠিক থাকলে সাফল্য আসবেই। নিজস্ব বুদ্ধিকে আগে প্রাধান্য দিতে হবে। ভালো বন্ধু নির্বাচন করতে হবে। ভালো বন্ধু ভালো অভিভাবক। এভাবে যবিপ্রবিকে একটি মানবিক ক্যাম্পাস হিসেবে গড়তে চাই।’
আরও পড়ুন: প্রাথমিকেও বৃত্তি চালু করতে যাচ্ছি: উপদেষ্টা
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন।
অনুষ্ঠানে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. মো. আমজাদ হোসেন, জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. জাফিরুল ইসলাম, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ মো. কামাল হোসেন, উপ-রেজিস্ট্রার নিত্যনন্দ পালসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৬৩ দিন আগে
যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুদকের আরেকটি মামলা
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
মামলায় অধ্যাপক আব্দুস সাত্তারের পাশাপাশি যবিপ্রবির হিসাব শাখার সহকারী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপপরিচালক (অর্থ ও হিসাব) জিএম আনিছুর রহমান, যবিপ্রবির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ আবুল হোসেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল ইসলামকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, উপাচার্য থাকাকালে ড. আব্দুস সাত্তার অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে যোগসাজশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি, নিয়োগনীতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা লঙ্ঘন করে মো. শরিফুল ইসলামকে অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেন। এই নিয়োগের উদ্দেশ্য ছিল দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যক্তিগতভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া।
২০১৫ সালের জুলাই মাসে নিয়োগপ্রাপ্ত শরিফুল ইসলাম ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বেতন বাবদ সরকারি কোষাগার থেকে মোট ৫২ লাখ ২৬ হাজার ৬৮৫ টাকা উত্তোলন করেন, যা রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়েছে। এ ঘটনায় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৯, ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওই নিয়োগ বোর্ডে সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন ড. আব্দুস সাত্তার। সদস্য ছিলেন তৎকালীন কোষাধ্যক্ষ শেখ আবুল হোসেন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন (বর্তমানে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক) ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল ইসলাম এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক (অর্থ ও হিসাব) জিএম আনিছুর রহমান। তারা শরিফুল ইসলামের পাশাপাশি রাজু আহম্মেদ নামের আরেকজনকে হিসাব কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেন।
নিয়োগের সুপারিশ ২০১৬ সালের ৯ এপ্রিল উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রিজেন্ট বোর্ডের সভায় অনুমোদিত হয়। পরদিন তিনি এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে একই ধরনের অভিযোগে অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে দুদক আরেকটি মামলা করেছিল।
১৯১ দিন আগে
যবিপ্রবিতে প্রযুক্তিখাতের নারীদের উন্নয়নে সেমিনার অনুষ্ঠিত
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতে নারীদের ক্যারিয়ার ও নেতৃত্বের ভূমিকায় অগ্রগতি অর্জনের জন্য কৌশলসমূহ নিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১১টায় যবিপ্রবির সিএসই বিভাগের ডিজিটাল ক্লাসরুমে ‘স্ট্রাটেজিস ফর উইমেন ইন আইসিটি টু অ্যাডভ্যান্স দেয়ার ক্যারিয়ারস অ্যান্ড লিডারশিপ রুলস’ শীর্ষক সেমিনারটি আয়োজন করে যবিপ্রবির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগ ও ইমপ্রুভিং কম্পিউটার অ্যান্ড সফটয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং টারসিয়ারি এডুকেশন প্রজেক্ট (আইসিএসইটিইপি)।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশ গঠনে নারীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকল বাধা পেরিয়ে দেশ তথা জাতি গঠনে নারীদের এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের এই বিভাগের নারী শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বের বুকে যবিপ্রবির নাম উজ্জ্বল করবে। এই সেমিনার থেকে শিক্ষার্থীরা দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি নেতৃত্বগুণে এগিয়ে যাবে এবং পরিবারের স্বপ্ন পূরণ করবে বলে আমি মনে করি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমাদের হাত ধরেই যবিপ্রবি হবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়।
সেমিনারে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিএসইটিইপির উইমেন আইটি লিডারশিপ স্পেশালিস্ট অধ্যাপক ড. শাহিনা সুলতানা ও স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের সিনিয়র সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার কানজুম আতিয়া বিনতি।
বক্তারা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে নারীদের ক্যারিয়ার এবং নেতৃত্বের ভূমিকায় অগ্রগতি অর্জনের জন্য কৌশলসমূহ ও শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার উন্নয়ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন।
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও আইসিএসইটিইপির পিইইউ ড. মো. আলম হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন, সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. কামরুল ইসলাম।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. মো. আমজাদ হোসেন, সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নাজমুল হোসাইন, ড. মোহাম্মদ নওশীন আহমেদ শেখ, ড. মো. নাসিম আদনান, প্রভাষক এসকে. সালাউদ্দিন কবির, জুবায়ের আল মাহমুদসহ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সেমিনারটি পরিচালনা করেন সিএসই বিভাগের প্রভাষক আবু রাফে মো. জামিল।
১৯৮ দিন আগে
যবিপ্রবিতে গুচ্ছ পদ্ধতির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি পঞ্চম বারের মতো যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (যবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘বি’ ইউনিটে যবিপ্রবি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৫৮৩৯ জন। এর মধ্যে ৯৫.৯২% শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছেন।
শুক্রবার (২ মে) ‘বি’ ইউনিটে মানবিক বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৯ মে ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের ১১টা-১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উক্তদিনে আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষাটি ৩টা হতে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘যবিপ্রবি কেন্দ্রে জিএসটির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য যা করার প্রয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করেছে।’ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য তিনি যবিপ্রবির সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিভিন্ন ক্লাব সংগঠনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
যবিপ্রবি কেন্দ্রের বি ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর ড. মো. মুনিবুর রহমান বলেন, ‘বি ইউনিটের শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থানে ডিজিটাল ব্যানারে রোল নম্বর, কেন্দ্র এবং ভবন নির্দেশক দেওয়া হয়। একইসঙ্গে সকল ভবনের প্রবেশমুখে নিরাপত্তা উপ-কমিটির সদস্যবৃন্দ, যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকগণ দায়িত্ব পালন করেন।’
আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগে যবিপ্রবির শিক্ষক বরখাস্ত
এর আগে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য যবিপ্রবিতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। ভর্তি পরীক্ষার সময় যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ও পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত ছিলেন।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুনকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন।
হল পরিদর্শন শেষে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে যবিপ্রবির উপাচার্য কুশল বিনিময় করেন।
২১৬ দিন আগে
ধর্ষণের অভিযোগে যবিপ্রবির শিক্ষক বরখাস্ত
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক শিক্ষককে ধর্ষণের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অভিযুক্ত শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুজন চৌধুরী।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীবের সই করা এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এক নারী।
ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর তার নিজের বাসাতে সুজন চৌধুরী তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এরপর ভুক্তভোগী ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা করেন।
ভুক্তভোগী জানান, মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুজন চৌধুরীকে কয়েক দফায় ডাকা হলেও তিনি বিভিন্ন টালবাহানায় বিষয়টি এড়িয়ে যান। এছাড়া বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকিসহ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য সুজন চৌধুরী তাকে চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।
এরপর গত মঙ্গলবার যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অফিসে অভিযোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসে কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক-সহকারী গ্রেপ্তার
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বলেন, ‘আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ আছে । যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন, ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সুপারিশে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’
তবে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুজন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা দাবি করছে ওই নারী। তার অভিযোগ মিথ্যা।’
এদিকে, সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ থাকলেও মুখ খোলেননি কোনো ভুক্তভোগী।
এছাড়া গত জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করেন সুজন চৌধুরী। পরে নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাকে সব ধরণের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অপসারণের দাবি তুলে আন্দোলন করেন।
২৩২ দিন আগে
যবিপ্রবির সাবেক ভিসিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
দুর্নীতির মামলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
অন্য দুই আসামি হলেন— যবিপ্রবির উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুর রউফ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপউপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন।
মামলার অভিযোগ পত্রের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) আসামিদের বিরুদ্ধে সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ নাজমুল আলম এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর সিরাজুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের এক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাছাই বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে থেকে ড. আব্দুস সাত্তার নিয়মবহির্ভূতভাবে আব্দুর রউফকে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করেন।
যথাযথ যোগ্যতা না থাকায় পরবর্তীতে তাকে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয় ও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ফ্রি র্যাবিস ভ্যাক্সিনেশন ও ক্যাট শো আয়োজন
এভাবে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে আব্দুর রউফ পরে পদোন্নতি পেয়ে ২০২১ সালে উপপরিচালক পদে উন্নীত হন। ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সরকারি বেতন-ভাতা বাবদ ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট দুদকের যশোর কার্যালয়ের তৎকালীন উপপরিচালক মো. আল আমিন বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে তিন আসামিকে পলাতক দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দেন। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
২৫২ দিন আগে
যবিপ্রবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মজিদ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিটিউক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ কার্যালয়ে তিনি যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
এর আগে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোখছানা বেগমের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
যোগদানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ ১৯৫২ থেকে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করেছেন যবিপ্রবির উপাচার্য
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিপুল সংখ্যক ছাত্র-জনতার প্রাণহানি এবং এখনও অনেকে হাসপাতালের চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা না জানানোর অনুরোধ করেছেন তিনি।
যবিপ্রবিকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমাদের সময় নষ্ট করা যাবে না, সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে হবে।’
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ থেকে ১৯৯৪ সালে স্নাতক, ১৯৯৫ সালে স্নাতকোত্তর ও ২০০৩ সালে এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি জাপানের টোটরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
অধ্যাপক আব্দুল মজিদ ২০০১ সালে এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ২০০৭ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০১০ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৩ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ।
আরও পড়ুন: পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত যবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা
৪৩৬ দিন আগে
পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত যবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা
দেশের উদ্ভূত সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাজনিত কারণে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার সকালে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে যবিপ্রবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ১০২তম জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় বিকাল ৪টার মধ্যে ছাত্রদের ও আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
একইসঙ্গে ছেলেদের আবাসিক হল বিকেল ৪টার মধ্যে এবং মেয়েদের আবাসিক হল আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে ত্যাগ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
৫০৬ দিন আগে
যবিপ্রবির ৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার
মারধরের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) আট শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলনকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৯৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
তদন্ত কমিটির আগে তাদের সুপারিশ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় পাঠায়। কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা ও ঘটনার গুরত্ব বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: যবিপ্রবির ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত, ২ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর
সভার শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন লিখিত বক্তব্য দেন।
রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের অনেকে ভার্চুয়ালি এবং সশরীরে সভায় অংশ নেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি গত ৭ ডিসেম্বর লিফট অপারেটর নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সময় উদ্ভূত ঘটনাগুলো রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের জানান।
রিজেন্ট বোর্ডের সভায়, গত ১৪ অক্টোবর বিএমই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল রানাকে আজীবন বহিষ্কার, তানভীর আহমেদ আবিরকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
একই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মারামারির ঘটনায় গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেল রানা ও একই বিভাগের শিক্ষার্থী রেদওয়ান আহমেদ রাফিকে আজীবন, ফার্মেসি বিভাগের রাইসুল হক রানা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মো. বেলাল হোসেনকে দুই বছরের জন্য এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শোয়েব, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ফয়সাল আহমেদ রকিকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
একইসঙ্গে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত, মিথ্যা ঘটনা সাজানো ও তদন্ত কমিটির কাছে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নৃপেন্দ্রনাথ রায়কে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে সভায় আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের শাস্তির মেয়াদ দুই বছর করা হয়।
তবে এ সময় তারা কেউ কোনো ধরনের অসদাচারণে জড়িত হলে কোনো ধরনের কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে তাদের আজীবন বহিষ্কারাদেশের শাস্তি পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
একই ঘটনায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আল-আমিন, শাহিনুর ইসলাম ও মো. রাজিব রাজুকে সতর্কীকরণ চিঠি এবং অভিভাবকের উপস্থিতিতে স্বাক্ষর প্রদানের মাধ্যমে মুচলেকা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এটি না করলে তাদেরও ছয় মাসের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া রিজেন্ট বোর্ডের সভায় গত ১৬ জুলাই কোষাধ্যক্ষের অফিস কক্ষে ডিন, প্রক্টর ও প্রভোস্টদের উপস্থিতির সময় অসাদাচরণ করায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সোহেল রানা এবং পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী ও যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালকে সতর্কীকরণ চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন-
যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. আব্দুল মতিন, যুগ্ম সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাওছার উদ্দিন আহম্মদ, আইসিসিডিআরবি’র বায়োসেফটি অ্যান্ড বিএসএল-৩ ল্যাবরেটরির প্রধান ড. আসাদুলগনি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. কৌশিক সাহা, ইউজিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম. এ. রশীদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব, যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার, যশোর সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম আহসান হাবীব, রিজেন্ট বোর্ডের সচিব ও রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব প্রমুখ।
আরও পড়ুন: যশোরে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীসহ পাঁচ ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক
উত্তরপত্র মূল্যায়নে অসঙ্গতি: যবিপ্রবির এক শিক্ষকের পদাবনতি
৭২৬ দিন আগে
যশোরে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীসহ পাঁচ ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক
যশোরের চৌগাছায় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ পাঁচ ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে এইচএসসি প্রোগ্রামের দ্বিতীয় বর্ষের ইংরেজী ২য় পত্র পরীক্ষার সময় চৌগাছা সরকারি কলেজ ও চৌগাছা মৃধাপাড়া মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক পরীক্ষার্থীরা টাকার বিনিময়ে অন্যদের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।
কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে শুক্রবার বিকালে চৌগাছা মৃধাপাড়া মহিলা কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা চলাকালে চৌগাছা উপজেলার আন্দারকোটা গ্রামের আল আমিন হোসেন, যশোর সদর উপজেলার তীরেরহাট গ্রামের হাসান ইমাম যশোর সদর উপজেলার আপন মোড়ের মো. আরিফকে আটক করা হয়।
এদিকে একই সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানার নির্দেশে চৌগাছা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে যবিপ্রবি’র শিক্ষার্থী চৌগাছার আন্দারকোটা গ্রামের মো. সজিব এবং ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দাদপুর গ্রামের মো. ইমরানকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৮০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, আটক ১
কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পাঁচ ভুয়া পরীক্ষার্থী যাদের পরিবর্তে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তাদের সবাই সেনাবাহিনীর সদস্য। এদের মধ্যে পরীক্ষার্থী যশোর সদর উপজেলার তীরেরহাট গ্রামের মেহেদী হাসান জাতিসংঘ মিশনে বিদেশে রয়েছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কলেজ শিক্ষক জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বদলী পরীক্ষা দিতে আসা চৌগাছার আন্দারকোটা গ্রামের মো. সজিব যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
শিক্ষক আরও জানান অন্যরাও মিশনে বিদেশে থাকতে পারে। তবে সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।
এবিষয়ে চৌগাছার সহকারী কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাস বলেন, একজন ভুয়া পরীক্ষার্থী বাথরুম যাওয়ার কথা বলে তিনতলার একটি বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমি নিজে তাকে আটক করি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা এবং চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৮০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, আটক ১
৮২৫ দিন আগে