যবিপ্রবি
যবিপ্রবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মজিদ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিটিউক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ কার্যালয়ে তিনি যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
এর আগে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোখছানা বেগমের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
যোগদানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ ১৯৫২ থেকে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করেছেন যবিপ্রবির উপাচার্য
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিপুল সংখ্যক ছাত্র-জনতার প্রাণহানি এবং এখনও অনেকে হাসপাতালের চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা না জানানোর অনুরোধ করেছেন তিনি।
যবিপ্রবিকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমাদের সময় নষ্ট করা যাবে না, সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে হবে।’
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ থেকে ১৯৯৪ সালে স্নাতক, ১৯৯৫ সালে স্নাতকোত্তর ও ২০০৩ সালে এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি জাপানের টোটরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
অধ্যাপক আব্দুল মজিদ ২০০১ সালে এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ২০০৭ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০১০ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৩ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ।
আরও পড়ুন: পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত যবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা
১ মাস আগে
পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত যবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা
দেশের উদ্ভূত সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাজনিত কারণে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার সকালে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে যবিপ্রবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ১০২তম জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় বিকাল ৪টার মধ্যে ছাত্রদের ও আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
একইসঙ্গে ছেলেদের আবাসিক হল বিকেল ৪টার মধ্যে এবং মেয়েদের আবাসিক হল আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে ত্যাগ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
৪ মাস আগে
যবিপ্রবির ৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার
মারধরের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) আট শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলনকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৯৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
তদন্ত কমিটির আগে তাদের সুপারিশ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় পাঠায়। কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা ও ঘটনার গুরত্ব বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: যবিপ্রবির ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত, ২ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর
সভার শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন লিখিত বক্তব্য দেন।
রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের অনেকে ভার্চুয়ালি এবং সশরীরে সভায় অংশ নেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি গত ৭ ডিসেম্বর লিফট অপারেটর নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সময় উদ্ভূত ঘটনাগুলো রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের জানান।
রিজেন্ট বোর্ডের সভায়, গত ১৪ অক্টোবর বিএমই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল রানাকে আজীবন বহিষ্কার, তানভীর আহমেদ আবিরকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
একই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মারামারির ঘটনায় গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেল রানা ও একই বিভাগের শিক্ষার্থী রেদওয়ান আহমেদ রাফিকে আজীবন, ফার্মেসি বিভাগের রাইসুল হক রানা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মো. বেলাল হোসেনকে দুই বছরের জন্য এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শোয়েব, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ফয়সাল আহমেদ রকিকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
একইসঙ্গে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত, মিথ্যা ঘটনা সাজানো ও তদন্ত কমিটির কাছে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নৃপেন্দ্রনাথ রায়কে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে সভায় আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের শাস্তির মেয়াদ দুই বছর করা হয়।
তবে এ সময় তারা কেউ কোনো ধরনের অসদাচারণে জড়িত হলে কোনো ধরনের কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে তাদের আজীবন বহিষ্কারাদেশের শাস্তি পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
একই ঘটনায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আল-আমিন, শাহিনুর ইসলাম ও মো. রাজিব রাজুকে সতর্কীকরণ চিঠি এবং অভিভাবকের উপস্থিতিতে স্বাক্ষর প্রদানের মাধ্যমে মুচলেকা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এটি না করলে তাদেরও ছয় মাসের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া রিজেন্ট বোর্ডের সভায় গত ১৬ জুলাই কোষাধ্যক্ষের অফিস কক্ষে ডিন, প্রক্টর ও প্রভোস্টদের উপস্থিতির সময় অসাদাচরণ করায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সোহেল রানা এবং পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী ও যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালকে সতর্কীকরণ চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন-
যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. আব্দুল মতিন, যুগ্ম সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাওছার উদ্দিন আহম্মদ, আইসিসিডিআরবি’র বায়োসেফটি অ্যান্ড বিএসএল-৩ ল্যাবরেটরির প্রধান ড. আসাদুলগনি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. কৌশিক সাহা, ইউজিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম. এ. রশীদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব, যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার, যশোর সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম আহসান হাবীব, রিজেন্ট বোর্ডের সচিব ও রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব প্রমুখ।
আরও পড়ুন: যশোরে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীসহ পাঁচ ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক
উত্তরপত্র মূল্যায়নে অসঙ্গতি: যবিপ্রবির এক শিক্ষকের পদাবনতি
১১ মাস আগে
যশোরে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীসহ পাঁচ ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক
যশোরের চৌগাছায় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ পাঁচ ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে এইচএসসি প্রোগ্রামের দ্বিতীয় বর্ষের ইংরেজী ২য় পত্র পরীক্ষার সময় চৌগাছা সরকারি কলেজ ও চৌগাছা মৃধাপাড়া মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক পরীক্ষার্থীরা টাকার বিনিময়ে অন্যদের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।
কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে শুক্রবার বিকালে চৌগাছা মৃধাপাড়া মহিলা কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা চলাকালে চৌগাছা উপজেলার আন্দারকোটা গ্রামের আল আমিন হোসেন, যশোর সদর উপজেলার তীরেরহাট গ্রামের হাসান ইমাম যশোর সদর উপজেলার আপন মোড়ের মো. আরিফকে আটক করা হয়।
এদিকে একই সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানার নির্দেশে চৌগাছা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে যবিপ্রবি’র শিক্ষার্থী চৌগাছার আন্দারকোটা গ্রামের মো. সজিব এবং ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দাদপুর গ্রামের মো. ইমরানকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৮০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, আটক ১
কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পাঁচ ভুয়া পরীক্ষার্থী যাদের পরিবর্তে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তাদের সবাই সেনাবাহিনীর সদস্য। এদের মধ্যে পরীক্ষার্থী যশোর সদর উপজেলার তীরেরহাট গ্রামের মেহেদী হাসান জাতিসংঘ মিশনে বিদেশে রয়েছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কলেজ শিক্ষক জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বদলী পরীক্ষা দিতে আসা চৌগাছার আন্দারকোটা গ্রামের মো. সজিব যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
শিক্ষক আরও জানান অন্যরাও মিশনে বিদেশে থাকতে পারে। তবে সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।
এবিষয়ে চৌগাছার সহকারী কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাস বলেন, একজন ভুয়া পরীক্ষার্থী বাথরুম যাওয়ার কথা বলে তিনতলার একটি বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমি নিজে তাকে আটক করি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা এবং চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৮০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, আটক ১
১ বছর আগে
যবিপ্রবির ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত, ২ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) কর্মরত আট জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সনদ জাল পাওয়ায় ছয়জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং দুজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আব্দুর রশিদের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বরখাস্ত ব্যক্তিরা হলেন- জাহিদ হাসান (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) মো. জাহাঙ্গীর আলম (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) মো. সাকিব ইসলাম (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) মোছা. হাসনা হেনা (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সিনিয়র ক্লিনার দিলীপ হরিজন (অষ্টম শ্রেণি), ক্লিনার বাসুদেব দাস (অষ্টম শ্রেণি)।
আরও পড়ুন: উত্তরপত্র মূল্যায়নে অসঙ্গতি: যবিপ্রবির এক শিক্ষকের পদাবনতি
একইসঙ্গে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ব্যক্তিরা হলেন- সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) মো. মহিদুল ইসলাম (স্নাতকোত্তর, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়) এবং মেকানিক মো. জাকির হোসেন (স্নাতকোত্তর, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়)।
এর আগে এদিন দুপুরে যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বোর্ডের ৯০তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে সনদ যাচাই সংক্রান্ত তিনটি আলাদা কমিটি ৮২তম রিজেন্ট বোর্ডে তাদের প্রতিবেদন পেশ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়। এ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় তদন্ত বোর্ড তাদের প্রতিবেদন পেশ করে।
পরবর্তীতে রিজেন্ট বোর্ড ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় জাল সনদধারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: হোম সারাদেশ খুলনা যবিপ্রবির ল্যাবে ৮ জনের দেহে করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট শনাক্ত
লকডাউন হচ্ছে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবন
১ বছর আগে
উত্তরপত্র মূল্যায়নে অসঙ্গতি: যবিপ্রবির এক শিক্ষকের পদাবনতি
শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে অসঙ্গতি সংক্রান্ত শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রমাণিত হওয়ায় তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের শিক্ষক সম্রাট কুমার দে-কে সহকারী অধ্যাপক থেকে প্রভাষক পদে অবনমন করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে যবিপ্রবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৭২তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি’র দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ সত্য নয়
রিজেন্ট বোর্ডের সভায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাধারণ আচরণ, শৃঙ্খলা ও আপীল সংক্রান্ত বিধি অনুযায়ী সম্রাট কুমার দে গুরুদণ্ড প্রাপ্য হওয়ায় তাঁকে বর্তমান পদ থেকে নিম্নপদে বা বেতনক্রমে অবনতকরণ ও আগামী দুই বছর তিনি সহকারী অধ্যাপকের জন্য পদন্নোতির আবেদন করতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভার শুরুতে রীতি অনুযায়ী যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীও যেন ঝরে না পড়ে এবং কোন ক্লাস যেন মিস না করে, এ জন্য শারীরিক ও ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে আমরা ‘ব্লেন্ডেড লার্নিং সিস্টেম’ এ চলে যাচ্ছি। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬টি বিভাগের প্রত্যেকটিতে ডিজিটাল ক্লাসরুম স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করি, এ পদ্ধতিতে আমরা শিক্ষার্থীদেরকে প্রযুক্তিবান্ধব, দক্ষ, যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।
আরও পড়ুন: গুজব ছড়ানোর অভিযোগে বদরুন্নেসার শিক্ষক ‘আটক’
৩ বছর আগে
যবিপ্রবির ল্যাবে ৮ জনের দেহে করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট শনাক্ত
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে যশোরের স্থানীয় ৮ জন রোগীর শরীরে করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে সোমবার জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদের নেতৃত্বে একদল গবেষক সিকুয়েন্সির মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের ভারতীয় এ ভেরিয়েন্ট শনাক্ত করেন।
শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে কারোরই ভারতে যাওয়ার কোনো সম্পর্ক বা ইতিহাস নেই। তাদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের সকলের বয়স ৫৬ বছরের নিচে।
আরও পড়ুন: যশোরের চৌগাছায় অরক্ষিত ইন্ডিয়াপাড়া, ভারতীয় ভেরিয়েন্ট ছড়ানোর আশঙ্কা
ইতোমধ্যে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট শনাক্তের বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইইডিসিআরসহ যশোরের স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
জিনোম সেন্টার থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৯ মে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ৪ জনের নমুনা, যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে ৩ জনের নমুনা এবং অপরজনের নমুনা ঝিকারগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে যবিপ্রবির ল্যাবে পাঠানো হয়। সম্প্রতি ভারত ফেরত কোয়ারেন্টাইনে থাকা পরবর্তী সময়ে পজিটিভ হওয়ার হার যশোর জেলায় গড়ে ১০ শতাংশ থেকে ১৯ শতাংশে উন্নীত হওয়ায় স্থানীয় সংক্রমন হয়েছে কি না সেটি জানার জন্য স্থানীয় ৩৬ জনের নমুনা সিকোয়েন্সিং করে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট শনাক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: দেশে আরও ৩৮ প্রাণহানি, শনাক্ত ৭.৯১ শতাংশ
যবিপ্রবির গবেষক দলটি জানান, ই১.৬১৭.২ নামের ধরণটি জিনোম সেন্টারে শনাক্ত করা হয়েছে। গত ৮ মে যবিপ্রবির ল্যাবে সর্বপ্রথম ২ জন করোনা রোগীর নমুনায় ভারতীয় এ ভেরিয়েন্ট শনাক্ত করা হয়। যাশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এখন পর্যন্ত ভারত ফেরত ৫৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পায়। ভারত ফেরত রোগীদের মধ্যে ৭ জনের শরীরে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট ই.১.৬১৭.২ পাওয়া যায়। এদের মধ্যে ২ জন করোনা পজিটিভ হয়েই দেশে আসেন। কেউ কেউ উপসর্গহীন অবস্থায়ও পজিটিভ হন। যবিপ্রবির ল্যাবে এ পর্যন্ত ভারত ফেরত ও স্থানীয়সহ ১৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভেরিয়েন্ট শনাক্ত করা হলো।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ কোটি ৯২ ছাড়ালো
গবেষক দলটি জানিয়েছে, গত ২০ ডিসেম্বর ২০২০ এ ভেরিয়েন্টটি সর্বপ্রথম ভারতে ছড়িয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে এ ভেরিয়েন্টটি বিশ্বের ৬০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ভেরিয়েন্টটিসহ সকল ভারতীয় ভেরিয়েন্টকে উদ্বেগের ভেরিয়েন্ট (ধরণ) বলে আখ্যা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ভারতীয় এ ভেরিয়েন্টটি যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে গেছে।
তারা জানিয়েছেন, ফাইজারের ভ্যাকসিন অন্যান্য টিকার তুলনায় ৩ থেকে ৬ গুণ অকার্যকর। ভারতের একটি হাসপাতালে এটি ৪৮ ভাগ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে। অ্যাস্ট্রোজেনেকা টিকার ক্ষেত্রে এটি ৬০ ভাগ কার্যকর।
তাদের মতে, ভারতীয় এ ভেরিয়েন্টটি ৫০ শতাংশের বেশি সংক্রমনের সক্ষমতা রাখে। ভ্যাকসিন পরবর্তী ‘সেরাম এবং মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি’ এ ভেরিয়েন্টকে কম শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয় করতে পারে। সুতরাং মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর অধিবাসীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকার আওতায় আনার সুপারিশ করছে গবেষক দলটি।
গবেষক দলটি ভারত থেকে আগত সবাইকে করোনা নেগেটিভ না হওয়া পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রেখে পরীক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে।
এছাড়া ভারতীয় ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ায় সীমানা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ, বাণিজ্যিক বা অন্য কোনো কারণে চালক ও সহকারীদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ও পরীক্ষা করার প্রয়োজন।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গত বছর এপ্রিল হতে করোনা পরীক্ষা করছে। তার পাশাপাশি করোনার ভেরিয়েন্ট নিয়েও কাজ করছে। ভারতীয় নমুনায় পজিটিভ হওয়া মাত্র তার প্রথমে স্যাংগার সিকুয়েন্সিং করা হয়। সেখানে প্রাথমিক ধারনা পেলেই সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো হয়। তারপর হোল জিনোম সিকোয়েন্সিং করে করোনার ভেরিয়েন্ট শনাক্ত করা হয়।
জিনোম সেন্টারে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট শনাক্তকরণের গবেষক দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন ড. তানভীর ইসলাম, ড. হাসান মোহাম্মদ আল-ইমরান, অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, শোভন লাল সরকার, এ. এস. এম. রুবাইয়াত-উল-আলম, মো. সাজিদ হাসান, আলী আহসান সেতু প্রমুখ।
৩ বছর আগে
করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট: যশোরে ২ জনের শরীরে শনাক্ত
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরণ) শনাক্ত করা হয়েছে।
১৬ জন ভারত ফেরত রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে তিনজন রোগীর করোনা পজিটিভ আসে। পজিটিভ তিনজনের মধ্যে দুজনের শরীরে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা হয়েছে। গত ৬ মে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে তাদের নমুনাসমূহ যবিপ্রবির ল্যাবে পাঠানো হয়।
যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে গতকাল শুক্রবার রাতে সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদের নেতৃত্বে একদল গবেষক সিকোয়েন্সির মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের ভারতীয় এ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করেন।
গবেষণাটি সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন যবিপ্রবির উপাচার্য ও জিনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। ইতোমধ্যে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, আইইডিসিআর ও যশোরের স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত: আইইডিসিআর
যবিপ্রবির গবেষক দলটি জানান, ই১.৬১৭.২ নামের ভ্যারিয়েন্ট জিনোম সেন্টারে শনাক্ত করা হয়েছে। এ ভ্যারিয়েন্টটি বর্তমানে ২০ শতাংশ মোট ভারতীয়দের মধ্যে বিদ্যামান। এ ছাড়া ভারতীয় এ ভ্যারিয়েন্টটি ৫৯ শতাংশ যুক্তরাজ্যের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে দেখা গেছে। ভারতীয় এ ভ্যারিয়েন্টটি ২০ শতাংশের বেশি সংক্রমনের সক্ষমতা রাখে। ভ্যাকসিন পরবর্তী ‘সেরাম এবং মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি’ এ ধরণকে কম শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয় করতে পারে।
গবেষক দলটি ভারত থেকে আগত সবাইকে পরপর দুবার করোনা নেগেটিভ না হওয়া পর্যন্ত আইসোলেশনে রেখে পরীক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে। একইসাথে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীরা যে সকল ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছে, তাদের অতিদ্রুত পরীক্ষা করা আবশ্যিক বলে মনে করে গবেষক দলটি।
এ ছাড়া ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ায় সীমানা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ, বাণিজ্যিক বা অন্য কোনো কারণে চালক ও সহকারীদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ও পরীক্ষা করার প্রয়োজন বলেও জানান গবেষক দলটি।
যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার ফলে জরুরি সহায়তা দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টার ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।
উল্লেখ্য গত ৪ পর্যন্ত বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে এক হাজার ৫৭৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছে। যাদের বেনাপোল, ঝিকরগাছা, যশোর শহর ছাড়াও পাশের চার জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, ঝিনাইদাহ ও নড়াইল জেলার হোটেল সহ বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি স্থাপনায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এদের মধ্যে গত ৬ মে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে ১৬ জন ভারত ভেরত যাত্রীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যিালয়ের জেনোম সেন্টারে পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য। এর মধ্যে ৩ জনের নমুনা পজেটিভ এসেছে। এ তিন জনের মধ্যে দুইজনের শরীরে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেল।
৩ বছর আগে
যবিপ্রবিতে ৯৫ নমুনার মধ্যে করোনা শনাক্ত ১২
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টারে ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ৯৫টি নমুনা পরীক্ষায় আরও ১২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
৪ বছর আগে
মাগুরায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত
মাগুরায় প্রথম করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
৪ বছর আগে