খুবি
খুবিতে বাস ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির ৫০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বিএনপির ডাকা অবরোধে বৃহস্পতিবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বাস ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির ৫০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশিক রেজা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক শের আলম সান্টু, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, তৈয়েবুর রহমান, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, মেখ সাদী, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান মনি, সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সদস্য সচিব সাজ্জাদ আহসান পরাগ, বিএনপি নেতা একরামুল কবির মিল্টন, তারিকুল ইসলাম তারেক, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইশতিয়াক আহমেদ ইসতি, সদস্য সচিব তাজিম বিশ্বাস, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম বাবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি একরামুল হক হেলালসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় বিএনপির ২৯ নেতা-কর্মীর কারাদণ্ড
এছাড়া অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে বাস ভাঙচুরের ঘটনায় ১৯নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস হাওলাদার, বিএনপি কর্মী নাসির আহমেদ ও মো. দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, খুবির বাস ভাঙচুরের মামলায় বৃহস্পতিবার বিএনপির ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর শেরে বাংলা সড়কে খুবির শিক্ষক বাসে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে চালকের সহকারী জুয়েলসহ ২ জন আহত হন। বাস ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি ও যুবলীগ পরস্পরকে দায়ী করেছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর মামলা: ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানি ৭ ডিসেম্বর
১১ মাস আগে
স্মার্ট কার্ডের আওতায় আসছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
সময়ের চাহিদা অনুযায়ী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার অভিলক্ষ্যে ডিজিটালাইজেশনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি)।
এবার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত স্মার্ট কার্ডের আওতায় আসছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের চেষ্টায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুতই সকল প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর এ কার্ড সিস্টেম চালু হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে কার্ড তৈরির জন্য সকল ডিসিপ্লিন, আবাসিক হল ও দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩১-এ পদার্পণ, নানা আয়োজনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মো. সারওয়ার জাহান বলেন, এই স্মার্ট কার্ড তৈরির কাজ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এটি ব্যবহার করে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ লাইব্রেরিতে চেক ইন, চেক আউট, সেলফ বুক ইস্যু, সেলফ বুক রিটার্ন, অটো গেট পাশ, বুক হোল্ডিং ইত্যাদি সুবিধা পাবেন।
আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী মাসুদুল আলম বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটলাইজেশনের জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যার বাস্তবায়ন ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন, ডি-নথির বাস্তবায়ন, আবাসিক হলের সিট বুকিং, অ্যাপ ব্যবহার করে ঢাকাস্থ গেস্ট হাউজের রুম বুকিং, অনলাইনে চাকরির আবেদন, আধুনিক সুবিধা সম্বলিত স্মার্ট ক্লাস রুম, প্রশিক্ষণ কক্ষ, ল্যাব উল্লেখযোগ্য। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনার এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিলাইজেশনের ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাবে।
ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার যে অভিলক্ষ্যে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন, তা বাস্তবায়নে সকল পর্যায় থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশকে সব দিক থেকে স্মার্ট দেশে পরিণত করার মূল চাবিকাঠি হলো ডিজিটাল সংযোগ।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটালাইজেশনের জন্য স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনার এই উদ্যোগ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে দেশকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ১৮ অক্টোবর
১ বছর আগে
খুবি অ্যালামনাইয়ের 'খুরশীদ-আক্তার' প্যানেলের পরিচিতি সভা ও ইশতেহার ঘোষণা
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন খুলনা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (কুয়া) নির্বাচন আগামী শুক্রবার (৯ জুন) অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষে শুক্রবার (২ জুন) রাতে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘খুরশীদ-আক্তার’ প্যানেলের পরিচিত সভা ও ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে।
আসন্ন এই নির্বাচনে ‘কেইউ গ্রাজুয়েটস’ সমর্থিত খুরশীদ-আক্তার প্যানেল এবং ‘আমরা খুবিয়ান’ প্যানেল ছাড়াও বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন
খুরশীদ-আক্তার প্যানেলের সভাপতি পদে আর্কিটেকচার ডিসিপ্লিনের ৯২ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী খুরশীদ আলমেহের তন্ময়, সাধারণ সম্পাদক পদে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ৯৬ ব্যাচের মো. আকতার হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়াও ৯ জন শিক্ষক প্রতিনিধিসহ মোট ৫০ জন বিভিন্ন পদে নির্বাচন অংশ নিচ্ছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সভাপতি প্রার্থী তার বক্তব্য তুলে ধরেন এবং পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এরপর নির্বাচনি ইশতেহার উপস্থাপন করেন তিনি। একই সময় এর ওপরে বিস্তারিত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রায় তিন শতাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
খুরশীদ আক্তার প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী খুরশীদ আলমেহের তন্ময় বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় চারটি ডিসিপ্লিন নিয়ে, এখন সে সংখ্যা ২৯ এ পৌঁছেছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিসিপ্লিনের প্রায় ২৫ হাজার এ্যালামনাই রয়েছে, যারা বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর দেশে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে আছেন৷ তাদের সবাইকে নিয়ে একটি যথার্থ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক, কার্যকরী, স্বচ্ছ, শক্তিশালী ও গতিশীল এ্যলামনাই এ্যসোসিয়েশন গঠন করার জন্য ২০২৩ নির্বাচনে খুরশীদ-আকতার (গ্রাজুয়েটস প্লাটফর্মের) প্যানেলের পক্ষ থেকে আপনাদের সমর্থন ও দোয়া প্রার্থী।
তিনি তাদের প্যানেলের সক্ষমতা এবং ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। পাশাপাশি বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমন্বয় ঘটানো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অবদানের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ৩১-এ পদার্পণ, নানা আয়োজনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ১৮ অক্টোবর
১ বছর আগে
শনিবার থেকে খুবি উপকেন্দ্রে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) উপকেন্দ্রে আগামীকাল শনিবার (৬ মে) থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা।
এদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত কলা ও মানবিক, আইন এবং সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা খুবি ক্যাম্পাস ছাড়াও দেলদার আহমেদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রেভারেন্ড পলস্ হাইস্কুল ও হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দিনের ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৫৯৭ জন।
প্রথম দিনের ভর্তি পরীক্ষায় খুবি ১৬০০০০১ থেকে ১৬০৪৭৮৬ পর্যন্ত মোট ৪৭৮২ জন, দেলদার আহমেদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৬০৪৭৮৭ থেকে ১৬০৬৬০৭ পর্যন্ত মোট ১৮২০ জন, রেভারেন্ড পলস্ হাই স্কুলে ১৬০৬৬০৮ থেকে ১৬০৮১০৯ পর্যন্ত মোট ১৫০০ জন এবং হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ১৬০৮১১০ থেকে ১৬০৮৬০৬ পর্যন্ত মোট ৪৯৫ জন পরীক্ষার্থীর আসন রয়েছে।
আগামী ১২ মে বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা খুবি ক্যাম্পাস ছাড়াও দেলদার আহমেদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও রেভারেন্ড পলস্ হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া, আগামী ১৩ মে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: খুবিতে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ
খুবিতে সশরীরে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৩০ জানুয়ারি
খুবিতে ক্লাস শুরু, ক্যাম্পাসে ফিরেছে প্রাণ
১ বছর আগে
খুবির ৩ শিক্ষকের বরখাস্ত-অপসারণ অবৈধ: হাইকোর্ট
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) এক শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং দুই শিক্ষককে অপসারণ করাকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
শিক্ষকদের আবেদনে জারি করা রুল শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
ওই তিন শিক্ষক হলেন-বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী শিক্ষক মো. আবুল ফজল, ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী ও বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক শাকিলা আলম।
আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে জামিন পেলেন দণ্ডিত এনামুল বাছির
তিনি সাংবাদিকদের জানান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই তিন শিক্ষককে ২০২০ সালের ১ ও ২ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানানোর কারণে চাকরিচ্যুত করা হয়। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করেন তিন শিক্ষক। টানা দুই সপ্তাহ শুনানি শেষে উচ্চ আদালত আজ শিক্ষকদের চাকরি থেকে বরখাস্ত ও অপসারণের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন এবং তিন শিক্ষককে চাকরিতে পুনর্বহাল করার আদেশ দিয়েছেন।
ওই শিক্ষকদের ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় বরখাস্ত ও অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়। পরে ২৮ জানুয়ারি এ বিষয়ে চিঠি ইস্যু করেন রেজিস্ট্রার। সে চিঠি প্রত্যাহার চেয়ে ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিক্ষকদের পক্ষে নোটিশ পাঠানো হয়। সেই নোটিশের জবাব না পেয়ে তারা এ রিট দায়ের করেন।
২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রিটের শুনানি শেষে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি স্থিতাবস্থার আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: জামায়াত সেক্রেটারিকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
শর্ত সাপেক্ষে নর্থ সাউথের সাবেক ২ ট্রাস্টির হাইকোর্টে জামিন
২ বছর আগে
খুবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মেস থেকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কাজল মণ্ডল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই হল রোডের এক মেসে থাকতেন। তার বাড়ি যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায়।
প্রাথমিকভাবে তার বন্ধু ও সহপাঠীদের ধারণা, ব্যক্তিগত জীবন ও ক্যারিয়ার কেন্দ্রীক বিভিন্ন হাতাশা থেকে কাজল আত্মহত্যা করতে পারেন।
কাজলের আত্মহননের এ ঘটনায় কাজলের কাছের বন্ধুরা জানান, কাজল বেশকিছু দিন যাবৎ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন। এরই জের ধরে আজ তিনি গলায় ধুতি পেচিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন।
খুলনার হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, ‘আত্মহত্যার খবর পেয়ে আমরা এসে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ কি সেটা জানা যায়নি।’
আরও পড়ুন: বরিশালে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে স্বামীর ‘আত্মহত্যা’
বাসা বদল নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বিরোধ, গৃহবধূর ‘আত্মহত্যা’
২ বছর আগে
যৌন হয়রানির অভিযোগে খুবির আরেক শিক্ষক বরখাস্ত
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) চারুকলা অনুষদের অধীন ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের এক সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন ২২ শিক্ষার্থী। তাদের প্রত্যেকেরই অভিযোগ বিভিন্ন সময় শিক্ষক বিটপ শোভন ছাত্রীদের মৌখিক ও মানসিকভাবে যৌন হয়রানি করতেন।
গত রবিবার (৩ এপ্রিল) এই শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও সব ঘটনাকেই সাজানো ও ষড়যন্ত্র দাবি ওই শিক্ষকের।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম বিটপ শোভন বাছাড়।
এর আগে ২০২১ সালের ২৬ আগস্ট গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক ছোটন দেবনাথের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন তারই এক সহকর্মী। ৬০ কার্যদিবসে তদন্ত শেষ করার বিধিবিধান থাকলেও সাত মাসেও শেষ করতে পারেনি তদন্ত কমিটি।
আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় খুবি শিক্ষক কারাগারে
অপ্রীতিকর এসব ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিব্রত বলে জানান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।
তিনি বলেন, সব কিছু সুচারুভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। সর্বশেষ অভিযোগ পাওয়ার পর ড্রইং এ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক বিটপ শোভন বাছাড়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় একাধিকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: খুবিতে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ
খুবিতে সশরীরে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৩০ জানুয়ারি
২ বছর আগে
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় খুবি শিক্ষক কারাগারে
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষক সাধন চন্দ্র স্বর্ণকারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম এ নির্দেশ দেন।
অভিসাধন চন্দ্র স্বর্ণকার খুবির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক। সমন পেয়ে আদালতে জামিনের জন্য উপস্থিত হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো.আবু হুরায়রা সোহেল জানান, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের অলোক স্বর্ণকারের মেয়ে পূজা স্বর্ণকারের সঙ্গে ২০২০ সালের ৮ জুন একই এলাকার যুগল কৃষ্ণ স্বর্ণকারের ছেলে সাধন চন্দ্র কর্মকারের রেজিস্ট্রিকৃতভাবে বিয়ে হয়। এরপর একই বছরের ২৭ নভেম্বর ধর্মীয়ভাবে উভয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে খরচ বাবদ, সাধন চন্দ্রকে দুই লাখ টাকা দেয়া হয়। এছাড়া বিয়ের সময় তাকে ঘরের ফার্নিচার ও মোটরসাইকেল দেয়া হয়। কিন্তু কিছু দিন পরই পাঁচ লাখ টাকার জন্য পূজাকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন সাধন। এতে কাজ না হওয়ায় প্রায়ই তাকে মারধর করতে থাকেন। সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারি তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তিনি আরও জানান, গত ৩১ জানুয়ারি পূজা বাদী হয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.তরিকুল ইসলামের আদালতে মামলা করেন। মামলাটি ওই আদালতের বিচারক আমলে নেন। আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য খুবির ওই প্রভাষকের বিরুদ্ধে সমন জারি করে তার ঠিকানায় পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার জামিন নেয়ার জন্য সাধন চন্দ্র উপস্থিত হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় অর্থ আত্মসাৎ মামলায় অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে
কাশিমপুর কারাগারে চিকিৎসাধীন নারী হাজতির মৃত্যু
কাশিমপুর কারাগারে প্রদীপ ও লিয়াকত
২ বছর আগে
খুবিতে পরিবেশ বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে পরিবেশ বিষয়ক দু’দিনব্যাপী প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ইকোসিস্টেম রেস্টোরেশন’।
শনিবার বিকেল ৫টায় আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তবে বাংলাদেশ পরিবেশের ক্ষতি না করেও আজ প্রথম সারির ভুক্তভোগী দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে। এজন্য বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ইস্যুকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। এ বিষয়ে ন্যাশনাল এডাপটেশন প্লান তৈরি করা হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রিসার্চ এবং নলেজ ম্যানেজমেন্টকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুবিতে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজ জলবায়ু ইস্যুতে বিশ্বের সোচ্চার দেশ প্রধানদের মধ্যে অন্যতম। তিনি এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করছেন। জাতিসংঘের স্বীকৃতিও পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌগলিক অবস্থানজনিত কারণে এখানে গবেষণার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। এই সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত সুপারিশমালা মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে গুরুত্ব দেয়া হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনে পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়ে বিশ্ব কতটা চিন্তিত সেটা বুঝতেই এই সম্মেলন।
তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৩-১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবেশ বিষয়ে বিভিন্ন আইন করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কারণে তিনি এ বিষয়ে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পুরস্কার পেয়েছেন। এ থেকেই আমরা বুঝতে পারি পরিবেশ নিয়ে ভাবনা এখন সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের।
আরও পড়ুন: খুবিতে সশরীরে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৩০ জানুয়ারি
উপমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ১৯৭টি দেশ সবাই এখন বিশ্বাস করে আমাদের পরিবেশ ও প্রতিবেশ ঠিক রাখতে হবে। গত বছর অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনেও পরিবেশের নানা দিক স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশই চায় সুন্দর পরিবেশ ধরে রাখতে। তবে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলো পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। তাদের বিষয়ে সবাইকে ভাবতে হবে।
তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে পরিবেশ বিষয়ক প্রথম এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বার্তা যে, আমাদের পরিবেশ নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। সকলের গবেষণায় এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করে আসছে। এসব দুর্যোগের কারণে সুন্দরবনের ক্ষতি হচ্ছে, আয়তন কমে আসছে। প্রতিবছর ২-৪টি দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সুন্দরবন উপকূলীয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। সুন্দরবন না থাকলে এ উপকূলে মানব বসতি ও জীবনযাপন সম্ভব হবে না। এ বিষয়ে ভাবতে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসতে হবে। সকলের চিন্তা-ভাবনায় আমাদের দেশ বিশ্বে আরও ভাল অবস্থান তৈরি করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ও সম্মেলনের চিফ প্যাট্রন প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে তা ভবিষ্যতে মানবজাতি ও সভ্যতার জন্য হুমকী স্বরূপ। তিনি বলেন এই সম্মেলনটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্মেলনে শুধু দেশের জন্যই নয় আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত নিয়েও আলোচনা হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান উপকূলীয় এলাকায় হওয়ায় পরিবেশ ও প্রতিবেশ নিয়ে শিক্ষা ও গবেষণা করা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। সে দায়িত্ববোধ থেকেই এমন সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুবিতে স্থাপিত হচ্ছে বৃহত্তর সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্লিনারি স্পিকার হিসেবে বক্তব্য দেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত। প্যাট্রন হিসেবে বক্তব্য দেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা এবং জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলনের অরগানাইজিং সেক্রেটারি সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সম্মেলনের অরগানাইজিং কমিটির কনভেনর প্রফেসর ড. দিলীপ কুমার দত্ত।
এর আগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন শুরু হয়। এরপর অতিথি এবং বিদেশি ডেলিগেটদের ফুল ও উত্তরীয় দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সম্মেলনের বিষয়ে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংগঠনের অংশগ্রহণে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। এসময় ভাইস-চ্যান্সেলর ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে খ্যাতনামা পরিবেশবিদ প্রফেসর ড. আলী রেজা খান ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইডেনসহ দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী সশরীরে এবং ভার্চুয়ালি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে ৬টি কি-নোট পেপার এবং ১২৫টি গবেষণা নিবন্ধ উপস্থাপিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ সম্মেলনে ৬০ জন তরুণ গবেষকের গবেষণা নিবন্ধও উপস্থাপিত হবে।
২ বছর আগে
র্যাগিংয়ের দায়ে খুবির ৫ শিক্ষার্থীর বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি
আবাসিক হলে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের রাতভর শারীরিক নির্যাতন ও গালাগাল এবং ঘটনার সময় উপস্থিত থেকে নির্যাতনে পরস্পরকে উসকানি দেয়ার অপরাধে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইংরেজি বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্য সচিব শরীফ হাসান লিমন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের নির্যাতন ও গালিগালাজ এবং অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে দিয়ে মারধর করার অভিযোগে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান রাজা ও রাজবর্মণ বিধানকে চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফলের তারিখ হতে ছয় মাস সার্টিফিকেট স্থগিত এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া, একই বিভাগের মিনহাজ উর রহমান ও সাবেরুল বাশার নিরবকে ঘটনার সময় উপস্থিত থেকে নির্যাতনে পরস্পরকে উসকানি দেয়ার অভিযোগে ছয় মাস সার্টিফিকেট স্থগিত করা হয়েছে। অন্যদিকে, একই অভিযোগে আরেক শিক্ষার্থী ফাহাদ রহমান অঝোরকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, শাস্তির বিষয়ে নিয়মানুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করতে পারবেন সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্য সচিব শরীফ হাসান লিমন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ওই পাঁচ শিক্ষার্থীর বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: খুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ!
সে সময় বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান রাজা এবং রাজবর্মণ বিধানকে দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। একই ডিসিপ্লিনের মিনহাজ উর রহমানকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার, সাবেরুল বাশার নিরবের এক বছরের জন্য সার্টিফিকেট স্থগিত এবং ফাহাদ রহমান অঝোরকে অভিভাবকসহ মুচলেকা দেয়ার শর্তে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. শরীফ হাসান লিমন বলেন, ‘গত বছর ৩১ ডিসেম্বর অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে যে জবাব দিয়েছিল তার প্রেক্ষিতে শৃঙ্খলা বোর্ড এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
মো. শরীফ হাসান লিমন আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত একাডেমিক কাউন্সিল বরাবর সাজাপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষার্থী আপিল করেনি।’
এদিকে সাজাপ্রাপ্ত ছাত্র মশিউর রহমান রাজা বলেন, ‘আমাদের পাঁচজনকে যে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে এটা আমরা গতকাল জানতে পেরেছি। এখনতো সবাই ক্যাম্পাসে নাই, সবাই আসলে আমরা একাডেমিক কাউন্সিলে আপিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’
আরেক সাজাপ্রাপ্ত ছাত্র ফাহাদ রহমান অঝোর বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। কারণ আমি ঘটনার দিন উপস্থিত ছিলাম না। আর এরই মধ্যে হলের ইন্টারনাল তদন্তে আমি নিরপরাধ প্রমাণ হওয়ায় আমার হলের সিটও বাতিল করা হয়নি। আমি একাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করব এবং আমি এর ন্যায়বিচার চাই।’
আরও পড়ুন: করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে হলে ফিরতে চায় খুবি শিক্ষার্থীরা
গলায় ফাঁস দিয়ে খুবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
২ বছর আগে