প্রেসক্রিপশন
মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে, চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই বেশি বেশি মানবাধিকারের কথা বলে, নানা প্রেসক্রিপশন দেয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এখন দেখা যাচ্ছে, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তারা মানবাধিকার নিয়ে বেশি কথা বলা শুরু করেছে। দেশে আগুনসন্ত্রাস চালিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা এবং চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে মানুষের অধিকার হরণ করে, তারা আবার প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে মানবাধিকারের কথা বলে। এটিই আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য।
আরও পড়ুন: বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি: তথ্যমন্ত্রী
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রেস ক্লাবে চিটাগাং জার্নালিস্ট ফোরাম ঢাকা (সিজেএফডি) আয়োজিত জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য ও সিজেএফডি’র সাবেক দুই প্রয়াত সভাপতি এম ওয়াহিদ উল্লাহ এবং শীলব্রত বড়ুয়ার স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিশ্ব প্রেক্ষাপটেও চরম মানবাধিকার অধিকার হরণকারীদের পক্ষে যারা অবস্থান নেয়, তারা এখন মানবাধিকারের প্রেসক্রিপশন দেয়, এটিই হচ্ছে পৃথিবী ও মানবসভ্যতার জন্য দুর্ভাগ্য বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি আমাদের দেশকে অপরাজনীতির হাত থেকে রক্ষা করতে হলে আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব রয়েছে। সাংবাদিক সমাজ সেই ক্ষেত্রে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে, আজকের প্রেক্ষাপটেও পালন করবে।
প্রয়াত সাংবাদিক এম ওয়াহিদ উল্লাহ ও শীলব্রত বড়ুয়া সাংবাদিক সমাজের উজ্জ্বল মুখ ছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা গণমাধ্যমের জন্য আজীবন কাজ করে গেছেন। সাংবাদিক হিসেবে লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে থেকে পেশাগতভাবে তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাদের কাজ করে গেছেন।
একটি রাষ্ট্রের বিকাশের জন্য ভালো সাংবাদিকতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক সময় রাষ্ট্র পথ হারিয়ে ফেলে। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যারা থাকেন তারাও অনেক সময় পথ হারিয়ে ফেলে, রাষ্ট্র যাতে সঠিকখাতে প্রবাহিত হয় এবং যারা দায়িত্বে থাকেন তারা যাতে খেই হারিয়ে না ফেলে সেক্ষেত্রে একজন সাংবাদিক কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আজকে যারা সাংবাদিক সমাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা ভালো সাংবাদিক তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন।
গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতির সঙ্গে সঙ্গে এই পেশা ও গণমাধ্যমে অনেক চ্যালেঞ্জ যুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে অনেকের গণমাধ্যমের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা, ভুঁইফোড় অনলাইনের সাংবাদিক, মোবাইল সাংবাদিক -এ ধরনের নানা বিষয় আজকে যুক্ত হয়েছে। এতে করে দেখা যাচ্ছে যে, আসলে কে সাংবাদিক আর কে সাংবাদিক নয় এই পার্থক্যের সীমারেখাটা জনগণ টানতে পারে না। এ জন্য এখানে শৃঙ্খলা আনা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। এ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেবে মানুষ: তথ্যমন্ত্রী
মানবাধিকার দিবসে দেশে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
কারো প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কারো প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না।
রবিবার (০২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
বিদেশীদের কাছে ধরনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউ হস্তক্ষেপ তো করছে না। তারা পরামর্শ তো দিচ্ছে না। যার যার চিন্তা ভাবনা জানাচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে অনেকে কথা বলছে। আমরা কথা শুনছি, কথা আমরা শুনব। এবং পরামর্শও নেবো। কিন্তু আমরা কারো নির্দেশ বা নিয়ন্ত্রণে থাকব, সেটি ভাবার কারণ নেই। কারো প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন হবে না।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু বিএনপির ১৪ বছরের আন্দোলনকে ঢেকে দিয়েছে: কাদের
তিনি বলেন, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। কথা শুনব, কথা বিনিময় হবে। কিন্তু নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলের কন্ঠ বিরোধী কন্ঠ। বাংলাদেশের বিরোধীদলের ব্যর্থতার সীমা নেই। তারা নির্বাচনে যেমন ব্যর্থ আন্দোলন তো ১০ ডিসেম্বর দখল করে ফেলেছিল যে ১১ তারিখ থেকে খালেদার হাতে দেশ থাকবে এমন অনেক লাগাম ছাড়া কথা তারা অনেকবার বলেছেন। এটিই হলো বাস্তবতা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এমন একটি সরকার বর্তমানে রয়েছে যারা কিছু লুকাচ্ছে না। বাংলাদেশে কি খাদ্যের অভাবে কেউ মারা গেছে? ফখরুল সাহেব অনেক কথা বলতে পারেন। জিয়াউর রহমান যখন দেশের প্রেসিডেন্ট তখন রংপুরে অভাবের তাড়নায় ২শ' নারী পতিতাবৃত্তিতে নাম লিখিয়েছেন। এ ধরনের দৃশ্যপট এখনও দেখা দেয়নি। আমরা সচেতন আছি।
কাদের বলেন, শুনেছি তারা ৩৬ দলের রুপরেখা একদফা আন্দোলন করবে। সেটি এখনও শুরু হয়নি। শুরু হতে হতে কয়টি দল এখান থেকে কেটে পড়ে সেটি দেখার বিষয়। কয়টি দল শেষ পর্যন্ত থাকে সেটি দেখার বিষয়। আমরা খবর পেয়েছি ৩৬ পার্টির মধ্যে দরকষাকষি চলছে ক্ষমতার ভাগাভাগিতে কে কি পাবে।
আরও পড়ুন: প্রতিবাদ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে টিআইবির চিঠি
১ বছর আগে
ভারতের প্রেসক্রিপশনে কিছু 'নিরপরাধ' জামায়াত নেতাকে ফাঁসি দিয়েছে সরকার: নূর
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতে ইসলামীর কিছু ‘নিরীহ’ নেতাকে ‘ভারতের প্রেসক্রিপশনে’ ফাঁসি দিয়েছে।
নূর বলেন, ‘জামায়াত আইনত নিষিদ্ধ নয়। কিন্তু আওয়ামী লীগই ভারতের নির্ধারিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে জামায়াতের কিছু নিরপরাধ নেতাকে ফাঁসি দিয়েছে।’
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅধিকার পরিষদের সমাবেশে তিনি বলেন, ১০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ঢাকায় সমাবেশ করেছে জামায়াত। আওয়ামী লীগের তিনজন মন্ত্রী বলেছেন, এটা সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।’
আরও পড়ুন: বগুড়ায় গণঅধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা: আহত ১৫
নূর বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি জামায়াতের আদর্শ ও রাজনীতি আওয়ামী লীগের উপকারে আসে এমন কিছু করতে দেবে না। তবে রাজনীতির ক্ষেত্রে শেষ কথা নেই। জামায়াতের বর্তমান অবস্থান আমরা জানি না। কিন্তু তাদের বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে তারা রাজপথে থাকবেন।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে উৎখাত করতে আমাদের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। তাই আমরা বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি, চরমোনাই … যেই রাজপথে থাকুক তার সঙ্গে আছি। আমরা এই সরকারকে এক সপ্তাহও ক্ষমতায় রাখার পক্ষে নই।’
সাম্প্রতিক বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে নূর বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন একজন প্রার্থীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। তিনি একজন প্রবীণ ব্যক্তিত্ব, মুসলিম আলেমদের মধ্যে একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। আমরা তার ওপর এই হামলার নিন্দা করছি।’
আরও পড়ুন: না’গঞ্জে বিএনপি-জামাত-গণঅধিকারের ১৯৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
দেশব্যাপী ১১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা গণতন্ত্র মঞ্চের
১ বছর আগে
চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে।
রবিবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোস ইনস্টিটিউট অব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রিসার্চের জীববিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক টিমোথি ই ওয়ালশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে এ প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিক বাংলাদেশের সর্বত্র পাওয়া যায় এবং ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এ জাতীয় ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে হবে।’
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষককে বলেন, ‘এক সময় দেশের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হতো। কিন্তু এখন তা বন্ধ করা হয়েছে। এখন চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে সরকারি হাসপাতাল থেকে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়।’
আরও পড়ুন: প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না: মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদন
অ্যান্টিবায়োটিকের যথাযথ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সর্বত্র যাতে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি না হয় তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
টিমোথি ই ওয়ালশ বলেন, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) এখন বিশ্বের আটটি দেশে মহামারি আকার ধারণ করেছে। এখনই প্রতিরোধ করা না গেলে ভবিষ্যতে এটি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে উল্লেখ করে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে এর ফলে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
তিনি গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপ অন এএমআর-এর কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের মতো বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে লাইসেন্স বাতিল: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন যে তার সরকার কৃষি, মৌলিক ও চিকিৎসা বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের পাশাপাশি ২০০টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে পিএইচডি, পোস্ট-ডক্টরাল ও গবেষণা ক্ষেত্রে ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এই অধ্যাপক ফেলোশিপের আওতায় চিকিৎসা ও মৌলিক বিজ্ঞানে গবেষণার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইনোস ইনস্টিটিউট অব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রিসার্চ থেকে বঙ্গবন্ধু আইওআই ফেলোশিপ চালুর প্রস্তাব করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপের জন্য নীতিগত সম্মতি দেন।
এছাড়াও টিমোথি ই ওয়ালশ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ককাসের সঙ্গে এএমআর বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের অংশীদারিত্বের প্রস্তাব করেন এবং প্রধানমন্ত্রী তার ইতিবাচক সাড়া দেন।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সদস্য দেশগুলোকে তাগিদ দিয়েছে জাতিসংঘ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না: মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদন
নিবন্ধিত চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধ করে ওষুধ ও প্রসাধনী আইন, ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘খসড়া আইন অনুযায়ী, কোনো নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি করা যাবে না এবং এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।’
তিনি বলেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি করলে ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
আরও পড়ুন: ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের বিষয়গুলো প্রস্তাবিত আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, কারণ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) প্রতিরোধ এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
মাদক আইন, ১৯৪০ এবং ওষুধ (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৮২- হলো দুটি মাদক আইন।
কিন্তু দুটি আইন শুধুমাত্র ওষুধের বিষয়কে কেন্দ্র করে, প্রসাধনী নয়।
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনে প্রসাধনীর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
প্রস্তাবিত আইনে প্রায় ৩০ ধরনের অপরাধের উল্লেখ করা হয়েছে এবং নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরির পাশাপাশি ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরির মতো বিভিন্ন অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, খসড়া আইনে ওষুধ, ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা ডিভাইসের উন্নয়নসহ কিছু নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন যে ওষুধের সমস্যার ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে।
মাহবুব বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী কিছু ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে সরকার।
বৈঠকে পাইরেসি রোধে শাস্তিমূলক বিধান রেখে কপিরাইট আইন, ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোগীর প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
খসড়া আইন অনুমোদন: ওষুধ সংক্রান্ত অনিয়মে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড
১ বছর আগে
রোগীর প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
রোগীদের সেবার জন্য অবশ্যই ব্যবস্থাপত্রে (প্রেসক্লিপশন) ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের অবশ্যই রোগীবান্ধব মানসিকতা নিয়ে সেবা দিতে হবে। রোগীদের সেবার জন্য অবশ্যই ব্যবস্থাপত্রে (প্রেসক্লিপশন) ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে। যাতে রোগী ও ফার্মেসির ওষুধ বিক্রেতা সহজেই বুঝতে পারেন। এজন্য আমি আরএস ও আরপিকে নির্দেশনা দিয়েছি। তারা এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে বলে বিশ্বাস করি।’
বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্হিবিভাগ-২ বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে অনলাইন রিপোর্টিং কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথমবারের মত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে রোগীর স্বাস্থ্যের প্রায় ১০০ ধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়।
বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাসুম আলমের নেতৃত্বে অনলাইন রিপোর্টিং এ সফটওয়ার নির্মাণ করা হয়। এ অনলাইন রিপোর্টিং এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফল স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে রোগীর মোবাইল ও ই-মেইল আইডিতে পৌঁছে যাবে।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউতে এনটি-প্রো বিএনপি পরীক্ষা চালু
এর জন্য রোগীকে পরীক্ষার স্যাম্পল বা নমুনা প্রদানের সময় ছোট একটি ফরমে রোগীর নাম ও ই-মেইল আইডি লিখতে হবে। এ অনলাইন রিপোর্টিং কার্যক্রমের ফলে রোগীকে ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা নিরীক্ষার সেবা প্রদান করা যাবে।
২৪ ঘণ্টার মাঝেই রোগীর স্বাস্থ্য রিপোর্টরে ফল অনলাইনে প্রদান করা সম্ভব হবে।
প্রতিদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সব মিলে নয় হাজার রোগী সেবা নিতে আসেন। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে আট হাজার রোগী প্রতিদিন সেবা নিতে আসত । বর্তমানে আগত রোগীদের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার রোগী বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আসেন। এসব রোগীরা অনলাইনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফল গ্রহণের মাধ্যমে যেমন তারা সময় বাঁচাতে পারবে তেমনে যাতায়াত ভাড়াও বাঁচাতে পারে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এ অনলাইন সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের স্বপ্ন যাত্রায় উঠে পড়েছে।
বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন আরেকটি ধাপে উন্নীত হল।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ইতিহাস যোগ হলো।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে সকল বিভাগে অতি দ্রুত চালু করা হবে।
বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাসুম আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েল বেসিক সাইন্স ও প্যারাক্লিনিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শিরিন তরফদার, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. মতিউর রহমান, অধ্যাপক ডা. ফরহাদুল হক মোল্লা বক্তব্য দেন।
এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও নার্স, কর্মচারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৮৮ শতাংশ করোনা রোগী ওমিক্রনে আক্রান্ত: বিএসএমএমইউ’র জরিপ
বিএসএমএমইউতে আগুন
২ বছর আগে
ইবিতে করোনায় মিলছে না চিকিৎসা সেবা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘ ১০ মাস বন্ধ থাকার পর শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিষয় মাথায় রেখে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত না করায় চরম বিপাকে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা শিক্ষার্থীরা।
৩ বছর আগে