শিক্ষক বরখাস্ত
ধর্ষণের অভিযোগে যবিপ্রবির শিক্ষক বরখাস্ত
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক শিক্ষককে ধর্ষণের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অভিযুক্ত শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুজন চৌধুরী।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীবের সই করা এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এক নারী।
ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর তার নিজের বাসাতে সুজন চৌধুরী তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এরপর ভুক্তভোগী ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা করেন।
ভুক্তভোগী জানান, মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুজন চৌধুরীকে কয়েক দফায় ডাকা হলেও তিনি বিভিন্ন টালবাহানায় বিষয়টি এড়িয়ে যান। এছাড়া বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকিসহ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য সুজন চৌধুরী তাকে চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।
এরপর গত মঙ্গলবার যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অফিসে অভিযোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসে কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক-সহকারী গ্রেপ্তার
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বলেন, ‘আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ আছে । যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন, ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সুপারিশে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’
তবে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুজন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা দাবি করছে ওই নারী। তার অভিযোগ মিথ্যা।’
এদিকে, সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ থাকলেও মুখ খোলেননি কোনো ভুক্তভোগী।
এছাড়া গত জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করেন সুজন চৌধুরী। পরে নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাকে সব ধরণের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অপসারণের দাবি তুলে আন্দোলন করেন।
২ দিন আগে
নড়াইলে ছাত্রীকে শারীরিকভাবে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত
নড়াইলে একটি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে শারীরিকভাবে হয়রানির অভিযোগে এক সহকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জেলার সদর উপজেলায় এই উত্যক্ত ও বরখাস্তের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার ক্ষুব্ধ স্থানীয় অভিভাবক ও সুশীল সমাজ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে তুলারাম-শেখহাটি সড়কে বিদ্যালয়ের সামনে ঝাড়ু মিছিল করে।
এতে ওই অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের পাশাপাশি ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সহকারী অধ্যাপক রমেশ চন্দ্র অধিকারী, আওয়ামী লীগ নেতা অসীম কুমার পাল ও বিপ্রদা প্রসন্ন মল্লিক, সাবেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুদির কুমার পাল।
তাদের অভিযোগ, অভিযুক্ত শিক্ষক সুকান্ত কুমার গোস্বামী পড়ানোর নামে ছাত্রীদের শারীরিকভাবে হয়রানি ও উত্যক্ত করছিলেন।
১৮ জানুয়ারি বিকালে ওই শিক্ষক এক ছাত্রীকে স্কুলের দোতলায় একটি বিচ্ছিন্ন কক্ষে ডেকে নিয়ে শারীরিকভাবে হয়রানি করেন।
পরে নির্যাতিতা বিষয়টি তার বন্ধু ও মাকে জানান।
কোভিড-১৯ এর টিকা নেয়ার পর বাড়িতে ফেরার সময় গোস্বামী তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার অজুহাতে ডেকে নিয়ে হয়রানি করেন।
এমনকি নির্যাতনের কাউকে কিছু বললে তাকে পরীক্ষায় ফেল করার হুমকিও দিয়েছিলেন বরখাস্ত হওয়া ওই শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, গত ২২ জানুয়ারি তার মা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয় বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় যুবককে তুলে এনে ববি ছাত্রদের মারধর!
প্রধান শিক্ষক মন্ডল জানান, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রতন ভৌমিকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। গোস্বামীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ইউএনবি গোস্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আত্মরক্ষা করে বলেন, তার বিরোধীরা তাকে সামাজিকভাবে হেয় করার ষড়যন্ত্র করেছে। তিনি অভিযুক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে উত্যক্তের অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে
৮১৫ দিন আগে
শিক্ষার্থীদের দাবিতে ‘একাত্মতা’: খুবির এক শিক্ষক বরখাস্ত ও দুজন অপসারণ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উসকানি দেয়ার অভিযোগ এনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) একজন শিক্ষককে বরখাস্ত এবং দুজনকে চাকরি থেকে অপসারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট।
১৫৪৬ দিন আগে