বন্য হাতি
বাঁশখালীতে বন্য হাতির আক্রমণে এক ব্যক্তির মৃত্যু
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বন্য হাতির আক্রমণে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব নাটমুড়া গ্রামে দারোগা মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল কালাম (৬৫) ওই এলাকার মৃত বশরত আলীর ছেলে।
বাঁশখালী পুকুরিয়া ইউপি সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, ভোরের নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থান জিয়ারত করার সময় পেছন থেকে বন্য হাতি আক্রমণ করে। এসময় স্থানীয়রা জড়ো হয়ে তাড়া করলে হাতিটি অন্যত্র চলে যায়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই নুরুল আলম আশেক জানান, সকালে ৯টা ২০ মিনিটে জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় আবুল কালামকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রামে বন্য হাতির হামলায় কৃষকের মৃত্যু
দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বন্যহাতির হামলায় সাহেব মিয়া (৭০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়ার পূর্ব পাশে ভাদুইল্লার ডুরি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সাপের কামড়ে ২ কৃষকের মৃত্যু
নিহত কৃষক সাহাব মিয়া উপজেলার আধুনগর সিকদার পাড়া এলাকার মৃত সোলতান আহমদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সাহেব মিয়া পেশায় একজন কৃষক। নিজের পানের বরজে কাজ করার সময় বন্যহাতির পাল তার উপর আক্রমণ করে। এসময় হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।
পরে স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে এসেছে।
লোহাগাড়ার সাতগড় বনবিট কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, বন্যহাতির আক্রমণে সাহাব মিয়া নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন বলে খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে জানিয়েছি। নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ময়মনসিংহে বন্য হাতির আক্রমণে গ্রাম্য চিকিৎসকের মৃত্যু
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্তে বন্য হাতির আক্রমণে এক গ্রাম্য চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার গাবরাখালী সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. ইদ্দিস মিয়া (৫০) একই উপজেলার গাজিরভিটা ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের তৈমুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে উপজেলার গাবরাখালী সীমান্তবর্তী এলাকায় ৩০-৩৫টি হাতি দল বেঁধে ধানখেতে নেমে আসে। ফসল রক্ষায় কান্দাপাড়া গ্রামের মানুষ হাতি তাড়াতে লাঠি নিয়ে ধাওয়া করেন। এ সময় গ্রাম্য ডাক্তার ইদ্দিস মিয়া হাতির খুব কাছাকাছি চলে যান। তখন একটি হাতি তাকে ধাওয়া দিয়ে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে পদদলিত করে। পরে লোকজনের ধাওয়া দিলে হাতির দল সরে যায়।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু
এ সময় স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় ইদ্রিস মিয়াকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
গাজিরভিটা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আবদুল মান্নান বলেন, গ্রাম্য চিকিৎসকের ইদ্রিস মিয়া হাতি দেখতে যান। কাছাকাছি চলে গেলে একটি হাতি তাকে ধাওয়া দিয়ে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে পদদলিত করে। গুরুতর অবস্থায় নিজ বাড়িতে নিয়ে আসলে সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় তার।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান খান বলেন, হাতির আক্রমণে একজন নিহতের কথা আমি শুনেছি। এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে যুবক নিহত
শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু
খেতের ফসল রক্ষা করতে গিয়ে শেরপুরের শ্রীবরদীতে বন্য হাতির আক্রমণে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার হাতিবর টিলাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল হামিদ (৫০) ওই এলাকার ছামেদ আলীর ছেলে।
এ নিয়ে গত ১৫ দিনের ব্যবধানে শেরপুরের পাহাড়ি জনপদে বন্য হাতির আক্রমণে তিন কৃষক নিহত হলেন।
এর আগে হাতির আক্রমনে গত ১৪ এপ্রিল শ্রীবরদীর জুলগাঁও এলাকায় আব্দুল করিম (৩৫) এবং ২৬ এপ্রিল নালিতাবাড়ি উপজেলার পুর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের বিজয় সাংমা (৫২) নামে আরও দুই কৃষক প্রাণ হারান।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে যুবক নিহত
এই কৃষকরা সবাই বন্য হাতির কবল থেকে আধপাকা বোরো ধানখেত পাহারা দেওয়ার সময় উন্মত্ত হাতির কবলে পড়ে নিহত হন।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় শ্রীবরদী সীমান্তে বন্যহাতির ৪০/৫০ টির একটি দল শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ী রেঞ্জ এলাকার হালুয়াহাটি গ্রামের বোরো ধানখেতে নেমে আসে এবং পাকা ধান বিনষ্ট করে।
এ সময় ধানখেত বাঁচাতে এলাকাবাসী হাতি তাড়াতে লাঠি-মশাল নিয়ে হাতির দলকে ধাওয়া করে। এতে ক্ষুব্ধ হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে হাতিবর টিলাপাড়া গ্রামের কৃষক আবদুল হামিদ গুরুতর আহত হন।
এলাকাবাসী আশঙ্কাজনক অবস্থায় হামিদকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. নোমান।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নুর হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ধানখেতে বন্যহাতির দল নেমে এলে হাতি তাড়াতে গিয়ে হাতির আক্রমণে কৃষক আব্দুল হামিদের মৃত্যু ঘটেছে।
বন বিভাগের বালিজুড়ীর রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বন বিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু হাতির দলকে তাড়াতে গিয়ে মানুষ মৃত্যুর মতো দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে পাহাড়ি জনপদে বনবিভাগের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। যাতে হাতির দলকে উত্যক্ত করা না হয়। এজন্য এলাকায় এলাকায় এলিফেন্ট রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বনবিভাগের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারি নিয়মানুযায়ী আবেদনের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে আহত কৃষকের মৃত্যু
শেরপুর সীমান্তে বন্যহাতির আক্রমণে কৃষক নিহত, আহত ১
শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে যুবক নিহত
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বন্য হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে এক যুবক নিহত হয়েছে।
শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার কাটাবাড়ি-দাওধারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শফিকুল আলম (৩০) নয়াবিল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাটাবাড়ি গ্রামের মো. আব্দুল করিমের ছেলে বলে জানা যায়।
বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বন্ধুদের সঙ্গে কাটাবাড়ি পাহাড়ে অবস্থানরত বন্য হাতির দল দেখতে যান শফিকুল আলম। সেসময় তারা হাতির কাছাকাছি চলে গেলে দলের একটি হাতি তাদের তাড়া করে। একপর্যায়ে শফিকুলকে শুড় দিয়ে পেঁচিয়ে হাতিটি আছাড় দিয়ে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে পিষ্ট করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। পরে বন্যহাতির দল ঘটনাস্থল থেকে সরে গেলে স্থানীয়রা লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
বন কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত কয়েকদিন থেকে বন্য হাতির একটি দল নালিতাবাড়ীর কাটাবাড়ি পাহাড়ি টিলায় অবস্থান করছিল।
উল্লেখ্য, গত আট মাসে শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্ত জনপদে বন্যহাতির আক্রমণে চারজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে নালিতাবাড়ী সীমান্তেই মারা গেছেন তিনজন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় কাদায় আটকে বন্য হাতির মৃত্যু
শেরপুরে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় বন্য হাতির আক্রমণে শনিবার রাতে এক কৃষক নিহত হয়েছেন।
নিহত রবিজল মিয়া (৬১) টিলাপাড়া গ্রামের সমর শেখের ছেলে।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভূঁইয়া বলেন, রাত ৮টার দিকে উপজেলার তাওয়াকুচা এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
ওসি বলেন, রবিজল গ্রামবাসীদের সঙ্গে হাতির পাল তাড়াতে গেলে বন্য হাতি আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে।
মনিরুল আলম ভূঁইয়া বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে কি না তা নির্ভর করবে নিহতের পরিবারের ওপর।
আরও পড়ুন: শেরপুরে লোকালয়ে ফের বন্যহাতির তাণ্ডব
খরায় কেনিয়ায় কয়েকশ’ হাতি ও জেব্রার মৃত্যু
বান্দরবানে বুনো হাতির আক্রমণে নিহত ২, আহত ১
কক্সবাজারে বন্য হাতির মৃতদেহ উদ্ধার
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ পাহাড় থেকে এক বন্য হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়ার (৯নং ওয়ার্ড) সাতঘরিয়াপাড়া সংলগ্ন ক্লিব্বা নামক এলাকা থেকে হাতিটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ওইদিন সকাল ৭টার দিকে অজ্ঞাতনামা একদল কাঠুরিয়া লাকড়ি সংগ্রহ করতে যাওয়ার পথে কমপক্ষে আড়াই ফুট গভীর একটি ঝিরিতে হাতিটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
স্থানীয় লোকজন বনবিভাগকে হাতি মৃত্যুর বিষয়টি অবগত করেন।
ফুলছড়ি রেঞ্জের অধীন রাজঘাট বিট কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, মৃত হাতিটি পুরুষ এবং এটির বয়স আনুমানিক দেড় থেকে দুই বছরের মত হবে। এটি দৈর্ঘ্যে সাত ফুট, প্রস্থ পাঁচ ফুট এবং শুড় আড়াই ফুট। ২০ নভেম্বর রাতে মারা গেছে বলে তিনি ধারণা করেন।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে আরেকটি মৃত বন্য হাতি উদ্ধার
ফুলছড়ির রেঞ্জ কর্মকর্তা ফারুক আহমদ বাবুল বলেন, পুকুরের ঢাল বেয়ে নিচে নামার সময় পা পিছলে পড়ে হাতিটির মৃত্যু হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ফুলছড়ির এসিএফ ড. প্রান্তোষ চন্দ্র রায় জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলা থেকে প্রাণি সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা এসেছেন। ময়না তদন্ত শেষে হাতিটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
তিনি আরও জানান, প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা তাকে হাতিটির গায়ে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু জানান, এসব হাতি পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। অব্যাহতভাবে হাতি হত্যা ঘটনার এটি একটি অংশ। এই শিশু হাতিকে ফাঁদ পেতে খাদে ফেলে মারা হয়েছে। গত এক বছরে ১০ টি হাতির মৃত্যু হয়েছে কক্সবাজারে। বনাঞ্চল দখল, বনাঞ্চলে চাষাবাদ আর হাতির দাঁত বিক্রির জন্য কক্সবাজারসহ সারাদেশে ধারাবাহিকভাবে হত্যা করা হচ্ছে হাতি। এমন ঘটনায় সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না থাকায় হাতি হত্যাকারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: হাতি হত্যা: ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
তাহিরপুর সীমান্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে মেঘালয়ে ফিরে গেছে ৪ বন্য হাতি
শেরপুর সীমান্তে আরেকটি মৃত বন্য হাতি উদ্ধার
শেরপুরের নালিতাবাড়ীর পানিহাতা সীমান্ত থেকে শুক্রবার ভোরে আরেকটি মৃত বন্য হাতি উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ১০ দিনের ব্যবধানে শেরপুর সীমান্তে দুটি মৃত হাতি উদ্ধারের ঘটনা ঘটলো।
এর আগে গত ৯ নভেম্বর শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা এলাকা থেকে একটি মৃত বন্যহাতি উদ্ধার হয়েছিলো।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন ও বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.আব্দুল করিম মৃত বন্যহাতি উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে হাতিটি কিভাবে মারা গেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি।
আরও পড়ুন: হাতি হত্যা: ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ঘটনাস্থলে থাকা বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের গোপালপুর বীট কর্মকর্তা মো. শাহআলম মুঠোফোনে জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। পানিহাতা এলাকার মায়াঘাসি গ্রামে মৃত বন্য হাতিটি দেখা যায়। তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া বন্যহাতিটি পুরুষ, বয়স আনুমানিক ২ বছর হতে পারে। হাতিটি অসুস্থ্ হয়ে মারা যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ঘটনাস্থলে থাকা পরিবেশবাদী সংগঠন বার্ড কনজারভেশন অব শেরপুর এর সভাপতি সুজয় মালাকার জানান, হাতিটির কেবল দাঁত উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা গর্ত খুড়ে হাতিটি মাটিচাপা দিতে চেষ্টা করছিলো।
আরও পড়ুন: তাহিরপুর সীমান্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে মেঘালয়ে ফিরে গেছে ৪ বন্য হাতি
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে বন্যহাতির দল পানিহাতা এলাকার লোকালয়ে নেমে এসে ফসলের ক্ষেতে হানা দিয়ে আসছিলো। স্থানীয় অধিবাসীরা বন্যহাতির কবল থেকে ক্ষেতের ফসল রক্ষায় চেষ্টা করছিলো।
এদিকে, গত ৯ নভেম্বর শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা এলাকায় বিদ্যুতের ফাঁদে বন্যহাতি হত্যার অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে বনবিভাগ।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফ শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ের পাদদেশে পানির ছড়া থেকে এক বন্য বাচ্চা হাতির মরদেহ উদ্ধার করেছে ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) সদস্যরা।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১০টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের এসপি তারিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় টেকনাফে ১৬ এপিবিএন এর আওতাধীন রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২৬ (শালবাগান) তাঁরকাটার বেষ্টনীর বাইরে আনুমানিক ৫০০ গজ পশ্চিমে পাহাড়ের পাদদেশে পানির ছড়ার মধ্যে একটি বন্য হাতি মৃত অবস্থায় দেখা যায়। বন্য হাতি মৃত্যুর খবর ক্যাম্প এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক সাধারণ রোহিঙ্গারা ভিড় জমায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শালবাগান এপিবিএন ক্যাম্পের অফিসার ও ফোর্স মোতায়েন করা হয়।
এসপি তারিকুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে বন্য হাতিটি ৩-৪ দিন আগে মারা গেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বন বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই ক্যাম্পের পাহাড়ের ঝিরিখাল থেকে আরও একটি মৃত হাতি উদ্ধার করেছিল আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
পড়ুন: হাতি হত্যা: কক্সবাজারে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কক্সবাজারের বনাঞ্চলে এক বছরে এশিয়ান হাতির ১৬টি বাচ্চা প্রসব
রাঙামাটিতে বন্য হাতির আক্রমণ আতঙ্কে গ্রামবাসী
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় দলচ্যুত হওয়া বন্য হাতির আক্রামণের আতঙ্কে ভুগছেন কয়েকটি গ্রামের মানুষ। বন্য হাতিটি কখন কোথায় আক্রমণ করে এই নিয়ে চিন্তিত হয়ে গত দুদিন নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে গ্রামের মানুষগুলোকে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার খাগড়াছড়ির মহালছড়ি এলাকায় দেখা গেছে প্রাপ্ত বয়স্ক এই হাতিটিকে। খাদ্যের সন্ধ্যানে ঘুরতে ঘুরতে পরদিন সকালে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার ফিরিংগি পাড়ায় দিনভর অবস্থান করে বিকালে উপজেলার মহাজন পাড়া থেকে বর্তমানে ছয়কুড়ি বিলের কাছাকাছি আছে বলে জানিয়েছেন তারা।
ফিরিংগি পাড়া স্থানীয় গ্রামবাসী জীবন রতন চাকমা জানায়, হাতিটি এলাকার ধান, আখের খেত, কলা গাছ, নারিকেল গাছ, আম বাগানসহ বিভিন্ন বাগানে ক্ষতি করেছে। এলাকায় একটি পাহাড়ে পানির ঝিরি ছিল সেখানে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করে বন্য হাতিটি।
নানিয়ারচর বন বিভাগ কর্মকর্তা আজিজুল হক বলেন, আমরা জানতে পেরেছি একটি হাতি দলচ্যুত হয়ে নানিয়ারচরের ছয়কুড়ি নামক এলাকার কোথাও আছে। তবে কোথা থেকে এই বন্য হাতিটি এসেছে তা আমাদের জানা নেই। হাতিটির তার পালে পৌঁছে দেবার মত পদক্ষেপ আমাদের হাতে নেই। তবে হাতিটি যাতে গ্রামে ঢুকে মানুষের ক্ষতি করতে না পারে তার জন্য গ্রামের মানুষদের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
গ্রামবাসীকে ক্ষতির পরিমাণ রোধে গ্রামবাসীকে হাতি তারানোর জন্য ঢাক ঢোল বাজিয়ে স্থান ত্যাগ করানোর জন্য পরামর্শ প্রদান করেছেন।
এদিকে, সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী।
হাতির সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে গ্রামবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকালে হাতিটি উপজেলার বগাছড়ি হতে কালো পাহাড়ের দিকে রওনা করে।